Blog

  • Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর কাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize 2022) দেওয়া হবে, তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। এবার যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি (Ales Bialiatski), রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল (Russian Human Rights organization Memorial) এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস (Center for Civil Liberties)। এবার ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্থাকেও শান্তি প্রচারে প্রচেষ্টার জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

    নাম ঘোষণা করতে গিয়ে এদিন নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, “এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা।”

    আলেস বিলিয়াতস্কি বেলারুশে গণতন্ত্র আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রচার, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে তিনি তাঁর সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। যার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা ‘সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস’ ইউক্রেনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ইউক্রেনের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করতে এই সংগঠনের অবদান অপরিসীম। ইউক্রেনকে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রে পরিণত করার জন্য কাজও করে চলেছে এই সংগঠন। আবার নোবেল শান্তি পুরস্কারে বিজয়ী হয়েছে রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থাও। মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ১৯৮৭ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ফলে এই মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন দুটি নিজ নিজ দেশে বহু বছর ধরে ক্ষমতার সমালোচনা করার অধিকার এবং দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রচার করার পাশাপাশি দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছে।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার কেলেঙ্কারির ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার ৫৭ দিন পর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।  চার্জশিটে অনুব্রতকেই গরুপাচার (Cattle Smuggling) দুর্নীতির মূল কাণ্ডারি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, সেই ধারাগুলোই অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    ১১ আগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের (Bolpur) বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই নিয়ে গরুপাচার মামলায়  চতুর্থ চার্জশিট পেশ করা হল। সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই চলত গরুপাচারের কোটি কোটি টাকার লেনদেন। পাচারকারীদের প্রোটেকশন দিতেন অনুব্রত! এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কথায়, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, ফলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া তদন্তের জন্য সমস্যার হতে পারে।   

    এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের উপর চাপ বাড়াতে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে রাজ্য পুলিশে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তথ্য হাতে নিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা ও গরু পাচার মামলায় তাদের করা ইসিআইআর-এ যুক্ত করা হয়েছে সমস্ত নথি ও তথ্য। কয়লা পাচার এবং গরু পাচারের  অভিযোগনামা। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে সায়গলের জন্য, এমনটাই খবর। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Cough Syrups: ‘হু’ থেকে নিষেধ করা কাশির সিরাপ বিক্রি হয়নি ভারতে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে কাশির সিরাপগুলোকে (Cough Syrups) নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলো ভারতে বিক্রি হয়নি। হরিয়ানার ওষুধ প্রস্তুরকারী সংস্থার তৈরি করা কাশির সিরাপগুলোকে ‘হু’ থেকে নিষেধ করার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার অবিলম্বে এই ওষুধগুলোকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই এর উপর তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যানডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সিরাপগুলির (Cough Syrups) একটিও ভারতে বিক্রি হয় না। শুধুমাত্র রপ্তানির জন্যই এই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়। এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ওষুধগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিডিএসসিও। হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সংস্থাটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই ওষুধ (Cough Syrups) পাঠিয়েছে। ভারতের কোথাও এই চারটি কাশির ওষুধের (Cough Syrups) একটিও বিক্রি করা হয় না।

    আরও পড়ুন: ‘হু’-র সতর্কবার্তার জের! দেশে তৈরি ৪ কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে কেন্দ্র

    অন্যদিকে মেডেনের ডিরেক্টর নরেশ কুমার গয়াল বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কথা শুনেছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। আমরা এই ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি কারণ এটি শুধুমাত্র আজই হয়েছে। আমরা ক্রেতাদের এবং ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা ভারতে কিছু বিক্রি করছি না।” এই সংস্থা থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের সংস্থার তৈরি করা ওষুধ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশে রপ্তানি করা হয়। যদিও তারা বর্তমানে ভারতে বিক্রি করছে না। আবার এই পরিস্থিতিতে মেডেনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা দিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল বিজ।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই সংস্থার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন (Promethazine Oral Solution), কোফেক্সম্যালিন বেবি কাফ সিরাপ (Kofexmalin Baby Cough Syrup), ম্যাকফ বেবি সিরাপ ( Makoff Baby Cough Syrup) এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ (Magrip N Cold Syrup)-এই চারটি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। কারণ, এগুলিতে (Cough Syrups) রয়েছে ডাইইথিলিন গ্লাইসল ও ইথিলিন গ্লাইসল। যা শরীরে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, এমনকি কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। যার জন্য শিশু মৃত্যুর পেছনে এই ওষুধগুলো রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ‘হু’ (WHO)।

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর-একবালপুর ঘটনায় (Mominpur Ekbalpur Violence Case) সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে মোমিনপুর-একবালপুর জুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আদালতের দারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হবে। এছাড়াও আদালত থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমন নির্দেশ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ। এছাড়াও জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকে তবে তাঁদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই হিংসার ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন পুলিশের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানতে চায়, যে এফআইআরগুলি হয়েছে তার ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    আবার এদিন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্যও আবেদন করা হলেও এদিন হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অন্যদিকে আদালত থেকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ঘটনায় যে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাপারে কেন্দ্রকে সঠিক পদ্ধতিতে জানানো হয়েছে কিনা। এর উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সেদিনই বেলা ১টায় কেন্দ্রকে ইমেল করে বিস্ফোরণের কথা জানানো হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি জানান যে, তবে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকেই ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে যে, এই ঘটনার তদন্তভার তাঁরা এনআইএ-কে (NIA) দিতে চায় কি না। এবিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    এছাড়াও হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, ছুটির পর আদালত খোলার ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। সেখানে ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশদে জানাতে হবে আদালতকে (Calcutta High Court)।

  • Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রশংসার পালক ভারতের (India) মাথায়! ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তা স্বীকার করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF)। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) ক্ষেত্রে প্রত্যেকে যখন পিছিয়ে পড়ছে, ভারত তখনও থমকে দাঁড়ায়নি। বরং এই দেশ উন্নতি করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও ভাল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ডিরেক্টর অফ এশিয়া প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বের দিকে তাকান। দেখুন, সমস্যায় ভুগছে নানা দেশ। তিনি বলেন, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে রয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এর পরেই কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন। অথচ মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে চড়চড়িয়ে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের ৩ ভাগের এক ভাগ দেশ চলতি বছর কিংবা আগামী বছর আর্থিক মন্দার কবলে পড়বে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। ফলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) হার ধীর গতি সম্পন্ন। তার তুলনায় ভারত ভালো করছে। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তার আর্থিক বৃদ্ধির হাল ভালও। এদিন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক প্রজেক্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। তাতে দেখা যায়, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৮.৭ শতাংশ।

    অর্থনীতিতে ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তার অতি সাম্প্রতিক প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান হয়েছে পাঁচে। আগে দীর্ঘ দিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনকে হারিয়ে ওই জায়গা দখল করেছে ভারত। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আগামী পাঁচ ছ বছরের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে তথাকথিত অন্য কোনও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কিছু দিন আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ভারতের এই সম্ভাব্য উত্থানের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন।  

     

     

  • Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কিংপিন’ মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের  অভিযোগ, তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। 

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর ম্যারাথন জেরা চালানোর পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি নিয়োগ হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি নিয়োগ। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পুরো কেলেঙ্কারির ‘কিংপিন’ মানিক বলেও দাবি করা হয়েছে। কি কবে, কোথায় টাকা দিতে হবে সবকিছুই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন ততকৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরর সভাপতিই।  তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।

    আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।

    তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কল এবং মেসেজ ডিটেলসও। মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাল গ্রহেও এক সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। সম্প্রতি একথা নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে গবেষণারত ফরাসী বিজ্ঞানীদের এক দল জানিয়েছে, বহু বছর আগে মঙ্গল (Mars) গ্রহে (Climate Change in Mars) পৃথিবীর মতো পরিবেশ ছিল। মাইক্রোস্কোপিক জীব বেঁচে থাকতে পারত সেই পরিবেশে। তবে এই ছোট জীবগুলির সেই গ্রহের জন্যে ক্ষতিকারক হয়ে পড়ে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।  

    ফরাসি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই জীবাণুগুলি মঙ্গল গ্রহে বরফ যুগের সূচনা করেছিল। যার ফলে গ্রহের (Climate Change in Mars) বায়ুমণ্ডলে একটি বড় পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের কিছু চিহ্ন এখনও মঙ্গলে রয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন গ্রহকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, লক্ষাধিক বছর পরেও এই গ্রহের মাটি অনুর্বর থেকে গিয়েছে।  

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহে জল ছিল। আজকের তুলনায় সেই সময় মঙ্গলে প্রাণের বিকাশ ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। গ্রহের (Climate Change in Mars) মাটিতে অনুর আকারে যে জীব ছিল, সেগুলি অনেক বেশি মাত্রায় মিথেন তৈরি করত। আগের মঙ্গল গ্রহে আর্দ্র, উষ্ণ জলবায়ু ছিল। পরে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে জীবের মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    এই গবেষণার মুখ্য গবেষক বরিস সাওটেরে বলেন, “মাইক্রোস্কোপিক জীবগুলি নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের কারণ হয়েছে।” গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে মঙ্গলে (Climate Change in Mars) বরফের স্তরও প্রাণের সঞ্চার না ঘটার অন্যতম বড় কারণ।  

    আরও পড়ুন: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২ 

    তবে মঙ্গলের বেশ কিছু অংশে এখনও বিজ্ঞানীরা পৌঁছতে পারেননি। বিশেষত মঙ্গলের (Climate Change in Mars) উত্তর পশ্চিম প্রান্ত এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। তবে নাসার রোভার মঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর ও মাটি সংগ্রহের কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে যে, এই লাল গ্রহ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে মানুষ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Shiv Sena Symbol: উদ্ধবের ‘মশাল’, ‘ঢাল-জোড়া তরোয়াল’ প্রতীকে ভোট ভূমে হাজির শিন্ডে শিবিরও

    Shiv Sena Symbol: উদ্ধবের ‘মশাল’, ‘ঢাল-জোড়া তরোয়াল’ প্রতীকে ভোট ভূমে হাজির শিন্ডে শিবিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shiv Sena) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবির নির্বাচনী প্রতীক (Shiv Sena Symbol) হিসেবে পেয়েছিল জ্বলন্ত মশাল। এবার প্রতীক পেল শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবিরও। তাদের প্রতীক ঢাল-জোড়া তরোয়াল। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। ওই নির্বাচনেই শিবসেনার দুই গোষ্ঠী হাজির হবে নয়া প্রতীকে। শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর প্রতীকের (Shiv Sena Symbol) পাশাপাশি কোন শিবির কী নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তাও ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব গোষ্ঠীর দলের নাম হবে উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। আর শিন্ডে শিবিরের দলের নাম হবে বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে উদ্ধবের সঙ্গে মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয় শিবসেনারই একনাথ শিন্ডের। তার জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে চলে যান আসাম। শিবসেনার সিংহভাগ বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে চলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। পরে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন শিন্ডে। দু পক্ষই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ইতিমধ্যে চলে আসে আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়ক রমেশ লাটকের মৃত্যুর ফলে উপনির্বাচন হচ্ছে ওই কেন্দ্রে। এই নির্বাচনেই শিবসেনার দুই গোষ্ঠী লড়ছে নয়া নামে ও নতুন প্রতীকে। আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধব এবং শিন্ডে দু পক্ষের কাছেই। যে পক্ষই জিতবে তারাই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করবে। ওই কেন্দ্রে উদ্ধব শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন ঋতুজা লাটকে। শিন্ডে শিবির অবশ্য এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

    আরও পড়ুন :আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার প্রকৃত প্রতীক (Shiv Sena Symbol) ছিল তির-ধনুক। উদ্ধব ও শিন্ডে শিবিরের বিরোধের জেরে গত শনিবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়, আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে পারবে না উদ্ধব কিংবা শিন্ডে শিবসেনার কোনও শিবিরই। বেছে নিতে হবে অন্য নাম ও প্রতীক। তার পরেই জ্বলন্ত মশাল ও ঢাল-জোড়া তরোয়াল প্রতীকে ভোট ময়দানে হাজির উদ্ধব-শিন্ডে দু পক্ষই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Kashmir Issue: কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু, নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মোদির

    Kashmir Issue: কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু, নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নাম না করে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir Issue) জন্য যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুই দায়ী, তাও মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার গুজরাটের (Gujrat) আনন্দ জেলার বল্লভ বিদ্যানগরে আয়োজিত এক জনসভায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। সমালোচনা করেন নেহরুর। ওই জনসভায় মোদি বলেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সব রাজতন্ত্রকে দেশের অন্তর্ভুক্ত করে দেখিয়েছিলেন। অথচ একজনের হাতে শুধু কাশ্মীর সমস্যা ছিল, তারই সমাধান করে উঠতে পারেননি। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে অনুসরণ করে তিনি যে কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir Issue) সমাধান করতে পেরেছেন, ওই জনসভায় তাও জানিয়ে দেন মোদি। বলেন, সর্দার সাহেবের দেখানো পথ অনুসরণ করে আমি এগোচ্ছি। সর্দারের ভূমির মূল্যবোধ রয়েছে আমার মধ্যে। সেই কারণেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আমি করতে পেরেছি। সর্দার প্যাটেলকে সম্মান জানাতে পেরেছি।

    এদিনের জনসভায় গুজরাটের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা (কংগ্রেস সরকার) যখন বাঁধ নির্মাণ করছিল, তখন জল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও খাল তৈরি করেনি। তাঁর প্রশ্ন, তারা কি বাঁধ নির্মাণ করছিল লোক দেখানোর জন্য? কংগ্রেসের অসমাপ্ত বাঁধ নির্মাণের কাজ তিনি শেষ করেছেন বলেও দাবি করেন মোদি। বলেন, এখন গুজরাটের সর্বত্র জল পৌঁছচ্ছে। কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুজরাট এখন এগিয়ে গিয়েছে নয় থেকে দশ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    এদিন ফের একবার শহুরে নকশালদের আক্রমণ শানান মোদি। বলেন, সর্দার প্যাটেলের স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল সর্দার সরোবর বাঁধ। এই বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়েছিল শহুরে নকশালরা। কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ৪০-৫০ বছর নষ্ট করেছে, আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে, গুজরাটের গরিব মানুষদের টাকা খরচ হয়েছে জলের মতো। আর আজ তৈরি হয়েছে সর্দার সরোবর বাঁধ। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সর্দার সাহেবের। মোদি বলেন, বেশ কয়েক দশক পার হয়েছে প্রয়াত হয়েছেন সর্দার সাহেব। এখন উদারতা দেখানো প্রয়োজন। তাঁর পায়ে মাথা নত করা দরকার। কিন্তু তারা (কংগ্রেস) তা করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shiv Sena Symbol: নয়া প্রতীক জমা দিচ্ছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির! কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালতে উদ্ধব

    Shiv Sena Symbol: নয়া প্রতীক জমা দিচ্ছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির! কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আদালতে উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ৩ নভেম্বর। এই নির্বাচনেই মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde) লড়তে হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনারই উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠীর সঙ্গে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কোনও পক্ষই শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না। অগত্যা নয়া প্রতীক জমা দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। মঙ্গলবার শিন্ডে গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে পারেন তিনটি প্রতীক।

    শিবসেনার প্রতীক (Shiv Sena Symbol) তির-ধনুক হারিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবির। রবিবার শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর তরফে নির্বাচন কমিশনে তিনটি প্রতীক জমা দেওয়া হয়। একটি ত্রিশূল, অন্যটি উদীয়মান সূর্য এবং তৃতীয়টি জ্বলন্ত মশাল। এর মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের প্রথম পছন্দ ত্রিশূল। দ্বিতীয় পছন্দ উদীয়মান সূর্য। তিনটি প্রতীক জমা দিতে হবে শিন্ডে শিবিরকেও। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে প্রতীক জমা দিতে পারে তারা। তবে শিবসেনার পুরানো প্রতীক তির-ধনুক পেতে তারা নির্বাচন কমিশনে দরবার করবে বলেও শিন্ডে শিবির সূত্রে খবর। এদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের। ওই হাইকোর্টেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে শিবসেনার শিন্ডে শিবির। উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাখিল করা পিটিশনের প্রেক্ষিতেই দাখিল করা হয়েছে ক্যাভিয়েট। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন : ”বাবা যা অর্জন করেছিলেন, কয়েক মিনিটেই তা হারালেন ছেলে…”

    জানা গিয়েছে, শিবসেনার শিন্ডে শিবির দলের নাম রাখতে চলেছেন বালাসাহেববাঁচি শিবসেনা। মারাঠি এই শব্দবন্ধের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, বালাসাহেবের শিবসেনা। আর উদ্ধব ঠাকরে শিবির চাইছে দলের নাম হোক শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। তবে শিবসেনার কোন গোষ্ঠীর নাম কী হবে, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশনই। শিবসেনার নয়া প্রতীক (Shiv Sena Symbol) উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। প্রসঙ্গত, শিবসেনার এই সাংসদ আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share