Blog

  • Loki Season 2: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    Loki Season 2: হটস্টারে ফিরছে রহস্যময় ‘লোকি’, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নর্স পুরাণের পথভ্রষ্ট এক চরিত্র লোকি। তিনি দেবতাদের পক্ষেও ছিলেন না, আবার বিপক্ষেও না। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজা হওয়া! এই চরিত্রের সঙ্গে রুপোলী পর্দায় আমাদের প্রথম আলাপ হয়, থর সিনেমার হাত ধরে। তারপর অ্যাভেঞ্জার সিরিজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই চরিত্রটি। ভক্তদের আবদারে মার্ভেল স্টুডিও (Marvel Studio) লোকিকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র নিয়ে আসে গত বছর। ব্যাপক প্রশংসিত হয় সেই সিরিজ। আবার ফিরছে লোকি ডিজনি+হটস্টারে। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। ২০২৩- এই মুক্তি পাবে বহু প্রতীক্ষিত ‘লোকি সিজন ২’ (Loki season 2)।     

    আরও পড়ুন: নাচ ও অ্যাকশন করা নিষেধ ছিল হৃত্বিকের! ‘বিক্রম বেদা’ ছবির গান মুক্তিতে শোনালেন তাঁর জীবনের এক অজানা কথা

    লোকির ভূমিকায় ফের দেখা যাবে টম হিডলস্টোনকে (Tom Hiddleston)। এই সিজনে ফিরবেন ওয়েন উইলসন (Owen Wilson), সোফিয়া ডি মার্টিনোও (Sophia Di Martino)। সিলভির ভূমিকায় ফিরছেন সোফিয়া ডি মার্টিনো। কিন্তু তাঁর চরিত্র এই সিরিজে কতটা গুরুত্ব পাবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এওটি সাক্ষাৎকারে টম হিডলস্টোন জানিয়েছেন লোকি- র সব চরিত্ররাই ফিরবে এই সিজনে। সোফিয়া ডি মার্টিনো গত বছর জানিয়েছিলেন, তিনি সিরিজের বিষয়ও তখনও কিছু জানতেন না। তবে সিলিভি চরিত্রেই ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।   

    আরও পড়ুন: আজই ২০০ কোটির গন্ডি পার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর! ভেঙে গেল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর রেকর্ডও

    সিজন ২- র গল্প কী হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে দর্শকদের কিছুটা আভাস দিয়েছে টম হিডলস্টোন এবং ওয়েন উইলসন। তাঁরা জানান, আগের সিজনের গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু হবে এই সিজনের গল্প। 

    মুন নাইটের আরন মুরহেড এবং জাস্টিন বেনসন এবার লোকি সিজন ২- এর কয়েকটি এপিসোডে নির্দেশনা দেবেন। গল্প লিখেছেন এরিক মার্টিন। এর আগের এপিসোডগুলিও তিনিই লিখেছিলেন। 

    এখনও লোকি সিজন ২ তৈরির কাজ জারি রয়েছে। ট্রেলরের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। তার আগেই মার্ভেল ভক্তদের জন্যে চলে আসবে টিজার। কিছুদিনের মধ্যেই একটি নতুন মার্ভেল সিরিজ আসতে চলেছে। সেই সিরিজের শেষ লগ্নেই মুক্তি পেতে পারে লোকি সিজন ২- এর টিজার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    Central Bureau of Narcotics: হিমাচল প্রদেশে ১,০৩২ হেক্টর জমির গাঁজা ধ্বংস করল সিবিএন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুল্লুতে দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি অভিযানে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স (CBN) এর আধিকারিকরা ১,০৩২ হেক্টর (১২,৯০০ বিঘা) গাঁজার (Cannabis) ক্ষেত ধ্বংস করেছেন।    

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পর, সিবিএন-এর আধিকারিকদের দল গঠন করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়। ওই আধিকারিকরা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করেন এবং অবৈধ চাষাবাদ হচ্ছে যে এলাকায় সেই এলাকাকে সনাক্ত করেন। পরবর্তীকালে, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স- এর কমিশনার রাজেশ এফ ধবরে। 

    আরও পড়ুন: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা? 

    সিবিএন অফিসাররা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে একটি দ্বিমুখী পন্থা গ্রহণ করেছে। শরীর ও মনে মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে কমিউনিটি মোবিলাইজেশন পন্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এনডিপিএস আইন এবং এর শাস্তিমূলক বিধানগুলির বিষয়েও গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা অবৈধ চাষাবাদ ধ্বংস করতে সিবিএন আধিকারিকদের সহায়তা করেন বলেও জানিয়েছেন কমিশনার ধবরে। 
     
    তিনি আরও জানান, সংবেদনশীল স্থানগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য জিপিএস কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অবৈধ গাঁজা চাষের এলাকা সনাক্তকরণ এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এতেই এসেছে এত বড় সাফল্য। তিনি আরও বলেন, “মিশন ক্র্যাকডাউন এভাবেই দেশের অন্যান্য অংশে জোরালোভাবে চলতে থাকবে এবং সিবিএন মাদকের বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণরূপে  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”    

    আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?

    হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষের ঘটনা এই প্রথম নয়। ক্যানাবিস হচ্ছে ঐ অঞ্চলের প্রাচীনতম ফসলের একটি। এ থেকেই গাঁজা তৈরী হয়। এর আগেও এই এলাকায় গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই বন্ধ্যা মাটিতে অন্য কোনও চাষ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কাজে নামতে হয় তাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anushka – Virat: “ভীষণ মিস করছি…”, বিরাটের উদ্দেশে ভালোবাসায় ভরা পোস্ট অনুষ্কার

    Anushka – Virat: “ভীষণ মিস করছি…”, বিরাটের উদ্দেশে ভালোবাসায় ভরা পোস্ট অনুষ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেও বিরাট – অনুষ্কাকে (Anushka – Virat) একে অপরকে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। এবারও অনুষ্কাকে তাঁর স্বামীর জন্য একটি আদুরে ছবি ও ক্যাপশন শেয়ার করতে দেখা গেল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে ও এটি তাঁদের অনুরাগীদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।  

    ২০২২ সালের এশিয়া কাপ বিরাট কোহলির জন্য ভালোই ছিল। ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তোলা দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। তবে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022)সুপার ফোর থেকে ছিটকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের। দুটো অর্ধশতরান ও একটি শতরান দিয়ে তিনি আবার তাঁর ফর্মে ফিরে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বহু প্রতীক্ষিত ৭১ তম শতরানের পর বিরাটের উপর তাঁর ভক্তদের আরও আশা বেড়ে গিয়েছে। তাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের এখন একমাত্র লক্ষ্য টি২০ বিশ্বকাপ।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে মুম্বইয়ের রাস্তায় স্কুটি চালিয়ে ঘুরছেন বিরুষ্কা, কিন্তু চললেন কোথায়?

    তবে এশিয়া কাপে তাঁর সাফল্যের পেছেনে একজনেরই অবদান রয়েছে এমনটা জানিয়েছিলেন বিরাট, তিনি আর কেউ নন, তিনি তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। কঠিন পরিস্থিতিতে অনুষ্কা তাঁর পাশে থাকার জন্যই তিনি সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এশিয়া কাপ চলাকালীন অনুষ্কা বিরাটের পাশে থাকতে পারেননি। তিনি বর্তমানে তাঁর আসন্ন ছবি ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এর শ্যুটিং-এর জন্য লন্ডনে আছেন। তাই এশিয়া কাপের পর অনুষ্কার শর্মার সঙ্গে দেখা করতে বিরাট গিয়েছিলেন লন্ডন। তবে সেখানে গিয়ে বেশি দিন থাকা হয়নি তাঁদের। কারণ সামনেই বিরাট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলবেন। ফলে বর্তমানে তিনি মোহালিতে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন।

    কিন্তু দেশে ফিরতে না ফিরতেই মিস করতে শুরু করেছেন তাঁর ‘বেটারহাফ’। তাই এবার বিরাটের উদ্দেশে লন্ডন থেকে বিশেষ বার্তা দিলেন অনুষ্কা। দুজনে দুই দেশে থাকায় একে অপরকে মিস করছেন, আর তা নিয়েই অনুষ্কা ইন্সটাগ্রামে তাঁদের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “গোটা দুনিয়াটাই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, অনেক মজাদার হয়ে ওঠে, সবমিলিয়ে অনেক অনেক সুন্দর হয় এই মানুষটার সঙ্গে থাকলে, তা সে বায়ো বাবেলে হোটেলের ঘরেই থাকা হোক না কেন।“ এরপর তিনি #MissingHubby লেখেন। তাঁর এই পোস্টটি ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CinhRc1skDW/?igshid=MTA0ZTI1NzA=[/insta]

    প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্কার নিজের বরের প্রতি ভালোবাসা জানানো, এই ব্যাপারটা মন কেড়ে নিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। বিরাট তাঁর উত্তরে কমেন্টে লাভ ইমোজি দিয়েছেন। এছাড়াও এই ছবিটিতে বলিউডের অনেক তারকা যেমন রণবীর সিং, জোয়া আখতার  রেড হার্ট ইমোজি দিয়েছেন এবং বিরুষ্কার অনুরাগীরাও কমেন্টে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল বাচ্চাদের পাউডার (Powder) প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনজন্সের (Johnson & Johnsons) লাইসেন্স। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) ওই লাইসেন্স বাতিল করে। সদ্যজাত শিশুদের (New-born Babies) ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এই পাউডার। তার জেরে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    দেশজুড়ে সদ্যজাত শিশুদের পাউডারের বাজারে একচেটিয়া রাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসন্সের পাউডার। টিভি রেডিওয় ঘন ঘন বিজ্ঞাপণের দেওয়ার দরুণ লোকমুখে দ্রুত প্রচারিত হয়ে যায় এই পাউডারের সুখ্যাতি। তার পর থেকে ঘরে ঘরে দেখা যেতে থাকে এই পাউডার। এবার সেই পাউডারই পাশ করেনি মহারাষ্ট্র সরকারের পরীক্ষায়! মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাগারে পরীক্ষার সময় ওই কোম্পানির পাউডারে যে পরিমাণ পিএইচ ভ্যালু থাকার কথা, তা ছিল না। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কারণ কলকাতা ভিত্তিক সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সেখানে পাঠানো পাউডারের নমুনা পিএইচ ভ্যালুর নিরিখে আইএস ৫৩৩৯:২০০৪ মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি। এটা জানার পরেই বাতিল করা হয়েছে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স।

    আরও পড়ুন : ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মহারাষ্ট্র সরকারের ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নাসিক ও পুণে থেকে। নমুনা সংগ্রহ করেছিল মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই দেখা যায়, যে মাপকাঠি সরকারের তরফে রাখা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি ওই পাউডার। তাই এই পাউডার ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ওই কোম্পানিকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাজারে ওই কোম্পানির যত পাউডার রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে এই রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কোম্পানির কর্তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Gogra Hot Spring: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্মাণ সরিয়েছে চিন, এমনই ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে পূর্ব লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন (China)। কিছুদিন আগের ছবিতে চিনের এক বড় নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছিল ওই এলাকায়। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই নির্মান আর নেই। বরং ওই এলাকার মাটিতে গর্তও ধরা পড়েছে। নির্মান ভেঙে ফেলেছে চিন। 

    সরকারের দেওয়া খবর অনুযায়ী, একেবারে পরিকল্পনামাফিকই পূর্ব লাদাখের গোগরা হট স্প্রিং থেকে ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। নিয়ম মেনে দুপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছে। 

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যে বিন্দুগুলি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার সবকটির সমাধান পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছিল এটিই। সূত্রের খবর, পিপি-১৫ তো বটেই, গোটা পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকেই সেনা সরানোর বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল বেজিং-ই। ভারত যদিও খুব বেশি তাড়াহুড়ো দেখায়নি।       

    ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় ভারত-চিন। তারপর সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্কও তলানিতে পৌঁছায়। শান্তি ফেরাতে তার পর থেকে দফায় বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তার উপর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা সেনার নানা ধরনের নির্মাণের খবরে জল্পনা দানা বাঁধে। লাদাখে যে সমস্ত এলাকায় অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, সেনা পর্যায়ের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। অস্থায়ী সেই কাঠামো ভেঙে ফেলা ব্যাপারে দুই দেশের সেনা সম্মত হয়েছে বলে জানান তিনি। কথা রেখেছে দুই দেশই। ৮-১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশই। ১৬ তম বৈঠকে দুই দেশেরে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় দু-তরফই যে অস্থায়ী নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্ট্যান্ড-অফের আগে ওই এলাকার যা গঠন ছিল, তাতেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঠিক এমনটাই দেখা গিয়েছে উপগ্রহ চিত্রেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) । নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে (cmo) জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ দফতর কাজই করছে না। কথাই শুনছে না মুখ্যমন্ত্রীর। জেলায়  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেও তার নিটফল যে শূন্য, তা বুঝতে পারছেন মুখ্য় সচিব  (chief secretary)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেই তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্বেও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে কেন দেরি হচ্ছে, বিভিন্ন দফতরের কাছে তার জবাব চাইছে নবান্ন (nabanna)।  চাপে পড়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H.K.Dwivedi) চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। বকেয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগ গুলি যাতে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য জানানো হয়েছে প্রতিটি দফতরকে। 

    এমাসের সাত তারিখেই এনিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব দফতরের শীর্ষ আধিকারিক বা HOD-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ ফেলে রাখবেন না। সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বহু দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশি সময় নিচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা তাই সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাতদিনের মধ্যে যদি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দেওয়া না যায়, তাহলে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও যেন উল্লেখ করা হয়, বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

    কী আছে চিঠিতে? 
    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট গত ৬ মাসে গড়ে ৫৮ দিন রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেরি করেছে ৫৭ দিন। আর ৩৯ দিন সময় নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতর। অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে পরিবহণ দফতরে। আর তারা সময় নিয়েছে ৩৫ দিন। এই দফতরগুলির বেশিরভাগই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। 

    জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার। কালিম্পং জেলাশাসক দেরি করেছেন ৪১ দিন, ঝাড়গ্রাম ৩৭ দিন। আর উত্তর ২৪ পরগনা ২৬দিন। জেলাশাসক বদল করেও অসুখ সারছে না। পুলিশ সুপারদের পারফরম্যান্স খারাপ মালদা, বারাসত, হুগলি, মুর্শিদাবাদে। ৭ দিনের বদলে অভিযোগের উত্তর দিতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে।

     অনেক ক্ষেত্রেই  অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে ফেরত পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এর ফলে কাজে আরও দেরি হয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সচিব বা জেলা আধিকারিকরা তাঁদের অধীনস্থ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন না। দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।

    অভিযোগ খতিয়ে দেখে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাফিলতির কথা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলার পরও ‘ডিজপোজড’, ‘রিজল্ভড’, ‘অ্যাকশন টেকন’লিখে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এভাবে লিখে ছেড়ে দিলেই হবে না। ঠিক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,তাও উল্লেখ করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, কাজ না করে সরকারের বেশিরভাগ দফতর গা এলিয়ে দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন তিনি। 

    আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে। এই চিঠি মাধ্যমের হাতে আসায় বোঝা যাচ্ছে কীভাবে কাজ না করে দায়সারা হয়ে পড়েছে মমতা প্রশাসন। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে নবান্নে। মুখ্য়মন্ত্রী দেখছেন, বুঝছেন, বলছেনও। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দলীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী ধীরে ধীরে যেমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনিক স্তরেও কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ? ১৪ তলা থেকে নির্দেশ গেলেও তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন? নবান্নের প্রতি তলায় সেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।  

     

     

     

  • Jhulan Goswami: ‘‘ঝুলুদির জন্য এই সিরিজ জিততে চাই…’’, প্রথম ওডিআই জিতে বললেন মান্ধানা

    Jhulan Goswami: ‘‘ঝুলুদির জন্য এই সিরিজ জিততে চাই…’’, প্রথম ওডিআই জিতে বললেন মান্ধানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসর নিয়ে সরকারি কোনও ঘোষণা নেই। ঝুলন গোস্বামীও (Jhulan Goswami) কিছু বলেননি। চুপ বিসিসিআইও (BCCI)। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের আনাচেকানাচে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে চলতি একদিনের সিরিজই ঝুলন গোস্বামীর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ মঞ্চ হতে চলেছে। এই সিরিজ শুধু বাংলার পেসারটির কাছে নয়, সতীর্থদের কাছেও স্পেশ্যাল। ঝুলনের বিদায়ী মঞ্চকে স্মরণীয় করে রাখতে চান ভারতীয় মহিলা দলের ভাইস-ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana)। প্রথম একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে মান্ধানা বলেছেন, ‘এই ওডিআই সিরিজ ঝুলুদির জন্য জিততে চাই। ওঁর অবদান কখনও ভোলার নয়। ওঁর লড়াই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা।’

    আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শামি, কেন জানেন?

    জয়ের জন্য ভারতের সামনে ২২৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেই বাধা টপকাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ভারতের মেয়েদের। শেফালি ভার্মা (১) দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরলেও, ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও যস্তিকা ভাটিয়ার অনবদ্য পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। যস্তিকা ৪৭ বলে করেন ৫০ রান। তারপর ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের জয় নিশিচত করেন মান্ধানা। ৪৪.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন স্মৃতি। ৯১ রানে আউট হন তিনি। হরমনপ্রীত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা সর্বাধিক দু’টি উইকেট নিলেও বল হাতে কামাল দেখিয়েছেন ঝুলনও। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি মেডেন সহ মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে তিনি তুলে নেন একটি উইকেট। তাঁর এমন কৃপণ বোলিং প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট মহলে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বয়সের নিরিখে ঝুলনকে অবসর নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ও এখনও যেভাবে পারফর্ম করছে, তাতে আরও কয়েকটা বছর অনায়াসে খেলে দিতে পারে।

    আরও পড়ুন : তুমিই শিখিয়েছ কত ভালভাবে টেনিস খেলা যায়! ফেডেরারের অবসরে আবেগপ্রবণ আগাসি

    এসব মন্তব্যের অবশ্য আর কোনও মূল্য নেই। ঝুলনের অবসরের মঞ্চ ঠিক হয়ে গিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি ওয়ান ডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেই তিনিই বুট জোড়া তুলে রাখবেন পাকাপাকিভাবে। যবনিকা পড়বে তাঁর দীর্ঘ দু’দশকের বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু সুখ-দুঃখের কাহিনী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Typhoon Nanmadol: সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার! জাপানে তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে দানবীয় টাইফুন ‘নানমাডোল’

    Typhoon Nanmadol: সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার! জাপানে তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে দানবীয় টাইফুন ‘নানমাডোল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) উপুকূলে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী টাইফুন ‘নানমাডোল’ (Typhoon Nanmadol)। এই টাইফুনের প্রভাবে সঙ্কটে পড়তে চলেছে জাপানের বহু মানুষ। রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছে জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিমি। এর জন্যে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম জাপান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া দফতর (জেএমএ), দক্ষিণ কিউশু প্রিফেকচারের কাগোশিমা অঞ্চলের জন্য “বিশেষ সতর্কতা” জারি করেছে। আজ, রবিবার থেকে স্থলভাগের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এর ক্ষতির থেকে বাঁচতে উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। ধারণা করা হয়েছে যে আজ এ ঝড়ের কারণে জাপানে ভূমিধস ও বন্যা হতে পারে। একদিকে ঘূর্ণিঝড়, তারই মধ্যে রবিবার জাপানে ঘটে গেল ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ৪৪ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাইওয়ানের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প।

    আরও পড়ুন: গতি ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন ‘হিন্নামনর’

    জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কাগোশিমা এবং মিয়াজাকির ২৫,৬৮০ টি পরিবারে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। এর পাশাপাশি সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে বুলেট ট্রেন পরিষেবা। ৫১০ টি বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ফেরি পরিষেবা ও রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। জেএমএ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল বাতাস, ঝড়বৃষ্টি এবং মুষলধারে বৃষ্টি, সুনামি, বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় অনুসারে, নানমাডোল ঘূর্ণিঝড় সকাল ৯টা নাগাদ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ইয়াকুশিমার কাছে ছিল। এটি এখন ধীরে ধীরে দেশের প্রধান দক্ষিণ দ্বীপ কিউশু-র দিকে এগিয়ে আসছে ও এখানেই আজ সন্ধ্যায় আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে এবং ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার (২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর এটি পূর্বদিকে ঘুরবে এবং মঙ্গলবার টোকিও পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    জাপানে এই মুর্হূতে সাইক্লোন সিজন চলছে। প্রতিবছর জাপানে কম বেশি ২০ টি সাইক্লোন তৈরি হয়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে নানমাডোলের জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই হবে বলে জানা গিয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর এই ঘূর্ণিঝড়কে ক্যাটাগরি ৫ হ্যারিকেন হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

  • Dengue: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    Dengue: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:   ডেঙ্গি (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি খেলা অব্যাহত। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তেই সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে। আগষ্ট মাস থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ডেঙ্গি মোকাবিলার তুলনায় তথ্য গোপন নিয়েই বেশি ব্যস্ত প্রশাসনিক মহল। অন্তত সংশ্লিষ্ট মহলের এমনই অভিযোগ।

    সূত্রের খবর, বেসরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে রাজ্যে মোট আক্রান্ত পাঁচ হাজার। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে গড়মিল আকাশ ছোঁয়া। বেসরকারি হিসাবে রাজ্যের প্রতিদিন গড়ে হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধুমাত্র কলকাতাতেই গড়ে সাড়ে চারশো মানুষ দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত । যদিও স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি নয়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, নিজেকে বাঁচাবেন কী করে?

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি বরোর মধ্যে আটটি বরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১,৬,৭,৮,৯,১০,১১ এবং ১২ নম্বর বরোয় ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। অর্থাৎ, বালিগঞ্জ, বেক বাগান, শ্যামবাজার, কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় প্রত্যেক দিন যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার।

    কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ৬, ৬৯, ৮২, ৮৩ এবং ১১২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ। পুরসভা বিশেষ নজর দিচ্ছে। উল্লেখ্য, এরমধ্যে রয়েছে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ড। অর্থাৎ, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। চেতলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক।

    ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও সরকারের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি জারি রয়েছে। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কলকাতার বাঁশদ্রোণী থেকে বেলগাছিয়া একাধিক জায়গার বাসিন্দারা মেয়রকে ফোন করে ডেঙ্গি সমস্যার কথা বলেছেন। প্রত্যেককেই অবশ্য মেয়রের উত্তর, পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কাজ জরুরি। কিন্তু পুরসভার সেই ভূমিকা নেই।

    তবে, শুধু কলকাতা নয়। কলকাতার আশপাশের জেলাগুলোতেও ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সমস্ত বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। নিয়মিত যোগাযোগ রেখে একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, “একদিনে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নির্মূল করা যাবে না। তবে প্রশাসন তৎপর। যা প্রয়োজন, করা হচ্ছে। “

    যদিও প্রশাসনের মনোভাব দায় সাড়া বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়, কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হলো, সেই তথ্য যেন গোপন থাকে, সে দিকে।

    এক চিকিৎসকের কথায়, “কয়েক বছর আগে চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরীর ঘটনা আমরা ভুলিনি। ডেঙ্গির আসল তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তাই তাকে সরকারের কোপে পড়তে হয়েছিল। ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসন যতগুলো মিটিং করেন, তাতে বারবার তথ্য নিয়ে যেন মুখ না খোলা হয়, সে নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু একটা সংক্রামক রোগ বাড়লে, তা গোপন করা যায় না। গোপন করতে চাইলে বিপদ আরও বাড়বে। এটা কবে রাজ্য সরকার বুঝবে জানি না। “

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আরজিকর, এনআরএস, বেলেঘাটা আইডি, বাঙ্গুর হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগী ভর্তির জন্য শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক। তাই শয্যা না বাড়লে রোগী মৃত্যু আশঙ্কাও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    রাজ্যের ডেঙ্গি তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে শুধু চিকিৎসক মহল নয়, বিরক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও। ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য ঠিকমতো নিয়মিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকে ও পাঠানো হচ্ছে না। ফলে, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “কেন্দ্রের নিজস্ব মেকানিজম আছে। তারা তাদের মতো তথ্য সংগ্রহ করুন।”

LinkedIn
Share