Blog

  • Surendran K Pattel: পড়াশোনা চালাতে বিড়ি বাঁধতেন, তিনিই এখন আমেরিকার বিচারক!

    Surendran K Pattel: পড়াশোনা চালাতে বিড়ি বাঁধতেন, তিনিই এখন আমেরিকার বিচারক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ কী কী না করে! এমনই এক অসাধ্য সাধন করে মানুষের তাক লাগিয়ে দিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমেরিকার ডিস্ট্রিক কোর্টের বিচারক হলেন তিনি। ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্রন কে প্যাটেল। তবে জানেন কি তাঁর এই লড়াই একেবারেই সহজ ছিল না। এই ব্যক্তিকেই একসময় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিড়ি বেঁধে উপার্জন করতে হত, দিনমজুরিরও কাজ করতে হত। তবে এত সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে যায়নি। জীবনযুদ্ধে সমস্ত কষ্ট সহ্য করেই শেষপর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন তিনি।

    সুরেন্দ্রন প্যাটেলের জীবনযুদ্ধ…

    সুরেন্দ্রন কেরলের কাসারগড়ের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। দশম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। তার পর বিড়ি বাঁধা এবং দিনমজুরির কাজও করেছেন। সেই সব করে পয়সা জমিয়ে ফের পড়াশোনা শুরু করেছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারপতির আসনে বসলেন সুরেন্দ্রন কে প্যাটেল। তিনি আমেরিকার আদালতের বিচারক হিসাবে নজির গড়লেন। এই প্রথম কোনও মালায়ালম ব্যক্তি আমেরিকার কোনও আদালতের বিচারক নির্বাচিত হলেন।

    তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খরচ মেটানোর সাধ্য ছিল না আমার পরিবারের। বাধ্য হয়ে বিড়ি বাঁধতাম। এক বছর এই কাজ করার পরে আমার জীবন দর্শনই পালটে যায়।”  তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর গ্রামের বন্ধুরা তাঁর আইনের ডিগ্রি সহ তাঁর শিক্ষার জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিল। পড়ালেখার সময় তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে গৃহস্থলির কাজও করেছিলেন।

    আমেরিকার ডিস্ট্রিক বিচারক…

    আমেরিকার ডিস্ট্রিক বিচারক ঠিক হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। টেক্সাসের জেলা আদালতের বিচারক হতে ৫১ জনকে পিছনে ফেলেছেন সুরেন্দ্রন এবং আমেরিকার প্রথম মালায়ালি বিচারক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যখন আমি টেক্সাসে এই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম, তখন আমার উচ্চারণ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল এবং আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হয়েছিল। আমি যখন ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, আমার নিজের দল মনে করেনি যে আমি এই পদের যোগ্য। কিন্তু আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। সকলের জন্য একটাই কথা বলার আছে। কাউকে আপনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেবেন না। এটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র আপনারই উচিত।”

  • West Bengal Weather: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    West Bengal Weather: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুর থেকেই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, হাঁড়কাপুনি ঠান্ডা। শুক্রবারই কলকাতায় চলতি মরশুমের শীতলতম দিন ছিল। পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙেছিল সেদিন। সেদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজ খানিকটা উর্ধ্বগামী হল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।

    কলকাতার আবহাওয়া

    চলতি শীতের মরশুমে পরপর দু’দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড পতন হয়েছে। শনিবার থেকে অবশ্য মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা সামান্য বেড়ে দাঁড়াল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দু’তিনদিন ঠান্ডার এই আমেজ বজায় থাকবে কলকাতায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে তা ৩ ডিগ্রি কম। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় অব্যাহত পারদপতন। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ৩ দিন তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। কলকাতায় পারদও ১২ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকবে।

    শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

    রাজ্যের ৫ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে আগামী কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও কয়েকদিন থাকবে এই কনকনে ঠাণ্ডার দাপট। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবহাওয়াতে কোনওরকম পরিবর্তন নেই। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার দাপট থাকবে। এমনকি তাপমাত্রা ০.৫ বা ১ ডিগ্রি উপর-নীচ হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস। পাশাপাশি কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: কলকাতা ১০.৯ ডিগ্রি! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গ থেকেও উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট বেশি। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৩ জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটা কমবে বলেও সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কমে যাবে বলে জানা গিয়েছে। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রির আশেপাশে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জও রয়েছে সাতেই। ফলে পারদপতনের নিরিখে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ঘেরা এলাকাগুলিকেও জোর টক্কর দিচ্ছে সমতল এলাকাগুলিও।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কুয়াশা তেমন থাকবে না। আগামী দুদিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও,পরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির আগে কয়েক দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে।

  • Sania Mirza: অবসর নিচ্ছেন সানিয়া মির্জা, ঘোষণা করলেন টেনিসসুন্দরী নিজেই

    Sania Mirza: অবসর নিচ্ছেন সানিয়া মির্জা, ঘোষণা করলেন টেনিসসুন্দরী নিজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসর নিচ্ছেন টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। জানালেন নিজেই। শেষবার খেলবেন দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে। আগামী মাসেই হচ্ছে দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। চোটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ক্রিড়া মহল। পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনার মধ্যেই এল এই বড় খবর।  

    আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টেই শেষবারের জন্যে টেনিস হাতে কোর্টে নামবেন সানিয়া।

    আরও পড়ুন: শিক্ষিকাকে গুলি করল ৬ বছরের ছাত্র, ভার্জিনিয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব 

    ৩৬ বছর বয়সী সানিয়া মির্জা (Sania Mirza) ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বর। গত বছর সানিয়া নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ২০২২ সালের শেষে অবসর নেবেন। কিন্তু চোটের কারণে ইউএস ওপেন খেলতে পারেননি তিনি। চলতি বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলবেন সানিয়া মির্জা। এরপর ইউএই- তে শেষ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে বিদায় জানাবেন টেনিসকে।

    কী জানিয়েছেন সানিয়া?

    সংবাদমাধ্যমকে টেনিস সুন্দরী (Sania Mirza) বলেন, “গত বছর ডাব্লিউটিএ ফাইনালের পরই আমি অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু ডান কনুইয়ের চোটের কারণে ইউএস ওপেন ও বাকি টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করতে হয়। আমি এমন একজন ব্যক্তি যে নিজের শর্তে বেঁচে থাকি। এই কারণেই আমি ইনজুরির কারণে বাইরে থাকতে চাই না, এখনও অনুশীলন করছি। তাই আমি দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের পর অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।”  

    নিজের টেনিস কেরিয়ারে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন সানিয়া (Sania Mirza)। অর্জুন পুরস্কার (২০০৪), পদ্মশ্রী পুরস্কার (২০০৬), রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার (২০১৫) এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার (২০১৬) অর্জন করেছেন। এখনও পর্যন্ত ৬টি বড় চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন। 

    এছাড়াও তিনি ডাবলসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০১৬), উইম্বলডন (২০১৫) এবং ইউএস ওপেন (২০১৫) -এর শিরোপা জিতেছেন। এছাড়াও, মিক্সড ডাবলসে তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০০৯), ফ্রেঞ্চ ওপেন (২০১২) এবং ইউএস ওপেন (২০১৪) শিরোপা জিতেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rishabh Pant: মুম্বইয়ে সফল অস্ত্রোপচার ঋষভের! কেমন আছেন ক্রিকেটার?

    Rishabh Pant: মুম্বইয়ে সফল অস্ত্রোপচার ঋষভের! কেমন আছেন ক্রিকেটার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ত্রোপচার হল ভারতীয় দলের ক্রিকেটার ঋষভ পন্থের। গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই তাঁকে উত্তরাখণ্ডের ম্যাক্স হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ঋষভের লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার করেছেন ডাক্তার দীনেশ পারদিওয়াল ও তাঁর দল। সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়নি। কারণ, ঋষভের চিকিৎসাকর সব দায়িত্ব নিয়েছে বিসিসিআই। তাই মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলে বোর্ডের পক্ষ থেকেই সব কিছু জানানো হবে। সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচার সফল ও সুস্থ আছেন ঋষভ।

    এখন সুস্থ ঋষভ

    দিল্লি থেকে দেরাদুনে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। কার্যত তিনি মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। তবে লিগামেন্টে গুরুতর চোট পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানটি। দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও অস্ত্রোপচার করতে পারেননি। কারণ, চোটগ্রস্ত অংশ ফুলে ছিল। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঋষভকে তড়িঘড়ি বোর্ডের পক্ষ থেকে মুম্বইয়ে আনা হয়। ডাক্তার দীনেশ পারদিওয়াল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। অতীতে তিনি অনেকেরই সফল অস্ত্রোপচার করেছেন। তাই তাঁর উপরই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঋষভের চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    কবে মাঠে নামবেন পন্থ

    অস্ত্রোপচার হলেও ঋষভের পুরোপুরি সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগবে তা নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত। কারও মতে, চার মাসের আগে ক্রিকেটারটির মাঠে ফেরার সম্ভব নয়। অনেকে আবার বলছেন, এই ধরনের দুর্ঘটনা, চোটের গভীরতা ও অস্ত্রোপচারের বহর দেখে মনে হচ্ছে, ছ’মাসও লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ ঋষভ পন্থ কবে জাতীয় দলের জার্সি পরে আবার মাঠে নামবেন তা বলা সত্যিই কঠিন। তাই ঘরের মাঠে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তাঁর খেলার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। এমনকী আইপিএলেও হয়তো তাঁর সার্ভিস পাবে না দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত খেলতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের মাটি ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঋষভের রেকর্ড ভালো। সব ঠিক চললে, তিনি হয়তো এই ম্যাচে খেলতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

  • Manik Bhattacharya: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    Manik Bhattacharya: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জামিন মঞ্জুর হল না ‘কিং পিন’ মানিক ভট্টাচার্যের। শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত। এদিকে এদিনই এই মামলায় এল নয়া মোড়। আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করলেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, আদালতের সমন পেয়ে এদিন ব্য়াঙ্কশাল কোর্টে হাজির হন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। এছাড়াও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তাপস মণ্ডল।  

    শনিবার তাঁরা আদালতে জামিনের আর্জি জানান। মানিকের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও পুত্রের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। 

    মানিক-জায়া (Manik Bhattacharya) শতরূপার এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। সেই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকা। এর আগে ইডি আদালতকে জানিয়েছিল, যে  মৃত ব্যক্তির সঙ্গে শতরূপার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁর নাম মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। ২০১৬ সালেই মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। আজও তাঁর নাম ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সরানো হয়নি। ইডির অনুমানের এই অ্যাকাউন্টের সঞ্চয় পুরোটাই দুর্নীতি থেকে আসা টাকা থেকে। 

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিকের ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ইডির হাতে এসেছে একাধিক প্রমাণ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে মানিকই এই দুর্নীতির ‘কিং পিন’। মানিকের পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের গতবিধিও আপাতত ইডি স্ক্যানারে। রাজ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে সৌভিকের বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত

    মানিকের (Manik Bhattacharya) প্রচুর বেআইনি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। তদন্ত যত এগিয়েছে, তত এই দুর্নীতিতে সৌভিকের যুক্ত থাকার প্রমাণও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সৌভিকের নামেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। রাজ্যের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের থেকে মানিক-পুত্রের সংস্থা এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    LeK: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছাড়ুন। না হলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করব। সম্প্রতি এই মর্মে বিজেপি এবং আরএসএস (RSS) নেতাদের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-খালসা (LEK)। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কয়কজনকে এই হুমকি দিয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রামপুরের সাংসদ বিজেপির ঘনশ্যাম লোধি ওই খুনের হুমকি পেয়েছেন। তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছে লস্কর-ই-খালসার খালিস্থানি সন্দীপ সিং। নতুন বছরের পাঁচ তারিখে তাঁকে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    বিজেপির ওই সাংসদ…

    বিজেপির ওই সাংসদ জানান, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করে বলা হয়েছে, বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে খুন করা হবে। শুধু তাঁকেই নয়, এই মেসেজের মাধ্যমেই বিজেপি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এবং সেনাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি মেসেজ পাওয়ার পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির ওই সাংসদ। অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়েছে পুলিশ। চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বার্তা-প্রেরককে। যে মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর ফোনে মেসেজ এসেছে, তাও পুলিশকে জানিয়েছেন রামপুরের সাংসদ। নম্বরটি হল, +৯১ ৭৬০৯৮৭৫৩০৬। তিনি এও জানান, খালিস্থানি ওই জঙ্গিটি তাঁকে পাঁচবার মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি পাঁচবার কলও করেছিল।

    আরও পড়ুুন: কুলগামে শিক্ষিকা খুনে অভিযুক্ত আরবাজ মীর! ‘বিশেষ সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    ওই একই জঙ্গি গোষ্ঠীর (LEK) কাছ থেকে হুমকি-বার্তা পেয়েছেন তাজিন্দর সিং তিওয়ানা। তিনি মুম্বইয়ে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা। তিনিও মেসেজ পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপে। যে তাজিন্দরের ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছে, সে নিজেকে খালিস্তানি সন্দীপ সিং বলে পরিচয় দিয়েছে। সে যে লস্কর-ই-খালসার মুখপাত্র, তাও জানিয়েছে। মেসেজে সন্দীপ লিখেছে, তাজিন্দর বিজেপি না ছাড়লে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করার শপথ নিয়েছে সন্দীপ। ওই জঙ্গি তাঁকে হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ এবং খালিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। সে আরও জানিয়েছে, তারা গোটা দেশের বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করেছে।

    একই মেসেজ পেয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপি সমর্থক বীর সিং সাইনিও। বুধবার তাঁকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেও বলা হয়েছে, শীঘ্রই বিজেপি ছাড়ুন। নাহলে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন করা হবে। আমরা বিজেপি, আরএসএস এবং ভারতীয় সেনাকেও টার্গেট করেছি। এই মেসেজর নীচেও লেখা, খালিস্তান (LEK) জিন্দাবাদ। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে ওই মেসেজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন ঘটনা বাংলায়! কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবি তুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল আইনজীবীদের একাংশকে। আইনজীবীদের মধ্যে এই সংঘাত শেষপর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছল। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষ বন্ধ থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা জোর করে এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন কিছু আইনজীবী। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি। তৃণমূলের মহিলা আইনজীবীদের একাংশ এজলাসের গেট বন্ধ করে দেন। তুমুল হট্টগোলে বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান। এই বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি শুরু হলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে কাজ। এর পর ২ ঘণ্টা পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও শুরু হয় বিচারের কাজ।

    হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার! 

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস ঘিরে বয়কটের দাবি তোলে কিছু আইনজীবী। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেই পরিস্থিতিতে নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও। বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। এরপর বিচারপতি মান্থা ফিরে আসলে কাজ শুরু হয়। হাইকোর্টের এই দৃশ্য ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন, আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

    বিচারপতির বাড়ির পাশেও বেনামি অভিযোগ-পোস্টার

    আবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের বাইরের দেওয়ালেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ছবি দিয়ে ইংরাজিতে লেখা – লজ্জা, বিচারব্যবস্থার নামে কলঙ্ক! কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন – কোথায় আসল বিচার মিলবে? তাঁর বাড়ির আশেপাশেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। যোধপুর পার্ক এলাকায় বিচারপতির বাড়ি। পোস্টারে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। তদন্তে নেমেছে লেক থানার পুলিশ।

    প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব কী বললেন?

    এরপর ১৩ নম্বর কোর্ট বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এসব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “এটা উচিত নয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুন। বারের সভাপতি ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি।” এরপর প্রধান বিচারপতি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (AG) ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। আদালতের ১৩-এর বাইরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চাইলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাঠানোও হল তাঁর কাছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তিনি। এই বিক্ষোভ এবং হাতাহাতির ঘটনার পর নিজের এজলাসে শুনানি বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিনি। বৈঠকে রয়েছেন হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিরাও। 

  • Covid-19: করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ভয়ঙ্কর, এক্সবিবি.১.৫ নাকি বিএফ.৭?

    Covid-19: করোনার কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ভয়ঙ্কর, এক্সবিবি.১.৫ নাকি বিএফ.৭?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চিনে। পিছিয়ে নেই আমেরিকাও। সেখানেও করোনার অন্য এক ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। সেটি হল এক্সবিবি.১.৫। চিনে যখন ওমিক্রনের বিএফ.৭ সাব ভ্যারিয়েন্ট ত্রাসের রূপ নিয়েছে, তখন আমেরিকায় এই সংক্রমণ ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রন এক্সবিবি.১.৫। আমেরিকার এই এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ উদ্বিগ্ন। তবে সবথেকে আতঙ্কের বিষয় হল, এই দুই ভ্যারিয়েন্টে ভারতের কিছু মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সবারই প্রশ্ন, কোন ভ্যারিয়েন্ট বেশি ক্ষতিকারক?

    বিএফ.৭ না এক্সবিবি.১.৫, কোনটি বেশি ভয়ঙ্কর?

    আমেরিকা এক্সবিবি.১.৫-এর জন্য বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। এটি বিএ.২.৭৫ এবং বিএ.২.১০.১-এর  মিলিত প্রজাতি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ভ্যারিয়েন্টের ফলে আমেরিকার প্রায় ৪০.৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য বলছে, এক্সবিবি.১.৫ এর গতি বিকিউ.১ এর থেকে ১২০ শতাংশ বেশি। এক্সবিবি.১.৫ আগের এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে ৯৫ শতাংশ দ্রুত বলেও জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোভিড ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি.১.৫ এমন একটি ভ্যারিয়েন্ট যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই ভেঙে দিতে পারে। আর সংক্রমণ ছড়িয়ে ফেলার দ্রুত ক্ষমতা ধরে রাখে।

    আরও পড়ুন: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    অন্যদিকে ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএ.৫ ও বিএ.৫.২.১৭ এর পরিবর্তিত রূপ হল ওমিক্রন বিএফ.৭। যেটির ফলে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিনের নাগরিকরা। এটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

    তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিএফ.৭ এর থেকেও বেশি সংক্রামক এক্সবিবি.১.৫ ভাইরাস। ৫৬ শতাংশ বেশি রোগ ছড়াতে পারে। বিএফ.৭ এর চেয়ে এর সংক্রমণের হার প্রায় ১২০ শতাংশ বেশি। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের শরীরে এর সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবডিগুলোকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমিয়ে দেয়। হু-এর তরফে বলা হয়েছে, এটি আজ পর্যন্ত ওমিক্রনের সবথেকে সংক্রামক ভাইরাস।

    দুই ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ কী কী?

    করোনার এই দুই ভ্যারিয়েন্টেই যে যে উপসর্গ দেখা যায় সেগুলো হল- গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ, হাঁচি, কফ ছাড়া কাশি, মাথাব্যথা, কফ সহ কাশি, কর্কশ কণ্ঠস্বর, পেশী ব্যথা এবং ব্যথা ইত্যাদি।

     

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Brazil Protest: উত্তাল ব্রাজিল! হামলা চালানো হল রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে

    Brazil Protest: উত্তাল ব্রাজিল! হামলা চালানো হল রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে রবিবার বিক্ষোভ-অশান্তিতে উত্তাল হল ব্রাজিল (Brazil)। সেখানকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর (Jair Bolsonaro) সমর্থকরা হামলা চালাল সে দেশের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্য়ালেস ও সুপ্রিম কোর্টের উপরে।  চরম ডানপন্থী সমর্থকরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একের পর এক জায়গায় হামলা চালায়।  বিরোধী দলের এই হামলার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘ফ্য়াসিস্ট’ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।

    আমেরিকার ছায়া

    ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকদের এই হামলা ফিরিয়ে দিয়েছে দু’বছর আগের আমেরিকার স্মৃতি। আমেরিকার ক্যাপিটলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এ ভাবেই হামলা চালিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা। আমেরিকায় যেমন ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিলেন, তেমনই রবিবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকরাও সবুজ-হলুদ পতাকা গায়ে জড়িয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান। একে একে কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ভাঙচুর চালান। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা রবিবারই বন্যা বিধ্বস্ত আরারাকোয়ারা শহরে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাকালীনই ব্রাসিলিয়ায় হামলার খবর পান। সেখান থেকেই তিনি ডিক্রি জারি করেন। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বজায় থাকে, তার জন্য সরকারকে বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    হামলার নিন্দা 

    গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থী বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভাবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং কংগ্রেসে হামলার নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।  হামলার নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, “এই ফ্যাসিস্ট সমর্থকরা এমন কিছু করল, যা এ দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।” ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে হামলার নানা ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছে, চরম ডানপন্থী সমর্থকরা কংগ্রেস বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছেন সমর্থকরা, সামরিক অভ্যত্থানের দাবিতে ব্যানারও লাগানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share