Blog

  • Ramakrishna 273: “রঙের গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত”

    Ramakrishna 273: “রঙের গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত রাধিকা গোস্বামী

    “তা ছাড়া ভেকের আদর করতে হয়। ভেক দেখলে সত্য বস্তুর উদ্দীপন হয়। চৈতন্যদেব গাধাকে ভেক পরিয়ে সাষ্টাঙ্গ হয়েছিলেন।

    “শঙ্খচিলকে দেখলে (Kathamrita) প্রণাম করে কেন? কংস মারতে যাওয়াতে ভগবতী শঙ্খচিল হয়ে উড়ে গিয়েছিলেন। তা এখনও শঙ্খচিল দেখলে সকলে প্রণাম করে।”

    পূর্বকথা—চানকে কোয়ার সিং কর্তৃক ঠাকুরের পূজা—ঠাকুরের রাজভক্তি Loyality

    “চানকের পল্টনের ভিতর ইংরাজকে আসতে দেখে সেপাইরা সেলাম করলে। কোয়ার সিং আমাকে বুঝিয়ে দিলে, ‘ইংরাজের রাজ্য তাই ইংরাজকে সেলাম করতে হয়’।”

    গোস্বামীর কছে সাম্প্রদায়িকতার নিন্দা—শাক্ত ও বৈষ্ণব 

    “শাক্তের তন্ত্র মত বৈষ্ণবের পুরাণ মত। বৈষ্ণব যা সাধন করে তা প্রকাশে দোষ নাই। তান্ত্রিকের সব গোপন। তাই তান্ত্রিককে সব বোঝা যায় না।

    (গোস্বামীর প্রতি)—“আপনারা বেশ—কত জপ করেন, কত হরিনাম করেন (Kathamrita) ।”

    গোস্বামী (বিনীতভাবে)—আজ্ঞা, আমরা আর কি করছি! আমি কত অধম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দীনতা; আচ্ছা ও তো আছে। আর এক আছে, ‘আমি হরিনাম কচ্ছি, আমার আবার পাপ! যে রাতদিন ‘আমি পাপী’ ‘আমি পাপী’ ‘আমি অধম’ ‘আমি অধম’ করে, সে তাই হয়ে যায়। কি অবিশ্বাস! তাঁর নাম এত করেছে আবার বলে, ‘পাপ, পাপ!’

    গোস্বামী (Ramakrishna) এই কথা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন।

    পূর্বকথা—বৃন্দাবনে বৈষ্ণবের ভেক গ্রহণ ১৮৬৮ খ্রী: 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমিও বৃন্দাবনে ভেক নিয়েছিলাম;—পনর দিন রেখেছিলাম। (ভক্তদের প্রতি) সব ভাবই কিছুদিন করতাম, তবে শান্তি হতো।

    (সহাস্যে) “আমি সবরকম করেছি—সব পথই মানি। শাক্তদেরও মানি, বৈষ্ণবদেরও মানি, আবার বেদান্তবাদীদেরও মানি। এখানে তাই সব মতের লোক আসে। আর সকলেই মনে করে, ইনি আমাদেরই মতের লোক। আজকালকার ব্রহ্মজ্ঞানীদেরও মানি।

    “একজনের (Ramakrishna) একটি রঙের গামলা ছিল। গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত।

    “কিন্তু একজন চালাক লোক বলেছিল, ‘তুমি যে-রঙে রঙেছো, আমায় সেই রঙটি দিতে হবে।’ (ঠাকুর ও সকলের হাস্য)

    “কেন একঘেয়ে হব? ‘অমুক মতের লোক তাহলে আসবে না।’ এ ভয় আমার নাই। কেউ আসুক আর না আসুক তাতে আমার বয়ে গেছে;—লোক কিসে হাতে থাকবে, এমন কিছু আমার মনে নাই। অধর সেন বড় কর্মের জন্য মাকে বলতে বলেছিল—তা ওর সে কর্ম হল না। ও তাতে যদি কিছু মনে করে, আমার (Ramakrishna) বয়ে গেছে!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Masan Holi: বারাণসীতে পালিত হয় মশান হোলি, এই উৎসব সম্পর্কে জানেন?

    Masan Holi: বারাণসীতে পালিত হয় মশান হোলি, এই উৎসব সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাও হোলি। তবে রংয়ের উৎসব নয়। এদিন ভক্তদের সঙ্গে হোলি খেলেন দেবাদিদেব মহাদেব। হোলি খেলা হয় শ্মশানে, ভূতপ্রেত এবং তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনের সঙ্গে (Masan Holi)। উত্তরপ্রদেশের এই হোলি মশান হোলি নামে পরিচিত। এ বছর এই মশান হোলি পালিত হবে ১১ মার্চ। এতে অংশ নেন নাগা সন্ন্যাসীরাও (Naga Sadhus)। আরাধ্য দেবতার সঙ্গে তাঁরা ভস্ম নিয়ে খেলেন হোলি।

    হোলি খেলা হবে মণিকর্ণিকা ঘাটে (Masan Holi)

    তামাম ভারতের মধ্যে কেবল বারাণসীতেই পালিত হয় এই উৎসব। ভস্মের পাশাপাশি এদিন রং খেলাও হয়। তবে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে ফি বছর যে হোলি খেলা হয়, সেখানে সাধু ও অঘোরীরা শিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাই দিয়েই হোলি খেলেন। এবার অনেক বেশি নাগা সন্ন্যাসীর ভিড় হবে বারাণসীতে। কারণ প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ। সেখানে স্নান সেরে নাগা সন্ন্যাসীরা আসবেন মহাদেবের সঙ্গে এই হোলি খেলায় অংশ নিতে।

    মশান হোলি

    নাগা সন্ন্যাসী রঘুনন্দন (Masan Holi) গিরি বলেন, “আমরা মশান হোলি পর্যন্ত বারাণসীতেই থাকব। তারপর রওনা দেব কেদারনাথের উদ্দেশে।” তিনি বলেন, “মশান হোলি বাবা বিশ্বনাথের একটি মহা আশীর্বাদ। আমরা এই প্রথা বজায় রাখব।” তিনি জানান, এটা কেবল বারাণসীতেই হয়, নাসিক, উজ্জ্বয়িনী কিংবা হরিদ্বারে হয় না।

    প্রতিবারের মতো এবারও মশান হোলির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্তের আশ্রম থেকে সূচনা হবে এই উৎসবের। ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি। এদিন হবে শিব-পার্বতীর বিয়ে। ৮ মার্চ হবে শগুন। পরের দিনই পালিত হবে গৌনা। ১০ মার্চ বিশাল পালকি যাত্রা রওনা দেবে বিশ্বনাথ মন্দিরের উদ্দেশে। এদিন পালিত হবে রংভরি একাদশী। তার পরের দিনই মণিকর্ণিকা ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে মশান হোলি (Masan Holi)। এদিন শিবের রৌপ্য নির্মিত মূর্তিতে তেল-হলুদও মাখানো হয়।

    বালক গিরি নেপালি। তিনিও নাগা সন্ন্যাসী। মশান হোলিতে যোগ দেবেন তিনিও। বলেন, “আমি কুম্ভস্নান সেরে বেনারস থেকে প্রয়াগরাজে এসেছি। এবারও আমি শিবরাত্রি এবং হোলি খেলব বিশ্বনাথের সঙ্গে। প্রতি বছরই আমরা (Naga Sadhus) ভোলেনাথের সঙ্গে হোলি খেলি (Masan Holi)।”

  • Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Places of Worship Act: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাসনাস্থল আইন মামলায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলল শীর্ষ আদালত। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২৪ সালে প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠিত হয় মামলার শুনানির জন্য। বেঞ্চের অপর দু’জন হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। সোমবার প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি কুমারের বেঞ্চ জানায়, এই মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এদিন দুই বিচারপতির বেঞ্চ রয়েছে। তাই এই মামলার শুনানি মার্চ মাসে হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান এই বিষয়ে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলায় নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “আমরা আজ উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলাটি শুনছি না। এটি তিন বিচারপতির বেঞ্চের মামলা। প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এটি মার্চ মাসে কোনও সময়ে শুনানির জন্য রাখা হোক। মামলায় নতুন আবেদনের তো একটা সীমা থাকে!” উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলায় পক্ষে এবং বিপক্ষে— উভয় দিকেই প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। এই অবস্থায় কোনও আবেদনে নতুন কোনও বক্তব্য না-থাকলে, সেটি আর গ্রহণ করা হবে না।

    কী বলছে আইন

    ইতিমধ্যে জমা পড়া কোনও আবেদনে আদালত থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস জারি করা না-হয়ে থাকলে সেগুলিও বাতিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। যদি ওই আবেদনকারীদের নতুন কোনও বক্তব্য থাকে, তবে পুনরায় আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে স্থানীয় উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১-এর কিছু ধারা, যেমন ধারা ২, ৩ এবং ৪-এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আবেদন নিয়ে কাজ করছে। এই ধারাগুলি দাবি করা হয়েছে যে এটি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আইনশৃঙ্খলার মৌলিক নীতির পরিপন্থী, যা ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং মৌলিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ফলে, মৌলিক অধিকার, যেমন সমতার অধিকার এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • ICC Champions Trophy: করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে নেই ভারতের পতাকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিতর্কে পিসিবি

    ICC Champions Trophy: করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে নেই ভারতের পতাকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিতর্কে পিসিবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) শুরুর আগে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। পাকিস্তানের লাহোর ও করাচির স্টেডিয়ামে উড়ল না ভারতের জাতীয় পতাকা (Flag Controversy)। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়ামে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ। লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডি। যে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার নিয়ম হল, যে যে মাঠে খেলা হবে, সেখানে অংশগ্রহণকারী সব দেশের পতাকা থাকবে। পাশাপাশি আইসিসির পতাকাও থাকবে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত খেললেও লাহোর ও করাচিতে নেই তেরঙ্গা।

    আইসিসি-র নিয়ম

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আটটি দেশ খেলে। সুতরাং, পাকিস্তানের তিনটি মাঠেই আটটি দেশের পতাকা থাকার কথা। ২০২৩ সালে ভারতে যখন এক দিনের বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখনও তা দেখা গিয়েছিল। ইডেন-সহ ভারতের প্রতিটি মাঠে সব দেশের জাতীয় পতাকা ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর দু’দিন আগে লাহোর ও করাচি স্টেডিয়ামের বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দু’টি স্টেডিয়ামে ভারত ছাড়া বাকি সব দেশের পতাকা রয়েছে। ভিডিওগুলি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইচ্ছা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ভারতীয় সমর্থকদের। পাল্টা পাক সমর্থকদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সম্মানহানি করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

    কেন নেই ভারতের পতাকা

    করাচি, লাহোর স্টেডিয়ামে কেন নেই ভারতের পতাকা? এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের দাবি ভারত যেহেতু পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে রাজি হয়নি, তাই তারই বদলা নিচ্ছে পিসিবি। কেন ভারতীয় জাতীয় পতাকা নেই, সেই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসি কিছু জানায়নি। তবে দু’টি সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) আয়োজক দেশ হলেও ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। পাকিস্তানে পা রাখবে না তারা। বাকি সাতটি দেশ পাকিস্তানে খেলবে। সেই কারণেই হয়তো ভারত ছাড়া সাতটি দেশের পতাকা লাগানো হয়েছে সেখানকার স্টেডিয়ামে। ভারতকে পাকিস্তানে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে ভারত সে দেশে যেতে চায়নি। তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। ভারতীয় বোর্ডের এই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • F-35 Fighter Jet: ভারতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছেন ট্রাম্প! শুনেই রাতের ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের, শঙ্কিত চিনও

    F-35 Fighter Jet: ভারতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছেন ট্রাম্প! শুনেই রাতের ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের, শঙ্কিত চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’-সহ (F-35 Fighter Jet) অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ভারতের কাছে এলে উপমহাদেশের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতে পরিকল্পিত ভাবে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে পাকিস্তান গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এই ধরনের পদক্ষেপ এই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্যহীনতা বাড়াবে এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।’’ অন্যদিকে, ভারতকে ট্রাম্পের পেশ করা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে চিনও।

    ভারতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

    বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের পরে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ ওঠার পাশাপাশি ভারতকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (F-35 Fighter Jet) দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যাতে জঙ্গি কার্যকলাপ না চলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে পাকিস্তানকে। অর্থাৎ সন্ত্রাস দমনে দায়িত্ব নিতে হবে পাকিস্তানকেই। ভারত এবং আমেরিকার যৌথ বিবৃতিতে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তান নিয়ে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিকে আগে ‘এক তরফা’ এবং ‘বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই’ বলেছিল পাকিস্তান। এবার ভারতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়েও মুখ খেলে শাহবাজ শরিফের সরকার।

    উদ্বিগ্ন পাকিস্তান

    পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এই নিয়ে বলেন, “ভারতকে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম দেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। এই ধরনের পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য এবং কৌশলগত স্থিতিশীল অবস্থা নষ্ট করবে।” এফ-৩৫ নিয়ে এখনই চাপে পড়তে শুরু করেছে পাকিস্তান। যদিও এফ-৩৫ না রাশিয়ার এসইউ-৫৭ যুদ্ধবিমান— ভারত কোনটা কিনবে, তা এখনও ঠিক হয়নি, কিন্তু এর ফলে ভারত যে পাকিস্তানের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে তা পাকিস্তানের উদ্বিগ্ন হওয়াতেই স্পষ্ট।

    ট্রাম্পের প্রস্তাব

    হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান (F-35 Fighter Jet) বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে আমেরিকায় তৈরি যুদ্ধযান (ইনফ্র্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকল্‌) ‘স্ট্রাইকার’, ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘জ্যাভেলিন’, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হার্পুন-সহ নানা আধুনিক সমরাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারতকে দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। চলতি মাসেই বেঙ্গালুরুর ইয়ালাহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ‘এরো ইন্ডিয়া ২০২৫’-এ যুদ্ধকৌশল প্রদর্শন করতে আমেরিকা দু’টি এফ-৩৫ পাঠিয়েছিল। তার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এর পর ট্রাম্প নিজেই প্রস্তাব দিয়েছেন মোদিকে।

    কেন ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান

    পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হাতে আমেরিকায় তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। আমেরিকার বায়ুসেনার সেরা বিমান এফ-৩৫ তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন। শাহবাজ শরিফ সরকারের উদ্বেগের সেটাই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমানের (F-35 Fighter Jet) এক একটির দাম আট কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৬৯৩ কোটিরও বেশি)। এফ-৩৫বি- যুদ্ধবিমানের একটির দাম সাড়ে ১১ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৯৭ কোটি) এবং এফ-৩৫সি ভ্যারিয়ান্টের একটির দাম ১১ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৯৫৩ কোটির বেশি)।

    গেম চেঞ্জার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এফ-৩৫ এই ফাইটার জেটই (F-35 Fighter Jet) আগামীতে ভারতের জন্য হতে পারে গেমচেঞ্জার। বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলির অন্যতম এফ-৩৫ ‘স্টেল্‌থ’ প্রযুক্তি সম্পন্ন। ফলে রেডারের নজরদারি এড়িয়ে শত্রুপক্ষের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে হামলা বা নজরদারির কাজ করতে পারে। কার্যত মেঘনাদের মতো আড়ালে থেকেই চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে শত্রু ঘাঁটি। শত্রুদের কাছে অদৃশ্য থেকেও ঢুকে যেতে পারে তাঁদের ডেরায়। ঘরে ঢুকে মেরে আসতে এর জুড়ি মেলা ভার। তৈরি করেছে লকহিড মার্টিন। হালকা ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত এই যুদ্ধবিমান। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই যুদ্ধবিমানের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে। তালিকায় রয়েছে প্রথম শ্রেণির বিমান এফ-৩৫এ। এটির ক্ষমতা যদিও সাধারণ যুদ্ধবিমানের মতোই। রয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির এফ-৩৫বি। উড়তে উড়তে আচমকা পাক খেয়ে সোজা নামার কৌশল দেখলে চোখে ধাঁধা লাগতে পারে যে কারও। আবার চোখে পলকে পাখির মতো কয়েক সেকেন্ডে উড়েও যেতে পারে। অন্যদিকে তৃতীয় শ্রেণির এফ৩৫-সি বিমানগুলি আবার বিমানবাহী রণতরী থেকে ওড়ার ক্ষমতা রাখে।

    শঙ্কিত চিনও

    সম্প্রতি চিন দু’টি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশের কাছে এটি আছে – আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়া। ভারতের হাতে এই অত্যাধুনিক বিমান এলে ভারতও যে এবার এই তিন দেশের সমকক্ষ হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুও ​​জিয়াকুন এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গুও বলেছেন যে, এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জিও-পলিটিক্সের মঞ্চ হওয়া উচিত নয়। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কাম্য।

  • Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, বোঝাই যায় না।” বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস নেতার এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)।

    বিজেপির তোপ (Sam Pitroda)

    দলের জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা বলেন, “কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তবু ওরা ড্রাগনকে বিপজ্জনক ভাবতে পারছে না। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা চিনের কাছে আমাদের ৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ছেড়ে দিয়েছে, তারা এখনও ড্রাগনের কোনো হুমকি দেখতে পায় না… আশ্চর্যের কিছু নেই যে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মুগ্ধ এবং আইএমইইসি ঘোষণার এক দিন আগে পর্যন্ত বিআরআইয়ের পক্ষে ছিলেন… কংগ্রেসের চিনের প্রতি অতি আগ্রহের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালের কংগ্রেস-সিসিপি সমঝোতা স্মারকে।”

    পদ্ম নেতার নিশানায় কংগ্রেস

    পদ্ম শিবিরের আর (Sam Pitroda) এক সৈনিক প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “ভারতের চেয়েও চিনের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস।” রাহুলকে চিনের হাতের পুতুল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রতি পিত্রোদা বলেন, “আমি চিনের থেকে আসা হুমকিটা বুঝি না। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নির্ধারণের একটি স্বভাব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে, সমস্ত জাতির সহযোগিতা করার, সংঘাতের নয়।”

    প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পিত্রোদার এহেন মন্তব্য।

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী পিত্রোদাকে নিশানা করে বলেন, “চিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য কংগ্রেসের মানসিকতার প্রতিফলন। এটি (BJP) ভারতের মর্যাদার ওপর আঘাত।” তাঁর দাবি, তাঁর (পিত্রোদার) মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যেন ভারতই আগ্রাসী (Sam Pitroda)।

  • Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফের মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে গেলে অবাক হব না।’’ রবিবারের অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। এদিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর মায়ের কথাও। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, একদা তাঁর মাকেও এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদনও জানান শুভেন্দু।

    ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের অনুষ্ঠান (Suvendu Adhikari)

    রবিবার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। আমি নিজে ভিকটিম। আমার মা শ্রীমতী গায়েত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা বরিশালের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাদের শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন (BJP)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আওয়ামি লিগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার অপরাধে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে পালিয়ে এসেছেন, তাদের দয়া করে জেলে পুরবেন না। আগেও হাসিনা, বঙ্গবন্ধু মুজিবরের পরিবারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, জাত-ধর্ম কিছু দেখতে হবে না, যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের তাড়াবেন না। তারা শরণার্থী। আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা, যাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, তাদের জেলে ভরবেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মহারাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

  • CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ গর্ভনমেন্ট এফিসিয়েন্সির আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে একটি তালিকা দেওয়া হয়। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার নাম ছিল। ওই সংস্থাগুলির অর্থনৈতিক বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় একটি বিশেষ সংস্থার নাম রয়েছে। তা হল— কনসর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেংথেনিং (Consortium for Elections and Political Process Strengthening বা সংক্ষেপে সিইপিপিএস (CEPPS)। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাকে বাইডেন প্রশাসন বরাদ্দ করেছিল ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার। এই বিপুল তহবিলের মধ্যে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই সংস্থা ব্যয় করেছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮২ কোটি টাকা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ ওই মার্কিন সংস্থা কার নির্দেশে করেছিল, এই নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। প্রথমেই আমরা জেনে নেব সিইপিপিএস আসলে কী!

    ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা (CEPPS)

    জানা যায়, এই সংস্থা (CEPPS) তৈরি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। নিজেদের উদ্দেশ্য হিসেবে এই সংগঠন দেখায় যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করা, গণতন্ত্রের প্রচার করা, সুশাসন ব্যবস্থার প্রচার করাই তাদের কাজ। যখন এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এটি একটি এনজিও। এই ধরনের যত বেসরকারি সংস্থা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলির কেন্দ্রীয় সংস্থা হল সিইপিপিএস। এই সংস্থা জানিয়েছিল তাদের তিনটি শাখা রয়েছে। একটি হল ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম, দ্বিতীয়টি হল ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয়টি হল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট।

    কোন উদ্দেশে তৈরি করা হয়?

    প্রসঙ্গত, এই সংস্থার তরফ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং যারা নির্বাচন পরিচালনা করে সেই ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। এর পাশাপাশি, যে কোনও দেশের সংসদে, নাগরিক সমাজের সঙ্গে গণতন্ত্র ওপর কাজ করে এই সংস্থা। তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সমাজ কর্মীদের সঙ্গে তারা বৈঠক করে। তাদেরকে সাহায্য করে। তাদের জন্য কর্মসূচির স্থির করে এবং গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলি তারা করে। এই সংস্থা আরও দাবি করেছে যে, তাদের বর্তমানে শাখা রয়েছে পৃথিবীব্যাপী ১৪০টিরও বেশি দেশে। এই দেশগুলিতে তারা সক্রিয়। এই দেশগুলিতে তারা কাজ করে চলেছে নিরন্তর ভাবে। সংস্থার (CEPPS) আরও দাবি করেছে যে, প্রত্যেকটি দেশে তারা গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, সুশাসন- এই সমস্ত বিষয়ে কর্মসূচি নেয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে যে সিইপিপিএস নামের এই সংগঠনকে ফান্ডিং করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত ইউএসএআইডি বা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট— ক্ষমতায় এসেই যাদের ফান্ডিং আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বন্ধ ওয়েবসাইট

    এই সিইপিপিএস সংস্থা ইউএসএআইডির পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকেও তাদের তহবিল সংগ্রহ করে। বছরের পর বছর ধরে তারা এমন কাজ করে যাচ্ছে। সিইপিপিএস দাবি করে যে, তারা যে কোনও দেশের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ করে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরেশিয়া, আমেরিকা এই সমস্ত জায়গাতেই তারা কাজ করে বলে জানিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে যে, প্রতিষ্ঠা হওয়া ইস্তক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান পেয়েছে সিইপিপিএস। ঘটনা হল সিইপিপিএস-এর আর কোনও আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বর্তমানে কার্যকর নেই। এই সংস্থা ইউএসএআইডি থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের তহবিল নিয়েছে এবং ১৯৯৫ সাল থেকেই তারা সক্রিয় কিন্তু ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ সালের পর থেকে তারা তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

    সংস্থাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক

    ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইউএসএআইডি যে নথি প্রকাশ করছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য তারা দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে আসছে যে, ২০২১ সালে ইউএসএআইডি তাদের মোট তহবিলের ৬৬ শতাংশই প্রদান করছে সিইপিপিএস -কে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সিইপিপিএস যে দাবি করে, তা কিন্তু আসল সত্য নয়। সিইপিপিএস কোনও সরকারি সংস্থা নয়। কিন্তু একে অর্থনৈতিকভাবে তহবিল প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না সিইপিপিএস। এটি সরাসরি সেদেশের রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজকে ফান্ডিং করে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এখানেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। অর্থাৎ কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে হরণ করা, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বদল করার কাজও করে তারা।

    ২০১৯ সালের প্রতিবেদন

    ২০১৯ সালে ইউএসএআইডির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা করার জন্য তারা সিইপিপিএস-এর মত একটি সংস্থার উপরে নির্ভর করে। সিইপিপিএস-এর উপর এই নির্ভরশীলতা ইউএসএআইডিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা কমতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠতে থাকে।

    দেশ বিরোধী শক্তির ফান্ডিং

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে এই সংস্থা কাজ চালিয়েছে তাদেরই শাখা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসকে নিয়ে। ২০১২ সালে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশির সঙ্গে এই ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এক চুক্তি করে। প্রেস বিবৃতি জারি করে তৎকালীন ভারতের নির্বাচন কমিশন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্ট্রোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর  সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে দেশের নির্বাচন কমিশন। যৌথ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। একইসঙ্গে গবেষণা চলবে কিভাবে গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করা যায়। আসল উদ্বেগের বিষয় হল আইএফইএস ইতিমধ্যে সেই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে যেগুলি ভারত বিরোধী সংগঠন বলেই পরিচিত। এরমধ্যে রয়েছে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। এই ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এর মালিক জর্জ সরোস ভারত বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত। এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এইভাবে দেশবিরোধী শক্তির ফান্ডিং নিয়ে আসলে কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করেছিল ওই মার্কিন সংস্থা।

    ইউএসএআইডি-র ওপরে রাশ (USAID)

    ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

  • Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার চলছে। অথচ সরকার সংবিধান, সংসদীয় ব্যবস্থা মানে না। সরস্বতী পুজোয় বাধা নজিরবিহীন। সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের দিয়ে পুজো করাতে হয়েছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করায় আমায় এক মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।” সোমবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হাউসে আসবেন। তবে বিজেপি থাকবে না। বিধানসভার গেটে আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না দেব।” তিনি বলেন, “কাল বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেব। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি। আগামী এক মাস আমি ভাতা নেব না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মোক্ষম বাণটি ছোঁড়েন শুভেন্দু। বলেন, “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার। এই সরকার মুসলমানের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি।”

    শুভেন্দুদের সাসপেন্ড

    প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এর পরেই এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারককে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমায় যাতে বলতে না দেওয়া হয় এবং উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যাতে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে পারেন, সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” তিনি বলেন, “এখন থেকে বিজেপি বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবেন। উনি যেদিন বিধানসভায় আসবেন, ওঁকে গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের বিধায়করা ধিক্কার জানাবেন এবং ওঁর উপস্থিতি আমরা বয়কট করব।” শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না (Suvendu Adhikari)। হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে ১ মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।”

LinkedIn
Share