Blog

  • Mission LiFE: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Mission LiFE: পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রকল্প ভারত সরকারের, গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনকে রোধ করতে এবারে পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। গোটা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ আবহাওয়া বদলাচ্ছে। ফলে এর প্রভাবে নাজেহাল বিশ্ববাসী। আর এর থেকেই রক্ষা পেতে আজ উদ্বোধন করা হল ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE)। এই গ্রহের পরিবেশকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনায় মিশন লাইফের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের (UN) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে (Antonio Guterres) পাশে বসিয়ে গুজরাটের একতা নগরে ‘মিশন লাইফ’ (Mission LiFE) প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন তিনি। তিনদিনের সফরে বুধবার তিনি ভারতে এসেছেন ও আজ গুতেরেস গুজরাটে যান। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীও দুদিনের সফরে গিয়েছেন গুজরাট। আর তারপরেই এই প্রকল্পের সূচনা করলেন আজ। আজ এই প্রকল্পের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে পুরো বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। তিনি পুরো বিশ্ববাসীকে নতুন করে আশা দেখিয়েছেন যে, জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই জলবায়ু পরিবর্তনের মত সমস্যার সমাধান করা যায়।

    তিনি আজ বলেন, “ধরুন, অনেকেই এসির (AC) তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখেন। তাতে পরিবেশে কুপ্রভাব পড়ে। জিম বা কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে সাইকেল ব্যবহার করুন। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনতে পারলেই অনেকটা ঠেকানো যাবে আসন্ন বিপদ। এই যে হিমবাহ গলছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আর ‘মিশন লাইফ’ সেই লড়াইয়ে অনেকটা সাহায্য করবে।” এছাড়াও তিনি দৈনন্দিন জীবনে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

    এছাড়াও এদিন গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ সূচনামঞ্চে উপস্থিত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (UN Secretary-General Antonio Guterres) পরিবেশ রক্ষায় (Mission LiFE) ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

  • Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। চলছে জেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল ইডি। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, তিনি আজ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁকে পরে সময় মত উপস্থিত হতে দেখা যায়। তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন বলে ইডির কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে তাঁকে হাজিরা দিতে আসতেই হয়।

    গত শনিবার তাপসবাবুর বারাসতের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। তাঁর (Tapas Mondal) একাধিক শিক্ষক ট্রেনিং সংস্থার নামও সামনে এসেছে ও এই সংস্থা গুলোর মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কারবার চালানো হত বলে দাবি করেছে ইডির তদন্তকারীরা। আর এই চাকরি বিক্রির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যেরও হাত ছিল বলে দানি করেছে ইডি। ফলে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে আজ ইডির দফতের তলব করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ তাঁর (Tapas Mondal) হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল না। তাই তিনি ইডির কাছে ই-মেলও করেন। কিন্তু তাপসবাবুর বক্তব্য গ্রহণ করেননি ইডির গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তাপসবাবু। ইডি সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। আরও জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। পরে অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও, তার ভিত্তিতে কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। তবে এই চুক্তি কোন কারণে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর এবিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে জানা গিয়েছে। কীভাবে তাঁর ট্রেনিং সংস্থাগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হত, সেবিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সূত্রের খবর।

    আবার অন্যদিকে দাবি করা হয়েছে যে, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর (Tapas Mondal) সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠে। গত কয়েক বছরে কীভাবে এত টাকা রোজগার, বিপুল সম্পত্তি, তার উৎসের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই এদিকেও বিশেষ তদন্ত চালানো হচ্ছে ও এ নিয়েও জেরা করা হবে তাঁকে।

  • Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না।” বুধবার কাঁথিতে (Kanthi) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে এবার পুলিশ ও শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে।” এদিন কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মঞ্চে উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তোপ দাগলেন শাসকদল ও রাজ্য পুলিশকে।

    রাজ্য পুলিশকে তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন ‘মমতার পুলিশ’, ‘চটি চাটা পুলিশ’ ও ‘দলদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশ, মমতার পুলিশ। চটি চাটা পুলিশ। দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ। তারাই ঠিকা নিয়েছে, তারাই দায়িত্ব নিয়েছে, এই তোলামূল নামক পার্টি টাকে টিকিয়ে রাখার বা বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু তারা আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা কার্যত গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, এদের অবস্থাটা কী হবে। লড়াই করুন। সিপিএমকে কী করে উৎখাত করেছি, আমি জানি। একেও কী করে উৎখাত করতে হয় আমি জানি। শুধু সঙ্গে থাকুন।”  

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    ফলে মঞ্চ থেকেই তিনি (Suvendu Adhikari) তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যতবাণী করেছেন ও তাদের বিদায় খুব শীঘ্রই হতে চলেছে, এবিষয়ে বলেন। তিনি এদিন অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার পর থেকই সুর চড়িয়েছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “আমরা উপরের চোরগুলোকে ধরার চেষ্টা করছি। আপনারা নিচ তলার চোর গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করুন।” আবারা এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে।

    অন্যদিকে এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও এখনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যদি রাজ্য পুলিশ থাকে, তবে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, ”এখন থেকেই বুথকে দুর্গে পরিণত করতে হবে। লড়াই করতে হবে, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। এতটুকু ছেড়ে দেওয়ার জায়গা নেই। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সম্মিলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। কার্যকর্তাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।”

  • Airforce Helicopter: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ

    Airforce Helicopter: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের ব্যবধান মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ফের দুর্ঘটনার কবলে কপ্টার। দু দিন আগেই কেদারনাথে পুণ্যার্থী বোঝাই হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ছ জনের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের কপ্টার দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার (Airforce Helicopter) ভেঙে পড়ে অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh)। এদিন দুপুর পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

    জানা গিয়েছে, এদিন রুটিন মহড়া চলছিল অরুণাচল প্রদেশে। আচমকাই আপার সিয়াংয়ের মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি কপ্টার (Airforce Helicopter)। ভেঙে যাওয়া কপ্টারটি অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে অকুস্থলের দিকে। তবে এলাকাটি দুর্গম। তাই বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর দিনই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’? কী হবে এর গতিপ্রকৃতি? জানুন

    ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন অরুণাচল প্রদেশেই ভেঙে পড়েছিল একটি সেনা কপ্টার (Airforce Helicopter)। সেবার প্রাণ হারিয়েছিলেন কপ্টারটির পাইলট। গুয়াহাটির প্রতিরক্ষা পিআরওর তরফে জানানো হয়েছে, লিকাবলি এলাকা থেকে উড়ান শুরু করতেই মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। তবে কপ্টারটিতে কতজন ছিলেন, তাঁরা কে কে, তা জানানো হয়নি। সিয়াং জেলার পুলিশ সুপার জুম্মার বাসার বলেন, যেখানে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে গাড়ি করে যাওয়া যায় না। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। কপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ভারতীয় সেনার অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবরে আমি খুবই চিন্তিত। অরুণাচল প্রদেশের এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।

    জানা গিয়েছে, এদিন যে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেটি হাল রুদ্র। কপ্টারটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ভারতীয় সেনার জন্য তৈরি এই কপ্টারটি একটি অ্যাটাক কপ্টার। এটি তৈরি করেছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিস্ক লিমিটেড। এটি ধ্রুব অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারের আধুনিক ও শক্তিশালী একটি ভ্যারিয়েন্ট। কপ্টারটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি কপ্টার কীভাবে ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

     

     

  • Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    Cattle Smuggling Case: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও বড়সড় ধাক্কা খেল গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত সায়গল হোসেন। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, এমনটাই অনুমতি পাওয়া গেল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তাঁকে গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে দিল্লি হাইকোর্ট আগেই ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়গল হোসেন। তবে তাঁর আবেদন খারিজ  করল শীর্ষ আদালত।

    সব মিলিয়ে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সায়গলের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা সায়গলকে এই মামলার জন্য দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করবে। কিন্তু ইডি যাতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য ইডির বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেন সায়গলের আইনজীবী। আদালত সায়গলের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গল হোসেন। হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। এরপর দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তবে এদিন শুনানি শেষে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।  শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না সায়গল।

    আরও পড়ুন: “পশ্চিমবঙ্গ, না কি হিটলারের জার্মানি?” টেট উত্তীর্ণদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

    গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে সায়গলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই ছিলেন সায়গল হোসেন। তবে ইডিও তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুপুর তিনটের সময় সায়গলকে বের করা হয়েছে আসানসোল জেল থেকে। আসানসোল স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে ট্রেনে উঠবে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। যাত্রাপথে সায়গলকে ঘিরে থাকবে সিআরপিএফ।

    সম্প্রতি সায়গলের মা ও স্ত্রী-কেও এই মামলায় তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) যে সায়গলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তা জানা সবারই। ইডি-র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে একজন দেহরক্ষী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আর এসবেরই তদন্ত করতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য তৎপর ইডি।  

  • UK Prime Minister: ব্রিটেন সম্পর্কে ভারতের নীতি ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    UK Prime Minister: ব্রিটেন সম্পর্কে ভারতের নীতি ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) নিয়ে কথা চলছে। ব্রিটেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির জাতীয় রফতানি সামিটে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তখনই একথা বলেন তিনি। ভারত (India)-ব্রিটেন (UK) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রিটেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান জানান।

    মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) পদ থেকে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাঁর অর্থনৈতিক নীতির জেরে দলেই সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর কে হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রিটেনে। এমনই আবহে ভারতের অবস্থানের কথা জানালেন পীযূষ। তিনি জানান, কেবল ব্রিটেন নয়, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা চলছে কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে। গোয়েল বলেন, ব্রিটেনের এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নজর রাখতে হবে ঘটনাক্রমের ওপর। যদি সেখানে দ্রুত নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটে, যদি পুরো ব্যাপারটা ঠিকঠাক চলে…। তাই আমাদের এখন দেখতে হবে সে দেশের সরকারে কে আসেন। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গীই বা কী হবে তা দেখতে হবে। একমাত্র তার পরেই ব্রিটেন নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে পারব। তিনি জানান, ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা জানেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা কতখানি জরুরি। যদিও এই চুক্তি হতে হবে স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত এবং ভারসাম্যের।    

    আরও পড়ুন: এবার বিজেপির প্রার্থী আরও এক ‘চায়েওয়ালা’, শিমলা সদরে সঞ্জয় সুদ

    প্রসঙ্গত, দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার সময় লিজ টাস বলেছিলেন, যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা পূরণ করতে অপারগ। তাই পদত্যাগ করছি। তবে প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) পদে ইস্তফা দিলেও, কনজার্ভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন তিনিই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও! বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা শিবরাজ পাতিল (Shivraj Patil)। এদিন কংগ্রেস নেত্রী মহসিনা কিদওয়াইয়ের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শিবরাজ। সেখানেই তিনি বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও।

    দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শিবরাজ (Shivraj Patil)। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার পর পদত্যাগ করেন তিনি। অশীতিপর কংগ্রেস নেতা শিবরাজ বলেন, খ্রিস্টানরা এটা নিয়ে লিখেছিলেন। যীশু খিস্ট লিখেছিলেন আমি এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি। আমি এখানে তরবারি নিয়েও এসেছি। অনেক বোঝানোর পরেও যাঁকে বোঝানো যাবে না এবং তিনি যদি অস্ত্র নিয়ে আসেন, আপনি পালাতে পারেন না। এর পর তিনি বলেন, আপনি একে জিহাদ (Jihad) বলতে পারেন না।এবং আপনি একে ভুলও বলতে পারেন না। এটা ঘটা উচিত নয়। একজনের উচিত নয় অস্ত্র নিয়ে কাউকে বোঝানো।

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। শিবরাজ পাতিল যিনি হিন্দু সন্ত্রাস / গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলেছিলেন, তিনি এখন জিহাদকে গীতার সঙ্গে তুলনা করছেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলছেন। এটা অপমান। তবে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আপের গোপাল ইটালিয়া ও রাজেন্দ্র পালের পর এবার হিন্দু বিদ্বেষ ও ভোটব্যাংক রাজনীতির কারণে শিবরাজ পাটিল বলতে শুরু করেছেন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জেহাদ শিখিয়েছিলেন। কংগ্রেস হিন্দু গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলে, রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে রামের অস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ওরা বলে হিন্দুত্ববাদ আইসিসের সমান। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন হিন্দুদের থেকে এলইটি কম বিপজ্জনক। ২৬/১১র ঘটনার পর দিগ্বিজয় সিং দোষ দিয়েছিলেন হিন্দু গোষ্ঠীকে। গুজরাট নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংকের মেরুকরণ করতেই হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলেও অনুযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

     

     

  • Indian Navy Recruitment 2022: ভারতীয় নৌসেনায় নিয়োগ, শূন্যপদ ২১২, জানুন বিস্তারিত

    Indian Navy Recruitment 2022: ভারতীয় নৌসেনায় নিয়োগ, শূন্যপদ ২১২, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy Recruitment 2022)। এসএসসি অফিসার পদের জন্যে কর্মী নিয়োগ করা হবে। আবেদনকারীরা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট joinindiannavy.gov.in-এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। 

    আবেদন শুরু হচ্ছে ২১ অক্টোবর থেকে। আবেদনের শেষ তারিখ রাখা হয়েছে  ৬ নভেম্বর ২০২২। শূন্যপদের সংখ্যা ২০১২। বিবাহিত ও অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা উভয়ই এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ সালের জুনে এই পদগুলিতে নিয়োগ হবে। 

     

    শূন্যপদ: সাধারণ পরিষেবা / হাইড্রো ক্যাডার: ৫৬টি পদ
    এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার: ৫টি পদ
    নেভাল এয়ার অপারেশনস অফিসার: ১৫টি পদ
    পাইলট: ২৫টি পদ
    লজিস্টিকস: ২০টি পদ
    শিক্ষা: ১২টি পদ 
    ইঞ্জিনিয়ারিং (সাধারণ পরিষেবা): ২৫টি পদ
    বৈদ্যুতিক (সাধারণ পরিষেবা): ৪৫টি পদ
    নেভি কনস্ট্রাক্টর: ১৪টি পদ

    আরও পড়ুন: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    যোগ্যতা: এই পদে আবেদনের জন্যে, যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিই/ বিটেক/ এমটেক/ সিএসই/ আইটি/ সফটওয়্যার/ সাইবার সিকিউরিটি/ সিস্টেম অ্যাডমিন এবং নেটওয়ার্কিং/ কম্পিউটার সিস্টেম/ নেটওয়ার্কিং/ ডেট অ্যানালিটিক্স/ আর্টিফিশিয়াল সায়েন্স -পাশ হতে হবে। এ ছাড়াও বিসিএ/ বিএসসি -তে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজিতে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে আবেদনকারীর।  

    বয়সসীমা: যাদের জন্ম ০২ জুলাই ১৯৯৮ থেকে ০১ নভেম্বর ২০০৪-এর মধ্যে তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর এসএসসি অফিসার পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমাতে ছাড় পাবেন। বিস্তারিত জানতে বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে নিন।

    নির্বাচন প্রক্রিয়া: ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়…’’, রাজ্য সরকারকে নিশানা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন (TET Agitation) গতকাল রাতে জোর করে ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এবার এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে তিনি লেখেন, “ভয়ানক দৃশ্য! চাকরিপ্রার্থীদের উপর এই নির্মম অত্যাচার গোটা বাংলা দেখছে। আজ যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের লেডি হিটলার মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে লেলিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চ ভাঙলেন ঠিক একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিপরায়ণ সরকারকে চেয়ার থেকে ছুঁড়ে ফেলবে।সময় ঘনিয়ে এলেই স্বৈরাচারীদের বলপ্রয়োগ বৃদ্ধি পায়। বাংলার মানুষ সবকিছুর সাক্ষী থাকলো।”

    প্রসঙ্গত, কাল রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় করুণাময়ীর আন্দোলন মঞ্চ। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ চত্বের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। আর এরপরেই বাড়তে থাকে পুলিশের সক্রিয়তা। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে অনশন স্থলে। আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রচুর পুলিশ জমায়েত হতে থাকে। এরপর আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় প্রথমে। তারপর তাঁদের সরে যাওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয় দুই মিনিট। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও আন্দোলনে অনড় থাকে। ফলে আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত তাঁদের জোর করে টেনে-হিঁচড়ে জায়গা থেকে সরানো হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে আবার ২০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিশও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন ধরে অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা এই ধস্তাধস্তির মধ্যে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারান৷

    আরও পড়ুন: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

    চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, “আমরা কি চোর? শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার মাঝে রাতের অন্ধকারে পুলিশ কেন তুলে দিল?” পুলিশের বর্বরোচিত আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। কেউ কেউ বললেন, ‘আমাদের ন্যায্য চাকরি ঘুষের টাকায় বিক্রি করে দিয়ে পুলিশ দিয়ে জোর করে মধ্যরাতে তুলে দিচ্ছে আমাদের।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Garment Industry: ফের ভারতের কাছে দরবার বাংলাদেশের

    Garment Industry: ফের ভারতের কাছে দরবার বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে ৪ দিনের সফর করে গিয়েছেন। এই সফরে কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন সহ রোহিঙ্গা সমস্যা, দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য ও সীমান্তে হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার ভারতে কাছে এই প্রতিবেশী দেশটি তাঁদের দেশের পোশাক শিল্পের উন্নতির জন্য সহযোগীতা চেয়েছেন। বাংলাদেশ ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ‘মেইড-ইন-বাংলাদেশ সপ্তাহ’ আয়োজন করতে চলেছে। অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করবে পোশাক শিল্পের (Garment Industry) সাথে যুক্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পোশাক তৈরীর সংগঠন বিজিএমইএ (Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association)।

    ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । তিনি এই অনুষ্ঠানে বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের (Garment Industry) অবদানের কথা তুলে ধরবেন।

    বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এই প্রথম বিজিএমইএ কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বাংলাদেশের বৈশ্বিক পোশাক বিপণনের জন্য ভারতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন কারণ, তাদের কারখানাগুলি মূলত ভারতের কাঁচামালের উপর নির্ভরশীল।

    তিনি জানিয়েছেন, চলমান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং সময়।

    বিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, বাংলাদেশের শ্রম সস্তা নয় বরং প্রতিযোগিতামূলক। বাংলাদেশে পণ্যের দ্রুত চালান, পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে।  এ বছর তাঁরা জাপানে পোশাক রপ্তানি করে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ নিজের পকেটে পুরেছে। এছাড়া ভারত সহ দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াতেও রপ্তানি বেড়েছে।

    তিনি আশা করেছেন যে,  আগামী  ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পোশাকের বাজারের ১০ শতাংশ জায়গা দখল করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর ৬.৮ শতাংশ মার্কেট দখল করে রেখেছে।

    হাসান ভারতীয় সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের তৈরি পোশাক আন্তর্জাতিক বাজারে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না  বরং আমরা একে অপরের পরিপূরক এবং তাই একে অন্যের সহযোগিতা করা উচিত। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের পোশাকের রপ্তানি প্রায় ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ভারত বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলির মধ্যে একটি  অন্যতম প্রধান দেশ। ভারতের সঙ্গে চলতি অর্থবছরে ১ বিলিয়নেরও বেশী ব্যবসা হবে বলে আশা করেছেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের জমি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির করার সময় ভারত সরকার যদি বাংলাদেশের পণ্যের উপর যদি পরিবহন শুল্ক সরিয়ে দেয় তা বাংলাদেশের পোশাক কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধে হবে। 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদনের জন্য অধিকাংশ তুলোই ভারত থেকে আমদানি করে থাকে। এছাড়াও পেট্রোকেমিক্যালের মতো কাঁচামালও ভারত থেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এই দেশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share