Blog

  • Twitter Jobs: ট্যুইটারের দায়িত্ব পেয়েই ৩৭০০ কর্মী ছাটাইয়ের পথে ইলন মাস্ক

    Twitter Jobs: ট্যুইটারের দায়িত্ব পেয়েই ৩৭০০ কর্মী ছাটাইয়ের পথে ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনেছেন ইলন মাস্ক (Elon Mask)। ট্যুইটার নিজের দায়িত্বে আসার পর থেকেই একের পর এক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেসলা কর্ণধার। এবার কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাটতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি। কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে এখন চলছে হিসেব নিকেষ । এমনই খবর সামনে এসেছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক প্রায় ৩,৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছেন। সেই সঙ্গে ট্যুইটারের কর্মীদের যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পলিসি চলছিল, তাও এবার শেষ হতে চলেছে।  ট্য়ুইটারে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের এবার অফিসে এসে কাজ করতে হবে। 
     
    শুধু তাই নয়। সংস্থার অর্থনীতির হাল ফেরাতে এবার কর্মীদের বেতন কমানোর রাস্তাতেও হাঁটতে পারেন ট্যুইটারের নয়া মালিক। বিশেষ করে সেলস, প্রোডাক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, লিগাল, ট্রাস্ট এবং সেফটি, এই দফতরগুলি থেকে একাধিক কর্মীর বেতন কমানো হচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: গুজরাট ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, আটক অগ্নিমিত্রা, সজল সহ একাধিক নেতা

    সেখানকার বোর্ড অফ ডিরেক্টরটেও খুব শীগগির পরিবর্তন আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।  

    এদিকে ইলন মাস্ক কোম্পানির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চাকরি যাওয়ার ভয় পেতে শুরু করেছেন কর্মীরা। মানসিক চাপ বাড়ছে কর্মীদের। তাই কাজের চাপে অফিসের মেঝেতেই ঘুমিয়ে পড়লেন এক ট্যুইটার কর্মী। ভাইরাল সেরকমই এক ছবি। ছবিটি পোস্ট করেছেন ট্যুইটার স্পেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইভান জোন্স। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “যখন ইলনের ট্যুইটার থেকে আপনার কিছু পাওয়ার থাকে।” এই পোস্টে ট্যুইটার কর্মীদের মানসিক চাপের বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UP Gang Rape: ঘুষ নেওয়ার জের! ডিএসপি থেকে সাব-ইন্সপেক্টর বানিয়ে শাস্তি দিল যোগী সরকার

    UP Gang Rape: ঘুষ নেওয়ার জের! ডিএসপি থেকে সাব-ইন্সপেক্টর বানিয়ে শাস্তি দিল যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বড় পদক্ষেপ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিককে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে তার পদের অবনতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক ধর্ষণের মামলাকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য তিনি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যোগী সরকার তাকে পদ অবনতি করিয়ে সাব-ইন্সপেক্টর করলেন। ১ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে এই ঘোষণা করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিএসপি বিদ্যা কিশোর শর্মা রামপুরে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই ঘুষ নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হন। আর এই ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিদ্যা কিশোর শর্মার চাকরি জীবন শুরু হয় একজন কন্সস্টেবল হিসাবেই। ধীরে ধীরে পদোন্নতি করতে করতে আজ ডিএসপি পদে বসেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষিত, ভোট হবে দুই দফায়

    আসল ঘটনাটি কী? বছর খানেক আগে বিদ্যা কিশোর শর্মার উপর দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। এছাড়াও একজন মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে একজন সাব-ইন্সপেক্টর রামবীর যাদব এবং একজন হাসপাতালের ম্যানেজার বিনোদ যাদব সহ দু’জন পুরুষ তাঁকে গণধর্ষণ করেছিল। এবং পুলিশ ঘুষ নেওয়ার পরেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তার টাকার ব্যাগ নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ষণ কাণ্ডে কোনও পদক্ষেপ যাতে না নেওয়া হয় তার জন্য শর্মার ব্যাগে ৫ লক্ষ টাকা ছিল বলে অভিযোগ। পরে মুখ্যমন্ত্রীর আদেশে একটি তদন্তকারী কমিটি তৈরি হয়। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় ওই মহিলার অভিযোগ সত্য এবং ঘুষ নেওয়ার অপরাধে শাস্তি দিল যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই ২ অভিযুক্তর নামে এফআইআর দায়ের করা হয় ও সাসপেন্ড করা হয়েছে বিদ্যা কিশোর শর্মাকে।

    প্রসঙ্গত, শর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনে দায়ের করেছিলেন আরটিআই কর্মী দানিশ খান। তিনি সিভিল লাইন কোতোয়ালি এলাকার অন্তর্গত মডেল কলোনির বাসিন্দা। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন বিদ্যা কিশোর শর্মা। আরও জানা যায়, শর্মা দুই বছর ধরে রামপুর সিও থাকার সময় একই ধরনের বেশ কয়েকটি অপরাধ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ২০২১ সালে তার সাসপেন্ড সম্পর্কে ট্যুইট করেছিলেন আর এবারে এই শাস্তি দিলেন।

  • T20 World Cup: ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে টিম ব্লু- র অসামান্য জয়,  উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশ্ব

    T20 World Cup: ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে টিম ব্লু- র অসামান্য জয়, উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T 20 World Cup) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ রানে অনবদ্য জয় ভারতের (INDvsBAN)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ম্যাচের মাধ্যমেই হল ভারতের প্রত্যাবর্তন। গত রবিবার মেলবোর্নের মাঠে টানটান হয়ে উঠেছিল ভারত-পাক ম্যাচ। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচেও স্নায়ুর চাপ একটুও কমল না। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠে শেষ বার ২০১৬ সালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। শেষ বলে লেখা হয়েছিল ভাগ্য। এবারও ঠিক তাই হল। শেষ বলেই বাংলাদেশের থেকে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত। ভারতের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশ্ব। সামাজিক মাধ্যম ভরে গেল অভিনন্দন, প্রতিক্রিয়ার বন্যায়। 

    দেখে নেওয়া যাক টানটান ম্যাচের শেষে কে কেমন প্রতিক্রিয়া দিলেন।  

    আরও পড়ুন: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

     

    — VVS Laxman (@VVSLaxman281) November 2, 2022

     

  • Afghanistan: শিক্ষার অধিকার চাওয়ায় শাস্তি! ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করল তালিবানরা

    Afghanistan: শিক্ষার অধিকার চাওয়ায় শাস্তি! ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করল তালিবানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানরা আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পর থেকে সেখানকার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। তালিবানরা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানকার নাগরিকদের উপর, বিশেষ করে মহিলাদের উপর। তাঁদের জীবনে দুর্দিন নেমে এসেছে। এবারে তালিবানদের আফগানিস্তানের কিছু ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিও-তেই উঠে এসেছে তালিবানিদের বর্বরতা। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার।

    জানা গিয়েছে, কিছু ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে শিক্ষার অধিকারের দাবি জানাচ্ছিলেন। কিছুদিন আগেই বোরখা না পরে থাকায় তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তাঁরা। তা নিয়ে আফিগানিস্তানের (Afghanistan) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাদাখশান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। সেখানেই শুরু হয় তালিবানি অত্যাচার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তালিবরা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে জমায়েত করা ছাত্রীদের মারছে। ফলে ইরানের পর এবারে ফের বোরখা পরা নিয়ে আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই বোরখার জন্যই এবারে বেধড়ক মারধর করতেও দেখা গেল তালিবানদের।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয়েছে বোরখার প্রতিবাদে আন্দোলন। ট্যুইটারেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে নেটিজেনরা। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। তাঁরা সকলেই বোরখা পরে রয়েছেন। তবুও সে সময় তালিবান সরকারের কয়েক জন সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর তারা হাতে লাঠি, বন্দুকের বাঁট নিয়ে মারতে থাকেন সেখানে উপস্থিত ছাত্রীদের। পরে ছাত্রীরা সেখান থেকে পালানোর জন্য ছুটতে থাকেন।

    এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাকিবুল্লা কাজিজাদা সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের উদ্দেশে হিংসাত্মক হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের দখল চলে যায় তালিবানদের হাতে। তারপর থেকেই মহিলাদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে। মহিলাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, কর্মক্ষেত্র, পোশাকবিধি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এমনকি ষষ্ঠ শ্রেণীর পর মেয়েদের স্কুল যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

  • Kerala High Court: স্বামীর সম্মতি ছাড়াই মুসলিম মহিলারা ডিভোর্স চাইতে পারেন, সাফ জানাল কেরল হাইকোর্ট

    Kerala High Court: স্বামীর সম্মতি ছাড়াই মুসলিম মহিলারা ডিভোর্স চাইতে পারেন, সাফ জানাল কেরল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। ইসলাম ধর্মের আইন অনুযায়ী, একজন মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি জানাতেই পারেন। আর এই ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করার জন্য স্বামীর অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করল কেরল হাইকোর্ট।

    উল্লেখ্য, একজন মুসলিম নারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছিল, মুসলিম নারীদের বিচ্ছেদের দাবি জানানোর অধিকার রয়েছে। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) মামলা হয়েছিল। আবেদনকারীর দাবি ছিল, যদি কোনও মুসলিম মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান, তাহলে তাঁকে তাঁর স্বামীর থেকে ‘তালাক’ চাইতে হবে। এরপরেই বিচারপতি মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি এস ডিয়াসের ডিভিশন বেঞ্চ বলে যে, মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    আদালত আরও জানান, এই আবেদনের মাধ্যমে এটাই মনে হচ্ছে, মুসলিম মহিলারা তাঁর স্বামীর অধীনে রয়েছে। এই ধারণার পিছনে মুসলিম ধর্মগুরু ও ওই সম্প্রদায়ের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব রয়েছে বলে মনে হয়। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও আইনের প্রকৃত ব্যাখ্যা জানার জন্য আদালত এমন কোনও ধর্ম প্রচারকের ওপর নির্ভর করতে পারে না, যার আইন সম্পর্কে জ্ঞান নেই।

    গতকাল আদালত থেকে এও বলা হয়েছে যে, মুসলিম মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানানোর ক্ষমতা দেয় পবিত্র কোরান। এটা কোনও ভাবেই স্বামীর ইচ্ছে বা অনুমতির ওপর নির্ভর করে না। এমনকি আদালত এদিন ‘খুলা’ পদ্ধতিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘খুলা’ হল মুসলিম সমাজের এমন একটি প্রথা যেখানে স্বামী বা স্ত্রী নিজের ইচ্ছেতে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারেন। ফলে সেই মহিলা খুলার মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিলে স্বামী সেটি অমান্য করে ও দাবি করে, বিশ্বে কোথাও মুসলিম মহিলারা নিজেদের ইচ্ছেতে ‘খুলা’র মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে না। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোরানেই বলা হয়েছে যে একজন মুসলিম মহিলা ‘খুলা’র মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন। 

  • IND vs BAN T20 World Cup: রানে ফিরলেন রাহুল! লোকেশের পর অর্ধশতরান কোহলির, বাংলাদেশের টার্গেট ১৮৫

    IND vs BAN T20 World Cup: রানে ফিরলেন রাহুল! লোকেশের পর অর্ধশতরান কোহলির, বাংলাদেশের টার্গেট ১৮৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ভারত। ৪৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক বিরাট। ছাপিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ব্যাটার মহেলা জয়বর্ধনেকে। বিরাট-ব্যাটে ভর দিয়েই বাংলাদেশের সামনে বড় রানের টার্গেট খাড়া করল ভারত। ছয় উইকেট হারিয়ে ভারত তুলল ১৮৪ রান। সমালোচনার জবাব দিয়ে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন লোকেশ রাহুল। রাহুল স্যারের কথা ঠিক হল। ভরসা দিল ছাত্রের ব্যাট। ৭ রান করেন অক্ষর পটেল। ৫ রান করে ফিরলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এদিন বড় রান করতে না পারলেও ১৬ বলে ৩০ রান করে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন সূর্যকুমার যাদব। ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানের মাথায় প্য়াভিলিয়ন ফেরেন রোহিত শর্মা।

    টি-২০ বিশ্বকাপের কার্যত ডু অর ডাই ম্যাচে এদিন অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হয় ভারত বনাম বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে দুই দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। তিনটি ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছে দুটিতে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। চার পয়েন্ট নিয়ে রোহিত শর্মারা আপাতত রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশেরও সংগ্রহ চার পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দলই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া। শাকিবদের কাছে হারলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে ভারতীয় শিবিরে।

    তবে শুরুটা ভাল ছিল না রোহিতদের। অ্যাডিলেডে টস ভাগ্য সঙ্গ দিল না ভারত অধিনায়কের। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব। দুই দলে একটি মাত্র পরিবর্তন হয়েছে। ভারতীয় দলে দীপক হুডার বদলে দলে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল। অপরদিকে, বাংলাদেশ দলে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ভারতীয় দলের প্রথম একাদশের ব্যাটিং লাইনে কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা ওপেন করেছেন। এরপর মিডল অর্ডারে রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। দলে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও একবার সুযোগ পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে খেলছেন হার্দিক পান্ডিয়া। দলে প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এছাড়া দলে বাঁ হাতি স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল।  

    আরও পড়ুন: আমরা জিততে আসিনি, তাই চাপটা ওদের, আমাদের নয়! ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য শাকিবের

    ভারতের প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও অর্শদীপ সিং।

    বাংলাদেশের প্রথম একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, শাকিব আল হাসান (ক্যাপ্টেন), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলি, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন, তাস্কিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    Malaria In West Bengal: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে মশাবাহিত আরেক রোগ। ডেঙ্গির পরে এবার ম্যালেরিয়া (Malaria In West Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো তথ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এপ্রিল মাসে দেড় হাজারের উপরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। জুন মাসে সেই আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে চার হাজার। অগাস্ট মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৮১২ জন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর ব্যোন ডিজিজ কন্ট্রোল-কে দেওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে রাজ্যের ১৯ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে। তবে, ম্যালেরিয়ার মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানালেও, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রমণ হাজার পেরিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই একসঙ্গে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে, তাদের শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। বিপদ আরও বাড়ছে। ফলে, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ সাহা জানান, ২০২০ সালেই মৌসম ভবন থেকে জানিয়েছিল, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে, আগামী কয়েক বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়বে। প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। মশাবাহিত রোগ কমাতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে বিশেষ কোনও কাজ চোখে পড়েনি। যদিও ম্যালেরিয়া মানচিত্রে বরাবর গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা সবসময় উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত থাকে। তারপরেও মশাবাহিত এই রোগকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ম্যালেরিয়ার উপসর্গ হল, জ্বর, সর্দি, বমি, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে টান লাগা, গলা ব্যথা। তাই এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েও অনেকে প্রথমে টের পাচ্ছেন না। অবহেলার জেরে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। যখন হাসপাতালে রোগী পৌঁছোচ্ছেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বরকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা উচিত নয় বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 

    তবে, মশাবাহিত এই রোগের দাপট কমাতে যেমন সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি, তেমনি প্রশাসনের সক্রিয়তাও প্রয়োজন, বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কারণ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে এই ধরণের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা মুশকিল বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু অধিকাংশ পুরসভা ও পঞ্চায়েতের এই সব কাজে নিয়ম মাফিক সক্রিয়তার অভাব রয়েছে।

  • Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান গদাধর চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর সহধর্মিণী সারদা দেবী বলতেন “আমি সকলের মা”। বাস্তবিকই তিনি ঠাকুরের শিষ্যদের মা হয়ে উঠেছিলেন। আজও ঠাকুরের সঙ্গেই তিনি ঘরে ঘরে পূজিতা হন। রামকৃষ্ণ-সারদা দেবী, মাতা কালীর আরাধনা করতেন। কিন্তু জানেন সারদা মায়ের নামের সাথে জগদ্ধাত্রী পুজোও সম্পর্কিত। সারদা মায়ের  জন্মভিটে জয়রামবাটির জগদ্ধাত্রী পুজো বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর  বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম জয়রামবাটির এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে সারদা দেবীর জন্ম হয়। সারদা দেবীর মাতার নাম ছিল শ্যামাসুন্দরী দেবী।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    কথিত আছে, সারদাদেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী খুব অল্প বয়সেই বিধবা হন‌। বিধবা শ্যামাসুন্দরী দেবীর পক্ষে সংসারের ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। সাংসারিক চাপে শ্যামাসুন্দরী দেবী বাধ্য হয়ে গ্রামের এক ধনী ব্রাহ্মণের বাড়িতে ধান ভানার কাজ বেছে নেন, যদিও  মা সারদা ততদিনে রামকৃষ্ণ জায়া হয়ে গিয়েছেন। শোনা যায়, মা সারদা দক্ষিণেশ্বর থেকে বাপের বাড়ি এলে,  শ্যামাসুন্দরী দেবীকে ধান ভানার কাজে সাহায্য করতেন। জয়রামবাটিতে সেসময় কালীপুজোতে গ্রামের জনৈক ব্রাহ্মণ নব মুখার্জী, প্রত্যেক গ্রামবাসীর ঘর থেকে মা কালীর পুজোর জন্য নৈবেদ্যের চাল নিতেন। হঠাৎ সে বছর কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নব মুখার্জী শ্যামাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চাল নৈবেদ্য নিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় শ্যামাসুন্দরী দেবী অত্যন্ত মর্মাহত হন। অভাবের সংসার হলেও তিনি মা কালীর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য অর্পণ করতে অপারগ নন। এই ভাবনায় শ্যামাদেবী একরাশ দুঃখ নিয়ে সারারাত কাঁদতে থাকেন। নিদ্রাহীন রাত্রিতে  হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর পাশে এক দেবী এসে তাঁকে বলছেন – ‘কাঁদছ কেন মেয়ে? তোমার নৈবেদ্য মা কালীর পুজোর জন্য নেয়নি তো কী হয়েছে, আমি তোমার নৈবেদ্য গ্রহণ করবো’। শ্যামাদেবীর বিশ্বাসে আবির্ভূত এই দেবী ছিলেন স্বয়ং মাতা জগদ্ধাত্রী। সেই বছরই অর্থাৎ ১৮৭৭ সালে  জয়রামবাটিতে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। পুজোতে দক্ষিণেশ্বর থেকে এসে অংশগ্রহণ করেন স্বয়ং সারদাদেবীও। শোনা যায় এই পুজোর কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে  রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন- “মা আসছে, যা যা খুব মঙ্গল হবে তোদের।”

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কথিত আছে, এই জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই শ্যামাদেবীর সংসারে উন্নতি আসে। অভাব মিটে  যায়। সারদা দেবীও প্রতিবছর  জয়রামবাটিতে গিয়ে পুজোর খুঁটিনাটি সমস্ত ব্যাপার দেখতেন । শোনা যায়, প্রথম বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন বৃহস্পতিবার ছিল। তাই সারদা দেবী লক্ষ্মীবারে বিসর্জন করতে দেননি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। পরদিন সংক্রান্তি ও তার পরদিন মাস পয়লা থাকায় ওই দুই দিনও বিসর্জন হয়নি। বিসর্জন হয় চতুর্থ দিনে।
    তাঁর প্রয়াণের পরেও বন্ধ হয়নি পুজো। আজও মহাসমারোহে জয়রামবাটিতে আরাধিতা হন দেবী জগদ্ধাত্রী। এরপর ১৯২৩ সালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সারদানন্দজীর উদ্যোগে জয়রামবাটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মিশন। এখন পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোড়া এনকাউন্টারে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল, মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও অবন্তিপোরা জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে ৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার (LeT Commander) কমান্ডার মুখতার ভাট, বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবন্তিপোরার বিজবেহারা এলাকায় জঙ্গিদের ওই ডেরা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এরপরই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় লাদারমুডের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহর ছেলে শাকির আহমেদ নামে এক স্থানীয় সন্ত্রাসী। পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, নিহত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এইচএম এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পুলিশ/এসএফ এবং হামলা সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধের মামলায় জড়িত ছিল।

    আবার একইভাবে, অবন্তিপোরার খান্দিপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। এরপরে গুলির লড়াই শুরু হলে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন বিদেশি। বাকি দুজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের এডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, সেনা শিবিরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই খবর আগে জানতে পেরে যৌথ অভিযানে তা বানচাল করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই অভিযানেই খতম হয়েছে লস্কর কমান্ডার মুখতার ভাট। এই তিন জেহাদি এক পুলিশকর্মী ও দুই আরপিএফ হত্যায় জড়িত ছিল। খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল, একে ৫৬ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

  • Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ঘটনায় (Gujarat Bridge Collapsed) সারা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪১ জন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই মোরবির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট। তিনি জানালেন রবিবারের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ মাচ্ছু নদীর নিম্ন জলস্তর ও পাথুরে তলদেশ। নদীর তল পাথরে পূর্ণ। এই কারণেই অনেক লোক আহত ও নিহত হয়েছে।

    জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, গুজরাটের মোরবির মাচ্ছু নদীর জলের তেমন স্রোত নেই, আর এই নদীর জলস্তরও কম। মাত্র ১০ ফিট, যা একটি ছোট গাড়ির উচ্চতার সমান। ফলে নদীতে জলের জন্য এত জনের মৃত্যু হয়নি। নদীর তলদেশ পাথরে ভরা, তাই সেখানে ব্রিজ ভেঙে পড়লে তাঁরা নদীতে পড়ে তলদেশে পৌঁছে যায় ও সেখানকার পাথরে তাঁরা গুরুতর ভাবে আঘাত পায় ও মারা যান।

    আরও পড়ুন: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই ডুবুরিরা নদীর তলদেশে পৌঁছেছে। নদীর মাঝে গভীরতা প্রায় ২০ ফিট ও স্রোতও না থাকায় কোনও দেহই ভেসে যায়নি। তবে মৃতদেহ কাদায় আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এছাড়াও এই নদীর জল ঘোলা, তাই মৃতদেহ শনাক্ত করতে ক্যামেরা এবং সোনার ডিভাইস লাগানো একটি অতি আধুনিক রিমোট আন্ডারওয়াটার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল তিনি মোরবির আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। উদ্ধারকাজ কতদূর এগিয়েছে, কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

LinkedIn
Share