Blog

  • Aftaab Poonawala: শ্রদ্ধা হত্যার পরে আফতাবের ফ্ল্যাটে যেতেন এক মহিলা চিকিৎসক! দাবি পুলিশের

    Aftaab Poonawala: শ্রদ্ধা হত্যার পরে আফতাবের ফ্ল্যাটে যেতেন এক মহিলা চিকিৎসক! দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রিজের মধ্যে রাখা রয়েছে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারের কাটা মুণ্ডু (Shraddha Walker Murder)। সেই ঘরেই নিত্যনতুন মহিলাদের সঙ্গে প্রেমালাপ চলত আফতাব আমিনের (Aftab Poonawala)। চাঞ্চল্যকর এই তথ্যই উঠে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে। দিল্লি পুলিশ সুত্রে খবর, বাম্বেল নামক ডেটিং আপ মারফত আফতাবের যোগাযোগ হত বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঐ ডেটিং আপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে এবং লিখিত চিঠি পাঠিয়েছে আফতাবের প্রোফাইল বিষয়ে জানতে চেয়ে । জানা গেছে, শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহ লোপাটের কাজ চলাকালীন ছত্তরপুরে আফতাবের ফ্ল্যাটে আসতেন এক মহিলা, পেশায় তিনি সাইক্রিয়াটিস্ট। ঐ মহিলাকে ডেকে পাঠিয়ে ইতিমধ্যে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    আফতাব আমিনের নতুন ঠিকানা দিল্লির তিহার জেল

    শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আফতাবের (Aftaab Poonawala) পলিগ্রাফ ও নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করা হচ্ছে। এদিকে, পুলিশ হেফাজতের পরে গতকালই আফতাব আমিনের নতুন ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহার জেলের ৪ নম্বর সেল। ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে তার উপর। গত শনিবার আম্বেদকর হাসপাতাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার শুনানি হয়।

    শুনানি চলাকালীন আফতাব (Aftaab Poonawala) কোর্টকে জানায়, ঘটনার অনেক কিছুই মনে করতে তার অসুবিধা হচ্ছে, কারণ ঘটনাটি পুরনো এবং এই জায়গায় সে নতুন। কোর্ট তার স্বাস্থ্যের খবর নেয় এবং তার কাছে জানতে চায়, কোনও রকম থার্ড ডিগ্রি তার উপর দেওয়া হয়েছে কি না! উত্তরে আফতাব জানায়, কোনও থার্ড ডিগ্রির সম্মুখীন তাকে হতে হয়নি। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে সে। 

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেল আর্জেন্টিনা! বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে এবারে কী করতে হবে মেসিদের?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
          
            

     

  • China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    China: ‘শি জিনপিংকে টেনে নামাও’, এবার দাবি উঠল খোদ চিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংকে (Xi Jinping) টেনে নামাও! চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে (China Communist Party) টেনে নামাও। রবিবার সকালে এমনই স্লোগান শোনা গেল চিনের (China) একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের গলায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের লকডাউন (Lockdown) করা হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উরুমকি শহরের এক আবাসনে আগুন লাগে। এই উরুমকি হল শিংজিয়াং এলাকার রাজধানী। এই বহুতলের একাংশ তালাবন্দি করে রাখায় আবাসনের বাইরে বেরতে পারেননি বাসিন্দারা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। তার পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতেও শুরু হয় বিক্ষোভ।

    বাড়ছে সংক্রমণ…

    গোটা বিশ্বে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্ত কমলেও, চিনে তা ধারণ করেছে ভয়াবহ আকার। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ। বুধবার ৩১ হাজার ৪৫৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অতিমারি পর্বে চিনে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

    সম্প্রতি চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবার দেশে কড়াকড়ি কমানো হবে। করোনা পরিস্থিতি চলায় এতদিন জিরো কোভিড পলিসি থেকে এতটুকুও সরেনি বেজিং। নিয়ম ভাঙলে কপালে জুটত শাস্তি। দিন কয়েক আগেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এবার কিছুটা লঘু করা হবে করোনা নীতি। কিন্তু সম্প্রতি ফের সংক্রমণ বাড়ায় ফের হয়েছে কড়া লকডাউন। বৃহস্পতিবার এক সঙ্গে দশজনের জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার খবরে খেপে যান চিনাদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    চিনের সব চেয়ে জনবহুল শহর সাংহাই। এটি দেশের ফাইনান্সিয়াল হাবও। শনিবার রাতে এই শহরের বাসিন্দারা এলাকায় বিভোক্ষ দেখান। বিক্ষোভ দেখানো হয় রবিবার সাত সকালেও। সম্প্রতি সেই বিক্ষোভের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, উরুমকি থেকে লকডাউন তোল। শিনজিয়াং থেকে লকডাউন তোল। গোটা চিন থেকে লকডাউন তোল। এর পরেই উত্তেজিত জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, টেনে নামাও শি জিনপিংকে (Xi Jinping)। টেনে নামাও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। উরুমকিকে মুক্ত কর। প্রসঙ্গত, এর আগে পার্টি কংগ্রেসের সময়ও শি জিনপিংকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন চিনের বাসিন্দাদের একাংশ। এবার দাবি উঠল টেনে নামানোর।

    গদি কি ক্রমেই নড়বড়ে হচ্ছে জিনপিংয়ের (Xi Jinping)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • FIFA World Cup: নতুন জীবন পেল আর্জেন্টিনা! বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে এবারে কী করতে হবে মেসিদের?

    FIFA World Cup: নতুন জীবন পেল আর্জেন্টিনা! বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে এবারে কী করতে হবে মেসিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল! মেক্সিকোর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশকে জয় এনে দিয়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের এখন তেমনটাই মনে হচ্ছে। লিওনেল মেসির দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে দারুণ এক জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে যাওয়ার আশা বেঁচে রইল আর্জেন্টিনার। পরের ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারালেই নিশ্চিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড।

    সৌদির কাছে হার

    আগের ম্যাচে সৌদির আরবের কাছে অবাক করা হারের পর আর্জেন্টিনার চাপ ছিল পাহাড় প্রমাণ। ফলে এ বার মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নামার আগে লিওনেল মেসিদের চাপটা ছিল অনেক বেশি। সৌদি আরবের কাছে হারের পর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় ছাড়া বিশ্বকাপে টিকে থাকার কোনও রাস্তা ছিল না মেসিদের। কারণ সি গ্রুপের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সৌদি আরব হেরে যাওয়ায়, মেসিদের চাপটা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেই চাপ সামলে ফিনিক্স পাখির মত ফিরে এসেছে মেসির আর্জেন্টিনা।

    মেসির গুরুত্বপূর্ণ গোল

    ম্যাচের পর থেকেই মেসির গোল নিয়ে ট্রেন্ডিং শুরু হয়েছে ‘WHAT A Goal’, তবে বিশেষজ্ঞমহল মনে করেছে, এর থেকেও মেসি আগে ভালো গোল করেছেন। তবে এবারের গোলটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল ও এটি এখন পর্যন্ত তাঁর বিশ্বকাপ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ গোল ছিল। এদিন ৬৪ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন সেই মেসি। ডান দিক থেকে দি মারিয়া পাস দিয়েছিলেন মেসিকে। আবার শেষে ৮৭ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনার পক্ষে ব্যবধান বাড়ালেন এনজো ফার্নান্ডেজ। এরপরের লক্ষ্য পোল্যান্ড।

    আরও পড়ুন: ফুটবল মাঠে রাজনীতি! সরকার বিরোধী ইরানি সমর্থকদের থেকে পতাকা কাড়ল সরকারের সমর্থকরা

    বিশ্বকাপে টিকে থাকতে কী করতে হবে মেসিদের?

    এই জয়ের মানে আর্জেন্টিনা এখন গ্রুপ সি-তে দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে পোল্যান্ড। সৌদি আরব তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং মেক্সিকো মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে চার দলের গ্রুপের নীচে রয়েছে। ১৬-এর রাউন্ডে পৌঁছানোর জন্য তাঁদের এখনও অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সহজভাবে বলতে গেলে, কোনো জটিলতা এড়াতে আর্জেন্টিনাকে তাদের চূড়ান্ত গ্রুপের খেলা জিততে হবে। আর্জেন্টিনা তাদের শেষ গ্রুপ খেলায় পোল্যান্ডকে হারালে, তারা নকআউট রাউন্ডে চলে যাবে। একটি ড্রও তাদের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তবে তাদের তখন সৌদি আরব এবং মেক্সিকোর মধ্যেকার ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হবে, যা একই সঙ্গে খেলা হবে। আর্জেন্টিনার সঙ্গে পোল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে আগামী বুধবার (বৃহস্পতিবার,  ভারতীয় সময়ে ১২টা ৩০ মিনিটে)।

    মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেললেন মেসি

    মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ৬৪ মিনিটে গোল করলেন লিওনেল মেসি। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে এ বারের বিশ্বকাপে নতুন জীবন পেলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। এ বারের বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। আর এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন দিয়েগো মারাদোনাকে। বিশ্বকাপে ৮টি গোল রয়েছে মারাদোনার। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে মেসিও ৮টি গোল করে ফেললেন বিশ্বকাপে। মেসি ও মারাদোনা দু’জনেই বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) সরকারের হাতে রাজ্য পচছে। বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। শনিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন একটি ট্যুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে একাসনে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভায় ভাষণ দেন শুভেন্দু। পরে মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা। তার পরেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভেবেছিলেন, যে শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন এবং স্নেহের ভাই সম্বোধন করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’-এর কারণেই শুভেন্দুকে চায়ের নেমতন্ন করেন মমতা।

    ট্যুইট-বাণ

    তবে চায়ের নেমতন্ন করে যে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) বাগে আনা যাবে না, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাক্ষাৎকার পর্ব চব্বিশ ঘণ্টার চৌকাঠ পেরনোর আগেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি লেখেন, দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগকে যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা যদি সাংবিধানিক সঙ্কট না হয়, তাহলে আর কী হবে? এর পরেই তিনি লেখেন, তৃণমূল সরকারের হাতে বাংলা পচছে। বাংলায় এক আল্ট্রা ইমার্জেন্সির পরিস্থিতি।

    এ নিয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের ট্যুইটারে তুলে ধরেছেন তিনি। প্রতিলিপিগুলির একটি পাতায় লেখা রয়েছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির প্রস্তাব। এর মধ্যে নবম দশমের জন্য ১ হাজার ৯৩২টি পদ, একাদশ-দ্বাদশের জন্য ২৪৭টি পদ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দুজনের মুখ দেখাদেখি। শুক্রবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক স্বয়ং!

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার বরাদ্দ পেতে রাজ্যকে মানতে হচ্ছে কোন কোন শর্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    Mithun Chakraborty: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে বিনিয়োগের জোয়ার আসবে। শিল্প আসবে। স্বনির্ভর হবে শিক্ষিত যুবকরা। চাকরির জন্য হা-হুতাশ করতে হবে না। রাজ্যের বাইরে পাড়ি দিতে হবে না। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের হাতে ছেলে-মেয়েদের জীবন সঁপে দিতে হবে না। বিষ্ণুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।

    কী বললেন মিঠুন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচনী প্রচার সারছেন মহাগুরু। রাজ্যে বিনিয়োগের আকাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিরোধীরা। রাজ্যে যে বড় বিনিয়োগ আসেনি তা কখনও সরাসরি, কখনও ঘুরিয়ে মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে। কিন্তু রাজ্যের এই নীতি যে ভ্রান্ত তা ইতিমধ্যে ছবির মতো স্পষ্ট। রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে গিয়েছেন লক্ষ লক্ষ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক। প্রতিদিন ভিন রাজ্যে শ্রমিকদের দুরবস্থা চোখে পড়ে। এরই মধ্যে এদিন বিষ্ণুপুরে সভা করতে গিয়ে মিঠুন বললেন,  “যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন দেখবেন, বাংলায় জোয়ার এসেছে। এত বিনিয়োগ হবে যে দেখে ভাববেন এটা সত্যি নাকি স্বপ্ন।”

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    উল্লেখ্য, রাজ্যে শিল্পায়নের প্রথম চেষ্টা সিঙুরেই মাঠে মারা গিয়েছিল বলে মত উদ্যোগপতিদের। যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ তৈরি হয়ে যাওয়ায়, একটা কারখানাকে ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছিল তা শিল্পপতিদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তার ওপর টাটা গোষ্ঠীর মতো সংস্থা, যারা গোটা বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তাদের সঙ্গে এই আচরণ মেনে নিতে পারেনি উদ্যোগপতি সমাজ। যার জেরে সরকারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দফায় দফায় শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করলেও বিনিয়োগ আসেনি। ফলে অবধারিতভাবে বাংলার ছেলে-মেয়েদের কাজের খোঁজে ছুটতে হয়েছে ভিনরাজ্যে। পশ্চিমের সমৃদ্ধ রাজ্যগুলি তো বটেই, উত্তর-পূর্বে মিজোরামের মতো রাজ্যে খনিশ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বোঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে কম বয়সী যুবকদের।

    তাই রাজ্যে এই পরিস্থিতির বদলের আহ্বান জানান মিঠুন। তিনি বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হওয়া উচিত। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে গেলে মতাদর্শগত বিভেদ ভুলে সবার একজোট হওয়া উচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৫ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাঁচ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে শনিবার বিষ্ণুপুর পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

  • Egypt Tejas: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    Egypt Tejas: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভূমিকা পালন করবেন মিশরের (Egypt) প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল সিসি। এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে ভারতের (India) তরফে। এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় আরব দুনিয়ার সঙ্গে নয়া দিল্লির নিবিড় সম্পর্ক। তবে কেবল ভারতই নয়, এই সম্পর্ক আরও মজবুত হলে লাভ হবে মিশরেরও। কারণ তারাও চাইছে ভারতের সঙ্গে মিলিটারি বন্ধন (Egypt Tejas) আরও পোক্ত করতে। জানা গিয়েছে, অক্টোবরের ১৬ তারিখে সরকারি সফরে মিশর গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস কে জয়শঙ্কর। কায়রোয় তিনি সাক্ষাৎ করেন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তখনই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় আমন্ত্রণপত্র।

    জি-২০ সম্মেলন…

    ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলন হবে ভারতে। এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ন’ টি অতিথি দেশকে। এই দেশগুলির মধ্যে একটি হল মিশর। সাধারণতন্ত্র দিবসে যে সব দেশকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেগুলি তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক। এবার সেই কারণেই ডাকা হয়েছে মিশরকে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতির জেরে ২০২১ ও ‘২২ সালে ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠান হয়েছে সাদামাটাভাবে। তাই ওই দু বছর প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও দেশকেই। ২০২০ সালে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারোকে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

    তবে ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠানে মিশরের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশর ভারতের সঙ্গে মিলিটারি সম্পর্ক (Egypt Tejas) আরও উন্নত করার সুযোগ পাবে। গত বছর দুই দেশ অংশ নিয়েছিল যৌথ মহড়ায়। মহড়া হয়েছিল আকাশে। তার পর থেকেই মিশরের নজর ভারতের লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজসের (Egypt Tejas) দিকে। তারা এ দেশ থেকে ৭০টি ফাইটার জেট কিনতে চায়। জানা গিয়েছে, মিশরের এয়ার ফোর্স চিফ মহম্মদ ফাহাদ আবেদ আল গাওয়াদ এই সূত্রেই জুলাই মাসে ভারতে এসেছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার দুই দেশের মধ্যে যৌথ মহড়া হয় আকাশে। প্রসঙ্গত, আফ্রিকা মহাদেশে মিশরই ভারতের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tilting train: বাঁকেও বজায় থাকবে গতি, ২০২৬- এর মধ্যে ১০০ টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের

    Tilting train: বাঁকেও বজায় থাকবে গতি, ২০২৬- এর মধ্যে ১০০ টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের উন্নততর পরিষেবা দিতে সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন রেল আধিকারিকরা। ভারতের রেল ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল। সম্প্রতি চালু হয়েছিল অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার আরও একধাপ এগিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নয়া টিল্টিং ট্রেন (Tilting Train)। ২০২৬- এর মধ্যে অন্তত ১০০টি টিলটিং ট্রেন থাকবে ভারতের। এমনটাই জানাল রেলমন্ত্রক। 

    কী এই টিলটিং ট্রেন? 

    বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেন (Tilting Train)। সাধারণ রেল লাইনেই দিব্য চলবে। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে সাধারণ হলেও, এই ট্রেনকে সাধারণ ভাবার ভুল এক্কেবারে করবেন না। এই বিশেষ ট্রেন চলার পথে বাঁক এলেও সমান গতি বজায় রাখতে সক্ষম। আর এখানেই এই ট্রেন বাকিদের থেকে আলাদা। 

    আরও ভেঙে বলতে গেলে, যখন কোনও দ্রুতগতিবিশিষ্ট ট্রেন (Tilting Train) রাস্তায় কোনও বাঁকের মুখে এসে পড়ে, তখন ট্রেনের ভিতরে থাকা ব্যক্তি কিংবা বস্তু এমন এক ধরনের ‘টান’ অনুভব করেন। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই বিশেষ টানকে ‘সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স’ বলা হয়। সেই টানের কারণেই নিজের আসন থেকে ছিটকে যেতে পারেন যাত্রী, গড়িয়ে পড়তে পারে ব্যাগপত্র। বসে থাকা যাত্রীরাও হেলে পড়তে শুরু করেন একে অপরের উপর।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে পারদ পতন, উত্তুরে হাওয়ায় কলকাতায় শীতের আমেজ 

    কিন্তু বিশেষ প্রযুক্তির এই টিলটিং ট্রেনে (Tilting Train) এমনটা হওয়ার আশঙ্কা নেই।  টিল্টিং ট্রেন বাঁকের মুখে এলেই হেলে পড়বে বাঁকের উল্টো দিকে, যাতে, সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সকে প্রশমিত করে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। এর ফলে, ট্রেন সমান গতিতে চললেও ভিতরে থাকা যাত্রীরা ট্রেন যে বাঁক দিয়ে চলছে তা বুঝতেই পারবেন না। এমনকী, গতিশীল যানবাহনে চড়ে যাঁদের ‘মোশন সিকনেস’ অর্থাৎ, গা গোলানো কিংবা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা থাকে, এই নতুন ট্রেনে সেই সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাবেন তাঁরা। 

    বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই রয়েছে এই ট্রেনের (Tilting Train) পরিষেবা। রাশিয়া, চেক রিপাবলিক, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, চিন, জার্মানি, রোমানিয়া, ইতালি, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং ফিনল্যান্ডে রয়েছে এই ট্রেন। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালেই এই ট্রেনে চড়তে পারবেন ভারতীয় যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিষয়ে পার্টনারশিপের ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে। ভারতে তৈরি ১০০টি বন্দে ভারত ট্রেনকে প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে টিল্টিং ট্রেনে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Zakir Naik: বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

    Zakir Naik: বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত ধর্মগুরু জাকির নায়েককে (Zakir Naik) আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ভারতের (India) কড়া বার্তার পর একথা জানিয়ে দিল ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup 2022) এর আয়োজক দেশ কাতার (Qatar)। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, জাকির নায়েককে আমন্ত্রণের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কাতার প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য আমন্ত্রণই করা হয়নি জাকিরকে। তিনি বলেন, জাকির নায়েক যাতে আইনের মুখোমুখি হন, সেজন্য সব রকম চেষ্টা করবে ভারত। শুধু তাই নয়, জাকিরকে প্রত্যর্পণের জন্যও যাবতীয় চেষ্টা জারি রাখবে ভারত।

    জাকির নায়েক…

    বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কাতারে পৌঁছে যান বিতর্কিত ইসলামিক ধর্মশিক্ষাদাতা জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই কাতারেই চলছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়াবেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ইসলাম সম্পর্কিত নানা বিষয়ে বিভিন্ন সময় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে জাকিরকে (Zakir Naik)। ১৯৯৪ সালে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ গ্রন্থ নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রথম নজরে আসেন তিনি। নতুন সহস্রাব্দের গোড়া থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় জাকিরের ভিডিও। নানা সময় তাঁর নানা কথায় দেশে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এহেন জাকির কাতার বিশ্বকাপে হাজির হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী সাফ জানিয়ে দেন, ভারতকে না জানিয়েই জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কাতার। ভারতের তরফে কড়া বার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাতার প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: কাতারে হাজির সেই জাকির নায়েক, কেন জানেন?

    বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে অরিন্দম বাগচি জানিয়ে দেন, জাকির নায়েককে (Zakir Naik) আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে কাতারের কাছে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। সে দেশের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে। বিশ্বকাপের সঙ্গে জাকির নায়েকের কোনও যোগ নেই। এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের চোখে জাকির নায়েক একজন অপরাধী। ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ার কাছে জাকিরকে প্রত্যর্পণের আবেদনও জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    Mithun Chakraborty: আজ বাঁকুড়ায় সভা মহাগুরুর! মিঠুনকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র  (BJP) হয়ে রাজ্যে ভোটের ময়দানে নেমেছেন মহাগুরু। বাঙলায় বিজেপির বাজিও তিনি। সেই মতোই বাঙালি আবেগে শান দিয়ে পুরুলিয়া থেকে প্রচার শুরু করলেন বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। তাঁকে দেখতে হোটেলের সামনে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুরে আজ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। এরপর শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন মিঠুন। মেনুতে রয়েছে ভাত-ডাল, সবজি, আলু পোস্ত, মাছ। নিজেই রান্না করেছেন বিধায়ক। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠে মিঠুনের সভা। আগামীকাল বিষ্ণুপুরের সোনামুখীতে কর্মসূচি রয়েছে মহাগুরুর।

    কী বললেন

    বুধবার পুরুলিয়ার জনসভায় আগাগোড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকে নিশানা করে যান মিঠুন। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, “আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? ” সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, “দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে…।” কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, “এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।”

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে  অভিযোগ  তৃণমূলের। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।”

    বাঙালি খাবার ভীষণ প্রিয়

    পুরুলিয়ায় এদিন কাঁসার বাসনে বাঙালি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ডিস্কো কিং। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। এ প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়।  আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ 

  • Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    Dengue: ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল বিতর্ক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের লুকোচুরির রোগ যেন কিছুতেই সারছে না। ডেঙ্গি আক্রান্ত আর ডেঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে যেন বিস্তর গোলমাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকারের তথ্য গোপনের রোগ মুক্তি না ঘটলে, রাজ্যবাসীর ডেঙ্গি থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। 

    বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কমবেশি ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১১। তথ্যের এত ফারাক কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর নেই রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। 

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ চলতি বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পরে ডেঙ্গির গ্রাফ মারাত্মক বাড়তে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলোতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীত আসছে, ডেঙ্গি নিয়ে আর উদ্বেগ বিশেষ নেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পরের বছরের জন্য আরও বড় বিপদ তৈরি করবে না তো? 

    আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত সংক্রমক রোগের মোকাবিলা বছরভর করতে হবে। তাই শীতে ডেঙ্গির দাপট কিছুটা কমলেও প্রশাসনের কাজ থামালে চলবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় এ বছরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুর কর্মীর অভাব। নজরদারি করার জন্য পর্যাপ্ত পুর কর্মী ছিল না। তাছাড়া, প্রশাসনের একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। শীতের দাপটে ডেঙ্গির গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেঙ্গি কমার আশ্বাসে, সেই কাজে ভাটা পড়বে কিনা সে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

    চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির তথ্য গোপনের রোগ না সারলে রাজ্যবাসীর ডেঙ্গির থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। কারণ, ডেঙ্গির ভয়াবহতা মানুষকে বোঝাতে হলে, সচেতন করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ডেঙ্গি নিয়ে এই লুকোচুরির প্রবণতা থাকলে, সেই কাজ সম্ভব নয়। চিকিৎসক শারোৎদ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষকে বোঝানোর আগে সরকারের বোঝা দরকার প্রত্যেক বছর রাজ্যের মানুষকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ, কয়েকটা কথা বলে দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। ডেঙ্গি মোকাবিলার সদিচ্ছা আদৌও রাজ্য সরকারের আছে কি? ” 

    চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে সরকারের স্বচ্ছতার বড় অভাব। মানুষ ভুগছে, অথচ মানুষকে বুঝতে দেওয়া চলবে না। জানানো যাবে না। সত্যি এভাবে গোপন করা যায় না। এতে সমস্যা বাড়ে। জনস্বাস্থ্যের মতো বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সরকারের নূন্যতম স্বচ্ছতা প্রয়োজন। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের তা নেই, সেটা প্রমাণিত।” বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমানো যাবে না। কোনও ভাবেই যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখতে হবে। পাশপাশি পুরসভাকেও বারবার জানাতে হবে। যাতে ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সক্রিয় থাকে, সে নিয়েও নাগরিক সমাজকেই সজাগ থাকতে হবে।

LinkedIn
Share