Blog

  • Swasthya Bhawan: স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাবে জেলার হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হয়রানি সাধারণ মানুষের

    Swasthya Bhawan: স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাবে জেলার হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, হয়রানি সাধারণ মানুষের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: বাড়িতেই পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে গিয়েছে বছর পঞ্চান্নের জয়ন্তী ভট্টাচার্যের। রানাঘাটের বাসিন্দা জয়ন্তী দেবীর হাতের অস্ত্রোপচার জরুরি। কিন্তু কৃষ্ণনগর থেকে কল্যাণী একাধিক সরকারি হাসপাতালে গিয়েও পরিষেবা পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচার করার জন্য বিশেষজ্ঞ অস্থি-শল্য চিকিৎসক নেই। তাই তাকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হাজার দশেক টাকা গাড়ি ভাড়া খরচ করে কলকাতায় জয়ন্তী দেবীকে আনা হয়। তারপরে একাধিক সরকারি হাসপাতালের লাইনে অপেক্ষা করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের দিন পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কল্যাণীতেই রয়েছে রাজ্য সরকারের জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু তারপরও সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব (Inavailability of Doctors) হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

    আরও পড়ুন: মানিকের RK-DD ধাঁধা ঘাম ঝরাচ্ছে গোয়েন্দাদের, রহস্যভেদে ময়দানে ‘ফেলুদা’ শুভেন্দু

    পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অসীম রায়ের মেরুদণ্ডের সমস্যা। স্নায়ুর অস্ত্রোপচার করতে হবে। চিকিৎসক জানান, অস্থি ও স্নায়ু শল্য চিকিৎসকের সমন্বয়ে অস্ত্রোপচার সম্ভব। কিন্তু জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই সমন্বয় সম্ভব নয়। কারণ, অস্থি ও স্নায়ু শল্য চিকিৎসক নেই। এমনকি পাশের জেলার মেডিক্যাল কলেজেও সেই পরিকাঠামো নেই। তাই তাকে পাঠানো হয় কলকাতায়। কয়েক মাস অপেক্ষা করে অবশেষে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে অস্ত্রোপচারের সুযোগ পেয়েছেন অসীম রায়।

    রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা (Health Department) উন্নত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করছেন। একাধিক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জেলার মানুষদের হয়রানির শেষ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের অসীম রায় কিংবা রানা ঘাটের জয়ন্তী ভট্টাচার্যের হয়রানি কোনও ব্যতিক্রম নয়। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলোতে রোগী অপেক্ষার যে দীর্ঘ লাইন, তাতে জেলার মানুষের সংখ্যাই বেশি। দূর থেকে কলকাতায় রোগীকে নিয়ে এসে দিনের পর দিন চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় চিকিৎসার নূন্যতম সুযোগ ও পান না অনেকেই।

    স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের অবশ্য দাবি, রোগী হয়রানির জন্য অনেকাংশেই দায়ী স্বাস্থ্য ভবনের পরিকল্পনার অভাব। হেলথ সার্ভিসের চাকরিরত একাধিক চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (এমডি, এমএস) পড়া শুরু করেন। ২০১৮ সাল থেকে যে সব চিকিৎসক এই স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে, তাদের কোর্স শেষ হয়ে যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর তাদের প্রয়োজন মতো নিয়োগ করতে পারেননি। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, “রাজ্যের প্রায় সাড়ে ছ’শো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ঠিকমতো নিয়োগ করা হয়নি। জেলার যেসব হাসপাতালে এমডি, এমএস চিকিৎসক জরুরি, সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে না। ওই চিকিৎসকদের অধিকাংশ কলকাতার যেসব মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর পড়তে এসেছিলেন, সেখানেই কাজ করছেন। অথচ তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে অন্য হাসপাতাল কর্মরত এটা দেখিয়ে। কোথাও অতিরিক্ত চিকিৎসক, আবার কোথাও চিকিৎসক নেই। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা না থাকলে ভালো পরিষেবা সম্ভব নয়।”

    জেলার একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্নায়ু, স্নায়ু-শল্য, পেডিয়াট্রিক-সার্জারি, কার্ডিওভাসকুলার সার্জারির মতো বিভাগগুলো বন্ধ হয়ে থাকে। কারণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব। এদিকে কলকাতার হাসপাতালগুলোতে স্নাতকোত্তর পাশ করে সিনিয়র রেসিডেন্স হয়ে কাজ করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দফতরের ঠিকমতো সমন্বয়ের অভাবের জেরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    জেলা থেকে কলকাতায় আনার পথে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। কিন্তু তারপরেও হুশ ফেরেনা স্বাস্থ্য দফতরের। যদিও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামি ১৮ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে হাসপাতালে কর্মরত দেখিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বেতন হচ্ছে, সেখানেই তাদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে। দ্রুত এই কাজ শেষ করতেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কিন্তু তারপরেও বিজ্ঞপ্তি কতখানি কার্যকর হবে সে নিয়ে অবশ্য সংশয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue Update: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    Dengue Update: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: তৃতীয়া থেকেই জ্বরে আক্রান্ত গিরিশ পার্কের বাসিন্দা কৌশিক রায়। সপ্তমীর সকালে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায়, বছর তিরিশের কৌশিক ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় চিকিৎসক পরামর্শ দেন, হাসপাতালে ভর্তি জরুরি। কিন্তু কোনও সরকারি হাসপাতালেই তিনি ভর্তি হতে পারেননি। পরিবারের অভিযোগ, উৎসবের সময় অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। তারপরে একের পর এক হাসপাতাল ঘুরলেও বলা হয়েছে, বেড নেই। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন (Helpline phone no) করেও কোনও সুবিধা হয়নি। শেষ পর্যন্ত শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কৌশিক বাবু। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ডেঙ্গি চিকিৎসা করিয়ে তিনি মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন।

    বাঘাযতীনের বছর চল্লিশের তৃপ্তি সাহা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। পরিবারের তরফে জানানো হয়, প্লেটলেট জরুরি। এদিকে সরকারি ব্লাড ব্যাংকে গেলেই জানানো হচ্ছে, প্লেটলেট নেই। পরিবারের অভিযোগ, কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে রক্তের জন্য ঘুরেছেন। কিন্তু সর্বত্রই জানানো হয়েছে, পুজোর ছুটিতে কর্মী নেই। রক্তদান কর্মসূচিও নেই। জোগান নেই। অথচ চাহিদা মারাত্মক। তাই রক্তের অভাব। রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতি ইউনিট সাড়ে চার হাজার টাকায় রক্ত কিনতে হয়েছে। গিরিশ পার্ক বা বাঘা যতীনের ঘটনা কোনও ব্যতিক্রম নয়। কলকাতা শহরের পাশপাশি জেলার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। দূর্গাপুজোর আলোয় উৎকন্ঠাকেই সঙ্গী করে কাটাতে হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত ও তার পরিজনদের। পুজোতে ডেঙ্গি সামলাতে কার্যত ব্যর্থ রাজ্য সরকার।

    সেপ্টেম্বর মাস থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। অক্টোবরে পুজোর মরশুমে ডেঙ্গি আরও ভয়ানক চেহারা নেয়। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পুজোর সময় রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও আশঙ্কাজনক হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত পরিকল্পনা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন গড়ে পাঁচ থেকে ছ’শো মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু এত মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্ক। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য ভবনের এক অধিকর্তা জানিয়েছিলেন, পুজোর সময় স্বাস্থ্য ভবনে আলাদা ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। চব্বিশ ঘণ্টা কাজ হবে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি, রক্তের প্রয়োজন, কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে সেই এলাকার দিকে বিশেষ নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনও ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে রক্ত পাওয়া যাবে, সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি। পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পেতেও হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে রোগীর পরিজনদের।

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ফি-বছরের হয়রানি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলো পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ছুটি নেন। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা থমকে যায়। কিন্তু যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতেও উৎসব স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লাড ব্যাংকে যাতে রক্তের জোগান ঠিক থাকে, সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লেটলেট খুব জরুরি। রক্তের জোগান ঠিক মতো না হলে, রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ব্লাড ব্যাঙ্কের দিকে বিশেষ নজর। কিন্তু অন্য বছরের মতো এ বছরেও পুজোর দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলেন।

    প্রশাসনিক বৈঠকে জানানো হয়েছিলো, স্বাস্থ্য দফতরের পাশপাশি পুর দফতর ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা নেবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতোই পুর কর্তারাও উৎসবের মরশুমে এলাকা পরিদর্শন করবেন। কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে, সেই এলাকায় বিশেষ নজরদারি দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবের ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। যে সব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছিলো, তার অধিকাংশ সরকারি নথিতেই আটকে থেকেছে। বাস্তবে উৎসবের দিনগুলোতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

  • Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আগে থেকেই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue Situation)! পুজোর পর আরও উদবেগজনক চেহারা নিয়েছে পরিস্থিতি। চলতি মরশুমে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ডেঙ্গি (Kolkata Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা! মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলগাছিয়ার সরকারি আবাসনের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে।  

    সোমবার সন্ধেয় ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। 

    এদিকে উত্তরবঙ্গেও চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রোগ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। 

    আরও পড়ুন: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে মশারি নিয়ে মিছিল করল বিজেপি যুব মোর্চা। সিএমওএইচ দফতরে বিক্ষোভ দেখায় তারা। আজ উত্তরকন্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য দফতরের  ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কিছু গাফিলতি রয়েছে, তা দ্রুত কাটিয়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে সার্ভের জন্যে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমে অতিরিক্ত ৫০০ জন নিয়োগ করতে হবে।” 

    ডেঙ্গির সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। গত ৪-৫ দিনে কলকাতা পুরসভার শুধু ৩ নম্বর বরোতেই ১০-১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫! এই পরিস্থিতিতে বুধবার এলাকায় ডেঙ্গি দমন অভিযানে নামে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই তা ২৫ হাজার পার করেছে। গত সোমবার রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৬২ জন। এবার কি ডেঙ্গির সঙ্গে রয়েছে ম্যালেরিয়া। কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া দেখা গিয়েছে। পুজোর পর শুধুমাত্র ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোজ গড়ে ৩ জন করে ডেঙ্গি ও ৩ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১২ অক্টোবর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day)। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আরথ্রাইটিস ডে’ পালন করে আসছে আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল। বহু প্রাচীনকাল থেকে এই রোগটির অস্তিত্ব থাকলেও ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই এটি নথিভুক্ত হওয়া শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের দিকে রোগটিকে‘আর্থ্রাইটিস’ নামকরণ করা হয়।  

    আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন, আটল্যান্টার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।   

    আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যাথাকেই বোঝানো হয়। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। সবচেয়ে বেশি হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।  

    কাদের হয় এই রোগ?  

    • যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 
    • ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়। 
    • অস্থিসন্ধিতে যেকোনও ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।   
    • যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
    • কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

    রোগ নির্ণয়

    রোগের ইতিহাস ও রোগের ধরন দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। যেমন এক্স-রে, জয়েন্ট অ্যাসপিরেশন ইত্যাদি। 

    রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কী? 

    এটি অটোইমিউন অসুখ। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্থিসন্ধির বহিরাবরণীতে প্রদাহ হয়। এ কারণে অস্থিসন্ধি ও এর আশপাশে ব্যথা হয়, জড়তা তৈরি হয়, ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। এতে অস্থিসন্ধির আকারের বিকৃতিও ঘটে। সময়ের সঙ্গে এটি তীব্র হতে থাকে। মাঝেমধ্যে ব্যথা ও ফোলা আপনিতেই কমে যায়, আবার বাড়ে।

    লক্ষণ 

    • ঘুম থেকে ওঠার পর অস্থিসন্ধিসহ শরীরের কিছু অংশে ব্যথা ও জড়তা থাকে।
    • হাতের আঙুল, কনুই, কাঁধ, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় বেশি সমস্যা হয়।
    • সাধারণত শরীরের উভয় পাশ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। যেমন- হাতে হলে দুই হাতের জয়েন্টই একসঙ্গে ব্যথা করে, ফুলে যায় ইত্যাদি।
    • শরীর দুর্বল লাগে, জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। ম্যাজম্যাজ করে।
    • কারও ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে এক ধরনের গুটি দেখা যায়, যা ধরলে ব্যথা পাওয়া যায় না।

    প্রতিরোধের উপায় 

    • শারীরিক তৎপরতা বাড়ানো। যেমন- বহুতল ভবনে ওঠার সময় মাঝেমধ্যেই লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করা এবং যানবাহনে ওঠার আগে অন্তত ৫০০ মিটার পথ পায়ে হেঁটে যাওয়া।
    • মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
    • মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন করা।
    • শরীরের জয়েন্টগুলোকে নতুনভাবে জখম হতে না দেওয়া এবং ইতিমধ্যেই জখমে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
    • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। 
    • যে কোনও ছোটখাটো জখমের চিকিৎসা করানো। 
    • ধূমপান বা মদ্যপান না করা। কারণ মদ হাড়ের স্বাস্থ্য ও কাঠামো দূর্বল করে দেয়।
    • নিয়মিত দুধ পান করুন। তবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য উপাদান হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম ও ব্রোকোলি জাতীয় খাবার বেশি খান।
    • মেনোপোজ পরবর্তী নারীদের জন্য হরমোন প্রতিস্থাপন, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    • সঠিক সাইজের ও নরম জুতা পরতে হবে।
    • প্রদাহসৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রায়ই দেখা যায় যে, লবন, চিনি, মিষ্টি, মদ, ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস, সাধারণ রান্নার তেল, ট্রান্স ফ্যাট ও লাল মাংস ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অসংখ্য রোগের জন্ম দেয়।
    • ঠান্ডায় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও সমস্যা বেড়ে যায়, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। উষ্ণ গরম জলের সেঁক ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী। উষ্ণ গরম জলে স্নানও করতে পারেন। 
  • UIDAI: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার কার্ড? আজই আপডেট করুন, নয়তো পাবেন না এই সুবিধাগুলো

    UIDAI: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার কার্ড? আজই আপডেট করুন, নয়তো পাবেন না এই সুবিধাগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার কি দশ বছর পুরনো আধার? তবে আজই আধারের তথ্যকে আপডেট করে নিন। নয়তো পরে হতে পারে সমস্যা। UIDAI -এর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যে সব ব্যক্তির আধার নম্বর ১০ বছর পুরনো অথবা তারও আগে ইস্যু করেছে তাঁদের সেই নথি আপডেট করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। UIDAI জানিয়েছে, My Aadhaar পোর্টাল থেকে এই কাজ করা যাবে। অথবা নিকটবর্তী আধার সেন্টারে গিয়েও নথি আপডেট করতে পারবেন।

    তবে কেন আধার আপডেট প্রয়োজন?

    আধার নম্বর দিয়ে ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ব্যবহার করা হয়। তাই UIDAI থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সুবিধা ও প্রকল্পের সুবিধা পেতে আধারের তথ্য আপডেটেড রাখতে হবে যাতে আধারের প্রমাণ ও যাচাইয়ের সময় কোনও অসুবিধা না হয়। চলতি বছর অগাস্টে UIDAI ঘোষণা করেছিল আধার নম্বর না থাকলে অথবা এনরোলমেন্ট স্লিপ না থাকলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন নাগরিকরা। তাই আপডেটেড আধার প্রয়োজন। তবে UIDAI থেকে জানানো হয়নি যে, এই আপডেট করা বাধ্যতামূলক কিনা।

    কীভাবে অনলাইনে আপডেট করবেন?

    প্রথমে UIDAI -এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন। ওয়েবসাইটে হোমপেজে My Aadhaar অপশন সিলেক্ট করুন। এবার Update Your Aadhaar বিভাগে Update Address in Your Aadhaar অপশনে ক্লিক করুন। এবার একটি লগ ইন পেজ খুলে যাবে, এখানে নিজের আধার নম্বর দিয়ে ক্যাপচা ভেরিফাই করুন। আধারের সঙ্গে লিংক থাকা মোবাইল নম্বরে একটি OTP আসবে। UIDAI ওয়েবসাইটে এই OTP দিয়ে দিন। এখানে Aadhaar data filed(s) to update এর অধীনে Address সিলেক্ট করুন। Update Aadhaar অপশন সিলেক্ট করুন। এখানে নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র আপলোড করে Proceed to update Aadhaar সিলেক্ট করুন। যে কোন বদলের প্রিভিউ এখানে দেখতে পাবেন। স্থানীয় ভাষার সঙ্গেই ইংরাজিতে সব তথ্য টাইপ করে Submit সিলেক্ট করুন। এই কাজ শেষ হওয়ার পরে পেমেন্ট পোর্টালে পৌঁছে যাবেন। ৫০ টাকা দিতে হবে। UPI, নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট সফল হবে আপনার কাছে আপডেটেড রিকুয়েস্ট নম্বর (URN) আসবে। পরে আপডেটের স্ট্যাটাস দেখার জন্য URN ব্যবহার করা যাবে। পেমেন্টের অ্যাকনলেজমেন্টের কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।

  • Ujjain Mahakal: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের গুরুত্ব জানেন? 

    Ujjain Mahakal: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের গুরুত্ব জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য প্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে রয়েছে মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) মন্দির (Temple)। এটি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। মঙ্গলবার বিকেলে এই মন্দিরের লোক করিডরের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এজন্য খরচ হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে এই করিডর তৈরি করা হয়েছে। এই করিডরের ফলে মধ্যপ্রদেশের পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে বলেও জানান মোদি। এদিন লাল সুতোয় মোড়া ছিল পবিত্র জ্যোতির্লিঙ্গ। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে বাজানো হয় শঙ্খ-ঘণ্টা। এর পর রীতি মেনে মন্দিরে পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও।

    নশো মিটার দীর্ঘ এই করিডরের উদ্বোধন করে মোদি বলেন, ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মহাকাল লোক করিডরের ফলে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে আসতে আরও সুবিধা হবে। এই করিডরেই বিশ্বমানের নানা আধুনিক পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাও নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, সে লিঙ্গ তৈরি করা হয় না, স্বয়ম্ভু, নিজে থেকে মাটি ফুঁড়ে বের হয় তাকে  জ্যোতির্লিঙ্গ বলে। ভারতে মোট বারটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। তারই একটি হল মহাকালেশ্বর। ভগবান শিবের আর এক নাম মহাকাল। কাল শব্দের দুটি অর্থ। এক, সময়, দুই মৃত্যু। যেহেতু ভগবান শিব একই সঙ্গে সময় এবং মৃত্যুর দেবতা, তাই তিনি মহাকাল। উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) ছাড়াও আরও যে এগারোটি জ্যোর্তিলিঙ্গ রয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাটের সোমনাথ ও নাগেশ্বর, অন্ধ্রপ্রদেশের মল্লিকার্জুন, মধ্য প্রদেশের ওঁকারেশ্বর, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ, ভীমশঙ্কর, ত্র্যম্বকেশ্বর, মহারাষ্ট্রের গৃশ্নেশ্বর, বারাণসীর বিশ্বনাথ, দেওঘরের বৈদ্যনাথ এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম।

    আরও পড়ুন : ভোল বদলে ঢোকার চেষ্টা করছে শহুরে নকশালরা, গুজরাটবাসীকে সতর্ক করলেন মোদি

    উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর (Ujjain Mahakal) মহাদেবের মন্দিরটি রয়েছে শিপ্রা নদীর পাড়ে। হিন্দুদের একাংশের মতে, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে মহাকালেশ্বরই সব চেয়ে পবিত্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভগবান মহাকালেশ্বরের নির্দেশেই চালিত হয় এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। কালিদাসের ‘মেঘদূতে’ও উল্লেখ রয়েছে মহাকালেশ্বরের জ্যোতির্লিঙ্গের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in West Bengal: গত ৩ বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! নতুন করে আক্রান্ত ৬৬২ জন

    Dengue in West Bengal: গত ৩ বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! নতুন করে আক্রান্ত ৬৬২ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue in West Bengal) দাপট বেড়েই চলেছে। পুজোর পরেও ডেঙ্গি সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যে নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৬২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন ৮২১ জন। পুজোর আগে থেকেই করোনা ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। এবং এখন করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও ডেঙ্গি সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবছর শহরে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal) সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়েছে পরিসংখ্যান বলছে তা গত ৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এবছর শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২৮০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২২-এ ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪, ৭৪৬ জন। আক্রান্তের দিক থেকে উপরের দিকে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। এই দুই জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ফলে এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভাকে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ আর ২০১৯ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in West Bengal) সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। সেই ২ বছরে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৭,৭৪৬ জন এবং ২৮, ০৭০ জন। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এবছরের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কি গত দুবছরের রেকর্ডকেও ভেঙে দেবে?

    অন্যদিকে রাজ্যে যেমন ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in West Bengal) সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। অক্টোবর পড়লেও এখনও ডেঙ্গি কমার কোনও লক্ষণ দেখছেন না আধিকারিকরা। ডেঙ্গি আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, পুজোর পর মণ্ডপের খুঁটির গর্তে জল জমে থাকছে। তা থেকে ডেঙ্গি আরও বাড়তে পারে। তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর পুরসভাকে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও আবার সামনে কালিপুজো। কালীপুজোর প্যান্ডেলের কারণে যেসব গর্ত করা হবে, সেখানেও জল জমে বাড়তে পারে ডেঙ্গি মশার অর্থাৎ এডিস মশার বৃদ্ধি। তাই আশঙ্কা করা হয়েছে যে, ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা কালীপুজো বা তার পরেও আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, নভেম্বর থেকে হয়তো ডেঙ্গি কমতে পারে।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik hattacharya) বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে লেখা চিঠি। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিকের বাড়ি থেকে একটি চিঠি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। চিঠিতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। মানিকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতেই এই চিঠির কথা জানান ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, এই টাকা যুব তৃণমূলের কোনও একজন সাধারণ সম্পাদক সংগ্রহ করছিলেন। ইডির হাতে পাওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মানিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।  

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি,মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনুমান এই মোবাইল থেকেই মিলতে পারে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির নানান তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এই ‘RK’ ও ‘DD’কে তা জানতে চায় ইডি। এর উত্তর মিললেই অনেক প্রশ্নের জট খুলে যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন লেখা হোক আঞ্চলিক ভাষায় (Law in Regional Language)। মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিচার পেতে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি আইনের অস্পষ্টতাকেই দেখেন। তিনি বলেন, “অনেকেই আইন বোঝেন না। সকলের আইন বোঝা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইন আঞ্চলিক ভাষাগুলোতেও লেখা উচিৎ। যাতে দরিদ্র মানুষরা বুঝতে পারেন।”                   

    গুজরাটের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-এর কাছে কেভাদিয়ার একতা নগরে দু’দিনের ‘অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স অফ ল মিনিস্টার অ্যান্ড ল সেক্রেটারি’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “আইনের অস্পষ্টতার কারণে বিচার বিলম্বিত  হচ্ছে। আইনগুলো আরও স্পষ্ট করা প্রয়োজন। দরিদ্র মানুষেরা যাতে আইন বুঝতে পারে, সেই কারণে আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখা প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, গত আট বছরে ১,৫০০টির বেশি অপ্রচলিত আইন বাতিল করেছে। তারমধ্যে অনেক আইন ব্রিটিশ আমলেও ব্যবহার করা হত। 

    আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দ্রুত বিচার দেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের বিচার বিভাগ এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনের ভাষা অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না। আইনের ভাষা সহজ হলে, বিচার পেতে সুবিধা হবে। 

    আইন লেখার ক্ষেত্রে দুটি পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। বেশিরভাগ দেশে আইনি ভাষায় লেখা হয় আইন। অন্য একটি পদ্ধতি  হল সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারে, সেই ভাষায় আইন লেখা হয়। যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। ভারতের বেশিরভাগ নাগরিকের কাছে আইন স্পষ্ট নয়। ভারতের ক্ষেত্রেও দ্বিতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেন মোদি। তিনি বলেন, “আইন এমন ভাষায় লেখা উচিৎ, যাতে দরীদ্র থেকে দরীদ্রতম মানুষও বুঝতে পারেন।” আইনি ভাষা যাতে নাগরিকদের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজ্যকে এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজকে তাদের মাতৃভাষায় আইনের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T-20 World Cup: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি! টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর  আগে কী বললেন রোহিত?

    T-20 World Cup: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি! টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে কী বললেন রোহিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (world cup schedule t20) প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। ওই ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান (india pakistan match)। ২০২১ সালে ভারত-পাক দ্বৈরথে শেষ হাসি হেসেছিল বাবর আজমরা। এবার ভারতীয় দলের উপর যে একটু বাড়তি চাপ থাকবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও চিন্তিত নন ভারত অধিনায়ক। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন শেষ সময়ে নয় ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি করে ফেলেছেন তিনি।

    রোহিত শর্মা বলেছেন,’পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশ ভেবে ফেলেছি। যারা খেলবে তাদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তের জন্য কিছু ফেলে রাখতে চাইছি না। তাই ছেলেদের আগে থেকেই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি যাতে ওরা প্রস্তুত হয়ে নামতে পারে।’রোহিত আরও বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, সেটা আমরা ভালই জানি। তবে সব সময় এই নিয়ে কথা বলি না। এশিয়া কাপের সময়েও অন্য কথা বলে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলাম। আধুনিক ক্রিকেটে সব দলই ভয়ডরহীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের সেই মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রান তুললেই জেতা যেত। এখন ১৪-১৫ ওভারেই সেই রান উঠে যায়।”

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলের প্রথম একাদশ তৈরি করার কথা জানালেও, কারা থাকতে চলেছেন সেই প্রথম একাদশে তা নিয়ে এখনও কিছু খোলাসা করে জানানি টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। তিনি এখন মজে রয়েছেন ফটোশ্যুটে।  কোথায় শত্রুতা! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে যেখানে টানটান উত্তেজনার চোরাস্ত্রোত বয়ে চলে, সেখানে রোহিত শর্মা এবং বাবর আজমের ফটোশ্যুট  অন্য গল্প বলছে। খোশমেজাজে দুই অধিনায়ককে দেখে মনে হচ্ছিল, প্রতিবেশি দুই দেশের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বিজ্ঞাপন করছেন রোহিত-বাবর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফটোশ্যুট ছিল অধিনায়কদের। সেখানে রোহিত এবং বাবরের ছবিতেই পরিষ্কার, যে, রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক জটিলতা এবং টানাপোড়েন, বিদ্বেষের বাইরে বেরিয়ে রোহিত-বাবরদের সম্পর্ক কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর। আর সেটাই যেন আরও একবার প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share