Blog

  • PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    PFI: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দাঁত, নখ বের করতে শুরু করেছে নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইসলামিক এই সংগঠনকে। তার পরেই মহারাষ্ট্রের বিজেপির (BJP) এক বিধায়ককে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়েছে পিএফআইয়ের (PFI) এক সদস্য। ইসলামিক এই সংগঠনের সঙ্গে আইসিস এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংগঠন ভারত বিরোধী কাজেও লিপ্ত। এই জোড়া অভিযোগের জেরে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে। হুমকি চিঠি পেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।

    দায়ের করা এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার দেশমুখ অভিযুক্ত করেছেন পিএফআই (PFI) নেতা মহম্মদ সফি বিরাজদারকে। তাঁর দাবি, সফি তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হবে। কেবল তাই নয়, আত্মঘাতী বম্বারদের দিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির এবং কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন পিএফআইয়ের (PFI) ওই নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরও কয়েকজন দক্ষ রাজনীতিবিদও তাঁদের র‌্যাডারে রয়েছেন। পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা যাচাই করছে সোলাপুর পুলিশ।

    পুজোর আগে আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলামিক ওই সংগঠনকে। কেবল পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও। অভিযোগ, এরা প্রত্যেকেই বেআইনি নানা কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বেআইনি কার্যকলাপের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে।

    প্রসঙ্গত, পিএফআইয়ের (PFI) ডেরায় হানা দিয়ে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একশোরও বেশি পিএফআই সদস্যকে। তার পরেই জানা গিয়েছিল, নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর ও বিজেপির শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতাও ছিলেন পিএফআইয়ের র‌্যাডারে। পিএফআইয়ের টার্গেট যে বিজেপিই, এদিন ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সেটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ণ (Varna) এবং জাতিভেদ প্রথা (Caste System) তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শুক্রবার নাগপুরে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সরসংঘ চালক ভাগবত। সেখানেই তিনি বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা বাতিলের পক্ষে সরব হলেন। তিনি এও বলেন, বর্তমান সমাজে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।

    বজ্রসূচি তুঁক বইটি লিখেছেন ডঃ মদন কুলকার্নি ও ডঃ রেণুকা বোকারে। এই বইটিরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, ভারতে এক সময় সামাজিক সাম্য ছিল। এটা ভারতীয় ঐতিহ্যেরই অঙ্গ ছিল। পরবর্তীকালে সমাজ সেটা ভুলে যায়। এর ফল হয়েছে মারাত্মক।

    আরএসএস প্রধান বলেন, বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথার মধ্যে প্রকৃত পক্ষে কোনও বৈষম্য ছিল না। এর প্রয়োজনও ছিল। তবে এখন আর এর কোনও প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন সরসংঘ চালক। তিনি বলেন, এই দুই প্রথা সম্পর্কে আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে, আমি অবশ্যই বলব, এসব এখন অতীত। তাই ভুলে যাওয়া যাক। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, যা কিছু সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি করে, সেগুলি বন্ধ হওয়া উচিত। সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত বলেন, আমাদের আগের প্রজন্ম সর্বত্র ভুল করেছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। আরএসএস প্রধান এও বলেন, ওই ভুলগুলি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন আমাদের পূ্র্ব পুরষের ভুলগুলি স্বীকার করলে তাঁরা হীন হয়ে যাবেন, তা কখনওই হতে পারে না। কারণ এ ভুল করেছেন আমাদের প্রত্যেকের পূর্ব পুরুষ।

    দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) চেষ্টার কোনও খামতি নেই। দুর্গাপুজোর আগেই তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। তাঁরা তাঁকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন। সেটা যে নিছক সম্মাননাই নয়, এদিন ভাগবতের এই সমাজ সংস্কারমূলক মন্তব্যই তার প্রমাণ।

     

     

  • BCCI President: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    BCCI President: বিসিসিআই সভাপতি থাকছেন না মহারাজ! পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন রজার বিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৮ অক্টোবর বিসিসিআইয়ের নির্বাচন (BCCI Election)। সেদিকেই চোখ গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার (Cricket World)। আসলে, ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে কে বসবেন, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বোর্ড সভাপতি (BCCI President) পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুনর্নিবাচিত হবেন না অন্য কেউ তাঁর জুতোয় পা গলাবেন, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে।

    নিয়ম অনুযায়ী আরও তিন বছর বিসিসিআই সভাপতি ( BCCI President) থাকতে পারবেন মহারাজ। তবে তাঁকে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। বিসিসিআই সূত্রের খবর, সৌরভ নাকি এবার বিসিসিআই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তাই তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি খোঁজার কাজও শুরু করে দিয়েছে শাসকগোষ্ঠী। শোনা যাচ্ছে, তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য রজার বিনি (Roger Binny) দৌড়ে এগিয়ে। তাঁর নামে বোর্ডের শীর্ষকর্তারা সহমত পোষণ করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেন হঠাৎ করে বিসিসিআই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন? এই ব্যাপারে তেমন সদুত্তর মেলেনি। মুখ খোলেননি মহারাজও। তবে বোর্ড সূত্রের খবর, সৌরভকে নাকি আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট (ICC President) নির্বাচনে দাঁড় করাতে চাইছে বিসিসিআইয়ের একাংশ। এক্ষেত্রে সৌরভের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা কাজে লাগতে পারে। গত বৃহস্পতিবার বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই নাকি সৌরভ বলেছেন, তিনি পুনরায় বিসিসিআই সভাপতি হতে রাজি নন। তখন তাঁকে আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে সৌরভ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের খবর। সচিব পদে ফের মনোনয়ন দিতে পারেন জয় শাহ (Jay Shah), কোষাধ্যক্ষ হতে পারেন অরুণ ধুমাল। আইপিএল (IPL) গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে আছেন রাজীব শুক্লা।

    আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    ১২ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৩ অক্টোবর হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার ১৪ অক্টোবর। সেদিনই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে বিসিসিআই নির্বাচনে চমক থাকে শেষ পর্যন্ত। সময় যত এগোবে, টি-২০ ক্রিকেটের মতোই উত্তেজনার পারদ চড়বে বোর্ড নির্বাচন ঘিরে। গতবারও তাই হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Daughter-In-Law: ছেলেকে ‘ডিভোর্স’ দিতে চাওয়ায় নৃশংসভাবে পুত্রবধূকে খুন করলেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়!

    Daughter-In-Law: ছেলেকে ‘ডিভোর্স’ দিতে চাওয়ায় নৃশংসভাবে পুত্রবধূকে খুন করলেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুত্রবধূকে (Daughter-In-Law) গুলি করে মারার অপরাধে গ্রেফতার করা হল ৭৪ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক মার্কিন নাগরিককে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। পুত্রবধূকে হত্যা করার ঘটনা এর আগে অনেক শোনা গিয়েছে। তবে এবারের ঘটনার পেছনের কারণটি শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুত্রবধূ। আর সেই রাগেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ৭৪ বছরের বৃদ্ধ সিতল সিং দোসাঞ্জ। মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সিতলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শ্বশুর সিতল সিং তার পুত্রবধু গুরপ্রীত কউরকে (Daughter-In-Law) গত সপ্তাহে ওয়ালমার্টের সাউথ স্যান জোশ পার্কিং লটে খুন করেন। এখানেই গুরপ্রীত কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্তের পরই সিতলকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    পুলিশ তদন্ত চলাকালীন জানতে পারে যে নিহত গুরপ্রীত শুক্রবার তাঁর কাকাকে ফোন করে নিজের আতঙ্কের কথা জানিয়ে বলেছিলেন যে সিতল তাঁর ওপর নজর রাখছে। প্রাণভয়ে আতঙ্কিত গুরপ্রীত তাঁর কাকাকে এও জানান যে শীতল তাঁকে খোঁজার জন্য ১৫০ মাইল গাড়ি চালিয়ে এসেছে। তাঁর ভাইঝির ফোন কল কেটে যাওয়ার আগের মুহূর্তে তিনি শুনেছিলেন যে সিতল গুরপ্রীতের গাড়ির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিলেন৷ আর এরপরেই গুরপ্রীতের ফোন কেটে যায় ও তার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে ওয়ালমার্টের সহকর্মীরা তাঁকে (Daughter-In-Law) সেই পার্কিং লটে নিথর অবস্থায় দেখতে পান। চিকিৎসককে খবর দেওয়া হলে তিনি গুরপ্রীতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুরপ্রীতের (Daughter-In-Law) দেহে দু’‌টি গুলির আঘাত ছিল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। গুরপ্রীতের কাকা তদন্তকারীদের এও জানিয়েছিলেন যে অভিযুক্তের ছেলেকে ডিভোর্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন গুরপ্রীত। পুলিশ জানিয়েছে গুরপ্রীতের স্বামী ও শ্বশুর ফ্রেসনোতে থাকত এবং গুরপ্রীত স্যান জোসে। এরপর মার্কিন পুলিশ ফ্রেসনোতে সিতল দোসাঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে এবং তল্লাশির সময় তার বাড়ি থেকে .‌২২ ক্যালিবার বেরেটা (.22-caliber Beretta pistol) পিস্তল পাওয়া যায়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযুক্ত শ্বশুরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর তাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ নভেম্বর তাকে ফের আদালতে পেশ করতে বলেছে।

  • CBSE Board Exam: এবার থেকে ফের একটি টার্মেই পরীক্ষা নেবে সিবিএসই, জানুন এই নিয়মগুলি

    CBSE Board Exam: এবার থেকে ফের একটি টার্মেই পরীক্ষা নেবে সিবিএসই, জানুন এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সিবিএসই বোর্ডের (CBSE Board Exam) ২০২২-২৩ বর্ষের পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ২০২৩ সালে একটিই পরীক্ষা হবে। করোনার অতিমারি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বছর একদিনেই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভেবেছে বোর্ড।  সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর যারা পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের এই বিষয়গুলি জেনে নেওয়া অতি আবশ্যক। 

    চলতি বছর দুটি টার্মে পরীক্ষা নিয়েছিল সিবিএসই। প্রথম টার্ম থেকে ৩০% এবং দ্বিতীয় টার্ম থেকে ৭০% ওয়েটেজ ধরা হয়েছিল। প্র্যাকটিকালের ক্ষেত্রে দুটি টার্মেই সমান ওয়েটেজ ধরা হয়েছে। কিন্তু আগামী বছর সেরকম কিছুই হচ্ছে না। কারণ বোর্ড জানিয়েছে আগামী বছর একটিই পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল, দেখবেন কী করে? 

    একটি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই পড়ুয়াদের ওপর চাপ কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৩০% সিলেবাস কমাবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। cbseacademic.nic.in – এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারবেন সেই সিলেবাস।

    যেসব পড়ুয়ারা আগামী বছর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় বসবেন, তাঁরা cbseacademic.nic.in – এই লিঙ্কে গিয়ে স্টাডি মেটেরিয়াল ডাউনলোড করতে পারেন। সেখানে রয়েছে স্যাম্পেল প্রশ্নপত্র, মার্কিং স্কিম, ক্যুয়েশ্চন ব্যাঙ্ক ইত্যাদি। কোর্স শুরু হলেই স্টাডি মেটেরিয়াল প্রকাশিত হবে ওয়েবসাইটে। এই প্রশ্নপত্রগুলো দেখলেই আগামী বছরের পরীক্ষা সম্পর্কে বিশদে ধারণা পাবেন পড়ুয়ারা। 

    করোনা (Covid) মহামারীর আগে সিবিএসই একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করত। তবে এই বছর দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দুটি ভাগে হয়।

    ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই দুটি ভাগে বোর্ড পরীক্ষা (Board Exam) চালু করেছিল সেই মতো গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টার্ম ১ পরীক্ষা। টার্ম ২ পরীক্ষা ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়।  

    এর আগে কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। তারপরই দুই ভাগে বোর্ড পরীক্ষা করানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে পরীক্ষা বাতিলের জেরে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হয়েছিল অ্যাসাইনমেন্ট, প্র্যাক্টিকাল মার্কসের উপর ভিত্তি করে। তবে এখন কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড পূর্ববর্তী একটি নিয়ম ফেরাতে চলেছে সিবিএসই।    

  • Lionel Messi Retirement: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    Lionel Messi Retirement: কাতার বিশ্বকাপের পরেই অবসর নেবেন লিওনেল মেসি! কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেসির অনুরাগীদের জন্য এক দুঃখের খবর নিয়ে এসেছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নিজেই। তিনি ঘোষণা করে দিলেন, এবারের বিশ্বকাপই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ (Lionel Messi Retirement)। ৩৫ বছর বয়সী মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কাতার বিশ্বকাপই (Qatar World Cup) শেষ হতে চলেছে আর্জেন্টিনার (Argentina) হয়ে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফলে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফুটবল ও মেসি প্রেমীদের উত্তেজনার শেষ নেই।

    সাংবাদিক সেবাস্তিয়ান ভিগনোলোর সঙ্গে এক আলোচনায় মেসি জানিয়েছেন ‘এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে (Lionel Messi Retirement)। সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি এখন বিশ্বকাপের দিন গুনছি। সত্যি কথা বলছি, একটু উদ্বেগ রয়েছে। আমি বিশ্বকাপে খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। আমরা সবাই এই এক জায়গাতেই রয়েছি। কী হবে সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না।“

    আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড! পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৭৪

    তিনি আরও বলেন, “তবে বিশ্বকাপের জন্য আমি মরিয়া হয়ে রয়েছি। আমরা এই মুহূর্তে খুব ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। খুব শক্তিশালী একটা গ্রুপে আছি। তবে বিশ্বকাপে যা কিছু ঘটতে পারে। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। এই জন্যই বিশ্বকাপ এত স্পেশ্যাল। যারা ফেভারিট হয়ে টুর্নামেন্টে নামে তারাই যে জেতে এমনটা নয়, বা প্রত্যাশিত কিছু করে না। জানি না, আমরা ফেভারিট কিনা! ইতিহাস আর্জেন্টিনার কথা বলছে। আমরা ফেভারিট নই। আমাদের ওপরেও অনেক দল আছে।”

    প্রসঙ্গত, চলতি মরুশুমে ক্লাব এবং দেশের উভয়ের হয়েই মেসি দারুণ ফর্ম রয়েছেন। ২০১৯ থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনা দল এখন পর্যন্ত ৩৫টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে পরাজিত করে মেসি জিতেছিলেন। এটি তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল। তবে এবার তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে ও তাঁরা আশা করেই রেখেছে যে, দেশকে এবারে বিশ্বকাপ এনে দিয়েই অবসর নেবেন মহাতারকা (Lionel Messi Retirement)। অন্যদিকে মেসিও মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশের হয়ে বিশ্ব সেরা হওয়ার জন্য। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup)।

  • Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পরে এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা (Thailand Daycare Shooting)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অবধি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। পালিয়েছে হামলাবাজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে থাইল্যান্ড পুলিশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।        

    বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের নং বুয়া লামফু অঞ্চলের একটি চাইল্ড সেন্টারে এই হামলা চলে। বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ব্যাংকক লাইসেন্স প্লেটসহ একটি সাদা পিকআপ গাড়িতে পালিয়ে যায়। গাড়ির নম্বর  ৪৯৯। পুলিশের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, কেউ যদি ওই নম্বরের পিকআপ ভ্যান দেখেন তাহলে যেন ১৯২ নম্বরে ফোন করে তা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩৪ জনকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত তার সন্তান ও স্ত্রীকেও গুলি করে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে আততায়ী। তবে এর পরেও ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন। 
     
    সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, আততায়ী একজন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, অপরাধীকে খুঁজে বের করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে পুলিশকে। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশ,থাইল্যান্ডে লাইসেন্সকৃত বন্দুকের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানেও বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। 

    ঠিক কী কারণে বন্দুকবাজের হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। কারণ গত কয়েকদিন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। আর এরপরেই এই ঘটনা। ফলে বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।  

    এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার এক সেনা গুলি করে  ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা (Cheetah) হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন  সেনা এভিয়েশন কোরের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel) পদমর্যাদার অফিসারের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সহকারী পাইলট। তেজপুরের সেনা মুখপাত্র কর্নেল এএস ওয়ালিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিনা (China) সীমান্তের কাছে রুটিন টহলদারির সময় আচমকা ওই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। সকাল ১০ টা নাগাদ ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টারটি। দ্রুত দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ই একজনের মৃত্যু ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও সেনাবাহিনীর (army) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম সৌরভ যাদব (Lt. Col Saurabh Yadav)। আরেক জখম পাইলটের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এই ঘটনার জেরে ফের একবার সেনাবাহিনীর চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের গ্রহনযোগ্যতার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়েছে। এমত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারের সামনে ভারতীয় সেনা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন যে, গত পাঁচ বছরে বায়ুসেনা বা তার সঙ্গে জড়িত এমন ৪২ জন যুদ্ধবিমান বা সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সাল থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৬টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুও (Dorjee Khandu)।

    এর আগে গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর আরও একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সহকারি পাইলট গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুও হয়েছিল এই কপ্টার দুর্ঘটনার জেরেই। ২০২১-এর ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১২ সেনা শীর্ষকর্তার মৃত্যু হয়।

    হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। যিনি নিজেও অরুণাচল প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে মর্মান্তিক খবর আসছে। ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইলটদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    West Bengal: প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে ফের তিন জায়গায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জলে ডুবে মৃত মোট ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল মায়ের বিদায়বেলায় জলপাইগুড়ির মালবাজারের ঘটনার পাশাপাশি আরও দুই জায়গায় ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জলাপাইগুড়ি ছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমেও ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মোট দুই জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আবার বীরভূমেও জলের তলায় তলিয়ে যান ৮০ বছরের এক যুবক।

    মুর্শিদাবাদে কী ঘটেছিল?

    প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের সাটুইয়ে। সেখানেও মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই জনের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদেরই সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে। ওই এলাকার কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানেও প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি নৌকা থেকে পরে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম অমিত সিংহ, বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রায়গঞ্জে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    বীরভূমের দুর্ঘটনা

    প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল বীরভূমের ভীমগড়েও। সূত্রের খবর অনুযায়ী,  ইসগড়া গ্ৰাম থেকে বুধবার লোবা কালি মন্দিরে ১২ জন যুবক পুজো দিতে যান। তাঁরা দাবি করেছেন, পুজো দেওয়ার পর তাঁরা অজয় নদে স্নান করতে নামেন। আর সেকানে স্নান করতে গিয়েই জলে তলিয়ে যান ওই ব্যক্তি। ৪০ বছর বয়সী ওই মৃতের নাম কালিচরণ দত্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, করতে পারেনি। কালিচরণ জলেই তলিয়ে যান। পরে দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

    প্রায় প্রতি বছরই দশমীর দিন অনেক রাজ্যেই এমন দুর্ঘটনা দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জন করতে অনেকেই জলে ডুবে প্রাণ হারান। ফলে এবারও এমনই ঘটনা দেখা গেল পুরো রাজ্য জুড়ে। তবে এবারের মালবাজারের ঘটনার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘‘জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়…’’, দশেরা-উৎসবে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি নির্ধারণের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। নাগপুরে দশেরার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান জানালেন, যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়।

    মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এটা সত্য যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিশাল। জনসংখ্যার বিচার আজকাল দুটি উপায়ে হচ্ছে। এই জনসংখ্যার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন হবে। যদি এই সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে তবে বোঝাও বাড়তে বাড়তে অসহ্য হয়ে উঠবে। সেজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটি বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়। জনসংখ্যা বিচারের দ্বিতীয় প্রকারটি হল জনসংখ্যাকে একটি সম্পদ – asset– রূপে বিবেচনা করা।’’

     

    সরসংঘচালকের মতে, সেই সম্পদকে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং তার সর্বাধিক ব্যবহারের কথা ভাবতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্বের জনসংখ্যার দিকে তাকালে একটা বিষয় মাথায় আসে। কেবল আমাদের দেশের দিকে তাকালে চিন্তাভাবনা হয়ত বদলে যেতে পারে। চিন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি পরিবর্তন করে তার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে শুরু করেছে। দেশের স্বার্থ জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিচারধারাকে প্রভাবিত করে। আজ আমরা সবথেকে তরুণ দেশ বলে পরিগণিত হই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়…’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

    ভাগবত বলেন, ‘‘আগামী ৫০ বছর পরে, আজকের যুবকরা প্রৌঢ়ে পরিণত হবে, তখন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কত যুবক লাগবে সেই হিসাবও আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রচেষ্টায় দেশকে যেমন সমৃদ্ধ করে, তেমনই তাদের নিজেদের ও সমাজের জীবিকা নিরাপদ করে। জনতার যোগক্ষেম এবং জাতীয় পরিচিতি ও নিরাপত্তা ছাড়াও এই কয়েকটি বিষয় স্পর্শ করে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্তানের সংখ্যার বিষয়টি মায়েদের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, শিক্ষা, ইচ্ছার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি পরিবারের চাহিদার সঙ্গেও সম্পর্কিত। জনসংখ্যা পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। মোটকথা, জনসংখ্যা নীতি অনেক কিছুকে সামগ্রিক ও সমন্বিতভাবে বিবেচনা করে প্রণয়ন করতে হবে, সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে, জনসচেতনতার মাধ্যমের সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন ফলদায়ী হবে।’’

    তাঁর মতে, ‘‘২০০০ সালে, ভারত সরকার সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে জনসংখ্যা নীতি নির্ধারণ করেছিল। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ২.১ এর প্রজননের হার (TFR) লাভ করা। এখন ২০২২ সালে, প্রতি পাঁচ বছরে প্রকাশিত NFHS রিপোর্ট এসেছে। যেখানে সমাজের সচেতনতা ও ইতিবাচক অংশগ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ক্রমাগত সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ২.১ -এর কম উর্বরতার হার প্রায় ২.০-এ নেমে এসেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের দিকে অগ্রগতির সময়, আরও বিবেচনার জন্য দুটি প্রশ্ন উঠছে।’’

    সংঘ প্রধানের জানান, সমাজ বিজ্ঞানী ও মনোবৈজ্ঞানিকদের অভিমত অনুযায়ী, অতি ক্ষুদ্র পরিবার, ছেলে-মেয়েদের সুস্থ সার্বিক বিকাশ, পরিবারে নিরাপত্তাহীনতা বোধ, সামাজিক চাপ, একাকী জীবন ইত্যাদির কারণে ‘পরিবার ব্যবস্থা’ নিয়েও প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখা দিয়েছে। একই সময়ে, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

    তিনি বলেন, ‘‘৭৫ বছর আগে আমরা আমাদের দেশে এটি অনুভব করেছি। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের তিনটি সদ্য স্বাধীন দেশ– পূর্ব তিমোর, দক্ষিণ সুদান এবং কসোভা– ইন্দোনেশিয়া, সুদান এবং সার্বিয়ার একই ভূভাগে জনবিন্যাসের অসন্তুলনের ফল এটা। যখনই কোনও দেশে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখন সেই দেশের ভৌগোলিক সীমানাও পরিবর্তিত হয়। জন্মহারে বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে লোভ-লালসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও অনুপ্রবেশও বড় কারণ। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা উপেক্ষা করা যায় না।’’

    ভাগবত যোগ করেন, ‘‘গণতন্ত্রে জনমানসের সঙ্গে সহযোগিতার গুরুত্ব সর্বজনবিদিত। নিয়ম তৈরি করা হয়, সেটি গৃহীত হয় এবং সেই থেকে প্রত্যাশিত ফলাফল তার থেকেই পাওয়া যায়। যে নিয়মগুলি লাভ দ্রুত চোখে পড়ে, অথবা যে নিয়মগুলির উপকার সময়ের সঙ্গে চোখে পড়ে সেগুলি ব্যাখ্যা করতে হয় না। কিন্তু যখন দেশের স্বার্থে বা দুর্বলদের স্বার্থে মানুষকে নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়, সেখানে এই আত্মত্যাগের জন্য জনগণকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে, তাই সমাজে স্ব-এর বোধ ও গৌরব জাগিয়ে রাখা দরকার।’’

LinkedIn
Share