Blog

  • China Covid Horror: দৈনিক মৃত্যু ৫ হাজার! সৎকার করছেন সংক্রমিতরাই! চিনের কোভিড-ছবি প্রকাশ্যে

    China Covid Horror: দৈনিক মৃত্যু ৫ হাজার! সৎকার করছেন সংক্রমিতরাই! চিনের কোভিড-ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China Covid Horror) হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। জিনপিং সরকার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর আসল তথ্য প্রকাশ করছে না বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগে সরব হয়েছে চিনবাসী। সচেতনাও বাড়ছে না। তাই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ অব্যহত। করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর ওপর যেমন চাপ পড়েছে তেমনিই মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে শ্মশানগুলোতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বেজিং, চংকিং ও গুয়াংঝৌ শহরের শ্মশানগুলোয় সারি সারি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। শ্মশানগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে তারা এখন অনেক বেশি ব্যস্ততা। চিনে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। 

    আমেরিকার সংক্রামক রোগ সোসাইটির বিশেষজ্ঞ এবং ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গিজেল স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক ড্যানিয়েল লুসি বলেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে এই সংক্রমণ (China Covid Horror) আরও বহুগুণ বাড়বে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও ভুগতে হবে চিনকে।

    কী পরিস্থিতি চিনে?  

    এই আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে এক ভয়ঙ্কর খবর। শ্মশানে (China Covid Horror) স্তূপাকৃত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সংক্রমিত শ্মশান কর্মীরাও। এমনটাই দাবি করছেন চিনের সমাজকর্মী জেনিফার জেং। ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে শ্মশানের বাইরে স্তূপাকৃত মৃতদেহের ভিড়। সেখানেই তিনি দাবি করেন যে কর্মীরা এই মৃতদেহগুলির সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরাও ইতিমধ্যেই সংক্রমিত।

     

    চিন (China Covid Horror) সংক্রমিত ব্যক্তিদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে কী দেশটি ভাইরাসের সঙ্গে সহাবস্থান করা শিখতে চাইছে? চিন সরকার ২৩ জন সংক্রমিত পড়ুয়াকে জোড় করে কাজ করতে বাধ্য করেছে। এমনই দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    জেং অপর একটি ট্যুইটে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে শেনিয়াং শহরের রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। জেং লেখেন, “শ্মশানে আর মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। তাই কেউ প্রিয়জনের দেহ শ্মশানের বাইরে রাস্তাতেই ফেলে রেখে গিয়েছেন। আর কোনও উপায় ছিল না হয়তো। কত জনের মৃত্যু হল?” 

     

    জেং এমনও ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে। এখনও তথ্য লুকোনোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন প্রশাসন। চিন প্রশাসনের নীতি অনুযায়ী, যারা একমাত্র শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন তাঁদেরকে শুধু করোনায় মৃত্যু হিসেবে ধরা হবে। গোটা দেশের বহু মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু হিসেবে রেজিস্টারই করেনি জিনপিং সরকার।

    আরও পড়ুন: একদিনে আক্রান্ত প্রায় চার কোটি! চিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চিন থেকেই করোনা ভাইরাস (China Covid Horror) মহামারি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৬৬ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এত কিছুর পরও সারাবিশ্ব যখন করোনা রোধে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিন দিচ্ছে এবং করোনাকে মোকাবিলা করতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে চিন দুটি বিষয়কেই এড়িয়ে চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • China Covid: চিনে একদিনে সংক্রমিত পৌনে চার কোটি! ডিসেম্বরে আক্রান্ত প্রায় ২৫ কোটি!

    China Covid: চিনে একদিনে সংক্রমিত পৌনে চার কোটি! ডিসেম্বরে আক্রান্ত প্রায় ২৫ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে আবার ভয় ধরাচ্ছে করোনা (China Covid)। সরকারি রিপোর্টেই অনুমান করা হচ্ছে সে দেশে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। করোনার এই ভয়ঙ্কর আবহে গত বুধবার বৈঠকে বসে চিন ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন। সেখানকার অভ্যন্তরীণ আলোচনা অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৪৮ মিলিয়ন বা প্রায় ২৫ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যা চিনের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। সেই বৈঠকেই একদিনে ৩৭ মিলিয়ন বা ৩.৭ কোটি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এই তথ্য সঠিক হলে, সর্বকালীন সমস্ত রেকর্ড ভাঙতে চলেছে চিন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক দিনে ৪০ লক্ষ মানিষের সংক্রমিত হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। সংক্রমণের পর ও টিকা না নেওয়ায় সে দেশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিনচুয়ান প্রদেশের অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বেজিংয়েও প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি চিনের (China Covid) পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। চিনে ফের ভয়ঙ্কর গতিতে করোনা ছড়াতে শুরু করায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ মিলেছে। দেশে এখনও অবধি চার জনের মধ্যে এর দেখা মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা।

    ২০২০ সালে চিনে লুনার ইয়ারের পর কার্যত রকেট গতিয়ে ছড়িয়েছিল করোনার সংক্রমণ। তার প্রায় ৩ বছর পর, সেই এক পরিস্থিতি। চিনে ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। হাসপাতাল থেকে শ্মশান-সর্বত্র লম্বা লাইন।

    আরও পড়ুন: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক। তাতে আক্রান্ত একজন অত্যন্ত দ্রুত ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিলম্ব না করে ফের জনবহুল অবস্থায় প্রত্যেকের মাস্ক পরা উচিত।

    কতটা সতর্ক ভারত? 

    প্রতিবেশী দেশে করোনার (China Covid) এই অবস্থা দেখে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সকলকে জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছে কেন্দ্র। নতুন ভ্যারিয়েন্টে পুরনো ভ্যাকসিন কার্যকর হবে কি না এখন সেটাই জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর সব রাজ্যকে মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fake School Teacher: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    Fake School Teacher: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের নিয়োগপত্রে চাকরি করছেন আর এক জন। এরকমই চাঞ্চল্যকর (Shocking) ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলায়। মুর্শিদাবাদের DI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্যের নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে সুতির স্কুলে শিক্ষকপদে চাকরি করছেন অনিমেষ তিওয়ারি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে, এবার আর এক অন্যরকম দুর্নীতি। সুতি ১ নম্বর ব্লকের (Suti Block) গোথা এ রহমান স্কুলের ঘটনা। কর্মশিক্ষার (Work Education) শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি (Animesh Tiwari) আসলে ভুয়ো শিক্ষক। মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের (DI) রিপোর্টেই সেই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে (Ashis Tiwari) আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আশিস আবার অনিমেষের বাবা। 

    ভুয়ো নিয়োগ

    কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আসে। এরপরেই এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। আইনজীবী ফিরদৌস সামিম কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই বিস্ফোরক অভিযোগ হলফনামা আকারে আনেন। ২০১৮ সাল থেকে ওই ভুয়ো শিক্ষক চাকরি করছেন, এমনকী নিয়মিত বেতনও তুলছেন! এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি এই মামলায় এসএসসি এবং শিক্ষা পর্ষদের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন। কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে ওই শিক্ষকের স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি না ব্যতিক্রমী দুর্নীতি সেটাই খতিয়ে দেখতে চাই।

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    আদালতের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, ভূগোলের শিক্ষক পদে অরবিন্দ মাইতি নিয়োগপত্র পান বেলডাঙার একটি স্কুলে। তাঁর নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জালিয়াতি করে অনিমেষ তিওয়ারি চাকরি করছেন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এরকমই বিস্ফোরক তথ্য। শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য বলছে ওই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। কিন্তু দেখা যায়,অনিমেষের বিষয়(মেথড সাবজেক্ট) ইতিহাস। তাহলে স্কুল কীভাবে বলছে তিনি কর্মশিক্ষার শিক্ষক? আবার  আরটিআই তথ্য বলছে ‘এসএলএসটি ২০১৬’ পরীক্ষার্থী নয় অনিমেষ। কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের আগের পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে। সেই সময়ে পরীক্ষা দিলে অনিমেষ তিওয়ারি বয়স হয় ১৭ বছর। কারণ তাঁর জন্ম বছর ১৯৯৫। কর্মশিক্ষা শিক্ষক হওয়ার নূন্যতম বয়স ২০ বছর। ২০১২ পরীক্ষা দিলে,১৭ বা ১৮ বছরে কী ভাবে পরীক্ষায় বসলেন অনিমেষ? এই সব দেখেই সন্দেহ হয় আদালতের। আর কেঁচো খুঁড়তেই বেড়িয়ে পড়ে কেউটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। সিআইডির তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার সিআইডির ডিজির হাতে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুনানি ছিল লালন শেখের মৃত্যু মামলার। সেই শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

    বিচারপতি জানতে চান…

    এদিন বিচারপতি জানতে চান, লালনের স্ত্রী, যিনি গুরুতর অভিযোগ করেছেন, তাঁর বয়ান নেওয়া হয়েছে কি? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওঁর মানসিক অবস্থা ভাল নেই, তাই জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এ কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। গত দু দিন ধরে হাইকোর্টে যাচ্ছেন লালনের স্ত্রী। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, মানসিক অবস্থা খারাপ হলে আদালতে আসছেন কীভাবে?  লালনের রহস্য মৃত্যুর পর এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এফআইআরে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বরেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কীভাবে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বর পাওয়া গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। লালনের স্ত্রী দাবি করেছিলেন তিনি ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন। এদিন বিচারপতি জানতে চান, সেই কল রেকর্ড গোয়েন্দারা চেয়েছেন কি না। সেই রেকর্ড চাওয়া হয়নি শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালন শেখের। তার পরেই সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। সেই মামলারই শুনানি হচ্ছিল এদিন। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডি পি সিং বলেন, এফআইআর দেখে স্পষ্ট যে এটা রাজ্য করিয়েছে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অফিসাররা করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, যাঁরা ওই সিবিআই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিআইডির বড় আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। রাজ্য সেই সময় জানায়, দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে ডিআইজি সিআইডিকে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ডিআইজির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজেদের সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই ৯৫২ জনের বিবরণ দিয়েছে এসএসসি। সেই তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও উত্তর না লিখেই পাশ করেছেন অনেকে। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন তাঁরা। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে-স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে,তাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।

    ফের শিরোনামে পরেশ অধিকারী

    নবম-দশমের বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই আবারও শিরোনামে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি করা স্কুল ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে আবারও এক ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলল। বৃহস্পতিবার,এসএসসি ওয়েবসাইটে তালিকা আসতেই শুক্রবার থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক কনিকা বর্মন। অভিযোগ, ওএমআর শিট কারচুপি করে নাম্বার বাড়িয়ে ইংরেজি শিক্ষক হয়েছিলেন কনিকা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, এই মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ভাইরাল ওএমআর শিট

    ইতিমধ্যেই একের পর এক OMR শিট ভাইরাল হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ একটিও গোল ভরাট করেননি আবার কেউ ৫৫টি প্রশ্নেরই উত্তর করেছেন। যদিও প্রায় সব উত্তরই ভুল। তবে সবার প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। কোন জাদুবলে এই ভাবে নম্বর বেড়েছে তা নিয়ে জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কালনা মহারাজা বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষকের ওএমআর শিট একেবারে ফাঁকা। বৃহস্পতিবার তিনি আর স্কুলে আসেননি। ওএমআর-এ দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বর সহ যাবতীয় বিষয়ের সার্কেল ভরাট করা হলেও একটিও প্রশ্নের উত্তরের সার্কেল ভরাট করা হয়নি। ফাঁকা খাতা জমা দিয়ে, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগে তুলে সরব হয়েছেন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরা। আর, সেই অভিযোগ যে সত্য,তা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে বহু প্রতীক্ষিত ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ (Harry & Meghan) নামক ডকুমেন্টরি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। যেটির মাধ্যমে রাজপরিবারের বিভিন্ন অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তবে আজ আলোচনার বিষয়টি হল, ক্যালিফোর্নিয়ার যেই বাড়িটিতে এই ডকুমেন্টরি শ্যুট করা হয়েছে, তা দেখতে অস্বাভাবিক সুন্দর। আর যার সৌন্দর্য নজর কেড়েছে দর্শকদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বাড়িটি বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে। আর এটির দাম রাখা হয়েছে আকাশছোঁয়া। জানা গিয়েছে, এই বাড়িটি এখন ৩৩.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এই বাড়িটিতে কিন্তু প্রিন্স হ্যারি ও মেগান থাকেন না। এই বাড়িটিতে শুধুমাত্র ডকুমেন্টরিই শ্যুট করা হয়েছিল।

    ক্যালিফোর্নিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার (Harry & Meghan) এই বিলাসবহুল বাড়িটির মালিকের নাম মার্ক শুলহফ, যিনি একজন ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে তিনি ১৪.৬ মিলিয়ন ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন। বাড়িটি শুধু সুন্দরই নয়, এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। ২ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এই বাড়িটিতে কি নেই! বাড়িটি প্রাসাদের থেকে কম কিছু নয়। এতে ছটি বেডরুম, সাতটি বাথরুম, একটি জিম, একটি থিয়েটার, একটি বার, একটি গেম রুম, একটি মেডিটেশন রুম এবং একটি পুল রয়েছে। এখানে গ্যারেজের পাশাপাশি একটি জেনারেটর, সৌর শক্তি এবং জলের সেচ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধাও রয়েছে৷ বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য সহ একটি বিশাল বড় ডাইনিং রুমও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজপরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করবেন না প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল! কী এমন হল?

    উল্লেখ্য, ১২,৮০৪ ফুটের বাড়িটি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল ও এটি তৈরি করেছিলেন ডন নল্টি এবং জেএফ ব্রেনান এবং নাতাশা বারাদারন। সান্তা বারবারা ব্রোকারস ও রিস্কিন পার্টনারস গ্রুপের ভিলেজ প্রপার্টিজের রায়ান মালমস্টেন এই প্রাসাদের মত বাড়িটিকে বিক্রির জন্য তালিকাভু্ক্ত করেছে (Harry & Meghan)।

    প্রসঙ্গত, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান (Harry & Meghan) মার্কেল বর্তমানে মন্টেসিটোর একটি বাড়িতে থাকেন। এটি ২০২০ সালে তৈরি করতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার লেগেছিল।

  • Parliament Winter Session: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কেন জানেন?

    Parliament Winter Session: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাচ্ছে সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ- লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন (Parliament Winter Session)। আজ, শুক্রবারই চলতি শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। চলতি মাসের ৭ তারিখে শুরু হয়েছিল অধিবেশন। শেষ হচ্ছে শুক্রবার। লোকসভা ও রাজ্যসভার সিডিউল তৈরি করে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি। সূত্রের খবর, এই কমিটিই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাক সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    শীতকালীন অধিবেশন…

    প্রথমে ঠিক ছিল, ৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশন চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, নববর্ষ ও তার আগে বড়দিন উপলক্ষে আগেভাগেই স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও গোয়ার বহু বিরোধী সাংসদ রয়েছেন, যাঁদের রাজ্যে অন্যতম প্রধান উৎসব ক্রিসমাস। এঁরা ক্রিসমাস ও নববর্ষ উপলক্ষে শীতকালীন অধিবেশন তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। তাঁদের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বড়দিনের আগেই অধিবেশন শেষ করা হতে পারে বলে আগেই খবর ছিল। সেই মতো এদিন স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন।

    আরও পড়ুন: ‘বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হও…’, ছেলেমেয়েদের উপদেশ দিয়ে বিতর্কে আরজেডি নেতা

    অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরুর দিন সংসদীয় কাজকর্ম যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে সেজন্য বিরোধীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু অধিবেশনের  প্রথম দিন থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও তাওয়াং ইস্যুতে বারবার উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সরকার পক্ষ ও বিরোধী দলের বাক-বিতণ্ডার জেরে মাঝে মধ্যেই মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল শীতকালীন অধিবেশন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গের বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করেও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সব মিলিয়ে চলতি অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে নানা ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদের দুই কক্ষই। চলতি অধিবেশনের শেষ দিনে তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনা ও চিনা ফৌজের সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবিও জানান বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bharat Biotech: আজ থেকেই কোউইন অ্যাপে মিলবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিন

    Bharat Biotech: আজ থেকেই কোউইন অ্যাপে মিলবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার আতঙ্ক ফের মাথা চাড়া দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ চিনে। ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে দেশে ইতিমধ্যেই। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে দেশ। এ দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৎপর কেন্দ্র। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে। শুক্রবার থেকেই কেন্দ্র সরকারের কোভিড সংক্রান্ত অ্যাপ কোউইনে পাওয়া যাবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন। কোউইন থেকে ভ্যাকসিন বুক করা গেলেও, তা সংগ্রহ করতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন। বুস্টার ডোজ ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। জানা গিয়েছে, কোভ্যাকসিন বা কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন যাঁরা আগে নিয়েছেন, তাঁরাই এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। 

    কী জানা গিয়েছে?

    এই ভ্যাকসিনকে যুক্ত করা হয়েছে কোউইন অ্যাপের সঙ্গে।  শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। আগেই ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল এই ভ্যাকসিনকে। বিশ্বের প্রথম ন্যাজাল ভ্যাকসিন হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেকের ‘ইনকোভ্যাক’।

    আজ থেকেই কোইউন অ্যাপের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন (Bharat Biotech) নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন সবাই। আজ, শুক্রবার থেকেই সরকারিভাবে করোনা টিকা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিনকে। আজ সন্ধ্যা থেকে কোউইন অ্যাপে এই অপশন চলে আসবে।  

    আরও পড়ুন: চিনে আগামী এক সপ্তাহে শিখরে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    এই টিকায় কোনও রকম সূঁচ ব্যবহার করা হবে না। ভারতে প্রথমবার এই ধরনের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। ভারত সরকারের নিয়ম অনুসারে ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা এই টিকা নিতে পারবেন। প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া শুরু হলেও পরে সরকারি হাসপাতালেও পাওয়া যাবে এই টিকা। এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জানা গিয়েছে ভারত বায়োটেক এই নয়া ভ্যাকসিন (Bharat Biotech) তৈরি করেছে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিন নেওয়া সহজ হলেও, অন্যান্যভ্যাকসিনের মতো একই রকম সুরক্ষা মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ নিয়ে তথ্য গোপন করছে চিন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা থেকে শুরু করে মৃত্যুর হার কোনও তথ্যই সঠিকভাবে দিতে পারছে না চিন সরকার। এমনই তথ্য উঠে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু-এর রিপোর্টে। চিনকে সরাসরি দায়ী না করে বলা হয়েছে, চিনে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, তাই হিসাব রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। চিনের তথ্য গোপন করার চেষ্টাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশ।

    তথ্য আড়ালের চেষ্টা

    বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিকিৎসক মাইকেল রায়ান বলেন, “ইতিমধ্যেই চিনের হাসপাতালগুলির সমস্ত বেড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। খালি নেই আইসিইউ-ও। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যার নিরিখে বেশি রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ হাসপাতালের ওয়ার্ডেই গাদাগাদি করে সংক্রমিতদের রাখা হচ্ছে। এমনকী হাসপাতালের করিডোরেও রাখা হচ্ছে কোভিড রোগীদের। এতে সংক্রমণ কমার বদলে উলটে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আইসিইউ-তে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় দেখা দিতে পারে অক্সিজেন সংকটও।” 

    আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    বর্ষশেষে হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রনের অতি শক্তিশালী সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7 Sub Variant)। আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। সংক্রমণ রুখতে চিনে যাতে টিকাকরণের হার বাড়ায়, তা নিয়ে অনুরোধ জানান হু প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস। তিনি বলেন, “চিনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। চিনে আক্রান্তদের স্বার্থে আমরা ক্লিনিক্যাল কেয়ার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য সমর্থন ও সহায়তা জারি রাখব।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ারে কতজন ভর্তি রয়েছেন তা বিশদে জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Woman Fighter Pilot: যোগীরাজ্যে দৃষ্টান্ত! দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

    Woman Fighter Pilot: যোগীরাজ্যে দৃষ্টান্ত! দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যোগীরাজ্যের মুসলিম তরুণী! উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এই তরুণীই এবার বসবেন যুদ্ধ বিমানের চালকের (Woman Fighter Pilot) আসনে। নিজের অজান্তেই একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza) নামের ওই তরুণী। তিনি দেশের প্রথম মুসলিম (Muslim) মহিলা যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। অন্য একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন তিনি। সেটি হল, তিনিই রাজ্যের প্রথম মহিলা যিনি নিযুক্ত হয়েছেন ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের (IAF) পাইলট হিসেবে।

    সানিয়া মির্জা…

    উত্তর প্রদেশের দেহাত কোতোয়ালি থানার যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। বাবা পেশায় টিভি মেকানিক। এনডিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি।  তাঁর এই সম্মানে গর্বিত গোটা মির্জাপুর। দেশকেও গর্বিত করেছেন তিনি। সানিয়া মির্জার পড়াশোনা হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে। তিনি বলেন, হিন্দি মিডিয়ামের পড়ুয়ারাও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন, যদি তাঁরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। জানা গিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর পুনেতে এনডিএ খাদাকওয়াসলায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। সানিয়ার সাফল্যে খুশি তাঁর মহল্লা। গর্বিত তাঁর স্কুলের শিক্ষকরাও। অভিভাবকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাঁকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করছেন।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সানিয়ার (Woman Fighter Pilot) বাবা সাঈদ আলি বলেন, সানিয়া মির্জা দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তার রোল মডেল মনে করে। ছোট থেকেই সানিয়া তাঁর মতো হতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সানিয়া দেশের দ্বিতীয় মহিলা যিনি ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ের সাফল্যে গর্বের শেষ নেই সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জারও। তিনি বলেন, আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

    জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির ২০২২ সালের পরীক্ষায় পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০টি আসন ছিল। মহিলাদের জন্য ছিল ১৯টি আসন। ফাইটার পাইলটদের জন্য সংরক্ষিত ছিল দুটি আসন। এই দুটি আসনের একটি ছিনিয়ে নিয়েছেন সানিয়া। তিনি বলেন, আমি প্রথম চেষ্টায় একটি আসন দখল করতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করে আমি একটি জায়গা পেয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share