Blog

  • Pralay Missile: চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিতে সীমান্তে বসছে ‘প্রলয়’, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য জানেন?

    Pralay Missile: চিন-পাকিস্তানকে জবাব দিতে সীমান্তে বসছে ‘প্রলয়’, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে অরুণাচলে চিনা সেনার আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে ভারতীয় জওয়ানরা। ফলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেখানেও। এমনই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাকে ১২০টি ‘প্রলয়’ কোয়াসি-ব্যালিস্টিক বা আধা-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Pralay Missile) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই সব মিসাইল মোতায়েন করা হবে ভারত-চিন ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই ১২০টি ট্যাকটিকাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই ভূমি থেকে ভূমি আঘাতে সক্ষম প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র আসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে।

    ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ১২০টি প্রলয় মিসাইল (Pralay Missile) কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওইসব মিসাইল ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হবে।’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ, ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল এটিকে অন্য কোনও মিসাইল দিয়ে খুব সহজে ধ্বংস করা যায় না। শুধু তাই নয়, একবার উৎক্ষেপণ করার পরও এর গতিপথ পরিবর্তন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আকাশেই বদলে ফেলা যায় টার্গেট। প্রলয়কে যাতে ট্র্যাক করা না যায়, তার জন্য বিশেষ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই মিসাইলে। ডিআরডিও নির্মিত এই প্রযুক্তির নাম ‘র‌্যাডোম’। সেনা সূত্রে খবর, ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বেগে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে প্রলয় নামক স্বল্পপাল্লার এই কোয়াসি-ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Pralay Missile)।

    কোয়াসি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কী?

    ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে এক বা একাধিক পর্যায়ের রকেটের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর, ক্ষেপণাস্ত্রটি অর্জিত গতির ওপর ভর করে খিলানের মতো ওপর দিকে আরও কিছুটা ওঠে। তারপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দৌলতে প্রবল গতিতে অন্য একটি জায়গায় আছড়ে পড়ে। ঠিক যেমন কোনও একটি পাথরকে আড়াআড়িভাবে শূন্যে ছুড়ে দিলে, তা অন্য একটি জায়গায় গিয়ে পড়বে। অর্থাৎ, যত উঁচুতে ছোড়া হবে, পাথরটি ততদূর গিয়ে পড়বে। ঠিক একইভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ফ্রি-ফল হওয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কখনই নামার সময় গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ – অগ্নি, পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্র।

    অন্যদিকে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অধিক উচ্চতায় যায় না। কিছুটা উচ্চতায় পৌঁছে তা ভূমি বা সমতল বরাবর এগোতে থাকে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে। শব্দের চেয়ে অধিক গতিতে উড়তে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা, প্রয়োজন অনুযায়ী, নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ফলত, শত্রুর কোনও কিছু বোঝার আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ – ব্রহ্মোস।

    প্রলয় (Pralay Missile) হল কোয়াসি-ব্যালিস্টিক। অর্থাৎ, এটি পুরোপুরি ব্যালিস্টিক নয়। আবার পুরোপুরি ক্রুজ নয়। বলা যেতে পারে, এটি একটি হাইব্রিড ক্ষেপণাস্ত্র। প্রলয় কম গতিপথ বজায় রাখে। এটি ওপরে ওঠার সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই আচরণ করে। তবে, নীচে নামার সময় ম্যানুভার করে। অর্থাৎ, গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম।  

    রাশিয়ান ‘ইস্কান্দার’ ও চিনের ‘ডং ফেং ১২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে মিল প্রলয়ের

    চিনের হাতে থাকা ‘ডং ফেং ১২’-র তুলনায় এর গতিবেগ কিছুটা বেশি। কিন্তু প্রলয়কে চিনের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রাশিয়ার ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটি চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

    সীমান্তে রকেট বাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন

    ‘প্রলয়’ (Pralay Missile) ও ‘ব্রহ্মোস’ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল নিয়ে পৃথক ‘রকেট ফোর্স’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ২০১৫ সালেই প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রজেক্ট অনুমোদন পেয়েছিল। এরপর এই মিসাইল তৈরি হলেও এটি আরও শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বিপিন রাওয়াতই প্রথম দেশের একটি কৌশলগত ‘রকেট ফোর্স’ গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘রকেট ফোর্স’-এর আওতায় থাকবে প্রথাগত ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন প্রলয়, ব্রহ্মোস, পিনাকা ইত্যাদি। অন্যদিকে, পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থাকবে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের অধীনে। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার প্রথম পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও দুবার এটির পরীক্ষা করা হয়। প্রতিবারই প্রলয় মিসাইলের নিক্ষেপ সফল হয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকানো মুশকিল হবে শত্রু সেনাদের। উল্লেখ্য, প্রলয় মিসাইল তৈরি করেছে ডিআরডিও। এটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে এটির পাল্লাও। আর এটিকে প্রথমে ভারতীয় বায়ুসেনা ও পরে তা সেনাবাহিনীকে দেওয়া হবে বলে খবর।

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমের নলহাটিতে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনায় দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজে বেনিয়ম-সহ শাসক দলের নেতাদের একাধিক দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে নলহাটির হরিপ্রসাদ হাই স্কুল ময়দানে বেলা দুটোয় সভার আয়োজন করেছে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা। ‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূল ছাড়লেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    শুভেন্দুর সভার ঠিক আগে দল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতা আচমকা দল ছাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন তিনি। সেই সময়ে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। দলবদলের জেরে নলহাটি পুরসভা কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন বিপ্লব। তিনি বলেন, “আমি ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ থেকে আমি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করব। আমি রাজনীতির লোক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালবাসি। কিন্তু দীর্ঘদিন দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না।” অন্য দলে যোগ দেবেন কিনা, সেই প্রশ্নে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই বিপ্লব ওঝা বলেন, “রাজনীতি যখন করি তখন অনেক রাস্তা খোলা থাকছে।” এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতেই যোগ দিতে চলেছেন বিপ্লব। 

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    একুশের নির্বাচনের পর সব জেলার মতো বীরভূমেও বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা বসে গিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, অনুব্রতহীন বীরভূমের দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী এখন ঠিক কি বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bomb Cyclone: বাতিল ১৫ হাজারের বেশি উড়ান, বম্ব সাইক্লোনে আমেরিকায় মৃত ৬০

    Bomb Cyclone: বাতিল ১৫ হাজারের বেশি উড়ান, বম্ব সাইক্লোনে আমেরিকায় মৃত ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর আমেরিকা মহাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত সম্পূর্ণ মহাদেশের একটি বিস্তীর্ণ অংশ। প্রবল তুষারপাতে (Bomb Cyclone)  সেখানকার রাস্তাঘাট সবকিছুই বরফের পুরু চাদরে ঢেকেছে। আমেরিকার জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যে দেশে এমন পরিস্থিতির রেকর্ড অতীতে খুব কমই আছে। তারা আরও জানাচ্ছে এই বছর তাপমাত্রা যেভাবে নীচে নামতে শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাবে।

    কোথায় কোথায় তাপমাত্রার রেকর্ড পতন হল

    পশ্চিম কানাডায় ইতিমধ্যে তাপমাত্রার পারদের রেকর্ড পতন হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ থেমেছে হিমাঙ্কের ৫৩ ডিগ্রি নিচে। মিনেসোটার তাপমাত্রা বর্তমানে মাইনাস ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডালাসের তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের  ১৩ ডিগ্রি নীচে। তুষার ঝড়ের (Bomb Cyclone) কারণে আমেরিকার সম্পূর্ণ রাজপথ পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে গেছে। এই কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা। বেশিরভাগ জায়গাতেই বরফের আস্তরণের উচ্চতা ৮ থেকে ১০ ফুট। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ১৫ হাজার বিমান বাতিল করতে হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে,  এই মুহূর্তে আমেরিকাতে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন ভাবে রয়েছেন এবং তাদের স্বাভাবিক গৃহকর্মও বন্ধ রয়েছে।

    এমন পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না আমেরিকার আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে, তুষার ঝড়ে (Bomb Cyclone) আক্রান্ত হলে মৃত্যুও হতে পারে। এই নিয়ে টানা ৫ দিন এই তুষার ঝড়ের সাক্ষী থাকছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। তীব্র এই তুষারঝড় (Bomb Cyclone) কে স্থানীয় আমেরিকানরা বলছেন বোম সাইক্লোন বা সাইক্লোন বোমা (Bomb Cyclone)। ইতিমধ্যে এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এরকম পরিস্থিতিতে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমেরিকার পরিস্থিতি বেশ ভয়ঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Covid Vaccine: রাজ্যে করোনা টিকার ভাঁড়ার শূন্য! সাফাই শাসকদলের, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

    Covid Vaccine: রাজ্যে করোনা টিকার ভাঁড়ার শূন্য! সাফাই শাসকদলের, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে, বাড়ছে উদ্বেগও। করোনা থেকে বাঁচতে রাজ্যে দেখা দিয়েছে বুস্টার ডোজের চাহিদা (Covid Vaccine)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র বুস্টার ডোজ নয়, রাজ্যে করোনা টিকা কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, কর্বিভ্যাক্স সবই বাড়ন্ত। এমনকী মানুষ টিকা নিতে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরে আসছে। ফলে রাজ্যে টিকার আকাল, তাই করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    রাজ্যে টিকার ভাঁড়ার শূন্য

    কলকাতার বেলেঘাটা আইডি থেকে এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের সর্বত্রই একই অবস্থা। কোনও জায়গাতেই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে। কিন্তু, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মজুত কোভ্যাক্সিনের একাংশের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আম জনতা ফের টিকা নিতে আগ্রহী হলেও তাঁদের টিকা না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে‌।  

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের ভাঁড়ারে কোভিশিল্ড পড়ে আছে মাত্র ২৮০। কর্বিভ্যাক্সও নেই রাজ্যের কাছে। অন্যদিকে নেজাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিললেও রাজ্য সরকার, রাজ্যের মানুষের জন্য সেই টিকা নিজেরাই কিনবে কিনা সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে, বুস্টার ডোজ নিয়ে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    এদিকে, টিকার ঘাটতির মধ্যেই বেলেঘাটা আইডি, এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল, এন‌আর‌এস, আরজিকর সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। তবু করোনা টিকার জোগান বাড়ানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা এখনও কিছু জানানো হয়নি। 

    ভ্যাকসিনের আকালে শাসকদলের সাফাই

    কলকাতা পুরসভার দাবি, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন সাত কোটির বেশি। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাত কোটির কম। সেখানে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র দেড় কোটির কিছু বেশি। পুরসভার মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক না হওয়ায় প্যাক খোলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে আবার নির্দিষ্ট কিছু ভ্যাকসিনের জোগানের অভাব রয়েছে বলে জানাচ্ছে পুরসভা। আরও জানানো হয়েছে, কিছু কোভিশিল্ড, কর্বিভ্যাক্স ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ফলে এখন সেগুলি রাজ্যে নেই।

    বিজেপির কটাক্ষ

    রাজ্যে করোনা টিকার আকাল, ফলে বিজেপির তরফে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে শাসকদলকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র কোথাও অভাব রাখেনি। কেন্দ্র তো ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। তাহলে এখানে নেই কেন? নিচু থেকে ওপর খতিয়ে দেখা উচিত।” তাঁর মতে, চিন ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে। তাই বিপদ বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে ভুয়ো সরকার চলছে। শুধু আওয়াজের ওপর আছে। অনেকে এখনও একটাও ভ্যাকসিন নেননি। সরকারের উচিত তাদের বোঝানো।”

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে আসতে পারে নতুন ফিচার ‘রিপোর্ট স্ট্যাটাস’

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপে আসতে পারে নতুন ফিচার ‘রিপোর্ট স্ট্যাটাস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুকেরবার্গের মালিকাধীন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) যেন ফিচারসের ঝুড়ি নিয়ে আসছে  প্রতি সপ্তাহেই প্রায়। নতুন নতুন ফিচারস এসেই চলেছে। এই কয়েকদিন আগেই এলো হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল। যেখানে অন্য অ্যাপ চালু থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল করা যাবে অর্থাৎ একদিকে গুগল মিটে আপনি হয়তো মিটিং করছেন কারও সঙ্গে,অন্যদিকে অন্য বন্ধুর সঙ্গে  হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)  ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন। 

    কী এই ‘রিপোর্ট স্ট্যাটাস’ ফিচার ?

    এতদিন অবধি হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp)  মেসেজ এবং কন্টাক্টেই শুধু রিপোর্ট করা যেত। বার্তালাপের শেষ পাঁচটি মেসেজকে ফরওয়ার্ড করতে হতো হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে। এবার নতুন ফিচারে হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও রিপোর্ট করা যাবে। যদি মনে হয় যে হোয়াটসঅ্যাপের কোনও নিয়ম অগ্রাহ্য করা হয়েছে বা নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে  রিপোর্ট করা যাবে।

    আরও পড়ুন: এবার হোয়াটসঅ্যাপের ডেস্কটপ ভার্সানেও ‘ডু নট ডিস্টার্ব’! কীভাবে কাজ করবে এটি?

    হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) সূত্রে জানা গেছে, স্ট্যাটাস সেকশনের একটি নতুন মেনু থেকে এই আপডেটটি করা যাবে। মেসেজ রিপোর্টিং করার ক্ষেত্রে যা নিয়ম এই স্ট্যাটাস রিপোর্টিং-এর ক্ষেত্রে সেই একই নিয়ম থাকছে। যেখানে স্ট্যাটাসটি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে এবং তারাই স্থির করবেন যে এই স্ট্যাটাস হোয়াটস পের নিয়ম ভেঙেছে না ভাঙেনি।

    হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এটাও জানা গেছে যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের যেকোনও কনটেন্ট, মেসেজ কন্টেন্ট হোক অথবা যেকোনও প্রাইভেট ফোন কল, এর পুরোটাকেই গোপন রাখা হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তারা নিজেরাও এ সংক্রান্ত কিছু দেখতে পান না। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ রাখতেই স্ট্যাটাসের রিপোর্টিং, এই ফিচার আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ভুল করে ‘ডিলিট ফর মি’ করে ফেলেছেন? এবার ‘আনডু’ ফিচার আসছে হোয়াটসঅ্যাপে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bank Locker: লকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি আরবিআই- এর, ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম লাগু

    Bank Locker: লকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি আরবিআই- এর, ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম লাগু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারের (Bank Locker) নিয়মে বেশ কিছু বদল এনে নতুন নির্দেশিকা জারি করল আরবিআই। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হবে। নয়া নিয়ম অনুসারে এবার থেকে ব্যাঙ্কের লকারের ক্ষেত্রে নিজেদের দিক থেকে আর সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না ব্যাঙ্কগুলি। ইতিমধ্যে যাঁদের লকার রয়েছে, দ্রুত তাদের তা পুনর্নবীকরণের নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

    কী বলা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়? 

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নয়া নিয়ম অনুসারে, গ্রাহককে ব্যাঙ্কের সঙ্গে একটি লকার (Bank Locker) চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে হবে। ইতিমধ্যে এসবিআই, পিএনবি-র মতো ব্যাঙ্কগুলিতে নয়া চুক্তির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের মধ্যে এই চুক্তিপত্রে সাক্ষর করতে হবে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। আরবিআইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলিকে এই নতুন নিয়মের বিষয়ে গ্রহকদের অবগত করতে প্রচার চালাতে হবে। প্রসঙ্গত, আগের মতোই সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত ব্যাঙ্ক লকার চুক্তি কার্যকর থাকবে।    

    আরবিআইয়ের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের সুরক্ষার জন্যে স্ট্রংরুমের প্রবেশ ও বাহির পথে সিসিটিভি বসাতে হবে। কম করে ১৮০ দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাঙ্কে গচ্ছিত থাকবে। গ্রাহক যদি চুরি বা লকার (Bank Locker) সংক্রান্ত অন্য কোনও অভিযোগ তোলেন, তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ভল্টে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিস লুটপাট হলে বা আগুন ক্ষতি হলে বা ভবনটি ধসের ভেঙে ক্ষতি হলে আমানতকারীরা ব্যাঙ্ক চার্জের ১০০ গুণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ‘আক্টস অফ গড’ – এর কারণে  লকারের ক্ষতি বা সামগ্রীর ক্ষতির হলে, তার জন্যে ব্যাঙ্ক দায়ী থাকবে না। 

    এছাড়াও এবার থেকে কোনও সরকারি সংস্থা যদি গ্রাহকের লকারের (Bank Locker) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অথবা কোনও কারণে তা সুরক্ষিত জায়গায় সরাতে হয়, তবে ইমেল অথবা এসএমএসের মাধ্যমে তা গ্রাহককে জানাতে হবে ব্যাঙ্ককেই। আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে লকার বরাদ্দের সময় একটি মেয়াদী আমানত দাবি করে। যা লকারের তিন বছরের জন্য ভাড়া হিসাবে সংগ্রহ করা হয়। তবে লকার হোল্ডারদের জন্য এই ধরনের মেয়াদী আমানত জোর করে নেওয়া যাবে না। এমনটাও বলা হয়েছে আরবিআইয়ের নির্দেশিকায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Atal Bihari Vajpayee: অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নামকরণ করা হল

    Atal Bihari Vajpayee: অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নামকরণ করা হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার গোটা দেশজুড়ে পালন করা হয়েছে গুড গভর্নেন্স ডে। আর সেই দিনই ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে একটি নক্ষত্রের নামকরণ করা হল। বিজেপির ঔরঙ্গাবাদের সভাপতি শিরিস বরালকর বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি নক্ষত্রের নামকরণ করা হয়েছে।” পৃথিবী থেকে ৩৯২.০১ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই নক্ষত্রটি। জানা গিয়েছে, এটিই সূর্যের সবথেকে কাছের নক্ষত্র। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেটের তরফে জানানো হয়েছে, “ইন্টারন্যাশনাল স্পেস রেজিস্ট্রিতে ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর একটি নক্ষত্র নথিভুক্ত করা হয়েছে। নক্ষত্রটির কোঅর্ডিনেট ১৪ ০৫ ২৫.৩ – ৬০ ২৮ ৪১.৯। নক্ষত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ী জি। রেজিস্ট্রেশন নম্বর সিএক্স১৬৪০৮ইউএস।” 

    বাজপেয়ীর গৌরবময় শাসনকাল  

    দু দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। প্রথমে ১৯৯৬ সালে অল্প কিছু সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৬ মে থেকে ১ জুন, মাত্র ১৫ দিন পদে ছিলেন তিনি। ফের ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় ছিলেন তিনি। অতীতে মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি  

    ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে প্রয়াত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee)। দেশে বিকাশমূলক বিভিন্ন কাজের জন্যে তিনি আজও ভীষণভাবে জনপ্রিয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের পোখরানে মরুভূমির নীচে পারমাণবিক পরীক্ষা হয়েছিল তাঁর আমলেই। ভারতের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল এটি। পারমাণবিক শক্তিতে এর পরেই ভারত গোটা বিশ্বের সামনে স্বীকৃতি পায়। কার্গিল যুদ্ধও হয় তাঁরই আমলে। যে যুদ্ধে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে ভারত।   

    কেন্দ্রীয় সরকার বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে গুড গভর্নেন্স ডে বা সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো গোটা দেশে গুড গভর্নেন্স ডে পালিত হয়েছে রবিবার।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে এবার নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ১৬৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নিয়োগ দুর্নীতির আভাস দিয়েছিল সিবিআই। এঁরা রাজ্যের বিভিন্ন হাই ও জুনিয়ার হাইস্কুলে কর্মরত। রাজ্য শিক্ষা দফতর এবার এই কর্মীদের বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরকে জানিয়ে দিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের একদিনও স্কুলে ঢুকতে দেব না৷ এই দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি৷ 

    শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা

    শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে। সেই নোটিসের সঙ্গে আদালতের রায়টিও যুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত ১৬৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলেই অভিযোগ। নির্দেশিকাটির সঙ্গে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের কাছে। তাঁদের চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমিক মজুমদার বলেন, ‘কিছু প্রার্থী যেমন উৎকোচ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই কিছু প্রার্থী পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছেন৷ তাঁদের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার প্রমাণও আছে৷ সকল প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হলে, তা চূড়ান্ত অমানবিক হবে৷ পর্ষদ কি প্রতিদিন নতুন করে তাঁদের অবস্থান জানাবে? প্রতিদিন নতুন নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হবে? একজনের পাপের ভার যেন সকলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া না হয়৷ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হবে৷’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Covid: কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত ব্রিটিশ মহিলা, তড়িঘড়ি পাঠানো হল বেলেঘাটা হাসপাতালে

    India Covid: কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত ব্রিটিশ মহিলা, তড়িঘড়ি পাঠানো হল বেলেঘাটা হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা ছড়াচ্ছে (India Covid)। চিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়াল কলকাতাতেও। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে খোঁজ মিলল করোনা আক্রান্তের। অস্ট্রেলিয়া (Australia) থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata) আসা এক ব্রিটিশ মহিলার দেহে কোভিডের উপসর্গ মেলায় তাঁকে সোজা বিমানবন্দর থেকে পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। এছাড়াও ভারতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গেল। এর মধ্যে একজন রয়েছেন চিন ফেরত।

    কলকাতায় করোনা আক্রান্তের হদিশ

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই ব্রিটিশ মহিলার নাম কিলবানে কিরাতি মেরি। এয়ার এশিয়ার বিমানে বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি দমদম বিমানবন্দরে নামেন। র‍্যাপিড টেস্টে তাঁর কোভিড পজিটিভ আসে। তাছাড়া অন্য উপসর্গও ছিল। এরপরেই তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স করে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পর্যটক হিসেবেই ভারতে এসেছেন ওই মহিলা। ওই বিমানের বাকিদের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে, তবে বাকিদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে (India Covid)।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    কর্ণাটকে চিনফেরত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত

    গত রবিবার রাতেই চিনফেরত এক ব্যক্তির শরীরে পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। ওই ব্যক্তি কর্ণাটকের কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত নমুনাটিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই জানা যাবে এই করোনার ভ্যারিয়েন্ট কী। চিনে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং বহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই বিএফ.৭ ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তা জানা যাবে এই পদ্ধতিতেই (India Covid)।

    বিহারেও খোঁজ মিলল করোনা আক্রান্তের

    বিহারের বুদ্ধগয়ায় খোঁজ মিলল চার করোনা আক্রান্তের। তাঁরা প্রত্যেকেই ভিনদেশের নাগরিক। তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দর লাগোয়া একটি হোটেলে আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন প্রত্যেকে। জানা গিয়েছে, ওই চারজনের মধ্যে তিনজন মায়ানমার ও একজন ব্যাংককের বাসিন্দা। গয়ার স্বাস্থ্যকর্তা ডাঃ রঞ্জন সিং জানান, তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে ঠিকই। তবে কারও শারীরিক সমস্যা খুব গুরুতর কিছু নয় (India Covid)।

  • Venugopal Dhoot: ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ভিডিওকনের কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত

    Venugopal Dhoot: ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ভিডিওকনের কর্ণধার বেণুগোপাল ধুত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার ভিডিওকনের কর্ণধার মালিক বেণুগোপাল ধুতকে (Venugopal Dhoot) গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ উঠেছে বেণুগোপালের বিরুদ্ধে। এই একই মামলায় গত সপ্তাহেই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও তথা এমডি চন্দা কোছরকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। চন্দার সঙ্গেই তাঁর স্বামী দীপক কোছরকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগেই দীপককে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 

    রবিবার চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে মুম্বইয়ের সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আপাতত তাঁরা ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। সোমবারই গ্রেফতার করা হয় বেণুগোপাল ধুতকে (Venugopal Dhoot)। সম্প্রতি চর্চায় রয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ঋণ প্রতারণার মামলা। ভিডিওকনের মালিকের গ্রেফতারিতে আবার নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। 

    কী অভিযোগ?  

    সিবিআইয়ের অভিযোগ, চন্দা এবং দীপক চার বছর আগে বেণুগোপালের (Venugopal Dhoot) সংস্থা ভিডিওকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বিপুল ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপক। মামলাটি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টেও। প্রসঙ্গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দা। তবে অভিযোগ ওঠার পর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চন্দাকে বরখাস্ত করেছিল ওই আইসিআইসিআই।

    অভিযোগ করা হয়েছে, ভিডিওকনের সিইও ২৮টি লোনের প্রস্তাব জমা দিয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছে। তার মধ্যে ৮টি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। চন্দা কোছরের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটিই ওই লোনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ২০০৯-২০১১, এই দু’বছরের মধ্যে মোট ১৮৭৫ কোটি টাকার লোন বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের

    পরবর্তীতে জানা যায় অনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটিয়ে এই ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছিল ভিডিওকন গোষ্ঠীকে। ২০১৯ সালে এই মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। তদন্তে জানা যায়, প্রদত্ত লোনের ৬৪ কোটি টাকা দীপক কোছরের এনআরএল -কে দিয়েছিলেন বেণুগোপাল ধুত (Venugopal Dhoot)। এমনকী, চন্দা কোছরের নামে মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট-সহ প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তিও কোছর দম্পতিকে দেওয়া হয় ভিডিওকন গ্রুপের তরফে।          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share