Blog

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ফের জটিলতা। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার ফলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ফের বাধা পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষা মহল। কারণ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। ফলে নতুন মামলার জন্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের দেরি হতে পারে , এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    কী এই নতুন মামলা?

    গত ২১ নভেম্বর, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাথমিকের কয়েক জন পার্শ্বশিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, ওই নির্দেশের ফলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে এবং প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের সুযোগ কমবে। কেন উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের প্রাথমিকে সুযোগ দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন কিছু পরীক্ষার্থী। এই নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। পার্শ্বশিক্ষকরা ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হলেই হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে এবং কী পদ্ধতিতে এগিয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    পর্ষদের তরফে কী বলা হল?

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তলব করার পর পর্ষদ থেকে জানানো হয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত নিয়োগ নিয়ে তারা চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আর পর্ষদের এমন সিদ্ধান্তের ফলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব হতে পারে বলে মনে করছেন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ নিয়ে নানা দুর্নীতি সামনে আসায় গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে টেট পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সেই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চলছে। এই আবহেই এ বছর টেট পরীক্ষা হল। গত ১১ ডিসেম্বর অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনদিকে মোড় নেয়, তারই অপেক্ষায় পরীক্ষার্থী।

  • West Bengal Weather: উষ্ণতম ডিসেম্বর! কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ২০ ডিগ্রির উপর!

    West Bengal Weather: উষ্ণতম ডিসেম্বর! কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ২০ ডিগ্রির উপর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রা বৃদ্ধি জারি। পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পৌঁছে গেল ২০ ডিগ্রিরও উপরে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আজ উষ্ণতম ডিসেম্বর। এমন গরম শীতকালে গত কয়েক বছরে পড়েনি। এর আগে ২০০৪ ও ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে উঠেছিল। ২০১৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০০৪ সালে ২১  ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কবে ফিরবে শীতের আমেজ, কবে পড়বে কনকনে ঠান্ডা, তারই অপেক্ষায় শহরবাসী (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ। সকালের দিকে কুয়াশা ছিল। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি। সোমবার ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা বেড়েছে ছয় ডিগ্রির মত। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: শহরে উধাও শীত! ঘূর্ণাবর্তের জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ল ৬ ডিগ্রিরও বেশি!

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আবার কোনও কোনও জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। আর বুধবার থেকে পরপর ৩-৪ দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেরও সর্বত্র আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। এরপর বুধবার থেকে পরপর ৩-৪ দিন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত হ্রাস পেতে পারে, সূত্রের খবর অনুযায়ী। এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিমী বায়ু, যা বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতা নিয়ে আসছে। যার জেরে বাড়ছে তাপমাত্রা (West Bengal Weather)। 

    ফের কবে শীত?

    ২৯-৩১ ডিসেম্বর নাগাদ তথা বর্ষশেষের সময় কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও নিচে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আগামীকাল থেকেই ফের উত্তর-পশ্চিম বায়ুর প্রভাব বাড়বে। যার ফলে আবারও তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

  • Tunisha Sharma: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    Tunisha Sharma: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার (Tunisha Sharma) মৃত্যুতে তোলপাড় বিনোদন জগৎ। এর মাঝেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিনেত্রীর মা। শনিবার বিকেলে সিরিয়ালের শুটিং সেটেই বছর কুড়ির তুনিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আত্মহত্যা করেছেন তুনিশা। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী, তা নিয়ে থেকে গিয়েছে নানা প্রশ্ন। এবার মেয়ের সহ অভিনেতা সম্পর্কে বড় অভিযোগ করলেন তুনিশার মা। প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা শীজান খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিনেত্রীর মা বলেন, “আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পরে সম্পর্ক ভেঙেছে শীজান। আগে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল শীজান। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে থাকতেই তুনিশার সঙ্গে রিলেশনশিপে জড়ায় সে। তিন চার মাস ধরে ওকে ব্যবহার করে। তারপর ব্রেক আপ করে নেয়। আমার আর্জি শীজানকে যেন ছেড়ে দেওয়া না হয়। আমার বাচ্চা চলে গেল।”

    কী জানা গেল? 

    জানা গিয়েছে প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই অভিনেত্রী (Tunisha Sharma)। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ১৫ দিন আগেই তুনিশার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়েছিল শীজানের। শনিবারই শীজানের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তুনিশার মা। মৃত অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, তুনিশা শর্মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন সহ অভিনেতা! মুম্বই পুলিশের কাছে এই মর্মেই অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রীর মা। শনিবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের ডিসি চন্দ্রকান্ত যাদব।

    ডিসিপি যাদব জানিয়েছেন, “তুনিশার (Tunisha Sharma) সহ অভিনেতা শীজান খানের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর মা। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তুনিশার মায়ের অভিযোগ পেয়ে শীজ়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ খুন এবং আত্মহত্যা— দু’টি দিকই খতিয়ে দেখবে। ঘটনার সময় সেটে হাজির কলাকুশলীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।

    তুনিশার (Tunisha Sharma) মৃত্যুর পর শীজানকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পরে জানা যায় যে, গায়ে কোনও আঘাতের দাগ নেই তুনিশার। গলায় দড়ি দিয়ে ওয়াশরুমে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও তুনিশার কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শীজানকে। রবিবার তাঁকে পাঠানো হয়েছে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে।

    আরও পড়ুন: ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ভিডিওকনের কর্ণধার বেনুগোপাল ধুত   

    ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই কাবুল’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতেন তুনিশা (Tunisha Sharma)। শিশুশিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বলিউডে। ‘ভারত কা বীর পুত্র: মহারানা প্রতাপ’ সিরিয়াল দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’-এ রাজকুমারী মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করতেন তুনিশা। তাঁর আত্মহত্যায় স্তব্ধ গোটা হিন্দি সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রি। শুধু টেলিভিশন সিরিয়ালে নয়, ‘ফিতুর’, ‘বার বার দেখো’, ‘কহানি ২’, ‘দুর্গা রানি সিংহ’, ‘দাবাং ৩’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তুনিশা। ‘ফিতুর’ এবং ‘বার বার দেখো’তে ক্যাটরিনা কইফের শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তাঁর সিরিয়াল ‘ইন্টারনেট ওয়ালা লাভ’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Pakistan Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারের চেষ্টা পাকিস্তানের! কী বললেন সেনা অফিসার?

    Pakistan Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারের চেষ্টা পাকিস্তানের! কী বললেন সেনা অফিসার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরকে অশান্ত করতে সীমান্তের ওপার থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিত করতে সদা সচেষ্ট পাকিস্তান। কাশ্মীরকে আগুনের স্তূপে বসাতে চাইছে তারা। অভিমত ভারতীয় সেনার।

    উপত্যকাকে অশান্ত করা প্রয়াস

    সেনার ১৯ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিসনের মেজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে গত দুই সপ্তাহ ধরে ইনপুট মেলে যে, অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে এবং উরির রামপুর সেক্টরের হাতলঙ্গা এলাকার জঙ্গিরা যুদ্ধের রসদ মজুত করতে পারে। তার পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা। হাতলঙ্গা এলাকায় গত শুক্রবার প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- আটটি একে-৭৪ রাইফেল, ২৪টি একে-৭৪ রাইফেল ম্যাগাজিন, ৫৬০টি ৭.৬২ মিমি একে-৭৪ লাইভ অ্যামিউনিশন, ২৪টি চাইনিজ পিস্তল ম্যাঙ্গানিজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। রবিবার ওই সেনা আধিকারিক জানান, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। কারণ, এখানে এখন জঙ্গি এবং যুদ্ধের রসদ সর্বকালীন কম অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তা নষ্ট করতে চাইছে পাকিস্তান। 

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    এই মুহূর্তে উপত্যকায় আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলা-বারুদ কম পরিমাণে থাকায় পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ কাশ্মীরে পাচার করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রে লেখা রয়েছে, “আই লাভ পাকিস্তান”। মেজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, “কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে বিরাজমান শান্তি ও সমৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। তাই তারা এই ধরনের মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে।” তবে তিনি জানান, সেনাবাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কাশ্মীরে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডা ও বরফের স্তরকে কাজে লাগিয়ে যাতে কোনওরকম জঙ্গি কার্যকলাপ না বাড়তে পারে তার দিকে নজর রয়েছে সেনার। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসব না আতঙ্ক! ক্রিসমাসের সময় বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ। তুষারঝড়ে দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪।   বিধ্বস্ত পূর্ব আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ।  হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তুষারঝড়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের বাফেলোর। ঝড়ের পরে গোটা শহরটাই প্রায় ৮ ফুট বরফের স্তরের নীচে ঢাকা পড়ে গেছে। 

    তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে

    আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছে। বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা। কোথাও গাড়ির ভিতর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে, কোথাও স্নো-ব্যাঙ্কের নীচ থেকে। বন্ধ শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিষিদ্ধ করা হয়েছে গাড়ির চলাচলও।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রা নামবে -৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! তুষারঝড়ে কাঁপছে আমেরিকা

    ২ লক্ষ মানুষ অন্ধকারে

    বাফেলোর বাসিন্দা তথা নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্য়াথি হোচুল বলেন, “মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দুপাশে গাড়ির স্তূপ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। আমরা সকলকে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কারণ, বাইরে তাপমাত্রা এত নেমে গিয়েছিল যে, কোনও মুহূর্তেই মানুষ মারা যেতে পারতেন।”আবওহাওয়া দফতরের খবর, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। প্রবল শীতের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই বরফে পরিণত হয়েছে ফুটন্ত জল। আমেরিকায় টানা ৫ দিন ধরে বরফের ঝড় চলেছে। তুষার বর্ষণের পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ভুগিয়েছে স্থানীয়দের। যদিও আপাতত সেই হাওয়ার বেগ কিছুটা কমেছে। দুর্যোগে আমেরিকার অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে, কখন স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খুঁটি ডুবে গিয়েছে বরফের আস্তরণে। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন মদ্যপ আধিকারিকের চেয়ে ভাল দম্পতি হতে পারেন একজন রিক্সাচালক কিংবা শ্রমিক। কথাগুলি যিনি বললেন, মদ কেড়ে নিয়েছে তাঁর সন্তানকে। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) কৌশল কিশোর (Kaushal Kishore)। তিনি আরও বলেন, দয়া করে মেয়ে কিংবা বোনের বিয়ে দেবেন না কোনও মদ্যপের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁদের আয়ু খুব কম। শনিবার উত্তর প্রদেশের লাম্ভু বিধানসভা কেন্দ্রে নেশা-মুক্তির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কৌশল কিশোর।

    আবেগবিহ্বল মন্ত্রী…

    এদিনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় চলে যান মন্ত্রী। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে পড়েন আবেগবিহ্বল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যখন আমি সাংসদ ছিলাম, আমার স্ত্রী ছিলেন বিধায়ক, তখনও আমরা আমাদের ছেলের জীবন বাঁচাতে পারিনি। আমরাই যদি না পারি সাধারণ মানুষ পারবেন কীভাবে? কৌশল কিশোর বলেন, আমার ছেলে আকাশ কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত মদ্যপান করত। তাকে নেশা-মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলাম। আশা করেছিলাম, বদভ্যাসটা সে ত্যাগ করবে। ছ মাস পরে তার বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর ফের সে মদ্যপান করতে শুরু করে। এভাবেই ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দু বছর আগে আকাশ যখন মারা গেল, তখন তার ছেলে মাত্রই দু বছরের। মন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করে ওঠে জল।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত দ্রুত এগোচ্ছে’, বছরের শেষ মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Kaushal Kishore) বলেন, আমি আমার ছেলেকে রক্ষা করতে পারিনি। সেই কারণে তার স্ত্রী বৈধব্য জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের মেয়ে বোনকে নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন। পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছিলেন ৬.৩২ লাখ মানুষ। আর মদ্যপানের কারণে ফি বছর এদেশে মৃত্যু হয় ২০ লাখ লোকের। তিনি জানান, এ দেশে যত সংখ্যক ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হয়, তাঁদের ৮০ শতাংশই হয় তামাক, বিড়ি, সিগারেট খাওয়ায়। উপস্থিত জনতা এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে মন্ত্রীর (Kaushal Kishore) আবেদন, আপনারা নেশা-মুক্তির শিবির করুন। পরিবার বাঁচান। গোটা জেলাকে নেশামুক্ত করতে মন্ত্রীর পরামর্শ স্কুলে স্কুলে নেশামুক্তির শিবির করুন। সকালের প্রার্থনায় বলুন। এ ব্যাপারে বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিত্য পরামর্শ দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ghaziabad Murder: ১২ বছর বয়সে ডাকাতি ও খুনের নকশা! গাজিয়াবাদে আটক বালক

    Ghaziabad Murder: ১২ বছর বয়সে ডাকাতি ও খুনের নকশা! গাজিয়াবাদে আটক বালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই ১২। এই বয়সেই ডাকাতি ও খুনের নকশা কষেছে সে। তার তিন সাগরেদ অবশ্য সদ্য যুবা। শনিবার একটি খুনের (Ghaziabad Murder) ঘটনার তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশের (Police)। মূল চক্রী ওই বালককে আটক করেছে পুলিশ।

    দম্পতির দেহ…

    পুলিশ জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর গাজিয়াবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। বাড়ির জিনিসপত্র ইতিউতি ছড়ানো। বছর ষাটেকের ইব্রাহিম ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শোওয়ার ঘরে। তাঁর স্ত্রী হাজরার দেহ উদ্ধার হয় শৌচাগার থেকে। তদন্তে নেমে মাসখানেক পর মূল চক্রীর নাগাল পায় পুলিশ। করা হয় আটক। কেবল ওই চক্রী নয়, তার সাগরেদদেরও পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিলম্বিত বোধোদয়! ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চিন!

    পুলিশ জানিয়েছে, বছর বারোর ওই বালক জানত ইব্রাহিমের অনেক টাকা। তাই ইব্রাহিমের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষে সে। সঙ্গে নেয় তিন সাগরেদকে। ঠিক হয়েছিল, ডাকাতি করে যা মিলবে, চারজনে তা সমান ভাগে ভাগ করে নেবে। সেই মতো ডাকাতি করার পর প্রমাণ লোপাট করতে ওই বালকের নির্দেশে সবাই মিলে খুন (Ghaziabad Murder) করে ইব্রাহিম ও তাঁর স্ত্রীকে। কাপড়ের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ইব্রাহিমকে। ধৃত বালকের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গয়না এবং মোবাইল ফোনও।

    ডিজিপি (গ্রামীণ) ইরাজ রাজা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনজন আমাদের জানায়, ২২ নভেম্বর তারা ওই দম্পতির বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে লোহার ছাঁট বিক্রির অছিলায়। যেই না ইব্রাহিমের স্ত্রী হাজারা দরজা খুলে বাড়ির বাইরে পা রেখেছে, ওই বালকের সাগরেদ মুকেশ ও শুভম তাঁকে বেঁধে ফেলে। সময় নষ্ট না করে ওই বালক ও তার এক সঙ্গী সন্দীপ ঘরে ঢুকে খুন করে ঘুমন্ত ইব্রাহিমকে। পরে বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় নগদ ৫৪ হাজার টাকা, একটি রুপোর চেন এবং একটি মোবাইল ফোন। এসিপি ( লোনি) রজনীশ কুমার উপাধ্যায় বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন বিহার থেকে এখানে এসে বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। শনিবার তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রামিজ রাজার জায়গায় দায়িত্বে ফেরার পরদিন থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ‘পুনর্গঠনে’ হাত দিয়েছেন নাজাম শেঠি। সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিমকে। গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। তাঁর সঙ্গে আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম মিলিয়ে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি গড়া হয়েছে। আফ্রিদি সেই কমিটিরই প্রধান।

    পাকিস্তান পুরুষ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক

    পিসিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামিজ রাজাকে সরিয়ে নাজম শেঠি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। পিসিবির তরফে তাঁদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে (Shahid Afridi) অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। পুরুষ জাতীয় সিনিয়র দলের নির্বাচক মন্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম। কনভেনার হবেন হারুন রশিদ।’

    আরও পড়ুন: নিজের অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি বিসিসিআই সাধারন সম্পাদক জয় শাহকে পাঠালেন মেসি

    নাজম শেঠি বলেন, “শাহিদ আফ্রিদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন। কোনও ভয় ছাড়াই আজীবন ক্রিকেট খেলেছেন। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সব ধরণের ফরম্যাটে সাফল্য রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, বরাবর তরুণ প্রতিভাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আধুনিক ক্রিকেটের যে চ্যালেঞ্জ, সেটা সামলানোর জন্য আফ্রিদির থেকে ভাল কেউ এই মুহূর্তে নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী যে নিজের ভাবনা এবং জ্ঞানের সাহায্যে পাকিস্তানের সেরা এবং যোগ্যতম ক্রিকেটারদের দলে বেছে নেবেন আফ্রিদি। পরের সিরিজে যাতে সাফল্য পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও অবদান রাখবেন।”

    এই দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহিদ (Shahid Afridi) বলেন, “পাকিস্তান বোর্ড আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনও খামতি রাখব না। জয়ের রাস্তায় ফেরার ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আশা করি জাতীয় দল আগামী দিনে সাফল্য পাবে।” প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজের দল পর্যালোচনা করে দেখাই প্রধান কাজ হতে চলেছে আফ্রিদির। মাঠে সাহসী ক্রিকেট খেলা আফ্রিদিকে আরও একবার সাহসিকতার পরিচয় দিতেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবির প্রধান নাজাম শেঠি।

  • National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে আজ একাধিক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।” এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার উপর জোর দিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেই কথাই আরও একবার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP) মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত একটি দূরদর্শী এবং ভবিষ্যতমূলক শিক্ষাব্যবস্থা (Futuristic Education System) তৈরি করা হচ্ছে।

    নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে দেশের ‘অমৃত মহোৎসব’র ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) সম্পর্কে বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর দেশে আইআইটি, আইআইএম এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভাল করেই জানেন যে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের বিদ্যমান শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই স্বাধীনতার এই অমৃত-কালে দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো ও নীতির উন্নয়ন ঘটাতে আমরা প্রতিটি স্তরে কাজ করে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    তিনি আরও জানান, দেশে আজ আইআইটি, আইআইআইটি, আইআইএম এবং এইমসের মত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরপরই নতুন শিক্ষানীতি (National Education Policy) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।”

    গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করলেন মোদি

    এদিন নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রাচীন ‘গুরুকুল’ শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তার প্রশংসা করলেন। তিনি জানান, সাধু ও আধ্যাত্মিক নেতারা দেশের হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, “দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারতের প্রাচীন গৌরব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে মহান গৌরবগুলি পুনরুদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু দাস মানসিকতার ফলে সরকার সেদিকে তাকায়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা উল্টো দিকে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবার আচার্য এবং সাধুরা নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করতে শুরু করেছেন। তারই একটি উদাহরণ শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল।”

    প্রধানমন্ত্রী আজ স্বামীনারায়ণ গুরুকুলের কাছে বিশেষ আবেদনও করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।”

  • Christmas: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! বড়দিনে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ

    Christmas: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! বড়দিনে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বড়দিন। শনিবার বিকেল থেকেই পার্কস্ট্রিট, বো-ব্যারাক, ক্যাথিড্রালে মানুষের ঢল নেমেছে।  উৎসবের মরসুমেই আবারও চিন-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে থাবা বসিয়েছে করোনা।  ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা না গেলেও আগেভাগেই সতর্ক থাকতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    সতর্ক মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    বড়দিন, নিউ-ইয়ারে বিশেষ করে বিকেলের পর থেকেই মানুষের যাতায়াত বাড়তে থাকে মেট্রো পথে। তাই বাড়তি ভিড় সামাল দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো। বাড়ানো হচ্ছে কাউন্টার। পাশাপাশি বছরের শেষ সপ্তাহে মেট্রোয় নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল। কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্ক স্ট্রিটমুখী যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা এড়াতে মেট্রো কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, পার্ক স্ট্রিট এবং দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে চারটি অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার খোলা হয়েছে। বাড়তি টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড রাখা হয়েছে ওই দু’টি প্রান্তিক মেট্রো স্টেশনে। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিট, দক্ষিণেশ্বর, দমদম, ময়দান, রবীন্দ্র সদন, এসপ্ল্যানেডের মতো স্টেশনগুলিতে উচ্চপদস্থ মেট্রো আধিকারিক এবং চিফ ট্রাফিক সুপারভাইজাররা উপস্থিত থাকবেন। সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে মেট্রো সঠিকভাবে চলছে কিনা, সেদিকে নজর রাখবেন এক অফিসার। । প্রতিটি যাত্রীকে কোভিড প্রটোকল মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ করা-সহ করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা জানিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেল।

    আরও পড়ুন: বড়দিনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় 

    চার্চগুলির তরফে সতর্ক-বার্তা

    শহরের গির্জাগুলির তরফে পূণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন গির্জার প্রধানরা। বো ব্যারাকের বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজকরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পূণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পড়া প্রভৃতি কোভিড বিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন। মানিক তলার ডাফ চার্চের ফাদার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, ‘বড়দিনের আগে আমরা গির্জা স্যানিটাইজ করব। গির্জার ভিতরে যারা বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করবেন তাদের অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share