Blog

  • Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    Kanpur Road Accidents: ভয়াবহ জোড়া গাড়ি দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে, নিহত কমপক্ষে ৩১, শোকপ্রকাশ মোদি – যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব কম সময়ের ব্যবধানে উত্তর প্রদেশে (Uttarpradesh) ঘটে গেল একের পর এক পথ দুর্ঘটনা। দুটি ঘটনাই শনিবার মধ্যরাতে কানপুরে ঘটেছে। জোড়া দুর্ঘটনায় কানপুরে নিহত কমপক্ষে ৩১ (Kanpur Accidents)। গুরুতর আহত ২৭ জন। প্রথমের দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থী বোঝাই একটি গাড়ি পুকুরে উল্টে যায়। আর সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভয়াবহ ছবি সামনে এসেছে। আর দ্বিতীয় দুর্ঘটনায় দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোয় ধাক্কা মারে। প্রথমের ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে মৃত ২৬ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা এবং শিশু রয়েছে বলে খবর। আর দ্বিতীয় ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাক্টর-ট্রলিতে মোট ৫০ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। তাঁরা উন্নাও-এর চন্দ্রিকা দেবী মন্দির থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় কানপুরের ঘটামপুর এলাকায় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রাস্তায় পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি এবং পড়ে যায় পাশের পুকুরে। শনিবার সন্ধ্যায় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপরেই প্রায় ১১ জন শিশু-সহ ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৬। গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বহু গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে নামেন। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। ফলে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    আবার অন্য দিকে, দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে এর কয়েক ঘণ্টা পরেই। আহিরওয়ান উড়ালপুলের কাছে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি লরি সজোরে একটি টেম্পোকে ধাক্কা মারে। এতে ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    একের পর এক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মৃতদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। নিজের সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী রাকেশ সাচান এবং অজিত পালকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সবকরকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার বন্ধ করতেও সকলকে অনুরোধ করেছেন যোগী। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কৃষিকাজেই ট্র্যাক্টর ট্রলির ব্যবহার করা উচিত।

  • National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    National emblem: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল ভিস্তার জাতীয় প্রতীক সংশোধন করার আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত।  সেন্ট্রাল ভিস্তা ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীকের নয়া স্থাপত্যে যে সিংহগুলি রয়েছে, সেগুলি “হিংস্র এবং আগ্রাসী” বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী আলদানিশ রাইন এবং রমেশ কুমার মিশ্র। কিন্তু শুক্রবার এ প্রসঙ্গে অ্যাপেক্স কোর্টে বিচারপতি এমআর শাহ এবং কৃষ্ণ মূর্তির এক বেঞ্চ বলেছে, “ব্যক্তিবিশেষের মনের উপর নির্ভর করছে প্রতীকটি তাঁর মনে কী ছাপ ফেলবে। প্রতীকটি আইন লঙ্ঘন করেছে, তা বলা যাবে না।” 

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    গত ১২ জুলাই নতুন অশোক স্তম্ভের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ব্রোঞ্জের তৈরি এই অশোক স্তম্ভ বসানো ঘিরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা । উদ্বোধনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধীরা ৷ বলা হয়েছিল, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক শান্ত। তবে নতুন সংসদ ভবনের উপর থাকা অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি হিংস্র। এই আবহে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই অভিমত ব্যক্ত করে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    প্রসঙ্গত, নতুন এই জাতীয় প্রতীক সম্পর্কে সব অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল, জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেই এই নয়া স্থাপত্যটি তৈরি করা হয়েছে। আয়তনে নয়া স্থাপত্যটি অনেক বড় বলেই, সিংহগুলিকে আগ্রাসী বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছিল সরকার। সংসদ ভবনের মাথার উপর বসতে চলা নয়া অশোক স্তম্ভটি গড়েছেন সুনীল দেওয়া ও রোমিল মোসেস। তাঁদের দাবি, মূল স্তম্ভ থেকে কোথাও আলাদা নয় নয়া স্তম্ভের আকৃতি। এদিন সেই দাবিকেই মান্যতা দিল আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    Durga Puja: এই রাজাই বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন! জানেন তিনি কে?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: প্রতিবছর ধুমধাম করে সাড়ম্বরে পালিত হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja)। শরৎ কালের শিউলি ফুলের গন্ধ বাতাসে বার্তা ভাসিয়ে দেয় মা আসছে। পুজো মানে নতুন পোশাক, পুজো মানে নাড়কেলের তৈরী নাড়ু, প্রতিমা দর্শন, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি, খাওয়াদাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা। বছরের বাকি ৩৬১টা দিন বাঙালিরা অপেক্ষা করে থাকে পুজোর চারটে দিনের জন্য। দেশ বিদেশের আপামর বাঙালির এই প্রধান উৎসব আজ স্থান পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ লিস্টে (Unesco)। তবে জানেন কি বাংলাতে এই দুর্গাপুজো কে শুরু করেছিলেন ?

    পুরাণ মতে, বলিপুরের  রাজা সুরথ বাংলাতে প্রথম দুর্গাপুজোর শুরু করেন। বলিপুর মানে বর্তমানে বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কথাই বলা হয়েছে , পুরাণে। এই বলিপুর বা বোলপুর ছিল রাজা সুরথের রাজধানী‌‌। মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মর্ত্যলোকের এই  রাজা মর্ত্যবাসীদের মধ্যে দেবী মাহাত্ম্য তথা দেবীর লীলা  প্রচার করেছিলেন। তিনিই ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর প্রথম উদ্যোক্তা এবং প্রথম সংগঠক। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে, কেন রাজা সুরথ দুর্গা পুজো শুরু করেন? এবং কোথায় শুরু করেন ? 

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কন্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথ কে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের । ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া ছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সাথে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির। এই মেধস মুনির আশ্রম অবশ্য প্রকৃত পক্ষে কোথায়, সেটা নিয়ে বিভিন্ন পন্ডিতের বিভিন্ন মত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী?

    একটি মত অনুযায়ী, মেধস মুনির আশ্রম বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হলো এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম । প্রতিবছর দুর্গাপুজো তে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেক গুলি মন্দির রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রম কে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের অন্যতম বড়ো এই তীর্থস্থান থেকেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। অপর একটি মত অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শহরের কাছে গড় জঙ্গল নামক স্থানে ছিল মেধস মুনির আশ্রম‌। আশ্রমের অবস্থান নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে দ্বিমত আছে তবে এই মেধস মুনির আশ্রমেই যে দুর্গা পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল এতে পন্ডিত থেকে ঐতিহাসিক সকলেই একমত।

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

  • Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেকোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনো পুজো হয় না। ঘট বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো, যে দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হলো আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে , জেনে নেওয়া যাক ঘট এর প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল৷ এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসাবে এবং  নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সাথে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষ কে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরী করেছিলেন বিশ্বকর্মা । সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ির অর্থ হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক । এককথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশষ্য । এগুলি হলো, মানুষের পাঁচটা বৃত্তি- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য এর প্রতীক। ঘটের ভেতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর উপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘট কে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়, তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয় সবটাই ঘট’ এ রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হলো এখানে  দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায়না যখন ঘটের উপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হলো মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় ” মুখমন্ডল ” এর প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন ঘটে স্বয়ং দেব দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যেকোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচারগুলো –

    ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি, গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পন্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে, পবিত্র কোন পুকুরের মাটি লাগে।

    ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা। পাতা গুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    পন্ডিতদের মতে তেল ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের উপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের উপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা।

    চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠি গুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা।

  • 5G Services: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    5G Services: দেশজুড়ে ফাইভ জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, জেনে নিন এই বিষয়ে কিছু তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার সকালে দেশে ফাইভ জি (5G services) পরিষেবা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সেই সঙ্গে দেশে চালু হয়ে গেল অত্যাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি পরিষেবা। মোবাইল ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে ফাইভ জি। দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২’-এ ফাইভ জি পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মোদি৷ দীপাবলির আগে কলকাতা সহ দেশের বেশ কিছু শহরে ফাইভ জি পরিষেবা মিলবে। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই খুশির খবর! ১ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi Launches 5G Service: ২০৪০ সালের মধ্যে ফাইভ জি প্রযুক্তি বাবদ ভারতের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ফোর জি নেটওয়ার্কের থেকে এই ফাইভ জি অন্তত ১০ গুণ বেশি গতিশীল হবে বলে দাবি। সম্প্রতি ফাইভ জি স্পেকট্রাম নিলাম হয় ৷ সেই নিলামে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৫১ হাজার ২৩৬ মেগাহার্টজ ফাইভ জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হয়। চলতি বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফাইভ জি পরিষেবা চালু করার ঘোষণা করেছিলেন৷ ইতিমধ্যেই এয়ারটেল,রিলায়েন্স জিও ফাইভ জি মোবাইল প্ল্যান আনার কথা ঘোষণা করেছে ৷ জিএসএমএ রিপোর্টে, ২০৩০-এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ৫জি সংযোগ দেশে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কম হয়ে যাবে ২জি এবং ৩জি পরিষেবা।

    Modi Launches 5G Service: ১ অক্টোবর সকাল ১০টায় দিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০:৪৫ মিনিটে ফাইভ জি- র উদ্বোধন করেন তিনি। তারপরেই সেখানে ৪ দিনের ষষ্ঠ মোবাইল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এবছরের মোবাইল কংগ্রেসের থিম হল নিউ ডিজিটাল ইউনিভার্স। দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার এবং সেক্ষেত্রে সুযোগ নিয়ে প্রদর্শনী এবং আলোচনায় অংশ নেবেন উদ্যোগপতি, উদ্ভাবক এবং সরকারি আধিকারিকরা। ফাইভ জি প্রযুক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানি, এয়ারটেলের সুনীল মিত্তাল, ভোডাফোন-আইডিয়ার রবিন্দর টক্করের মতা দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। 

    Modi Launches 5G Service: কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গায় তাঁরা এই ৫জি পরিষেবাকে ছড়িয়ে দিতে চান খুব কম সময়ের মধ্যেই। তার কথা ভেবেই এই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বলেও খবর। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর আরও দাবি, অন্যান্য দেশ যেখানে ৪০-৫০ শতাংশ জায়গায় পরিষেবা দিতে বহু বছর লাগিয়েছে। সেখানে ভারত অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ জায়গায় পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

    মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ পরবর্তী ১৮ মাসের কম সময়ে ভারতের প্রতিটি শহর এবং তালুকে ৫ জি পরিষেবা পৌঁছে দেবে জিও।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।         

  • Durga puja 2022: মহাষ্টমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা পার্বতীর মহাগৌরী রূপের কাহিনী

    Durga puja 2022: মহাষ্টমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা পার্বতীর মহাগৌরী রূপের কাহিনী

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়:  সারাদেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি (Navratri), চলছে বাঙালির সবথেকে বড়ো উৎসব দুর্গাপূজা (Durga puja)। নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী। দেবী মহাগৌরী চতুর্ভূজা।  উপরের ডান হাতে রয়েছে ত্রিশূল এবং উপরের বাম হাতে একটি ডমরু ।  নীচের হাত দুটি অভয়া এবং বরামুদ্রার ভঙ্গিমায় থাকে। মাতা মহাগৌরীর এই রূপে দেবীর বাহন হল একটি ষাঁড়। দুর্গার এই রূপটিকে তাঁর গাত্র বর্ণের কারণে মহাগৌরী বলা হয়। পৌরাণিক মত অনুযায়ী,  দেবী শৈলপুত্রী (নবরাত্রির প্রথম দিনে এই মাতা পূজিতা হন) ১৬ বছর বয়সে অসামান্য সুন্দরী এবং গৌরবর্ণা  ছিলেন। এর ফলে তিনি দেবী মহাগৌরী হিসেবে পরিচিত হন। তাঁকে শঙ্খ, চাঁদ এবং সাদা ফুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। স্নিগ্ধতা, শুভ্রতার প্রতীক মানা হয় তাঁকে। আরেকটি পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী,  কালী রূপে মাতা পার্বতীর গাত্রবর্ণ সম্পূর্ণ কৃষ্ণ বর্ণে পরিবর্তিত হয়েছিল। নিজের পূর্ববর্তী বর্ণ ফিরে পেতে মাতা পার্বতী ব্রহ্মার তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন‌।একাকী গভীর অরণ্য মাঝে , রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, হি‌ংস্র জন্তুদের আক্রমণ – এসমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই মাতা পার্বতী তপস্যা করছিলেন। অবশেষে ব্রহ্মা প্রসন্ন হয়ে আবির্ভূত হন এবং মাতা পার্বতী কে বরদান করেন যে মানস সরোবরে স্নান করলেই তিনি পূর্বের বর্ণ ফিরে পাবেন।  ব্রহ্মার কথামতো মানস সরোবরে স্নান করার পরেই মাতা পার্বতী তাঁর নিজের পূর্বের গাত্রবর্ণ ফিরে পান, অর্থাৎ পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে যান  এই গৌরবর্ণা মাতা পার্বতী তখন মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধ হন। অন্য একটি পুরাণ অনুযায়ী, হিমায়লকন্যা মাতা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা। 

    শিবকে স্বামী রূপে , পতি রূপে পাওয়ার জন্য মহর্ষি নারদের পরামর্শ মতো তিনি গভীর তপস্যা শুরু করেন। গভীর অরণ্যে, সমস্ত আরাম, সুখ ত্যাগ করে ব্যাপক কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে এই তপস্যা চলতে থাকলো বছরের পর বছর ধরে। সূর্যের তাপ, শীতের হিমেল হাওয়া , বৃষ্টি  এবং ব্যাপক ঝড়ের মধ্যেও তপস্যায় ছেদ পড়লো না। কথিত আছে এইসময় মাতার সমস্ত অঙ্গ ধূলিকণা, মাটি, গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা পড়ে গেছিল। গৌরবর্ণা মাতার সমস্ত শরীরের উপর একটি কৃষ্ণ বর্ণের আস্তরণ বা  ত্বক তৈরি হয়ে গেছিল। অবশেষে,  ভগবান শিব দেবীর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে মাতা পার্বতীর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মাতা কে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাঁকেই( ভগবান শিবকে) মাতা পার্বতী স্বামী রূপে ,পতি রূপে  লাভ করবেন। এরপর গঙ্গার পবিত্র জলরাশির দ্বারা ভগবান শিব, মাতা পার্বতী কে স্নান করিয়েছিলেন। তপস্যারত  অবস্থায় মাতার শরীরে যে ময়লার আবরণ তৈরী হয়েছিল, যার জন্য মাতা গৌরবর্ণা থেকে কৃষ্ণ বর্ণা হয়ে গেছিলেন। মহাদেব শিব তাঁকে স্নান করানোর পর মাতা পূর্বের মতো পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। গৌরবর্ণা এই মাতাই মহাগৌরী নামে পরিচিত। যিনি নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন।

    মাতা মহাগৌরী বিষয়ে আরও কথিত রয়েছে যে, একদিন দেবী, গৌরী রূপে আটবছরের  বালিকা সেজে শিবের সামনে নৃত্য করে তাঁকে আনন্দিত করছিলেন এরপরে শিব তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে দেবী পার্বতী নিজের রূপ প্রকাশ করেন।
    শ্বেত বৃষ সমারূঢ়া শ্বেতাম্বর ধরা শুচিঃ,
    মহাগৌরী শুভং দধান্মহোদৈ ব প্রমোদ্দা ।

    যা দেবী সর্বভূতেষু মা মহাগৌরী রূপেন সংস্থিতা।
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥
     – এই বৈদিক মন্ত্রের দ্বারাই মূলত মাতা মহাগৌরীর বন্দনা করা হয়‌ মহাষ্টমীর দিনে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মাতা সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেন এবং তাঁর আশীর্বাদে জীবন সম্পূর্ণভাবে সুখময় ও প্রেমময় হয়ে ওঠে। উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    সিঁদুর, মেহেন্দি, কাজল, টিপ, চুড়ি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আলতা, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, নেকলেস, লাল চুনরি, মহাভার, চুলের পিন ইত্যাদি দ্বারা মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। সবজির তরকারি এবং হালুয়া দিয়ে মাতা মহাগৌরীকে  ভোগ নিবেদন করা হয়।

  • Xiaomi: চিনা সংস্থা ‘শাওমি’-র ৫, ৫৫১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল ‘ফেমা’

    Xiaomi: চিনা সংস্থা ‘শাওমি’-র ৫, ৫৫১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিল ‘ফেমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডির (ED) নজরে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমি (Xiaomi)। গত এপ্রিল মাসেই বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ভারতে সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৫৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ গত কয়েক মাস আগে থেকেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ফলে এবারে এই সংস্থার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই পদক্ষেপকেই সম্মতি দিল ‘ফেমা’ (FEMA)।

    গত আট বছর ধরে ভারতের মোবাইল বাজারে বড় প্রভাব রয়েছে চিনা সংস্থা শাওমির (Xiaomi)। ২০১৪ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল এই চিনা সংস্থাটি। খুব কম সময়ের মধ্যেই এই সংস্থাটি ভারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে ইডি সূত্রে জানা যায়, প্রথম তিন বছরের তুলনায় পরের তিন বছরে ভারতের বাজারে তার ২০০ শতাংশ ব্যবসা বাড়িয়েছিল শাওমি (Xiaomi)। এরপরেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে ২৭ এপ্রিল লঞ্চ হতে চলেছে শাওমি ১২ প্রো

    আজ ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অথরিটি (FEMA)-র তরফে জানানো হয়েছে, শাওমির টাকা বাজেয়াপ্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। ওই সংস্থা যে সত্যিই আইনের বিরুদ্ধ চিনে টাকা পাঠিয়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম নির্দেশ করে এই ফেমা। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চিনা সংস্থা শাওমি ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। অর্থাৎ এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, আইন লঙ্ঘন করে চিনে টাকা পাঠিয়েছে এই সংস্থা। ফলে সংস্থার ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

    এছাড়াও ইডি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, রয়্যালটির নাম করে ওই টাকা বিদেশে পাঠানো হত। শুধু তাই নয়, বিদেশে টাকা পাঠানোর সময় ওই সংস্থা ব্যাংকেও ভুল তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। যে পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা দেশের মধ্যে সর্বাধিক ইডি দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল শাওমি সংস্থা। কিন্তু হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর আজ ইডির পদক্ষেপকে মান্যতাও দিল ফেমা।

  • BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    BJP Durga Puja: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালে সল্টলেকের EZCC-তে দুর্গা পূজা শুরু করে বঙ্গ বিজেপি (BJP West Bengal))। প্রবল উৎসাহের সঙ্গে শুরু হয়েছে এই পূজা (Durga Puja 2022)। এবছরও রাজ্যের বিরোধী দল পিছিয়ে নেই। রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে কলকাতায় দলীয় পুজো জাঁকজমকভাবেই করা হচ্ছে। তবে এবারে বিজেপির এই পুজোর এক চমক রয়েছে, কারণ এবারের তাঁদের পুজোর পুরোহিত হলেন, এক মহিলা। অর্থাৎ এবার এক নারীশক্তির আবাহন করবেন অন্য এক নারী। তাঁর নাম সুলতা মণ্ডল (Sulata Mondal)।

    তবে কে এই সুলতা মণ্ডল? জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছাত্রী সুলতা মণ্ডল এবং তিনি সুকান্ত মজুমদারের জেলার মেয়ে। জানা গিয়েছে সুকান্ত যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, সুলতা সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। সুলতা পেশাদার মহিলা পুরোহিত। ‘অব্রাহ্মণ’ সুলতা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বাতাসকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বয়স মাত্র ২৮। তবে এই বয়সে শাস্ত্রজ্ঞানে পারদর্শী মণ্ডল পরিবারের একমাত্র কন্যা। চণ্ডীপাঠেও একইভাবে দক্ষ সুলতা। আর এবার তাঁর হাতেই হবে বিজেপির ‘ দূ্র্গতিনাশিনী’র আবাহন। সুকান্ত বোটানির শিক্ষক হলেও বাংলার বিভাগের ছাত্রী সুলতা তাঁকে সুকান্তস্যার হিসাবেই চেনেন। সেই সুলতাই এবার পুজোর এক বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলে এবারের পুজোর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়ই হল, এই প্রথমবার এখানে পুজো করবেন মহিলা পুরোহিত। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করলেন সুকান্ত মজুমদার, দেখুন ছবি.

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার রাজ্য সভাপতি আগেই ঠিক করেছিলেন, কোনও মহিলা পুরোহিতই দলের হয়ে উমার আরাধনায় যোগ দেবেন। আর দলের পক্ষেও ঠিক হয়েছে, সুকান্তের সেই ছাত্রী সুলতাই হবেন পুরোহিত।

    আজ মহাষষ্ঠী, আর এরই মধ্যে পুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক ছিল উদ্বোধনে আসবেন অমিত শাহ কিংবা মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই আদ পুজোর উদ্বোধন করেন। এনাকে আজ ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এবারের বিজেপির দুর্গাপুজোর থিম ‘দুর্গতিনাশিনী দশভূজা’। এই থিমে রাজ্যের দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

  • Durga Puja: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী? 

    Durga Puja: মহা ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী! জানেন ঋষি কাত্যায়ন কন্যার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠার কাহিনী? 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্য ঘেরা এক ঋষির আশ্রম। কাত্য গোত্র ধারী ঐ ঋষির নাম কাত্যায়ন। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে-  “যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন”। বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গ রাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের কাছে। মহর্ষি কাত্যায়ন এর আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয়  অষ্টাদশ ভূজা এক নারী মূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী।  নবরাত্রির মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শন চক্র,অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তীরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী গেলেন মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দুইজন চর দেবীকে দেখে ,মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ  মহিষাসুর,দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, তাঁকে লাভ করার পূর্বে , যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে। শুরু হলো মহিষাসুরের সাথে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের উপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যহ মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী , দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশ্যে পুষ্প বৃষ্টি করেন। রম্ভা পুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    বামন পুরাণে উল্লেখিত এই আখ্যান বরাহ পুরাণ এবং দেবী ভাগবত পুরাণেও একইভাবে উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে কালিকা পুরাণ অনুযায়ী ,দেবী কাত্যায়নী তিনবার মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আদি সৃষ্টি কল্পে অষ্টাদশভূজা উগ্রচণ্ডী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টি কল্পে ষোড়শভুজা ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। আবার তৃতীয় সৃষ্টি কল্পে দশভূজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহিষাসুর তৃতীয়বার বধ হওয়ার পর দেবীর আশীর্বাদে তিনি চিরতরে দেবীর পদতলে স্থান পান।

    বেদের অন্য একটি আখ্যান অনুযায়ী, কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী ছিলেন শতপথ ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি যাজ্ঞবল্ক্যের দুই স্ত্রীর নাম। শাক্তরা মনে করেন, মাতা কাত্যায়নী যোদ্ধা দেবী ঠিক মাতা চন্ডী বা ভদ্রকালীর মতোই। মহর্ষি পতঞ্জলি রচিত ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে মাতা কাত্যায়নীকে সৃষ্টির আদি শক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জানুন মাতা কুষ্মান্ডার কাহিনী, মহাচতুর্থীর দিন আরাধিতা হন দেবী

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কন্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্যে’ মাতা কাত্যায়নীর দিব্য লীলার বর্ণনা রয়েছে, এর সাথে সাথে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর  পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রী কৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করতো। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলতো। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরী করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তি তে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    তন্ত্রে বর্ণিত ধ্যানমন্ত্রে মাতা কাত্যায়নীকে দশভূজা মহিষাসুরমর্দিনীর রূপেই বর্ণনা করা হয়েছে:
    সব্যপাদসরোজেনালঙ্কৃতোরুমৃগাধিপাম্।
    বামপাদাগ্রদলিতমহিষাসুরনির্ভরাম্।।
    সুপ্রসন্নাং সুবদনাং চারুনেত্রত্রয়ান্বিতাম্।
    হারনূপুরকেয়ূরজটামুকুটমণ্ডিতাম্।
    বিচিত্রপট্টবাসামর্ধচন্দ্রবিভূষিতাম্।।
    খড়্গখেটকবজ্রাণি ত্রিশূলং বিশিখং তথা।
    ধারয়ন্তীং ধনুঃ পাশং শঙ্খং ঘণ্টাং সরোরুহাম্।
    বাহুভির্ললিতৈর্দেবীং কোটিচন্দ্রসমপ্রভাম্।।

    মাতা কাত্যায়নীর এই স্বরূপ শৌর্য ,তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধা বিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে মায়ের উদ্দেশ্যে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন ‌।

  • Pakistan Supports PFI: নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    Pakistan Supports PFI: নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি কার্যকলাপের জন্য পাঁচ বছরের জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র (Centre Banned PFI)।  পিএফআইয়ের সমস্ত সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অবিলম্বেই কার্যকরী হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সরকার। বরাবরই এই সংগঠন পাকিস্তানের বিস্তর সমর্থন পেয়ে এসেছে (Pakistan Supports PFI)। এমনকি এই সংগঠনের কর্মীদের ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতেও শোনা যায়। এই সংগঠনকে যে পাকিস্তান হাওয়া দিচ্ছে সেই সন্দেহ আগে থেকেই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পিএফআই- এর ট্যুইটে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো হল ভ্যাঙ্কুবারের পাকিস্তানি দূতাবাসের (Pakistan Embassy) অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে। পিএফআই- এর ট্যুইটের কমেন্টবক্সে গিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে ট্যাগ করল পাকিস্তানের দূতাবাস। এমনই স্ক্রিন শট এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার যত্র-তত্র।  

    আরও পড়ুন: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই? 



     
    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জনসমক্ষে পিএফআই ও সহযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরলেও সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে উগ্রপন্থার বীজ বপন করে আসছে। যা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করা এবং দেশের সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ ও সাংবিধানিক কাঠামোকে চূড়ান্ত অবহেলা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি কাজকর্ম আইনের তিন নম্বর ধারার এক উপচ্ছেদের আওতায় যে ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।”  

    এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পরে, পিএফআই নেতারা বুধবার তাঁদের সংগঠনটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো অন্যান্য সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএফআই-কে। সেই সঙ্গে এই দলের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পিএফআই- এর সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘সিমি’- এর নেতাদের যোগ পেয়ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে বিষয়ে তদন্ত জারি আছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share