Blog

  • Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততদিন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ দখল করতে পারবে না। তাওয়াঙে (Tawang) ভারত-চিন সংঘর্ষ (Indo China Clash) নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৮-৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তাকে স্যালুট জানাই। চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    চিনা আগ্রাসন…

    এদিকে, অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে যে নিশানা করেছেন বিরোধীরা, এদিন তার জবাব দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর দাবি, ভারতীয় জওয়ানরা চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তাদের নিজেদের পোস্টেও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাই। ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ পিএলএ সৈন্যরা সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। আমাদের সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। আমাদের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    এদিকে, তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা (Black Money) উদ্ধার করেছে। সোমবার এমনই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এর পরেই তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। ক্রোক করা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি মূল্যের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, মোদি সরকারের নেতৃত্বে কল্যাণমূলক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্য টাকার পুরোটাই পাচ্ছেন দেশের দরিদ্র মানুষরা। ডিজিটাল অর্থনীতির সাহায্যে বিভিন্ন স্তরে রোধ করা গিয়েছে দুর্নীতি। কংগ্রেস জমানার কয়লা, স্পেকট্রামের মতো দুর্নীতির পথও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

    রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও…

    এদিন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রসঙ্গও টানেন এই বিজেপি নেতা। নাম না করে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য বরাদ্দ এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা তাঁদের কাছে পৌঁছায়। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, আর এখন প্রকল্পের একশো শতাংশ অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। এর ফলে আমজনতার সঞ্চয় বাড়ছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন ৮৫ শতাংশ সরকারি প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু বর্তমানে ২৬ লাখ কোটি টাকা সরাসরি আমজনতার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। সঞ্চয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৫ কোটি টাকা। জনধন অ্যাকাউন্টের মতো প্রকল্পে আমজনতার সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ চাকরির আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রধানমন্ত্রী দেশে সুশাসন মডেল চালু করেছেন বলে দাবি তাঁর। অশ্বিনী (Ashwini Vaishnaw) বলেন, শর্টকাট রাজনীতির দিকে না গিয়ে সুশাসনের পথে দেশকে নিয়ে যেতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই চলছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে সুশাসনের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম পথ হল ডিজিটাল লেনদেন। তাঁর দাবি, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেকট্রাম নিলামে পুরানো দুর্নীতির মুখে কেন্দ্র লাভ করেছে ৪.৫ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    Bogtui Massacre: নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ! ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক, লালনকাণ্ডে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযু্ক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রাখা হয়েছিল। এর পর গতকাল বিকেলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ফলে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    শুভেন্দু ও সুকান্তর দাবি

    গতকাল হাজরায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে সভাশেষে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।” এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে এটি করা হল কি না সেটাও দেখা উচিত।”

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    সিবিআই ও পরিবারের দাবি

    গতকাল সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল যে, লালন আত্মহত্যা করেছে (Bogtui Massacre) । কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, লালনের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তাঁর পা ঠেকে ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাহলে ফাঁস লাগল? লালন শেখের দিদির বক্তব্য, “এত মেরেছে যে লালন দাঁড়াতে পারছিল না। ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই, সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।”

    চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গতকালের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় গ্রামে। যে হাসপাতালে লালনের ময়নাতদন্ত হচ্ছে, সেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সিবিআই ক্যাম্পে লালনের মৃত্যু, তার সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে কেন্দ্রীয়-নিরাপত্তাও। সোমবার রাতেই রামপুরহাটের এসডিপিও জানান, যে সমস্ত জায়গা তাঁদের কাছে উত্তেজনাপ্রবণ, সেই সমস্ত জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের বিশেষ দল পৌঁছেছে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও (Bogtui Massacre) ।

     
  • West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    West Bengal Weather: জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও দেরি! আজ কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর অক্টোবর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামায় মনে করা হচ্ছিল, এবার খুব শীঘ্রই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, তবে শীতের দেখা নেই। আবহাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কলকাতায় ঠান্ডা পড়লেও এবছর এখনও দেরি আছে শীত আসতে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে ফের নামতে পারে পারদ। শীতের আমেজ বজায় থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আপাতত স্বাভাবিকের তুলনায় উপরেই থাকবে কলকাতার পারদ। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি থেকে প্রায় এক ডিগ্রি বেড়ে ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকবে। আগের তুলনায় সামান্য বেড়ে তাপমাত্রা হবে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা এবং শিশির দেখা যায়। আগামী কয়েক দিন একই রকম থাকবে আবহাওয়া। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    অন্যদিকে জেলাগুলিতে অবশ্য খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় একটু কম থাকবে তাপমাত্রা।  ১৬ তারিখ বা তার পর থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা কমবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।  আবার উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিকের কাছাকাছি রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ফের পারদ পতন, রাজ্যে ফিরে এল শীতের আমেজ

    শীত আসতে কেন দেরী?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, মূলত উত্তুরে বাতাসের দাপট কমে যাওয়া ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছিল তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। বাংলায় তেমনভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি ও বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু কমেছে শীতের দাপট। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যে শীতের আমেজ কমেছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে রাজ্যে শীতের আমেজ বাড়তে পারে।

    ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব কাটতে না কাটতেই আন্দামান সাগরে আরও এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

  • Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেন অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলে-মেয়ে তো বটেই তাদের অভিভাবকদের চোখেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান। তাঁর একের পর এক নির্দেশে আজ গারদের অন্ধকারে রাজ্যের হেভিওয়েট দুর্নীতিবাজ নেতারা। গোটা রাজ্যই তাঁকে সততার প্রতীক হিসেবে দেখা শুরু করেছে। এরই মাঝে তিনি নিজেকে ‘শয়তান’ হিসেবে দাবি করে বসলেন। কিন্তু কেন? 

    কী ঘটেছে?

    একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এক মহিলা এগিয়ে এসে তাঁকে তাঁর কথা শোনার আর্জি জানান। সময়ের অভাবে বিচারপতি তা শুনতে অস্বীকার করলে মহিলা বলেন, “ধর্মাবতার আমার কথা একটু শুনুন। আপনিই ভরসা।” তার উত্তরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এখন তো মামলা মেনশনের সময় নেই। তা ছাড়া এ ভাবে বলছেন কেন? এ ভাবে কি মামলা করা যায়?” মহিলা বলেন, ”বঞ্চিত হয়ে অনেক বছর ধরে ঘুরছি। কয়েক বার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে করতে পারিনি। এর আগে মামলা করেও কিছু হয়নি। আপনি সাহায্য করুন। আপনাকে আমরা ভগবানের মতো দেখি।” সেই সময়ই বিচারপতি উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি বদলে গিয়েছি। আগের মতো আর নেই। ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি।”

    আক্ষেপের সুরে তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আর আগের মতো নেই। আর আমি ভগবান-টগবান নই। আমি শয়তান হয়ে গিয়েছি। ভগবান থেকে শয়তান!” মহিলা তখন পাল্টা বলেন, “এ ভাবে বলবেন না! আপনি যা দেশের জন্য যা করেছেন তা অতুলনীয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এরপর বলেন, “আপনার মামলার নম্বর কত? দিয়ে যান বুধবার বিষয়টি দেখতে পারি।” এরপর এজলাস ছেড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পা পিছলে ওই মহিলা পড়ে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁকে তুলে ধরেন। মহিলা খানিকটা সুস্থ হয়ে জানান যে, তাঁর মাথা ঘুরে গিয়েছিল। বিচারপতি সেই মহিলাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সাবধানে যান। মামলা হবে। চিন্তা করবেন না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”আমার মন্তব্যের অন্য মানে করা হচ্ছে। আমি আর মন্তব্য করব না।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে কোনও শুনানি থাকলে এখন ঠেলাঠেলি ভিড় হয়ে যায় হাইকোর্টে। আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ভিড় করেন। অন্য মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও অনেকে এসে বসে থাকেন বিচারপতি নতুন কী বলছেন তা শোনার জন্য। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কোনও তারকার থেকে মোটেই কম নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের জেরার মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি মদ কেলেঙ্কারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) সিবিআই জেরার মুখে পড়ে তেলঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর কন্যা কে কবিতা। গতকাল, রবিবার বেলা ১১ টা নাগাদ হায়দ্রাবাদে কবিতার বানজারা হিলসের বাসভবনে সিবিআই গিয়ে পৌঁছয় ও টানা ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। গতকালের জেরা পর্ব ঘিরে বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেসিআর কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছেন ও এই মামলায় কবিতা প্রায় ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে আম আদমি পার্টি-কে। সূত্রের খবর, গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

    সিবিআই জেরার মুখে কে কবিতা…

    দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে (Delhi Liquor Scam) কবিতার নাম উঠে এসেছে গত ৩০ নভেম্বর। এরপরেই ১১ ডিসেম্বর তাঁকে জেরা করা হবে বলে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর এর উত্তরে কবিতাও জানিয়েছিলেন যে, ১১ ডিসেম্বর তিনি তাঁর বাড়িতে থাকবেন ও দিল্লি আবগারি মামলার তদন্তে সহযোগিতা করবেন। অবশেষে গতকাল, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, কবিতাকে কিছু তথ্যের পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও জমা দিতে বলেছে সিবিআই। টিআরএস সূত্রের খবর, টিআরএস শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, অযথা বাসভবনের বাইরে ভিড় না করার জন্য। দলের তরফেও সিবিআইকে এই মামলায় সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় উঠে এল কেসিআরের মেয়ে কে কবিতার নাম

    অন্যদিকে এই মামলায় (Delhi Liquor Scam) কবিতার বিরুদ্ধে ইডিও তদন্ত করছে। তাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কবিতা তাঁর মোবাইল ফোন একাধিক বার পরিবর্তন করেছেন। অন্যদিকে, জেরার একদিন আগেই শনিবার তাঁর বাড়ির চারপাশে কবিতার সমর্থনে পোস্টার ছেয়ে যায়। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস-এর কর্মী-সমর্থকরা তাঁর ছবি নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “এক যোদ্ধার মেয়ে কখনও ভয় পাবে না। আমরা কবিতার সঙ্গে রয়েছি।”

    মামলাটি কী?

    দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মামলায় ইডি দিল্লি আদালতে রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে কে কবিতার নাম উঠে আসে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন অমিত অরোরা। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি দাবি করেছে যে, কেসিআরের মেয়ে কে কবিতা “সাউথ গ্রুপ” এর একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন ও তিনি অন্য এক ধৃত ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের মাধ্যমে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতাদের অন্তত ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত কবিতা সহ মদ কেলেঙ্কারিতে সাত অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বিজয় নায়ার এবং হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী অভিষেক বোয়নাপল্লির নাম রয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থেকে বড় ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঙ্কার দিলেন সেখানকার ভূমিপুত্র। তিনি বলেন, ‘১৭টি পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির ঝুলিতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।’ না! এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও জানান,২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। 

    কুণালকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন গোকুলনগরে, তখন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জনসংযোগ সারলেন সোনাচূড়ায় ! আর তাঁদের চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘিরেই ফের তেতে উঠল নন্দীগ্রামের মাটি। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ৩৬০০ বুথ কর্মীকে নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ কর্মসূচি – চাটাই বৈঠকে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সম্প্রতি কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া, নেতা ও কর্মীদের একাংশ ফের বিজেপিতে ফিরে যান শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যত চাটাই সভা হবে, দলে ততই ছাঁটাই হবে।

    আরও পড়ুন: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বিরোধী দলনেতার

    গাড়ি নয় বাইকে করে প্রচার করুন

    পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথকে বিজেপির দুর্গ করে তুলতে হবে, এই বার্তা দিয়ে এদিনের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গ্রামে গ্রামে গাড়ি করে নয়, পঞ্চায়েত ভোটে বাইক ও টোটো চড়ে ঘুরবেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যদি প্রকৃত গরীব মানুষজন বাড়ি না পেয়ে  শাসক দল ঘনিষ্ঠরা বাড়ি পান তাহলে প্রতিবাদ হবে’। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী  পঞ্চায়েতে শাসক দলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে  আলোচনা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘পালাবদলের’ দিন। আজ, সোমবার তার শুরু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরায় সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 

    সুকান্ত-শুভেন্দু পাশাপাশি

    এদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের খাস তালুক হাজরায় মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছেন যা রাজ্য বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সভায় দশ হাজার জমায়েতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উত্তর কলকাতার জমায়েত হবে ম্যাডক্স স্কোয়ারে। দক্ষিণ কলকাতা জেলার কর্মীরা সরাসরি হাজরা মোড়ে আসবেন। আর দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা দক্ষিণ শহরতলির কোথাও জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    হটুগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সভা

    ৩ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মমতার এলাকায় সভা করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত। আগামীকাল হাজরা মোড়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ভোটের বাংলায় দুই শীর্ষ নেতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় এখন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে শুধু পদ্মশিবিরই নয়, হাজরার সভায় বাড়তি নজর শাসক দলেরও। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রথমে আইনি জটিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায় হাজরায় ১২ ডিসেম্বর ও কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করতে পারবেন। তবে মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। 

    ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি

    গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। এদিকে, আজই ৩ দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। গত ২ বছর ধরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এবার তাদের লক্ষ্য মেঘালয়।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা (Sarada Math president) প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (Pravrajika Bhaktiprana)। রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ তিনি ইহলোক ছেড়ে চলে যান।  দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে ভক্তিপ্রাণা মাতাজি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ সন্ন্যাসিনীকে। হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। তীব্র জ্বরেও আক্রান্ত ছিলেন। রবিবার দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হয়ে যায়।  বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে তাঁর দেহ আনা হয় টালিগঞ্জে মাতৃ ভবনে। সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সারদা মঠে। 

    কর্মযোগী

    ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ অধ্যক্ষা পদে নিযুক্ত হন প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা। ২০০৯ সালে সঙ্ঘের তৃতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার মৃত্যুর পরে, ওই বছরের ২ এপ্রিল ওই পদে বসেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। টানা ১৩ বছর তিনি অধ্যক্ষা পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সারা জীবন সমাজ ও মানব কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। তার আগে দীর্ঘ সময় তিনি টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ওই হাসপাতাল ১০ শয্যার প্রসূতি সদন থেকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত হয়। সেখানে সকলের কাছে তিনি ছিলেন ‘বড় মা’ নামে পরিচিত। ধাত্রী বিদ্যায় পারদর্শী মাতাজি আপন স্নেহে ও মমতায় সারদা মাতৃভবনকে মা ও শিশুদের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল হিসেবে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    পূর্বাশ্রম

    ১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।   ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ছিল অগাধ। যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও। সারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে তিনি নার্সিং প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০ সালে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে ভক্তিপ্রাণা মাতাজীকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা দেন শ্রী রামকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ শিষ্য তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। অনেকের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন পূর্বাশ্রমের নাম কল্যাণীদি হিসেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • Gujarat: সুর বদল গুজরাটের আপ বিধায়কের! বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ভূপত ভায়ানি?

    Gujarat: সুর বদল গুজরাটের আপ বিধায়কের! বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ভূপত ভায়ানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বড় ধাক্কা খেতে পারে আম আদমি পার্টি! গুজরাট বিধানসভায় (Gujarat Assembly Elections 2022) প্রথমবার খাতা খুলেছে আম আদমি পার্টি (AAM Admi Party)। নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করেও আপ জেতে মাত্র ৫টি আসনে। তবে এতেও স্বস্তি নেই। কারণ সূত্রের খবর মারফত জানা গিয়েছে, আপের জয়ী পাঁচ বিধায়কই এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এদের মধ্যে যাঁর নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন গুজরাটের (Gujarat) ভিসাভাদারের আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানি। ফলে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ৭২ ঘণ্টা না পেরোতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দল বদলের খেলা।

    সংবাদমাধ্যমে কী বলতে শোনা গেল আপ বিধায়ককে?

    সদ্য নির্বাচিত আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানি সংবাদমাধ্যমে বললেন, “আমি বিজেপিতে যোগদান করিনি… আমি জনগণকে জিজ্ঞাসা করব আমার বিজেপিতে যোগ দেওয়া উচিত কি না।” এদিন তিনি আরও জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ, তাঁর সমর্থক এবং কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন, “আমার এলাকার সমস্যাগুলো যাতে সমাধান করতে পারি সেজন্য সরকারে যোগ দিতে চাই। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে কাজ করব কিভাবে?”

    আরও পড়ুন: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    ভূপত প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও আরএসএস-এর

    গুজরাট (Gujarat) নির্বাচেনর ফলাফলের পরেই সুর বদল আপ বিধায়কের! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে ভূপত ভায়ানি বলেন, “আমি নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করি। তিনি দেশের অহংকার। সমস্ত গুজরাটিরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে গর্বিত। আমিও গর্বিত।” গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে তিনি বলেছেন যে, “আমি এই আদেশকে সম্মান করি, এটি একটি ঐতিহাসিক ম্যান্ডেট। আগে আমি বিজেপিতেই ছিলাম আর বিজেপি আমার পরিবার। তবে এখন পর্যন্ত আমি আপে আছি, বিজেপিতে যোগ দেইনি।”

    ভিসাভাদার আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক

    ভূপত ভায়ানি সম্প্রতি শেষ হওয়া রাজ্য (Gujarat) বিধানসভা নির্বাচনে জুনাগড় জেলার ভিসাভাদার আসনে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। ভায়ানি বিজেপিতে যোগ দিলে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৭। আরও চার জন আপ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

    ফলে জুনাগড়ের ভিসাভাদার থেকে নির্বাচিত আপ বিধায়ক ভূপত ভায়ানির দলবদল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে আপ নিজেদের বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরেছিল। নির্বাচনের ফলে খুশি আপ। তারা বলছে, এটি কেজরিওয়ালের সৎ রাজনীতির জয়। আপ জানিয়েছে, আগামী বছর তারা ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তার আগেই গুজরাটের (Gujarat) নব-নির্বাচিত আপ বিধায়কদের দলবদলের জল্পনায় অস্বস্তি বাড়ল আম আদমি পার্টির।

LinkedIn
Share