Blog

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর শুরুতেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৩৪% প্রার্থীকে নমিনেশনই জমা দিতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ রয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে সেই পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নিরাপত্তা চাইছে বিরোধী দল বিজেপি। এমতাবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক, এমনটাই চায় বিজেপি। এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এই নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।  

    রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করলেও, ২০২৩ সালের শুরুতেই নির্বাচন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই এই নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    কী বক্তব্য শুভেন্দুর? 

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্যেই এই আবেদন। এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর বক্তব্য, সন্ত্রাস করেই শাসকদল পঞ্চায়েত নির্বাচন জেতার চেষ্টা করবে। তাই ভোট–লুঠ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা উচিত। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই, তা আগেও বার বার জানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে তারা। এবার সেই আবেদন পৌঁছল হাইকোর্টে। 

    সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী। তবে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একদিন সময় দেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী শহর ঢাকা। বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র (BNP) সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে বিএনপি

    ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাতে বিএনপি-র (BNP) একটি বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে আটকাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনার অদক্ষতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছেন। সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিতে নাভিশ্বাস সেখানকার জনগণের। ফলে পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক বলে জানিয়েছে বিএনপি। 

    আরও পড়ুন: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    বিএনপি-এর তরফে কী কী অভিযোগ আনা হল?

    বিএনপি-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য তার আগের দিনই ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ভোরে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের। আবার বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সেদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    সরকারের তরফে কী বলা হল?

    বিএনপি-এর সমাবেশের প্রসঙ্গ এনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির(BNP) সভার প্রসঙ্গে তাঁরা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সমাবেশ-বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ঘটানো সম্ভব নয়।

  • Winter Food: এই শীতে সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে চান? তালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার

    Winter Food: এই শীতে সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে চান? তালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠে-পুলি, নলেনগুড়ের ঋতু! ভ্রমনের জন্যও বাঙালির কাছে শীতের জুড়ি নেই। দু’দশক আগেও দূরদর্শনে বোরোলিনের বিজ্ঞাপন জানান দিত শীতের আগমন। ডিসেম্বরের আবির্ভাবের সঙ্গে, শীত পাকাপাকিভাবে চলে আসে।  উলের গরম পোশাক, লেপ, কম্বলের তখন বের করতে হয়। এই সময়টায় খাদ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। থার্মোমিটারে পারদের পতন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসে। শীতকালে ফুসফুসে ভাইরাসজনিত সমস্যা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রমণ বেশি হয়। এই সময় ডায়েটে এমন খাবার (Winter Food) রাখা উচিত যা আপনার শরীরকে কেবল ভিতর থেকে গরম রাখবে না বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে।

    এমনই ১০টি ‘সুপারফুড’ আছে যেগুলো শীতের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    ১) গাজর: গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে প্রবেশ করে  ভিটামিন-এ তৈরি করে। চোখের পক্ষেও গাজর খুব উপকারী। নিয়মিত গাজর খাওয়া (Winter Food) চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে। গাজর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ , গরম স্যুপ এবং তরকারিতে রান্না করা যায়।

    ২) মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। শীতের সময় এই আলু খাদ্য তালিকায় (Winter Food) রাখা খুবই উপকারী।

    ৩) ব্রোকলি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে ভরপুর হল ব্রোকলি। এটি একটি আদর্শ খাবার (Winter Food) যা শীতের সময় বিভিন্ন ফ্লু থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

    ৪) লাল ক্যাপসিকাম/বেল মরিচ: লাল ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ, লাল বেল মরিচ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে ।

    ৫) সাইট্রাস ফল: কমলালেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফলও শীতকালে খাওয়া (Winter Food) যেতেই পারে। সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

    ৬) ডালিম: ডালিম হল স্বাস্থ্যকর শীতকালীন ফল। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এছাড়াও ভিটামিন সি, ভিটামিন বি6, পটাসিয়াম এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।

    ৭) নাশপাতি: নাশপাতিতে ব্যাপক পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদান থাকে নাশপাতিতে।

    ৮) ওটস: শীতের খাবার (Winter Food) হিসেবে ওটস খুবই উপকারী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

    ৯) গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, এটি ফ্যাট কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের অসুস্থতা এবং এমনকি কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও এর জুড়ি নেই।

    ১০) বাদাম: ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ, ফসফরাস, ফাইবারে সমৃদ্ধ বাদাম। শীতকালে খুবই উপকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Weather Update: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    Weather Update: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দৌসের প্রভাব সরাসরি এ রাজ্যে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘনীভূত হওয়া জলীয়বাষ্পের ফলে ঢুকে পড়ায় উত্তর-পশ্চিম ভারতের ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে পারেনি। জলীয় বাষ্পের প্রভাব কেটে যেতেই ফের রাজ্যে ফিরেছে শীতের আমেজ (Weather Updated)। রবিবার বিকেল থেকেই পারদে পতন শুরু হয়েছে।

    কী বলছে মৌসম ভবন?  

    সোমবার সকালে কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা কুয়াশা (Weather Updated) দেখা গিয়েছে। বেলা বাড়তেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। রবিবারের তুলনায় কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১.৫ ডিগ্রির মতো। উত্তুরে হাওয়া ঢোকাতেই আবহাওয়ায় এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর অবধি আবহাওয়া (Weather Updated) সর্বত্রই শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা একই থাকবে। 

    এদিন বিকেলে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার (Weather Updated) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সঙ্গে থাকতে পারে কুয়াশা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৯ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি   

    হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাকিস্তান ও সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের (Weather Updated) রূপে অবস্থান করছে। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের বৃষ্টি কিংবা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ১৩ ডিসেম্বর নাগাদ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

    উত্তর-পশ্চিম ভারতে এদিন তাপমাত্রার (Weather Updated) বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রায় পতন হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পশ্চিম-মধ্য ভারতের ন্যূনতম তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। অন্যদিকে দেশের বাকি অংশে আগামী ৪-৫ দিন তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণে তামিলনাড়ু এবং কর্নাটক-উত্তর কেরলে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।  ১৩ ডিসেম্বর নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঞ্চ বদল হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলায় (DA Case)। এই মামলা গেল দুই বাঙালি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এঁরা হলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার এঁদের বেঞ্চেই হবে ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে চলছিল ডিএ মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত…  

    এক সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছিলেন। পরে বদলি হয়ে যান বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার তিনি শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় দীপঙ্কর দত্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই, তাঁর এজলাসে ডিএ মামলার শুনানি হলে এই মামলায় তাঁরাই জয়ী হবেন বলে আশা সরকারি কর্মীদের।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

    বুধবার যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাজরার সমাবেশেও তিনি বলেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মীদের জয় হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল বৈঠক। ছাত্র নির্বাচন সময় মতো করার দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতির সমাধান সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের পাশপাশি স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা মতো বৈঠক মঙ্গলবার হল না। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়ারা অনশন না তুললে কোনও আলোচনা হবে না। আগে পড়ুয়ারা অনশন তুলে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন। তারপরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হবে। 

    স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে ফোন করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলতে পড়ুয়ারা নারাজ, তখন স্বাস্থ্য ভবন কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে না। তিনি পড়ুয়াদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেখানে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি তাহলে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে কীভাবে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে? পরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনশন না তুললে বৈঠক হবে না। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৈঠক হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও জিনিস অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়ুয়াদের সঙ্গে সুপারের ঘরে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। এরপরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের ভিতরে কোনও রকমের আন্দোলন করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হলেও ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার পাঁচ জন ছাত্র অনশন শুরু করেন। তার মধ্যে গতকাল একজন অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এই অবস্থায় জট কবে কাটবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি আবারও স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে বৈঠক হবে কি না সে বিষয়টি জানতে চাইবেন।

    পড়ুয়ারা অবশ্য জানাচ্ছেন, নির্ধারিত দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বাস্থ্য ভবনের এত অনীহা কেন! রাজ্যের শাসক দলের ইচ্ছেতেই সিদ্ধান্ত বদল কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়াদের হোস্টেল থেকে ফি নেওয়া হয়, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে  কোথায় কত টাকা নেওয়া হবে, বাড়তি টাকা নেওয়া হবে কিনা, সেটাও ঠিক করেন শাসক দলের কয়েক জন নেতা। কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ম মাফিক হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে সেটা আরেকবার স্পষ্ট হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sushil Modi: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

    Sushil Modi: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট সন্ত্রাসবাদ এবং মাদকপাচারের মতো ঘৃণ্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তিন বছর আগেই ২০০০ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিজেপি সাংসদের দাবি , ২০০০ হাজার টাকার নোট জমিয়ে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে মদত ও মাদকপাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই টাকা কালো টাকার সমান।

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর   

    কেন এমন মন্তব্য করলেন সাংসদ?

    রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ (Sushil Modi) বলেন, “২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের বিকল্প হিসেবে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে এসেছিল আরবিআই। কিন্তু বেশ কিছু কারণে গত তিন বছর ধরে এই নোটের মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ২ হাজার টাকার নোটের কালোবাজারি বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমজনতার কষ্টের উপার্জনের টাকা যাতে পুরোপুরি রূপান্তরিত করা যেতে পারে, সে জন্য তাঁদের আরও সময় দেওয়া দরকার। অন্য দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বহু আধুনিক দেশেই ছোট অঙ্কের নোট চালু রয়েছে। আমেরিকায় যেমন সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ডলার, চিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ইউয়ান, কানাডায় ১০০ ক্যাড, ইউরোর ক্ষেত্রে ২০০ ইউরো। মাদক পাচার, আর্থিক নয়ছয়, সন্ত্রাসবাদে মদত এবং করফাঁকির মতো বেআইনি কার্যকলাপ আটকাতে ইইউ ২০১৮ সালে ৫০০ ইউরোর নোট বাতিল করে। ২০১০ সালে রাস্তায় হেঁটে ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের নোট বাতিল করে সিঙ্গাপুর।”

    সুশীল মোদির (Sushil Modi) বক্তব্য, যেহেতু ভারত এখন ডিজিটাল লেনদেনের হাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই এখানে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন কম। ২০১৬ সালে কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধী শিবির থেকে অর্থনীতিবিদ, নানা মহলের বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে সেই পদক্ষেপ। কিন্তু স্বয়ং দলীয় সাংসদের বক্তব্যে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।   

    কোনও আগাম সূচনা ছাড়াই ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বন্ধ হচ্ছে। এরপর ৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে কোনও লেনদেন করা যাবে না, ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানান, বদলে বাজারে শীঘ্রই আসতে চলেছে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নোট। তাঁর যুক্তি ছিল, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু যাঁদের কাছে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন, ওই বছরের ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। কেন্দ্রের এই আচমকা সিদ্ধান্তের বিপুল সমালোচনা শুরু করে বিরোধী শিবির। পথে নামার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কেও যান তিনি। ছ’বছর পরও সমালোচনার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    Bengaluru: রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরা ‘বেআইনি’! দম্পতিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা বেঙ্গালুরু পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত ১১ টার পর বাইরে থাকা ‘অপরাধ’। এটি ‘আইন-বিরুদ্ধ’ কাজ। ফলে এর জন্য দিতে হবে ৩০০০ টাকা জরিমানা। এমন আইন কখনও শুনেছেন আপনি? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন বেঙ্গালুরু এক যুবক। রাত্রিবেলা স্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা এক যুবক। কিন্তু রাতে নাকি এইভাবে হেঁটে বেড়ানোর ‘অনুমতি নেই।’ এমন আশ্চর্য দাবি করেই ওই দম্পতির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন পুলিশকর্মীর (police) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) যুবকটির নাম কার্তিক পাত্রী। কার্তিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ বেঙ্গালুরু পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির প্রায় কাছেই পথ আটকায় দুই পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের জানায়, রাত ১১ টার পরে বাড়ির বাইরে থাকা একপ্রকার ‘আইন লঙ্ঘন’। এরপর তাঁদের কাছে প্রথমে পরিচয় পত্র দেখতে চান ওই আধিকারিকরা। ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখাতেই ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি বুঝতে পারেন না, প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতি রাত্রে রাস্তায় হাঁটলে পরিচয় পত্র দেখাতে হবে কেন। এরপরেই ওই পুলিশকর্মীরা একটি চালান বই বের করে কার্তিক ও তাঁর স্ত্রীর নাম এবং আধার কার্ডের নম্বর তাতে লিখতে শুরু করেন। বিপদ বুঝতে পেরে তাঁদের প্রশ্ন করেন কার্তিক, ‘কেন আমাদের নামে চালান কাটছেন?’

    উত্তরে ওই পুলিশকর্মীরা জানায়, রাত ১১টার পর নাকি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নিষেধ। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও ঝামেলা বাড়াননি দম্পতি। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা তাদের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে নেয়। এরপর আইন না জানার জন্য ক্ষমা চান কার্তিক ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু ওই পুলিশকর্মীরা বলে, এর জন্য ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাঁরা কাকুতিমিনুতি করলেও কোনও কাজে দেয়নি। এমনকি পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করারও হুমকি দেয়। পরে তাঁর স্ত্রী কাঁদতে শুরু করলে এক পুলিশকর্মী কার্তিককে বলে, ঝামেলা না বাড়িয়ে মাত্র ১ হাজার টাকা পেটিএমের সাহায্যে দিয়ে দিতে। এরপরে সেই টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

    এরপর বাড়ি আসার পর পুরো ঘটনাটি ট্যুইট করে বেঙ্গালুরু সিটির পুলিশ কমিশনারকে জানান কার্তিক। এরপরেই অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সামপিগহল্লি থানার একজন হেড কনস্টেবল এবং অন্য এক কনস্টেবলকে। ঘটনাটি নজরে আনার জন্য কার্তিককে ধন্যবাদও জানিয়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) সিটি পুলিশ।

  • FIFA World Cup: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    FIFA World Cup: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল মহাযুদ্ধ শেষের পথে। বাকি আর মাত্র চারটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য নতুন বল নিয়ে এল ফিফা। বিশ্বকাপের গ্রুপ স্তর থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো খেলা হয়েছে আল রিহলা বলে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলা হবে আল হিলম বলে। আরবি ভাষায় আল রিহলার অর্থ যাত্রা আর আল হিলম শব্দের অর্থ স্বপ্ন। এই বল পায়ে কারা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে। এখন আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে এই বল মাঠে নামার অপেক্ষায়।

    নয়া চমক-স্বপ্নের বল

    প্রতিবার বিশ্বকাপের বল নিয়ে কিছু না কিছু কথা ওঠেই। এবার যেমন অনেক ফুটবলার দাবি করেছেন, আল রিহলা বলের জন্যই কাতার বিশ্বকাপে ফ্রি-কিক থেকে সেভাবে গোল হচ্ছে না। আল রিহলা বাতাসে ভেসে থাকলে অদ্ভুত আচরণ করছে। এমনই মত অনেক ফুটবলারের। তাই কী বল পরিবর্তন? তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি ফিফা। নতুন এই বল আল হিল্‌মেও থাকছে আল রিহলার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। অ্যাডিডাস সংস্থা এবার বলের ভিতরে রেখেছে সেন্সর ও বিশেষ ধরনের চিপ। ম্যাচের আগে প্রতিটা বলকে চার্জ দেওয়া হয়। এর ফলে বলের ভিতরে থাকা চিপ ও সেন্সর কাজ করে। ম্যাচের প্রতিটা মুহূর্তের আপটেড ট্র্যাক করে বল। আল হিলমেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ম্যাচের প্রতি মুহূর্তের ট্র্যাক করতে সুবিধা হয় অফিসিয়ালদের। বল প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এটাকে কানেকটেড বল বলা হয়েছে। এরফলে ট্র্যাক অনেক দ্রুত করা যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। অফসাইড-এর ক্ষেত্রে নির্ভুল সিদ্ধান্ত পেতে সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি থাকবে এই বলে। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই। ‘আল হিলম’ এবং ‘আল রিহালার’ মধ্যে বস্তুগত কোনও পার্থক্যই নেই। প্রযুক্তি থেকে বলের ডিজাইন, আকার- সব একই। তবে নতুন বলে ব্যবহৃত হচ্ছে কাতারি পতাকার রং। 

    আরও পড়ুন: “তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা…”, রোনাল্ডোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা বিরাটের

    রাজধানী দোহা সংলগ্ন মরু এলাকার সূক্ষ্ম ইঙ্গিত তুলে ধরা হয়েছে নতুন ‘আল হিলম’ বলে। অ্যাডিডাস জেনারেল ম্যানেজার নিক ক্রেইগ বলেছেন, “ক্রীড়া শক্তির আলোক বিচ্ছুরণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একত্রিত করার ঘটনাকে প্রতিনিধিত্ব করছে আল হিলম। এই খেলার প্রতি প্যাশনের জন্য দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ সমর্থক প্রতিদিন ফুটবলের খোঁজ খবর রাখছে। ফুটবলের বৃহত্তম মঞ্চের শেষ পর্যায়ের লড়াইয়ে সমস্ত অংশগ্রহণকারী দলগুলির জন্য শুভকামনা রইল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share