Blog

  • Dengue Update: সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ প্রশাসন, অভিমত স্বাস্থ্য অধিকর্তার

    Dengue Update: সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ প্রশাসন, অভিমত স্বাস্থ্য অধিকর্তার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল :  ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। পুজোর মরশুমে প্রশাসন কোনও কাজ করেনি। এমনকি ডেঙ্গি আক্রান্তের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টও আসতে দেরি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক পরে পাওয়া যাচ্ছে ডেঙ্গি রিপোর্ট। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য আলাদা বেড নির্ধারিত নেই। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার অভাব রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।

    স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীর দিনে দু’বার প্লেটলেট কাউন্ট হচ্ছে না। তাই অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে রক্ত দেওয়া হচ্ছে না। এতে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। তাছাড়া, ডেঙ্গি রোগীর জন্য হাসপাতালে আলাদা বেড নেই। তাই রোগী ভর্তি নিয়েও টালবাহানা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ডেঙ্গি পজিটিভ হলেই রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। রিপোর্ট দেরিতে পেলে বিপদ বাড়বে। ডেঙ্গি মোকাবিলা হবে না। কেন রিপোর্ট দেরিতে পাওয়া যাচ্ছে, সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি বলে তিনি এ দিনের বৈঠকে জানান।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর। পুজোর পরে ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাড়িয়েছে ১২ শতাংশ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার। পুজোর মুখেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গি চোখ রাঙাচ্ছিলো। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ঠিকমতো পরিকল্পনা মাফিক কাজ না করলে পুজোয় মানুষের হয়রানি আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    দুর্গা পুজোর শুরুতেই অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, পুজোর সময় স্বাস্থ্য ভবনে আলাদা ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। চব্বিশ ঘণ্টা কাজ হবে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি, রক্তের প্রয়োজন, কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে সেই এলাকার দিকে বিশেষ নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে রক্ত পাওয়া যাবে, সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি। পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পেতেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে রোগীর পরিজনদের।

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ফি-বছরের হয়রানি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলোর পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ছুটি নেন। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা থমকে যায়। কিন্তু যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতেও উৎসব স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ব্লাড ব্যাঙ্কে যাতে রক্তের জোগান ঠিক থাকে, সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লেটলেট খুব জরুরি। কিন্তু অন্য বছরের মতো এ বছরেও পুজোর দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলেন।

    শুক্রবার এই সমস্ত অভিযোগকে কার্যত মেনে নিলেন খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে তিনি জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য ডেঙ্গি তথ্য গোপন কিংবা পজিটিভ রিপোর্ট দেরিতে দিলে বিপদ আটকানো যাবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই আলাদাভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে মশাবাহিত এই রোগ আরও ভয়ানক আকার নেবে।

  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cyber Crime: বিনিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে হায়দ্রাবাদে চিনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ১০

    Cyber Crime: বিনিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে হায়দ্রাবাদে চিনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি একটি বহুজাতিক গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস করেছে হায়দ্রাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ (Hyderabad cybercrime police)। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া একটি বড় বিনিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই  চিনা নাগরিকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ জালিয়াতির পরিমাণ ৯০৩ কোটি টাকারও বেশি।

    হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ এ বিষয়ে জানান, এই বিনিয়োগ জালিয়াতির সঙ্গে কম্বোডিয়া, দুবাই ও চিনের মতো দেশের যোগাযোগ রয়েছে। আনন্দ বলেন, “হায়দ্রাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৯০৩ কোটি টাকার একটি বড় বিনিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই চিনা নাগরিকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।” 

    দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় কল সেন্টারগুলিতেও অভিযান চালায়। আনন্দ বলেন, “সাইবার ক্রাইম পুলিশ দিল্লি ও অন্যান্য জায়গা থেকে পরিচালিত কয়েকটি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে এবং ভুয়ো বিনিয়োগ সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। কমিশন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত।”   

    একটি ট্যুইটে বার্তায় আনন্দ বলেন, “এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এইচসিপি-র সাইবার ক্রাইম উইং ৯০৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একটি বহুজাতিক গ্যাংকে ধ্বংস করেছে, যাদের কম্বোডিয়া, দুবাই এবং চিনে সংযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা ভুয়ো ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্রান্ত বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করে অর্থ পাচার করেছে।”  

    তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের মানুষরা গোটা দেশে ছড়িয়ে আছে। এরা দেশের অর্থনীতির জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।” 

    আনন্দ তাঁর ট্যুইটে আরও লিখেছেন, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসক এবং নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমন্বয় থাকলে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে এইসব বিপদের থেকে বাঁচানো সহজ হয়ে পড়ে।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:প্রাথমিক নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গত মাসের ২৯ তারিখ এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক চাকরিপ্রার্থী এই মামলা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তির যে অংশে উল্লেখ রয়েছে যে,  প্রশিক্ষণরতরা টেট দিতে পারবে, তা খারিজ করতে হবে।

    এর আগেই বৃহস্পতিবার বিএড ডিগ্রিধারীদের টেট-এ (Primary TET) বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। ফলে পর্ষদের নানা সিদ্ধান্ত বা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে একের পর এক মামলা দায়ের করায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হবে তো? বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে গতকাল যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর এই নিয়েই আপত্তি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    আর আজ যেকারণে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা হল প্রশিক্ষণরতরা কেন টেটে বসার সুযোগ পাবেন, এই দাবি নিয়েই নতুন মামলা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Primary TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড বা ডিএড এবং বিএড-এর পার্ট- ১ পরীক্ষা যারা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তির এই অংশকেই চ্যালেঞ্জ করেই নতুন মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছে, সেখানে কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে?

    আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। ফলে মামলা (Primary TET) কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলাতে জটিলতা আরও বেশি বাড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি ফের আটকে যাবে না তো নিয়োগ? তা নিয়েও আশঙ্কা ঘনিয়ে আসছে।  

  • Mobile Phone: সাফল্যের পালক ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য়, এক মাসে কত মোবাইল রফতানি হয়েছে জানেন?   

    Mobile Phone: সাফল্যের পালক ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য়, এক মাসে কত মোবাইল রফতানি হয়েছে জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India)। এক মাসে ভারত (India) থেকে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানি হয়েছে এক মার্কিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের জন্য রফতানি হয়েছে এত বিলিয়ন মূল্যের মোবাইল হ্যান্ডসেট।

    সরকারের প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিমে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। এই স্কিমে অ্যাপেল এবং সামসংয়ের মতো স্মার্টফোন প্রস্তুতকারীরা স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে জোর দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন দেশের মোবাইল ফোনের চাহিদা মিটেছে, তেমনি চাহিদা মিটেছে আন্তর্জাতিকও। পূরণ করেছে বাজারের চাহিদাও। মেক ইন ইন্ডিয়া ভারত সরকারের একটি সদর্থক উদ্যোগ। এটি মূলত বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাকে ভারতে তাদের পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত করার একটি প্রয়াস।

    একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২১ সালে ভারতে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ ছিল ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছর এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বরে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরেও স্মার্টফোন রফতানির পরিমাণ ছিল চোখ ধাঁধানো। ওই মাসে ৭৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হ্যান্ডসেট রফতানি হয়েছে ভারত থেকে। চলতি বছরের জুন থেকে অগাস্ট এই ত্রৈমাসিকের প্রতি মাসে ভারত থেকে মোবাইল রফতানি হয়েছে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, গত এক বছরে ভারত থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ দুশো শতাংশেরও বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পরিমাণ মোবাইল হ্যান্ডসেট রফতানি হয়েছে ভারত থেকে।

    আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ভারতে উৎপন্ন হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাত্র এক শতাংশ রফতানি হত বিদেশে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শতাংশের হিসেবে এটাই বেড়ে হয় ১৬। আইসিইএ প্রদত্ত ডেটা থেকেই এই তথ্য মিলেছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই হার বেড়ে ২২ শতাংশ হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে আইসিইএ (ICEA)। ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে আক্ষরিক অর্থেই আরও বেশি চাঙা হবে এ দেশেরে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • AU Bank: আমির-কিয়ারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক

    AU Bank: আমির-কিয়ারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আমির-কিয়ারার বিজ্জাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক (AU Bank)। বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বলিউডের মিস্টার পারফেক্টশানিস্ট আমির খানের (Amir Khan)। সম্প্রতি ফের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে আমিরের বিরুদ্ধে। এক ব্যাংকিং সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসাবে আমির-কিয়ারার (Kiara Ad একটি বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হয়। আর সেই বিজ্ঞাপনকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। নতুন বর-কনের বেশে দুর্দান্ত মানিয়েছে আমির-কিয়ারাকে। কিন্তু এরপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ দুই অভিনেতার বিরুদ্ধে।  

    ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিদাই হওয়ার পর নতুন বউ কিয়ারাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন আমির খান। আমিরকে বলতে শোনা গেল, “এই প্রথম দেখালাম, বিদাই হয়ে গেল অথচ নতুন বউ কাঁদছে না।” তখন কিয়ারা উত্তরে বলেন, “তুমিও তো কাঁদছ না।” পরের দৃশ্যেই বাড়ি পৌঁছে নতুন বউকে আমির বলেন, “এই ঘরে প্রথম পদক্ষেপ কে রাখবে?” কিয়ারার পাল্টা প্রশ্ন, “এই ঘরে নতুন কে?”, আমিরের উত্তর, “আমিই তো নতুন। মানে..” ঠিক তখনই কিয়ারা হাতের ইশারায় আমিরকে ঘরে পা রাখতে বলেন। আমিরও সেই মতো পা রাখেন। অপরদিক থেকে বিজ্ঞাপনে কিয়ারার মাকে বলতে শোনা গেল, “নুতুন জামাইকে স্বাগত।” কিয়ারাও আমিরকে ধন্যবাদ জানান, এতবড় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অপরদিকে তখন হুইল চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় আরও এক প্রবীণ ব্যক্তিকে। এরপরেই ব্যাকগ্রাউন্ডে আমির খানের ভয়েস ওভারে শোনা যায়, “দীর্ঘদিন ধরে যে প্রথা চলছে, সেটাই চলতে থাকে। কেন এমনটা হয়? আর সেকারণেই ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্ত প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলব। যাতে আপনারা সেরা পরিষেবাটাই পান।”

    আরও পড়ুন : মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    এই বিজ্ঞাপন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তিনি বলেন, “ভারতের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের বিজ্ঞাপনে কাজ করা উচিৎ নয় আমির-কিয়ারার মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের। কারও আবেগে আঘাত করার অধিকার নেই তাঁদের।”   

     

    এই ভিডিও পোস্ট করে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ছবি নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী।  তিনি লিখেছিলেন, “আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, ব্যাঙ্ক কবে থেকে সমাজ এবং ধর্মীয় প্রথাকে বদলানোর দায়িত্ব নিল? আমার মনে হয় কিছু করতে হলে @aubankindia-র উচিত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যে দূর্নীতি রয়েছে তা দূর করা। এধরনের ভুলভাল কথা বলেন, আর তারপর বলবেন হিন্দুরা ট্রোল করছে। মূর্খ।” 

    বিজ্ঞাপনটি ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। #BoycottAUSmallFinanceBank এবং #BoycottAamirKhan হ্যাশট্যাগও ভাইরাল হয়। তারপরেই বিজ্ঞাপনটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এইউ ব্যাংক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jasprit Bumrah: বুমরাহর পরিবর্ত কে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠবেন শামি না চাহার

    Jasprit Bumrah: বুমরাহর পরিবর্ত কে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠবেন শামি না চাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। তবে এখনও বুমরাহর পরিবর্তে ভারতীয় দলে কে জায়গা করে নেবেন তা জানায়নি বিসিসিআই। দলে পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম জানানোর জন্য আইসিসির নির্ধারিত সময়সীমা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। তবে আইসিসির অনুমতি সাপেক্ষে পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম জানাতে পারবে বিসিসিআই। তার জন্যই চলছে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি। মহম্মদ শামি না দীপক চাহার না অন্য কেউ কে অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠবে তা খুব শীঘ্রই জানাবে বিসিসিআই।  তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ১২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হতে পারেন শামি।

    আরও পড়ুন: কোহলি থেকে কার্তিক! সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়ত এটাই

    ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শামির দুরন্ত রেকর্ড রয়েছে। ২০১৫ সালে অসিভূমে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন তিনি। গত আইপিএলেও বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন শামি। তাঁর অভিজ্ঞতা আছে, তা ছাড়া শামি পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করতে সক্ষম। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি শামি।  তবে এখন তিনি করোনা মুক্ত। বর্তমানে  শামি ব্যাঙ্গালোরের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন। নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দিয়েছেন ভারত তথা বাংলার এই বোলার।  যদিও এখনও পর্যন্ত ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে মেডিক্যাল ক্লিয়ারেন্স পাননি মহম্মদ শামি। যে কারণে ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেননি তিনি। তবে অনুমান, শীঘ্রই তিনি তা পেয়ে যাবেন।

    আরও পড়ুন: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    শামির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যেতে পারেন দীপক চাহারও। মনে করা হচ্ছে, দুই খেলোয়াড়ই রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন। তবে চাহার এখনও পর্যন্ত সুস্থ নয় বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত শর্মারা। ১৬ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা। ২২ অক্টোবর থেকে শুরু মূল পর্বের খেলা। ২৩ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম খেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন রোহিতরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। মঙ্গলবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে তিনি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লে প্রবীণ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।

    কিছুদিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ইউইউ ললিত। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁরই পূর্বসূরি এনভি রামানা। ললিতের কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। প্রথা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রস্তাব করতে হয় পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম। সেই মতো দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ললিত প্রস্তাব করলেন চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম। রাষ্ট্রপতি তাঁর নামে শিলমোহর দিলে চন্দ্রচূড় শপথ নেবেন নভেম্বরের ৯ তারিখে। প্রধান বিচারপতি পদে তিনি থাকবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি পদে অবসরের বয়স ৬৫ বছর।

    এই মুহূর্তে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই (DY Chandrachud)  সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি। তাঁর বাবাও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ১৬তম প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও সামলেছেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ১৯৯৮ সাল থেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে তাঁকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে বম্বে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মোমিনপুর-একবালপুরের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে একবালপুর ও মোমিনপুর জুড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সু্স্মিতা দত্ত। আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবারই এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। যদিও এদিনই শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বুধবার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন। আর তারপরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার (Calcutta High Court) খবর শোনা যায়। এরপর আজ আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    একবালপুর-মোমিনপুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর থেকেই রাজ্য বিজেপি ট্যুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন ও এর পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে চিংড়িহাটায় তাঁকে আটকও করা হয়। সন্ধ্যার পর লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুকান্তকে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে একবালপুর থানা এলাকায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় আর যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় তাই বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ৷ শেষমেশ জারি হল ১৪৪ ধারা। তবে ঘটনার এতদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে প্রশাসন সহ পুলিশকে। এলাকার মানুষ থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এতকিছুর পরে একবালপুর-মোমিনপুরের কাণ্ড শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালত (Calcutta High Court) পর্যন্ত।

LinkedIn
Share