Blog

  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    SC on Hijab Row: ইউনিফর্ম চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির, হিজাব বিতর্কে ‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিফর্ম (Uniform) চালুর ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) মামলার শুনানিতে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের যুক্তি, ইউনিফর্ম পরার ওপর জোর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আরও পড়ুন : বাধ্য হয়ে কোরানের প্রসঙ্গ আনতে হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টকে, হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর যুক্তি, সরকারি স্কুলগুলি পোশাক বিধি চালু করতে পারে। তবে তারা হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এর পরেই বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইউনিফর্ম চালু করার ক্ষমতা রয়েছে। হিজাব এর থেকে আলাদা। ভূষণ বলেন, হিজাব পরা কোরানে বাধ্যতামূলক নয়। তবে বহু মুসলিম মহিলা এই প্রথা মেনে আসছেন। তাই এটা নিষিদ্ধ করা যায় না। আইনজীবী সোয়েব আলম বলেন, সরকার যদি হিজাব রেস্ট্রিক্ট করতে চায়, তবে তাকে তা করতে হবে আইনের পথেই।

    ওই মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এর (হিজাব বিতর্কের) একটা পথ হল কোরানের ব্যাখ্যা দেওয়া। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়ার বেঞ্চ জানায়, আমরা কোরানের ব্যাখ্যাকর্তা নই। আমরা এটা করতে পারি না। ধর্মীয় কোনও শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কোর্টের নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ghulam Nabi Azad: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    Ghulam Nabi Azad: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য কংগ্রেসত্যাগী রাজনীতিবিদ। গুলাম নবি আজাদ বলেন, “কোনও কিছুতেই আমি ভয় পাই না।” দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) অনন্তনাগে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে গুলাম নবি আজাদ বলেন, “আমি শুনাছি জঙ্গি সংগঠন আমায় হত্যার হুমকি দিয়েছে। ওরা বলেছে আমি নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু, ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে বলছি, জীবনে কখনও অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করিনি আমি। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে ঠিকই। তবে তা আমার কাজেরই অংশ ছিল। বহু রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গেই আমার বৈঠক হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়, কাশ্মীরে বললেন গুলাম নবি আজাদ

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও বলেন, “পঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরে আমার উপর অন্তত ৫০ বার প্রাণঘাতি হামলা হয়েছে। ভগবান আমায় বাঁচিয়েছেন। কিন্তু, ঈশ্বর যদি আমার প্রাণ কেড়ে নেন তবে আমার সমস্ত নীতি আদর্শ নিয়েই দেহত্যাগ করব। মিথ্যে অপবাদ নিয়ে নয়।” জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যারা হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন, মনে রাখবেন বন্দুক কোনও সমাধান হতে পারে না। বন্দুক শুধুই ধ্বংস এবং দুঃখের কারণ হতে পারে।” 

    লস্কর-ই-তইবা (LeT) জঙ্গি সংগঠন গুলাম নবি আজাদকে সরাসরি ‘রাজনৈতিক গিরগিটি’ বলে কটাক্ষ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণনাশের হুমকিতে আজাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বৈঠকের কথা উল্লেখ করে জঙ্গি সংগঠন। লস্করের (LeT) শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’-এর পক্ষ থেকে এই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই পোস্টারে এও বলা হয়েছে  পরিকল্পনা করেই কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী লিখেছে, “বিশ্বাসঘাতকের হৃদয় কখনও বিশ্বস্ততা দেখাতে পারে না। কেবল বিশ্বাসযোগ্য সাজার ভান করতে পারে মাত্র।” প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগস্ট কংগ্রেসের সঙ্গে কয়েক দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দল ছাড়ার সময় সরাসরি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁকে ‘শিশুসুলভ’ এবং ‘অপরিণত’ বলে আক্রমণ করেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী  

    শোনা গিয়েছে খুব শিগগিরি নিজস্ব রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মাটিতেই শুরু করবেন রাজনীতির নতুন অধ্যায়। এর মধ্যেই এক জঙ্গি গোষ্ঠীর হুমকির মুখে পড়তে হল তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উপত্যকায়।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Prince Harry and William: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানিকে শেষ বিদায়, সামরিক পোশাকে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

    Prince Harry and William: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানিকে শেষ বিদায়, সামরিক পোশাকে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর৷ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১১টায় রানিকে শেষ বিদায় জানানো হবে বলে ঘোষণা করেছে বাকিংহ্যাম প্যালেস। তাঁর আগেই প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry) ও উইলিয়ামকে (William) ওয়েস্টমিনার হলে সামরিক পোশাকে দেখা গেল। গতকাল ব্রিটেনের দীর্ঘমেয়াদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সম্মান জানাতে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি তাঁদের অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে সম্মান জানাতে ওয়েস্টমিনার হলে সামরিক পোশাক পরেছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রিন্স হ্যারিকে দেখা যাচ্ছিল সাধারণ পোশাকেই। ২০২০ সালের পর এই প্রথম বার সামরিকপোশাকে দেখা গেল হ্যারিকে।

    যদিও শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারলেও প্রিন্স হ্যারির ওপর সামরিক পোশাক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে শনিবার সামরিক পোশাকেই দেখা যায়। প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। তাই প্রিন্স হ্যারি সামরিক ইউনিফর্ম পড়ার অধিকারী নন বলে জানা যায়। যদিও এই প্রসঙ্গে অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছিল ও পরে তাঁকে ও মিলিটারি পোশাকে দেখা যায়। জানা গিয়েছে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লস শেষপর্যন্ত মিলিটারি পোশাক পরার অনুমতি দিয়েছেন। গতকাল এই সম্মান জানানোয় ব্রিটেনের বর্তমান রাজা চার্লস, প্রিন্স হ্যারি এবং প্রিন্স উইলিয়ামের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কন্যা প্রিন্সেস বিট্রিস এবং ইউজেনি, প্রিন্সেস অ্যানের সন্তান পিটার ফিলিপস এবং জারা টিন্ডাল এবং প্রিন্স এডওয়ার্ডের সন্তান লুইস এবং জেমস।

    আরও পড়ুন: তিনবার ভারত সফরে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! ফিরে দেখা ঐতিহাসিক মূহূর্ত

    রাজা চার্লসের দুই ছেলে ও বাকিরা কফিনের পাশে ১৫ মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করেন। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষ ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ও এবং রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ ৭০ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে, যা ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই লন্ডনের সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন জায়গাও ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং শেষকৃত্যের আগে অনেকগুলি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এদিন প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের আসার কথা।

  • Gautam Adani: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    Gautam Adani: বিশ্বের ধনীতম তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন আদানি, সত্যি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন। ২০২২ সালে এশিয়ার ধনী ব্যাক্তি হিসেবে উঠে আসার পর থেকেই প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছেন। গত সপ্তাহেই অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজসকে (Jeff Bezos) পিছনে ফেলে দিয়ে রেকর্ড করেছিলেন গৌতম আদানি। বিশ্বের ধনকুবেদের তালিকার তিন নম্বরে উঠে আসেন। 

    শুক্রবার একটা সময়ে ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেলেছিলেন আদানি। তিনি ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আর্নল্টকে (Bernard Arnault) পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখন করে ফেলেন। যদিও, কিছুক্ষণ পরই তিনি ফের তৃতীয় স্থানে নেমে আসেন। দ্বিতীয় স্থানে উঠে যান আর্নল্ট। বর্তমানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় ধনকুবের থেকে এগিয়ে আছেন শুধুমাত্র টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী বার্নার্ড আর্নল্ট।

    আরও পড়ুন: এখন বিশ্বের তৃতীয়তম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি, ধারে কাছে নেই আম্বানি!

    আজ গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ সব থেকে বেড়েছে। প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩.৩% শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধির উপর ভর করেই তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন। এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় এই স্থানে এসে পৌঁছেছেন। অপরদিকে, টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র আজই তাঁর পকেটে ৭৮৯ মিলিয়ন ডলার বা ০.২৮ শতাংশ অর্থ ঢুকেছে।

    চলতি বছরেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের তালিকায় থাকা ১০ জন ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যে কারও সম্পদ এতো বৃদ্ধি পায়নি। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেই শেয়ার বাজার খুলতেই লক্ষ্মীলাভ হয় আদানির। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কর্নধার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যাক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নেন। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের (Forbes) রিয়েল টাইম বিলিয়েনিয়ারদের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ৯২ বিলিয়ন ডলার।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    আদানি গ্রুপের বন্দর পরিকাঠামো, বিদ্যুত পরিষেবা, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনের অধিক ঋণ নিয়ে ফেলেছে। তার ফলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যদিও আদানি গোষ্ঠী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ১৫ পাতার একটি রিপোর্টে প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, তারা কীভাবে ঋণের বোঝা কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের স্টকগুলির অসাধারণ বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাড়িয়ে পাকাপাকি ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SCO summit 2022: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    SCO summit 2022: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে (SCO summit 2022) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Uzbekistan)। ইউক্রেন সংকটের মুহূর্তে এই সম্মেলনকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণবলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়া এসসিও-র (Bilateral Talk with Russia and China) অন্যান্য সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের পক্ষে আনতে এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

     



     
    ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই এই সময়ে সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনের মাঝে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও হতে পারে নরেন্দ্র মোদির। বৈঠক হতে পারে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। গত তিনবছরে এই প্রথমবার মোদি-জিনপিং মুখোমুখি সাক্ষাতের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  

    https://www.pib.gov.in/PressReleseDetailm.aspx?PRID=1859532

    সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপরের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লিতে। যার কারণে এবারের সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতের কাছে। চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ইরানের ইব্রাহিম রাইসিকেও। গত ছ মাস ধরে সমরকন্দে প্রস্তুতি চলছে এই সামিটের। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সাংহাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন। বর্তমানে আটটি সদস্য দেশ, চিন, ভারত, কাজাখাস্তান, কির্গিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান রয়েছে এসসিও-র।

    আরও পড়ুন: প্রথমে রাখা হবে কোয়ারান্টাইনে! আফ্রিকা থেকে বিশেষ বিমানে আসছে আটটি চিতা

    সম্প্রতি লাদাখে হট স্প্রিংয়ে পয়েন্ট-১৫ থেকে নিজেদের সৈন্য প্রতাহার করেছে ভারত এবং চিন। ২০২০ সালের থেকে লাদাখে ভারত-চিন টানাপোড়েন জারি রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এই টানাপোড়েন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। এরপর থেকে ক্রমেই অবনতি ঘটেছে ভারত-চিন সম্পর্কের। তাই সমরকন্দে মোদির সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক ঘিরে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। যদিও দুই দেশের তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। তবে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও সম্মেলন চলা কালীন অন্তত দুটি সেশনের জন্য মোদি এবং জিনপিং একই ঘরে উপস্থিত থাকবেন। 

    দিনভর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী মোদির। বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। কাদের সঙ্গে হবে এই বৈঠক সে বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভ, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন মোদি। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।   

    আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই উত্তাল সময়ে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু থেকে সন্ত্রাসবাদ এই সম্মেলনের আলোচনা ছুঁয়ে যাবে সমস্ত আন্তর্জাতিক সমস্যাকে। উঠে আসতে পারে সমাধান  সূত্রও।  এছাড়াও আলোচনার বিষয় হবে, জলবায়ু, অর্থনীতি, উন্নয়ন, বিনিয়োগ। তাই এই সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা বন্দরে (Calcutta Port) আটক হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার হেরোইন। ওই হেরোইন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে সরবরাহ করার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির (BJP)। হেরোইন (Heroin) এসেছিল শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে। গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছিল মাদক। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য  দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    যে পথে পাচার…

    তাঁদের দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির দাবি, শরিফুল সন্দেশখালি এক ও দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি বন্দরে ধরা পড়ে ৪০ কিলোগ্রামে হেরোইন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। বিজেপির এই দুই রাজ্য কর্তার দাবি, এই মাদক পাচারের সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।   

    আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    চলতি মাসের ৯ তারিখে গুজরাট পুলিশের এটিএফ তল্লাশি চালায় কলকাতা বন্দরে। বাজেয়াপ্ত হয় দুশো কোটি টাকার হেরোইন। বিজেপির দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই পরিমাণ হেরোইন বুক করা হয়েছিল। মোট ৬০৫টি প্যাকেটে এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টেসের সঙ্গে লুকিয়ে আনা হয়েছিল ওই মাদক। বন্দরে মাদক পড়ে রইলেও, শরিফুল তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যাননি। পদ্ম শিবিরের দাবি, দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের সমস্যার কথা জানিয়ে বন্দর থেকে ওই মাদক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেনার। বিজেপির অভিযোগ, এর পরে পরেই হাওয়া হয়ে যান শরিফুল। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

    সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন সিবিআইয়ের থেকে রাজ্যের সিআইডি বেশি কার্যকর। সেই কারণে আমি চাইব, শরিফুল কোথায় আছেন, রাজ্যই তা খুঁজে বার করুক। জানা গিয়েছে, শরিফুলের এক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্দেশখালির ব্লক ২ এর তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি ওই মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন বিজেপির ওই দুই নেতা। মাদক ব্যবসার জন্য একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। শরিফুল ওই টাকা কোথায় পেয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও দাবি করেন সুকান্ত। শরিফুলের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও জানান সুকান্ত ও জগন্নাথ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • S Jaishankar: চিন-সীমান্তে একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, এখনও অনেক পথ বাকি! দাবি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: চিন-সীমান্তে একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, এখনও অনেক পথ বাকি! দাবি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চিন (China) সীমান্তে  (Border Pacts) একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পূর্ব লাদাখের গোগরা হটস্প্রিং পেট্রলিং এরিয়া ১৫ থেকে সেনা সরানোর কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। এ প্রসঙ্গে এই মত প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তবে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। অরুণাচল সীমান্তে এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। একটা সমস্যার সমাধান হয়েছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে অন্য সমস্যাগুলোরও মীমাংসা করতে হবে। “

    বুধবার,  ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্যের বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে, জয়শঙ্কর বলেন, “এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সমভাবাপন্ন দেশগুলির এক সঙ্গে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।” সন্ত্রাস দমনে ভারত-ফ্রান্স দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করছে বলে জানান জয়শঙ্কর।

    দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনারও সঙ্গে বৈঠকের সময়, দুই দেশের উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়। কথা হয় প্রতিরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, ভূ-রাজনীতি নিয়েও। কোলোনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বার্তা জানান। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ট্যুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share