Blog

  • Congress: পাখির চোখ ২০২৪, সোমবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস টাস্কফোর্স!

    Congress: পাখির চোখ ২০২৪, সোমবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস টাস্কফোর্স!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ মহারণ। দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। বিজেপিকে (BJP) দিল্লির মসনদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস (Congress)। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে কংগ্রেস টাস্কফোর্স (Task Force) গঠন করেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের একজন। তিনি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)।

    খাড়গে গান্ধী পরিবারের বাইরের…

    খাড়গে গান্ধী পরিবারের বাইরের হলে কী হবে, গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত তিনি। এই টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক বসতে চলেছে সোমবার। খাড়গে নয়া কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই টাস্কফোর্সের প্রথম সভা। এই বৈঠকে নির্বাচন স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের সদস্যরা নয়া প্রেসিডেন্টকে টাস্কফোর্সের কাজ এবং ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিততে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে অবহিত করবেন।

    এই যে টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) হেভিওয়েট কয়েকজন নেতা। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, পি চিদম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, জয়রাম রমেশ, কেসি বেণুগোপাল, অজয় মাকেন, রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং সুনীল কানুগোলু। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছিলেন শশী থারুর। গান্ধী পরিবারের অনুগত মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে পরাস্ত হন তিনি। সেই শশী থারুর এই টাস্কফোর্সে নেই বলেই অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর।

    এপ্রিল মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে বসেছিল কংগ্রেসের (Congress) চিন্তন শিবির। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানেই বলা হয়েছিল অ্যাকশন গ্রুপের ক্ষমতায়ণের কথা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে সোমবারের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এই যে টাস্কফোর্সের বৈঠক হতে চলেছে, তা গঠন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তিনি এই কমিটি গঠন করেছিলেন আট সদস্যের একটি কমিটির দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে।

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

    ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই নির্বাচনে দিল্লির মসনদ ফের দখল করবে বিজেপি। কারণ গত দশ বছরে দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, তা এসেছে বিজেপির হাত ধরেই। তাই বিজেপি তো বটেই, রাজনৈতিক মহলের মতেও, দিল্লির কুর্সিতে ফের আসছে পদ্ম। যদিও বিজেপিকে বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস (Congress)। সেই কারণেই গঠিত হয়েছে টাস্কফোর্স। তবে সে ফোর্সের শক্তি কতটা, তা বলবে সময়।

     

       দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitin Gadkari: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের

    Nitin Gadkari: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করলে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। এই মুহূর্তে তিন দিনের আসাম সফরে রয়েছেন তিনি। আর গুয়াহাটি থেকেই শুক্রবার করেন এই ঘোষণা। এছাড়াও এদিন এই রাজ্যগুলিতে আগে ঘোষণা করা ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলেও এদিন বলেন তিনি।

    কোন রাজ্যে কত বরাদ্দ?  

    সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, আসামে নতুন প্রকল্পের জন্যে বরাদ্দ হয়েছে ৪৬,২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১,০২০ কিমি রাস্তা এবং ব্রিজ, ৫টি রোপওয়ে, ১০টি ওভারব্রিজের কাজ হবে। ইতিমধ্যেই ৫,৮৯০ কোটি টাকা খরচ করে ১,১১৩ কিমি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। এছাড়াও জানান, ৬৩২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।

    এছাড়া নিতিন গড়করি ত্রিপুরার জন্য নতুন ৭টি প্রকল্পের অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেন ৷  এই জন্য রাজ্যকে ১৩,৩৫৩ কোটি টাকা অনুমোদনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অনুমোদিত নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে –  চুরাইবাড়ি-আগরতলা এন‌এইচ-০৮ (১৭১ কিমি) চার লেন (৩,২৩৩ কোটি টাকা), আগরতলা বাইপাসের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় অংশ (৩৫ কিমি) (৩,১৬১ কোটি টাকা), খোয়াই-  তেলিয়ামুড়া-অমরপুর-হরিনা এনএইচ ২০৮ (২,৪২১ কোটি টাকা), উদয়পুর-শ্রীমন্তপুর সড়কের চার লেনিং (৩৪ কিমি) (৪৮০ কোটি টাকা)৷ চারটি রোপওয়ে প্রকল্প (মহারানি- ছবিমুড়া, উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, জম্পুই  হিলস, কমলপুরের সুরমাছড়া) (৬৯২ কোটি টাকা), তিনটি রেলওয়ে ওভারহেড ব্রিজ (৩৫ কোটি টাকা) এবং শহরাঞ্চলে সিমেন্ট কংক্রিট রাস্তা নির্মানে (২০০ কোটি টাকা)।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই পারদ পতন! শীতের প্রবেশ রাজ্যে

    ত্রিপুরা রাজ্যে জাতীয় সড়কে কাজের অগ্ৰগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)- কে রাজ্যে চলমান ২৮০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজগুলি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।  এক‌ই সঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারকে প্রকল্পের অগ্রগতির স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ, বনভূমির ছাড়পত্র, বিদ্যুৎ, জলের লাইনের স্থানান্তর ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    এছাড়াও মেঘালয়ের জন্যে ১২,৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প, নাগাল্যান্ডের জন্যে ৪,৯২১ কোটি টাকার প্রকল্প, অরুণাচল প্রদেশের জন্যে ৪৫,৮৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প, মণিপুরের জন্যে ১৬,৬৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প, মিজোরামের জন্যে ৮,৬১৪ কোটি টাকার প্রকল্প এবং সিকিমের জন্যে ৫,০৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • TET: ২০১৪ টেটের মেধা তালিকায় বিভ্রান্তি, কী সাফাই দিলেন পর্ষদ সভাপতি, জানেন?

    TET: ২০১৪ টেটের মেধা তালিকায় বিভ্রান্তি, কী সাফাই দিলেন পর্ষদ সভাপতি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট (TET) প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল আগেই। এবার প্রকাশিত হল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা। মেধা তালিকা প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওই তালিকায় টেট উত্তীর্ণদের নাম এবং প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রাথমিকের সংরক্ষিত বিভাগে ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের তালিকাও প্রকাশ করেছে পর্ষদ। যদিও ওই তালিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। ওই তালিকার (Merit List) বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সংরক্ষিত তালিকায়ও একজনের নাম নেই। জানা গিয়েছে, এক লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের তালিকায় বহু পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ থাকলেও, নাম নেই। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই অসম্পূর্ণতার নেপথ্যেও কোনও রহস্য রয়েছে?

    পর্ষদ সভাপতি বলেন…

    এ ব্যাপারে সাফাই গেয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও সব তথ্য আসেনি। তবে সব তথ্য হাতে পেলেই ঠিক করে দেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে ২০১৪ সালের টেটের (TET) মেধা তালিকা প্রকাশ করেন গৌতম পাল। ওই সময় তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেই আমরা এই তালিকা প্রকাশ করতে উদ্যোগী হই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

    এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, যেগুলো নেই, দু একদিনের মধ্যে আমরা তা ক্ল্যারিফাই করে দেব। অনেক ক্ষেত্রে রোল নম্বর রয়েছে। তিনি বলেন, রোল নম্বর তো ইউনিক আইডি। একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকেন। এক লক্ষ ২৫ হাজার কিন্তু অনেকটা। এটা মহামান্য আদালতের নির্দেশ ছিল। আমরা তাকে মান্যতা দিয়ে প্রকাশ করেছি। পর্ষদ সভাপতি বলেন, এটা কিন্তু খুব একটা সরল কাজ নয়। যদি দু একটি ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকে, সেটা আমরা সংশোধন করে নেব।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, টেটের (TET) ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৌতম বলেন, এটা ভুল ধারণা। কোথাও কি পর্ষদ বলেছে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে? ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়। তিনি বলেন, আমাদের ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়েছে, পোড়ানো হয়নি। তাঁর দাবি, প্রার্থীদের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে ডিজিটাল ফর্মেটে। প্রত্যেকের ডেটা আছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue In West Bengal) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ডেঙ্গি সংক্রমণের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। শহরে লাগামহীন এই সংক্রমণের জন্য দায়ী নজরদারির অভাব। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনি উল্লেখ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে কী জানা গিয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নজরদারি কর্মীর অভাব রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় (Dengue In West Bengal) ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়নি। আর তার জেরেই বিপত্তি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার সব ওয়ার্ডে জনসংখ্যা এক নয়। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্মী সংখ্যা এক। অর্থাৎ, যেখানে নজরদারি বেশি প্রয়োজন, সেখানে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলোতে জনসংখ্যা বেশি। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত পুর কর্মী নেই। যেমন কোনও ওয়ার্ডে বাসিন্দা সংখ্যা ১০ হাজার, আবার কোথাও বাসিন্দা ২৫ হাজার। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ১০ হাজার মানুষের নজরদারির জন্য যত সংখ্যক পুর কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন, ২৫ হাজারেও সংখ্যাটা এক। ফলে, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। 

    সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পুরসভার এই ঢিলেঢালা মনোভাবে অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, একাধিকবার ঠিক করা হয়েছে, দিনে দু’বার পুর কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নজরদারি করবেন। জল জমা থেকে জ্বরের খবর, সবটাই পুরসভার কাছে থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই রোগ মোকাবিলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় এই নজরদারি হয়নি (Dengue In West Bengal)। একটি বাড়িতে দু’বেলা যাওয়া তো দূর অস্ত। অনেক ওয়ার্ডে প্রত্যেক বাড়িতে দিনে একবার ও পুর কর্মী যাননি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। ফলে, নজরদারির গাফিলতি স্পষ্ট। 

    জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল (Dengue In West Bengal)। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরসভাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এলাকা পরিষ্কার, জ্বর হলে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া, কোনও ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পেলে, সেখানে বিশেষ সক্রিয় থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হয়নি। আর তার জেরেই কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিয়েছে। দিনে দু’হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, কর্মীরা সক্রিয় আছেন। এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে। যেখানে বাড়তি কর্মী প্রয়োজন, সেখানে অন্য জায়গা থেকে কর্মী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। 

    তবে পুরসভার এই যুক্তিতে খুশি নয় স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পুরসভাকে পাঠানো রিপোর্টে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নজরদারির জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ না করলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে না। পরিস্থিতির ও উন্নতি হবে না (Dengue In West Bengal)। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, নজরদারিতে গাফিলতি অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জায়গার পুরসভাতেই রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক নজরদারির বিশেষ অভাব রয়েছে। ফলে, সেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে (Dengue In West Bengal)। 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের অর্ধেক সময় প্রশাসন, ডেঙ্গি হয়েছে, এটা মানতেই চায় না। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন প্রশাসনের হুঁশ ফেরে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে কয়েক’শ মানুষ মারা যাচ্ছেন (Dengue In West Bengal)। তারপরেও কেন রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় গাফিলতি থাকছে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুর দফতর কোথাও পাওয়া যায়নি।

  • SC on Lottery Tax: লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Lottery Tax: লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য রাজ্যের লটারির ওপর প্রাক জিএসটি (GST) যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য (State)। এ মর্মে দায়ের হওয়া একটি রিভিউ পিটিশন (Review Petition) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত (SC on Lottery Tax) কেরল এবং কর্নাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল সিকিমের মতো যেসব রাজ্য লটারি রয়েছে, সেগুলির ওপর অন্য রাজ্য কোনও ট্যাক্স বসাতে পারে না।

    সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা…

    এদিন সেই রায়ের ওপর দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনও খারিজ করল শীর্ষ আদালত। কেরল এবং কর্নাটক দুই রাজ্যের হাইকোর্টই জানিয়ে দিয়েছিল, যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আইনসভার এটা করার কোনও অধিকারই নেই। এতে বলা হয়েছিল, সংবিধানে বেটিং এবং জুয়াখেলা সংক্রান্ত যে আইনের সংস্থান রয়েছে, তাতে লটারিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই রায়ের ফলে কর্নাটক ট্যাক্স অন লটারিজ অ্যাক্ট ২০০৪ এবং কেরল ট্যাক্স অন পেপার লটারিজ অ্যাক্ট, ২০০৫ বৈধ বলে গণ্য হল। এখন দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এর আগের রায়ে কোনও ভুল ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়নি। সেই কারণেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে রিভিউ পিটিশন। সিকিম সহ বেশ কিছু রাজ্য লটারি চালায়। এই রাজ্যগুলির লটারির ওপর প্রাক জিএসটি যুগের কর চাপাতে পারবে না কোনও রাজ্য। এই মর্মে দায়ের হওযা রিভিউ পিটিশনই এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, দ্য লটারিজ (রেগুলেশন) আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী লটারি ব্যবসার পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ হয় ভারতে। এই আইনে লটারি ব্যবসায় রাজ্যগুলিকেও প্রায় সমান ক্ষমতা দেওয়া আছে। সারা দেশে এখন একটি সংস্থাই লটারির ডিস্টিবিউটর। যদিও আইন অনুযায়ী একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর থাকার কথা। সহজ কথায় সারা দেশে একটি ব্র্যান্ড নেমেই বিভিন্ন রাজ্যের লটারি বিক্রি হয়। বাংলায় সব থেকে বেশি বিক্রি হয় নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি। পাঞ্জাব ও সিকিম রাজ্য লটারিও বিক্রি হয় প্রচলিত ব্র্যান্ড নেমে। ২০২০ সালের পর থেকে নিজস্ব লটারি খেলা বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • US Mid-Term Polls: কম ভোটের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ দখল রিপাবলিকানদের

    US Mid-Term Polls: কম ভোটের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ দখল রিপাবলিকানদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম মার্জিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পরিষদের দখল নিল রিপাবলিকান পার্টি। জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটকে ৯ আসনে হারিয়ে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। রিপাবলিকানদের ঝুলিতে আসে ২০১৮টি আসন এবং ডেমোক্র্যাটরা পায় ২০৯টি আসন। কংগ্রেসের ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২১৮টি আসন প্রয়োজন ছিল। আর কাঁটায়-কাঁটায় ঠিক সেই সংখ্যক আসনই পেয়েছে রিপাবলিকানরা। কার দখলে যাবে মার্কিন সেনেটের নিম্নকক্ষ, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল। শেষ মুহূর্তে ২৭ তম কংগ্রেস জেলাতে জয়লাভ করে শেষ হাসি হাসলেন রিপাবলিকানরাই। যদিও সেনেটের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরাই।

    আরও পড়ুন: নিজের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল আফতাব! শ্রদ্ধা খুনে নয়া দিক

    গত সপ্তাহেই আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তার দখল নিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের পার্টি। তবে বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ২১৮তম আসনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বাইডেন নয়, বরং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প্র দল রিপাবলিকানরাই জয়ী হয়েছে। যদিও খুন কম ভোটের মার্জিনেই জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। তবে এতে ডেমোক্র্যাটদের মুশকিল যে বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, “আমেরিকানরা নতুন একদিকে হাঁটতে শুরু করেছে। রিপাবলিকানরাও প্রস্তুত।”

     

     

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    নিম্নকক্ষের ফল প্রকাশের পর রিপাবলিকানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহের নির্বাচন আমেরিকার গণতন্ত্রের শক্তিকে প্রমাণিত করেছে। রাজনৈতিক হিংসা, ভোট দিতে অনিচ্ছা- এমন নানা প্রতিবন্ধকতা এসেছে। কিন্তু আমেরিকায় সাধারণ নাগরিকের সদিচ্ছারই জয় হল। ভবিষ্যত অত্য়ন্ত আশাব্যাঞ্জক, রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফাঁদে আটকে পড়বেন না।”

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২০২৪- এর হোয়াইট হাউজ দখলের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে দুই দলই। কে কোন ইস্যু তুলে কাকে আক্রমণ করবে সে ছকও কষে ফেলা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্ত চলছে। বাইডেন প্রশাসন এই তদন্তের গতি বাড়ানোর জন্য চাপ দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের চিন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সহ একাধিক বিষয় নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

       

     

     

     

     

  • TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কেবল তৃণমূল (TMC) সমর্থকদেরই নাম তুলুন! বিজেপির (BJP) লোকদের তুলবেন না! এই নিদান দিয়েছেন এ রাজ্যের এক এমএলএ (MLA)। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) খোকন দাসের এহেন মন্তব্যের জেরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার লিস্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের টাউন হলে তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এক আলোচনা সভার। এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্টরা। এই সভায়ই বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন খোকন। একজন বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) হয়ে একথা বলতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?

    এদিনের এই সভায় বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) বলেন, অনেক নতুন ভোটার। প্রতিদিন নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে বুঝতে পারছেন? সব বাংলাদেশের লোক আসছেন। তাঁদের ভোট বেশি তোলা মানে তো আরও ক্ষতি। তাঁরা তো সব ভোট বিজেপিকেই দিয়ে দেন। তাই ভোটার লিস্টে নাম যে তুলবেন, দেখবেন নতুন লোক এলেও, তাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কিনা। যাঁরা সেটা করবেন, তাঁদেরই নাম ভোটার তালিকায় তোলার চেষ্টা করবেন। বিধায়ক বলেন, এখন সবাই আমাদের দলের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছেন। দু দিন পর আবার ২০১৯, ২০২১ সালের মতো হয়ে না যায়! নিজেদের জায়গা নিজেদের ছেলেদের করতে হবে। আমরাও দলকে বলেছি, যাঁরা উনিশ ও একুশের ভোটে বুক চিতিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তাঁদেরই বিভিন্ন পদ দেওয়া হবে। অন্য কোনও লোককে আমরা কোনও পদ দেব না। তিনি বলেন, যাঁরা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তাঁদেরই জায়গা দেব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    অথচ দিন কয়েক আগে উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল বিধায়কের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ১০ নভেম্বর এক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সবাই যাঁরা ভোটার লিস্টের কাজে আছেন, আমি রিকোয়েস্ট করব সবার নামটা তুলবেন। ১৮ বছর বয়স যাদের হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাদের নামগুলো তুলবেন ইলেকশন কমিশনের নিয়ম মেনে। কারও নাম দয়া করে অন্য ধর্মের লোক বলে বাদ দেবেন না।

    তৃণমূলের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walkar Murder: নিজের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল আফতাব! শ্রদ্ধা খুনে নয়া দিক

    Shraddha Walkar Murder: নিজের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল আফতাব! শ্রদ্ধা খুনে নয়া দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুনের পর নিজের পাতা পর পর ভুলের জালেই ধরা পড়ে যায় আফতাব। ছয় মাস আগে, গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে ছত্তরপুরের জঙ্গলে ছড়িয়ে দেয়। তবে শ্রদ্ধা যে খুন হয়েছে, এ কথা যাতে কেউ বুঝতে না পারে, তার জন্যই আফতাব শ্রদ্ধার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রেখেছিল। এমন কিছু কাজ করে সে, যাতে মনে হতে পারে যে শ্রদ্ধা তখনও জীবিত। আফতাব নিয়মিত লেনদেনও করত শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু এই চালই যে পাল্টা বিপদ হয়ে ফিরে আসবে তাঁর কাছে, এ কথা কল্পনাও করতে পারেনি আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর মাস ছয়েক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিলেও ওই ভুলগুলির জন্যই আফতাবকে সন্দেহ করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা।

    গত ২৬ অক্টোবর আফতাব আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। সেই সময় আফতাব জানায়, গত ২২ মে ঝগড়ার পর শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুরের মেহরৌলির ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছিল। জামাকাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী রেখে, শুধু মোবাইল ফোন নিয়েই শ্রদ্ধা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, এমনটাই জানায় আফতাব। তার বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ শ্রদ্ধার মোবাইলের গতিবিধি, কল ডিটেলস ও সিগন্যাল লোকেশন খতিয়ে দেখে।

    ২৬ অক্টোবর আফতাবের দাবি ছিল, ‘‘২২ মে-র পর থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেননি শ্রদ্ধা।’’ অথচ, শ্রদ্ধার মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখে জানা যায়, ২২ থেকে ২৬ মে-র মধ্যে শ্রদ্ধার মোবাইল ব্যবহার করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আফতাবের ব্যাঙ্কে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। লোকেশন ছিল— মেহরৌলির ছত্তরপুর এলাকা, যেখানে তারা একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শুধু তাই নয়। এরপরও, ৩১ মে এমনই একটি চ্যাটের সময় শ্রদ্ধার মোবাইলের লোকেশন ছিল ছত্তরপুর। এখানেই পুলিশের সন্দেহ হয়, প্রশ্ন ওঠে যদি ২২ মে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় শ্রদ্ধা, তবে বাড়ির পাশেই কীভাবে শ্রদ্ধার ফোনের লোকেশন পাওয়া গেল।

    আফতাবকে আটক করে লাগাতার জেরা করা হয়। পুলিশের দাবি, তখনই সে স্বীকার করে যে তার কাছেই শ্রদ্ধার ফোন ও ব্য়াঙ্কিং অ্যাপের পাসওয়ার্ড থাকায় সে আর্থিক লেনদেন করেছিল। এমনকী, শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ডের বিলও মিটিয়ে দিয়েছিল আফতাব, যাতে ব্যাঙ্কের তরফে শ্রদ্ধার মুম্বইয়ের ঠিকানায় কাউকে পাঠানো না হয়।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    কীভাবে ধরা পড়ল আফতাব

    পুলিশকে আফতাব জানায় কীভাবে পরিকল্পনা করে শ্রদ্ধাকে খুন করে সে। তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে যে ঘটনাবলীর কথা জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে, তার সংক্ষিপ্ত তালিকা:

    ১৫ মে, ২০২২: দিল্লির নতুন ফ্ল্যাটে আসে তারা।

    ১৮ মে, ২০২২: শ্রদ্ধার সঙ্গে বচসা বাধে আফতাবের। সেদিনই সে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা নিশ্চিত করে। বচসার মধ্যে শ্রদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়লে তখনই তাঁর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে আফতাব

    ২১ মে, ২০২২: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে আফতাব। নতুন  ফ্রিজ কিনে তাঁর দেহাংশ ফ্রিজে রাখে এবং প্রতিদিন রাত ২টোর পর শ্রদ্ধার দেহের টুকরো এক এক করে জঙ্গলে ফেলে আসতে থাকে আফতাব।

    ২২-২৬ মে, ২০২২: শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৪ হাজার টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে আফতাব।

    ২৬ মে, ২০২২: শ্রদ্ধার ফোন থেকে শেষ ফোন করা হয়। কল রেকর্ড থেকে সেই তথ্যই মিলেছে।

    ৩১ মে, ২০২২: শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে তাঁর বন্ধু লক্ষ্মণকে শেষ টেক্সট করে আফতাব। শ্রদ্ধার বয়ানেই সে লেখে। লক্ষ্মণ শ্রদ্ধাকে  এরপর থেকে ফোন করলে দেখে শ্রদ্ধার ফোন সুইচ অফ।

    ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২: শ্রদ্ধার বাবা ভাসি থানায় তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসেই শ্রদ্ধার বন্ধু লক্ষ্ণণের সঙ্গে কথা হয় শ্রদ্ধার বাবার। লক্ষ্মণ তাঁকে জানায়, মে-এর শেষ থেকে শ্রদ্ধার ফোন বন্ধ। শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর দেখা বা কথা হয়নি।

    ২৬ অক্টোবর, ২০২২: আফতাব আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। সেই সময় আফতাব জানায়, গত ২২ মে ঝগড়ার পর শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুরের মেহরৌলির ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছিল। জামাকাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী রেখে, শুধু মোবাইল ফোন নিয়েই শ্রদ্ধা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

    ৩ নভেম্বর, ২০২২: আফতাবকে দ্বিতীয়বার জেরা করে পুলিশ। তখনও একই কথা বলে সে। আফতাব জানায় সে নিজেও নাকি শ্রদ্ধার খোঁজ করছে। 

    ৮ নভেম্বর, ২০২২: আফতাব এই দাবি করলেও দিল্লি পুলিশ দেখে শ্রদ্ধার ফোন ২২-২৬ মে পর্যন্ত দিল্লির লোকেশনেই ছিল।

    ১১ নভেম্বর, ২০২২: আফতাবকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানতে চায়, ২২ থেকে ২৬ মে-র মধ্যে শ্রদ্ধার মোবাইল ব্যবহার করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আফতাবের ব্যাঙ্কে ৫৪ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। লোকেশন ছিল— মেহরৌলির ছত্তরপুর এলাকা, যেখানে তারা একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কী করে এটা সম্ভব? 

    ১২ নভেম্বর, ২০২২: আফতাবের বয়ানে অসঙ্গতি পায় পুলিশ। আফতাবও নানান ধরনের তথ্য দিতে থাকে। পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। 

  • Indian Students in US: চিনকেও ছাড়িয়ে গেল আমেরিকায় ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা

    Indian Students in US: চিনকেও ছাড়িয়ে গেল আমেরিকায় ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সব জায়গাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা (Indian Students in US)। কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের প্রথম পছন্দ আমেরিকা। গত দশ বছরে আমেরিকায় ভারত থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সংখ্যা ১১.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে। সোমবার সমীক্ষক সংস্থা ‘ওপেন ডোরস’-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকেই পাওয়া গিয়েছে এই পরিসংখ্যান। 

    এর আগের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে সব থেকে বেশি আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যেতেন চিনের পড়ুয়ারা। কিন্তু গত দশ বছরে চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক অধিবেশনে আমেরিকার এক প্রতিনিধি জানান, ২০২১-’২২ সালে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য মোট ৬২ হাজার স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে স্টুডেন্ট ভিসার সংখ্যা বেড়ে ৮২ হাজারে পৌঁছেছে। 

    আরও পড়ুন: ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়াতেই কি খুন শ্রদ্ধা? দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড় 

    সেই অধিবেশনে আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারত থেকে আসা বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী অঙ্ক, কম্পিউটার সায়েন্স, প্রযুক্তিবিদ্যা এবং বাণিজ্য এইসব বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু আমেরিকাতেই নয়, চলতি বছরে ব্রিটেনেও ভারত থেকে আসা পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। 

    প্রসঙ্গ ভিসা 

    সম্প্রতি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে ভিসা প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।  যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? এই প্রশ্ন করেন জয়শঙ্কর। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তারপরেই মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত সামনে এল। 

    নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ছাত্র ভিসার ইন্টারভিউ শুরু করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। এছাড়াও এবছরই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১০০০০০ ভিসা স্লটও খুলেছে। মূলত যারা প্রথমবার ভিসার আবেদন করবেন এই ভিসাগুলি তাদের জন্য। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, যারা কোভিডের সময় থেকে এই দেশে পড়ে রয়েছেন নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখেই এই সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sania Mirza Divorce:  সানিয়া-শোয়েব বিবাহ বিচ্ছেদ নিছকই জনপ্রিয়তার জন্য! গুঞ্জন নেট দুনিয়ায়

    Sania Mirza Divorce: সানিয়া-শোয়েব বিবাহ বিচ্ছেদ নিছকই জনপ্রিয়তার জন্য! গুঞ্জন নেট দুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সানিয়া-শোয়েব বিবাহ-বিচ্ছেদে প্রসঙ্গ নিছকই জনপ্রিয়তা বজায় রাখার জন্য পাবলিটি স্টান্স নয় তো? সম্প্রতি এমনই জল্পনা চলছে নেটদুনিয়ায়। গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই ভারতীয় টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা আর পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা শোনা যাচ্ছে। কিছু আইনি কাজ সেরে অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট করে ফেলবেন তাঁরা এমনই খবর।

    জন্মদিনে শুভেচ্ছা

    এরই মধ্যে মঙ্গলবার ছিল ভারতীয় টেনিস তারকার জন্মদিন। দুবাইয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাবা,মা এবং বোনের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতে দেখা গেল তাঁকে। সানিয়ার ৩৬তম জন্মদিনে সোমবার মধ্যরাতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইটারে পোস্ট করেন শোয়েব। একটি ছবিতে সানিয়ার সঙ্গে তাঁকে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে। শোয়েব লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন। সুস্থ ভাবে এবং খুশি মনে জীবন কাটাও। দিনটা খুব ভাল ভাবে উপভোগ করো।” তিনটি মাত্র লাইনে সানিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোয়েব। তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা এর ফলে আরও বেড়েছে। বিচ্ছেদ কি তবে হয়েই গিয়েছে? আবার অনেকে বলছেন, বিচ্ছেদ হলে আবেগঘন শুভেচ্ছা বার্তা কেন? সব কিছুই স্বাভাবিক! কোনও সমস্যা নেই বলেই এ ভাবে শুভেচ্ছা জানালেন স্ত্রীকে, দাবি সানিয়া-শোয়েব অনুরাগীদের।

    আরও পড়ুন: শোয়েব-সানিয়া বিচ্ছেদ! কী বলছেন তারকা দম্পতি?

    নয়া টক-শো

    পার্টনার হিসেবে খুব জলদি একটি ওয়েব শো অ্যাটেন্ড করতে চলেছেন সানিয়া আর শোয়েব, এটাই হয়তো আলাদা হওয়ার আগে তাঁদের শেষ একসঙ্গে পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স।পাকিস্তানের একটি ওটিটি-র পক্ষ থেকে রবিবারই ঘোষণা করা হয়েছে ‘The Mirza Malik Show’-এর। এটা একটা টক শো, যেখানে নানা প্রান্ত ও কর্মজগত থেকে তারকারা আসবেন আর তাঁদের হোস্টিংয়ের দায়িত্ব থাকবে শোয়েব আর সানিয়ার উপরে। এই শো-এর কথা শুনে কেউ কেউ যেমন স্বস্তি পেয়েছেন এটা ভেবে যে, ‘যাক তাহলে ডিভোর্সটা হচ্ছে না’। আরেক দলের আবার মন্তব্য, ‘এসবই তাহলে পাবলিসিটি স্টান্ট ছিল নিজেদের শো-কে বিখ্যাত করার জন্য?’তবে বলে রাখা ভালো এই শো-এর প্রোমো শ্যুট হয়েছিল প্রায় ৮ মাস আগে। তখন দুজনের মধ্যে তো কোনও সমস্যাই ছিল না। এখন শোয়েব বা সানিয়া কেউ এই ‘দ্য মির্জা মালিক শো-এর কথা নিজেদের সোশ্যাল প্রোফাইলে শেয়ার করেননি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share