Blog

  • Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    Ind vs Bang: দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম, দেখে নিন সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ সাত বছর পর চলতি বছরেই প্রতিবেশী রাজ্য বাংলাদেশ সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট টিম (Indian Cricket Team)। চলতি বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় ক্রিকেট টিম যাবে বাংলাদেশে (Ind vs Bang)। বাংলাদেশ সফরে টিম ইন্ডিয়া ৩টি ওডিআই ম্যাচ ও ২টি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ (Ind vs Bang) খেলবে। বৃহস্পতিবার ভারতের এই সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)। এর আগে শেষবার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল।

    গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এবং বিসিসিআই (BCCI) পারস্পারিক আলোচনার পর এই সিরিজের সূচিও চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। তারপর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবে দুই দল। সেখানে খেলা হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু আবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে মিরপুরেই। ফলে তাঁদের আবার মিরপুরে ফিরে আসতে হবে। টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি ওয়ানডে এবং ৩টি টি-২০ খেলার কথা ভারতের। এরপরই বাংলাদেশে চলে যাবে টিম ইন্ডিয়া (Ind vs Bang)। ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের পরে বিশ্রাম নেই মেন ইন ব্লু-দের।

    আরও পড়ুন: সব ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ! পাকিস্তানকে হারিয়ে দিওয়ালিতে দেশবাসীকে জয় উপহার দিতে চান রোহিত

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক স্মরণীয় ম্যাচ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরা এই সিরিজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’ আবার বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে, এটি উভয় দলের সমর্থকদের জন্য উপভোগ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে।”

    ওয়ান ডে সিরিজের সূচি

    প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ, ৪ ডিসেম্বর, মিরপুর

    দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ৭ ডিসেম্বর, মিরপুর

    তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ, ১০ ডিসেম্বর, মিরপুর

    টেস্ট সিরিজের সূচি

    প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ১৪-১৮ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম

    দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, ২২-২৬ ডিসেম্বর, মিরপুর

    এরপর ২৭ ডিসেম্বর সফর শেষ করে দেশে ফিরবে ভারতীয় দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress President: খাড়্গে হাতের পুতুল! রিমোট কন্ট্রোল থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতে, দাবি বিজেপির

    Congress President: খাড়্গে হাতের পুতুল! রিমোট কন্ট্রোল থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতে, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবটাই আগে থেকে ঠিক করা থাকে। গান্ধীরাই ঠিক করেন। খাড়্গে গান্ধী পরিবারের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয়, এমনই দাবি করল বিজেপি।  যে কোনও দল তাদের নেতা ঠিক করতেই পারে তাতে বিজেপির কিছু আসে যায় না মত বিজেপি নেতাদের। কংগ্রেস একটা মৃতপ্রায় দল। তাকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন দেওয়া সম্ভব নয়। অধিকাংশ প্রবীণ, অভিজ্ঞ নেতারা দল ছাড়ছেন। গান্ধী পরিবার ছাড়া দলে আর কিছুই নেই।

    আড়াই দশক পর এই প্রথম কোনও অ-গান্ধী ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। জয়ের পরই দলের নেতাদের থেকে খাড়গে ক্রমাগত শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, দলের অন্যতম নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পর্যন্ত খাড়গে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার মধ্যেই ভেসে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তাও। যদিও  বিজেপি নেতাদের দাবি, সভাপতি যে-ই হোন, দলের নিয়ন্ত্রণের রাশ থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই। মনমোহন সিংয়ের মতোই খাড়্গে গান্ধী পরিবারের রিমোট-কন্ট্রোল দ্বারা চালিত হবে বলেই অভিমত বিজেপির। দলের আইটি সেলের ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্যের বক্তব্য, ‘‘গান্ধী পরিবার যদি মনমোহন সিংয়ের মতো প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নাক গলাতে পারে, সেখানে খড়্গে তো নিছক কংগ্রেস সভাপতি।’’ 

    ২৬ অক্টোবর থেকে দলের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন খাড়গে। তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর স্থলাভিষিক্ত হবেন।  বিজেপি নেতাদের কথায়, খাড়্গের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার কোটি টাকার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাতেও ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিজেপি নেতা  রাজ্যবর্ধন রাঠৌর বলেছেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী অত্যন্ত দরকার। দীর্ঘসময় পর কংগ্রেস একটি পরিবারের বাইরে তাকাল। কিন্তু, তারা স্রেফ রবার স্ট্যাম্প খুঁজে নিয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও নাটক ছাড়া কিছুই না।’ খাড়্গেকে পুতুল খাড়া করে কাজ করবেন সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কারাই, মনে করছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরের  এক ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি  এবার তদন্তে নামল  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের থেকে মামলার এফআইআর এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে হানা দিয়ে অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এবার ওই ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে PMLA-এ আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    অভিযোগ, বিদেশী মুদ্রার কেনাবেচা কীভাবে করতে হয়, তা শেখানোর জন্য একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতারণার চক্র চালাতেন শিবপুরের শৈলেশ পাণ্ডে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনি। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ মেলেনি তাঁর দুই ভাই রোহিত এবং অরবিন্দেরও। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পায় পুলিশ। ১৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখা। বুধবার বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। সব মিলিয়ে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস মিলল।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    এই প্রতারণা চক্রের জাল বিদেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান। নেপালের কয়েকজনও এই ঘটনায় প্রতারিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ২০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। বাকি টাকা কোথায় গেল? তার উত্তর খুঁজতেই এবার তদন্তে নামল ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    TET Agitation: “মাঝরাতে মহিলাদের আটক করা যায়?” প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝরাতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল করুণাময়ী (TET Agitation)। হঠাৎ পুলিশি অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মধ্যরাতে রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট নাগাদ বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ঘোষণা করলেন, এই জমায়েত আইনি নয়, বেআইনি। অভিযোগ, এরপরই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুলতে সক্রিয় হয়ে পড়ল কলকাতা পুলিশ। এদিন ছেলেদের পাশাপাশি মহিলাদেরও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কীভাবে পুলিশ মাঝরাতে মহিলাদের বিনা অনুমতিতে আটক করেত পারে? কারণ আইনে আছে, সূর্যাস্তের পর মেয়েদের গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।

    ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণদের প্রায় ৯০ ঘণ্টার ধর্নাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলপ্রয়োগ করে পুলিশ সরিয়ে দিল। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিল বহু মহিলাও। ফলে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে চ্যাংদোলা করে, জোর করে আন্দোলন থেকে তোলা হয় ও কিছু মহিলা-পুরুষদের আটকও করা হয় ও বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কী করে সূ্র্যাস্তের পর অনুমতি ছাড়া মহিলাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়?

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    অন্যদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল দশটার সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারল না প্রশাসন। অভিযোগ তুললেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। আন্দোলনকারীদের কেন ই-মেলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশাসনকে তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যে যদি সৎ পথে নিয়োগ করা হত, তবে রাস্তায় কেও বসতেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যশত তাঁদের হকের চাকরি চুরি করা হয়েছে। তাই চোরেরা যাতে জনসম্মুখে না আসে তার জন্যই এই পদক্ষেপ।

    তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “এই পর্ষদ কেন স্পষ্ট করে বলছে না, চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলিকে আমরা মান্যতা দিচ্ছি। এই কথাটা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না? আলোচনা করার দায়িত্ব কার? মাথা ঝুকানোর দায়িত্ব কার? আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আপনি মামলা করছেন? রাস্তা কারোর বাবার নয়? অনুমতি নিতে হয় না আন্দোলন করতে গেলে…।” পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান টেট উত্তীর্ণরা। শুক্রবার দশটায় ছিল শুনানি। কিন্তু তার আগেই মধ্যরাতেই পুলিশের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা।  

  • Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুলে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা যে বৈধভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছিল, তাঁদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে জোর করে তুলে দিয়েছে মমতার পুলিশ। এটা পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?”

    এর আগে, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও চাকরি চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসবের সমাধান একটাই। নবান্নর ১৪ তলা থেকে ওনাকে সরাতে হবে। তাহলেই পশ্চিমবঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়বে, শিল্প আসবে, বানিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে, সিন্ডিকেটরাজ-সাদা খাতায় চাকরি বন্ধ হবে।”

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের ওপর হঠাৎ করেই অভিযান চালায় পুলিশ। কুরুক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় করুণাময়ীতে। রীতিমতো বলপ্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষ টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা।  

    অনেককে নিয়ে যাওয়া হয় টানতে টানতে৷ তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷ বেশ কয়েক জন চোট পান বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের তিনটি প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয়। অসুস্থ এক আন্দোলনকারীকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অভিযোগ, তাঁদের ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

     

  • TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    TET Agitation: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি করুণাময়ীতে (Tet Agitation)। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সক্রিয়তাও বেড়েছিল। টেট উত্তীর্ণদের বলপ্রয়োগ করে জোর করে তুলে নেওয়া হল। সোমবার থেকে চলছিল অবস্থান বিক্ষোভ৷ আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শুরু হল পুলিশি অভিযান৷ কাউকে চ্যাংদোলা, কাউকে রাস্তার উপর দিয়ে টেনে, হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যান এবং বাসে তুলল পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভয়াবহ দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল সল্টলেকের করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য। ফলে মধ্যরাতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (TET Protest by BJP)। বিজেপির তরফে বেলা ১টার সময় হেডকোয়ার্টারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

    আরও পড়ুন: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    জানা গিয়েছে, ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণরা প্রায় ৯০ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন ও আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। ফলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত-অবসন্ন ছিলনে। সেসময় হঠাৎ করে পুলিশ এসে ১৪৪ ধারার কথা জানালে তাঁরা আন্দোলনে অনড় থাকে। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। এর ফলে প্রায় কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁদের ওপর জোর খাটিয়ে কাউকে চ্যাংদোলা করে, কাউকে টানতে টানতেই প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপরে মধ্যরাতে ২০১৭-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও তুলে দেয় পুলিশ। প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চলে কয়েক মিনিট। তার পরে সেখানেও গায়ের জোর প্রয়োগ করেই তোলা হয় সবাইকে। ফলে মাঝরাতে পুলিশের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    অন্যদিকে রাতে এমন রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হলে পৌঁছে যান বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। ছিলেন বিজেপি-র প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালরা। শুক্রবার থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এবং বামেরাও আন্দোলনে নামার ঘোষণা করেছে রাতেই। তাই শুক্রবার থেকে এই ঘটনা কোন নতুন দিকে মোড় নেবে সেটাই এখন দেখার।

  • Mission LiFE: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ! ‘মিশন লাইফ’-এর জন্য শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রনেতারা

    Mission LiFE: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ! ‘মিশন লাইফ’-এর জন্য শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রনেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সূচনা করলেন ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE)প্রকল্পের। এদিন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের (Antonio Guterres) উপস্থিতিতে গুজরাটের একতা নগরের স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে ‘মিশন লাইফ’ লঞ্চ করেন। মিশন লাইফ-এর সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিশন লাইফ’ জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে’।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের জন্য শুধুমাত্র দেশবাসীরাই তাঁর প্রশংসা করেননি। বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা তাঁর এই প্রকল্পে (Mission LiFE) সম্মতি দিয়েছেন ও নরেন্দ্র মোদি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া মোদির ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। ফ্রান্স, ব্রিটেন, আর্জেন্টিনা, জর্জিয়া, নেপাল, মালদ্বীপের রাষ্ট্রনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন ভারতের মিশন লাইফ প্রকল্প পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এক বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে।

    ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron) একটি ভিডিও-এর মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ফ্রান্স এই প্রকল্পটিকে (Mission LiFE) সফল করতে আগামী বছর জি-২০-এ ভারতের সঙ্গে কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস একটি ভিডিও-এর মাধ্যমে মোদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “লাইফ মিশন (Mission LiFE) চালু করার ক্ষেত্রে আমি ভারতের নেতৃত্বের প্রশংসা করি।”

    মাদাগাস্কারের রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা (Andry Rajoelina) বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে LIFE। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

    জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি (Irakli Garibashvili) জানিয়েছেন, ‘জর্জিয়া বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করে।’

    মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ও এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কাজা ক্যালাস এই প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তাঁরাও পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

    অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গুতেরেস ‘মিশন লাইফ’-এর সূচনাতে বলেছেন, ‘জি-২০ দেশগুলি বিশ্বব্যাপী গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এটি বৈশ্বিক GDP-র ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে’। রাষ্ট্রসংঘের প্রধানের বক্তব্য, ভারত উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলির মধ্যে আস্থা তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে বিশ্বের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রনেতারাই হাত বাড়িয়েছেন মোদির এই প্রকল্পে (Mission LiFE) কাজ করার জন্য। তাই এখন শুধুমাত্র ‘মিশন লাইফ’ কতটা সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেটির অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।

  • West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দফায় দফায় ‘উচ্চস্তরের কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। তাই সমস্যার রফা সূত্র বেরোলো না। তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল কার দখলে সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকলো।

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই বারবার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পরিচ্ছন্ন নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি ভোট গণনার দিনও অব্যহত রয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী শিবির গণনায় এগিয়ে যেতেই রিটার্নিং অফিসার গণনা বন্ধ করে দেন। ‘চোখে-মুখে জল দেওয়ার’ কথা বলে প্রায় চল্লিশ মিনিট তিনি উধাও হয়ে যান। বিরোধীরা কারচুপির একাধিক অভিযোগ করলেও তিনি সে নিয়ে স্পষ্ট মতামত জানাননি।

    গত এক মাস ধরে পোস্টাল ব্যালটে চিকিৎসক ও চিকিৎসক-শিক্ষকেরা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ভোট গণনার সময় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    বিরোধীদের অভিযোগ, অশিক্ষক চিকিৎসকদের ভোট দেওয়ার জন্য যে গোলাপি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অধিকাংশ জাল। ব্যালটের রং আলাদা। তেমনি বিরোধী প্রার্থীদের নাম নেই। বরং শাসক দলের একই প্রার্থীর নাম একাধিক বার রয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, একাধিক ব্যালটে তার নাম নেই। অভিযোগ শুনে প্রাথমিকভাবে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছুই করেননি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশে অবিচ্ছেদ্য ভাবে গণনা হওয়ার কথা থাকলেও, অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের ভোট বাড়তে থাকলেই গণনা বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। কতক্ষণ পরে ফের গণনা চালু হবে, সে বিষয়েও কিছু জানান না।

    এরপরেই বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের সামনেই শুরু হয় প্রতিবাদ।

    যদিও শাসক দল পাল্টা জানান, যে চিকিৎসক ব্যালটে নিজের নাম না থাকার অভিযোগ এনেছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যালটের ছবি আপলোড করেছেন। তাই তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাকে প্রার্থী হিসেবে যেন আর গণ্য করা না হয়।

    বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ছাপ্পা আর ভয় দেখানোকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন লড়ে তৃণমূল। সেটা পঞ্চায়েত হোক কিংবা চিকিৎসক নির্বাচন তৃণমূলের একটাই স্ট্র্যাটেজি। সেটা হল গণতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে ছাপ্পা দেওয়া।

  • Rozgar Mela: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    Rozgar Mela: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বছরেরই জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে, আগামী দেড় বছরে সরকারী ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আগামী ২২ অক্টোবর রোজগার মেলার (Rozgar Mela) সূচনা করবেন। এই মেলাতেই ১০ লক্ষ সরকারী চাকরির মধ্যে ৭৫ হাজার নতুন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। দিওয়ালির সময় এই নিয়োগপত্র নতুন এই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে দীপাবলীর উপহারের মতো।সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়োগ অভিযান শুরু করা হবে।অনুষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    সারাদেশ থেকে নির্বাচিত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা ৩৮টি সরকারি মন্ত্রক ও বিভাগে যোগদান করবেন। তাঁদের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ করা হবে। যেমন-গ্রুপ এ, গ্রুপ বি (গেজেটেড), গ্রুপ বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ সি। আমলা স্তরে নিয়োগ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী, সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, এলডিসি, স্টেনোস, পিএ, আয়কর পরিদর্শক, এমটিএস পদেও নিয়োগ করা হবে।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই সচেষ্ট। তাই সকলের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে তিনি বেশ আগ্রহী। দেশের যেসকল চাকরিতে আসন ফাঁকা রয়েছে, অতি দ্রুত সেই আসনগুলি পূরণ করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রোজগার মেলার মাধ্যমেও সেই আসনগুলি পূরণের চেষ্টা করা হবে। সরকারের প্রতিটি মন্ত্রক ও দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শূন্যপদ গুলিতে যেন তাড়াতাড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জুন মাসেই মানবসম্পদ দপ্তরের কাছ থেকে শূন্যপদ নিয়ে বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই তথ্য থেকে জানা যায়, দেশজুড়ে প্রায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে।

    তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দেড় বছরের মধ্যেই সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সেই কারণেই রোজগার মেলার সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিওয়ালির আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন প্রকল্পটির ঘোষণা করবেন মোদি। 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য এনডিএ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিরোধীরা মনে করছেন। বেকারত্ব বর্তমানে ভারতে জ্বলন্ত সমস্যা। বিরোধীরা বার বার বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করছে। শহরাঞ্চলে যুবকদের বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে গিয়েছে বলে একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • T20 World Cup: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রুকুটি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    T20 World Cup: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির ভ্রুকুটি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাছাই পর্বের খেলা দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ (T-20 World Cup)। তবে আসল লড়াই এথনও বাকি। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণ ঘিরে এমনিতেই বাড়তি উন্মাদনা থাকে। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম নেই। শুধু দুই দেশের সমর্থকরাই নন, ক্রিকেটাররও উত্তেজনায় টগবগ করে ফোটেন। আসলে এটা যে নেহাতই একটা সাদামাটা ক্রিকেট ম্যাচ নয়। এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে নানা অঙ্ক। তাই এই লড়াইয়ে বাজিমাত করতে মরিয়া দুই দলই। আগামী ২৩ অক্টোবর মেলবোর্নে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। l তবে সেই ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বৃষ্টিতে ভেস্তে যেতে পারে ম্যাচ। গত কয়েকদিন ধরেই মেলবোর্ন, সিডনিতে চলছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। রবিবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলের দিকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। বাতিল হতে পারে ব্লকবাস্টার ম্যাচ।

    আরও পড়ুন: “এটা শুধু একটা ক্রিকেট ম্যাচ নয়”, ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে উচ্ছ্বসিত ডোয়েন জনসন

    দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে যদি বৃষ্টির কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে কী হতে পারে? যদি বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচে একটাও বল না গড়ায় তাহলে দুটো দলই ১ পয়েন্ট করে পেয়ে যাবে। সুপার-১২ পর্বের জন্য কোনও রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। যদিও দুই দলের সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করতে শুরু করেছেন যে ওই বিশেষ দিনে যাতে বৃষ্টি না হয়। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এই টুর্নামেন্টে সুপার-১২ পর্বে বিজয়ী দল ২ পয়েন্ট করে পাবে। যদি ম্যাচ টাই হয় কিংবা ভেস্তে যায় তাহলে দুটো দলই ১ পয়েন্ট করে পেয়ে যাবে। যদি গ্রুপে দুটো দল একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে এই দুই দলের মধ্যে কে বেশি সংখ্যক ম্যাচ জিতেছে, দলের নেট রানরেট কত ছিল কিংবা দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যান কেমন সেই রেকর্ডের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়ের খেয়াল রেখ”, চপার দুর্ঘটনার আগে পাইলটের শেষ কল স্ত্রীকে

    একটা সময় পর্যন্ত বিশ্বকাপে এক চেটিয়া আধিপত্য ছিল ভারতের। সম্প্রতি তা কিছুটা ফিকে হয়েছে। ভারত গত টি-২০ বিশ্বকাপে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের লড়াইয়েও শেষ হাসি হেসেছিলেন বাবররা। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের আসরে রোহিত বাহিনী পাল্টা ছোবল মারার জন্য প্রস্তুত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share