Blog

  • RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না আরএসএস (RSS)। এ কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু (Minority-Majority) এই বিভাজনে বিশ্বাস করে না সংঘ। এই দেশের নাগরিকরা সবাই সমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা যে এক সেকথা সরসংঘচালকজি (মোহন ভাগবত) বহু বার বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আমাদের ডিএনএ এক, ইতিহাসও এক। সুনীল বলেন, সেই কারণে আমরা প্রত্যেককেই নিজের বলে মনে করি। তাই আমরা প্রত্যেকের জন্য এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে প্রস্তুত।

    সন্ত্রাসবাদ যে দেশের পক্ষে বড় বিপদ, এদিন তাও জানিয়ে দেন সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আমাদের দেশকে এদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এই শক্তিকে পরাস্ত করতে আমাদের পুলিশ ও সশস্ত্র নেতা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা সন্ত্রাসবাদ এবং আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার। আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা এদের সঙ্গে লড়ছে।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, সংঘ সমতা ও ঐক্যের জন্য কাজ করে। এজন্য আমরা অবিরাম কাজ করে চলেছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষই স্বয়ংসেবক হচ্ছেন। আর এই স্বয়ংসেবকরা পৌঁছে যাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। তিনি বলেন, সর্ব প্রথম তাঁদের সমান সুযোগ দিতে হবে। এটা করতে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রত্যেকে যাতে পরস্পরকে চেনেন, জানেন, সেজন্যও আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় সামাজিক সদ্ভাব বৈঠকের আয়োজন করে চলেছি। আমাদের স্বয়ংসেবকরা সমাজের সঙ্গে কাজ করছে। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যাতে কেউ নিজেকে অসহায় মনে না করেন অথবা কারও কোনও অভাব না থাকে। তিনি বলেন, স্বয়ংসেবকরা বহুমুখী কাজ করছেন যাতে করে সাম্যের পরিবেশ গড়ে ওঠে, সবাই সমান সুযোগ পান।  

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    ২০২৫ সালে শতবর্ষপূ্র্তি পালন করবে সংঘ (RSS)। সে প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, সবার কল্যাণার্থে সংঘ যেসব কাজ করছে, তার সুফল যাতে সবাই ভোগ করতে পারেন, সেজন্য দেশের সর্বত্র আমাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। ২০২৪ সালের মধ্যে তা করাই আমাদের লক্ষ্য। তার আগে পর্যন্ত আমাদের স্বয়ংসেবকরা দ্রুত সেই সব জায়গায় পৌঁছে যাবেন, যেখানে আমাদের উপস্থিতি নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ তম সেন্ট্রাল টেট পরীক্ষার দরখাস্ত নেওয়া শুরু হবে ৩১ শে  অক্টোবর ২০২২ থেকে। চলবে ২৪ শে নভেম্বর অবধি। এই পরীক্ষার দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় ও তিব্বতী স্কুল গুলিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর স্তর অবধি শিক্ষক- শিক্ষিকা হওয়া যাবে। কয়েক শো’ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে এই পরীক্ষার দ্বারা।

    যোগ্যতা

    নিম্নলিখিত গুলির মধ্যে যে কোনো একটি যোগ্যতা থাকলেই এই পরীক্ষায় বসা যাবে।

    প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে

    ১) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর পেয়ে যেকোন শাখার উচ্চমাধ্যমিক পাশরা  ২ বছরের ডি এল এড   কোর্স পাশ হলে।

    ২) মোট ৫০ শতাংশ নম্বর সহ ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ( স্পেশাল এডুকেশন) এর ২ বছরের কোর্স পাশ হলে অথবা পাঠরত থাকলে।

    ৩) যে কোন শাখার গ্রাজুয়েটরা বিএড কোর্স পাশ হলে বা পাঠরত থাকলে।

     ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ক্ষেত্রে 

    ১) ডিগ্রি কোর্স পাশরা ,এলিমেন্টারি এডুকেশন এর উপর ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ বা এ বছরের ফাইনাল পরীক্ষার্থী হলে।
    ২) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর সহ ডিগ্রি কোর্স পাশরা ১ বছরের বিএড কোর্স পাশ হলে।

    ৩) মোট অন্তত ৫০% নম্বর সহ  উচ্চমাধ্যমিক পাশরা চারবছরের বিএ/বিএসসি (এড)/ করে থাকলে।

    এবছরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীরাও এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবে। যদি ঐ একই শতাংশ নম্বর পাওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত থাকেন।

    পরীক্ষা হবে কলকাতা, দুর্গাপুর, আগরতলা ,গ্যাংটক, সম্বলপুর, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, ধানবাদ, বোকারো, শিলচর, গুয়াহাটি ,পাটনা এবং গয়া তে। প্রশ্ন হবে বাংলা ,ইংরেজি, হিন্দি ,অসমীয়া সহ দেশের কুড়িটি আঞ্চলিক ভাষায়। যেকোনো দুটি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আড়াই ঘন্টার এই পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পেপারে আবার আড়াই ঘন্টার পরীক্ষা হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। নেগেটিভ মার্কিং নেই। এমসিকিউ প্রশ্ন আসবে। পরীক্ষা হবে দেড়শো নম্বরের। বিস্তারিত তথ্য পেতে ক্লিক করুন এই ওয়েবসাইটে www.ctet.nic.in

  • Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    Saradha Scam: ৯ নভেম্বর নিলামে সারদা-র সম্পত্তি, আপনার টাকা আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে সারদাকাণ্ড (Saradha scam)। চিটফান্ড সংস্থা সারদার বেআইনিভাবে তোলা অর্থ উদ্ধার করতে সম্পত্তি নিলাম করা হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল, তবে এই নিলামের দিন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর আগে জানা গিয়েছিল, ১ নভেম্বর সারদার সম্পত্তির নিলাম করা হবে। কিন্তু পরে বাজার নিয়ামক সংস্থা সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া-র (সেবি) তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সম্পত্তির ই-নিলাম করা হবে।

    এই নিয়ে দুবার নিলামের দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার উৎসবের মরশুম এবং আগের নির্ধারিত নিলামের দিনে ব্যাংক ছুটির কারণে অগ্রিম (আর্নেস্ট মানি ডিপোজিট) জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে বিডারদের স্বার্থ বিবেচনা করে, দিন  বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ই-নিলামের (Saradha scam) শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর, সেবি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, নিলামের ডাকে অংশ নিতে অগ্রিম জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ নভেম্বর।

    সারদা মামলায় (Saradha scam) এখনও বহু আমানতকারী টাকা ফেরত পায়নি। সেই সমস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট সারদা মামলা পাঠায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির কাছে। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্ত করেছে সিবিআই, ইডি এবং রাজ্যের একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এই সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার হাতে সারদার টাকা এবং সম্পত্তি আছে। সেই সমস্ত অর্থ এবং সম্পত্তি তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আবেদনকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, বিচারপতি আইপি মুখার্জি এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে এই সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবির মাধ্যমে বিক্রি করবে তালুকদার কমিটি। এরপর সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরাতে পদক্ষেপ নেবে কমিটি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানির (Saradha scam) ৬৯টি সম্পত্তি নিলাম করা হবে। সবমিলিয়ে এগুলির সর্বনিম্ন দাম ৩০ কোটি টাকা। এই সম্পত্তিগুলি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে ছড়িয়ে আছে। বেআইনি প্রকল্পের মাধ্যমে সারদা জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা উদ্ধার করতেই সেবি-র এই উদ্যোগ। এছাড়াও সেবি C1 ইন্ডিয়াকে ই-নিলাম প্রদানকারী হিসাবে নিয়োগ করেছে ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ই-নিলাম Quikr Realty-র মাধ্যমে পরিচালিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার বিডারদের তাদের বিড জমা দেওয়ার আগে নিলামে রাখা সম্পত্তির দায়বদ্ধতা, মামলা, সংযুক্তি, অধিগ্রহণের দায় সম্পর্কে তাদের নিজস্ব তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।  

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এই চিটফান্ড  সংস্থা (Saradha scam)। সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানি, ২৩৯ টিরও বেশি বেসরকারী সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সারদা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই সংস্থা। ঘটনায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও জড়ায়। তদন্তভার হাতে নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

     

  • SSC Job Alert: জিডি কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্টাফ সিলেকশন কমিশনের, শূন্যপদ ২৪,৩৬৯

    SSC Job Alert: জিডি কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্টাফ সিলেকশন কমিশনের, শূন্যপদ ২৪,৩৬৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (SSC Job Alert) জারি করেছে স্টাফ সিলেকশন কমিশন (Staff Selection Commission)। প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগে মোট ২৪,৩৬৯ টি শূন্যপদে জিডি কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২৭ অক্টোবর। চলবে ৩০ নভেম্বর অবধি। জিডি কনস্টবল পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (BSF), কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF), এসএসএফ (SSF), আসাম রাইফেলে রাইফেলধারী সৈনিক এবং নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর সেপাই পদে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। ২০২৩- এর জানুয়ারি মাসে নেওয়া হবে অনলাইন পরীক্ষা। 

    এই বিষয়ে জেনে নিন কিছু তথ্য।

    শূন্যপদের সংখ্যা: মোট ২৪,৩৬৯ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।  

    নিয়োগ প্রক্রিয়া: এই পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের তিনটি স্তরের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথমে অনলাইনে একটি কম্পিউটার-নির্ভর পরীক্ষা দিতে হয়। ওই পরীক্ষায় পাশ করলে পরীক্ষার্থীদের শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হবে। তারপর হবে পরীক্ষার্থীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা।

    আরও পড়ুন: ২০২১ সালে ভারতে যক্ষ্মা আক্রান্ত ২১.৪ লক্ষ, জানাল হু 

    যোগ্যতা: এই পদে আবেদন করতে হলে পরীক্ষার্থীদের কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাশ হতে হবে। পরীক্ষার্থীদের ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।  

    বয়সসীমা: পরীক্ষার্থীদের এই পদে আবেদন জানানোর জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ২৩ বছর হতে হবে। এ ছাড়া, এসসি/এসটি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ বছর ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ বছর, প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ক্ষেত্রে ৩ বছর, ১৯৮৪-র দাঙ্গা বা ২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গায় মৃত অসংরক্ষিত ক্যাটেগরির ব্যক্তিদের আত্মীয় ও সন্তানদের ক্ষেত্রে ৫ বছর, ১৯৮৪-র দাঙ্গা বা ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গায় মৃত ওবিসি ক্যাটেগরির ব্যক্তিদের আত্মীয় ও সন্তানদের ক্ষেত্রে ৮ বছর, ১৯৮৪-র দাঙ্গা বা ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গায় মৃত এসসি/ এসটি ক্যাটেগরির ব্যক্তিদের আত্মীয় ও সন্তানদের ক্ষেত্রে ১০ বছরের বয়সের ছাড় দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    Amit-Mamata Meet: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল নবান্নে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত রাজ্যে আসছেন না অমিত শাহ। রাজ্যে মূলত পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু অন্যান্য কর্মসূচি থাকায় বাতিল করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় রিজিওনাল কাউন্সিলের বৈঠক। কবে হবে সেই বৈঠক, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। আর সেই কারণেই এখন দেখা হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ৫ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠকে।      

    আগামী ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অমিত শাহে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান। তাই এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু ওই সময় অন্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন। সেই কারণে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। পরবর্তীকালে কবে বৈঠক হবে তা অবশ্য তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করবেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: টেক অফের আগে আগুনের ঝলক, ইন্ডিগো বিমানে বিপত্তিতে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএর         

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের সম্পর্কের তিক্ততার কথা কারও অজানা নয়। পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠকের পাশাপাশি মমতা- অমিত শাহের একটি আলাদা বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনাও হয় বিস্তর। সূত্রের খবর, নবান্নেই সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অমিত শাহর রাজ্য সফর আপাতত বাতিল হওয়ায়, বাতিল হয়েছে বৈঠকও। 

    পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের সদস্য রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম। পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কলকাতায়। ২০২০ সালে  এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওড়িশায়। সেই বৈঠকে অমিত শাহের মুখোমুখী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২০১৯ সালে এই বৈঠক হয়েছিল এই রাজ্যের নবান্নে। সেই বৈঠকে তখন উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    মূলত পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল৷ অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৈঠকে অংশ নিতে কলকাতায় আসার কথা ছিল বিহার, ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদেরও৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • lpg distribution: গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি থেকে রেলওয়ে টাইম টেবিল! জেনে নিন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে বদলে যাওয়া নিয়মগুলি

    lpg distribution: গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি থেকে রেলওয়ে টাইম টেবিল! জেনে নিন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে বদলে যাওয়া নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশের ১০০টি স্মার্ট শহরে নতুন নিয়মে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী দিনে দেশজুড়ে নয়া ব্যবস্থা চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত সমস্যা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাসের ডিলারদের কাছে যে ঠিকানা এবং ফোন নম্বর নথিভুক্ত আছে গ্রাহকদের তা একবার যাচাই করে দেওয়া প্রয়োজন। মোবাইল নম্বর আপডেট না করা থাকলে বা অসম্পূর্ণ বাড়ির ঠিকানার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন তাঁরা। এই ব্যবস্থা আপাতত শুধুমাত্র গার্হস্থ্য রান্নার গ‍্যাসের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বাড়িতে পৌঁছে দিতে নয়া ব্যবস্থা চালু করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম-সহ বিভিন্ন তেল কোম্পানি। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে DAC বা ডেলিভারি অথেনটিকেশন কোড। এই ব্যবস্থায় গ্রাহকের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি কোড পাঠানো হচ্ছে। ডেলিভারি পার্সন গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে ডেলিভারির জন্য এলে গ্রাহককে তেল কোম্পানির পাঠানো সেই অথেনটিকেশন কোর্ড (OTP) তাঁকে জানাতে হবে। তেল কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, এই দু’টি কোড মিললেই তবে গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি করা হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে শি জিনপিংয়ের জিরো-কোভিড টলারেন্স নীতি…   

    ভারতীয় রেলের নতুন টাইম টেবিল
    ১ নভেম্বর থেকে ভারতীয় রেলের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, কয়েক হাজার ট্রেনের টাইম টেবিল পরিবর্তন হবে। তাই আপনি যদি ১ নভেম্বর বা তার পরে ট্রেনে যাত্রা করবেন বলে ভাবেন,তাহলে অবশ্যই যাত্রার সময় পরীক্ষা করে নিন। ১ নভেম্বর থেকে প্রায় ১৩ হাজার প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ৭ হাজার মালগাড়ি এবং ৩০টি রাজধানী এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে।

     স্বাস্থ্য ও সাধারণ ইন্সিওরেন্স ক্লেইমের জন্য KYC বাধ্যতামূলক
    ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI) ১ নভেম্বর থেকে বিমাকারীদের KYC করা বাধ্যতামূলক করতে পারে। এখনও পর্যন্ত, একটি নন-লাইফ ইন্সিওরেন্স পলিসি কেনার সময় KYC-র বিশদ বিবরণ দিতে হয়, যা আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। KYC সম্পর্কিত নিয়মগুলি নতুন ও পুরনো উভয় গ্রাহকদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এর আওতায় ইন্সিওরেন্স ক্লেইম করার সময় আপনি KYC নথি না দিলে আপনার ক্লেইম বাতিল হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়িয়ে পড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস পরিচালনার জন্য মানিকের ছেলে শৌভিকের সংস্থা এডুক্লাসেস অনলাইনকে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সব জানতেন। মানিককে তিনি তা জানিয়েওছিলেন। তার পরেও দুর্নীতি রুখতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ ইডির।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এডুক্লাসেসের মাধ্যমে পড়ুয়াপিছু নেওয়া হয় ৫০০ করে টাকা। ওই টাকা দিলেই মিলত অনলাইনে ক্লাসের ছাড়পত্র। পলাশিপাড়ার বিধায়কের এসব কাজকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন পার্থ। তার পরেও চোখ বুজে ছিলেন। এদিন, আদালতে নথি জমা দিয়ে ইডির আধিকারিকরা বলেন, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এডুক্লাসেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে অনলাইন ক্লাসের জন্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সব জেনেশুনেও মানিককে নিরস্ত করেননি পার্থ। অনলাইন ক্লাসের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মানিকও দিব্যিই ছিলেন।

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    ইডির আরও দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের একাধিক সদস্যের সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে জনৈক মৃত্যঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর। এ থেকে এটাও স্পষ্ট, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রয়াণের পরেও তাঁর কেওয়াইসি আপডেট এবং প্যানকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চার্জশিট দিয়ে পার্থ ও মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    Akash Pradip: “আকাশ প্রদীপ জ্বলে…”, জানেন কার্তিক মাসে কেন জ্বালানো হয় এই প্রদীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে গাওয়া, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’ এর। পুরাণ মতে , দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক (Kartik) মাসে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত, প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপ ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    অন্য একটি কিংবদন্তি মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশ্যে গমন করেন কালী পূজার অমাবস্যায়। এই প্রদীপ (akash Pradip) জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘আকাশ প্রদীপ’ (akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরন গুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌।পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশপ্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো- “আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।”আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ। ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ-প্রদীপও (akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম- এই পঞ্চভূতে তৈরি।

    ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ”আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে বিচারকের সামনে এভাবেই আর্তি জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। কিন্তু তাতেও গলল না বিচারকের মন। জামিন পেলেন না পার্থ। সিবিআই মামলায় ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলে থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া সকলকেই! জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রবীর সিং – এর। 

    প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পার্থকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। সোমবার, আলিপুর জাজেস কোর্টে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। নিজেই জামিনের আবেদন জানান। এদিন আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানানোর পরেও পার্থ নিজেও বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান। পার্থের আইনজীবী এদিন বলেন, “পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। একজন নেতা হিসেবে ওঁর কাজে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। পালিয়ে যাবেন না। দরকার পড়লে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে? 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বিচারককে বলেন, “আমার শরীর দিচ্ছে না, সব কেস একসঙ্গে আনা হচ্ছে। কিছুই পাওয়া গেল না, তাও এরকমভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে।ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে, আমাকে বাঁচতে দিন।” 

    এদিকে এদিন পরিবারের লোকজনকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথা সুবীরেশ। তিনি সব জানতেন। সিবিআই দাবি করেছে, পদ যাওয়ার পরেও এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী সুবীরেশ। তাই তাঁকে জামিন দিলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এদিন জামিন পাননি সুবিরেশও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই, ম্যালেরিয়া দোসর! রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হার বাড়ছে দিনের পর দিন। এরই মধ্যে আলোড়ন পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় (Malaria Outbreak) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৮ জন। মাস দুয়েক আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৭০০। জানা গিয়েছে, যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই হচ্ছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়।

    রাজ্যে মশাবাহিত রোগের হাল হকিকৎ কী এবং প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো বাধ্যতামূলক। সেই মতো তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak) কথা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং এই ছটি জেলা ডেঙ্গিপ্রবণ।

    ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria Outbreak)। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৪ জন। আর কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮১২। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য পাঠাচ্ছে না রাজ্য। শনিবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বছর পঁচিশের ওই বধূর। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। সরকার নেই। সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১ দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share