Blog

  • CJI: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আবেদন, ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই

    CJI: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ আবেদন, ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে বসছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বিচার বিভাগীয় আদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ ও স্বার্থের সংঘাতের কারণে প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে ওই আবেদন করা হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে, এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কোনও মানেই হয় না। প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি পদে অবসর নেবেন বিচারপতি ইউইউ ললিত। তার পরের দিনই দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধেই আদালতে আবেদন করেছিলেন এক আইনজীবী। মামলা ওঠে বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে। সেখানেই খারিজ করে দেওয়া হয় মামলা।

    এদিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত বলে, আবেদনকারীর আবেদনপত্র দেখে আমরা মনেই করি না যে এই আবেদনপত্র গ্রহণ করতে হবে। আদালত বলে, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে করা হয়েছে।  প্রসঙ্গত, ১১ অক্টোবর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কেন্দ্রের কাছে চন্দ্রচূড়ের নাম সুপারিশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি (CJI) ইউইউ ললিত। মুরসালিন আসজিথ শেখ নামে এক আইনজীবী বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার আবেদন করেছিলেন রশিদ খান পাঠান নামে এক ব্যক্তিও। তাঁর অভিযোগ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যল মিডিয়ায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছিল আবেদন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি (CJI) পদে ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রচূড়ের নাম। আগামী দু বছরের জন্য ওই পদে বসতে চলেছেন তিনি। বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেশের দীর্ঘ সময় ধরে থাকা বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন ছিলেন তিনি। আর বিচারপতি চন্দ্রচূড় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন ২০১৬ সালের ১৩ মে। তিনি অবসর নেবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • EWS Flats: দুর্বিষহ জীবন থেকে টেনে তোলায় মোদিকে ধন্যবাদ, ফ্ল্যাট পেয়ে জানালেন দিল্লির বস্তিবাসী

    EWS Flats: দুর্বিষহ জীবন থেকে টেনে তোলায় মোদিকে ধন্যবাদ, ফ্ল্যাট পেয়ে জানালেন দিল্লির বস্তিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তাঁরা থাকতেন বস্তিতে। দিল্লির (Delhi) কালকাজিতে তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে আবাসন। বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য তৈরি হয়েছে ওই ফ্ল্যাট। বুধবার তাঁদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ৩ হাজার ২৪ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই চাবি। মাথার ওপর পাকা ছাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না উপকৃত বস্তিবাসীরা।

    দিল্লির বিজ্ঞানভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বস্তিবাসীদের হাতে ফ্ল্যাটের (EWS Flats) চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে আসা কয়েক জনের হাতে চাবি তুলে দিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তার পরেই মোদি বলেন, বিজ্ঞান ভবনে তো অনেক সম্মেলন হয়। মানুষ আসেন কোট-টাই পরে। কিন্তু আজ উপস্থিত পরিবারগুলির মধ্যে যে উৎসাহ ও উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা বিরল। হাজার হাজার গরিব ভাইবোনেদের কাছে আজ একটি বড়দিন।

    এদিন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য যে ফ্ল্যাট (EWS Flats) হয়েছে, তার চাবি পেয়েছেন ঊষা রায়ও। তিনি বলেন, আমি রোমাঞ্চিত। গত চল্লিশ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছি। শেষমেশ নিজের বাড়ি পেলাম। আমার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ উন্নত হল। দুর্বিষহ জীবন থেকে আমাদের টেনে তোলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

    আরও পড়ুন: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    ওই প্রকল্পে ফ্ল্যাট (EWS Flats) পেয়েছেন আশালতা হালদারও। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনিও। আশালতা বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে দিল্লিতে বাস করছি। আমাদের জীবন উন্নত করার একটা সুযোগ পেয়ে আমরা খুশি। এতদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনওমতে বেঁচেছিলাম। এতদিনে নতুন বাড়ি পেলাম। আমার মেয়ে খুব খুশি। এবার সে ভালভাবে পড়াশোনাটা করতে পারবে।

    ওই প্রকল্পে মাথার ওপর পাকা ছাদ পেয়েছেন ধরমবীরও। চল্লিশ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছেন। একটা ওয়ার্কশপে সুপারভাইজারের কাজ করেন। তিনি বলেন, মোদিজি গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ধরমবীর বলেন, এখন আর কোনও চিন্তা নেই। এমনকি খেতে না পেলেও, বুঝব মাথার ওপর ছাদটা তো অন্তত রয়েছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Scholarships: নভেম্বর মাসে ছাত্র ছাত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্কলারশিপ গুলির জন্য আবেদন করতে পারেন‌

    Scholarships: নভেম্বর মাসে ছাত্র ছাত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্কলারশিপ গুলির জন্য আবেদন করতে পারেন‌

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১) প্রগতি স্কলারশিপ: শুধুমাত্র ছাত্রীরাই এই স্কলারশিপের সুবিধা পাবে। All India Council for Technical Education (AICTE) অনুমোদিত যে কোন কলেজে ,ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হলেই এই স্কলারশিপের আবেদন করা যায়। পারিবারিক বাৎসরিক রোজগার ৮ লাখ টাকার বেশী হওয়া চলবে না। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে, পড়াশোনা চলাকালীন ছাত্রীদের প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। প্রতিবছর ৫০০০ জন এই স্কলারশিপ পায়। টেকনিক্যাল কোর্সে যারা ল্যাটারাল এন্ট্রি নেবে তারাও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য।

    আরও পড়ুন: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ২) সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম অফ স্কলারশিপ ফর কলেজ এন্ড ইউনিভার্সিটি: উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। যে কোনও প্রফেশনাল কোর্সে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীরা এই  স্কলারশিপের সুবিধা পেতে পারেন। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমতুল যে কোন পরীক্ষায় ৮০% নম্বর থাকতে হবে।  প্রতিবছর ৮২০০০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই স্কলারশিপ পান। ডিপ্লোমা বা ডিসটেন্স মোডে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপ এর সুবিধা পাবেন না। এই স্কলারশিপ এর সুবিধা পেতে পারিবারিক বাৎসরিক আয় অবশ্যই ৪.৫ লক্ষ টাকার নীচে থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতে এই চার ব্যাঙ্কে সুদের হার বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি, জানেন?

    ৩) পিজি ইন্দিরা গান্ধী স্কলারশিপ ফর সিঙ্গেল গার্ল চাইল্ড: ইউজিসি স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পাঠরতা ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ এর সুবিধা পেতে পারেন। স্কলারশিপে আবেদনের জন্য বয়স হতে হবে ৩০ বছরের নিচে। ডিসটেন্স মোডে যারা স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন, তাঁরা এই স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য নন। প্রতিবছর ৩০০০ জনকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বছরে ৩৬ হাজার ২০০ টাকা পাওয়া যায় এই স্কলারশিপের মাধ্যমে।

    প্রতিটি স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করবেন Scholarships.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করে, ৩০ শে নভেম্বর ২০২২ এর মধ্যে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pathaan teaser: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

    Pathaan teaser: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশ আজ মেতেছে বলিউডের বাদশার ৫৭তম জন্মদিনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে কিং খানের (Shahrukh Khan) নামে একের পর এক হ্যাশট্যাগ। আর এই বিশেষ দিনেই শাহরুখ খানের ভক্তদের খুশি আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল যশ রাজ ফিল্মস (Yash Raj Films)। মুক্তি পেল বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান’ – এর টিজার (Pathaan Teaser)। জমজমাট অ্যাকশনে ভরা এই টিজারে বরাবরের মতোই ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন শাহরুখ। 

    ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের এই টিজার পুরোটাই টান টান। চোখ ফেরাতে পারবেন না। টিজারের শুরুতেই শাহরুখের চোখের ঝলক। এরপর শাহরুখের আর জন আব্রাহামের জমজমাট অ্যাকশন। কখনো সমুদ্রে, কখনো পাহাড়, আবার কখনও বিমানে। মাঝে বেশ কয়েকটি দৃশ্যে নজর কাড়েন দীপিকাও।

    টিজারের শুরুতেই এক কণ্ঠস্বর ভেসে এসেছে, “পাঠানের ব্যাপারে কী জানতে পেরেছ?” অপর কণ্ঠস্বরে শোনা গিয়েছে, “প্রায় তিন বছর ধরে ওঁর কোনও খোঁজ নেই।” শাহরুখের উপর নির্যাতন হচ্ছে, আবছা দৃশ্যে তা ভেসে উঠেছে। শাহরুখকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি এখনও বেঁচে আছেন। এরপরই পর্দায় অ্য়াকশন দৃশ্য শুরু হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ইভিএম থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক সরানোর আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    এইট প্যাক অ্যাব, লম্বা চুল। শাহরুখের নতুন লুকে মাত ভক্তকুল। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই অ্যাকশন থ্রিলারের টিজার দেখেই প্রত্যাশা তুঙ্গে সিনেমা অনুরাগীদের। এই সিনেমাতে শাহরুখের বিপরীতে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনকে। গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সে দেখা মিলবে সালমান খানেরও। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি। হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি।  

     


    সামনের বছর ভক্তদের একের পর এক সিনেমা উপহার দিতে চলেছেন শাহরুখ। সম্প্রতি ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং শেষ হয়েছে। ‘জওয়ান’-এর শ্যুটিং বেশ কিছুটা সেরে আপতত রাজু হিরানির ‘ডানকি’ নিয়ে ব্যস্ত বাদশা খান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার নিয়ে সাংহাই কোঅপারেশনের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে (SCO Meet) চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির সামনে জয়শঙ্কর বলেন, “প্রতিটি দেশের কর্তব্য অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা।” জয়শঙ্কর তাঁর বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য আদতে চিনকেই খোঁচা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    তিনি আরও বলেন, “সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন রিজিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টেটের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটা দেখা দরকার।”

    আরও পড়ুন: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    বেশ কয়েক বছর সীমান্তে চিনের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত। চিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে সেনা শিবির তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। অরুণাচলের সীমান্তবর্তী গ্রাম দখলে রাখারও অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকবার। কয়েকবার সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে  মুখোমুখি সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে চিন। তাই অনেকেই মনে করছেন জয়শঙ্করের এই মন্তব্য তির্যকভাবে চিনকে (China) উদ্দেশ্য করেই করা।   

    এসসিও কাউন্সিলের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন চাইনিজ প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং।  

    উল্লেখ্য চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে এর আগেই আপত্তি তুলেছিল ভারত। কারণ ওই করিডোর মূলত পাক অধিগৃহীত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। যে দেশগুলি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (BRI) স্বাক্ষর করেনি ভারত তাদের মধ্যে অন্য়তম। 

    তবে তিনি এও বলেন, “এসসিও রিজিয়নে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজাকে খুলে দেবে।” মূলত ইরানের চাবাহার পোর্ট এবং ইন্টারন্য়াশানাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি জানান, এসসিও সদস্যদের মধ্যে মোট বাণিজ্যিক লেনদেন ১৪,১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আরও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GST Collection: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    GST Collection: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে লাভের মুখ দেখল ভারতীয় অর্থনীতি। বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection in October) পরিমাণ। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় এ বছরের অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয়ের পরিমাণ বাড়ল ১৬.৬ শতাংশ। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ আদায় হয়েছে ১,৫১,৭১৮ কোটি টাকা। যা দেশে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়। সবথেকে বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছিল গত এপ্রিলে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জিএসটি বাবদ আদায় ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকার সীমা ছাড়াল বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

    অক্টোবরে আদায়কৃত জিএসটি-র মধ্যে সিজিএসটির পরিমাণ হল ২৬,০৩৯ কোটি, এসজিএসটির পরিমাণ ৩৩,৩৯৬ কোটি, আইজিএসটি ৮১,৭৭৮ কোটি (পণ্য আমদানিবাবদ ৩৭,২৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব ধরে) এবং সেসের পরিমাণ ১০,৫০৫ কোটি টাকা (পণ্য আমদানিবাবদ রাজস্ব আদায় ৮২৫ কোটি টাকা ধরে)। 

    অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএসটি যুক্ত পণ্যের জন‌্য যে ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়, সেপ্টেম্বরে সেই সংখ‌্যাও ছিল অনেকটাই বেশি। সেপ্টেম্বরে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ই-ওয়ে বিল দাখিল হয়েছে । অগাস্টে সেই সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৭০ লক্ষ। এই নিয়ে টানা ৯ মাস মাসিক জিএসটি আদায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার উপরে থাকল।

    আরও পড়ুন: খনি দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী, ইডি দফতরে তলব হেমন্ত সোরেনকে

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বেশ কিছুতে পণ্যের ওপর কর ছাড়ের সুবিধা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। মাছ, মাংস, দই, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ির মতো প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে কেন্দ্র ৫% জিএসটি বসানো হয়েছে। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাঙ্কগুলি যে ফি নেয়, তাতেও ১৮% কর বসানো হয়েছে। তাতে যে ভারতীয় কোষাগারের লাভের পালে হাওয়া লেগেছে তা অক্টোবরের জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।

    অক্টোবরে দেশে ব্যাপক পরিমাণে ব্যবসা বাণিজ্য হয়েছে। এপ্রিলের পরে অক্টোবরেই দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা এতটা বেশি হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে মাসিক ভিত্তিতে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। আরও বিস্তারিতভাবে অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, শুধু মুম্বাই জোনেই সিজিএসটির ১৮ শতাংশ ও শুল্ক সংগ্রহের ২৫ শতাংশ অবাদন থাকে।

    অক্টোবরে যে জিএসটির পরিমাণ বাড়বে, তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। অক্টোবর থেকেই উৎসবের মরশুম শুরু হয়। যার জেরে আমদানি-রফতানি অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ অক্টোবরে ব্যাপক পরিমাণে জিএসটি সংগ্রহ হয়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    Christian missionaries: ধাপে ধাপে মগজধোলাই সঙ্গে অর্থের টোপ! কীভাবে চলছে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই চারশো জনের বেশি হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় ৯ খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries)। উত্তর প্রদেশের মেরঠ জেলার মঙ্গতপুরমের মালিন গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের সাহায্যের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। পরে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁদের। অভিযুক্ত ৯ খ্রিস্টান তাঁদের ঘরে রাখা দেবদেবীর মূর্তি নষ্ট করে ফেলতে বলেন। পুজোআচ্চা বন্ধ করে চার্চে যাওয়ার পরামর্শও দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে দেশজুড়ে। কীভাবে হয় ধর্মান্তকরণ (mass conversion)? সে সম্পর্কে জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মেরঠ জোনের সাধারণ সম্পাদক রাজকমল গুপ্তা।

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গুপ্তা বলেন, খ্রিস্টান মিশনারিজ (Christian missionaries) ও মুসলিমরা বিভিন্নভাবে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ করছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষদেরই তাঁরা মূলত টার্গেট করেন। যে অঞ্চলের সিংহভাগ বাসিন্দা পিছিয়ে পড়া, সুযোগ সুবিধা পাননি, অজ্ঞ, তাঁদের প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। কখনও খাবার, কখনওবা পোশাক, কখনও আবার ওষুধ এবং অর্থ দেওয়ার অছিলায় তাঁরা ভাব জমান ওই মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে মিসনারিজরা (Christian missionaries) পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের শিক্ষা এবং বিয়ের ব্যবস্থাও করেন। শিকারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলেই কেল্লাফতে। তাঁরা শিকারকে বোঝান, সব ভগবানই আসলে এক। এর পরেই তাঁরা ঝুলি থেকে বই, পুস্তিকা বের করেন। করেন যিশুর মহিমা কীর্তন। যিশুর অলৌকিক গল্পকথা ছড়ান। পরামর্শ দেন চার্চে যাওয়ার।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    গুপ্তা বলেন, সরল বিশ্বাসী হিন্দুরা তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দেন। এরপর মিশনারিজরা (Christian missionaries) শুরু করেন মগজ ধোলাইয়ের কাজ। এক জায়গায় অনেককে খিস্ট-পথে নিয়ে আসতে পারলে হিন্দুর জমিতে গড়ে তোলেন চার্চ। তার পরেই হয় ধর্মান্তকরণ। গুপ্তা বলেন, একইভাবে হিন্দুদের দীক্ষিত করা হয় ইসলাম (Islam) ধর্মেও। যেমন কিছুদিন আগে ঘটেছিল মোরদাবাদে। তিনি বলেন, সেখানকার এক গ্রামে একটি পরিবারই মুসলিম ছিল। বাকিরা হিন্দু (Hindu)। তাঁদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একদিকে পারদ পতন অন্যদিকে ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণ। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লির বাতাসের অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাতাসের গুণগত মান ৫০০-কেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হয়েছে ৫৫১। আর রাজধানীর এই অবস্থার ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে নির্মাণ কাজ ও ভাঙার কাজ (Construction And Demolition Activities) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে।

    দিল্লিতে বাতাসের মান ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। প্রায় কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের মান ৪০০-৫০০ রেঞ্জ বা ‘গুরুতর’ বিভাগে ছিল। জানুয়ারি থেকে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ হওয়ায় দিল্লির কিছু এলাকায় সূচক সাড়ে পাঁচশো-এর গন্ডিও ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, নভেম্বর মাস থেকে বাতাসের পরিবর্তন এবং অন্যান্য আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে শহরের বাতাসের মান আরও খারাপ হবে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ১ নভেম্বর থেকে বাতাসের গতি কমবে এবং এর দিক পরিবর্তন হবে। এর ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে।”

    দিল্লিতে যেসব জায়গায় বাতাসের পরিমাণ ভয়াবহ সেসব স্থানগুলোকে হটস্পট ধরা হয়েছে। সেসব জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে নরেলা, আনন্দ বিহার, মুন্ডকা, দ্বারকা, পাঞ্জাবি বাগ, আরকে পুরম, রোহিনী, বাওয়ানা, ওখলা, জাহাঙ্গীরপুরি, উজিরপুর এবং মায়াপুরী। আর এসব জায়গায় গত রবিবার কমপক্ষে ২২টি দমকল টেন্ডার পাঠানো হয়েছে কারণ দিল্লি ফায়ার সার্ভিস এই হটস্পটগুলোতে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও এদিন গোপাল রাই জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও সেগুলো নিরীক্ষণের জন্য ৫৮৬টি দল গঠন করা হয়েছে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন হাসপাতাল, রেলওয়ে, বিমানবন্দর এবং এই জাতীয় অন্যান্য পাবলিক কার্যক্রমে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধুলো কমাতে শহরজুড়ে জল ছেটানোর জন্য ৫২১টি মেশিন ও ২৩৩টি অ্যান্টি-স্মোগ গান-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, বাতাসের গুণগত মান ০ থেকে ৫০-য়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করলে সেটি ভালো। ৫১ থেকে ১০০-য়ের মধ্যে থাকলে, সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা মধ্যম। আর ২০১ থেকে ৩০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খুব খারাপ। আর ৪০১ থেকে ৫০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা ভয়াবহ। ফলে দিল্লির পরিস্থিতি আক্ষরিক অর্থেই ভয়াবহ।

  • JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি (J J Irani)। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নেন তিনি। কী ভাবে পৌঁছলেন এই সাফল্যের শীর্ষে? পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনের কিছু বিশেষ অংশ জেনে নিন।  

    ১৯৩৬ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ জামশেদ জে ইরানি। সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে নাগপুরের সায়েন্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন ডঃ ইরানি। ১৯৫৮ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে এমএসসি করেন। এরপর জে এন টাটা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন।    

    ১৯৬৩ মেটালারজিতে পিএইচডি করেন জে জে ইরানি। সে বছরই কর্মজীবনে পা রাখেন। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু করেন কর্মজীবন। ছ বছর পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। 

    ১৯৬৮ থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে পথচলা শুরু। ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে। এখন যা টাটা স্টিল নামে পরিচিত।  তারপর ধীরে ধীরে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হওয়া শুরু হয় ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি হয়ে ওঠেন ‘ভারতের স্টিল ম্যান’। 

    আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত   

    এরপর শুধুই সাফল্যের সিঁড়ি চড়া। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডঃ ইরানিকে। পৌঁছে যান সফলতার শীর্ষে। ১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদে চলে যান। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।  

    ১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ সম্মান পান।   

    সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘স্টিল ম্যান’। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করেন এক সময়ের সতির্থ রাজীব সোনিও। নেটমাধ্যমে রাজীব লেখেন, “আমরা এক কিংবদন্তিকে হারালাম। একটি যুগের অবসান ঘটল।”
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?   

    Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাটে (Gujarat)। সেখানে বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তার আগেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Elections) ৩৫টির মধ্যে ১৭টি আসনে জয় পেল পদ্ম শিবির। তবে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি, বিজয়পুরা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই মিউনিসিপ্যালিটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশজুড়ে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। তার সুফলও ঘরে তুলছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করছে গেরুয়া পার্টি। কেবল কর্নাটকের বিজয়পুর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন নয়, ওই রাজ্যেরই কোল্লেগাল সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনেও সাতটি আসনের মধ্যে ছটিতে বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। রাজ্যে দলের এই ফলে যারপরনাই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই অপ্রত্যাশিত ফলের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিজয়পুরার বিধায়ক বিজেপির বাসনাগৌড়া পাটিল ইয়াটনাল এবং দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিজয়পুরা উত্তরে কংগ্রেস (Congress) জয়ী হয়েছে মাত্র ১০টি আসনে। এআইএমআইএম জিতেছে দুটি আসন। আর জনতা দল সেকুলার জিতেছে মাত্রই একটি আসনে। পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিজয়পুরা ও কোল্লেগালের ভোট হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ফল প্রকাশ হয় ৩১ তারিখ, সোমবার।

    প্রসঙ্গত, বিজয়পুরায় ভোট হল ছ বছর পরে। সিটি মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এই প্রথম হল নির্বাচন। বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিকে, কোল্লেগালে যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেন কিছু দিন আগেই। তার জেরেই হয়েছে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনের পর ৩১ আসনের কোল্লেগালের রাজনৈতিক ছবিটা দাঁড়াল এইরকম। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩, কংগ্রেসের ১১ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির ২। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share