Blog

  • Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক বাধা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১ মিশন’ (Artemis 1 Mission)। চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর আজ তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’।

    বাধা কাটিয়ে সফল উৎক্ষেপণ

    আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের উপর নির্ভর করেই আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে (Artemis 1 Mission)। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরপর দুবার বাতিল করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিকের কারণে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি ধাপ

    দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাই এর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এরই মধ্যে এক ধাপ সফল হয়েছে। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস ১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ কোথায় মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন তা চিহ্নিত করা। এরপর একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ (Artemis 1 Mission)।

    উল্লেখ্য, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। অনুমান করা হয়েছে, এটি ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করবে।  

  • Amitabh Bachchan: প্রিয় বন্ধু্র মৃত্যুতে শোকার্ত অমিতাভ বচ্চন

    Amitabh Bachchan: প্রিয় বন্ধু্র মৃত্যুতে শোকার্ত অমিতাভ বচ্চন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিজের প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছেন বলিউডের ‘ডন’ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। প্রিয় বন্ধুটি তাঁর নিজের পোষ্য। তার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অমিতাভ করলেন স্মৃতিচারণা। লিখলেন, “আমাদের এই ছোট্ট বন্ধু। এক সময় এই বন্ধু ছোট ছিল। তারপর আমাদের চোখের সামনেই সে বড় হয়। তারপর একদিন এমন আসে, যেদিন সব মায়া কাটিয়ে তারা চলে যায়। রেখে যায় অজস্র স্মৃতি। যা হৃদয়বিদারক।”

     



      

    অমিতাভের পশুপ্রেমের কথা কারও অজানা নয়। যখনই সময় পান, পোষ্যর সঙ্গেই সময় কাটান। অমিতাভ এর আগেও ব্লগে পশুপ্রেম নিয়ে লিখেছেন। কীভাবে তাঁর অবসর সময় অবলা জীবদের সঙ্গে কেটে যায় জানিয়েছিলেন সে কথা। কোভিডকালে লক ডাউনের সময় এই ছোট্ট পোষ্য কীভাবে ঘর মাতিয়ে রেখেছিল তাও স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন বিগ বি।

    কী বললেন ভক্তরা?

    প্রিয় অভিনেতার এই শোকের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর ভক্তকুল। কেউ লিখেছেন, ‘‘মন শক্ত করুন। মানুষের জীবনের কঠিন সময়ে পোষ্যরা পাশে থাকে।’’ আবার কেউ, অমিতাভের এই পোষ্য প্রেমের প্রশংসা করেছেন। নিজের ব্লগেও অমিতাভ তাঁর পোষ্যের স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, ‘‘কাজের ফাঁকে আমার ছোট্ট বন্ধুর সৌন্দর্য দেখুন। ওরা যখন আমাদের সঙ্গে থাকে, তখন ওরাই হয়ে ওঠে আমাদের জীবনের প্রাণকেন্দ্র।’’ 

    গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির 

    বিগ বি জানাননি এই পোষ্যটির নাম। তবে, প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে অমিতাভের প্রিয় সারেময় ‘শানুক’ প্রয়াত হয়। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ অভিনীত ছবি ‘উঁচাই’। সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ছবিটি দর্শকদের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশে পাঁচশোটিরও কম স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    Exercise Caution: আপনি কি ‘ফিটনেস ফ্রিক’? অতিরিক্ত শারীরিক কসরত ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে ঘুম ভাঙার পরই হাতে এক গ্লাস প্রোটিন সেক (Protein Shake)! সঙ্গে বাড়ির ট্রেডমিলে (Trademill) আধ ঘণ্টা সময় কাটানো। কিংবা সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে নিয়ম করে জিমে (Gym) যাওয়া। জিম ইনস্ট্রাক্টরের পরামর্শ মতো চলছে স্টেরয়েড! পেশিবহুল শরীরে ক্রমশ মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো?

    ফিটনেস ফ্রিক…

    সিদ্ধার্থ শুল্কা, সিদ্ধান্ত সূরিয়াবংশীর মতো অভিনেতারা নিয়মিত জিম করতেন। প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে অভ্যস্ত ছিলেন। দেখে আপাদমস্তক ‘ফিট’। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠও পেরোয়নি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ (Fitness frick) এখন ট্রেন্ড। নিয়ম মতো জিমে যাওয়াতেই বিষয়টি আটকে নেই। অনেকেই প্রোটিন পাউডার খান। সঙ্গে চলে স্টেরয়েড। সব মিলিয়ে কতখানি স্বাস্থ্য সম্মত এই ‘ফিটনেস ফ্রিক’ জীবন?

    চিকিৎসকদের একাংশ কিন্তু জানাচ্ছেন, এতে বিপদ বাড়ছে। হৃদরোগ চিকিৎসক রবীন চক্রবর্তী বলেন, “নিজের শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কোনও বন্ধু জিমে ভর্তি হয়েছে বলেই নিজেকে হতে হবে, এই মানসিকতা থেকে বেরতে হবে। আমি কতখানি কসরত করতে সক্ষম। কতখানি ওজন তুলতে পারবে আমার শরীর, এইগুলো জানা দরকার।” তবে, সবচেয়ে বেশি জরুরি নিজেকে সময় দেওয়া। চিকিৎসক চক্রবর্তীর কথায়, “কোনও কিছু চটজলদি করতে গেলেই বিপদ। আজকে জিমে ভর্তি হয়ে, কালকেই দারুণ পেশিবহুল হয়ে উঠবো, এই ভাবনাই বিপদ ডাকছে। অতিরিক্ত শারীরিক কসরত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধীরে ধীরে ওজন তোলার ক্ষমতা বাড়ানো কিংবা ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বাড়ানোর অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অনেকেই অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করতে শুরু করেন। ফলে, তখনই শরীর নিতে পারে না। শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা তৈরি হয়।”

    আরও পড়ুন: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েডে লুকিয়ে বিপদ!

    অতিরিক্ত জিমের পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার আর স্টেরয়েড আরও বিপদ বাড়িয়ে তুলছে বলেই মনে করছেন মেডিসিনের চিকিৎসক রাজা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতিকারক। বিশেষত সেই প্রোটিন যদি কৃত্রিম হয়, তাহলে তো আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। টাটকা ফল, সবজি, মাছ, মাংস থেকে শরীর যেভাবে তার প্রয়োজনীয় উপাদান নেয়, সেটা এই কৃত্রিম পাউডার পূরণ করতে পারে না। বরং এই কৃত্রিম পাউডার লিভার, কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই দ্রুত শক্তিশালী শরীর তৈরির জন্য নিয়মিত প্রোটিন পাউডারে অভ্যস্ত হলে নানান ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে।”

    তাছাড়া, অনেকেই নিয়মিত স্টেরয়েড নেন। জিমে অতিরিক্ত কসরতের ফলে পেশিতে টান ধরা কিংবা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই তাঁরা এমন পেন কিলার খান, যাতে স্টেরয়েড আছে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরণের স্টেরয়েডে নিয়মিত অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই কিন্তু আরও সমস্যা বাড়ছে।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যাকে দেখে সম্পূর্ণ সুস্থ ও শারীরিক ভাবে ভীষণ শক্তিশালী মনে হচ্ছে, সেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ এই ধরণের স্টেরয়েড দীর্ঘদিন ব্যবহার করা। এতে একদিকে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়। তেমনি চোখ, কিডনি, লিভারের সমস্যা ডেকে আনে।

    চক্ষু রোগ চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “চিকিৎসক একজন রোগীর অনেক দিক পরীক্ষা করে, তারপরে স্টেরয়েড দেন। কিন্তু অনেক সময়েই জিম ইনস্ট্রাক্টরের সেই সব দিক বিবেচনা করার মতো অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে বিপদ কিন্তু সুদুর প্রসারি। দিনের পর দিন স্টেরয়েডের ব্যবহার অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।”

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজের শরীর কতখানি পরিশ্রম করতে পারছে, সেটা বিবেচনা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তারপরে শারীরিক কসরতের সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। তবে, শরীর সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস কিন্তু শরীরকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখে। শুধু শরীর নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও যোগ অত্যন্ত ভালো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কৃত্রিম উপাদানের বাইরে নিয়মিত রাস্তায় হাঁটা, মাঠে দৌড়নো আর যোগাভ্যাসও সুস্থ এবং ‘ফিট’ শরীর গড়তে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    কালাম সিহায়ি

    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আসন্ন মরশুমের জন্য দল বদলের “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ হয়ে গেল। কলকাতা নাইট রাইডার্স লকি ফার্গুসন, শার্দুল ঠাকুর এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ট্রেড করে দলে নিয়েছে৷ অর্থাৎ অন্য দলের সঙ্গে খেলোয়াড় অদলা বদলি করে এদের নিয়েছে। বদলে আবার কোনও খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছে।

    খেলোয়াড় আদান-প্রদানের এই নিয়ম ফুটবল থেকে আমদানি করা। ক্লাব ফুটবলের মরশুম শুরু হওয়ার আগে অথবা মরশুম চলাকালীনও কিছু সীমিত সময়ের জন্য এই “ট্রেড উইন্ডো” বা লেনদেনের সুযোগ পায় ক্লাবগুলি। এই ভাবে নতুন খেলোয়াড় দলে নিয়ে অথবা পুরনো কাউকে বাদ দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা করে ক্লাবগুলি।

    সাতের দশকে কলকাতার ফুটবলের কত রোমহর্ষক নাটক ঘটত এই ফুটবলারদের দলবদলকে কেন্দ্র করে। কত রক্তারক্তি, বোতল ছোড়াছুড়ি, বোমার লড়াই হতো সমর্থকদের মধ্যে। দলবদলের ১৫টি দিন, ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ ফুটবল উত্তেজনার পারদ আকাশছোঁয়া হয়ে যেত।

    এবার মূল বিষয়ে আসা যাক। খেলার মাঠে দলবদল তো আকছার হয়ে থাকে, কিন্তু রাজনীতির ময়দানে যখন “খেলা হবে” স্লোগান দেওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়েছে তখন খেলার মাঠের এই দলবদলের রীতি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গ্রহণ করলে দোষ কি!

    বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে কমিউনিস্টদের মধ্যে দল ভাঙানোর প্রচলন কোনওদিনই তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে যখন বাংলায় দুই দল কেন্দ্রিক রাজনীতির প্রচলন অর্থাৎ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানি, তখন এই প্রথা লক্ষ্য করা যায়নি তেমনভাবে।

    তৃণমূল কংগ্রেস জন্ম হওয়ার পরে এই ‘কনসেপ্ট’ প্রয়োগ হয় বাংলায়। প্রথমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত বড় মাপের কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে নদিয়া জেলা সহ একের পর এক পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ভাঙিয়ে নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। এক সময় রাজ্য রাজনীতিতে এই দল ভাঙানো বিষয়টি চমক থেকে একেবারে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে যে এবার কোন কোন বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মঞ্চে যোগদান করতে দেখা যাবে। ২০১১ ও ২০১৬ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা বিধায়কদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকে। কেউ কেউ আবার বিধানসভার ভেতরে কংগ্রেস আর বাইরে তৃণমূল। এমনকি প্রবীণ বাম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও যোগ দেন তৃণমূলে! ছোট বড় বহু বাম নেতা যেমন উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে তৃণমূলে নাম লেখান।

    তবে একটা উল্টো স্রোত বইতে শুরু করে ২০২০ সালে এসে, অর্থাৎ ২০২১-এর নির্বাচনের এক বছর আগে থেকে। এবারে শাসক তৃণমূল দলের বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির দিকে ভিড়তে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত বিধায়ক, মন্ত্রী ও এমনকী শাসক দলের সাংসদও বিজেপির মঞ্চে উঠে পতাকা হাতে তুলে নেন।

    একুশের নির্বাচনের আগে যে যোগদান মেলা বিজেপি শুরু করেছিল তা একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পরে ব্যুমেরাং হয়ে যায়। একাধিক বিধায়ক–সাংসদ, যাঁরা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা নির্বাচনে পরাজয়ের পরে বিজেপির সংস্রব ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। শুভেন্দু অধিকারীর মত ব্যতিক্রমী অবশ্যই আছেন, কিন্তু তা হাতে গোনা যায়। তাই হয়তো দলবদল নিয়ে এবার বিজেপি একটু বেশি সাবধানী। বেনোজল আটকাতে কার্যকরী ফিল্টার বসাতে মরিয়া বিজেপি, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য যে, “পিছন দরজা দিয়ে নয়, গণতান্ত্রিকভাবে সামনের দরজা দিয়েই ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার স্থাপন হবে। তৃণমূলের ৮০ শতাংশ বিধায়কই অসৎ। এরা সকলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মিডলম্যানের ভূমিকা পালন করে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি বিক্রি করেছে। তাই এদের নিয়ে সরকার গঠন নয়। দলে আর বেনোজল ঢোকানো হবে না।”

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাদের বার্তা হল— ‘‘তৃণমূলের নেতাদের জন্য নয়, কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও নেতা বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নেতা নয়, কর্মীদের আমরা দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দরজা খোলা রাখছি। শুধু তৃণমূলই নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নেওয়ার ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ নেই। আমরা সব দলের কর্মীদের জন্য দরজা খোলা রাখছি৷’’

    তৃণমূলের কৌশল আবার একটু ভিন্ন। বিজেপিকে ভাঙাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি তারা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই বলে থাকেন যে, ‘‘অনেকেই বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তৃণমূল দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।’’

    মঙ্গলবার আবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে ওদের ৩০টা বিধায়কও থাকবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘দল ভাঙানোর খেলা খেলি না।’’ প্রসঙ্গত, আগেও হলদিয়ার জনসভায় তিনি দাবি করেন যে দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে রেখেছেন।

    কিন্তু বিষয়টি হল যে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অনেকেই যোগদান করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। প্রচুর বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের নাম নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হলেও আদতে কেউই মঞ্চে আসেননি। আর ২২ জুলাই থেকে যেভাবে একে একে তৃণমূলের মহাসচিব, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা সভাপতি জেলবন্দি হয়েছেন আর এজেন্সির জেরায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তাই আর কেউ ওই পথ মাড়াবেন এটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি কেউ এখনও সেই সম্ভাবনার লাভ ক্ষতি বিশ্লেষণ করে থাকেন তাহলে ওনার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে।

    দলবদলের রীতি যে একেবারে বন্ধ রয়েছে তা নয়। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবদলের কিছু টুকরো খবর প্রকাশিত হচ্ছে প্রায়শই, তবে তা একেবারে স্থানীয় স্তরে।

    ▪️মালদহের চাঁচলের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ফুলমণি দাস তৃণমূল দল ছেড়ে শতাধিক তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।

    ▪️আবার অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে মুকুল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০ তৃণমূল কর্মী।

    এক মাসের ব্যবধানে শাসকদলের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যের দলত্যাগ করা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

    ▪️আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় ধাক্কা খেল তৃণমূল। শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য— গণেশ দাস ও যমুনা সুব্বা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে শাসকদল।

    ▪️‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমের মুরারই দু’নম্বর ব্লকের পাইকরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাবুল আখতারের নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগ দিলেন এলাকার অন্তত দেড়শো কর্মী-সমর্থক।

    ▪️মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দেওয়ানসরাই পঞ্চায়েতের দখল নিল বাম কংগ্রেসের জোট। তৃণমূলের সদস্যরাই অনাস্থা নিয়ে আসে প্রধান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।

    ▪️নির্দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন৷ যার ফলে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা চেয়েছে কংগ্রেস। আস্থা ভোটেকে বোর্ডের দখল নিতে পারে সেটাই দেখার।

    এদিকে আবার ডিসেম্বর মাসের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। না শীতকালের আমেজ, বড়দিনের কেক অথবা চড়ুইভাতির আয়োজনের কথা ভেবে নয়। কনকনে ঠান্ডায় রাজ্যবাসী রাজনীতির উত্তাপ নেওয়ার অপেক্ষায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পারদ নামার ইঙ্গিত দিলেও রাজনৈতিক সচেতন বাঙালি বুঝে গেছেন যে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ বাড়ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী সহ মাঝারি এমনকী ছোট স্তরের সব বিজপি নেতার মুখেই শোনা গিয়েছে, ‘‘তৃণমূল সরকার ডিসেম্বরে পড়ে যাবে অথবা কার্যত থাকবে না।’’ সরকার চালাতে ব্যর্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি ২০২৩ জানুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারবে না সরকার। আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে রাজ্য সরকার।

    এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও নাকি ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের সচেতন করেছেন ডিসেম্বরে বাড়তি সতর্ক থাকতে। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাবধান করেছেন “ডিসেম্বর ধামাকার” সম্বন্ধে। এবার ডিসেম্বর নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাই ডিসেম্বর মাস নিয়ে অপার কৌতূহল তৈরি হলেও  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা যেমন আইপিএলের “ট্রেড উইন্ডো” আগামী মরশুমের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি যেমন আর সরাসরি নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটার অদল বদল করতে পারবে না, ঠিক তেমনি আপাতত বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও দলই অন্য দলের রাজ্যস্তরের কোনও বড় খেলোয়াড়কে “সই” করাবে না। আপাতত “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ।

  • Sports Psychology: স্পোর্টস সাইকোলজি কোর্সের চাহিদা বাড়ছে ভারতজুড়ে, মিলবে মোটা অঙ্কের বেতন

    Sports Psychology: স্পোর্টস সাইকোলজি কোর্সের চাহিদা বাড়ছে ভারতজুড়ে, মিলবে মোটা অঙ্কের বেতন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল কলেজের বিদ্যালাভ এখন শুধু মাত্র কতোগুলো প্রথাগত ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গ্লোবালাইজেশনের যুগে বিদ্যালাভের ক্ষেত্র বেড়েই চলেছে। নিত্য নতুন কর্মমুখী কোর্স চালু হচ্ছে। কোনও কোর্স স্বল্পমেয়াদি তো কোনওটা আবার ডিগ্রি। এই কোর্স গুলির বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো পেশাদার কর্মী তৈরি করতে পারে নিজ নিজ ক্ষেত্রে। কর্মমুখী এই কোর্সগুলো ছাত্র ছাত্রীদের স্বনির্ভর করতেও সক্ষম। জোর দেওয়া হয় ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর। দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয় ছাত্র ছাত্রীদের। দেশ ও সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। তাই প্রতি মুহূর্তে দরকার পড়ছে দক্ষ কর্মীর।

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে আইফোনের উৎপাদক ইউনিটে ৬০,০০০ কর্মী নিয়োগ, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর 

    স্পোর্টস হল একটি বৃহৎ ক্ষেত্র। দেশের তরুণ সমাজ এবং শিক্ষানবিশ খেলোয়াড়দের সার্বিক উন্নতির কাজ করে এই ক্ষেত্র। অজস্র রকমের ইনডোর এবং আউডডোর গেম রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাব এবং সংস্থা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে স্পোর্টসের। বিভিন্ন স্পোর্টসের বিভিন্ন ইভেন্ট আমরা দেখতে পাই। জাতীয় স্তরে আন্তর্জাতিক স্তরে তো দেখি তার সাথে সাথে জেলা ও ব্লক স্তরের ইভেন্ট গুলি আমাদের চোখ এড়ায় না। দৈহিক সক্ষমতা এবং দৈহিক অনুশীলন যে কোন স্পোর্টস এর জন্য অপরিহার্য তবে স্পোর্টস শুধু এটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। খেলোয়াড়দের মনোজগৎও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয় সংক্রান্ত একটি কোর্সের নাম হল ‘স্পোর্টস সাইকোলজি’। এই কোর্সটির বিষয় হলো, খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স কে প্রভাবিত করবে কোন কোন সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টর সেটা নিয়ে পড়াশোনা। খেলোয়াড়দের মনোজগতে স্থির করে দেয় যে তাদের দল কেমন পারফরম্যান্স করবে। মাঠের জয়ের আগে খেলোয়াড়দের আগে মনের জগতে জিততে হয়। তাহলেই স্বাভাবিক ছন্দে এবং নিজস্ব দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলোয়াড়রা খেলতে পারে। বিভিন্ন স্পোর্টস সংস্থা স্পোর্টস এর ক্লাব সরকারি এবং বেসরকারি আরও অনেক সংগঠন রয়েছে যেখানে স্পোর্টস সাইকোলজিস্টদের প্রয়োজন পড়ে। 

    স্পোর্টস সাইকোলজিস্টদের কেরিয়ার

    সাইকোলজি বিষয়ে সম্পর্কে তো আমরা জানি। স্কুলে কলেজে এই বিষয় পড়ানো হয়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, থেকে পিএইচডি এবং অনেক সময় ডিপ্লোমা কোর্সও করানো হয় সাইকোলজি বিষয়ে। সাইকোলজি ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র বা ছাত্রীরা Association of Applied Sports Psychology (AASP)  নামক এই সংস্থায় রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রাখতে পারেন। এই সংস্থার দেওয়া সার্টিফিকেট, স্পোর্টস সাইকোলজিস্টদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে কাজে লাগে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট এর ক্যারিয়ার শুরু হয়, মাসে ৬,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা বেতনের মধ্যে। পরবর্তীকালে এই বেতন মাসে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাহলে আর দেরি কেন! সাইকোলজি বিষয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে করা যেতেই পারে এই কোর্স। 

    ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে স্পোর্টস সাইকোলজি কোর্স করা যেতে পারে

    ১) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়।
    ২) রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে সাইকোলজি বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয়।
    ৩) মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স করানো হয়।
    ৪) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এখানেও সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী দেওয়া হয়।
    ৫) গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয়,  স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে এখানে স্নাতক এবং মাস্টার্স ডিগ্রি করা যায়।
    ৬) ন্যাশনাল স্কুল অফ লিডারশিপ, স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে এখানে সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়।
    ৭) ইনস্টিটিউট অফ হোলিস্টিক মেন্টাল হেলথ, এখানে স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে পিজি ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়।
    ৮) রয়্যাল স্কুল অফ বিজনেস, এখানে স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স করানো হয়। 
    ৯) ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা সহ বিভিন্ন কোর্স এখান থেকে করা যেতে পারে।
    ১০) নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস, এখান থেকেও স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে অনেক কোর্স করানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    Delhi-Mehrauli Murder: নম্র স্বভাবের ছিলেন ‘কিলার’ আফতাব! আর কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে আফতাবের নৃশংসতায় গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। মানুষ যে কতটা পাশবিক হয়ে উঠতে পারে তারই সাক্ষী থাকল পুরো দেশ (Delhi-Mehrauli Murder)। দিল্লিতে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। প্রতিদিন মাঝরাতে সেই দেহাংশ ঝোপঝাড়ে গিয়ে ফেলে আসত, একথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে আফতাব। এরইমধ্যে এক নতুন তথ্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কীভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়? নৃশংসভাবে খুনের পর সেটাই গুগলে সার্চ করেছিল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে-মুখেও এখন আতঙ্কের ছাপ। সেখানকার বাসিন্দারা কেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, আফতাবের মত মানুষ এমন পাশবিক কাজ করতে পারে। কারণ তাদের কাছে আফতাব একজন ভালো মানুষ।  তবে জানেন কি কীভাবে সে ওই বাড়িতে শ্রদ্ধাকে খুন করে, নীচে প্রতিবেশী থাকা সত্ত্বেও কেউ কীভাবে টের পেলেন না, গন্ধ যাতে কেউ না পায় তার জন্যই বা সে কী করত? এই বিষয়ে বিশদে জানলে আরও বেশি শিউরে উঠবে মানুষ।

    কীভাবে খুন করল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Delhi-Mehrauli Murder)।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Delhi-Mehrauli Murder)।

    প্রতিবেশীরা কী বলছেন?

    যেই বাড়িটি তারা ভাড়া নিয়েছিল, তার নীচের এক প্রতিবেশী বলেন, তারা কখনও বুঝতেই পারেনি (Delhi-Mehrauli Murder)। এই প্রতিবেশী আরও জানান, তিনি একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রায়ই তাঁর সেখানেই দিন কেটে যায়। তিনি বলেন, “আমরা জুলাই মাসে এখানে এসেছি। আমি এই মহিলাকে কখনও দেখিনি ও তার বিষয়ে শুনিনি। আমরা আফতাবকে কাজে যেতে দেখতাম বা ঘোরাঘুরি করতে দেখতাম, কিন্তু কোনওদিন সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। নম্র স্বভাবের ছিল আফতাব।” প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, দু’জনেই বাড়িওয়ালার কাছে তাদের আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিবেশী কখনও শ্রদ্ধাকে দেখেননি। কারণ,খুন হওয়ার আগে মাত্র তিনদিনই সেখানে ছিল শ্রদ্ধা ।

    অন্য এক প্রতিবেশী কুসুম লতা বলেন, তিনি সম্ভবত শ্রদ্ধাকে একবার বা দু’বার দেখেছেন। মাঝে মাঝে আফতাব জোরে গান চালাতেন এবং কখনও কখনও ঝগড়া শোনা যেত, তবে এধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। এক দোকানদার জানান, তিনি আফতাবকে নিয়মিত দেখতেন কিন্তু তার সম্পর্কে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। আশেপাশের অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি একা থাকেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তাকে গ্রেফতারের পর তারা ১৩ টি শরীরের অংশ মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চল থেকে খুঁজে পেয়েছে, যার বেশিরভাগই হাড় (Delhi-Mehrauli Murder)।

  • Rajiv Gandhi assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামীকে মুক্তি শীর্ষ আদালতের

    Rajiv Gandhi assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামীকে মুক্তি শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু সরকারের সুপারিশে রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Gandhi assassination) মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ছয় বন্দিকেই মুক্তির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মে মাসে, শীর্ষ আদালত এজি পেরারিভালানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। তিনি ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছিলেন। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দোষীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে। 

     



     

    এদিন মুক্তি দেওয়া হল নলিনী, শান্তন, মুরুগান, শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রনকে। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী ও আরও ২১ জনের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। আজকের এই নির্দেশের পরে রাজীব হত্যা মামলার সকল আসামীই মুক্তি পেয়ে গেলেন।

    আরও পড়ুন: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    কী বলেছে আদালত?

    আদালত জানিয়েছে, পেরিভালানকে যে কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল,সেই একই কারণেই এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হল বাকি ৬ জনকে। পেরিভালানকে মুক্তি দেওয়ার সময় আদালত তাঁর পর্যবেক্ষনে জানিয়েছিল, তাঁর  ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যপাল অনেক বিলম্ব করেছেন। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২-এর আওতায় পাওয়া বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহার করেছে আদালত। অনুচ্ছেদ ১৪২-এ বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনও মামলার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার এক্তিয়ার প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারে। তামিলনাড়ু সরকারও এই বন্দিদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল।     

    আদালত পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে, আসামীদের প্রত্যেকেই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই সময়ে তাদের আচার-আচরণ ভাল ছিল এবং তারা সকলেই জেলে বসে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।     

    ১৯৯৮ সালে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় এই ৬ আবেদনকারী-সহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল টাডা আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। বিচারপতি কেটি থমাস শুধুমাত্র পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তন এবং নলিনী – এই চারজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখেছিলেন। বাকি সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ২০০০ সালে তামিল নাড়ু সরকার নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের মকুব করেছিল। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট, পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তনের সাজা কমিয়ে যবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাঝে এবারে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা নিজেই নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন (Meta & WhatsApp)। পদত্যাগ করলেন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু ও একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল। ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেন এই সংস্থার পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

    কেন পদত্যাগ করলেন?

    ইনস্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় (Meta & WhatsApp)। একদিন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপের দায়ভার সম্পূর্ণ ছিল অভিজিৎ বসুর উপর। ফলে আচমকা তাঁর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা বিষয়ে জানা যায়নি। লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে অভিজিৎ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত অভিজিতের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে।

    অন্যদিকে ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার ২ সপ্তাহের মধ্যেই রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করলেন। অজিত মোহন বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। স্ন্যাপ-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আর এই সুযোগের জন্যই তিনি মেটা ছেড়েছেন। ফলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজীবও অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আপাতত রাজীবের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরালের উপর (Meta & WhatsApp)।

    হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট অভিজিৎকে পরবর্তী কাজের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (Meta & WhatsApp)। তাঁর হাত ধরেই যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নয়া উচ্চতা অর্জন করেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। অভিজিতের কাজের ধারাকেই ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার কর্তব্য বলেও অন্যান্য কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন উইল।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারের পর দিন কয়েক আগেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেন মার্ক জুকারবার্গ। ফলে মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টের আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (Meta & WhatsApp)।

  • West Bengal Dengue: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    West Bengal Dengue: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কসবার বাসিন্দা রাজীব বসু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। সরকারি পরীক্ষাগার থেকে রক্ত পরীক্ষা করান। ডেঙ্গি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কয়েক দিন পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা হয়। বেসরকারি পরীক্ষাগার থেকে রক্ত পরীক্ষা করালে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক জানান প্রথম রিপোর্ট ভুল হওয়ায় ডেঙ্গি চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তার জন্যই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

    গিরিশ পার্কের বাসিন্দা বছর ২৬-র পৌষালী মিত্রের তিন দিন জ্বর থাকার পরে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু তারপরেও জ্বর কমছিল না। পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়, যে এরপরে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। তখন রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় পৌষালী ডেঙ্গি আক্রান্ত। প্লেটলেট তখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসকেরা তাঁদের জানান, ডেঙ্গি চিকিৎসায় অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট প্রথমে ঠিকমতো পাওয়া গেলে হয়তো ভোগান্তি কম হতো।

    দ্রুত রোগ নির্নয় জরুরি

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় দ্রুত রোগ নির্ণয় জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যেহেতু ডেঙ্গি চিকিৎসার কোনও টিকা নেই, কোনও বিশেষ ওষুধ নেই, মূলত নজরদারির মাধ্যমে ডেঙ্গি চিকিৎসা করে রোগীকে সুস্থ করা হয়, তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় জরুরি। তাহলে প্রথম থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্লেটলেট গণনা করে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখলে, রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটার আগেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু রাজীব বাবু বা পৌষালীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা অনেকটা দেরিতে শুরু হয়েছে। কারণ, রিপোর্ট বিভ্রাট।

    রাজীববাবু কিংবা পৌষালীর অবস্থা কোনও ব্যতিক্রম নয়। ডেঙ্গি রিপোর্ট নিয়ে একাধিক জায়গায় বিভ্রাটের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, টানা তিন দিন জ্বর থাকলে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত পরীক্ষা করানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময়েই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। জ্বর কমছে না। বমি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসক ফের রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তখন বেসরকারি পরীক্ষাগার থেকে রিপোর্ট করালে অনেকেরই সেই ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। 

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    চিকিৎসকদের মত

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তির একাধিক ঘটনা ঘটছে। মূলত কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই অভিযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক চিকিৎসক বলেন, “ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগে মানুষ প্রথমে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরসা করে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে মানুষের ভরসা মর্যাদা পাচ্ছে না। সরকার চাইছে যে ভাবে হোক ডেঙ্গি সংক্রমণের গ্রাফ কম দেখাতে। এটা যে কত বড় ক্ষতি হচ্ছে, সেটা এখনও  প্রশাসনের বোধগম্য হচ্ছে না।”

    ডেঙ্গি চিকিৎসা সময় মতো শুরু না করলে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই রিপোর্ট সময় মতো পাওয়া জরুরি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা সময় মতো না জানতে পারলে, শুধু রোগীর চিকিৎসায় দেরি হবে তাই না, আক্রান্তের থেকে অন্যদের মধ্যেও ডেঙ্গি সংক্রমিত হতে পারে। তাই বিপদ কমাতে ডেঙ্গি পরীক্ষা নির্ভুল হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তবে, ডেঙ্গিই শুধু নয়। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও এই রিপোর্ট বিভ্রাট হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার রিপোর্টও সরকারি পরীক্ষাগার থেকে করানোর পরে বেসরকারি পরীক্ষাগারে দ্বিতীয়বার করলেই দেখা যাচ্ছে নেগেটিভ রিপোর্ট পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। তাই ডেঙ্গির মতোই মশাবাহিত আরেকটি সংক্রামক রোগ বাড়ছে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তথ্য গোপনের প্রবণতার জেরেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফিরছে না। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা একশো ছুঁতে চললো কিন্তু তারপরেও সরকারের ডেঙ্গি রোধে সক্রিয় ও স্বচ্ছ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

LinkedIn
Share