Blog

  • Indonesia Visa: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর থাকার সুযোগ

    Indonesia Visa: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর থাকার সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংকে  ১ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তাহলেই ইন্দোনেশিয়ার ‘সেকেন্ড হোম’ ভিসা (Second Home Visa) পেয়ে যেতে পারেন আপনি। তবে এই পরিমাণ টাকা না থাকলে আবেদন করেও কোনও লাভ নেই। থাকলে আবেদন করতেই পারেন।

    ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) চাইছে চাকুরীজীবী হোন বা অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা আর্থিক দিক থেকে ক্ষমতাশালী কেউ যাতে সেই দেশকে নিজের দ্বিতীয় আস্তানা ভাবতে পারেন। ইন্দোনেশিয়া তাঁদের ১০ বছরের ভিসা দিতে প্রস্তুত। ৫ থেকে ১০ বছরের ভিসা দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।    

    আসলে ইন্দোনেশিয়া ধনীদেরই চাইছে। ধনীরা সে দেশে এসে থাকুন এবং অর্থব্যয় করুন এটাই চাইছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ ইন্দোনেশিয়া।      

    বিদেশি মুদ্রা দেশের অর্থনীতিকে যাতে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে সেই চেষ্টাতেই রয়েছে। আর আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু করা হচ্ছে বালিকে। এবার দেশে দীর্ঘদিন থাকার ভিসার ব্যবস্থা করে সেই পথ আরও প্রশস্থ করতে চাইছে তারা।ইন্দোনেশিয়াকে তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি করে তোলার জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানাচ্ছে তারা। তবে শর্ত একটাই পকেটে যথেষ্ট পয়সা থাকতে হবে। যা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিকে আখেরে সমৃদ্ধ করবে। 

    কিছুদিন আগে এই ঘোষণা হলেও, এখনও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বড়দিনের সময় এই প্রক্রিয়া চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ছবির মতো এইরকম একটি দেশে থাকতে পারা অনেকের জন্যেই সুবর্ন সুযোগ। 

    ইদানীং অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরতে যান। গত দু’বছরের অতিমারি পরিস্থিতি সামলে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সব দেশের পর্যটনকেন্দ্র। পরিবারের সঙ্গে ঘোরা তো বটেই, মধুচন্দ্রিমাতেও অনেকের পছন্দ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ।

    আরও পড়ুন: ফের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে

    ইমিগ্রেশন দফতরের কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিদেশি নাগরিকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” 

    নভেম্বর মাস থেকেই পর্যটক আসতে শুরু করে বালিতে। এ ছাড়া ওই মাসেই বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে ‘জি-২০ সামিট’। পাশাপাশি ‘গারুদা ইন্দোনেশিয়া’ বিমান সংস্থাটিও তাদের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করবে ওই সময়ে। আশা করাই যায়, ইন্দোনেশিয়ার দুরন্ত এই ভিসার প্রলোভন, অনেকের জন্যেই বড় সুযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • t20 world cup: আমরা জিততে আসিনি, তাই চাপটা ওদের, আমাদের নয়! ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য শাকিবের

    t20 world cup: আমরা জিততে আসিনি, তাই চাপটা ওদের, আমাদের নয়! ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য শাকিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। এই ম্যাচের ফলের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে দুই দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। তিনটি ম্যাচ খেলে টিম ইন্ডিয়া সংগ্রহ চার পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে বাংলাদেশও ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে রোহিত শর্মারা। কাগজে-কলমে ভারত শক্তিশালী হলেও ফরম্যাট যেহেতু টি-টোয়েন্টি তাই ম্যাচের ফল যা কিছু হতে পারে। তবুও বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন। তিনি বলেছেন, ” এই ম্যাচ আমরা জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন। ভারত সবদিক থেকেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তবুও আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরার চেষ্টা করব। চাপটা থাকবে ভারতের ওপর। কারণ রোহিত শর্মারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলছে। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। কঠিন লড়াই হলেও না জেতার কোনও কারণ দেখছি না। গ্রুপের বাকি দুটি ম্যাচ আমাদের খেলতে হবে ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কাগজে-কলমে দুটি দলই আমাদের থেকে এগিয়ে। তবে আমরা যদি সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরতে পারি তাহলে দিনটা আমাদের হতেই পারে। আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবোয়েকে দেখে শেখা উচিত দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের। ওরা ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়েছে। তাহলে আমরা ভারতকে হারাতে পারবো না কেন?’

    আরও পড়ুন: ছাত্র রাহুলের উপর ভরসা রাহুল স্যারের! বৃষ্টির আশঙ্কা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে

    দুরন্ত ফর্মে আছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। তাঁকে দ্রুত ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের বোলারদের। এই প্রসঙ্গে শাকিব বলেছেন, “সূর্য কুমার সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে। রেকর্ডের বিচারে আমার মনে হয় সূর্যই এখন ভারতের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। এছাড়াও আরও অনেক বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান আছে ওদের। আমরা এখনও টিম মিটিং করিনি। তাই বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলাদা আলাদা কোনও পরিকল্পনা তৈরি হয়নি। আমাদের যদি এই ম্যাচ জিততেই হয় তাহলে সব বিভাগেই সেরাটা দিতে হবে।”

    আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দল এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে তিনবার। ভারতের পক্ষে ফল আপাতত ৩-০। ডনের দেশে শাকিবরা ৩-১ করতে পারেন না ভারত প্রত্যাশামতোই জয়ের হাসি হাসতে পারে তা-ই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এরই মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশন প্রকাশিত খসড়া ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ নিয়ে আপত্তি জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই তাঁকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে দেখা গেল। শুধু তাই নয়, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের শাসকদলের তাঁবেদার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    তিনি এদিন অভিযোগ করেছেন, “আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়ার লাইসেন্স করে দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।” পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর ‘রিজার্ভেশন রোস্টার’ বের করেছে কমিশন। আর একে নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু। কমিশন প্রকাশিত খসড়ায় বলা হয়েছে, কোন আসন মহিলা এবং কোন আসন তপশিল জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ম মাফিক তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় ভাবে কোনও সমীক্ষা না করেই তৃণমূল নেতা এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ আমলাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খসড়াটি তৈরি হয়েছে। তাই তিনি দাবি করেছেন, এই খসড়া সমীক্ষা বাতিল করে ওবিসি জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ ধরে নতুন সংরক্ষণের তালিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বার করতে হবে।  

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    তিনি এদিন আরও অভিযোগ করেছেন, এই খসড়া নিয়ে যাতে বিরোধীরা কোনও আপত্তি না করতে পারে তার জন্য এই খসড়া ছুটির সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে আর পরামর্শ দানের শেষ দিনও রাখা হয়েছে ২ নভেম্বর। আর ২ নভেম্বরও ছুটির দিন। ফলে এমন সময়ে কীভাবে খসড়া বের করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলনেতা। ফলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এই ‘ড্রাফট সার্ভে’ বাদ দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করতে হবে। আর তা না হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছেন “তৃণমূল ব্লকের নেতা, যারা একশো দিনের কাজের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে মিলে বিডিওরা ‘ড্রাফট পাবলিকেশন’ করেছেন। একে চূড়ান্ত করলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।”

    এর আগেও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে৷ এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ৷ আর এবার ভোটের আগে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • NIFT: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    NIFT: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির (NIFT)  ২০২৩ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হচ্ছে আজ অর্থাৎ ১ লা নভেম্বর থেকে চলবে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২ অবধি‌। আগ্রহী প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এই ওয়েবসাইটে গিয়ে nift.ac.in,  খুঁটিনাটি সমস্ত কিছু তথ্য এখানেই পাওয়া যাবে ।

    যোগ্যতা: আবেদনকারীকে যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে ১০+২ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। 

    আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২৪ বছরের নিচে হতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা অর্থাৎ তপশিলি জাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা পাঁচ বছর অবধি বয়সের ছাড় পাবেন। 

    প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীরা ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি তে।

    বিষয়গুলি হলো:

    1)Accessory Design, 

    2)Fashion Communication 

    3) Fashion Design, 

    4)Knitwear Design, 

    5)Leather Design and Textile Design

    পরবর্তীকালে এখান থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। বিষয় গুলি হলো

    1)Master of Fashion Management (MFM)

    2) Master of Fashion Technology

    সাধারণ ক্যাটাগরির জন্য পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ১০০০ টাকা।

    ২০২৩ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লেট ফাইন দিয়ে আবেদন করা যাবে ।সেক্ষেত্রে লেট ফাইন দিতে হবে ৫০০০ টাকা। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ২০২৩ এর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে দেওয়া হবে। পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করা হয়েছে ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই সাধারণ মানুষের জন্য খুশির খবর। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মাঝে আজ কমানো হল এলপিজি অর্থাৎ রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। জনগণকে স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। এদিন বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১১৫.৫০ টাকা কমানো হয়েছে। তবে কমেনি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। পুরনো দামই রাখা হয়েছে এই সিলিন্ডারগুলির। প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই থেকে সারা দেশে ১৪ কেজি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে একনজরে দেখে নিন, কোন কোন মেট্রো শহরে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত হয়েছে।

    কলকাতা- ১১৫.৫০ টাকা কমানোর পরে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯৯৫.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৪৬ টাকা হয়েছে।

    দিল্লি- দাম কমানোর পরে এবার থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডার ১৮৫৯.৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৪৪ টাকায় পাওয়া যাবে।

    মুম্বই- দাম কমে যাওয়ার ফলে এটি ১৮১১.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৬৯৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

    চেন্নাই- দামের পরিবর্তনের ফলে এবার থেকে চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার ২০০৯.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৯৩ টাকায় পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি থেকে রেলওয়ে টাইম টেবিল! জেনে নিন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে বদলে যাওয়া নিয়মগুলি

    গত জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সাতবার দাম কমানো হল বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম (LPG Gas Price)। গত ছয় মাসে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের মোট দাম কমেছে ৬১০ টাকা। গত ১ অক্টোবরও বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছিল। এবারও এই মাসে ফের দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের। তবে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমলেও স্বস্তি মিলল না গৃহস্থের। ঘরোয়া গ্যাস অর্থাৎ ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একনজরে দেখে নিন।

    দিল্লিতে ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, চেন্নাইতে ১০৬৮.৫ টাকা এবং মুম্বইতে ১০৫২.৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ঘরোয়া রান্নার গ্যাস। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের শুরুতেই দেশের তেল কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ও ঘরোয়া সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করে (LPG Gas Price)। শেষবার গত ৬ জুলাই এই ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল ৫০ টাকা। এরপর আর দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে এক্ষেত্রে গৃহস্থে স্বস্তি না আসলেও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানে রান্নার খরচ কমে যাবে।

  • Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act), সংক্ষেপে সিএএ (CAA) মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তিনি অবসর নেবেন ৮ নভেম্বর। তার ঠিক দু দিন আগেই শুরু হবে শুনানি। সিএএ-র বিরুদ্ধে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২৩২টি। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। যেহেতু ললিত অবসর নেবেন ৮ তারিখে, তাই শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে জানান, সিএএ ক্ষতিকর নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সময় চাওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির স্বার্থে।

    ২০১৯ সালে তৈরি হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act)। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হয়নি মুসলমানদের। তার জেরেই শুরু হয় সমালোচনা।

    এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মূল আবেদন হিসেবে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনপত্রটি। তাদের দাবি, আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে। হাইকোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে চলা এ সংক্রান্ত শুনানি স্থগিত রাখতে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মুসলিম লিগের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Ammendment Act) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আবেদন করেছিল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিবিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চের মতো কয়েকটি সংগঠনও। আইনজীবী এমএল শর্মা এবং আইনের বেশ কিছু পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • The Wire Editor: অনলাইন পোর্টাল দ্য ওয়্যারের সম্পাদকদের  বাড়িতে তল্লাশি! বাজেয়াপ্ত নথি

    The Wire Editor: অনলাইন পোর্টাল দ্য ওয়্যারের সম্পাদকদের বাড়িতে তল্লাশি! বাজেয়াপ্ত নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্য ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক (The Wire Editor) সিদ্ধার্থ বরদারাজন ও সম্পাদক এম কে ভেনু, জাহ্নবী সেন এবং সিদ্ধার্থ ভাটিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।  বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর (Amit Malviya) এফআইআরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। সোমবার পুলিশের তরফে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর,তল্লাশির পর তাঁদের ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। 

    প্রসঙ্গত,  গত শনিবার দিল্লি পুলিশ ওই নিউজ পোর্টালের ও তার চারজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন মালব্য। কয়েকদিন আগে দ্য ওয়্যারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। পরে যদিও সেই প্রতিবেদনগুলি প্রত্যাহার করে নেয় ওয়্যার। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে ফেসবুক তথা মেটা অমিত মালব্যকে কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। এক্স-চেক নামে (X check-list on Meta) একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে অমিত মালব্যকে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অমিত বিজেপির বিরুদ্ধে ৭০০ পোস্ট ফেসবুক থেকে নামিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে মেটা। অমিত মালব্যও এই তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে সমাজসেবা, সবার ওপরে মাতৃত্ব…’, জানুন আরএসএসের মহিলা সংগঠনের আদর্শ

    এ প্রসঙ্গে  সিদ্ধার্থ বরদারাজন বা এম কে ভেনু এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। সাংবাদিক বরদারাজন বলেন, আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। তারা ডে ডিভাইস ও পাসওয়ার্ড চেয়েছিল তা তাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ চারটি ডিভাইস নিয়েছে। এর মধ্যে একটি ম্যাকবুক, দুটি আইফোন ও একটি আইপ্যাড রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jagadhatri Puja: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    Jagadhatri Puja: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরে এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে উৎসব মুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায় একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ।  সুসজ্জিত মন্ডপ, দূর্দান্ত আলোক সজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট  জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায় দুই শহরে। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয় হলো? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উপরে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা, এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, যে শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং  দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

    সারা রাজ্যের মানুষ তো এই দুই শহরে ভিড় করেই জগদ্ধাত্রী উপাসনায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেগ যেন আলাদাই থাকে। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা , কর্মসুত্রে হায়দরাবাদে থাকেন প্রিয়াঙ্কা ঘোষাল। জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে বাড়ি এসেছেন। তাঁর মতে, “দুর্গাপুজোর উন্মাদনা তো আমাদের আছেই, তার সঙ্গে আমরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি এই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যও। দুর্গা পুজোর দশমীতে অতটাও মন খারাপ করে না, কারণ জানি, মাতা দুর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে আবার আসছেন।”

  • ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন আইএসআই (ISI) প্রধান। এবার আইএসআইকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি বলেন, আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি। কিন্তু দেশের ভালর জন্য তা করব না।

    সম্প্রতি ইমরানকে নিশানা করে আইএসআই (ISI) প্রধান নাদিম আহমেদ অঞ্জুম বলেন, ইমরান সেনার সমালোচনা করছেন, কারণ সেনা তাঁর কথা মতো অসাংবিধানিক কাজ করতে সম্মত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার বাঁচাতে মদতের বিনিময়ে পাক সেনা প্রধান জেনারেল কমার জাভেদ বাজওয়াকে একটি লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইমরান। এর পরেই আইএসআই প্রধানকে একহাত নিয়েছেন পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান।

    হাকিকি আজাদি লং মার্চ করছে ইমরানের দল। লাহোরের লিবার্টি চক থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা যাচ্ছেন ইসলামাবাদ। সেই মার্চে যোগ দিয়েই ইমরান আক্রমণ শানান আইএসআই (ISI) প্রধানকে। বলেন, আইএসআইয়ের ডিজি কান খুলে শুনুন, আমি অনেক কিছুই জানি। কিন্তু আমি চুপ করে আছি কারণ আমি আমার দেশের ক্ষতি করতে চাইনি। দেশের ভালর জন্য আমি গঠনমূলক সমালোচনা করি। তা না হলে আমিও অনেক কিছু বলতে পারতাম। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তারা ভয় পেয়েছিল। কারণ আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফিরোজ হামিদকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলাম। তারা ভয় পেয়েছিল। এটা হলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। তিনি বলেন, আমি যাকে তাকে আর্মি চিফ পদে বসানোর কথা কখনও ভাবিনি। আমি এমন কোনও সিদ্ধান্তও নিইনি, যা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    এদিন ইমরানের মুখে আরও একবার ভারতস্তুতির কথা শোনা যায়। ভারতের স্বাধীন বিদেশ নীতি এবং রাশিয়া থেকে নয়াদিল্লির তেল কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমী দেশগুলির হুমকি অগ্রাহ্য করে জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে ভারত। ভারত পারলেও পাকিস্তান পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ইমরান। বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করেছে। যদিও পাকিস্তান দেশবাসীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট (Internet) এবং সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) মাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করছে। এমনকী যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের। শনিবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কমিটির এক সম্মেলনে এ কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    নয়াদিল্লিতে চলছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) স্পেশাল মিট। আলোচ্যসূচি, কাউন্টারিং দ্য ইউজ অফ নিউ অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ ফর টেররিস্ট পারপাসেস। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর। তখনই তিনি জানান, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা হাতিয়ার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সন্ত্রাসবাদ যে মানবতার বিরুদ্ধে বড় বিপদ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘের চেষ্টার কথাও। তিন বলেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত দু দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তার পরেও নির্মূল হয়নি সন্ত্রাসবাদ। তাঁর অভিযোগ, কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায্য করছে। এশিয়া এবং আফ্রিকায়ও সন্ত্রাসবাদ ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের সহযোগীরা, বিশেষত মুক্ত সমাজ দ্রুত নিজেদের আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষিত করে তুলছে। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টাকা ব্যবহার করে, স্বাধীনতা, সহমত ও প্রগতিকে আক্রমণ করে।

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তহবিলে চলতি বছর পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার কোটি ১০ লক্ষ টাকা) অনুদান দেবে ভারত। সেই অনুদান থেকে সদস্য দেশগুলির পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি জঙ্গি হামলা মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদিনের ভাষণে সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে সতর্ক হতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের বাইরে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। শুক্রবার শুরু হয়েছে এই বিশেষ সম্মেলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share