Blog

  • Auto Expolsion: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!  

    Auto Expolsion: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) মেঙ্গালুরুতে শনিবার বিস্ফোরণ ঘটে একটি চলন্ত অটোরিক্সায় (Auto Expolsion)। সেটি নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, সাফ জানাল কর্নাটক পুলিশ। পুলিশের দাবি, গুরুতর কোনও ক্ষতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসের কাজটি করা হয়েছে। রবিবার কর্নাটক পুলিশের প্রধান প্রবীণ সুদ বলেন, পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্গা জ্ঞানেন্দ্রও বলেন, তদন্তের কাজে পুলিশকে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল…

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুর গারোদির কাছে আচমকাই একটি চলন্ত অটোয় বিস্ফোরণ (Auto Expolsion) হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় যাত্রিবাহী ওই অটোয়। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আর্ত চিৎকার করতে থাকেন অটোচালক, যাত্রী সবাই। পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় অটোচালক ও যাত্রীদের। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কর্নাটকের ডিজিপির দাবি, আপাতভাবে সাধারণ বিস্ফোরণের ঘটনা মনে হলেও, বাস্তবে তা নয়। তিনি বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। গুরুতর কোনও ক্ষতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসের কাজটি করা হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এবার এটা নিশ্চিত। বিস্ফোরণটা একেবারেই হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনা নয়। জঙ্গি হামলা, সাংঘাতিক ক্ষতির চেষ্টায় এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কর্নাটক রাজ্য পুলিশও এর গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অটো বিস্ফোরণে (Auto Expolsion) যিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছে, তিনি এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। পুলিশের তদন্তকারী দল সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। তিনি বলেন, আমরা পুরো ঘটনাটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে জানিয়েছি। তারা মেঙ্গালুরুতে একটি দলও পাঠিয়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এক দু দিনের মধ্যে নিশ্চিত তথ্য পেয়ে যাব। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রেসারকুকার ও ব্যাটারি পাওয়া গিয়েছে। গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    FIFA World Cup 2022: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের অপেক্ষার অবসান। আজ, রবিবার শুরু হতে চলেছে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022)। এবার আয়োজক দেশ কাতার। এর আগেরবার বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়ায়, ২০১৮ সালে।

    কাতারই প্রথম…

    উল্লেখ্য যে, কাতারই প্রথম আরব দুনিয়ার কোনও দেশ, যারা আয়োজন করছে ফুটবল বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাখো লাখো ক্রীড়াপ্রেমী ভিড় জমাবেন মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে। এবার বিশ্বকাপে (World Cup) খেলছে ৩২টি দল। খেলা হবে ৬৪টি ম্যাচ। এই ৩২টি দেশের দলের মধ্যে থেকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে একটি মাত্র দেশকে। কাতারে যে ফুটবল মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, তা ভারত থেকে লাইভ দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত সাড়ে ৮টায়, রাত সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়।  

    বিশ্বকাপের টেলিকাস্টিংয়ের ব্রডকাস্ট রাইটস কিনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভায়াকম ১৮ মিডিয়া। খেলা সম্প্রচারিত হবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। এই চ্যানেলটি এসডি এবং এইচডি লাইভ ব্রডকাস্ট দেখাবে। ধারা বিবরণী শোনা যাবে ইংরেজি এবং হিন্দিতে। যাঁরা ফোন কিংবা ল্যাপটপে ফিফা ওয়ার্ড কাপের ম্যাচগুলি দেখতে চান, তাঁরা লাইভ ম্যাচ দেখতে পাবেন রিলায়েন্স জিও সিনেমা অ্যাপে।

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের (FIFA World Cup 2022) উদ্বোধনী ম্যাচটি হবে কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে। ভারতীয় প্রমাণ সময় অনুযায়ী কাতারে খেলা শুরু হবে রাত্রি সাড়ে ৯টায়। তার আগে হবে বিরাট জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিটিএসের জুং কুক এবং মরক্কো-কানাডিয়ান অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। গ্রুপ ম্যাচ শুরু হবে কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যে দিয়ে। এর পর থকে পর পর ম্যাচগুলি দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত্রি সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। গ্রুপ স্টেজের শেষ আটটি ম্যাচ খেলা হবে ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত্রি সাড়ে ৮টায়। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচ শেষে জয়ী দলগুলি ১৬ রাউন্ডের খেলায় অংশ নিতে পারবে। এই রাউন্ডের খেলা শুরু হবে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে। এখান থেকেই শুরু হবে নকআউট পর্বও। বিশ্বকাপের ((FIFA World Cup 2022)) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে। এই খেলাগুলি হবে ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত্রি সাড়ে ৮টা এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে হবে ফাইনাল খেলা। খেলা শুরু হবে রাত্রি সাড়ে ৮টায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walkar Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকাররের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ২৭ বছর বয়সী মেয়ের খুনে জড়িত রয়েছে আফতাবের পরিবারের সদস্যরাও। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আফতাবের পরিবারের সবাই নিখোঁজ। এখন আমার মনে হচ্ছে পরিবারও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেন, “যখন আমরা আফতাব-শ্রদ্ধার বিষয়ে জানতে ওদের বাড়ি যাই, ওরা আমাদের কোনও রকম সাহায্য করেনি।” দিল্লি পুলিশ কেন এখনও আফতাবের পরিবারকে জেরা করছে না, সে বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে বিয়ার-সিগারেট খান আফতাব, দেখেন নেটফ্লিক্স

    অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধার বাবা বলেন, “২০২১ সালে আমার শেষ বার শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা হয়। আফতাবের খারাপ আচরণের বিষয়ে সে কিছুই জানায়নি। কিন্তু আফতাবের মায়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভালো নয়, তা জানিয়েছিল। তারপরে আমার ছেলে আমাকে সবটা জানায়। আমি, আমার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, আফতাবের ভাই আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয় নি।”

    জানা গিয়েছে, মেয়ের বিষয়ে জানতে শ্রদ্ধার পরিবার ভাসাইতে আফতাবের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আফতাবের পরিবার আফতাবকে ফোন করে শ্রদ্ধার বাবাকে বলতে বলে, যাতে এই বিষয়ে তাদের জড়ানো না হয়। এরপরেই মানিকপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, আফতাবের পরিবার নিখোঁজ। 

     



    মুসলিম প্রেমিকের হাতে খুন হিন্দু প্রেমিকা

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walkar Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walkar Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walkar Murder)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BCCI: বিশ্বকাপে ব্যর্থ ভারত, চেতন শর্মা সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছাঁটল বোর্ড

    BCCI: বিশ্বকাপে ব্যর্থ ভারত, চেতন শর্মা সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছাঁটল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশাদারি দুনিয়ায় ব্যর্থ হলে তার দায় নিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তেমনি নিয়ম বোধহয় এবার চালু হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটেও! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়ে হেরে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। তার দায় নির্বাচকদের ঘাড়ে চাপিয়ে গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছেঁটে ফেলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সংক্ষেপে বিসিসিআই (BCCI)। শুক্রবার বিকেলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সরাসরি ছেঁটে ফেলার কথা বলা হয়নি। তবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে নয়া নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে।

    বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি…

    শুক্রবার বিকেলে বোর্ডের (BCCI) ওয়েবসাইটে জাতীয় নির্বাচক চেয়ে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য পাঁচজন জাতীয় নির্বাচক আহ্বান করা হচ্ছে। যোগ্যতার মানদণ্ড ধার্য করা হয়েছে ভারতের হয়ে কমপক্ষে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলা বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা, ১০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন, এমন প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। বোর্ডের কোনও ক্রিকেট কমিটিতে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন, এরকম কেউ আবেদন করতে পারবেন না। ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার অর্থ নির্দিষ্ট সময় পূরণ করার আগেই চেতন শর্মাদের ছেঁটে ফেলল বোর্ড।

    আরও পড়ুন: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে চারজন সদস্য ছিলেন। এঁরা হলেন, চেতন শর্মা। তিনি উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি। ছিলেন হরবিন্দর সিং। তিনি ছিলেন মধ্যাঞ্চলের প্রতিনিধি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন সুনীল যোশী। আর পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন দেবাশিস মোহান্তি। পশ্চিমাঞ্চলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। কারণ আবে কুরুভিল্লার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কাউকেই ওই পদে বসানো হয়নি। প্রসঙ্গত, বিসিসিআই যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সেখানেও পাঁচজনই চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচকদের মেয়াদ চার বছরের। বোর্ড (BCCI) চাইলে তার পরেও মেয়াদ বাড়ানো যায়। এই সময়সীমা পূরণ হওয়ার আগেই সরে যেতে হচ্ছে চেতন শর্মাদের। সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা যায়নি বলেই মত ক্রীড়াবিদদের একাংশের।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে…’’। এবার এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) আরেক বিচারপতি। 

    হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

    শুক্রবার, এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতির একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) এজলাসে। সেখানে গ্রুপ-ডি (SSC Group D) নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই (CBI)। সেই রিপোর্ট দেখে বিস্মিত বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘‘সাদা খাতায় চাকরি! ব্ল্যাঙ্ক OMR শিটে চাকরি! ভয়ানক বড় দুর্নীতি।’’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে৷ এই দুর্নীতি কতটা গভীরে তা খুঁজে বার করা দরকার। কারণ এই দুর্নীতির ফলে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যাবে!’’ 

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    এসএসসি দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর আগে এই গ্রুপ ডি (SSC Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ২৯ সেপ্টেম্বর কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বলেছিলেন, ‘‘এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, গোটা হিমশৈল জলের নিচে আছে। ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই। আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত।’’ সম্প্রতি, পর্ষদকে (School Service Comission) তুলোধনা করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।’’

    তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    এদিনও (SSC Group D) মামলার শুনানিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘এবার নিজের যোগ্যতায়ও যদি কেউ চাকরি পায়, তাহলেও ছাত্ররা শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।’’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্নও করেন, ‘‘দুর্নীতি ৭ না ১০ বছরের পুরনো কিছু জানা গিয়েছে? এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ। দেখতে হবে এই দুর্নীতি কত বছরের পুরনো।’’ 

    আগামী ২৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷

  • Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি সম্মেলনে (Modi at Tech Summit) এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও প্রতিভার বিশ্বায়নকে নিশ্চিত করেছে। কীভাবে প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে হয় তা ভারত দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করেছি।”

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    বেঙ্গালুরু টেক সামিটে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একীকরণের সম্ভব হলে, তা একটি প্রধান শক্তি হয়ে ওঠে। মোদির কথায়, ভারতের উদ্ভাবন সূচকে বেঙ্গালুরু এক নম্বরে। বেঙ্গালুরু প্রযুক্তির আবাসস্থল। এটি একটি উদ্ভাবনী শহর। এই বছর বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন সূচকে ভারত ৪০ তম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে আমরা ৮১ তম স্থানে ছিলাম। ভারত ৮১,০০০ স্টার্টআপের আঁতুড় ঘর। ভারতে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, আমরা এখন  এ বিষয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। আপনাদের বিনিয়োগ ও আমাদের উদ্ভাবন বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আমি আপনাদের সকলকে আমাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন কীভাবে প্রযুক্তি ভারতে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। জন ধন যোজনা, আধার, ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। দেশে মোবাইল ও ডেটা বিপ্লবের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ৮ বছরে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ৬ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭৫ কোটি হয়েছে। শহরগুলির তুলনায় দেশের গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে এক নতুন জনগোষ্ঠী প্রযুক্তির হাত ধরে তথ্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।” এই ঘটনাকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানুষের হাতের স্পর্শে কীভাবে প্রযুক্তির প্রসার ঘটতে পারে, তা করে দেখিয়েছে আমাদের দেশ।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জন ধন যোজনা, আধার মোবাইল- এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এই ব্যবস্থায় গ্রহীতাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রযুক্তির হাত ধরে ছোটখাটো ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিও এখন বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হয়ে উঠছে। সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে দেশে দুর্নীতিও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মধ্যে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করতে অনলাইন টেন্ডার পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে।”    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • Bengal Police: মুম্বই গিয়ে তোলা চাইছেন রাজ্য সিআইডি কর্তা! অভিযোগ দায়ের ব্যবসায়ীর

    Bengal Police: মুম্বই গিয়ে তোলা চাইছেন রাজ্য সিআইডি কর্তা! অভিযোগ দায়ের ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও শাসকদলের হয়ে কাজ করা, কখনও তোলাবাজি, আবার কখনও আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার-এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে রাজ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে (Bengal Police)। আর এবার রাজ্যের সিআইডি (CID) কর্তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হল মুম্বইয়ে। অভিযোগ উঠেছে যে, মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর থেকে ২০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিক-সহ মোট ৪ জন। এমনকি, ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি। যদিও সিআইডি সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ীর অভিযোগ ভিত্তিহীন, তাই এই বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তোলাবাজির অভিযোগ সিআইডি কর্তার বিরুদ্ধে

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যবসায়ীর নাম জিতেন্দ্র নাভলানি। তিনি মুম্বইয়ের ওরলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন (Bengal Police)। জিতেন্দ্র অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি বিভাগের এক কর্মী সহ ৪ জন তাঁর থেকে জোর করে টাকা আদায় করেছেন। এই সিআইডি কর্তার নাম রাজর্ষি ব্যানার্জি। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রীকে খুন করারও হুমকি দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, মে মাসে কলকাতার রানিগঞ্জে একটি নাকাবন্দির সময় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৩.০২ কোটি টাকা জব্দ করার পর থেকে আরও টাকা জোর করে আদায় করা শুরু করেন। এরপর কলকাতা পুলিশের তরফে জারি করা লুক আউট নোটিসের ভিত্তিতে হঠাৎ তাঁর স্ত্রীকে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকানো হয়। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসারও হুমকি দেওয়া হয়।

    নাভলানির আইনজীবী যাদব জানিয়েছেন, “তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে যখন এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তখন কলকাতা সিআইডি পুলিশ নাভলানি এবং তাঁর স্ত্রীকে কোনও নোটিশ দেয়নি এবং লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল৷ এরপর কলকাতা সিআইডি অফিসার তাঁকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷” আরও অভিযোগ উঠেছে যে, জামিনের জন্য ১০ কোটি আদায় করেছিলেন ও পরে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২০ লক্ষ টাকা জোর করে আদায় করেছেন সিআইডি অফিসার রাজর্ষি ব্যানার্জি (Bengal Police)।

    এখানেই শেষ নয়, নাভলানির আইনজীবী যাদব জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (Bengal Police) নাভলানির এক বন্ধু অরুণাভ অধিকারীকে নাভিলানির বিরুদ্ধে প্রতারণা করার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করেন। পরে যদিও যাদব দাবি করেছেন যে, অধিকারী পরে এফআইআর বাতিলের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।

    ওরলি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা মামলাটি তদন্ত করছি।” সিআইডি অফিসার সহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০বি, ৩৮৪ ও ৩৮৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের (Bengal Police) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের মধ্যে বাংলার সিআইডি কর্তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির গুরুতর অভিযোগ ওঠায় রাজ্য জুড়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে সরকারি তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

  • Sanjay Kumar Mishra: ফের বাড়ল ইডি কর্তার মেয়াদ, কেন জানেন?  

    Sanjay Kumar Mishra: ফের বাড়ল ইডি কর্তার মেয়াদ, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ নিয়ে তৃতীয়বার। অবসরের একদিন আগেই ফের এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ল ইডি (ED) প্রধান সঞ্জয় কুমার মিশ্রের (Sanjay Kumar Mishra)। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা। তৃতীয়বার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে আগামী বছর ইডি অধিকর্তা হিসেবে তিনি পূর্ণ করবেন পাঁচ বছর।

    ইডি অধিকর্তা হিসেবে…

    বছর বাষট্টির আইআরএস (IRS) কর্তা ইডি অধিকর্তা হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের নভেম্বরে। সেবার দু বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালের নভেম্বরে ফের এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয় তাঁর। ২০২১ সালের নভেম্বরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক বছর।

    সঞ্জয়ের এই মেয়াদ বৃদ্ধিতে খুশি নন বিরোধীরা। তাঁর এই মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে অন্ততপক্ষে আটটি পিটিশন। ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, সঞ্জয়ের মেয়াদ বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ ওই আবেদন যারা করেছে, তারা হয় কংগ্রেস নয় তৃণমূল। এদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্যে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্ত চলছে। যথাযথভাবে যাতে এই মামলাগুলির নিষ্পত্তি হয়, তাই ইডি অধিকর্তা হিসেবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো হল আরও এক বছর।

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয় কুমার মিশ্রই ইডির প্রথম অধিকর্তা যাঁর কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর প্রথমবার তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে কেন্দ্রের তরফে আনা হয় বিশেষ অর্ডিন্যান্স। তাতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের অধিকর্তাদের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ যখন প্রথমবার বাড়ানো হয়, তখনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে। আদালতের তরফে এও বলা হয়, সিভিসি আইনে দু বছরের মেয়াদকাল সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই। মামলার নিষ্পত্তি করতে মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rajiv Assassination: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Rajiv Assassination: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় ছয় সাজাপ্রাপ্তকে সপ্তাহখানেক আগে মুক্তির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্র (Centre)। সরকারের যুক্তি, সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমার নির্দেশটি শুনানির সুযোগ না দিয়েই পাশ করা হয়েছে। আবেদনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। কারণ সাজাপ্রাপ্তরা তাদের মুক্তির আবেদনে কেন্দ্রকে অংশীদার করেনি। তাই মামলায় অংশ নিতে পারেনি কেন্দ্র।

    চলতি বছরের ১১ নভেম্বর নলিনী শ্রীহরণ সহ ছয় সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তির অনুমতি দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর জেল থেকে ছাড়াও পেয়ে যায় তারা। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Assassination) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তিন দশকের বন্দি জীবনও কাটিয়েছে তারা। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, যে ছজনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তার মধ্যে চারজনই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও রয়েছে। এদের মুক্তি দেওয়ার অনুমতি ছিল এমন একটি বিষয় যার আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে। এবং সেই কারণে এটি ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতার মধ্যে পড়ে।

    রাজীব গান্ধী হত্যা…

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে একটি জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এলটিটিইর এক আত্মঘাতী মহিলা হামলাকারীর বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আরও ১৫ জনের। যে আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছিল, সে ধনু। রাজীব গান্ধীর পা ছোঁয়ার ভান করে সে নিচু হয়েছিল। তার পরেই ঘটে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন: পথ কুকুরদের খাওয়ালে দত্তক নিতে হবে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাস ছয়েক আগে এই মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। ১৮ মে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মুক্তি রাজীব হত্যাকাণ্ডে বাকি সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে। শুক্রবার বেঞ্চ বলেছে, এই একই আদেশ অন্য ছয় অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • West Bengal Weather: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

    West Bengal Weather: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ বজায় রয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। কলকাতায় আজও পারদ ১৮-এর নীচে। আগের থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পারদ ১৮-এর নীচেই রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতায় শীতের আমেজ থাকলেও তীব্র ঠান্ডা পড়তে এখনও মাসখানেক দেরি। তবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ পতন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকাল তাপমাত্রা বেড়ে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আজও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম রয়েছে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ও ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলেও তার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে বৃষ্টিপাতেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে দু-একদিন আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে ভোরের দিকে কুয়াশা থাকবে ও বেলা বাড়তেই রৌদজ্জ্বল আকাশ থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: কলকাতা সহ রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? কী বলছেন আবহবিদরা?

    উত্তরবঙ্গের আহাওয়া

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে ঠান্ডা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সেখানে শীত জাঁকিয়ে বসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সামান্য বৃষ্টি হলেও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলায় শুষ্ক ও পরিস্কার আবহাওয়া থাকবে। কোথাও কোথাও সকালের দিকে কুয়াশা এবং শিশির পড়বে। উঁচু এলাকাগুলিতে রয়েছে তুষারপাতের পূর্বাভাস। এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় জমিয়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই আরও পতন শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (West Bengal Weather)।

    জেলার আবহাওয়া

    কলকাতায় সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও জেলায় জেলায় তাপমাত্রা কমের দিকেই থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট বজায় থাকবে (West Bengal Weather)। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম থাকবে। ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির আশে পাশে থাকবে পশ্চিমের জেলার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবারও জেলায় জেলায় ভোরের দিকে ছিল ঘন কুয়াশা। ফলে ৩ মাসের জন্য অর্থাৎ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-এর ২ মার্চ পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

LinkedIn
Share