Blog

  • Bhoot Chaturdashi: দীপাবলিতে ১৪ শাক, ১৪ প্রদীপ কেন ? কী কী থাকে ১৪ শাকে?

    Bhoot Chaturdashi: দীপাবলিতে ১৪ শাক, ১৪ প্রদীপ কেন ? কী কী থাকে ১৪ শাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়ার ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। উল্লেখ্য, ভূত চতুর্দশী চোদ্দ পুরুষকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ভূত চতুর্দশীর দিনে যে ১৪টি শাক খাওয়া হয়, সেগুলি হল, ওল, নটে, বেথুয়া, সরষে, কালকাসুন্দে, জয়ন্তী, নিম, হেলেঞ্চা, সজনে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা, শুলফা ও শুষণী শাক। এই শাক খেয়ে এবং সন্ধেবেলা ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে দুরাত্মা ও অন্ধকার দূর করার রীতি প্রচলিত আছে। 

    শাস্ত্রমতে, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পায়। যে জল দিয়ে ১৪ শাক ধোয়া হয়, সেই জল আবার অনেকে বাড়িতেও ছেটান। মনে করা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।  

    আরও পড়ুন: এই বছর একই দিনে ভূত চতুর্দশী ও দীপাবলি, এই তিথির মাহাত্ম্য জানেন?

    দুপুরে ১৪ শাক খাওয়ার পর সন্ধেবেলা জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী ও বৃদ্ধপ্রমাতামহী। এ ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ’। এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।  

    হিন্দুমতে মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত রাজা বলি ও তাঁর অনুচরেরা মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যার অন্ধকারে রাজা বলির অনুচরেরা যাতে পথ ভুলে বাড়িতে ঢুকে না-পড়েন, তাই এই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি প্রচলিত আছে। আবার অন্য একটি প্রথা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। এই চতুর্দশী তিথিতেই তাঁরা ফিরে যান। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • T20 World Cup 2022: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রূকুটি! খেলা কি হবে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

    T20 World Cup 2022: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রূকুটি! খেলা কি হবে অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণ। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। লক্ষাধিক আসনের মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে প্রিয় দলের হয়ে গালা ফাটাতে হাজির হবেন সমর্থকরা। তবে সেই উন্মাদনায় জল ঢালতে পারে অসুর বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার মেলবোর্নে (Melbourne) প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। ফলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শনিবারও সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবার তা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

    একদিকে কনকনে ঠান্ডা, তার সঙ্গে বৃষ্টি, সাঁড়াশি আক্রমণে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা কিছুটা ফিকে হওয়ার কথা। তা না হয়ে উন্মাদনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। কারণ, এটা আর সাধারণ ম্যাচ নয়। যেখানে জড়িয়ে রয়েছে দুই দলের কূটনৈতিক সম্পর্ক। তার উপর ২০২৩ সালে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না বলেছে ভারতীয় বোর্ড। তা নিয়েও জোর লড়াই শুরু হয়েছে দুই বোর্ডের মধ্যে। যা প্রভাব ফেলেছে এই ম্যাচেও।

    আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর দুদিন ধনতেরাসের যোগ! জানুন কখন ঘরে আনবেন সোনা-রুপো

    একটা সময় বিশ্বকাপে ভারতেরই প্রাধান্য ছিল। তবে বিগত কয়েক বছরে ছবি অনেকটাই বদলেছে। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সম্প্রতি এশিয়া কাপের আসরে সুপার ফোরের লড়াইয়ে পাক বাধা টপকাতে ব্যর্থ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তাই ডনের দেশে রোহিতরা এবার বদলার সুযোগ খুঁজছেন। দারুণ ছন্দে আছে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা। প্রস্তুতি ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে শেষ মুহূর্তে দলে আসা মহম্মদ শামিও। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধ ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন। তাঁর যুক্তি, মেলবোর্নের মাঠ অনেক বড়। ক্রিকেটারদের বেশি করে লোড নিতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ভালো। তাই রোহিতরা এগিয়ে।’

    অস্ট্রেলিয়ার পিচে সাধারণত পেসাররা সুবিধা পায়। মেলবোর্নে কিন্তু পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ভারতের প্রথম এগারজনের দলে দু’জন স্পিনার থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। শাহিন আফ্রিদিদের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা সাফল্য পান কিনা, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhanteras: ধনতেরাসে দুর্ভাগ্য এড়াতে কী করবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়ও

    Dhanteras: ধনতেরাসে দুর্ভাগ্য এড়াতে কী করবেন? জেনে নিন সৌভাগ্য ফেরানোর উপায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ধনতেরাস (Dhanteras)। এক সময় এটি পালিত হত মূলত অবাঙালিদের মধ্যে। বর্তমানে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি পালন করেন বাঙালিরাও। দিনটি ধন ত্রয়োদশী। লোকমুখে হয়ে দাঁড়িয়েছেন ধনতেরাস। এই দিনে ধাতু কিনে ঘরে রাখা মঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়। তবে এই দিনে খালি বাসন কিনতে নেই। বাসন কিনলে কিনতে হবে অন্য কিছুও। জেনে নিন, পবিত্র এই দিনে কী করবেন। দুর্ভাগ্য (Bad Luck) এড়িয়ে কীভাবে ফেরাবেন সৌভাগ্য (Good Luck)। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় ধনতেরাস (Dhanteras)। চলতি বছর ধনতেরাস পালিত হবে রবিবার। তবে যেহেতু ত্রয়োদশী পড়ে গিয়েছে শনিবারই, তাই এবার ধনতেরাসের কেনাকাটা করা যাবে দুদিন ধরে।

    ধনতেরাসে (Dhanteras) অনেকেই সোনা কিংবা রুপো কেনেন। এই মূল্যবান ধাতু কিনে মা লক্ষ্মীর সিংহাসনে রেখে দেন। পরের বছর নতুন ধাতু কেনার পর এই ধাতু সরিয়ে নেওয়া হয়। যাঁদের ইচ্ছে থাকলেও, সোনা কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁরা এই দিনে কাঁসা কিংবা পিতলের বাসনপত্রও কেনেন। তবে মনে রাখবেন, কিনে খালি বাসন নিয়ে ঘরে ঢুকবেন না। কলসি কিংবা বালতি কিনলে তাতে জল কিংবা চাল ভরে ঘরে ঢুকবেন। এই জল গঙ্গার হলে ভাল হয়। নিতান্তই তা করতে না পারলে অন্তত জলাশয়ের জল ভরে নিন। সেই জলও না মিললে চাল ভরে নিন। আতপ চাল হলেই ভাল হয়। না হলে সিদ্ধ চালই সই। কলসি কিংবা বালতি না কিনে যদি বাসনকোসন কেনেন, তাহলে তাতেও চাল ভরে নিন। মধু কিংবা দুধ ভরেও বাড়ি ফিরতে পারেন। এসবের চেয়ে ভাল হয় যদি সাত ধরনের অন্ন ভরে ঘরে ফিরতে পারেন। বিশ্বাসীদের মতে, কৃষ্ণতিল, যব, মাসকলাই, ধান, ছোলা, সাদা সর্ষে এবং মুগের ডাল ভরে তবেই ঘরে ঢুকুন। এই সাতটি অন্নই সৌভাগ্যের প্রতীক।

    আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর দুদিন ধনতেরাসের যোগ! জানুন কখন ঘরে আনবেন সোনা-রুপো

    জ্যোতিষীদের মতে, এদিন (Dhanteras) মিশ্র কোনও ধাতুর জিনিসপত্র না কেনাই ভাল। লোহার জিনিস কিনবেনই না। কিনবেন না স্টিলের বাসনকোসনও। চলবে না প্লাস্টিকও। আসলে এগুলির কোনওটাই অর্থকরী নয়। তাই বোধহয় এগুলি কিনতে বারণ করা হয়েছে। তার চেয়ে শুদ্ধ ধাতুর জিনিস কিনুন। মনে রাখবেন, ধর্মের মোড়কে সঞ্চয়ের এহেন দিশা বোধ হয় অন্য কোনও ধর্মেই নেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UK Prime Minister: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে ঋষিকে সরে দাঁড়াতে ‘চাপ’ দিচ্ছেন বরিস?

    UK Prime Minister: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে ঋষিকে সরে দাঁড়াতে ‘চাপ’ দিচ্ছেন বরিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ষা করতে হবে দলকে। তাই প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) দৌড় থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) সরে দাঁড়াতে বললেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। ফের তাঁকেই যেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, জানালেন সেই আর্জিও। দুই ‘হুজুরের এই গপ্পো’র কথা জানা গিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই।

    মাত্র ছ সপ্তাহ আগেই বরিসকে সরিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) হন লিজ ট্রাস। চলতি বছরের জুলাই মাসে ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন বরিস। ব্রিটিশ অর্থ দফতরের প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের বিদ্রোহের জেরেই ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বরিস। তার পর থেকেই ঋষির ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে চলে আসেন ঋষি। তবে ঋষির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান বরিস স্বয়ং। ঋষির বদলে লিজ ট্রাসই যে তাঁর প্রথম পছন্দ, দলের অন্দরে তা জানিয়ে দেন বরিস। তাঁর পছন্দের তালিকায় পেনি মর্ডান্ট রয়েছেন বলেও জানান বরিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় কনজারভেটিভ পার্টি ভাগ হয়ে যায় বরিস-ঋষি দুই শিবিরে। এর পর ঋষিকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন লিজ।

    আরও পড়ুন: এবার কি ভাগ্য প্রসন্ন হবে সুনকের? জানুন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আরও কারা

    সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন তিনিও। এবারও ফের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে চলে এসেছেন ঋষি-বরিস। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বরিস ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) পদ থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির মুখ বাঁচাতেই এটা করা প্রয়োজন বলেও রবিস জানিয়েছেন ঋষিকে। একটি সংবাদ মাধ্যমের আবার দাবি, অনুরোধ নয়, বরিস ঋষিকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও বিরোধীরা এখনই সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, মাত্র ছ সপ্তাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লিজ। জানা গিয়েছে, এবার থেকে তিনি ভাতা বাবদ বছরে ১.০৫ কোটি টাকা করে পাবেন। তবে তাঁর এই ভাতা না নেওয়াই উচিত বলে মনে করেন লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার। তিনি বলেন, লিজ মাত্র ৪৪ দিন অফিস করেছেন। তাই এই ভাতা তাঁর প্রাপ্য নয়। তাঁর উচিত এটা না নিয়ে ফেরত দিয়ে দেওয়া।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shivraj Patil:  ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?   

    Shivraj Patil:  ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাকে পড়ে প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ পাতিলের (Shivraj Patil) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল কংগ্রেস (Congress)। গীতা (Gita) নিয়ে শিবরাজের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। রমেশের পাল্টা দাবি, ভারতীয় সভ্যতার মূল ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ হল শ্রীমদ্ভগবদগীতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া (Discovery of India) গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরে রমেশ ট্যুইট বার্তায় গীতার বিশ্বজনীনতার কথাও উল্লেখ করেন।

    বৃহস্পতিবার বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতা শিবরাজ (Shivraj Patil) বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের (Jihad) উল্লেখ রয়েছে গীতায়ও। খ্রিস্টান ধর্মেও জিহাদের কথা রয়েছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শিবরাজের এই মন্তব্যের পরে পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, শিবরাজের এই মন্তব্যের দায় নেওয়া উচিত কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং নবনির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। সূত্রের খবর, তার পরেই শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয় কংগ্রেস। ট্যুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রমেশ। তিনি লেখেন, আমার প্রবীণ সহকর্মী শিবরাজ পাতিল (Shivraj Patil) গীতা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট। গীতা ভারতীয় সভ্যতার প্রধান ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ। এর পরেই নেহরুর ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়ার একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরেন রমেশ।

    অন্য একটি ট্যুইটে রমেশ বলেন, ঘটনচক্রে আমি কৈশোরে গীতা পড়েছি। এটি একটি সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক পুস্তক। ভারতীয় সমাজে এর প্রভাব পড়েছে যুগের পর যুগ ধরে। তবে রমেশের এই কথায় যে চিঁড়ে ভিজছে না, তার প্রমাণ মিলল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সেহজাদ পুন্নাওয়ালার কথায়। তিনি বলেন, কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।

     

    আরও পড়ুন: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Agni: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    Agni: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নি প্রাইম (Agni Prime) নিউ জেনারেশন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Ballistic Missile) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত (India)। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশা উপকূলের অদূরে হয় এই উৎক্ষেপণ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেই এ খবর জানা গিয়েছে। অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণের জেরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক লপ্তে অনেকখানি এগিয়ে গেল ভারত। এদিন পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় অগ্নি (Agni) প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্রটি এর সর্বোচ্চ পাল্লা পর্যন্ত যায়। পরীক্ষার সমস্ত দিকগুলি সফলভাবে পাশ করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এনিয়ে তৃতীয়বার সফল্যের গণ্ডী পার হল অগ্নি প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র। নিখুঁত এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে লক্ষ্যে আঘাত আনতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

    অগ্নি-৫ এর নেভিগেশন সিস্টেম অত্যাধুনিক। এই ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে দু’ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম। প্রথমটি রিনস (RINS) এবং দ্বিতীয়টি মিনস (MINS)। ১ থেকে ৫ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর রক্ষণাবেক্ষণও ঢের কম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, অগ্নি (Agni) প্রাইমের পারফরমেন্স খুবই ভাল। উৎক্ষেপণের শুরু থেকে প্রতিটি মুহূর্তের জার্নি রাডার, টেলিমেট্রি এবং ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং স্টিস্টেম দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের পর অগ্নি প্রাইমের পুরো গতিপথের ওপর নজর রেখেছিল দুটি ডাউন রেঞ্জ জাহাজ।

    জানা গিয়েছে, অগ্নি (Agni) প্রাইম পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম। এটির প্রথম পরীক্ষা করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ২০২১ সালের জুন মাসে হয় প্রথম উৎক্ষেপণ। ওই বছরেরই ডিসেম্বরে হয় দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ। শুক্রবার হল তৃতীয় উৎক্ষেপণ। অগ্নি (Agni) সিরিজের নয়া প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি প্রাইম (Agni Prime) । এক থেকে দু হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আঘাত করতে সক্ষম এই অগ্নি প্রাইম। অত্যন্ত হালকা মিশ্র ধাতুতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নি ৩ এর থেকে এর ওজন প্রায় ৫০ শতাংশ কম। জানা গিয়েছে, অগ্নি প্রাইমের পাল্লার মধ্যে অনায়াসেই চলে আসছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের অনেকটা অংশ।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Chinese Monk:  বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    Chinese Monk: বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর পরনে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক। মাথায় চুল ছোট করে কাটা। দেখে মনে হবে যেন সন্ন্যাসিনী। সাধনাই তাঁর পথ। বোঝার উপায় নেই এই সহজ জীবনযাত্রার আড়ালে গত তিন বছর ধরে তিনি চিনের হয়ে গুপ্তচরের (China Spy)কাজ করছেন। পরিচয় দিচ্ছেন তিনি নেপালি ভিক্ষুক। দিল্লি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, তিব্বতের রিফিউজিদের মধ্যে বসবাস করছিলেন এক চিনা মহিলা। গত তিন বছর ধরে সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরে কাজ করছিলেন তিনি। গত সোমবার তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ ধরে ভারতে থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেদারনাথ মন্দিরে পুজো করলেন মোদি, শিলান্যাস করলেন রোপওয়ের

    পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায় তিব্বতিদের শরণার্থী শিবির থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার পরিচয়পত্র ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর নাম দোলমা লামা। তিনি প্রথমে নিজেকে নেপালের নাগরিক বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে বাড়ি তাঁর। তবে পুলিশের দাবি, আদতে ওই মহিলার নাম কাই রুয়ো। ‘ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ (এফআরআরও) সূত্রে দাবি করা হয়েছে, চিনা পাসপোর্ট নিয়ে ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন কাই রুয়ো। তার পর নেপালি সন্ন্যাসিনী পরিচয় নিয়ে উত্তর দিল্লিতে থাকা শুরু করেন ওই মহিলা। ওই চিনা নাগরিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তিনটি ভাষা জানেন তিনি। ইংরাজি, নেপালি ও ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে পারেন ওই মহিলা। 

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    জেরায়, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে তিনি জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল। তবে সেই জন্যই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ওই চিনা মহিলা। ভারতে কি চরবৃত্তির জন্যই এসেছিলেন ওই মহিলা? কেনই বা সাধু সেজে নিজেকে নেপালের বাসিন্দা বলে দাবি করলেন তিনি? ঠিক কী উদ্দেশ্যে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। তাঁদের দাবি, ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kali Puja: জানুন রঘু ডাকাতের কালী পুজোর গল্প

    Kali Puja: জানুন রঘু ডাকাতের কালী পুজোর গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার কোনও ডাকাত দলের সর্দারের নাম বলুন তো? যে কাউকে এই প্রশ্ন করলে মনের মধ্যে ভেসে ওঠে ‘রঘু ডাকাত’ নামটা। রঘু ডাকাত নামে কত উপন্যাস কত গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এক কথায় বোঝাতে গেলে বলতে হয় যে, এই নামটি একটি মিথ হয়ে রয়েছে। কিন্তু জানেন কি? রঘু ডাকাত মাত্র একজন ছিল না। বর্ধমান থেকে হুগলি, কলকাতা থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনার জঙ্গলগুলোতে একাধিক রঘু ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রত্যেক রঘু ডাকাত-ই মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত। কালী আরাধনার (Kali Puja) পরেই তারা ডাকাতি করতে যেত। 

    খগেন্দ্রনাথ মিত্র এবং যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর লেখা থেকেই রঘু ডাকাত সম্পর্কে নানা রোমাঞ্চকর তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, নৈহাটির রঘু ডাকাতের কথা। সে সময় নৈহাটি থানার দারোগা ছিলেন দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দারোগাবাবু অনেক চেষ্টা করেও আয়ত্তে আনতে পারছিলেন না রঘু ডাকাতকে। শায়েস্তা করতে পারছিলেন না এই ডাকাতকে। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন যেভাবেই হোক রঘু ডাকাতকে তিনি ধরবেন। হঠাৎ করেই কিছুদিন পর দারোগা বাবুর কাছে একটি চিরকুট এলো। তাতে লেখা রয়েছে, ‘খুব শীঘ্রই আপনার সঙ্গে আমার দেখা হবে দারোগা বাবু’। তলায় লেখা, ইতি আপনার সেবক রঘু‌। 

    আরও পড়ুন: জনশ্রুতি, তাঁর নামেই হয়েছে রানাঘাট শহরের নামকরণ, জানুন রণ ডাকাতের কালীপুজোর গল্প

    এর বেশ কিছুদিন পর এলাকার জমিদার বাবুর নাতির অন্নপ্রাশন। আমন্ত্রিত হয়েও উপস্থিত থাকতে পারেননি দারোগা বাবু। একদিন দুপুরে আহারের পর নিজের চেয়ারে বসে ভাত ঘুম দিচ্ছিলেন দারোগা বাবু‌। সে সময় হঠাৎ এক জেলে উপস্থিত হল দুই হাতে দুটো মাছ নিয়ে এবং নিজের ধুতিতে বেঁধে রাখা এক টুকরো কাগজ বের করে দারোগা বাবুকে দিল যেখানে লেখা ছিল – ‘আমার নাতির অন্নপ্রাশনে আপনি আসতে পারেননি তাই আপনাকে দুটো বড় মাছ পাঠালাম।’ তলায় ছিল জমিদার বাবুর স্বাক্ষর। বেশকিছু দিন পর আবার একটি চিরকুট পেলেন দারোগা বাবু‌। তাতে লেখা রয়েছে – “আপনার সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল, মাছ দুটো কেমন খেলেন?” 

    অন্য কিছু জায়গায়, রঘু ডাকাতের প্রচলিত কাহিনী থেকে জানা যায় যে, তার বাবাকে নীলকর সাহেবরা হত্যা করেছিল। এই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাকি সে ডাকাত হয় এবং নীলকর সাহেবদের লুঠ করে তা গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করত। অর্থাৎ বাঙালির রবিনহুড বলতে গেলে সেটা রঘু ডাকাত-ই। জনশ্রুতি রয়েছে, হুগলির রঘু ডাকাত নাকি একবার সারদা মায়ের পথ আটকে ছিল সিঙ্গুরের কাছে। এরপর ভীষণ দর্শনা মা কালী প্রকট হলে, রঘু ডাকাত সারদা মায়ের কাছে ক্ষমা চায়। মাকে রাতে চালকড়াই ভাজা খেতে দেয়। 

    আরও পড়ুন: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    অপর এক রঘু ডাকাত বারাসাতের জঙ্গলে থাকত বলে জানা যায়। তার কালীপুজো (Kali Puja) আজও ধুমধাম করে হয়। বারাসাত শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে কাজিপাড়া অঞ্চলে এই পুজো হয়, বটগাছের ঝুরি দ্বারা ঘেরা ভগ্ন এক মন্দিরে। স্থানীয়রা এই কালীকে জাগ্রত বলে মনে করেন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠেও নাকি রঘু ডাকাত কালী পুজো করত। তারপর ডাকাতির উদ্দেশ্যে সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অভিযান চালাত। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রঘু ডাকাত বৈষ্ণব ছিল তবুও সে শক্তির উপাসনা করত। সাধক রামপ্রসাদের সঙ্গেও রঘু ডাকাতের সাক্ষাতের কথা প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে, রঘু ডাকাতের কালী পুজোতে নরবলি হতো, তারপরে রঘু ডাকাত ল্যাটা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে ডাকাতি করতে যেত।

  • Kedarnath Temple: কেদারনাথ মন্দিরে পুজো করলেন মোদি, শিলান্যাস করলেন রোপওয়ের

    Kedarnath Temple: কেদারনাথ মন্দিরে পুজো করলেন মোদি, শিলান্যাস করলেন রোপওয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) মন্দিরের পর এবার উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ (Kedarnath Temple)। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য আরও একটি প্রকল্প। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে করিডর প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মন্দির থেকে গঙ্গার পাড় পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে করিডর। প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল ২০১৯ সালে। পরে হয় উদ্বোধন।

    বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডর উদ্বোধনের পর এবার কেদারনাথ মন্দিরে (Kedarnath Temple) রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মোদি। রোপওয়ে হবে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত। শুক্রবার এই প্রকল্পেরই শিলান্যাস করেন মোদি। করেন কেদারনাথের পুজোও। এদিন পাহাড়বাসীর ঐতিহ্যবাহী সাদা রংয়ের একটি পোশাক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পোশাকে আঁকা ছিল স্বস্তিকা চিহ্ন। কেদারনাথের পাশাপাশি এদিন তাঁর বৈদ্যনাথ মন্দির দর্শনেও যাওয়ার কথা। দু দিনের এই সফরে উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ খতিয়ে দেখবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বেশ কয়েকটি নয়া প্রকল্পের। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেরাদুন বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় ভাট।

    এদিন মন্দিরে (Kedarnath Temple) গিয়ে প্রথমে ভগবান কেদারনাথের পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শিলান্যাস করেন ৯.৭ কিমি দীর্ঘ গৌরীকুণ্ড-কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের। এই রোপওয়ে ব্যবহার করে পুণ্যার্থীরা গৌরীকুণ্ড থেকে মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ মন্দিরে। পুজো দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন পুরোহিত। মন্দির থেকে প্রধানমন্ত্রী যান আদি গুরু শঙ্করাচার্যের সমাধিস্থল দর্শনে। সেখানে কিছুক্ষণ সময়ও কাটান তিনি। পরে যাওয়ার কথা বৈদ্যনাথ ধামে। সেখানে উন্ননয়মূলক বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। রোপওয়ে ও রাস্তার কাজের যে শিলান্যস এদিন দুপুরে করেন মোদি, সেজন্য খরচ হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অ্যারিভ্যাল প্লাজা এলাকায় সৌন্দর্যায়নের কাজও খতিয়ে দেখার কথা প্রধানমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এনিয়ে ছ বার কেদারনাথ দর্শনে গেলেন মোদি। আর বৈদ্যনাথ ধামে গেলেন দ্বিতীয়বার।

     

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyclone Sitrang: আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং! সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী, চলছে মাইকিং

    Cyclone Sitrang: আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং! সতর্ক উপকূলরক্ষী বাহিনী, চলছে মাইকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসাবে শুক্রবার সকাল থেকেই মাঝসমুদ্রে গিয়ে মাইকিং শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে ব্যস্ত তাঁরা। সকাল থেকেই দেখা যায় মাইক হাতে চলছে কড়া নজরদারি৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। কালীপুজোর পরের দিন মঙ্গলবার সিত্রাং এর প্রভাবে শুরু হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সর্বশক্তি দিয়ে  আগামী ২৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে বা  বিকেলে ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office)।

    আরও পড়ুন: ওড়িশা ও গুজরাট থেকে গ্রেফতার পাণ্ডে ভাইয়েরা! শিবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের থেকে কী জানতে চায় পুলিশ?

    মৌসম ভবন জানায়, ইতিমধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি সোমবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আইএমডি সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের  সতর্কতা হিসেবে মৎস্যজীবীদের রবিবারের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মাঝসমুদ্রে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাহিনী।  নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কিভাবে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    নদী উপকূল জুড়েও চলছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মাইকিং ও টহলদারি। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। সুন্দরবনে পর্যটনে ব্যবহৃত জলযানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সবকিছু সামাল দিতে নদী ও সমুদ্রযানের পাশাপাশি কোস্টগার্ড আকাশযানও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কণ্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share