Blog

  • Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। জামিনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Kalyanmoy Ganguly) আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দেয় আদালত। এর পরেই বৃহস্পতিবার আবেদন প্রত্যাহার করলেন তিনি।

    জামিনের আবেদন প্রত্যাহার কল্যাণময়ের

    গতকাল মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানিয়েছিলেন, সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি বিকল্প দেওয়া হল। হয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করুন, না হলে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হবে। তিনি কী করতে চান, সেটা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে। তারপরই আজ জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময় গাঙ্গুলি (Kalyanmoy Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জামিনের আবেদন প্রত্যাহার নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের কথা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তিনি যুক্ত কিনা, তা খুঁজে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল কল্যাণময়ের। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। আর এর ভিত্তিতেই গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। এর পর সম্প্রতি হাইকোর্টে তিনি জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের তরফে জামিন খারিজের কথা বলা হলে তিনি আগেই তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amazon: চলতি মাসেই ফের কর্মী ছাঁটাই করবে আমাজন, এই দফায় কত জানেন?

    Amazon: চলতি মাসেই ফের কর্মী ছাঁটাই করবে আমাজন, এই দফায় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি। ফের কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ই কমার্স সংস্থা আমাজন (Amazon)। এই দফায় ছাঁটাই (Layoff) হবেন ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মী। সংস্থার তরফেই একথা ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকটি ত্রৈমাসিকে লোকসানের বহর বেড়েছে আমাজনে। তাই সেবার ছাঁটাই করা হয়েছিল ১০ হাজার কর্মী।

    কর্মী ছাঁটাইয়ের নেপথ্যে…

    কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে লোকসানের বহর কমানোর পরিকল্পনা করেছিল এই ই কমার্স সংস্থা। সেবার ছাঁটাই করা হয়েছিল অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, রিটেল ডিভিশন এবং হিউম্যান রিসোর্সে। তখনই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, যেসব ইউনিট লোকসানে চলছে, সেসব ইউনিট বন্ধ করে দিয়ে, সেখান থেকে কর্মী সরিয়ে নিয়ে অন্য ইউনিটে নেওয়া হতে পারে। তবে সে পথে না হেঁটে সরাসরি এবার কর্মী ছাঁটাইয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাজন।

    আমাজনের (Amazon) তরফে সংস্থার সিইও অ্যান্ডি জেসি বলেন, নভেম্বরে আমরা কর্মী ছাঁটাই করেছিলাম। আবার আমরা একটি খবর শেয়ার করছি। আমরা ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর প্রভাব পড়বে বিভিন্ন টিমের ওপর। তিনি বলেন, আমাজন স্টোর এবং পিএক্সটি অর্গানাইজেশন থেকে ছাঁটাই করা হবে সিংহভাগ কর্মীকে। আমাজন কর্তা বলেন, এস টিম এবং আমি নিজেও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছি যে, যাঁদের ছাটাই করা হবে, তাঁদের খুব কষ্ট হবে। তা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নিইনি। তাঁরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাও আমরা আন্ডারএস্টিমেট করিনি। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাঁদের বিষয়টিও আমরা বুঝি।

    আরও পড়ুুন: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    আমাজন কর্তা বলেন, যাঁদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, তাঁদের প্যাকেজ দেওয়া হবে। আলাদা একটি পেমেন্টও দেওয়া হবে। ট্রানজিশনাল হেল্থ ইনস্যুরেন্স বেনিফিটও পাবেন তাঁরা। দেওয়া হবে এক্সটার্নাল জব সাপোর্টও। আমাজনের (Amazon) সিইও বলেন, চলতি বছর আমরা রিভিউ করে দেখলাম যে অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং গত কয়েক বছর ধরে নির্বিচারে কর্মী নিয়োগ সংস্থার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হয়নি। সেই কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। এই দফায় যাঁদের ছাঁটাই করা হবে তাঁদের সঙ্গে কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু হবে ১৮ জানুয়ারি থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পান্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। যে এফআইআর-এর ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই তৃতীয় এফআইআরের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেঞ্চ। রামচন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে, অভিযোগকারিনীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট কী?

    গত বছর, কাঁথি পুরসভার একটি টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কারণ, ওই দুর্নীতির অভিযোগের তির ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর দিকে। ২০১৯-২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডা, যিনি শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয়। রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি। আরও অভিযোগ, ওই টেন্ডারে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে। 

    তৃতীয় এফআইআর ঘিরে সন্দেহ

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পান্ডার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। প্রথম দুটি আগে দায়ের হয়েছিল। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়। আর এই তৃতীয় এফআইআর ঘিরে তৈরি হয় যাবতীয় সন্দেহ। কেন? জানা যায়, তৃতীয় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পান্ডা। যিনি আবার কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পান্ডার স্ত্রী। আদালতে রাজ্য জানায় যে, কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতেই রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালতে রামচন্দ্রের দাবি

    আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেন রামচন্দ্র। হাইকোর্টে তিনি জানান, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। এখন যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হওয়ার দরুন তাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে  

    কাকলির হলফনামা তলব আদালতের

    রামচন্দ্রের দাবির প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিনী কাকলির হলফনামা তলব করে আদালত। তাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল সত্য। রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে বুধবার আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তৃতীয় এফআইআর (Contai Tender Scam) সম্পর্কে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কাকলি জানিয়েছেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে জোর তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগপত্র লিখিয়েছেন এবং তাতে সই করতে বাধ্য করেছেন। তিনি এও জানান, ওই অভিযোগপত্রে যা লেখা রয়েছে, তা তাঁর নিজের অভিযোগে ছিলই না। 

    আদালতের নির্দেশ

    কাকলির হলফনামার প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার! এও কি সম্ভব?” এরপরই দায়ের হওয়া মামলার মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেইসঙ্গে, ভুয়ো এফআইআর-এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই। এদিকে, রামচন্দ্র পান্ডাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। একইসঙ্গে, এদিন থেকে রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ২৪ ঘণ্টা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁওতালি (Santali Language) মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল আদিবাসী (Adibasi) সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। তারা আরও জানিয়েছিল, সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামবে তারা। সেই মতো বুধবার ১২ ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করল আদিবাসীদের ওই সংগঠন। এদিন সকাল ৬টায় শুরু পথ অবরোধ ওঠে সন্ধে ৬টায়। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির জেরে এদিন স্তব্ধ হয়ে রইল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তা অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার হন ওই চার জেলার বাসিন্দারা।

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল…

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ, ভলান্টারি শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, প্রতিটি জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমে কলেজ স্থাপন, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালু, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি নাচ ও গানের কোর্স চালু। ঝাড়গ্রামের প্রতিটি ব্লকে সাঁওতালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হস্টেল চালু করা, ভুয়ো তফশিলি জাতি ও উপজাতির সংশাপত্র অবিলম্বে চিহ্নিত করে বাতিল করার দাবিও জানিয়েছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনির জন্য আদিবাসীদের উচ্ছেদের বিরোধিতাও করেছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন।     

    আরও পড়ুুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রাইসেন হাঁসদা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথক কোনও সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড নেই। এই ভাষায় শিক্ষার কোনও সঠিক পরিকাঠামো নেই। কোথাও স্কুলের ভবন নেই, কোথাও আবার শিক্ষক নেই। যার জন্য পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আমরা রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছি। সংগঠনের নেতা বিপ্লব সোরেন বলেন, আমাদের দাবিগুলি নিয়ে আমরা বার বার প্রশাসন, রাজ্য সরকার, এমনকি  মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও দাবিই পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার। জঙ্গলমহলকে এ রাজ্যের পরিচালকেরা উপনিবেশ মনে করেন। সেই কারণেই আমাদের এই আন্দোলন।

    মুখ্যমন্ত্রী শুনতে পাচ্ছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তদন্তে নেমেছে এনআইএ। আর তদন্তে নেমেই হাতে এল বড় প্রমাণ। বুধবার সকালে মোমিনপুরের ভূকৈলাশ রোডের একাধিক বাড়ি-সহ মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশিতে যায় এনআইএ-এর প্রতিনিধিদল। অভিযানে সঙ্গী ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। শুধু ভুকৈলাস রোডের চারটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। গোয়েন্দাদের অনুমান এই ৩৫ লক্ষ টাকা হিংসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কোন পথ থেকে টাকা আনা হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে।

    কী জানা গেল? 

    শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একবালপুর থানায় উপস্থিত হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। সালাউদ্দিন নামের এক অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তিনটি মামলায় সালাউদ্দিনের নাম উঠে এসেছিল। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যক্তিই অন্যতম অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ভূকৈলাস রোড এলাকায় সালাউদ্দিনের ব্যবসা রয়েছে। সালাউদ্দিনের কোনও খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা।

    এনআইএ গোয়েন্দারা মোমিনপুরের ঘটনায় (Mominpur Incident) জেএমবি যোগের অনুমান করছেন। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি হল একটি জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ, ভারত সহ একাধিক দেশে এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিভাগের পলমপুরে শায়খ আব্দুর রহমান এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করে। মূলত বাংলাদেশে হলেও আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তানে রয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠির সংগঠন। এরা আলকায়দার শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে থাকে।

    আরও পড়ুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    এদিকে এদিন তল্লাশিতে নেমেই বাধার মুখে পড়েন গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেন। তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভুকৈলাস রোডে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় এনআইএ কর্তাদের। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর (Mominpur Incident) এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট

    গত বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাত ও তার পরদিন কলকাতার মোমিনপুর-একবালপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে গুরুতর আহত হন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৫টি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা। ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালত জানায়, ঘটনার বিস্তারিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেবে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জাননো হয় এই হিংসার তদন্ত করবে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Hydrogen Powered Train: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    Hydrogen Powered Train: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর এবার নতুন বছরে পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন(Hydrogen Train)। ভারতীয় রেলের তরফে দেশবাসীকে ফের আর একটি উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।  সম্প্রতি এশিয়ার প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন (Hydrogen Train) লঞ্চ করেছে চিন। এটিকে বিশ্বের ‘সবুজতম ট্রেন’ বলা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতেও এই ট্রেন চালু হবে। ভারতের হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরি হবে দেশেই। 

    হাইড্রোজেন ট্রেনের বৈশিষ্ট্য

    রেল মন্ত্রক সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে হাইড্রোজেন ট্রেনের চাকা গড়াবে। চলতি বছরে হরিয়ানার শোনপত থেকে জিন্দ ৮৯ কিলোমিটারের রুটে প্রথম এই ট্রেন চলবে। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, হাইড্রোজেন ট্রেন অন্যান্য ট্রেনের মতো বড় হবে না। বগির সংখ্যা হবে বড় জোর ছয় থেকে আটটি। ঘণ্টায় এই ট্রেন দৌড়বে সর্বাধিক ১৪০ কিলোমিটার বেগে। এক্ষেত্রে খরচ বাঁচবে আবার পরিবেশ দূষণ রোধ হবে। সমুদ্রের জল থেকে সহজেই তৈরি করা যাবে হাইড্রোজেন, যার যোগান অফুরন্ত। 

    আরও পড়ুন: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা

    আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অন্তর্গত

    হাইড্রোজেন ট্রেন সম্পর্কে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে দেশেই তৈরি করা হবে এই ট্রেন। এটি বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। রেলমন্ত্রী বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বরে হেরিটেজ রুটগুলিতে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালাব আমরা। এর মাধ্যমে এই রুটগুলির সম্পূর্ণ সবুজায়ন নিশ্চিত করা যাবে।” রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের একটি প্রোটোটাইপ উত্তর রেলের ওয়ার্কশপে পাঠানো হচ্ছে।  অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, রেলের পূর্ণ বৈদ্যুতিকরণ সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক কারণেই হোক বা অন্যান্য কোনও সমস্যার ফলে। এমন ক্ষেত্রে ডিজেল চালিত লোকোমোটিভ বদলে হাইড্রোজেন চালিত লোকোমোটিভ আনার কথা চিন্তা করা হয়। এটি সস্তা বিকল্প হওয়ার পাশাপাশি দূষণমুক্তও। হাইড্রোজেন ট্রেন রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় পর্যটনমুখী করে চালালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ বলে মনে করেছেন রেলকর্তাদের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি

    Recruitment Scam: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিন পেলেন না কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। আজ দুই হেভিওয়েট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যর জামিন মামলার (Recruitment Scam) শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআইকে বিচারপতি বাগচীর পরামর্শ, “নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের ভাল করে তদন্ত করুন। অযোগ্যদের তো আর ভালবেসে চাকরি দেওয়া হয়নি!” জামিনের আর্জি খারিজ করলেও সিবিআইকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “জোরালো যুক্তি না থাকলে এক জনকে কত দিন বন্দি করে রাখতে পারবেন?”

    কী বলেন বিচারপতি?  

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার আবার মামলাটির  শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত।  

    গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের (Recruitment Scam) আর্জি জানান কল্যাণময়। আদালত এই প্রসঙ্গে সিবিআই- এর কাছে তাদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল। ২২ শে ডিসেম্বর সিবিআই- এর জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত।

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ১১৩ দিন বন্দি রয়েছেন কল্যাণময়। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কল্যাণময়ের আইনজীবী বলেন, “তাঁর  মক্কেলের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। তাঁর দেওয়া সুপারিশপত্র মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে।” সিবিআইয়ের তরফে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। সিবিআই-এর পক্ষে আইনজীবী অরুণ মাইতি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। অনুসন্ধানের সময় বেনিয়ম পেয়েছি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    সিবিআই-এর তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন। প্যানেলের (Recruitment Scam) মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়োগপত্র দেওয়া হত।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    দুতরফের সওয়াল-জবাব শোনার পরে (Recruitment Scam) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য বলেন, “আমরা এই দুর্নীতির কার্যপ্রণালী এবং এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চাই। কোন আর্থিক লেনদেন হয়েছে? কত জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে?” তিনি আরও বলেন, “চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবাসার কারণে দেওয়া হয়নি? টাকার লেনদেন আছে কিনা খুঁজে দেখুন। কতদিন জেলবন্দি করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত দ্রুত চালান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Japan Population: জাপান সরকারের অফার! টোকিও ছাড়লেই নাগরিকরা পাবেন ১০ লক্ষ ইয়েন, কেন জানেন?

    Japan Population: জাপান সরকারের অফার! টোকিও ছাড়লেই নাগরিকরা পাবেন ১০ লক্ষ ইয়েন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপান সরকার সে দেশের নাগরিকদের (Japan Population) টোকিও ছেড়ে যেতে বলছে! শুধু তাই নয় টোকিও ছাড়ার জন্য প্রত্যেকটি পরিবারকে ১০ লক্ষ ইয়েন মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬,৩৪,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। টোকিও ছেড়ে তাদেরকে বিভিন্ন গ্রামে যেতে বলা হচ্ছে অথবা যে কোন ছোট শহরে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো? কারণটা হল টোকিও ব্যাপক জনঘনত্বপূর্ণ একটি শহর, এই শহরে জনসংখ্যার চাপ কমাতে চাইছে জাপান সরকার।

    আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    কোথায় স্থানান্তর করা হবে নাগরিকদের (Japan Population)

     নিজের নাগরিকদের এবং শিশুদেরকে নিরাপদ রাখতে টোকিও থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান, এই সিদ্ধান্ত জাপান সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরের এপ্রিল মাসেই নেওয়া হয়।

    জাপানের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আধিকারিকরা এবং নীতি নির্ধারকরা বলছেন, জনসংখ্যা স্থানান্তরের পরে শহরে জনসংখ্যার (Japan Population) ঘনত্বটাও কমবে তার কারণ টোকিওতে জনঘনত্বের চাপ খুবই বেড়ে যাচ্ছিল এবং জাপানি নাগরিকরা (Japan Population) একটি উন্নত শহরের বদলে গ্রাম্য পরিবেশে থাকার অভ্যাস করতে পারবেন।

    তবে যে সমস্ত পরিবার আর্থিক সুবিধা নেবেন এবং টোকিও ছাড়বেন তাঁদের জন্য কতগুলো শর্ত জাপান সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে, যেমন গ্রাম অঞ্চলে যে নতুন বাড়িগুলি তাঁরা তৈরি করবেন সেখানে ন্যূনতম পাঁচ বছর থাকতে হবে। পরিবারের একজন সদস্যকে অবশ্যই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে যে কোনও একটা নতুন ব্যবসা খোলার পরিকল্পনা রাখতে হবে। জাপানের ১৩০০ টি বিভিন্ন পৌরসভা এই প্রকল্পের অন্তর্গত রয়েছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গেছে যে এই প্রকল্পের জন্য অর্ধেক অর্থ জাপানের যে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে সেখান থেকে দেওয়া হবে এবং বাকি অর্ধেক অর্থ স্থানীয় পৌরসভাগুলির কাছ থেকে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistani Hindu: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    Pakistani Hindu: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের ইচ্ছাকে স্বাগত জানাল মোদি সরকার। প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের অনেকেরই শেষ ইচ্ছা থাকে মৃত্যুর পরে তাঁদের অস্থি যেন গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান থেকে অস্থি ভারতে আনা সহজ নয়। এই পরিস্থিতিতে  মোদি সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা যাতে মৃত ব্যক্তির অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারে তাই তাঁদের ১০ দিনের ভিসা দেওয়া হবে। মোদি সরকারের এই প্রয়াসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পাক হিন্দুরা।

    আগের নিয়ম

    এতদিন পর্যন্ত ভারত সরকারের নীতি ছিল, একজন মৃত পাকিস্তানি হিন্দুর পরিবারের সদস্যকে ভারতে আসার জন্য ভিসা দেওয়া হবে, যদি ভারতে বসবাসকারী তাঁর আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেউ তাঁকে স্পনসর করে। এমন পাকিস্তানি হিন্দুর সংখ্যা বেশ কম, যাঁদের আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভারতে থাকেন। করাচির সোলজার বাজারের শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দিরে শত শত মানুষের অস্থি রাখা রয়েছে। যাঁরা রেখেছেন, সেইসব পরিবারগুলির আশা এইসব দেহাবশেষ গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া যাবে। এব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা

    নয়া নিয়ম

    মোদি সরকারের নয়া নীতি অনুসারে,যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনের অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিতে চান, সেই সব হিন্দু পরিবারগুলি ১০ দিনের জন্য ভারতে আসার ভিসা পাবে। এইসময়ের মধ্যে তাঁদেরকে আচার-রীতি মেনে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দিতে হবে। ভারতে এসে সোজা উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে যেতে পারবে ওই পরিবারগুলি এবং ধর্মীয় আচার অনুযায়ী,গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দিতে পারবে। প্রথম পর্বে অন্তত ৪২৬টি পাকিস্তানি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রিয়জনের অস্থি হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর অস্থি যদি হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়, তাহলে তা স্বর্গের পথ পায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India vs Sri Lanka: ম্যাচের নায়ক শিবম মাভি! প্রথম টি-২০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ রানে হারাল ভারত

    India vs Sri Lanka: ম্যাচের নায়ক শিবম মাভি! প্রথম টি-২০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ রানে হারাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ হাসি হাসল টিম ইন্ডিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র দুই রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে (IND vs SL 1st T20) দিল ভারত। অভিষেক ম্যাচেই চার উইকেট নিয়ে নায়ক শিবম মাভি (Shivam Mavi)। ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান তোলে। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ঈশান কিষাণের ৩৭ রানের ইনিংস ছাড়াও, দীপক হুডা ও অক্ষর পটেল (Axar Patel) ষষ্ঠ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন। দীপক ৪১ ও অক্ষর ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ রানেই অল আউট হয়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। 

    ভারতের ইনিংস

    মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই টিম ইন্ডিয়ার ব্য়াটিং বিপর্যের ধারা চলে। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। এর পরেও পড়ে আরও ২ উইকেট। তবে দীপক হুডার অপরাজিত ৪১ (২৩ বলে) এবং অক্ষর প্যাটেলের ২০ বলে অপরাজিত ৩১ রান ভারতকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেয়। এ ছাড়া ওপেন করতে নেমে ইশান কিষাণ ৩৭ (২৯ বল) করেছিলেন। আর হার্দিক পাণ্ডিয়া ২৯ (২৭ বল) করেন। এর বাইরে বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেনি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত করে ১৬২ রান। শ্রীলঙ্কার দিলসন মাদুশঙ্কা, মহেশ থিকসানা, চামিকা করুণারত্নে, ধনঞ্জয় ডি’সিলভা,ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আইপিএলে ফিরছেন সৌরভ! দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর পদে আসছেন মহারাজ?

    শ্রীলঙ্কার ইনিংস

    ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারেই মাত্র এক রানে পাথুম নিসাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শিবম মাভি। নিজের পরের ওভারেই ধনঞ্জয় ডি সিলভাকেও ৮ রানে আউট করেন মাভিই। একদিকে যখন মাভি নতুন বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন, অপরিদকে সেখানে আরেক তরুণ ফাস্ট বোলার উমরান মালিকও পিছিয়ে ছিলেন না। তিনি চরিথ আসালঙ্কাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে তৃতীয় ধাক্কাটি দেন। পরের ওভারে কুশল মেন্ডিসকে ২৮ রানে ফেরান হার্ষাল পটেল। ৫১ রানেই চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।  তবে অধিনায়ক দাসুন শনাকার ২৭ বলে ৪৫ লঙ্কাকে লড়াইয়ে ফেরায়। এ ছাড়া চামিকা করুণারত্নে ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। হাসারঙ্গা ১০ বলে ঝড়ো ২১ রান করেন। যার ফলে জেতার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ওপেন করতে নেমে কুশল মেন্ডিসও ২৮ করেছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে অক্ষর পটেলের বিরুদ্ধে দ্বীপরাষ্ট্রের জয়ের জন্য ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল। ওভারের তৃতীয় বলে ছয় মারেন চামিকা। তিন বলে এই সময়ে শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল। প্রবল চাপের মুখে বল হাতে জ্বলে উঠেন অক্ষর। শেষ তিন বলে মাত্র দুই রান দেন তিনি। ম্যাচ জেতে ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share