Blog

  • TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভামঞ্চে ফের বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা গেল শাসকদলের নেতাকে। তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তুই-তোকারির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গেল তাঁকে। গত শনিবার বিকেলের দিকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ফুটবল মাঠে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। সেই সময়েই বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। সেদিন সেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও।

    বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার

    সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি মানে ‘পাগল দিলীপ’, ‘চিটিং সৌমিত্র খাঁ’ আর ‘মিরজাফর শুভেন্দু অধিকারী’। এই সব মন্তব্যেই শোরগোল পড়ে যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “উস্কানিমূলক কথা বললে, বড়জোড়ার মানুষ পিঠের চামড়া তুলে নেবে।” তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নাকি তাদের বাধা দেবে। আমি শুভেন্দু অধিকারীকে বলছি, তোদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা আছে? বিজেপি বলে এখানে কিছু নেই। তাঁদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই। শান্ত বাঁকুড়াকে আজ যদি অশান্ত করার চেষ্টা করে ওই সৌমিত্র খাঁ, শুভেন্দু অধিকারীকে বলে রাখছি আমরা তৃণমূল হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। যদি পরবর্তীতে এমন উস্কানিমূলক কথা বলেন, তাহলে বড়জোড়ার মানুষ শুভেন্দুকে চাবকে পিঠের চামড়া তুলে দেবে।”

    আরও পড়ুন:রাতভর নদীতে আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালেই বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সভা করে বিজেপি। আর তার পর শনিবার সেই একই জায়গায় পালটা সভা করে তৃণমূল। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই সব মন্তব্যের পরেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায় ও তাঁকে নিন্দাও করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

    সোমনাথের সমালোচনা করে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা যোগ্য জবাব দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বরাবরই হিটলার রাজ চালাচ্ছে। তৃণমূল এ রাজ্যে আসায় রাজ্যের মানুষ ভেবেছিল সিপিএম-এর অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাতকে এ রাজ্যের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তৃণমূল আপাদমস্তক চুরি দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই সত্যটা বুঝতে পেরে এই সমস্ত কথা বলে তৃণমূল পাগলের প্রলাপ বকছে।” 

  • Nepal Plane Crash: কেন বারবার নেপালে ঘটে চলেছে বিমান দুর্ঘটনা? নেপথ্যে কারণ কী?

    Nepal Plane Crash: কেন বারবার নেপালে ঘটে চলেছে বিমান দুর্ঘটনা? নেপথ্যে কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আকাশপথে এই দূরত্ব ১৪৬ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট মতো। ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে রওনা হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ৭২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। 

    নেপালে কেন বারবার বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Plane Crash) ঘটনা ঘটছে

    নেপালে বিমান দুর্ঘটনা (Nepal Plane Crash) নতুন কিছু নয় বারবার সেখানে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান। ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট বলছে গত ৩০ বছরে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে সেদেশে অর্থাৎ প্রতিবছরে গড়ে একটি বিমান দুর্ঘটনা হয়েই থাকে নেপালে কিন্তু কেন বারবার এমন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের উচ্চতা ১,৩৩৮ মিটার। তারপর আবার অপ্রশস্থ উপত্যকার উপর গড়ে উঠেছে বিমানবন্দর।

    নেপালের র‍্যাডার প্রযুক্তির অবস্থাও খুব খারাপ। তাই বিমানচালকে নিজের দৃষ্টির উপরেই নির্ভর করতে হয়। আবার সে দেশে বাজেট কম থাকায়, কম বিমানচালক  নিয়োগ করা হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরে একের পর এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে। গত ৬ মাসে পোখরায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। 

    ভৌগলিক ও আবহাওয়া জনিত কারণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাদ দেওয়া যাচ্ছে না নজরদারির অভাব, পুরনো বিমানের ব্যবহার, ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এয়ারলাইন্সের মতো প্রসঙ্গও। নেপালের মতো পাহাড়ি এলাকায় বিমান চালানোর জন্য বিমানচালকেরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পান কি না বা এয়ারলাইন্সগুলি উপযুক্ত বিমানচালক নিয়োগ করেন কি না,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 

    গত কয়েক বছরে নেপালে কতগুলি বিমান দুর্ঘটনার (Nepal Plane Crash) নজির 

    ২০২২ সালের ২৯ শে মে তারা এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। নেপালে সবার ছিলেন ২২ জন যাত্রী সকলেরই মৃত্যু হয়েছিল।
     
    ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু ফিরছিল এয়ার ডায়নাস্টি সংস্থার একটি হেলিকপ্টার, পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে সেটি পড়ে। সাতজন যাত্রীরই মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেপালের পর্যটন মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী।

     ২০১৮ সালের ১২ই মার্চ নেপালে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামার সময় ভেঙে পড়ে বোম্বাদিয়ার কিউ ৪০০ বিমান। সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়।

    ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পোখরা থেকে জমসম যাচ্ছিল ছোট একটি বিমান। মাঝ আকাশে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে ২৩ জনেরই মৃত্যু হয়। 

    ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সীতা ইয়ার সংস্থার একটি বিমান। যাত্রী ছিল ১৯ জন, সবার মৃত্যু হয়।

    ২০১২ সালের জমসম যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি বিমান। ২১ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন। ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান। সবারই মৃত্যু হয়েছিল।

    ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তারা এয়ার সংস্থার আরও একটি বিমান ভেঙে পড়ে। মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়।

    ওই ২০১০ সালেই অগ্নি এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়।

    ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এর একটি বিমান কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়ে, ১৬৭ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়।

    নেপালের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে চিনের বাড়বাড়ন্ত

    এর উপরে রয়েছে চিন। সাম্প্রতিক অতীতে নেপালের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে সে দেশের নানা কাজে নানা ভাবে নাক গলাতে শুরু করেছে চিন সরকার। চিনা অর্থে তৈরি হচ্ছে সড়ক, বিমানবন্দর।

    পোখরার নবনির্মিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও চিনের ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের টাকাতেই তৈরি। তৈরি করেছে চিনা ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা CAMC Engineering Co. Ltd। যা,  চিনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক এবং বন্দর তৈরির প্রকল্প China’s Belt and Road Initiative (BRI)-এর অংশ। তার উপরে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই গত ১ জানুয়ারি তড়িঘড়ি সেই বিমানবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরে সেই বিমানবন্দরও সকলের প্রশ্নের মুখে।

    অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন পোখরার নতুন বিমানবন্দরেই গলদ রয়েছে। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ১ জানুয়ারি বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়। একটি চিনা সংস্থা বিমানবন্দরটি নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেছিলেন ১ জানুয়ারি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিপত্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: সংবাদমাধ্যমের ওপর কখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি সরকার, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: সংবাদমাধ্যমের ওপর কখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি সরকার, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন তাঁদের জানাতে চাই, আমাদের দলের সরকার কোনও সংবাদ সংস্থার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। বা কারো বাক স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করেনি।”, রবিবার আরএসএস -এর সাপ্তাহিক ‘পাঞ্চজন্য’- এর আয়োজিত একটি কনক্লেভে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এমনটাই জানালেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।

    কী বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? 

    তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের ১৯৫১ সালে ১৯ ধারার সংশোধনীর (Rajnath Singh) কথা উল্লেখ করে বলেন, “কংগ্রেস সরকার বাকস্বাধীনতা রোধ করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। দেশে আবারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।” 

    তিনি (Rajnath Singh) এদিন আরও বলেন, “মজার বিষয় হল, যে যারা আজ মিডিয়ার স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন তারা ভুলে গেছেন যে এটি অটলজির সরকার হোক বা মোদিজির সরকার, আমরা কখনই কোনও মিডিয়া হাউসের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি, বা কোনোভাবেই কারো বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আগের সরকারের ইতিহাস সব ধরনের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা দিয়ে পরিপূর্ণ। কংগ্রেস সরকার বাকস্বাধীনতা খর্ব করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে। কাঁচের ঘরে যারা বাস করে তাদের অন্যের দিকে পাথর ছোড়া উচিত নয়।” 

    রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, “সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং এর স্বাধীনতা একটি শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    অতীতে “পাঞ্চজন্য” এর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ- এর সঙ্গে যুক্ত সাপ্তাহিকের উপর বারবার ক্র্যাকডাউন কেবল জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘনও বটে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীর বেগে ছুটে যাচ্ছে আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাক। তার পিছু নিয়েছেন বাইক সওয়ারিরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ট্রাক কবজা করতে পারলেই চলছে লুঠতরাজ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এক বস্তা আটা-ময়দা পেতে নিত্যদিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে দৌড়চ্ছেন পাকিস্তানবাসীর একাংশ (Food Crisis)।

    অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা…

    সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি ন্যাশনাল ইক্যুয়ালিটি পার্টি জেকেজিবিএলের চেয়ারম্যান। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, এটা কোনও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নয়, বরং আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাকের পিছু ধাওয়া করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা। এই আশায় তাঁরা ধাওয়া করছেন, অন্তত এক বস্তা আটা-ময়দা তাঁরা কিনতে পারবেন। এর পরেই একটি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, এর পরেও কি পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে? সাজ্জাদ আরও লিখেছেন, এই ভিডিওটি পাকিস্তানে কী ঘটছে, তার একটা ঝলক মাত্র।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    বাজারে আটা-ময়দা অমিল। অথচ এই আটা-ময়দাই পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের ওপর রয়েছে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আটা-ময়দার মতো দাম বেড়েছে চাল-ডালেরও। এ সবেরই দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বাজারে সব কিছু নিয়মিত মিলছেও না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য গায়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছে। টান পড়ছে পাক নাগরিকদের পকেটেও।

    ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে খাদ্যসংকট প্রবল হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দর ছিল ৩৬.৭০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারির পাঁচ তারিখে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ডিজেলের দর বেড়ছে ৬১ শতাংশ। আর পেট্রোলের দর বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। সে দেশের বিভিন্ন বাজারে দশ কেজি গমের বস্তার দর হয়েছে ১৫০০ টাকা। বস্তা কুড়ি কেজি হলেই মূল্য চোকাতে হচ্ছে ২৮০০ টাকা। খাদ্য সংকটের জেরে বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটির (Pakistan) অর্থনীতির হাল যে হাঁড়ির হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশও। জানা গিয়েছে, দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার এক বছরে হয়েছে অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেটাই হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এবারে নেপালের পোখরায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আজ, রবিবার ৭২ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইনসের ATR-72 বিমান। পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়েতেই ভেঙে পড়ে এই বিমানটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash )।

    নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

    নেপালের সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, পোখরার পুরনো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নেপালের বাসিন্দারা ছিলেন, ১০ জন বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন বিমানে। পাহাড়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারকাজে। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। বিমানে ৫ জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।  

    ইতিমধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছে নেপাল সরকার। সোমবার ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।

    ইতিমধ্যেই সেই বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে আগুন জ্বলছে এবং আশেপাশে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটি নীচে ভেঙে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। ফলে বিমানের প্রত্যেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। আপাতত পোখরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

  • Khalistani terrorist: দিল্লিতে খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার দিল্লি পুলিশের

    Khalistani terrorist: দিল্লিতে খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে (Khalistani terrorist)। কিন্তু এর মাঝেও সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম লেগেই রয়েছে। তল্লাশি অভিযানের মাঝেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই খালিস্তানি জঙ্গি।

    আরও পড়ুন: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল   

    প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান (Khalistani terrorist)। সেই অভিযানেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই জঙ্গি জগজিৎ ওরফে জস্সা এবং নৌশাদ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতরা খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জেরা করেই ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের স্পেশ্যাল সেল শ্রদ্ধানন্দ কলোনীর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ধৃতরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকত। সেই ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করে। 

    কী জানা গিয়েছে?     

    দুই জঙ্গিকে কদিন আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Khalistani terrorist)। ধৃত জগজিৎ ওরফে জস্সা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। এই দুই জঙ্গির বাড়ি জাহাঙ্গিরপুরিতে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন তথা ইউএপিএ-র ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এবার প্রাণনাশের হুমকি নিতিন গড়কড়িকে, নেপথ্যে দাউদ ইব্রাহিম!

    গোপনসূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা কানাডানিবাসী খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হর্ষদীপ (Khalistani terrorist) ডালার নির্দেশমতো কাজ করত। কদিন আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হর্ষদীপকে সরকারিভাবে জঙ্গি ঘোষণা করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৭ সাল থেকে কানাডায় রয়েছে হর্ষদীপ।

    আরও পড়ুন: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও 

    পুলিশের অনুমান, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধৃতরা (Khalistani terrorist)। জগজিতের সঙ্গে নৌশাদের যোগাযোগ পুলিশের চিন্তা বাড়াচ্ছে। একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে আগে গ্রেফতার হওয়া নৌশাদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের সম্পর্ক বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jammer Guns: পাকড্রোন ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনার নয়া প্রযুক্তি জ্যামার বন্দুক

    Jammer Guns: পাকড্রোন ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনার নয়া প্রযুক্তি জ্যামার বন্দুক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে পাক সীমান্তে অনেকটাই বেড়েছে পাকড্রোনের যাতায়াত। এই ড্রোন হানাদারি রুখতে বফর্সের সাহায্য নিয়েছে ভারতীয় সেনা। অনেকাংশে সফলতাও এসেছে। গুলি করে নামানো হয়েছে বেশ কিছু পাক ড্রোন। কিন্তু এভাবে ড্রোন গুলি করে নামানোয় সমস্যা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রে। নিশানা ভুল হলে সেই ড্রোন চলে যায় হাতের বাইরে। তাই এক্ষেত্রে চাই উন্নত প্রযুক্তি (Jammer Guns)। 

    জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং পাঞ্জাব-রাজস্থানের সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলার বিষয়টি সম্প্রতি উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য সেনা এবং বিএসএফ-কে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনেই জ্যামার বন্দুকের (Jammer Guns) ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চান গুলি করে নামানোর পাশাপাশি ড্রোন হানাদারি রোখার বিকল্প পথ তৈরি হোক। আর এই জন্যেই প্রয়োজন জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns)। দেড় কিলোমিটার পাল্লার এই ‘জ্যামার বন্দুক’ আদৌ কোনও গুলি ছোড়ে না। এর থেকে বার হওয়া বিশেষ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দিয়ে সেগুলোকে অচল করে দেয়, ফলে মাটিতে আছড়ে পড়ে ড্রোনগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেনাবাহিনী এবং বিএসএফের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু ড্রোন দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব সীমান্তে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ফলও মিলেছে। 

    আরও পড়ুন: এবার প্রাণনাশের হুমকি নিতিন গড়কড়িকে, নেপথ্যে দাউদ ইব্রাহিম!

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুপক্ষের ড্রোন নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে শুক্রবার। উন্নততর সমাধান বের করতে সেনাকে গবেষণা করতে বলা হয়েছে। ভারতীয় সেনা এবং সীমান্তরক্ষা বাহিনীর হাতে ইতিমধ্যেই ভালো প্রযুক্তি (Jammer Guns) রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবে।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামার গান? 

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার হাতে যেসব জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns) আছে তার কার্যকারিতা ১.৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। জ্যামারের অদৃশ্য রশ্মি ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দেয়। ফলে প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সেগুলি মাটিতে পড়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share