Blog

  • TATA Sons: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা, জানিয়ে দিল টাটা সন্স

    TATA Sons: এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা, জানিয়ে দিল টাটা সন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ায় (Air India) মিশে যাচ্ছে ভিস্তারা (Vistara)। অন্তত এমনই ঘোষণা করা হল টাটা সন্সের (TATA Sons) পক্ষ থেকে। এয়ার ইন্ডিয়াকে ঘুরে দাঁড় করাতে নানা পরিকল্পনা করছে টাটা। তারই একটি হল ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়াকে মিশিয়ে দেওয়া। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবনাচিন্তা চলছিল। শেষমেশ তা রূপায়িত হতে চলেছে বলে ঘোষণাও করে দিল টাটা সন্স। এয়ার ইন্ডিয়ার ২১৮টি বিমান ভিস্তারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এটিই হবে শীর্ষ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। শুধু তাই নয়, টাটার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া মিশে গেলে এটি হবে ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ ক্যারিয়ার।

    এয়ার ইন্ডিয়া…

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া বিনিয়োগ করবে ২ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। বেশিরভাগ শেয়ার থাকবে এয়ার ইন্ডিয়ার হাতেই। ভিস্তারার শেয়ার থাকবে ২৫.১ শতাংশ। টাটা সন্সের (TATA Sons) চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার একীকরণ এয়ার ইন্ডিয়াকে বিশ্বমানের উড়ান সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তিনি বলেন, আমরা এয়ার ইন্ডিয়াকে বদলাচ্ছি। আমরা একটি শক্তিশালী এয়ার ইন্ডিয়া তৈরি করার সুযোগ নিয়ে উচ্ছ্বসিত। এটি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে পূর্ণ এবং কম খরচে পরিষেবা দেবে। তিনি বলেন, টাটা সন্স ভারতের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত এবং সম্মানিত নাম। তিনি জানান, ২০১৩ সালে শুরু হয় ভিস্তারার যাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছে এই উড়ান সংস্থা।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি নার্সিং নিয়োগেও! অভিযোগের তির মন্ত্রী অখিল গিরির ভাইঝির দিকে

    সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার একীকরণের চুক্তি অনুযায়ী এয়ার ইন্ডিয়ার ২৫.১ শতাংশের মালিকানা পাবে সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স। এছাড়া লেনদেনের অংশ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়াতে ভারতীয় মুদ্রায় দু হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। তারা জানায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি অনুমোদন পেয়ে গেলে ২০১৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দুই সংস্থার একীকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই একীকরণের বিষয়টি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সও। তারা এও জানিয়েছে, এদিনই বোর্ডের তরফ থেকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডে মৃত্যুর দায় নিতে পারে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধু জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহ প্রদান করছে।  

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এক কিশোরীর মৃত্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলার নিরিখেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, “যেকোনও মৃত্যুই মর্মান্তিক। তবে তাতে সরকারকে দোষী করা ঠিক নয়।” কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় জানানো হয়, “যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনেশনে উৎসাহ দিচ্ছে মাত্র। এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) সংক্রান্ত মৃত্যু মামলায় গত ২৯ অগাস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ভ্যাকসিনের জেরে মৃত্যু হয় এক বালিকার। এই কেন্দ্রের তরফে মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি করে মৃতের বাবা-মা। এছাড়াও ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করেছেন মামলাকারী। কেন্দ্র উত্তরে জানিয়েছে, AEFI- এর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছে এমন অপশনও রয়েছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে তারপরে তা গ্রহণ করার। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলে, “কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Twitter: ২৮০ থেকে বেড়ে ৪২০ হচ্ছে ট্যুইট ক্যারেক্টারের সংখ্যা! কী বলছেন ইলন মাস্ক?

    Twitter: ২৮০ থেকে বেড়ে ৪২০ হচ্ছে ট্যুইট ক্যারেক্টারের সংখ্যা! কী বলছেন ইলন মাস্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার কি বাড়তে চলেছে ট্যুইটারের (Twitter) ক্যারেক্টার সংখ্যা? জল্পনা চলছিলই। এবার তাতে নতুন ইন্ধন জোগালেন সংস্থার বর্তমান মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)।

    একেবারে প্রথমদিকে, ট্যুইট করার ক্ষেত্রে ১৪০টি ক্যারেক্টারের ঊর্ধ্বসীমা ছিল। তারপর, ২০১৮ সালে এই ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০ করা হয়েছিল। এবার ফের এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি ট্যুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষের তরফে। 

    অক্টোবর মাসের শেষদিকে ট্যুইটারের (Twitter) দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। একের পর এক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে খবরের শিরোনামে থেকেছেন বারবার। তাঁর আমলে একাধিক পরিবর্তনও দেখা গিয়েছে এই মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে। ট্যুইট করার ক্ষেত্রে এবার ক্যারেক্টার সংখ্যা বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে তাঁর সংস্থা, এমন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ইলন মাস্ক।

    শোনা যাচ্ছে, ট্যুইটারের নতুন ভার্সানের (Twitter Features) ক্ষেত্রে ক্যারেক্টার সংখ্যা ২৮০ থেকে বেড়ে ৪২০ হতে পারে। হয়তো, এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিবর্তন হতে পারে। যদিও নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। এরসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে যে, ট্যুইটারে (Twitter) যেসব অ্যাকাউন্ট আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেগুলোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দেওয়া যাবে ‘ভয়েস নোট’! কবে আসবে এই নয়া ফিচার?

    এক ট্যুইটারাটির প্রস্তাব 

    এর আগেও ট্যুইটারের একাধিক নিয়মকানুনে পরিবর্তন এনেছেন ইলন মাস্ক। স্পষ্ট ভাবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, নতুন নিয়ম নীতি না মানলে ইউজারকে ট্যুইটার (Twitter) থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সম্প্রতি, এক ট্যুইটারাটি বা ব্যবহারকারী মাস্ককে প্রস্তাব দিয়েছেন যে ট্যুইট করার ক্ষেত্রে ক্যারেক্টার সংখ্যা ২৮০ থেকে বাড়িয়ে ৪২০ করা হোক। সেই ট্যুইটের জবাবে ইলন মাস্ক বলেছেন ভাল আইডিয়া। এর থেকেই অনুমান করা হয়েছে যে ট্যুইট করার ক্যারেক্টার সংখ্যা হয়তো এবার বাড়তে চলেছে সংস্থা।

    বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে নতুন ফিচার (Twitter Features) চালু করার আগে হয়তো ট্যুইটারে একটি পোল চালু করতে পারেন ইলন মাস্ক। অর্থাৎ ইউজারদের কাছেই জানতে চাওয়া হবে যে ক্যারেক্টার বাড়ানো উচিত কিনা, আর বাড়ালেও কত সংখ্যা করা উচিত। তারপর ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ট্যুইটারে (Twitter) এভাবে ভোটের মাধ্যমেই ‘এডিট’ অপশনও চালু হয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    Delhi Murder: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে (Delhi Murder)। শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের দায়ে বর্তমানে জেলবন্দী আফতাব। এরমধ্যেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন তাকে প্রায় ৪০টির মত প্রশ্ন করা হয়। আর প্রশ্নের উত্তরে যা যা উত্তর দিয়েছে, তা জানলে আপনার গা শিউরে উঠবে। আফতাব জানিয়েছে, ফাঁসিতে টাঙানো হলেও নাকি তার কোনও আফসোস থাকবে না, বরং সে জন্নতের হুর পাবে। আরও এমন এমন দাবি করেছে, যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।

    শ্রদ্ধাকে খুন করে ‘জন্নত হাসিল’

    পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন শ্রদ্ধাকে খুন করার (Delhi Murder) বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেছে, ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে হুর পাব।’  সে আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধার খুনে তাকে ফাঁসির সাজা দিলেও তাতে সে দুঃখিত হবে না, বরং সে যখন জন্নতে প্রবেশ করবে, তখন তাকে নায়ক হিসাবে স্মরণ করা হবে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের উপর হামলা! ধৃত ২ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    পলিগ্রাফ টেস্ট আর কী কী বলল?

    আফতাব পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ২০টিরও বেশি হিন্দু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করতে এবং তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য বাম্বল (Bumble) অ্যাপ ব্যবহার করত সে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর আফতাব তার অ্যাপার্টমেন্টে একজন সাইকোলজিস্টকেও নিয়ে এসেছিল। তিনিও হিন্দু নারী ছিলেন। আফতাব আরও জানিয়েছে, তাঁকে একটি আংটিও দিয়েছিল, যেটি শ্রদ্ধারই ছিল (Delhi Murder)। আফতাব আরও বলেছে, শ্রদ্ধাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করতে তার একটুও খারাপ লাগেনি। তার পরিকল্পনা ছিল মুম্বইতেই শ্রদ্ধাকে খুন করে কেটে ফেলা (Delhi Murder)।

    এই নিয়ে মোট তিনবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে আফতাবের। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আরও একবার ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে চায় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব এমন কিছু সত্যি সামনে এনেছে যা তদন্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনেকটাই সাহায্য করছে। উল্লেখ্য, দিল্লির একটি আদালত পুলিশকে পাঁচ দিনের মধ্যে নারকো টেস্ট শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই পরীক্ষার পরে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী। 

  • TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি যে মদ রয়েছে, সেই মদ তো খেতেই পারে, কিনে খেতেই পারে। এই কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। একজন বিধায়ক হয়ে কীভাবে রাজ্যবাসীকে মদ্যপানে উৎসাহিত করছেন, তা ভাবতেও পারছেন না এ রাজ্যের সিংহভাগ বিধায়ক (MLA)। স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না হুমায়ুন ঠিক কী বললেন!

    ‘চলো গ্রামে যাই’…

    রবিবার ছুটির দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার হৈপথ গ্রামে সাইকেলে চড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন। পথে এক জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এলাকায় মদের রমরমা কারবার বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। মদ কারবারিদের বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি, তাও জানান ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ থেকে আবগারি দফতর কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর জেরেই মাস কয়েক আগে প্রাণ গিয়েছে বছর চৌত্রিশের এক যুবকের।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এর পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন বলেন, প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় বছর চৌত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, দেশি মদ যেটা বিক্রি হয়, সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে, ওটা কিনে এনে খেতেই পারে। ডেবরার বিধায়ক বলেন, এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায়, তাহলে তো লিভারের সমস্যা হবেই। সপ্তাহখানেক আগেই বিডিও, এসডিওর চেয়ারের গদি কেড়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন হুমায়ুন। এবার রাজ্যবাসীকে করলেন মদ খাওয়ায় উৎসাহিত। রাজ্যের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, তা ভাবতে পারছেন না এ রাজ্যের শিক্ষিত সমাজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah: ডিসেম্বরেই রাজ্য সফরে অমিত শাহ? মুুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা

    Amit Shah: ডিসেম্বরেই রাজ্য সফরে অমিত শাহ? মুুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মাঝামাঝি রাজ্যে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ইস্টার্ন জোনাল বর্ডার সিকিউরিটি নিয়ে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যই রাজ্যে আসার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে এ প্রসঙ্গে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

    রাজ্যে অমিত

    সূত্রের খবর, আগামী ১৭ ডিসেম্বর কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু সেই বৈঠক পিছিয়ে যায়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পুনরায় সেই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই রাজ্যে আসতে পারেন অমিত। তাঁর এই সফর সম্পূর্ণ সরকারি কর্মসূচি নিয়ে। এর আগে নবান্ন সভাঘরেই ইস্টার্ন জোনাল বর্ডার সিকিউরিটি নিয়ে ওই বৈঠকের কথা ছিল। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত শাহর থাকার কথা ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেই দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই বৈঠক করা যায় কি না, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও এই নিয়ে নবান্ন থেকে বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে চূড়ান্তভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই ইস্টার্ন জোনাল বর্ডার সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের ওই বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও থাকতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান! মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে অভিযোগ বিজেপির

    দলীয় কর্মসূচি

    রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, অমিত শাহের সফর প্রসঙ্গে এখনও তারা কিছুই জানে না। তবে সরকারি কর্মসূচি থাকলেও তাঁদের আশা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় এলে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, দলকেও কিছুটা সময় দেবেন অমিত। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওপর। কারণ শাহের ব্যস্ত কর্মসূচি নির্ধারণ করে এখনও রাজ্য প্রশাসনকে চূড়ান্ত কিছুই জানায়নি তারা। তাই রাজ্য প্রশাসনের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে সরকারি ভাবে কিছুই কিছুই জানানো হয়নি।

  • Rahul Gandhi: ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান! মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে অভিযোগ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান! মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা মধ্যপ্রদেশের খারগোনে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছে, অভিযোগ বিজেপির। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান পীযূষ বাবেলে এবং আইটি প্রধান অভয় তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ

    দলের রাজ্য মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী এবং রাজ্যের সহ-মিডিয়া ইনচার্জ নরেন্দ্র শিবাজি প্যাটেল ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে যে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কমলনাথ এবং সমগ্র কংগ্রেস দল ভারত জোড়ো যাত্রার ছদ্মবেশে দেশ বিরোধী ক্রিয়াকলাপ সংগঠিত করেছে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, দেশের শান্তি বিঘ্নিত করতে এই যাত্রায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এর আগে, ছত্তিসগড় কংগ্রেসের একজন কর্মী অ্যাডভোকেট অঙ্কিত মিশ্র মধ্যপ্রদেশের পদ্ম শিবিরের এক নেতা লোকেশ পরাশরের বিরুদ্ধে রায়পুরের সিভিল লাইন থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, মধ্যপ্রদেশের ভারত জোড়ো যাত্রার সময় উত্থাপিত ‘পাকিস্তানপন্থী’ স্লোগানের একটি ভুল ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এই ভিডিও ছড়াতে পারেন লোকেশ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    ভারত জোড়ো যাত্রা

    গত সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ু থেকে শুরু হয়েছে রাহুলের এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ইতিমধ্যেই সেই যাত্রা হয়েছে ৭ রাজ্যের ৩৪টি জেলায়। আগামী জানুয়ারিতে শেষ হবে ওই কর্মসূচি। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন এই ভারত জোড়ো  যাত্রা ২৩ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করেছে। ১২ দিন ধরে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে কংগ্রেসের এই মিছিল। সেখান থেকে রাজস্থানে প্রবেশ করবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তবে রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচিকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, যে সমাবেশ থেকে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে তাকে দেশ বিরোধী আখ্যা দেওয়াই শ্রেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MonkeyPox: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    MonkeyPox: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাস জগতে অন্যান্য ভাইরাসের মত নামকরণ হয়নি তার। নামের কারণে নাকি অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। তাই নাম বদলের দাবিতে আগে থেকেই সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল। এবার একই দাবিতে মাঠে নেমেছে বাইডেন প্রশাসনও। মাঙ্কিপক্সের (MonkeyPox) নামকরণ নিয়ে অবশেষে ভাবনা শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।  ‌

     আমেরিকার চাপ

    মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) ভাইরাসের নাম বদলের পথে হাঁটতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের দাবি, এই নাম নিয়ে সামাজিক বিতর্ক এড়ানোর জন্য বাইডেন প্রশাসন সক্রিয়। সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে হু-এর উপর চাপও তৈরি করা হচ্ছে ভাইরাসের নাম বদল নিয়ে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাস নাগাদ এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই ‘হু’-এর তরফে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়। ভারতেও এই রোগের (MonkeyPox) হদিশ মিলেছিল কিছুদিনের মধ্যে। অগাস্ট মাস নাগাদ এই ভাইরাসের নাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে বিভিন্ন মহলে। এমন নামকরণের কারণে সামাজিক বিভাজন উস্কানি পেতে পারে, এই আশঙ্কাও তৈরি হতে থাকে। রোগে আক্রান্ত হলে কৃষ্ণবর্ণের মানুষ ও এলবিজিটিকিউরা চিকিৎসা এড়াতে পারেন, এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নামকরণ

    বৈজ্ঞানিক নামকরণ করে তখনকার মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিতর্কের নিষ্পত্তি করেছিল। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের (MonkeyPox) বদলে‌ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ক্লেডস ওয়ান, টুএ ও টুবি নাম রাখা হয়েছিল। দেশ ও ভাইরাসের প্রকৃতি অনুযায়ী এই নামকরণ করা হয়। তবে এতেও মেটেনি‌ সমস্যা। সাধারণের মধ্যে প্রচলিত নাম মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) থাকায় সমস্যা বাড়তে থাকে। মার্কিন প্রশাসনের তরফে তাই নাম বদলে ‘এমপক্স’ (mpox) রাখার আবেদন করা হয়।

    আসলে নামের কারণে অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। প্রশাসনের তরফে টিকার প্রকল্প বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও চিকিৎসা করাতে অনেকে রাজি হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। বিজ্ঞানীদের মতে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস একটি জু়নোটিক (Zoonotic) গোত্রের ভাইরাস।‌ অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে এসেছে। তাই প্রাথমিকভাবে এর এমন নামকরণ করা হয়। তবে নামকরণেই পরেই বিভিন্ন মহলে নাম বদলের দাবি ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হতে চলা একদিনের বিশ্বকাপ (ODI World Cup) ক্রিকেটকে বয়কটের কথা বলেছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। তারই পাল্টা দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিশ্ব ক্রিকেটে বড় শক্তি ভারত। আইসিসির অর্থনৈতিক ভিত্তিও বটে। তাই ভারতে বিশ্বকাপের আসর বসবেই। আর সব দলকেই এখানে খেলতে আসতে হবে, বলে জানান অনুরাগ।

    বড় শক্তি ভারত

    সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার তথা পিসিবির চেয়ারম্যান রামিজ রাজা জানিয়েছিলেন ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে পাকিস্তান কেন ভারতে যাবে? পাক বোর্ডের প্রধান বলেন,  “পাকিস্তান যদি ভারতে গিয়ে পরের বছর বিশ্বকাপ (ODI World Cup) না খেলে তা হলে কেউ সেটা দেখবে? আমাদের পরিষ্কার কথা, ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসে, তা হলেই আমরা ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলব। যদি ওরা না আসে, তা হলে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ করতে পারে ওরা।” এ প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। বিশ্বে খেলার দিক থেকে ভারত বড় শক্তি এবং কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবে না।’ এই এশিয়া কাপ ইস্যুতে আগেও মন্তব্য করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, ‘BCCI পাকিস্তানের ব্ল্যাকমেল চিঠির যথাযথ উত্তর দেবে এবং ওডিআই বিশ্বকাপ অবশ্যই ভারতে আয়োজিত হবে এবং এখানে সব দেশ খেলবে।’

    আরও পড়ুন: কোকেন আসক্তি থেকে রিহ্যাবের ভয়াবহতা, আত্মজীবনীতে ‘খুল্লমখুল্লা’ আক্রম

    ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব

    ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান, কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে তারা খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। তারবদলে নিরপেক্ষ ভেনুতে হবে ম্যাচ। এরপর পাকিস্তান শিবির থেকে ভারতে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপ (ODI World Cup) বয়কটের দাবি তোলা হয়। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কের মধ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে দুই দেশের সরকারের। কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক। সেই কারণেই দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ। দেখা হয় শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড সচিব জয় শাহ কিছু দিন আগে বলেছিলেন, আগামী বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিযোগিতা পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haryana Panchayat Election: হরিয়ানা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২ আসনে জয়ী বিজেপি

    Haryana Panchayat Election: হরিয়ানা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২ আসনে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার হরিয়ানা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে (Haryana Panchayat Election)। হরিয়ানা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও বেশি আসনে জিতে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ও তৃতীয় স্থানে ভারতীয় জাতীয় লোকদল।  

    জয়ী বিজেপি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শাসক দল বিজেপি আম্বালা, যমুনানগর এবং গুরুগ্রাম সহ সাতটি জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেলা পরিষদের ১০২ টি আসনের মধ্যে ২২টি জিতেছে। তবে পঞ্চকুলায় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই জেলায় ১০টি আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির।

    অন্যদিকে আম আদমি পার্টি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা পরিষদের ১০০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তারমধ্যে সিরসা, আম্বালা, যমুনানগর এবং জিন্দ সহ অন্যান্য জেলাতে ১৫ টি আসনে জয়লাভ করেছে। ভারতীয় জাতীয় লোকদল জেলা পরিষদের ৭২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তারা নির্বাচনে ১৪ টি আসনে জয়লাভ করেছে।

    ১৫টি আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আম আদমি পার্টি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতীয় জাতীয় লোকদল। তবে কংগ্রেস তাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, তাদের সমর্থিত প্রার্থীরাও জেলা পরিষদের বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় ১৪৩ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২২টি জেলা পরিষদের নির্বাচন তিনটি দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২২ টি জেলা পরিষদে মোট ৪১১ জন সদস্য রয়েছে। ১৪৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩০৮১ জন সদস্য রয়েছে। রবিবার ভোট গণনা শুরু হয় সকাল ৮টায়। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গণনা সম্পন্ন হয় (Haryana Panchayat Election)।

    গতকাল নির্বাচনের ফলাফলের পরে, হরিয়ানা বিজেপির প্রধান ওপি ধনকার বলেছেন যে, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির জন্য বেশিরভাগ জায়গায় বিজেপি প্রার্থী এবং দলের-সমর্থিত মনোনীত প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়েছেন। আবার তিনি নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দনও জানান (Haryana Panchayat Election)।

    উল্লেখ্য, প্রথম দফায়, ৩০ অক্টোবর জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল নয়টি জেলা- ভিওয়ানি, ঝাঝার, জিন্দ, কাইথাল, মহেন্দ্রগড়, নুহ, পঞ্চকুলা, পানিপত এবং যমুনানগরে। এরপর ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হয় আম্বালা, চরখি দাদরি, গুরুগ্রাম, কর্নাল, কুরুক্ষেত্র, রেওয়ারি, রোহতক, সিরসা এবং সোনিপাটে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে বাকি জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হয় ২২ নভেম্বর এবং এই জেলাগুলিতে পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চ নির্বাচন হয় ২৫ নভেম্বর (Haryana Panchayat Election)।

LinkedIn
Share