Blog

  • Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ চিন (China) এবং আমেরিকার (USA)। আর এর মাঝেই চিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden)। বাইডেন বলেন, “চিন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে (Taiwan) রক্ষা করবে।” চিন বহুদিন ধরেই তাইওয়ানের ওপর নিজের অধিকার দাবি করে আসছে। এই বিষয়ে রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, “যদি তাইওয়ানের ওপর অপ্রত্যাশিত কোনো হামলা আসে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে।” সত্যিই কী বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ এবার সম্মুখ সমরে? এটাই কী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস? এখন এই চিন্তাই ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। যদিও এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউজ জানায়, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    চিনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান। বহুদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে জিংপিং- এর দেশ। ওয়াশিংটন এই ইস্যুতে বরাবরই কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে এর আগে সরাসরি ঢুকতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপদেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট অনুসারে ওয়াশিংটন তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করে। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা খাতে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে। আমেরিকা চায় তাইওয়ানের সমস্যাটির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক।  

    সম্প্রতি, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক তাইওয়ান সফর করেন। এর পরেই মার্কিন-চিন সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদের তাইওয়ান থেকে ফিরে যাওয়ার পরেই সামরিক অনুশীলন শুরু করে চিন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য  

    সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সেনেটে পাশ হয়েছে। এই বিল অনুমোদন পাওয়ার পরেই চিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকার বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করে বলে, ‘এক চিন নীতি’- র অবমাননা করেছে আমেরিকা। চিনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। 

    এই মুহূর্তে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং আশেপাশের এলাকায় ফাইটার প্লেন উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আর এর মাঝেই তাইওয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বাইডেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বম্বে হাইকোর্টের (Bomby High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হতে চলেছেন। কারণ তাঁর পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (U U Lalit) নেতৃ্ত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Collegium) এক বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয় ও সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বম্বে হাইকোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে দীর্ঘদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০০৬ সালের ২২ জুন এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার কলেজিয়াম তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta) থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি (LLB Degree) নেন। সেই বছরের ১৬ নভেম্বরে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রয়াত সলিল কুমার দত্তের ছেলে এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের শ্যালক, যিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি ২০০২-এর মে থেকে ২০০৪-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সেল ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলানোর পর বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আবার তিনি ১৯৯-৯৭ থেকে ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ল-এ গেস্ট লেকচারার ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rupee Vs Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার দামে সর্বকালীন পতন!

    Rupee Vs Dollar: ডলারের তুলনায় টাকার দামে সর্বকালীন পতন!

    ডলারের তুলনায় টাকার সর্বকালীন পতন (Rupee to Dollar)

    ভারতীয় টাকার দর (Indian Rupee Price) ক্রমশ কমেই চলেছে। মার্কিন ডলারের (Rupee to Dollar) তুলনায় রেকর্ড পতন ভারতীয় মুদ্রায়। এই প্রথম টাকার দাম এতটা কমেছে। ফলে ডলার প্রতি টাকার দামে ফের একবার সর্বকালীন পতন ঘটল (Rupee to Dollar)। কিছুদিন আগেই টাকার দর নামে ৮১ টাকা ৯ পয়সায়। আর আজ আগের রেকর্ডকেও টপকে গেল ভারতীয় মুদ্রার দাম। আজ, বুধবার প্রতি ডলার পিছু টাকার দাম ৮১.৯৩-তে নামে। ডলার প্রতি টাকার মূল্য ৮২ হওয়ার দিকে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

    এই দাম আসার আগে এদিন সকালে ১০ টা নাগাদ ডলার প্রতি টাকার দাম হয়েছিল ৮১. ৯০৫০ ও এর আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৮১.৫৭৮৮। এর আগে কখনও এত নিচে নামেনি টাকার দর। এক বছর আগেও যেখানে ৭৪ টাকা দিলেই ১ ডলার পাওয়া যেত, সেখানে বর্তমানে ১ ডলার পেতে হলে ভারতীয়দের খরচ করতে হবে প্রায় ৮২ টাকা (Rupee to Dollar)। এইভাবে টাকার দর কমতে থাকলে তা ভারতীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছো। আর এমনটা বজায় থাকলে দেশের মানুষের জন্য মোটেই এটি সুবিধার হবে না।

    ফেডারেল রিজার্ভে রেপো রেট বৃদ্ধি 

    গত সপ্তাহে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) তরফে তৃতীয় বারের জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়। রেপো রেট (Repo Rate) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোয় ধসের মুখে পড়েছে টাকা। আর তারপর থেকেই টাকার দামে ২.২৫ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিগত ২০ বছরে ডলারের দাম সর্বোচ্চ (Rupee to Dollar) হয়েছে। আগামী দিনেও সুদের হার আরও বাড়বে বলে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির ফলেই তাদের সুদের হার বাড়ানো হয়। আর তারপর থেকেই ভারতীয় মুদ্রার এই বেহাল পরিস্থিতি। যত দিন যাচ্ছে ততই তলানিতে গিয়ে পৌঁছোচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা।

    অন্যদিকে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছেন, রিজার্ভ ব্যাংক এই পরিস্থিতিকে ঠিক করতে রেপো রেট বাড়াতে পারে। কিন্তু এতে টাকার দাম বাড়লেও অন্যদিকে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়বে। কারণ তখন ভারতের বিভিন্ন ব্যাংক ও লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। হু হু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে। যদিও উৎসবের মরশুম থেকেই একাধিক জিনিসের জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

  • DA Hike: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    DA Hike: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগেই কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। সরকারি কর্মীদের পুজো, দীপাবলির উপহার দিল মোদির মন্ত্রিসভা।  কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। আর্থাৎ পুজোর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। এর ফলে উপকৃত হবেন ৫০ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬২ লাখ পেনশন প্রাপক। 

    আরও পড়ুন: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    সূত্রের খবর, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দুর্গাপুজোর আগে বুধবার মোদির নেতৃত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি তার মধ্যে একটি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রকে অতিরিক্ত ১২,৮৫২ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

     বর্ধিত ডিএ ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর  হওয়ার কথা। ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বাড়বে। কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতনের একটি নির্দিষ্ট ধারা আছে। ন্যূনতম বেতন+ডিএ তার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যালাওয়েন্স। যদি কোনও সরকারি কর্মচারীর মাসিক বেসিক হয় ২০,০০০ টাকা। অর্থাৎ এতদিন ডিএ বাবদ মাসে ৬,৮০০ টাকা যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী পান এবার সেটাই বেড়ে দাঁড়াবে ৭,৬০০ টাকা। মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা। শুধু উৎসব নয়, উৎসবের পাশাপাশি রয়েছে মুদ্রাস্ফীতিও। দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বর্ধিত ডিএ নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা দেবে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (Nasa) আর্টেমিস চন্দ্রাভিযানের (Artemis Mission) জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। কিউবার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানকারী হ্যারিকেন ঝড় মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ফ্লোরিডার (Florida) দিকে এগিয়ে আসছে। প্রবল বাতাস সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় চন্দ্রাভিযান আপাতত স্থগিত করছে নাসা। দু’বার পরপর চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হয়েছে নাসার আর্টেমিস-১ মিশন। তাই তৃতীয়বারের চেষ্টায় মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার সামনে দাঁড়িয়ে এই স্পেস রিসার্চ (Space Research) সংস্থাটি। 

    আরও পড়ুন: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল 

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে (Website) জানিয়েছে, হ্যারিকেন ঝড়ের ফলে এই মিশনটি রাতারাতি স্থগিত করা হয়েছে। ৩২০ ফুটের লম্বা বিশাল রকেটটিকে ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশাল কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে বিধ্বংসী এই ঝড়টি চলে গেলেই তারা ফের রকেটটিকে উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। তবে এখনও পর্যন্ত তার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অক্টোবরের ১৭ থেকে ৩১ তারিখ অথবা নভেম্বরের ১২ থেকে ২৭ এর মধ্যে ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা হতে পারে।

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে নাসা তিন ভাগে ভাগ করছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। আর্টেমিস ১ মিশনটিতে (Artemis 1 mission) ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। তাই দু বার ব্যর্থ হলেও, এই মিশন সফল করতে মরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি।

    প্রসঙ্গত, ৫০ বছর আগে নাসার অভিযানে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ। তার পর এবার চাঁদে যাচ্ছে ‘আর্টেমিস-১’। এতে অবশ্য কোনও মহাকাশচারী যাচ্ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    SSC Scam: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় আরও বেকায়দায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ইডির (ED) চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বোনকে চাকরি দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার অনুরোধেই তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন পার্থ। স্কুল শিক্ষা অধিকর্তার অফিসে চাকরি করেন তিনি। নাম সঙ্গীতা ধর। তাঁর আসল নাম সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়। বিয়ের পরে ধর হয়েছেন। ইডির দাবি, জেরায় সঙ্গীতাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন পার্থ। সঙ্গীতাকে অর্পিতার বোন হিসেবেই চিনতেন তিনি। স্ব-ক্ষমতাবলে তিনি সঙ্গীতার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলেও জেরায় স্বীকার করেছেন অর্পিতা-ঘনিষ্ঠ পার্থ। 

    ইডির আরও দাবি, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা পার্থের বলেও জেরায় স্বীকার করেছেন অর্পিতা। ওই টাকা রাখার জন্য অর্পিতা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করতে দিতেন পার্থকে। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার মতো সঙ্গীতাও পার্থের অফিস, বাড়ি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতেন। ভুয়ো নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টিও সঙ্গীতা জানতেন। চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন চাকরি বিক্রিতে যুক্ত ছিলেন পার্থ। কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করা হয় চারটি সংস্থাকে সামনে রেখে।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    অর্পিতার দাবি, তাঁর নামে যে অংশীদারি কোম্পানি খোলা হয়েছিল, সেই সংস্থায় অর্পিতার কোনও বিনিয়োগ ছিল না। তাঁর এও দাবি, অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে পার্থর কোম্পানির রেজিস্টার্ড অফিস যে তাঁর ক্লাবটাউনের ফ্ল্যাট, সেটাই জানা ছিল না তাঁর। অর্পিতার আরও দাবি, ওই সংস্থায় পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের শেয়ার ছিল। বাবলি প্রয়াত হওয়ার পরে সেই শেয়ার তাঁর নামে হস্তান্তর করা হয়। চার্জশিটে ইডিও এও জানিয়েছে, অর্পিতা একটি ফর্মাল আবেদন করেছেন। এসব ব্যাপারে যে তাঁর দায় নেই, তা বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অর্পিতার এই আবেদন থেকেই কেউ কেউ মনে করছেন রাজসাক্ষী হতে চাইছেন অর্পিতা। তবে তিনি রাজসাক্ষী হবেন কিনা, তা বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja 2022: সন্ধি পুজোয় দেবী দুর্গার সামনে ১০৮ টি পদ্ম নিবেদনের তাৎপর্য জানেন?

    Durga Puja 2022: সন্ধি পুজোয় দেবী দুর্গার সামনে ১০৮ টি পদ্ম নিবেদনের তাৎপর্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে বছরের এই সময়টার জন্যে। শরৎ কাল মানেই বাতাসে পুজোর (Durga Puja 2022) গন্ধ। মহামারীকাল কাটিয়ে আজ এবছর বাপের বাড়ি আসছেন উমা। এই দু বছর পুজোর আনন্দ মাটি হয়েছে। তাই এবার প্রস্তুতি জোর কদমে। ষষ্ঠী থেকে দশমী। এবার মিস হবে না কোনও অনুষ্ঠান। দুর্গা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু রীতি-নীতি। এই নিয়মগুলির কারণ আদতে কী তা অনেকেই জানেন না। সন্ধি পুজোয় ১০৮টি (108 Lotus) পদ্ম ফুল নিবেদন করা হয়।       

    আশ্বিনের শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপুজো হয়। বলা হয় অষ্টমী ও নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণই আসলে সন্ধিপুজো। এই বিশেষ তিথিকে শুভ বলে মানা হয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলো বিশেষ নিয়ম। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল, দেবী দুর্গার পায়ে উৎসর্গ করা হয় ১০৮টি লাল পদ্ম। আর জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ।     

    পুরাণ মতে, দেবী দুর্গা অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণে, দেবী চামুণ্ডার রূপ ধারণ করেন। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধি পুজোর বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮ টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮ টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭ টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান চোখ দান করতে চাইলে দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন। দেবী প্রতিশ্রুতি দেন, রাবণের থেকে সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। ষষ্ঠীর দিন রামচন্দ্র এই পুজো শুরু করেন। অষ্টমী এবং নবমী তিথির মাঝে রামের অস্ত্র প্রবেশ করে এবং দশমীর দিন রাবণের বিনাশ হয়।        

    পুরাণ মতে, অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিট হল সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণ। এই সময় ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করলে কী কী ফল পাওয়া যায় জানেন? 

    • সন্ধি পুজোর সময় পদ্ম নিবেদন করে এক মনে যে কোনও দুর্গা মন্ত্র জপ করলে মনে জোর বাড়ে। 
    • এমন বিশ্বাস রয়েছে যে সন্ধি পুজোর পর মায়ের নাম নিয়ে যদি কোনও কাজ শুরু করা হয়, তাহলে দেবীর আশীর্বাদে সে কাজে সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। 
    • সন্ধি পুজোর সময় ১০৮ টি পদ্ম ফুল সহকারে দেবীর অরাধনা করলে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসে। সেই সঙ্গে যে কোনও সমস্যা এবং কলহ মিটে যায়। 
    • এমন বিশ্বাস রয়েছে যে সন্ধি পুজোর সময় এক মনে মায়ের অরাধনা করলে শুধু দেবী দুর্গা নয়, তাঁর ছেলে-মেয়েরাও প্রসন্ন হন। 
    • ধনবান হতে চাইলে এই বিশেষ মুহুর্তে মায়ের নাম নিতে ভুলবেন না। 
    • শাস্ত্রে এমনটা বলা হয়েছে যে সন্ধি পুজোর সময় মায়ের যে কোনও রূপের অরাধনা করার পাশাপাশি যদি দেবীর সামনে পদ্ম ফুল নিবেদন করা যায়, তাহলে মা প্রসন্ন হয়ে আশীর্বাদ দেন। 
    • ১০৮ টি পদ্ম ফুল নিবেদন করে এই বিশেষ মুহুর্তে মায়ের আরাধনা করলে দেবীর আশীর্বাদে যে কোনও ধরনের গ্রহ দোষ কেটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি খারাপ স্বপ্ন আসার আশঙ্কাও কমে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CISF: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    CISF: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের (Airport) দায়িত্বে ছিলেন সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা। এবার তাঁদেরই মধ্যে হাজার তিনেকের জায়গা নেবেন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা (Private Security Guards)। ওই জওয়ানদের লাগানো হবে নয়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজে। পুরানো বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে, সেজন্য বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা ব্যবহার করবেন স্মার্ট প্রযুক্তি। যার জেরে বিমানবন্দরগুলি থাকবে আগের মতোই সুরক্ষিত।

    বিমানবন্দর সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির দেখভাল করেন সিআইএসএফের জওয়ানরা। এবার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের তিন হাজারেরও বেশি সিআইএসএফ জওয়ানকে সরিয়ে দিল সরকার। জানা গিয়েছে, তাঁদের জায়গায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব বর্তাবে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর। তাঁরাই সামলাবেন যাবতীয় দায়দায়িত্ব। বেসরকারি এই নিরাপত্তা রক্ষীদের দেওয়া হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা দিয়ে তাঁরা বজায় রাখবেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা।

    এই অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে। সেটাই কার্যকর হচ্ছে দেশের ৫০টি সিভিল এয়ারপোর্টে। পুরো পরিকল্পনা করেছিল ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি এবং অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি রেগুলেটর। সেই মতো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সিআইএসএফের ৩ হাজার ৪৯টি অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিকে। এঁদের বদলে নিয়োগ করা হবে ১ হাজার ৯২৪ জন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী। যাত্রীদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও গলদ না থাকে সেজন্য তাঁদের দেওয়া হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, ব্যাগেজ স্ক্যানারের মতো স্মার্ট প্রযুক্তি। এক প্রবীণ নিরাপত্তা আধিকারিকের মতে, এই যে নয়া ব্যবস্থা, এতে একদিকে যেমন ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষের অ্যাভিয়েশন সেক্টরে কর্মসংস্থান হবে, তেমনি অন্যদিকে সিআইএসএফ তাঁদের জওয়ানদের পাঠাতে পারবে অন্যত্র। দেশে যেসব নয়া বিমানবন্দর হচ্ছে, সেগুলিতে তাঁদের পাঠাতে পারবে। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর চত্বর মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভি ক্যামেরায়।

    আরও পড়ুন : গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    তবে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগের মতোই এখনও করবেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। অন্তর্ঘাত বিরোধী কাজকর্ম সহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি করবেন তাঁরাই। আর তুলনায় হালকা কাজ করবেন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। এয়ারলাইন্স স্টাফ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন কাজের দেখভাল করবেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • India-Pakistan: যারা শান্তি চায়, তারা নাশকতায় মদত দেয় না, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের

    India-Pakistan: যারা শান্তি চায়, তারা নাশকতায় মদত দেয় না, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এবার পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিল ভারত। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের চলতি এই অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হয় পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর কথা তুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “যুদ্ধ কোনও অপশন নয়। পাকিস্তানের এখন স্থিতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজন। এরজন্য ভারত সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তি বজায় রাখতে চায়”। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই শনিবার ভারতের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “যে দেশ শান্তি চায়, তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেবে না।”

    আরও পড়ুন: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    এদিন, ভারতের তরফে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে ভুয়ো বলে আখ্যা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করা হয়। ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই মঞ্চকে বেছে নিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য। নিজের দেশের অপকর্মকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং গোটা বিশ্ব যাকে অনৈতিক বলে অ্যাখ্য়া দিয়েছে, সেই কার্যকলাপকে নৈতিক বলে প্রমাণের চেষ্টায় পাকিস্তান এই কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন : হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে শাহবাজ অভিযোগ করেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেখানকার জনবিন্যাসের চরিত্র বদলের চেষ্টা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে হিন্দুগরিষ্ঠ কাশ্মীরে পরিণত করতে চাইছে ভারত।’’ পাকিস্তানের এই অভিযোগের জবাব দেন ভারতীয় কূটনীতিক মিজিটো ভিনিটো (Mijito Vinito)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এর কোনও ভিত্তি নেই। সম্প্রতি পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনেও ভারতের তরফে বলা হয়, “এটা হাস্যকর যে দেশে সংখ্য়ালঘুদের অধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারাই বিশ্বমঞ্চে সংখ্য়ালঘুদের নিয়ে কথা বলছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar at UNGA:  মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar at UNGA: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে (UNGA) যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (EAM S Jaishankar)। রবিবার অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “আজ বিশ্ব যখন বিভিন্ন মেরুতে বিভক্ত, তখন ভারত সেতুর কাজ করছে। অনগ্রসর দেশগুলির কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে ভারত।” 

    এ বারের আমেরিকা সফরে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ও পার্শ্ব-বৈঠকে একশোরও বেশি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন বেশ কয়েকটি। নিউ ইয়র্কের পরে এ বার বিদেশমন্ত্রী যাবেন ওয়াশিংটনে। এই সফরে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। এরপরেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমাদের প্রায়ই বলা হয়, কোন পক্ষে অবস্থান করছি। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে অবস্থান করছে। আমরা তাদের পক্ষে রয়েছি, যারা রাষ্ট্রসংঘের নীতিগুলোকে মেনে চলছে ও সম্মান করছে। অর্থনীতিতে এই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘জেগে আছেন?’’, হঠাৎ মধ্যরাতে ফোন মোদির! তারপর… স্মৃতি রোমন্থন জয়শঙ্করের

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “২৬/১১ হামলার অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর জঙ্গি সাজিদ মিরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করতে চেয়ে ভারত ও আমেরিকার প্রস্তাব গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসংঘে আটকে দিয়েছিল চিন। চলতি বছরেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রউফ আজহার এবং পাক জঙ্গি আব্দুল রহমান মাক্কির নাম রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকায় তোলা আটকে যায় চিনের আপত্তিতেই। আশা করব, যুক্তির জয় হবে ও কেউ ইচ্ছেমতো বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। রাষ্ট্রসংঘে সকলেই একমত হবেন।  সন্ত্রাস একটি সার্বিক বিপদ। সন্ত্রাসবাদ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না।যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।” 

    আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন নিঃসন্দেহে বিভিন্ন মেরুতে বিভক্ত বিশ্বের বর্তমান চেহারাটা তুলে ধরছে। ভারতের গুরুত্ব এখন আরও বেশি। আমরা একটি সেতু, একটি কণ্ঠস্বর, একটি দৃষ্টিভঙ্গি অথবা একটি চ্যানেল।” বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “বর্তমানে সাধারণ কূটনীতি কাজে আসছে না, তখন ভারতের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে খাবার, জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ঋণের পরিস্থিতি যখন বহু দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, তখন ভারত অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর দেশগুলির কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে। বিদেশেও কাজ করে দেখানোটা নরেন্দ্র মোদির বিশেষ গুণ। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের এই গুরুত্ব বৃদ্ধির বড় কারণ মোদির নেতৃত্ব। গত বছর গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে মোদির ভূমিকার কথা অনেকেই স্বীকার করেছেন। ডিসেম্বরে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পেলে ভারত সব সদস্যের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রেখে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share