Blog

  • Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়াতুল্লাহ খামেইনির নেতৃত্বাধীন ইরান সরকার ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে দেশের মহিলারা। সরকার হিজাব বিরোধী আন্দোলনকারীদের স্বর বন্ধ করার জন্য নির্মম ভাবে হত্যালীলা চালাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে।

    সম্প্রতি হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় বছর ২২-র মাহশা আমিনীর। তাঁর মৃত্যুর পরেই ইরান জুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। রাজধানী তেহেরানের রাস্তায় হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে জড়ো হন প্রতিবাদীরা। রবিবার সকালে এই আন্দোলনের আঁচ দেখা গেল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে। ইরানের এই সরকারি চ্যানেলটিতে লাইভ সম্প্রচার (Live Broadcast) চলাকালীন হঠাৎ সাইবার হানাকারীরা কয়েক সেকেন্ডের জন্য চ্যানেলটিকে হ্যাক করে ফেলে। তারা একটি ছবি প্রদর্শন করে, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেশটির সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেইনির (ayatollah khaminei) ছবির নীচে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহসা আমিনী (Mahsa Amini) হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi) সহ আরও দুটি মেয়ের ছবি রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেইনিকে উল্লেখ করে ছবিতে লেখা আছে, তরুণ- তরুণীদের (Youth) রক্ত আপনার হাতে লেগে আছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ১২ সেকেন্ড আইআরআইবির পর্দা হ্যাকারদের দখলে থাকার পর ফিরে আসেন সংবাদ উপস্থাপক।এদালাত-ই আলী (Edalat-e Ali ) নামে একদল হ্যাকার গ্রুপ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    ইরান সরকারের এই বর্বরচিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এমনিতেই তেল রপ্তানি নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই আরোপ ছিল। আমেরিকার ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিস ইরানের মানুষদের মানবাধিকার হনন করার অপরাধে সাতজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপর আর্থিক জরিমানা করেছে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের জন্য বিক্ষোভরত ইরানের সাহসী নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।

    এছাড়াও কানাডা সরকারও ২৫ ব্যক্তি সহ নয়টি প্রতিষ্ঠান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের উপর  নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। ইরানের প্রেস টিভি নামক ইংরেজী চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে কানাডা সরকার।

    প্রসঙ্গত, নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস গত ৭ অক্টোবর জানায়, বিক্ষোভে অন্তত ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন। যেসব মহিলার সন্তান রয়েছে, তাঁদের চাকরিতে না নেওয়াই ভাল। বয়স যদি পঞ্চাশের কোঠা পেরয়, তাহলে ওই কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। বেঙ্গালুরু-বেসড আইটি কোম্পানি (IT Company) ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ওই কোম্পানির নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আদালতে এই মর্মে মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। ইনফোসিসের বিরুদ্ধে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রাক্তন আধিকারিক।

    ইনফোসিসের (Infosys) নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল প্রিজিন। তাঁর দাবি, আমেরিকায় ওই কোম্পানিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ করতে বারণ করা হয়েছিল। যেসব মহিলার ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাঁদেরও কোম্পানিতে নিয়োগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক কোনও নারী কিংবা পুরুষকেও চাকরিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জিল। প্রাক্তন এই ইনফোসিস (Infosys) আধিকারিকের অভিযোগ, ড্যান অলব্রাইট এবং জেরি ক্রৎজের নিয়োগ সংক্রান্ত এই বেআইনি আবদার মেনে না নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ জিলের।

    আরও পড়ুন : স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    শেষমেশ আমেরিকার নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কোম্পানির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দায়ের করেন মামলা। আদালতের দায়ের করা অভিযোগপত্রে ইনফোসিসের (Infosys) প্রাক্তন আধিকারিক জিল জানান, ২০১৮ সালে ইনফোসিসে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে সংস্থার বেআইনি নিয়মনীতি দেখে হতবম্ব হয়ে যান তিনি। চাকরিতে যোগদানের মাস দুয়েকের মধ্যেই সংস্থার এই নীতি বদলানোর চেষ্টা করেন তিনি। জিলের অভিযোগ, এর পরেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে খোয়া যায় চাকরি। জিলের আরও অভিযোগ, নিউইয়র্কের মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে আমেরিকায় নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে ইনফোসিসের প্রতিক্রিয়া পেতে চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। যদিও কোম্পানির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মাদকদ্রব্য পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তিনদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে শনিবার “মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা” বিষয়ক একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচার পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সমাধান পরীক্ষা করার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য শুধু মাদক আটক করা নয়, মাদকের আতঙ্ককে উপড়ে ফেলা। তিনি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির বর্তমান সরকারদের মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজিপিদের সঙ্গে ‘মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা’ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “মাদকদ্রব্য জব্দ করা আমাদের মিশন নয়। উপড়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য।” তাঁর মতে, উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং প্রতিটি মাদক পাচারের পথ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, “সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ডিজিপিদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত। মণিপুর থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করা হলে সেখানেই সেটি শেষ হয় না। আপনাদের দেখা উচিত যে, মাদকদ্রব্য কোথায় ও কার কাছে যাচ্ছে।“

    আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এটি দ্বিতীয় সম্মেলন। প্রথমটি চণ্ডীগড়ে ছিল এবং আজ, কেন্দ্রের লক্ষ্যই ছিল উত্তর-পূর্বে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং লড়াই করা। তিনি আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ৭৫,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তিনি খুশি যে, ৭৫,০০০ কেজির পরিবর্তে, ১,৫০,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন।

    তাঁর তত্ত্বাবধানে সেদিন প্রায় ৪০,০০০ কেজি জব্দ করা মাদক নষ্ট করা হয়েছে। সেসময় ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। এছাড়াও গুয়াহাটিতে এনসিবি ১১,০০০ কেজি, আসাম পুলিশ প্রায় ৮০০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য নষ্ট করেছে। আবার ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ১২০০০ কেজি, অরুণাচল প্রদেশে ৪০০০ কেজি মাদকদ্রব্য, মেঘালয়ে ১৬০০ কেজি, মণিপুরে ১৯০০ কেজি, মিজোরামে ১৫০০ কেজি এবং নাগাল্যান্ডে ৩৯৬ কেজি মাদক পোড়ানো হয়েছে।

    সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে তার রাজ্যে পপি এবং গাঁজা চাষ রোধ করার প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতকে মাদক মুক্ত করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন এবং আমাদের এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে।”

     

  • Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার লক্ষ্মীপুজো। এদিনই আসামের কামাখ্যা মন্দিরে (Kamakhya Temple) গিয়ে প্রর্থনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিন দিনের আসাম সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ দিনে গেলেন ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম এক পীঠ কামাখ্যা দর্শনে।

    নীলাচল পাহাড়ের মাথায় রয়েছে দেবী কামাখ্যার মন্দির। দেবী এখানে মহামায়া রূপে অধিষ্ঠিতা। এদিন এই মন্দিরই দর্শন করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। রাজ্যের যে গেস্ট হাউসে তিনি রাত্রিবাস করছিলেন, সেখান থেকেই সরাসরি অমিত শাহ চলে আসেন মন্দিরে। প্রথমেই তাঁরা যান মন্দিরের গর্ভগৃহের পবিত্রতম এলাকায়। সেখানেই সারেন প্রার্থনা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য করেন কামাখ্যা মন্দিরের তিন পুরোহিত। জানা গিয়েছে, অমিত শাহ (Amit Shah) মন্দিরের মধ্যে ছিলেন মিনিট দশেকেরও বেশি সময়। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে রীতি মেনে করেন মন্দির পরিক্রমা। পরে উপস্থিত দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তার পরেই বেরিয়ে আসেন মন্দির চত্বর ছেড়ে। 

    আরও পড়ুন : আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    কামাখ্যা মন্দির দর্শন শেষে অমিত শাহ (Amit Shah) চলে যান আসাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজে। সেখানে করেন বক্তৃতা। সেখান থেকে অমিত শাহ যাবেন গোলাঘাট জেলার দেরগাঁও এলাকায়। পুলিশ কর্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় আসামে পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা-মুক্ত আসামের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বরিষ্ঠ আধিকারিকরা। বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নবগঠিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেপি নাড্ডাও। মাদক পাচার ও জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে এক আলোচনা চক্রে যোগ দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরে যোগ দেন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এদিন যান কামাখ্যা মায়ের দর্শনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Solar Powered Village: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    Solar Powered Village: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ গ্রাম বিখ্যাত ছিল সূর্য মন্দিরের জন্য। এবার নয়া পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের মেহসানা জেলার মধেরা গ্রাম। আজ, শুক্রবার থেকে এ গ্রামকে দেশবাসী চিনবে সৌরশক্তির গ্রাম (Solar Powered Village)  হিসেবে। আজ্ঞে, হ্যাঁ। এটিই দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম। এ গ্রামের সব কিছুই চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। মধেরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পুষ্পবতী নদী। এই গ্রামেই রয়েছে সূর্য মন্দির। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন সৌরশক্তির গ্রামের (Solar Powered Village)। আরও কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি।

    মধেরাকে সৌরশক্তির গ্রামে (Solar Powered Village) রূপান্তরিত করতে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে বসানো হয়েছে হাজারেরও বেশি সৌর প্যানেল। গুজরাট সরকারের দাবি, এর ফলে গ্রামবাসীদের আর বিদ্যুৎ কষ্টে ভুগতে হবে না। গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। গ্রামবাসীরা নিখরচায় ভোগ করবেন সৌর বিদ্যুৎ। বৃহস্পতিবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, আমি জানাতে খুশি হচ্ছি ক্লিন এনার্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে গুজরাট আরও একবার নেতৃত্ব দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে ভারতের শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করতে তাঁর সঙ্কল্প পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    আরও পড়ুন : ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    ছবির মতো সাজানো গ্রাম মধেরা। শেষ জনগণনা অনুযায়ী, গ্রামে বাস করেন ৬ হাজার ৭৩৮ জন। এই সৌরশক্তি প্রকল্পের জন্য গুজরাট সরকার বরাদ্দ করেছে ১২ হেক্টর জায়গা। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে প্রকল্পের কাজে খরচ করেছে মোট ৮০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, সৌরশক্তির এই গ্রামে (Solar Powered Village) দিনের বেলায় শক্তি সরবরাহ করবে সৌর প্যানেল। সন্ধেয় সেই শক্তি বাড়িতে সরবরাহ করবে বিইএসএস। এই গ্রামেই প্রথম বৈদ্যুতিক যানের চার্জিং স্টেশনও স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে মধেরার সূর্য মন্দিরে হবে স্পেকট্যাকুলার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। এই শোয়ে থ্রি-ডি প্রজেকশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে মধেরার ইতিহাস। এই শো-ও হবে সৌরশক্তির সাহায্যে। এখনও যে গ্রামের মন্দিরে নিত্য পুজো হয় সূর্যদেবের, সেই গ্রামেই দিবানিশি আলো দেবেন দিবাকর!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    Neel Saraswati Puja: কথিত আছে, দেবী নীল সরস্বতীর আশীর্বাদে জন্ম তারাশঙ্করের, কথাসাহিত্যিক-এর পৈতৃক ভিটের পুজোর কথা জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’, ‘গণদেবতা’ এর মতো জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির লেখক তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে তিনিই এ বাংলার অন্যতম প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক। বীরভূম জেলার লাভপুরের এই প্রতিভাবান কথাসাহিত্যিক তাঁর ‘গণদেবতা’ উপন্যাসের জন্য ১৯৬২ সালে পেয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।  তিনি ছিলেন মা তারার আটটি রূপের অন্যতম রূপ নীল সরস্বতীর (Neel Saraswati Puja) ভক্ত। মা তারা তাঁর গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাইতো গণদেবতা, ধাত্রীদেবতা, কবি প্রভৃতি উপন্যাসে বারবার উঠে এসেছে মা তারার প্রসঙ্গ। কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarasankar Bandyopadhyay) তখনও জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাননি। সে সময় তাঁর গৃহের নীল সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করতেন পুরোহিত গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।

    কথিত আছে, লাভপুরের অদূরে কোতলঘোষা গ্রামের এই পূজারী ব্রাহ্মণ কে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন , “ভচ্চার মশায় , পুরস্কার পাবো তো?” প্রত্যুত্তরে গৌরী বাবু বলেন, “হ্যাঁ , নিশ্চয়ই পাবে।”‌ একথা বলার কিছুদিনের মধ্যেই এই বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। এমনটাই বললেন সুভাষ ভট্টাচার্য‌। গৌরীশঙ্কর বাবুর পুত্র। বর্তমানে কথাসাহিত্যিক-এর গৃহের নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পুরোহিত। কিন্তু তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গৃহে নীল সরস্বতীর পূজার প্রচলন কবে থেকে? কেনই বা তাঁর গৃহে নীল সরস্বতীর পূজা  শুরু হলো? এর উত্তর জানতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে অনেকখানি।

    আজ থেকে ১২৬ বছর আগে। ১৮৯৭ সাল নাগাদ। তখন লাভপুরের জমিদার ছিলেন হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। সতীপীঠ ফুল্লরা তে এসময় সাধনা করতেন তান্ত্রিক রামজী গোঁসাই ওরফে বলভদ্র পান্ডে। তিনি হরিদাস বাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রভাবতী দেবীকে আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজোর অন্তে শুক্ল চতুর্দশীর রাতে মা তারার আরেক রূপ নীল সরস্বতী (Neel Saraswati Puja) পূজার পরামর্শ দেন। তাঁর কথামতো নীল সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার ঠিক দশমাস পরে ৮ই শ্রাবণ ১৩০৫ সালে জন্ম হয় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মা তারার আশীর্বাদে তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন, এই বিশ্বাসের জন্যই তাঁর নাম তারাশঙ্কর রাখা হয়‌। তখন থেকেই নীলসরস্বতীর পুজোর প্রচলন হয়, এই কথাসাহিত্যিক এর  গৃহে। দুর্গাপূজার পরে শুক্লা চতুর্দশী যা কিনা মা তারার আবির্ভাব তিথি হিসেবে গণ্য হয় , এই তিথিতেই নীল সরস্বতীর পুজো হয় লাভপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে।

    দেবীর গাত্রবর্ণ নীল (Neel Saraswati Puja)। সমগ্র দেহে সাপ জড়ানো। ভীষণ দর্শনা এই দেবীর পায়ের নীচে জটাধারী শবরূপ মহাদেব থাকেন। দেবীর  গলায় মুন্ড মালা, হাতে নরমুন্ড ও পরনে বাঘছাল থাকে। শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে সন্ধ্যায় এই পুজো শুরু হয়, চলে মধ্যরাত্রি অবধি। যজ্ঞও হয়। অন্যতম সতীপীঠ ফুল্লরা তলাতে প্রথমে দেবীর পুজো হয় তারপর কথাসাহিত্যিক এর বাড়িতে পুজো হয়। প্রথমে গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে এক মন্দিরে এই পুজো সম্পন্ন হত। যা এলাকায় তারা মায়ের ডাঙ্গা নামেই প্রসিদ্ধ। পরে মন্দির বেহাল হয়ে গেলে, এই পুজো সম্পন্ন হতে থাকে কথাসাহিত্যিক এর পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে। কথাসাহিত্যিক এর ভাইপো পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় তারা মায়ের ডাঙ্গায় অবস্থিত মন্দিরটি সংস্কার করেন ২০১৩ সালে। তখন থেকে নীল সরস্বতীর পুজো আবার তারা মায়ের ডাঙ্গায় সম্পন্ন হয়, যেমনটা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের পরে হতো‌। এ প্রসঙ্গে কথিত আছে, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে এই পুজোতে তখন ফুল্লরা মন্দিরে যেতে দেওয়া হতো না। তখন দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর তাঁদের জন্য তৈরী হয় নবফুল্লরা তলা। যেটি বর্তমান তারাশঙ্কর ভবনের একেবারে পাশেই। লাভপুরের নীল সরস্বতীর পুজো সমগ্র গ্রামের মানুষজনের আস্থা, বিশ্বাস ও ভক্তির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে আজ। আগে এই পুজোতে ছাগলবলি দেওয়া হতো। কিন্তু, এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে তারামায়ের ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, লুচি, সুজি থাকে। গ্রামের প্রায় সমস্ত মানুষ জন রাত্রিতে পাত পেড়ে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন।

  • T-20 World Cup 2022: বিশ্বকাপের আগে বোলিং চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে! বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন সামি

    T-20 World Cup 2022: বিশ্বকাপের আগে বোলিং চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে! বুমরাহর পরিবর্ত হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন সামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) খেলতে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। আইসিসি’র (ICC) এই মেগা ইভেন্টে ভারত অভিযান শুরু করবে ২৩ অক্টোবর। প্রথম ম্যাচেই ভারতের সামনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। এই মহাম্যাচ ঘিরে পারদ ক্রমশ চড়ছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বহুদিন দাপট অব্যাহত রেখেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সম্প্রতি সেই গর্বের ইতিহাস কিছুটা ফিকে হয়েছে। গত টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে বশ মেনেছিল ভারত। এশিয়া কাপেও সুপার ফোরের লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল পাকিস্তান। তাই ডনের দেশে টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযানের আগে রোহিত শর্মারা কিছুটা চাপে। বোলিং সমস্যা কিছুটা ব্যাকফুটে রেখেছে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় শিবির খুব একটা স্বস্তিতে নেই। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বোলিং। কারণ, ১৫ জনের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ। পুরানো চোটে তিনি কাবু। তাঁর মতো পেসারের অভাব পূরণ করা সহজ ব্যাপার নয়। তাই বুমরাহর পরিবর্ত খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। খুব সম্ভবত মহম্মদ সামিকে বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। যদিও সামি দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে। করোনা থেকে সেরে উঠলেও ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ পাননি তিনি। তাই মনে করা হচ্ছিল, দীপক চাহারকে স্ট্যান্ডবাই থেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে রাখা হবে। কিন্তু চাহারও চোটের কবলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তাঁকে দেখে নিতে চেয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। আপাতত সেই সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে। সিরিজ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন পেসারটি। তাই বিশ্বকাপ দলে ঢোকারও সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    হাতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে দিয়েই কাজ চালাতে হবে কোচ দ্রাবিড়কে। তবে হার্শল প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমাররা যদি দ্রুত ফর্মে ফেরেন, তাহলে চিন্তার কালো মেঘ ধীরে ধীরে কাটবে। অর্শদীপ সিংয়ের মতো বাঁহাতি তরুণ পেসার এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে হাদির্ক পান্ডিয়াকেও। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি চমক দিতে পারেন। ২০০৭ সালের পর টি-২০ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ‘মেন ইন ব্লু’। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে সেই আক্ষেপ মিটবে কিনা সময় বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalu Yadav: জমির বদলে রেলে চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে লালু, চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের  

    Lalu Yadav: জমির বদলে রেলে চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে লালু, চার্জশিট দাখিল সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বদলে রেলে চাকরি (Land for Jobs) কেলেঙ্কারিতে আরও বিপাকে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। কেবল লালু নন, ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, তাঁদের কন্যা মিসা ভারতী ও হেমা যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেলে নিয়োগের বিনিময়ে কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়েছিলেন জমি। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ইউপিএ ১ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। সেই সময়ই এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এদিন যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তার মধ্যে রেলের এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারেরও নাম রয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রেলে গ্রুপ ডি স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের প্রথমে নিয়োগ করা হয়েছিল তিনদিনের জন্য। জমি হস্তান্তর হওয়ার পরেই পাকা হয় চাকরি। চার্জশিটে সিবিআই আরও জানিয়েছে, জমির দলিল তৈরি হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁর মেয়ে মিশা ভারতী ও হেমা যাদবের নামে। 

    লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে চলতি বছরের জুলাই মাসে সিবিআই হানা দেয় চার জায়গায়। গ্রেফতার করা হয় ভোলা যাদবকে। এই ভোলা লালুর দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন প্রধান। লালু যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভোলা ছিলেন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি।

    আরও পড়ুন : চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রেলে চাকরি দিতে গিয়ে ঘুষ বাবদ লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Yadav) পরিবার আর্থিক সুবিধা নিয়েছিল। পাটনার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা লালু ও তাঁর পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন এক সংস্থাকে তাঁদের জমি বিক্রি করেছিলেন অথবা উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে কেবল পাটনায়ই প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ২৯২ বর্গফুট জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tarapith: আজ তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস! উত্তরমুখী তারা মা’কে এদিন পশ্চিম মুখে বসানো হয় কেন জানেন?

    Tarapith: আজ তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস! উত্তরমুখী তারা মা’কে এদিন পশ্চিম মুখে বসানো হয় কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথিত আছে আশ্বিনের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে মা তারার (Tara Maa) আবির্ভাব ঘটে তারাপীঠে (Tarapith Temple)। জনশ্রুতি,কোজাগরী পূর্ণিমার আগের দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমুল গাছের নীচে দেবীর শিলামূর্তি পেয়েছিলেন ঋষি বশিষ্ঠ। পরে সেই মূর্তি তলিয়ে যায় কালের গর্ভে। পাল রাজাদের আমলে জয়দত্ত সওদাগর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে দেবীর শিলা মুর্তি উদ্ধার করে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। জয়দত্তের পর নাটোরের রানি পুনরায় তৈরি করেন মন্দির। 

    আজ শনিবার, তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে  সকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়। তারা মা সাধারণভাবে উত্তরমূখী হলেও, এ দিন তাঁকে পশ্চিম দিকে মুখ করে বসানো হয়। আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর। তার জন্য চলছে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছেন শুধুমাত্র আজকের দিনে মা তারার দর্শনের জন্য। কথিত আছে,  বাংলার ১১০৮ ও ইংরেজির ১৭০১ সালে তান্ত্রিক ও পুরোহিতরা এই আবির্ভাব তিথিতে বিশ্রাম মন্দিরের পূর্ব দিকে মুখ করে পুজোয় বসতেন ৷ সে সময় মালুটির নানকার রাজা রাখর চন্দ্র মায়ের সামনে আরাধনায় বসেন৷ তা দেখে তান্ত্রিক, সাধকরা রাজাকে পুজোয় বাধা দেন৷ শুধু তাই নয়, তাঁর পুজো বন্ধ করে দেন৷ অভিমান করে রাজা চলে যান দ্বারকা নদীর পশ্চিম পাড়ে ৷ সেখানেই ঘট প্রতিষ্ঠা করে শুরু করেন পুজো৷ পুজো শেষে ফিরে যান মলুটি গ্রামে ৷ সেই রাতেই তৎকালীন প্রধান তান্ত্রিক আনন্দনাথকে স্বপ্নে দেখা দেন তারা মা৷ বলেন, রাখরচন্দ্র আমার ভক্ত, সে অভিমান করে চলে গিয়েছে ৷ এ বার থেকে আমার পুজো যেন পশ্চিম মুখে মলুটির কালিবাড়ির দিকে মুখ করেই করা হয় ৷ তারপর থেকে এই দিকে দেবী-কে একদিনের জন্য পশ্চিম মুখে বসিয়ে পুজো করার রীতি।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর পরে পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতে বাঙালি! জানেন কেন “কোজাগরী” পুজো বলে?

    আজকের দিনেই মা তারাকে মূল গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে বিশ্রাম কক্ষে রাখা হয়। সন্ধের পর আবাবও তাঁকে গর্ভগৃহে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। সারাদিন বিরাম মঞ্চে থাকার পর বিকেলে আরতির পর তারা মা-কে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূলমন্দিরে। স্নানের পর নবরুপে সাজানো হয় দেবীমূর্তিকে। রীতি অনুযায়ী আজ মা তারার উপোস। এ দিন মায়ের মধ্যাহ্ন ভোগ হয় না। দিনভর তাই ফল-মিষ্টি খান মা সন্ধ্যায় মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ভোগ নিবেদন করা হয়। মা তারা যেহেতু অভুক্ত থাকেন, তাই প্রসাদ নিবেদন না হওয়া পর্যন্ত আজ মন্দিরের সব সেবায়েত অভুক্ত থাকেন ৷ মাকে ভোগ নিবেদনের পর তাঁরা প্রসাদ গ্রহণ করেন।

  • NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের একটি গুদাম থেকে উদ্ধার ১২০ কোটি টাকার মাদক (Drug) উদ্ধার করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। মোট ৬০ কেজি মেফোড্রন উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছিল কারবারিরা। ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রাক্তন বিমানচালককে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাছাড়াও ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।      

    এনসিবি জানিয়েছে, ধৃত প্রাক্তন বিমানচালকের নাম সোহেল গাফফার মাহিদা। এর আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিমানচালক হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজ করেন। পরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। এছাড়া মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামে চারজনকে মুম্বই থেকে এবং ভাস্কর ভি নামক একজনকে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০০১ সালে অন্য এক মাদক মামলাতেও পিচাইদাসের নাম জড়িয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে জামিনে মুক্ত আছে সে।

    আরও পড়ুন: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!     

    এর আগে চলতি বছরের অগস্ট মাসে ভদোদরা থেকে ২০০ কেজি মেফোড্রন বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। এপ্রিল মাসে কান্দলা থেকে উদ্ধার হয় ২৬০ কেজি মাদক। এই মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এই চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছে এই চক্র। 

    এনসিবির তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনীর গেয়েন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এই আবহে গুজরাট থেকে ১০.৫ কেজি মাদক অন্য রাজ্যে পাচার করার সময় ৩ অক্টোবর বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। সেই সময় ভাস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল পিচাইদাস, মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, গাফফার মাহিদাকে। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পান তদন্তকারীরা। এরপর বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এক গোডাউন থেকে ৫০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামক দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share