Blog

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • POCSO Act: ‘শরিয়ৎ আইন পকসো আইনের ওপরে নয়’, আঠারোর কম বয়সে বিয়ে বেআইনি বলল কর্নাটক হাইকোর্ট

    POCSO Act: ‘শরিয়ৎ আইন পকসো আইনের ওপরে নয়’, আঠারোর কম বয়সে বিয়ে বেআইনি বলল কর্নাটক হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে পকসো আইন (POCSO Act) বিরোধী। শরিয়ৎ আইন পকসো আইনের থেকে বড় হতে পারে না। এই বিয়ে বেআইনি। এমনই নিদান দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। ১৫ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে করার অনুমতি দেয় ইসলামিক আইন। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই ইসলামিক রীতির পক্ষেই রায় দিয়েছে। কিন্তু এই রায় খারিজ করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, পকসো (POCSO) আইন ওই ইসলামিক আইনের ঊর্ধ্বে। তাই ১৫ বছরের কোনও কিশোরীকে বিয়ে করা ও তাকে গর্ভবতী করে দেওয়া ভারতীয় আইন-বিরুদ্ধ এবং ধর্ষনের সমান। এক মামলা প্রসঙ্গে এই রায় দেয় আদালত। ওই অভিযুক্তকে এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মুসলিম কিশোরীর বিয়েকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি রাজেন্দ্র বাদামিকরের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি হয়।           

    সম্প্রতি এক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরীর স্বামীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধক আইনের ৯ ও ১০ ধারায় মামলা হয়। এছাড়া পকসো আইনের ৪ ও ৬ ধারায় মামলা রুজূ হয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করা ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে মামলা করা হয়।

    আরও পড়ুন: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর  

    চলতি বছরের জুন মাসে প্রথম ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় বয়স ছিল ১৭ বছর। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। কিশোরীর স্বামীর বিরুদ্ধে কে আর পুরম থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার হন যুবক।    

    এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। কর্নাটক হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী জানান, বিয়ের সময় ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছিল কিশোরীর। ইসলামিক আইনে যা বৈধ। তাই এই বিয়েকে অবৈধ বলা যায় না। কিন্তু আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি উল্লেখ করেন, পকসো আইন এক বিশেষ আইন। এটি ইসলামিক আইনের ঊর্ধ্বে। পকসো আইন অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের ন্যুনতম বয়স ১৮। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • FD Interest: স্থায়ী আমানতে এই চার ব্যাঙ্কে সুদের হার বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি, জানেন?

    FD Interest: স্থায়ী আমানতে এই চার ব্যাঙ্কে সুদের হার বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বেশ কিছু ব্যাঙ্ক নিজেদের স্থায়ী আমানতে (Fixed Deposits) সুদের হার বাড়িয়েছে। যেমন ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’বার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও সুদের হার বাড়িয়েছে এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই, অ্যাক্সিস, কোটাক মাহিন্দ্রা, আইডিএফসি এবং আরবিএল ব্যাঙ্ক। রেপো রেট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই মূলত স্থায়ী আমানতে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে চার ব্যাঙ্কে সুদের হার ৭%- এরও বেশি। 

    আইডিএফসি ব্যাঙ্ক: ৭ দিন থেকে ১০ বছরের স্থায়ী আমানত করা যাবে এই ব্যাঙ্কে। প্রবীণ নাগরিকরা এই আমানতগুলিতে ৫০ বিপিএস পাবেন। ৭৫০ দিনের স্থায়ী আমানতে সুদের হার ৭.২৫%। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই হার ৭.৭৫%। 

    আরবিএল ব্যাঙ্ক: ১৫ মাসের স্থায়ী আমানতে এই ব্যাঙ্কে সুদের হার ৭%। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সুদের হার ৭.৫%। 

    ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া: ২ কোটির নীচে স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়িয়েছে এই ব্যাঙ্কও। এই ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতে সুদের হার ৩%-৭%। ৭ দিন থেকে ১০ বছরের স্থায়ী আমানতের প্রকল্প রয়েছে এই ব্যাঙ্কের। 

    কানাড়া ব্যাঙ্ক: ৬৬৬ দিনের একটি বিশেষ স্থায়ী আমানতের প্রকল্প লঞ্চ করেছে এই ব্যাঙ্ক। এই স্থায়ী আমানত প্রকল্পে সাধারণদের জন্যে সুদের হার ৭% এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে ৭.৫%। 

    সম্প্রতি রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের একাধিক ব্যাঙ্কও নিজেদের ঋণদানের সুদের হার বাড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও (State Bank Of India) ঋণে সুদ বাড়িয়েছে। এছাড়া আরও অনেক ব্যাঙ্ক ঋণের সুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শুক্রবার রেপো রেটে ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এই রেপো রেট বৃদ্ধির কারণেই স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়িয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।

    আরও পড়ুন: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বছর মে মাস থেকে শুরু করে চারবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শুক্রবার, চতুর্থবার রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। আরবিআই এই বৃদ্ধির পরে রেপো রেট ৫.৯০ শতাংশতে পৌছে গিয়েছে। এই দরেই আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাতুরে মন্দিরের সামনে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই (NIA)। তারা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে কেরালা লিংকের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তার পরেই গাড়িগুলিতে নাকাচেকিং শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। কোয়েম্বাতুরে যে ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। এই মর্মে রাজ্যগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    রবিবার সকালে কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। ওই ঘটনার পরে পরেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডেরও তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  

    এক প্রবীণ তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, এনআইএ নিশ্চিত করেছে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অন্যান্য রাজ্যেও জনবহুল এলাকাগুলিতে এরকম হামলা হতে পারে। এনআইএর তরফে এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। ওই আধিকারিক বলেন, রাজ্যের সন্দেহভাজন বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নজর রাখছি আমরা। তার মধ্যে কয়েকটি গোষ্ঠীর ওপর আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) পর রাজ্যের গাড়িগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িগুলিতে চেকিং চালানো হচ্ছে। হঠাৎ করে গাড়ি পরীক্ষার জন্যও স্পেশাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে সেগুলি এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না।

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Coimbatore Blast) গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরোজ ইসমাইল নামে একজনকে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বিতাড়িত হয়ে এসেছেন। এক আধিকারিক বলেন, কেরালার কয়েকজন যুবককে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তাড়ানো হয়েছে। আইএস কাজের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ। ঘটনা প্রবাহের ওপর আমরা কড়া নজর রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কবে তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও ভয়াবহ। দিনের পর দিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। আবার এখন আবার শুধুমাত্র ডেঙ্গিই নয়, ম্যালেরিয়াও নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বললেন, “ভয়ঙ্কর অবস্থা, সরকার নেই, সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।”

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৯৭৪৪ জন। আবার অন্যদিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অন্তত ৬২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    ফলে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রশ্ন করেন, ‘এই মৌসুমে রাজ্যে ৪০ হাজার এরও বেশি ডেঙ্গির ঘটনার সামনে এসেছে। অক্টোবরের শেষের দিকে শহর কলকাতায় ৩৫০০ জনের বেশি কেস সামনে এসেছে। এই রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গি কেস কি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নজর এড়িয়ে গিয়েছে? কবে তৎপর হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে, সেই সব এলাকা গুলি কি স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে? কি কি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতিদিন ডেঙ্গিতে মানুষ মারা যাচ্ছে এমনকি পুলিশকর্মীরাও সুরক্ষিত নয়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মেজাজ থেকে বের হওয়া উচিত, কারণ ছুটি শেষ।’  

    প্রসঙ্গত, প্রতি দু’মাস অন্তর অন্তর পতঙ্গ বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের পরিসংখ্যান কেন্দ্রকে পাঠাতে হয়, প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে। সব রাজ্য থেকে ডেটা আসার পর সেগুলি বিশ্লেষণ করে তারপর সেগুলি প্রকাশ করে কেন্দ্র। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশের ম্যালেরিয়া রিপোর্ট চলতি মাসে সর্বসমক্ষে এনেছে কেন্দ্র সরকার। তবে ম্যালেরিয়ার পরিসংখ্যান পাঠানো হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রকে এখনও ডেঙ্গি রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। আৎ এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পর থেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এবং মৃতের কোন তথ্য কেন্দ্র সরকারকে পাঠায়নি রাজ্য। শেষবার যখন ডেঙ্গির রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল তখন রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩৯। বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। ফলে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। ও এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন।

  • Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    Sukumar Ray: ‘হ য ব র ল’ এর রচয়িতার জন্মদিন আজ, জানুন তাঁর জীবন কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানের শৈশব আটকে রয়েছে স্মার্টফোনের (Smart Phone) গেম এবং ইউটিউবের (Youtube) কার্টুনে। কিন্তু যখন স্মার্টফোন ছিল না, ইউটিউবের এত চল ছিল না, তখনকার শৈশবে বেশ কিছু বন্ধু ছিল। কিছু বন্ধু আমাদের সঙ্গে স্কুলে যেত, কিছু বন্ধু একসঙ্গে ডাংগুলি, লুকোচুরি, ক্রিকেট খেলতো। আর কিছু বন্ধু ছিল কাল্পনিক। শৈশবের এক বন্ধু ৪১ নম্বর গেছোবাজার কাগেয়াপট্টি-র বাসিন্দা।

    শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচের কথা আমাদের নিশ্চয়ই এখনও মনে আছে। আমরা ভুলিনি সেই চন্দ্রবিন্দু নামের অদ্ভুত মোটাসোটা লাল টকটকে বিড়ালটাকে। যে কথায় কথায় এক চোখ বন্ধ করে বিশ্রী রকমের হাসি হাসতো ফ্যাচফ্যাচ করে। কিংবা ধরুন ওই হিজিবিজবিজ-এর কথা।  বিদঘুটে দেখতে এই জন্তুটি যা খুশি কল্পনা করে আর সেগুলো ভেবে ভেবে হেসে গড়িয়ে পড়ে। পাগলা দাশুর কথা শুনতে শুনতে তো হেসে লুটিয়ে পড়ে না এমন মানুষ খুব কম আছেন। বিশেষত নাটকের স্ক্রিপ্টের বাইরে গিয়ে যখন দাশু বলে ‘আবার সে আসিয়াছে ফিরে’। নন্দলাল কে তো আজও ভুলিনি আমরা। বেচারার কপালটা সত্যিই মন্দ। এদের নিয়েই অনেকের শৈশব কেটেছে। স্রষ্টার নাম নিশ্চয়ই আলাদা ভাবে মনে করাতে হবে না। আজ তাঁর জন্মদিন। আবোলতাবোল, হযবরল-র রচয়িতা বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় ও বিধুমুখী দেবীর পুত্র। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই-বোন। সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা নামের তিন বোন এবং সুবিনয় রায় ও সুবিমল রায় নামের দুই ভাই।

    সুকুমার রায়ের (Sukumar Ray) জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্ম পরিবারে। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় ছিলেন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক‌। এই অসামান্য প্রতিভার যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘পাগলা দাশু’ চরিত্রের স্রষ্টা। সুকুমার রায়ের মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। সুকুমার রায়ের আদিনিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা) কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। মসূয়াতে বসবাসের আগে তাঁর পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহে৷ চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। শিশু সাহিত্যের বইগুলির চিত্র তিনি নিজেই আঁকতেন। ছাত্রাবস্থায় অসাধারণ মেধাবী এই ছাত্র কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। সেখানে তিনি আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন এবং ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতে ফিরে আসেন ১৯১৩ সালে। উপেন্দ্রকিশোর রায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা ‘সন্দেশ’ চালাতেন। সুকুমার রায় দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর রায় প্রয়াত হলে, ‘সন্দেশ’ পত্রিকার দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন সুকুমার রায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি ‘ননসেন্স সংঘ’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার মুখপত্রের নাম ছিল ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’।

    সুকুমার রায় (Sukumar Ray) ‘অতীতের কথা’ নামক একটি কাব্য রচনা করেছিলেন, যা ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছিল – ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাব্যটি একটি পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করা হয়। ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এই বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পরলোক গমন করেন। কালাজ্বর রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দুঃখের কথা তখনও অবধি কালাজ্বর রোগের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। পিতা সুকুমার রায়ের মৃত্যুর ঠিক দু বছর আগে ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সুযোগ্য সন্তান সত্যজিৎ রায় যিনি পরবর্তীকালে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা বাঙালি হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন অস্কার।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর উদাহরণ ছট পুজো, ‘মন কি বাত’-এ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর উদাহরণ ছট পুজো, ‘মন কি বাত’-এ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবারের ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Batt) অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রথমে সকল দেশবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন ও সূর্য দেবতার প্রণাম জানান। এবং এরপরেই তিনি সৌর শক্তিকে ব্যবহার করে ভারতের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ক্রমেই সৌর বিদ্যুৎ মানুষের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠছে। অর্থাৎ সূর্য দেবতার পুজোর দিনেই তিনি দেশবাসীকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, কীভাবে সৌরশক্তির মাধ্যমে মানুষ সাহায্য পেতে পারে ও জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।

    তিনি আজ বলেন, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর অন্যতম নিদর্শন হল ছট পুজো, প্রধানমন্ত্রীর কথায় ছট পুজোয় সূর্যের উপাসনা করা হয়। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যে প্রকৃতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই পূজার আচারই তার প্রমাণ। এরপরই মোদি তাঁর ভাষণে দেশজুড়ে সৌর বিদ্যুতের প্রসারের পক্ষে সওয়াল করেন। সকলকে পরিবার পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন করার আবেদন জানান।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    তিনি (Narendra Modi) আরও বলেছেন যে, ভারত তার প্রাচীন ঐতিহ্যগত অভিজ্ঞতাকে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত করছে এবং আজ সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে ভারত শীর্ষে রয়েছে। এরই উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, দেশের প্রথম গ্রাম,গুজরাটের মোধেরা যেখানে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তিনি বলেন, “মোধেরা গ্রামে প্রায় সমস্ত বাড়িই তাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সৌর শক্তি ব্যবহার করে। সেখানকার মানুষ শুধু সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারই করছে না, এর থেকে আয়ও করছে। মোধেরা এখন সারা দেশের জন্য মডেল হয়ে উঠেছে।”  তিনি জানান, গুজরাটের মোধেরা গ্রামকে সৌর গ্রামে পরিণত করা হয়েছে।

    এদিন তিনি (Narendra Modi) দেশের মহাকাশ গবেষণারও উল্লেখ করেন। গত ২৩ অক্টোবর মহাকাশে ইসরোর ৩৬টি ব্রডব্যান্ড স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি ভারতের বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে জানান যে, আজ ভারতের বিজ্ঞানীরা শুধু দেশীয় প্রযুক্তিই তৈরি করেননি এবং মহাকাশে কয়েক ডজন স্যাটেলাইটও পাঠাচ্ছেন। দেশের তরুণদের কথাও তিনি বলেছেন। “ছাত্রশক্তি ভারতকে শক্তিশালী করার ভিত্তি। তরুণরা তাদের মেধা দিয়ে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে,” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন।

  • RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    RSS: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না আরএসএস (RSS)। এ কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু (Minority-Majority) এই বিভাজনে বিশ্বাস করে না সংঘ। এই দেশের নাগরিকরা সবাই সমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা যে এক সেকথা সরসংঘচালকজি (মোহন ভাগবত) বহু বার বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আমাদের ডিএনএ এক, ইতিহাসও এক। সুনীল বলেন, সেই কারণে আমরা প্রত্যেককেই নিজের বলে মনে করি। তাই আমরা প্রত্যেকের জন্য এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে প্রস্তুত।

    সন্ত্রাসবাদ যে দেশের পক্ষে বড় বিপদ, এদিন তাও জানিয়ে দেন সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আমাদের দেশকে এদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এই শক্তিকে পরাস্ত করতে আমাদের পুলিশ ও সশস্ত্র নেতা প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা সন্ত্রাসবাদ এবং আইনশৃঙ্খলার ব্যাপার। আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা এদের সঙ্গে লড়ছে।

    আরএসএসের (RSS) এই নেতা বলেন, সংঘ সমতা ও ঐক্যের জন্য কাজ করে। এজন্য আমরা অবিরাম কাজ করে চলেছি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষই স্বয়ংসেবক হচ্ছেন। আর এই স্বয়ংসেবকরা পৌঁছে যাচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। তিনি বলেন, সর্ব প্রথম তাঁদের সমান সুযোগ দিতে হবে। এটা করতে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রত্যেকে যাতে পরস্পরকে চেনেন, জানেন, সেজন্যও আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় সামাজিক সদ্ভাব বৈঠকের আয়োজন করে চলেছি। আমাদের স্বয়ংসেবকরা সমাজের সঙ্গে কাজ করছে। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যাতে কেউ নিজেকে অসহায় মনে না করেন অথবা কারও কোনও অভাব না থাকে। তিনি বলেন, স্বয়ংসেবকরা বহুমুখী কাজ করছেন যাতে করে সাম্যের পরিবেশ গড়ে ওঠে, সবাই সমান সুযোগ পান।  

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    ২০২৫ সালে শতবর্ষপূ্র্তি পালন করবে সংঘ (RSS)। সে প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, সবার কল্যাণার্থে সংঘ যেসব কাজ করছে, তার সুফল যাতে সবাই ভোগ করতে পারেন, সেজন্য দেশের সর্বত্র আমাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। ২০২৪ সালের মধ্যে তা করাই আমাদের লক্ষ্য। তার আগে পর্যন্ত আমাদের স্বয়ংসেবকরা দ্রুত সেই সব জায়গায় পৌঁছে যাবেন, যেখানে আমাদের উপস্থিতি নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    CTET 2022: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জন্য ‘সি-টেট’ এর দরখাস্ত নেওয়া শুরু ৩১ শে অক্টোবর থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ তম সেন্ট্রাল টেট পরীক্ষার দরখাস্ত নেওয়া শুরু হবে ৩১ শে  অক্টোবর ২০২২ থেকে। চলবে ২৪ শে নভেম্বর অবধি। এই পরীক্ষার দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় ও তিব্বতী স্কুল গুলিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর স্তর অবধি শিক্ষক- শিক্ষিকা হওয়া যাবে। কয়েক শো’ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে এই পরীক্ষার দ্বারা।

    যোগ্যতা

    নিম্নলিখিত গুলির মধ্যে যে কোনো একটি যোগ্যতা থাকলেই এই পরীক্ষায় বসা যাবে।

    প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্ষেত্রে

    ১) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর পেয়ে যেকোন শাখার উচ্চমাধ্যমিক পাশরা  ২ বছরের ডি এল এড   কোর্স পাশ হলে।

    ২) মোট ৫০ শতাংশ নম্বর সহ ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাশরা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ( স্পেশাল এডুকেশন) এর ২ বছরের কোর্স পাশ হলে অথবা পাঠরত থাকলে।

    ৩) যে কোন শাখার গ্রাজুয়েটরা বিএড কোর্স পাশ হলে বা পাঠরত থাকলে।

     ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ক্ষেত্রে 

    ১) ডিগ্রি কোর্স পাশরা ,এলিমেন্টারি এডুকেশন এর উপর ২ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ বা এ বছরের ফাইনাল পরীক্ষার্থী হলে।
    ২) মোট অন্তত ৫০% ( তপশিলি , ওবিসি দের জন্য ৪৫%) নম্বর সহ ডিগ্রি কোর্স পাশরা ১ বছরের বিএড কোর্স পাশ হলে।

    ৩) মোট অন্তত ৫০% নম্বর সহ  উচ্চমাধ্যমিক পাশরা চারবছরের বিএ/বিএসসি (এড)/ করে থাকলে।

    এবছরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীরাও এই পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবে। যদি ঐ একই শতাংশ নম্বর পাওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত থাকেন।

    পরীক্ষা হবে কলকাতা, দুর্গাপুর, আগরতলা ,গ্যাংটক, সম্বলপুর, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, ধানবাদ, বোকারো, শিলচর, গুয়াহাটি ,পাটনা এবং গয়া তে। প্রশ্ন হবে বাংলা ,ইংরেজি, হিন্দি ,অসমীয়া সহ দেশের কুড়িটি আঞ্চলিক ভাষায়। যেকোনো দুটি ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আড়াই ঘন্টার এই পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পেপারে আবার আড়াই ঘন্টার পরীক্ষা হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। নেগেটিভ মার্কিং নেই। এমসিকিউ প্রশ্ন আসবে। পরীক্ষা হবে দেড়শো নম্বরের। বিস্তারিত তথ্য পেতে ক্লিক করুন এই ওয়েবসাইটে www.ctet.nic.in

LinkedIn
Share