Blog

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    Russia Ukraine War: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War) কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় একথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।এদিন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এই যুদ্ধের প্রভাব যে বিশ্বজুড়ে পড়বে, তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বাস করে আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ রাশিয়া ইউক্রেন কোনও দেশকেই দীর্ঘস্থায়ী কিছু দেবে না। এতে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না। সমস্যার সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসতে অনুরোধ করেছেন।

    মোদি বলেছিলেন…

    যুদ্ধ (Russia Ukraine War) যে কোনও স্থায়ী সমাধান নয়, তা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। গত সেপ্টেম্বরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। রশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে উদ্যোগী হতে পুতিনকে উৎসাহিতও করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    রশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) ব্যাপক প্রভাব যে বিশ্বজুড়ে পড়বে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন ভারতের  বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, যুদ্ধের প্রভাব পড়বে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের ক্ষেত্রে। এটা যে একটা উদ্বেগের বিষয়, তাও জানান তিনি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে ভারত যে দুই দেশকেই নিরন্তর বলে যাচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। আলোচনা ও কূটনৈতিক পথেই যে যুদ্ধে ইতি টানা যেতে পারে, জানান তাও।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এদিন ভারত-অস্ট্রিয়ার দৃঢ় বন্ধনের ওপর জোর দেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগ চুক্তি এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটরস এগ্রিমেন্ট করতে অস্ট্রিয়ার সমর্থনও চান জয়শঙ্কর। এই চুক্তিগুলির ইতিবাচক প্রভাব যে দুই দেশের অর্থনীতিতে পড়বে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত-অস্ট্রিয়ার বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতে ব্যবসা করছে দেড়শোরও বেশি অস্ট্রিয়ান কোম্পানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কুড়ি বছরে অসমে এই প্রথমবার। ২০২২ সাল জুড়ে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি এই রাজ্যে।

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কী বললেন  

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “বিভিন্ন টেকনোলজির সাহায্য আমরা নিয়েছি যাতে গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) বন্ধ করা যায়। বন্য কর্মীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। তার সঙ্গে বিশেষ কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছিল। সম্মিলিত এই চেষ্টার ফলেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, যেটি গত কুড়ি বছরে প্রথম”।
    প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে এটি ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়তো প্রথম যেখানে বছরে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি। সরকারি রিপোর্ট বলছে, শেষবারের মতো বেআইনি গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) খবর পাওয়া গেছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর খিলাকুন্দা নামক স্থানে, যেটি গোলাঘাট জেলায় অবস্থিত।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) রোধে টাস্ক ফোর্স গঠন
     

     

    ২০২১ সালের জুন মাসে অসম সরকার একটি টাস্ক ফোর্স নির্মাণ করে মোট ২২ জনকে নিয়ে। যার প্রধান করা হয় অসম পুলিশের ডিজিপিকে। সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়ন করা হয় এই বেআইনি শিকার (Rhino Poaching) আটকানোর জন্য।

    এই টাস্ক ফোর্সে ১১ টি জেলার পুলিশ সুপারকে এবং  ৬ টি বনবিভাগের আধিকারিককে রাখা হয়। এই টাস্ক ফোর্স মূলত গোলাঘাট, নওগাঁ, করবি অঙ্গলং, বিশ্বনাথ, শান্তিপুর, দারং, মরিগাও, বক্সা, চিরাং, বারপেটা এবং মাজুলী জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) অসমে একটা ধারাবাহিক অপরাধ হয়ে উঠেছিল ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ। ওই সময়ের মধ্যে ২৭ টি গন্ডার শিকারের খবর সামনে আসে। ২০১৬ সালে ১৮ টির বেশি গন্ডারকে শিকার (Rhino Poaching) করা হয়, অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে এখন বর্তমানে ২৬১৩ টি গন্ডার রয়েছে এবং এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, যারা শিকার (Rhino Poaching) করে তাদের কাছে একটা ভুল ধারণা থাকে যে গন্ডারের শিং এর থেকে ওষুধ তৈরি হয় এবং তার একটা ব্যাপক আর্থিক মূল্য রয়েছে কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Victoria Waterfall: পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের মাথায় একেবারে কিনারায় শুয়ে মহিলা! দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিও

    Victoria Waterfall: পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের মাথায় একেবারে কিনারায় শুয়ে মহিলা! দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি ভাইরাল ভিডিও তাতে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বের সবথেকে উঁচু জলপ্রপাত, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের (Victoria Waterfall) একেবারে ধারে ঝুঁকে পড়েছেন একজন মহিলা পর্যটক।

    আরও পড়ুন: ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’, হাওয়াই- এর মাউনা লোয়া অগ্নুৎপাতের কিছু স্বর্গীয় ছবি দেখে নিন

    জলপ্রপাতের গহ্বরও দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওতে। খুবই সাহসিকতার কাজ এতে কোনও সন্দেহ নেই, তবে ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণও বটে।

    আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    ৩৫৫ ফুট উচ্চ এই ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত (Victoria Waterfall) পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: জাপান সরকারের অফার! টোকিও ছাড়লেই নাগরিকরা পাবেন ১০ লক্ষ ইয়েন, কেন জানেন

    ওই মহিলা এমনভাবে ভিডিও করছেন যে ,সামান্য এদিক-ওদিক হলে একেবারে ৩৫৫ ফুট নীচে পড়ার আশঙ্কা ছিল তবুও ওই পর্যটক এসব কিছুকে উপেক্ষা করে  সাহসিকতার সঙ্গে ওই ভিডিও শ্যুটিং করতে থাকেন।

    ভিডিওটি কীভাবে ভাইরাল হল

    এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে  ট্যুইটারে, weird and Terrifying এই নামের প্রোফাইল থেকে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এই ভিডিওটি পোস্ট হয়, যেটি এখনো পর্যন্ত ৬ কোটি ৬৮ লক্ষ মানুষ দেখেছেন এবং সাড়ে ১৬ হাজার মানুষ এই রিট্যুইট করেছেন। ৯০০০ এর উপরে কমেন্ট এসেছে এই ভাইরাল ভিডিওতে এবং ২ লক্ষের উপর মানুষ এটিকে লাইক করেছে।

    একজন কমেন্ট করছেন, “আমার মেয়েও গত বছরে এই অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছে”। 

    জনৈক মহিলা কমেন্ট করছেন , “আমার স্বামী আমাকে ওখান থেকে কয়েকদিন আগেই ঘুরিয়ে এনেছে, তোমার পা কেউ ধরে থাকলে ভালো হবে”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Air India: বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব মদ্যপ ব্যক্তির! এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    Air India: বিমানে বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব মদ্যপ ব্যক্তির! এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে সহযাত্রীর সঙ্গে ফের অভব্য আচরণের অভিযোগ। এক মহিলা সহযাত্রীর গায়েই প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই পুরুষ যাত্রীটি মদ খেয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানের বিজনেস ক্লাসে ছিলেন বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা। সেই বৃদ্ধার গায়েই প্রস্বার করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল ডিজিসিএ। এই ঘটনায় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ২৬ নভেম্বরের। সেই বৃদ্ধা দাবি করেছেন, বিমানের বিজনেস ক্লাসে আচমকাই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন এক ব্যক্তি। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমন্ত থাকার কারণে ঘটনাটি সকলের নজর এড়িয়ে যায়। বিমানের কর্মীদের এই ঘটনা জানালে তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে পরিষ্কার জামাকাপড় পরে ঘুমিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন মুখ না খোলেন, সেই কথাও বলা হয় বৃদ্ধাকে। এমনকী সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত পোশাক খুলে প্রকাশ্যেই তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন। প্রস্রাবের পরেও পোশাক খোলা অবস্থায় সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। আর এই অভিযোগ ঘিরেই এবারে ক্ষোভে ফুঁসছে নেটপাড়া।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    রিপোর্ট তলব ডিজিসিএ-র

    এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায়, টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে চিঠি লিখেছেন ওই বৃদ্ধা। তিনি বলেন, “এরকম জঘন্য ঘটনা সত্ত্বেও কর্মীদের তরফে কোনও রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত ঘটনা সকলকে জানাতে হয়।” চিঠি পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটিও গঠন করা হয় এবং অভিযুক্ত যাত্রীকে নো ফ্লাই লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকারি একটি কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করছে।” এর পর বুধবার ডিজিসিএর (DGCA) তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা ইতিমধ্যেই বিমান সংস্থার কাছে গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। যাত্রীর প্রতি অবহেলার অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

  • Sultanpuri Accident: অঞ্জলিকে ফেলে পালিয়েছিলেন! সেই বান্ধবীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি মহিলা কমিশনের

    Sultanpuri Accident: অঞ্জলিকে ফেলে পালিয়েছিলেন! সেই বান্ধবীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিং-এর মৃত্যুর ঘটনায় শিউরে উঠেছে দিল্লি সহ গোটা দেশ। সেদিন রাতে অঞ্জলির স্কুটিতে ধাক্কা মেরে প্রায় ১২ কিমি পথ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আর এবার অঞ্জলির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর বান্ধবী নিধি।  আর এতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

    জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে অঞ্জলির সঙ্গে স্কুটিতে নিধিও ছিলেন সেখানে। কিন্তু তিনি ভয়ে, আতঙ্কে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, সেদিন রাতে অঞ্জলি নেশা করেও ছিলেন। আর নিধির এই সব দাবিতে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, নিধির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। কারণ তিনি সেদিন তাঁর বন্ধুকে না বাঁচিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! তরুণীকে ধাক্কা মেরে ১২ কিমি পথ ‘টেনে হিঁচড়ে’ নিয়ে গেল গাড়ি! তারপর…

    এই ঘটনায় কী কী তথ্য জানা গিয়েছে?

    ১) বর্ষবরণের রাতে এই দুর্ঘটনার পর প্রথমে মনে করা হয়েছিল, অঞ্জলি সিং একাই স্কুটিতে ছিলেন। কিন্তু পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, স্কুটিতে অঞ্জলির সঙ্গে আরও এক তরুণী ছিলেন। পরে জানা যায়, তিনি অঞ্জলি সিং-এরই বান্ধবী নিধি।

    ২) নিধি গতকাল দাবি করেছেন, বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলি নেশা করেছিলেন ও অঞ্জলি স্কুটি চালানোর জন্য জোর করেছিলেন, তাই নিধি স্কুটির পিছনে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমনকী নিধিকে হুমকিও দিয়েছিলেন যে স্কুটি চালাতে না দিলে অঞ্জলি গাড়ি থেকে লাফ দেবেন। আর স্কুটি চালানো নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল।

    ৩) এছাড়াও অঞ্জলি ও তাঁর বন্ধু নিধি যে হোটেলে গিয়েছিলেন, সেখানকার ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে নিধি ও অঞ্জলি মারামারি করছিলেন। ম্যানেজার বলেন, “তারা দুজনেই ঝগড়া করছিলেন। আমি যখন তাঁদের মারামারি করতে না বলেছিলাম, তখন তাঁরা নীচে নেমে মারামারি শুরু করেন, তারপর তাঁরা দুজনেই একটি স্কুটারে চলে যায়।”

    ৪) আবার জানা গিয়েছে, তাঁরা হোটলে কিছু ছেলেদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। যাদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    ৫) অভিযুক্তরা আগে জানিয়েছিলেন যে, তাদের গাড়িতে যে অঞ্জলি আটকে ছিলেন তা জানতে পারেনি তারা। কিন্তু নিধি দাবি করেছেন, ওরা সব জেনে বুঝে এই অপরাধ করেছে। অঞ্জলি চিৎকার করছিলেন। তা সত্ত্বেও ওরা গাড়ি থামায়নি। ভয় পেয়ে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়েই ওখান থেকে চলে আসেন।

    ৬) নিধি জানিয়েছেন, সেদিন গাড়িতে উপস্থিত ৫ জনও নেশা করেছিলেন। এর পর অঞ্জলিকে স্কুটি চালাতে দেওয়ার পরেই অভিযুক্তরা তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা দেয়।

    পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, অঞ্জলির এই বান্ধবীর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল নিধি ও হোটেল ম্যানেজারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, যে তাঁর বান্ধবীকে বিপদে ফেলে চলে যেতে পারেন, তাঁকে বিশ্বাস করা যায় কি? তিনি আরও বলেন, “মেয়েরা যদি নেশা করে মারামারি করত তাহলে পুলিশ ডাকত, রাতে হোটেল থেকে বের করা হল কেন? নেশার প্রমাণ কি? STOP VICTIM SHAMING!”  

  • Biplab Deb: ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বাড়িতে লুঠপাট, আগুন, কারা লাগাল জানেন?

    Biplab Deb: ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বাড়িতে লুঠপাট, আগুন, কারা লাগাল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির  (BJP) বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আগুন লাগানোর আগে লুঠপাট চালানো হয় বাড়িটিতে। করা হয় ভাঙচুর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার উদয়পুরে, বিপ্লব দেবের পৈত্রিক ভিটেতে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

    বিজেপির অভিযোগ…

    ত্রিপুরা বিজেপির অভিযোগ, বিপ্লব দেবের পৈত্রিক বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফি বছর বিপ্লব দেবের এই পৈত্রিক ভিটেতে তাঁর বাবা হিরুধন দেবের স্মৃতিতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। বুধবার সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্বয়ং বিপ্লব দেবের। তার আগেই এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা যখন বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) বাড়িতে হামলা চালায়, তখন সেখানে কেউ ছিলেন না। তাই ঘটেনি হতাহতের কোনও ঘটনা। তবে ওই সময় কয়েকজন পুরোহিত যাচ্ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ওই পুরোহিতদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁদের যানবাহন ভেঙে দেওয়া হয়।

    তাঁদের আর্ত চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তার আগেই অবশ্য চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার আগে তারা স্থানীয়দের কয়েকটি দোকানও ভাঙচুর করে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের বিশাল বাহিনী। পৌঁছান পুলিশের এসডিপিও নিরুপমা দেববর্মা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাঞ্জন রায়। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে বিপ্লব দেবকে (Biplab Deb) দেওয়া হয় সংগঠনের কাজ। বিজেপির তরফে তাঁকে করা হয় হরিয়ানার পর্যবেক্ষক। গত বছর মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। তাঁর জায়গায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক সাহা। সেই বিপ্লবের বাড়িতেই এদিন তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    West Bengal Weather: উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারদ নিম্নমুখী। হু হু করে নামছে পারদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উত্তুরে হাওয়ার কাঁপছে বাংলা। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। কুয়াশার দাপটও দেখা যাচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি হলেও আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও ২-৪ ডিগ্রি কমার কথা বলা হয়েছে। কুয়াশার দাপট সকালে থাকলেও দিনে রোদ উঠতে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বৃহস্পতিবারের পরই। সে ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের শেষে এই মরশুমের প্রথম জাঁকিয়ে শীতের স্পেল পেতে চলেছে কলকাতা। আজ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং ১৪ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে ঠান্ডা বাড়বে আগামী ক’দিনে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা নামবে দুই থেকে তিন ডিগ্রি। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে কুয়াশার দাপট থাকবে। আগামী চার-পাঁচদিন রাজ্যে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া এবং পরিষ্কার আকাশ থাকবে। উত্তুরে হাওয়া থাকবে। দিনের বেলাতেও হাড়কাঁপুনি শীত অনুভূত হবে। ইতিমধ্যে সিকিমে তুষারপাত হয়েছে, ফলে সমতলে ঠান্ডা বাড়বে। দার্জিলিং-কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং জমিয়ে ঠান্ডা পড়বে। এমনকী পারদ ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গেও দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে। আবহাওয়া মূলত শুষ্ক ও পরিষ্কার থাকবে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে রবিবারের মধ্যে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে দিনে। ক্রমশই নিম্নমুখী রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারের পর থেকে ফের পারদ চড়তে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের (West Bengal Weather)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    Anubrata Mondal: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু জেলেও কমেনি তাঁর দাপট। জেলের মধ্যে বসেও অবাধে চলেছে অবৈধ কার্যকলাপ। জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন কেষ্ট মণ্ডল। এমনটাই দাবি করল সিবিআই। আর এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। 

    আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন মামলার শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। ফের প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সিবিআই কেষ্টকে ‘এলাকার রাজনৈতিক দৈত্য’ বলেও মন্তব্য করে। অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করে বলেন, “একই মামলায় সতীশ কুমাররা জামিন পেয়েছেন। তখন অনুব্রত কেন ১৪৫ দিন জেলে কাটাবেন?” এই সওয়ালের বিরোধীতা করেই সিবিআই দাবি করে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে প্রায়শই ফোনে কথা হত অনুব্রতের। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ আদালতে দাবি করেন, আসানসোল জেলে থাকার সময়ও অনুব্রত এনামুলের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

    আদালতের বক্তব্য

    সিবিআইয়ের এই দাবির পক্ষে প্রমাণ চায় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ফোনের বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন? কোনও কল রেকর্ড রয়েছে?” উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হয়েছে ওঁদের (Anubrata Mondal)। তাই তাই কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি।” বিচারপতি বাগচীর পাল্টা প্রশ্ন, “ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা তো জানা যায়। কেন এক মাসের মধ্যেও সেটা বের করতে পারল না সিবিআই?” সিবিআই জানায়, এ বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। দু তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পর জামিন মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, ৪ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    গত বছরের অগাস্ট মাসে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি আপাতত আসানসোল জেলে রয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিএএ তো হবেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-ও চাই’’, সুকান্তর বালুরঘাটে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এনআরসির দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মণ্ডলের গড় বালুরঘাটের দলীয় জনসভায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এনআরসি না হলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে ধরে রাখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু হবেই।” 

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    মঙ্গলবার জনসভার মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-র বিরোধিতা করেন। সিএএ মানে কাউকে তাড়িয়ে দেওয়া নয়। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিজেপির কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু যারা কাঁটাতার টপকে আসছেন, গরু-ফেন্সিডিল পাচার করার জন্য আসছেন, লাভ জিহাদের জন্য আসছেন, ধর্মান্তকরণের জন্য আসছেন, তাঁদের আটকাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। নইলে এই বর্ডারের জেলাগুলো থাকবে না। আর যে ভাবে ডেমোগ্রাফি বদলাচ্ছে, বর্ডারের জেলাগুলো বাঁচবে না। ৭২টা জায়গায় বিএসএফের চৌকি করতে দেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়।” 

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহবলেছিলেন, সিএএ শুধু আইন করার জন্য করা হয়নি, প্রয়োগও করা হবে। সিএএ কার্যকর হবেই। লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চাই। এদেশ হিন্দুদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। এই দেশের দুর্বল হলে চলবে না। তাহলে আফগানিস্তান-ইউক্রেন হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।” 

    এছাড়াও এদিন মালদহ জেলার গাজোলে কর্মীসভায় তৃণমূলের দিকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “‌অধিকাংশ জায়গায় স্বচ্ছ ভারত অভিযানের টাকা পৌঁছয়নি। তৃণমূলের নেতারা পায়খানাও খেয়ে ফেলেছে। আর দু’চারটে যে শৌচালয়ের ঘর তৈরি হয়েছে সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা ঢুকে রয়েছেন। ওদের বের করতে পারবেন না। ভাঙতে হবে।”

    আরও পড়ুন: গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ডাবল ইঞ্জিন সরকার আসছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া পার্টি তোমাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো করে পদ্মফুলে স্ট্যাম্প মেরে তাদের জবাব দিন। বলে দেবেন, দেশ বিরোধী, জেহাদি শক্তির কোনও স্থান দক্ষিণ দিনাজপুরে নেই। উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার চলা শুরু হয়েছিল। আসাম, কোচবিহার হয়ে এই রাজ্যে ঢুকল বলে।” 

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক মানুষদের জন্য জাতীয় সড়ক, নতুন রেল লাইন বানিয়েছেন। নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৮ সালে মালদায় প্রায় ২০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি জিতেছিল। তাই আগামী দিনে স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India China Relations: নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চায় বেজিং, জানালেন চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী

    India China Relations: নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চায় বেজিং, জানালেন চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। সোমবার একথা জানালেন চিনের (China) নয়া বিদেশমন্ত্রী কুইন গং (c)। সোমবার আমেরিকার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থ এটা নির্দেশ করে যে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চায় বেজিং (India China Relations)।

    চিনের বিদেশমন্ত্রী…

    ২০১৩ সাল থেকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন ওয়াং ই। ৩০ ডিসেম্বর অবসর নিয়েছেন তিনি। বিদেশমন্ত্রীর পদে ওয়াং ছিলেন ৯ বছর ৯ মাস। তিনি অবসর নেওয়ার পর ওই পদে বসানো হয় কুইন গংকে। এর আগে কুইন গং ছিলেন আমেরিকার চিনা রাষ্ট্রদূত পদে। বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই কুইন গং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহী হলেন। চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী বলেন, চিনের দৃষ্টিতে উন্নয়ন মানে শান্তির জন্য একটি মজবুত শক্তি হয়ে ওঠা। আমরা স্থিতাবস্থা ভাঙতে চাই না।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চায়, কিন্তু…’, চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    প্রসঙ্গত, গলওয়ানে চিন-ভারত সংঘর্ষের পর থেকেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত-চিনের (India China Relations) মধ্যে একাধিকবার হয়েছে সেনা কমান্ডার বৈঠক। তার পরেও মেটেনি সমস্যা। কেবল লাদাখ সীমান্তেই নয়, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তেও বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে চিন। এহেন পরিস্থিতিতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লালফৌজ। শুরু হয় চিন-ভারত সেনা সংঘর্ষ। দু পক্ষের কয়েকজন জখম হন। চিনা সেনাদের মেরে তাড়িয়ে দেয় বলে দাবি ভারতের বিদেশমন্ত্রকের। এই আবহে চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রীর এহেন বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী বলেন, দু পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমেই নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কে  (India China Relations) স্থিতাবস্থা ফিরতে পারে। তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে সদিচ্ছা রয়েছে দু পক্ষেরই। এদিন তাইওয়ান প্রসঙ্গও টানেন কুইন গং। তিনি বলেন, তাইওয়ানের  বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্যই পরিস্থিতি নতুন করে ঘোরালো হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে কুুইন গং বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার পক্ষে বেজিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share