Blog

  • PMAY: ২২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান, ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    PMAY: ২২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান, ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY) প্রকল্পে জোড় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরিব মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। ফলে মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান হতে চলেছে ২২ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, ধনতেরাসের দিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানটি সাতনা জেলার বিটিআই গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ও এদিন ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, রাজ্যের ৪.৫০ লক্ষ মানুষ দীপাবলি উপলক্ষে তাদের নিজস্ব বাড়ি পাবেন।” এই যোজনার সুবিধাভোগীদের মধ্যে সাতনা জেলার বাসিন্দা, জনপদ এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরাও।

    মুখ্যমন্ত্রী চৌহান আরও জানিয়েছন, এর আগে PMAY-এর অধীনে মধ্যপ্রদেশে প্রতি মাসে ২০,০০০-২৫,০০০ বাড়ি তৈরি করা হত কিন্তু সংখ্যাটি এখন প্রতি মাসে এক লাখে পৌঁছেছে। এই প্রকল্পটির জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পিএমএওয়াই বাড়িগুলি নির্মাণের জন্য ৯০০০ মহিলা সহ ৫১,০০০ রাজমিস্ত্রীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শহরে নিখরচায় বাড়ি গরিবদের! প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

    এছাড়াও এই অনুষ্ঠান (PMAY) দীপাবলিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সবাার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের মধ্যপ্রদেশের গ্রামবাসীদের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানোর জন্য এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে সচেতন করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান।

    উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুমে ব্যস্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীপাবলির আগেই গুজরাট, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তারই মাঝে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এর আগেই ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে তিনি এসেছিলেন। সেসময় নামিবিয়া থেকে আনা চিতা মুক্ত করেন কুনো জাতীয় উদ্যানে। এবং ১১ অক্টোবর উজ্জ্বয়িনে “মহাকাল লোক” প্রকল্পের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেন। আর এরপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) মত প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের বসবাসকারীদের জন্য।

  • TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    TET Agitation: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পার। এখনও সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের (TET Agitation)। সোমবার দুপুর থেকে ২০১৪-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের এখন একটাই কথা, ‘সরকার চাকরি দিক নয়তো লাশ তুলে নিয়ে যাক।’ আমরণ অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার থেকে চলছে অনশন (TET Hunger Strike)। জল, খাবার ছুঁচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের তিনদিন হতে চললে, এখনও সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বিক্ষোভকারীরা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    আজ, বুধবার থেকে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন (TET Agitation) আরও চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের দাবি করার পাশাপাশি তাঁরা ওএমআর শিট সামনে আনার দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে পর্ষদ রাজ্য সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছে। আবার রাজ্য সরকার বল ঠেলছে আদালতের দিকে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছে তাঁরা। তারপরেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। টানা ৮ বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করেছেন। তাঁদের নিয়োগ না করেই নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে দাবি করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন:‘চুরি যাওয়া চাকরি ফেরত দাও’! রাতভর রাস্তায় শুয়ে দাবি টেট উত্তীর্ণদের

    টেট উত্তীর্ণরা আরও দাবি করেছেন, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। ফলে তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। আর চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন।

    অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, চাকরি নেই কেন তা আদালতের কাছে জিজ্ঞেস করতে। ফলে টেট উত্তীর্ণরা আন্দোলনে অনড় হয়ে রয়েছেন। আর তাঁরা চাকরি না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবি অনায্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও, প্যানেলভূক্ত হননি ২০১৪- এর এই চাকরিপ্রার্থীরা। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েও কিছু করার নেই আমাদের। বয়সের ঊর্ধ্বসীমার সিদ্ধান্ত সরকারের। এর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।’

    এদিকে নতুন করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অনেক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরেও আন্দোলনে (TET Agitation) অনড় রয়েছেন তাঁরা। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

  • Debi Chaudhurani Kali Puja: ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী কাল্পনিক নয় বরং ঐতিহাসিক চরিত্র, জানুন তাঁদের কালী পুজোর কথা

    Debi Chaudhurani Kali Puja: ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী কাল্পনিক নয় বরং ঐতিহাসিক চরিত্র, জানুন তাঁদের কালী পুজোর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনন্দ মঠের পর এটাই ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত দ্বিতীয় কোনও উপন্যাস, যেখানে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম এবং চরমপন্থী জাতীয়তাবাদ স্থান পেয়েছিল। ইতিমধ্যে পাঠক হয়তো বুঝতে পেরেছেন, এখানে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের কথাই বলা হচ্ছে। ১৮৮৪ খ্রীস্টাব্দে লিখিত এই উপন্যাসের চরিত্র হরবল্লভের পুত্রবধূ মানে ব্রজেশ্বর এর স্ত্রী প্রফুল্লর শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া এবং জঙ্গল মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার ভবানী পাঠকের সুনিপুণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘দেবী চৌধুরানী’ হয়ে ওঠার গল্প প্রত্যেক বাঙালির কাছেই এভারগ্রীন। কখনো পুরোনো হয়না‌। শার্লক হোমসের ঠিকানায় (২২১/বি বেকার স্ট্রিট, লন্ডন) একসময় প্রচুর চিঠি পাঠাতেন পাঠকরা। তাঁরা ভাবতেন আর্থার কোনান ডায়েল সৃষ্ট এই চরিত্র কাল্পনিক নয় বরং বাস্তবিক। শার্লক হোমস তো কাল্পনিক ছিল কিন্তু জানেন কি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সত্যিই ঐতিহাসিক চরিত্র ছিলেন এবং তাঁরা মা কালীর আরাধনা করতেন। তাঁদের প্রচলিত কালী পুজো (Debi Chaudhurani Kali Puja) আজও ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। শুধু তাই নয় জলপাইগুড়ি তে রয়েছে একটি মন্দির যেখানে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মূর্তি রয়েছে।

    জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুর চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রামে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দির। পাশাপাশি দুটি মন্দির রয়েছে এখানে। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির (Debi Chaudhurani Kali Puja)। কালী মন্দিরের পাশের মন্দিরে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে এখানকার কালীমন্দিরও জাগ্রত ও প্রসিদ্ধ বলেই স্থানীয় ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্দিরে রীতিমতো নিয়ম ও নিষ্ঠার সাথে বছরে দুবার কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে।  বরং এখানকার কালীপূজার আলাদা রোমাঞ্চ রয়েছে ভক্তদের কাছে। ঝোপ জঙ্গলে ভরা, অরণ্য মাঝে এই কালী মন্দিরের অবস্থান। শহরের কোলাহল থেকে নির্জন বনে দেবীর উপাসনা ভক্তদের মধ্যে ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাস কে জীবন্ত করে তোলে‌। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সারারাত জেগে এই পুজো দেখতে যান।

    অন্যদিকে মালদহের রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের গোবরজনা গ্রামের কালী মাতা ঠাকুরানি মন্দির (Debi Chaudhurani Kali Puja) । প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ঘন অরণ্যে ঘেরা ছিল গোবরজনা গ্রাম। পাশেই বয়ে চলেছে কালিন্দ্রী নদী। একবার ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী বজরা নিয়ে যাচ্ছিলেন কালিন্দ্রী নদী বেয়ে। তাঁদের গন্তব্য বঙ্গের উত্তরে। কিন্তু তাঁদের বজরা মাঝ পথেই থেমে গেছিল নদীর এক বালিয়াড়িতে। দেবী চৌধুরানী স্বপ্নাদেশ পেলেন মা কালীর। তিনি সেখানে তাঁদের পুজো নিতে চান। ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানী সেখানেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো সম্পন্ন করলেন। এই পুজোয় আজও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়‌। যদিও, ধুমধাম করে সম্পন্ন হওয়া গোবরজনার এই কালীপুজো দেবী চৌধুরানী চালু করেছিলেন বলে অনেকেই মানতে চাননা‌। ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক ছিলনা‌। রাঢ় বঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সাথেও জড়িয়ে রয়েছে এই দুই গুরু শিষ্যার নাম। গবেষকরা মনে করেন, দেবী চৌধুরানি যে বজরা নিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন, সেই বজরা নিয়ে ভেসে এসে দামোদরের পারে গভীর জঙ্গলে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই জায়গা থেকেই নিজের কাজ চালিয়ে যেতেন ঐতিহাসিক দুই চরিত্র ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানি। বর্তমান দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে রয়েছে ভবানী মাতার মন্দির। এই মন্দিরটি ভবানী পাঠকের মন্দির বলে জনশ্রুতি রয়েছে। একটা সময় এই মন্দিরে এসে আত্মগোপন করেছেন বহু বিপ্লবী। এমনকি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর এখানে এসে রাত্রিযাপনের কথাও প্রচলিত রয়েছে। দুর্গাপুরের এই এলাকায়  জঙ্গল ঘেরা পরিবেশের এই মন্দিরে অনেক ভক্ত আসেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির দর্শন করতে। তারাপীঠের মায়ের রীতি মেনে শ্যামাকালী পুজোর আগের নিশিরাতে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানী আরাধিত এই মা কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজোর বিশেষ রীতি হলো ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি উচ্চারণ।

  • Umar Khalid: উমর খালিদের জামিন খারিজ, দিল্লির হিংসার ঘটনায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Umar Khalid: উমর খালিদের জামিন খারিজ, দিল্লির হিংসার ঘটনায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমর খালিদের (Umar Khalid) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি হিংসা (Delhi Riots) মামলায় গ্রেফতার হন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতা উমর খালিদ। ইউএপিএ (UAPA) এবং অস্ত্র আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ২৪ মার্চ ট্রায়াল কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এর পরেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হন উমর খালিদ। মঙ্গলবার সেখানেও হতাশ হতে হল তাঁকে। এদিন খারিজ হয়ে গেল তাঁর জামিনের আবেদন। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেয় তাঁর জামিনের আবেদন।

    এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগর রায় দিতে গিয়ে বলেন, জামিনের আবেদনের কোনও মেরিট আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। তাই জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল। ২০২০ সালে গ্রেফতার হন উমর খালিদ (Umar Khalid)। জামিনের আবেদনে তিনি বলেন, হিংসায় কোনও দুষ্কৃতীর ভূমিকা তাঁর ছিল না, ষড়যন্ত্রের যোগও ছিল না। অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা রয়েছে।  জামিনের আবেদনে উমর খালিদ (Umar Khalid) বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অমরাবতীতে তিনি যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই বক্তৃতায় তিনি বিপ্লব কথাটির উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, এই বিপ্লব শব্দটি কোনও হিংসাত্মক কথা নয় কিংবা হিংসায় উসকানি দেয় না।

    আরও পড়ুন: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    যদিও দিল্লি পুলিশ তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। পুলিশের দাবি, খালিদ (Umar Khalid) যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা খুব হিসেব কষেই। তার জেরেই  বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, কাশ্মীর, মুসলমানদের দমনের অভিযোগ, সিএএ এবং এনআরসির মতো ইস্যুগুলি লালিতপালিত হয়। পুলিশের যুক্তি, হিংসার ঘটনা ঘটেছিল দু দফায়। প্রথমটি ২০১৯ সালে। আর দ্বিতীয়টি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। হিংসার সময় ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় রাস্তা অবরোধ, পুলিশ কর্মীদের ওপর আক্রমণ এবং আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের ওপর আক্রমণ এবং অ-মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বিজয়া সম্মিলনীতে যেসব ক্লাব ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছিল, তাদের ওই সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে বলে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জেলাশাসক (DM)! সরকারি একটি পদে বসে জেলাশাসক এমন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের হঠিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকার। তার পরেই একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারের নাম। রাজ্য সরকারের এহেন অনিয়মের অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এরকমই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু। ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা তাঁদের অধস্তন এডিএম, এসডিও এবং বিডিওদের প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে যেসব ক্লাবকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই সব ক্লাবের সদস্যদের আগামিকাল শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে বাধ্যতামূলকভাবে হাজির করাতে হবে। সরকারি পদে বসে জেলাশাসকের মতো একজন পদাধিকারী এহেন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

    তবে প্রশ্ন উঠলেই বা কী হবে? এমন নজির রয়েছে আরও। এবং তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন তিনি। রিসর্টটি উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই রিসর্ট সংস্কার করা হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। সাজানো হয়েছে রিসর্ট চত্বর। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, এসবই হয়েছে সরকারি টাকা খরচ করে। মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন ভেবে সরকারি টাকায় একটি বেসরকারি রিসর্ট সাজানো যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রিসর্ট বিতর্কের রেশ মেলানোর আগেই এবার জেলাশাসকদের বার্তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।   প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীকে কর্পোরেট সম্মিলনী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই। এই ধরনের সম্মিলনীতে সাধারণ মানুষ থাকে না। এখানে থাকে শুধু তোলামূল পার্টির সদস্য আর পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    TET-Scam: মানিক-ঘনিষ্ঠের ৩৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি! জানেন কে এই তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া সংযোজন তাপস মণ্ডল। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলই (Tapas Mandal) এখন ইডির (ED) প্রাইম স্লট। কিন্তু কে এই তাপস মণ্ডল? রাজ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রভাবশালী, উচ্চশিক্ষিত এই তাপসকে এতদিন খুব বেশি লোকে জানতেন না।  এখন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে বাড়ি থাকলেও, আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাপস। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে, ১৯৮৫ সাল রাজ্যে তখন ক্ষমতায় সিপিএম, পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার লাগোয়া এলাকায় একটি চিটফান্ড খুলেছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই চিটফান্ড কোম্পানির নাম ছিল মিনার্ভা ফাইনান্স লিমিটেড। বাজারের চেয়ে বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল এই চিটফান্ড কোম্পানি। জাল ছড়িয়ে পড়েছিল তত্‍কালীন অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এমনকি পড়শি রাজ্যের ভুবনেশ্বরেও। এরপর চিটফান্ড সংক্রান্ত একটি মামলায় ১৯৯০ সালে ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তাপস মণ্ডল। কয়েকমাস জেলও খাটেন। তারপরই চিটফান্ডের ব্যবসা গুটিয়ে নেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    সম্প্রতি তাপস একাধিক ট্রাস্ট চালাতেন। সেই ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মূল প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে মহিষবাথানে। সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। গত শনিবার সেখানে তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও,কলেজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা ও তাপসের বারাসতের বাড়ি টানা তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। রাজ্য ডিএলএড কলেজ ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তাপস। এ ছাড়া, ‘অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশন’ এরও সভাপতি ছিলেন। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অনেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েছেন তাপস। এমনকি, উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি দেবেন বলেও অনেকের কাছ থেকে ‘অগ্রিম’ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই প্যানেল তৈরি না হওয়ার কারণে চাকরি দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    ইডি সুত্রে খবর,ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে রয়েছে মোট ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৪টি এনজিও, ৮ মোবাইল ফোন ও তাপস মণ্ডলের ৬ সহকর্মী। ইডির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের এক আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার থেকে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল তাপসের। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আশায় বুক বাঁধবেন না, টেট পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট করে লিখলেন, “যাঁরা অনেক আশা করে শিক্ষক হওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে চলেছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ– পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন, কিন্তু আশায় বুক বাঁধবেন না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের আমলে স্বচ্ছতা আশা করা আর পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া প্রায় সমান।” এখানেই থামেননি তিনি। ‘২০২২ টেট পরীক্ষার আবেদনপত্র’ বলে একটি ব্যাঙ্গাত্মক ফর্ম সেই ট্যুইটে জুড়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘চাকরি দিক নয়ত লাশ তুলে নিয়ে যাক’, ৪৮ ঘণ্টা পেরোল টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন


    আবেদনপত্রটিতে নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গার পাশাপাশি লেখা রয়েছে ‘অযোগ্য প্রার্থী হলে নিজের মোবাইল নম্বর লিখুন’, পাশাপাশি নিজস্ব বুথের তৃণমূল নেতার নাম ও মোবাইল নম্বর লেখারও জায়গা রয়েছে। 

    একদম শেষে রয়েছে কিছু শর্তাবলী। শর্তাবলীর ভিতরে লেখা রয়েছে যে, পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন তাঁদের অসীম ধৈর্য থাকতে হবে। কোথাও আবার পরামর্শ দিয়ে লেখা ঘুষের টাকা পরে তৃণমূল নেতার থেকে ফেরত চাইতে হলে টাকা দেওয়ার প্রমাণ গুছিয়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে যাঁদের বয়স উর্ধ্বসীমার কাছাকাছি রয়েছে তাঁদের আবেদন না করারই পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

    প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই প্রাথমিক টেটে নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। এর মাঝেই টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। গত ১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে প্রাথমিকে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এবার এই নিয়ে সরকারের দিকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Uniform Civil Code: বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    Uniform Civil Code: বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রথম হলফনামা পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। হলফনামার স্বপক্ষে নানা যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন আইনের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে জাতীয় ঐক্য। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ব্যক্তিগত আইন পরিত্যাগ করে।

    বিভিন্ন আবেদনকারী ব্যক্তিগত আইনের (Personal Law) অভিন্নতা জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেয় কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে ছটি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়, আবেদনকারী লুবনা কুরেশি এবং ডোরিস মার্টিন আইন কার্যকর করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন জনস্বার্থ মামলা।

    এদিন কেন্দ্রের তরফে পেশ করা হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, দেশে একাধিক আইন জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত করছে। ফলে ঐক্যের প্রশ্নে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) প্রয়োজন রয়েছে। সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারার অধীনে রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। এখানে ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে ডিভোর্স, দত্তক, অভিভাবকত্ব, উত্তরসূরি নির্বাচন, উত্তরাধিকার, বিয়ের বয়স, ভরণপোষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বলা হয়েছে।

    এর আগে গোটা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু করা যায় কিনা, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আদালতে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলির উত্তর দেওয়ার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে বরাবরই ধর্মীয় তুষ্টির চশমায় দেখা হয়।

    আরও পড়ুন: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    ভারতে চালু রয়েছে ব্যক্তিগত আইন। এই আইন বলে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আলাদা আলাদা  সুবিধা ভোগ করেন। সেই কারণেই গোটা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর ওপর জোর দেয় কেন্দ্র। সেই কারণেই এদিন হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, একাধিক আইন বিঘ্নিত করছে জাতীয় ঐক্যকে। তাই প্রয়োজন রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর। আদালত সংসদকে কোনও আইন তৈরি কিংবা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী জানেন? রহস্য ফাঁস করলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী জানেন? রহস্য ফাঁস করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশমন্ত্রীর কাজ কী, তাঁর ভূমিকাই বা কী, মঙ্গলবার তা বিস্তারিত জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার গুজরাটের (Gujrat) আমেদাবাদে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সভার আলোচ্যসূচি ছিল, মোদি জমানায় ভারতের (India) বিদেশ নীতি। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, তিনি কেবল জানাতে চান একজন বিদেশমন্ত্রী ঠিক কী কাজ করেন, আর দ্বিতীয়ত বিদেশ নীতি কীভাবে এখন প্রভাব ফেলে প্রত্যেকের ওপর।

    এদিনের আলোচনা সভায় জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, বিদেশমন্ত্রীর বড় দুটি কাজ রয়েছে। একটি হল, বিশ্বের সামনে ভারতকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। আর অন্যটি হল, অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং নয়া ভারতে ঠিক হচ্ছে, তা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া।

    আলোচনা সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমি ঠিক কী করি, তা আমি আপনাদের বোঝাতে চাই। মোদি জমানায় যে দেশে অনেক কিছু বদল এসেছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) সরকার। গত এই আট বছরে যে দেশে অনেক কিছু বদলেছে, তা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আট বছরে মোদি সরকারের আমলে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। বিদেশ নীতির তিনটি স্তরের ওপরও এদিন আলোকপাত করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আরও পড়ুন: কেবল ব্যবসা নয়, মিশরের সঙ্গে কাজও করতে চায় ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    তাঁর ভাষায়, আমাদের বিদেশ নীতির তিনিটি স্তর রয়েছে। প্রথমত, এটি নিরাপত্তা কেন্দ্রিক। দ্বিতীয়ত, এটি উন্নয়ন কেন্দ্রিক। এবং তৃতীয়ত, এটি জনগণ কেন্দ্রিক। তিনি বলেন, আজ আমাদের ভিশন হল ১০ সপ্তাহের, ১০ মাসের এমন কি ১০ বছরের। এর অর্থ হল, আমাদের শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম দু রকমের ভিশনই রয়েছে। বিশ্বের কোথাও কিছু ঘটলে তার প্রভাব এখন তামাম বিশ্বের ওপর পড়ে বলেও জানান জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড অতিমারির প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। এটা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে কোনও একটি বিশেষ দেশের ওপর নির্ভর না করতে। তিনি বলেন, বিশ্বে কাজের বাজার এবং বিশ্বে ব্যবসার বাজারের উন্নতি ঘটাতে হবে আমাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    WB Panchayat Election: নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! হাওড়া পুরসভার ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়ায়ই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election)। যদি নিতান্তই জানুয়ারিতে ভোট করানো না যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ভোট হবে মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের প্রথমে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ, আসন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ, বুধবারই ওই তালিকা প্রকাশ করে দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। এদিকে, হাওড়া পুরসভার ভোটও হতে পারে আগামী বছরেই।

    রাজ্য প্রশাসনের একটি অংশ জানুয়ারিতেই ভোট (WB Panchayat Election) করানোর পক্ষপাতী। শীতে নিতান্তই সম্ভব না হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দরুণ ভোট পর্ব শুরু হবে না মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে। সেক্ষেত্রে ভোট হবে এপ্রিলের গোড়ায়। কারণ পরীক্ষা শেষ হলে তবেই মাইক বাজিয়ে প্রচারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে ঠিক কবে ভোট হবে, তা জানা যাবে আর কিছু দিন পরে। এদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Election) ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক, বিরোধী সব শিবিরই। তৃণমূল নেতাদের জেলায় জেলায় গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই জেলা সফর শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপিও। ২০ জনের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে পদ্ম শিবির। জেলাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছে পর্যবেক্ষক।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    রাজ্যে এর আগে পঞ্চায়েত ভোট (WB Panchayat Election) হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবারও ভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশ দিয়ে। সেবার ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম। বিরোধীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের কারণে সেবার ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন হলে অবাধ ভোট হবে না। ফের সৃষ্টি হবে অশান্তির বাতাবরণ। সেই আবহে কীভাবে নিরপেক্ষ ভোট হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদের একাংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Election) রাজ্যের বহু আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা। বিশেষত অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে। তবে অনুব্রত এখন জেলে। ভোট পর্যন্ত তিনি ছাড়া না পেলে বীরভূমেও প্রার্থী দিতে পারবেন বিরোধীরা। এদিকে, নতুন বছরে ভোট হতে পারে হাওড়া পুরসভায়ও। মেয়াদ শেষেও নির্বাচন না হওয়ায়  পুরসভা চলছে প্রশাসক দিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share