Blog

  • Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    Indo Bangladesh Border: পাচার সহ নানা অপরাধ রুখতে দিনে রাতে এক যোগে টহল দেবে বিএসএফ-বিজিবি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত (Indo Bangladesh Border) রয়েছে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা। ভারতের (India) দিকে সীমান্তে শ্যেন দৃষ্টি হানে বিএসএফ (BSF)। আর উল্টো দিকে কড়া নজরদারি রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB)। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে নিরন্তর চলে পাচারের কাজ। কখনও গরু, কখনও বা জালনোট, আবার কখনও বা মাদক পাচার হয়ে যায় ক্যারিয়ারদের হাতফের হয়ে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে (Indo Bangladesh Border) নানা অপরাধ মূলক কাজকর্মও চলে বলে অভিযোগ। এসব বন্ধে উদ্যোগী হল বিএসএফ এবং বিজিবি। দুই দেশের রক্ষীদের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের প্রহরীরাই দিনের রাতে টহল দেবে সীমান্তে।

    বৈঠকে রয়েছেন…

    রবিরার সন্ধেয় শুরু হয়েছে ইনসপেক্টর জেনারেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-রিজিওনাল কমান্ডার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ লেভেল বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স। চলবে বুধবার পর্যন্ত। এই বৈঠকেই দুই দেশের সীমান্তপারের অপরাধ কমাতে তথ্য আদানপ্রদানের সিদ্ধান্তও হয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। জানা গিয়েছে, ১১ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, আইজি, বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, অজয় সিং, আইজি, বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, কমলজিৎ সিং বন্যাল, আইজি, বিএসএফ, গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ার এবং আটজন অন্য প্রতিনিধি। আর ১১ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, বিএসপি, পিএসসি, অতিরিক্ত মহা পরিচালক, এরিয়া কমান্ডার, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, রংপুর।

    আরও পড়ুন: মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন! আলিঙ্গন বন্ধু মাক্রঁর, শুরু জি-২০ বৈঠক

    বিএসএফের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু পক্ষই অ্যাজেন্ডা পয়েন্টস শেয়ার করেছে। কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে দিনে রাতে বিএসএফ ও বিজিবি সমান্তরালভাবে টহল দেবে। তথ্য আদানপ্রদানও করবে দুই দেশের রক্ষীবাহিনী। রক্ষীস্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকও করবে দুই দেশ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা চলবে বলেও আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তপারের অবৈধ কাজকর্ম রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ২১৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সীমান্ত পেরিয়েই চলে অবৈধ নানা কাজকর্ম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চাইলেন সিবিআই (CBI) তদন্তও।

    ঘটনার সূত্রপাত…

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা- কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে।

    ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। লেখেন, মমতার পুলিশ পাঁচ পয়সার মতো দু মুখো ও অপদার্থ। এক দিকে চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্য দিকে যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাঁধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ভিড় করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে শুভেন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিটিংস কার্ড নেয়।

    এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল  ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    Temperature in Kolkata: সকাল-সন্ধে বাতাসে হিমেল ভাব, নভেম্বরেই কি শীতের প্রবেশ রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত নেমেই চলেছে পারদ। নভেম্বরেই শীতের আমেজ বহু বছর পর পেল কলকাতাবাসী। আজ, মঙ্গলবার নিয়ে টানা তিন দিন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামল পারদ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সোমবার তাপমাত্রা কমে চলে আসে ১৭’র ঘরে। ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গতকালের তাপমাত্রা।  মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায় ভোর ও রাতের দিকে ভালই শীতের আমেজ। তবে এদিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এদিন জেলায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, এই ঠান্ডাকেই কেউ যেন শীত পড়ে গিয়েছে বলে মনে না করে, কারণ ভোরে ও রাতের দিকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের তেজ ভালই রয়েছে। ফলে শীত আসলেই একমাত্র দিনে নামবে পারদ। আর শীত আসতে এখনও মাসখানেক দেরি রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আরও ২-৩ দিন এই ঠান্ডার আমেজ বজায় থাকবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় শীত পড়বে মনে করেছে আবহাওয়া দফতর। আর একমাত্র তখনই প্রকৃতপক্ষে শীতকালের মজা চুটিয়ে উপভোগ করতে পারবে কলকাতাবাসী।

    কলকাতার আজকের আবহাওয়া

    এদিন সকালে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আপাতত পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের পারদ পতন! একনজরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    এদিন সকালে দেওয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম সংলগ্ন উঁচু এলাকায় সামান্য তুষারপাত হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকারই সম্ভাবনা। এই সপ্তাহে আর তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    তবে শীতের মধ্যেই ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।  বুধবারে আন্দামান সাগরে এর অবস্থান থাকবে। সেই নিম্নচাপের অভিমুখ কোনদিকে হয়, সেদিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়া দফতর।

  • Delhi Murder: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    Delhi Murder: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই পাশবিক ঘটনায় সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতায় শিউড়ে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi Murder)। এক মুসলিম যুবক তাঁর হিন্দু লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে মেহরুলি জঙ্গলের কাছে শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। ১৮ দিন ধরে ঠাণ্ডা মাথায় চলে এই কাজ। পাশবিক এই ঘটনায় গোটা দেশ। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আফতাব পুনাওয়ালা। সে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। শ্রদ্ধা, আফতাবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল বলেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনার পর আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৫দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে উত্তপ্ত বচসা হয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন মোদির, কোথায় আলাদা এই ট্রেন?

    ঘটনার ভয়ঙ্করতায় কেঁপে ওঠে দেশ 

    আফতাব এই খুন লুকোতে এরপর করে এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে বড় ফ্রিজারে রেখে দেয় এবং ১৮ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দেয়। দিল্লির মেহরুলি ফরেস্ট এলাকায় অধিকাংশ টুকরো ফেলা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে আফতাব। সে আরও জানিয়েছে, যাতে গন্ধ না বেরোয়, তাই দেহের টুকরোগুলিকে রাখার জন্য বড় ফ্রিজ কিনে আনে সে। ১৮ দিন ধরে সেই অংশগুলোকে লোপাট করার চেষ্টা করে সে। আফতাব প্রত্যেক রাতে ২টোর সময় বেরিয়ে মেহরুলি ফরেস্ট অঞ্চলে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলিকে ফেলত বলে জানিয়েছে পুলিশকে।

    কী করে তৈরি হল এই সম্পর্ক?

    জানা গিয়েছে, আফতাব ও শ্রদ্ধা মুম্বাইয়ে একই কল সেন্টারে কাজ করতেন। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে এই সম্পর্কে মত ছিল না শ্রদ্ধার পরিবারের। এরপরে শ্রদ্ধা ও আফতাব দু’জনেই দিল্লি চলে আসেন এবং বাড়ি ভাড়া নিয়ে  একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা নিয়মিতভাবে দুজনের ছবি আপলোড করতেন ফেসবুকে। আর তা থেকেই শ্রদ্ধার পরিবার তাঁর খবর পেত। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে শ্রদ্ধার পোস্ট না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের।     

    পাঁচ মাস আগে শ্রদ্ধার বাবা দিল্লি আসেন এবং শ্রদ্ধা ও আফতাব যেখানে থাকত সেই বাড়িতেও যান তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু সেই বাড়িতে তালা মারা দেখে শ্রদ্ধার বাবা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দাযের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং পাঁচমাস পর গ্রেফতার হয় আফতাব। পুলিশ সূত্রের খবর, শ্রদ্ধা ক্রমাগত অভিযুক্ত আফতাবকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত আর তাতেই বিরক্ত হয়ে গিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

        

          

        

     

  • Vande Bharat: দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন মোদির, কোথায় আলাদা এই ট্রেন?

    Vande Bharat: দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন মোদির, কোথায় আলাদা এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কর্নাটক সফরে গিয়ে শুক্রবার বেঙ্গালুরুর কেএসআর (KSR) রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই ট্রেনকে প্রথম বারের জন্যে সবুজ পতাকা দেখান তিনি।

    চেন্নাই থেকে মাইসুরু রুটে যাতায়াত করবে এই ট্রেন। এটি দেশের পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। তবে দক্ষিণ ভারতে এই ট্রেন এই প্রথম। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, শিল্পের হাব চেন্নাই এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্টআপ-এর হাব বেঙ্গালুরু এবং পর্যটনকেন্দ্র মাইসুরুর মধ্য়ে যোগাযোগ আরও মসৃণ করবে এই ট্রেনটি। 

    সাউদার্ন রেলওয়ের তরফেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছে বিষয়টি। 

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

     

     

    এই ট্রেন অন্যান্য ট্রেন থেকে আলাদা কেন?

    • বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। ট্র্যাক ও সিগন্যাল পারমিট থাকলেই একমাত্র এই গতিবেগে পৌঁছনো সম্ভব।
    • ট্রেনটিতে ১৬টি কামরা রয়েছে। শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই আসন ক্ষমতা রয়েছে এই ট্রেনের।
    • বন্দে ভারতে উভয় প্রান্তে অ্যারোডাইনামিক্যালি ডিজাইন করা ড্রাইভার কেবিন রয়েছে।
    • ১১০ কিলোমিটার সফল ট্রায়াল রানের পরে, এই নতুন ট্রেনের দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল রান কোটা-নাগদা সেকশনে শুরু হয়েছে।
    • প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার দিক থেকে ট্রেনটিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
    • চেন্নাইয়ের ইনটিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (ICF) তৈরি হয়েছে এই ট্রেন।
    • এই ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেমে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
    • পাওয়ার কনসামশন কমিয়ে যাতে এর ব্যবহার সম্ভব হয় সেদিকেই নজর দিয়েছে আইসিএফ।
    • শুধু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারই নয়, বন্দে ভারতে যাত্রী নিরাপত্তা ও যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
    • চেয়ার কার, এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার মিলিয়ে মোট যাত্রী সংখ্যা ১১২৮। স্বয়ংক্রিয় মোটরের সাহায্যে চলে এই ট্রেন।
    • ২০২৩-এর ১৫ অগস্টের আগে গোটা দেশে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করা হবে। তার পর সেগুলি দাপিয়ে বেড়াবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। 
    • দুর্দান্ত মানের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) জামিন হল না কারোরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharyya) সহ এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। 

    জামিনের আবেদন খারিজ

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কেও। আর আদালতে পুনরায় তোলার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদদের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করা হল। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দিল পার্থ, কল্যাণময়, সুবীরেশদের।

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাতর আর্জি

    শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁকে। হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, ”আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।” কিন্তু কিছু করেই জামিন আর হল না (SSC Scam) ।

    আরও পড়ুন: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অন্যদিকে আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ  করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে পার্থর তরফে উল্টে প্রশ্ন করা হয়, “অনন্তকাল ধরে জেলে থাকব নাকি?” যদিও এই প্রশ্ন তিনি নিজে করেননি, তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “শেষ ১৪ দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে যে তাঁকে হেফাজতে রাখতে হবে? কেনই বা সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আবার পার্থকে হেফাজতে পাঠাতে চাইছে?” কিন্তু এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে আবার ২৮ নভেম্বর পর্যন্তই জেলে থাকার নির্দেশ দিল (SSC Scam) ।

    বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে পার্থর পাশাপাশি আদালতে তোলা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদেরও (SSC Scam) । শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতকে প্রশ্ন করে, দক্ষ এজেন্সি তদন্ত করার পরও কেন এত দিন লাগছে? সিবিআই-এর কতদিন লাগবে এই মামলায় সেটিও জানাতে বলেন তিনি। আবার অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথাও ভেবে জামিনের আবেদনও করেন শান্তিপ্রসাদরে আইনজীবী।

    সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে কি? সিবিআই শুধু মুখেই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, কিন্তু তার প্রমাণ দিতে পাচ্ছে না।’’ ফলে প্রত্যেক অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য রেখে জামিনের আবেদন করলে আদালত শেষ পর্যন্ত কারোরই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অভিযুক্ত প্রত্যেককে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ভাঙতে হবে তৃণমূলের কার্যালয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ঠাকুরবাড়ির ক্যাম্পাসে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয় নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে যে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুরসভাকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশকে কার্যকর করার জন্যে।

    মামলাটি কী?

    রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙে বানানো হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয়। আর এই অভিযোগে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আজ এমন নির্দেশ দিল আদালত। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তীর অভিযোগ, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চটোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল, সেই ঘরে এখন তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ। আর এই ভবনেরই দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, জোড়াসাঁকোর (Jorasanko) সেই ঘরে এখন রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটিও ছবি নেই। তাঁদের বদলে সেখানে টাঙানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা শাসক শিবিরে, হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা

    তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ

    আর এসব অভিযোগ উঠে আসায় হেরিটেজ ভবনে আর ভাঙচুর করা যাবে না বলে এর আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আর এরপর এদিন সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও কড়া নির্দেশ দিয়ে বলল যে তৃণমূলের পার্টি অফিস (Jorasanko) ভেঙে ফেলতে হবে। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘হেরিটেজ ভবন না হলেও ইচ্ছে মতো যে কোনও জায়গায় এভাবে পার্টি অফিস তৈরি করা যায় কি?’

    জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে শাসকদলের কার্যালয় তৈরি হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আর এরপরেই মামলার শুনানিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ হাইকোর্টের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, ক্যাম্পাসে যে অংশে নতুন নির্মাণ করা হয়েছে তা ভেঙে ফেলে জায়গাটিকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে ও এটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ বিভাগকে। এছাড়াও পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ ভবন বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে ওই জায়গাকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

     

  • CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    CISF: ঝাড়খণ্ডে সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত ৪ কয়লা চোর, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা চোরদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ সিআইএসএফ-এর (CISF)। প্রতিবেশি রাজ্যে কয়লা চোরদের সঙ্গে সিআইএসএফ-এর জওয়ানদের সংঘর্ষে নিহত হয় চার কয়লা চোর। আর দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের। শনিবার গভীর রাতে ধানবাদ জেলার বাগমারা থানার বিসিসিএল ব্লক-২ এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল যে, কয়লা চুরি এবং জওয়ানদের উপর হামলা করার ফলেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর সিআইএসএফ সূত্রে।

    কী ঘটেছিল?

    সিআইএসএফ (CISF) সূত্রে খবর, ধানবাদের বাগমারা থানা এলাকায় বেনিডিহ কেসিসি মেন সাইডিং এলাকায় কয়লা চুরির খবর পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। সিআইএসএফ জওয়ানদের আসতে দেখে তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে কয়লা চোররা। তাঁদের কয়লা চুরি করতে বাধা দেওয়ায় সিআইএসএফ-এর গাড়িতেও ভাঙচুর করে কয়লা চোররা। এমনকি এক জওয়ানের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জওয়ানদের অপহরণের চেষ্টাও করা হয় বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সিআইএসএফ নয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এবার বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী!

    আর এরপর জওয়ানদের (CISF) গুলিতেই নিহত হয় ৪ কয়লা চোর। ২জন গুরতর আহত হওয়ায় তাদের রাঁচি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের নাম— প্রীতম চৌহান, সাহজাদা আনসারি, আলতাফ আনসারি, সুরজ চৌহান। ঘটনাস্থল থেকে ২১টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। সিআইএসএফ জওয়ানদের বিশাল সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে।

    এই ঘটনার পর সিআইএসএফের ডিআইজি বিজয় কাজলা বলেন, ‘‘যে ৪ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালান। বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, কী কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Isha-Anand Twin: যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন মুকেশ আম্বানি কন্যা ইশা

    Isha-Anand Twin: যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন মুকেশ আম্বানি কন্যা ইশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যমজ সন্তানের (Isha-Anand Twin) জন্ম দিলেন মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানি। খুশির হাওয়ায় মেতেছে আম্বানি-পিরামল দুই পরিবার। সন্তান- মা সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে একটি পুত্র সন্তান এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইশা । নবাগতদের নামও ঠিক করে ফেলেছে সুই ধনকুবের পরিবার। ধনকুবের আনন্দ পিরামলের স্ত্রী ইশা আম্বানির যমজ সন্তানের নাম আদিয়া ও কৃষ্ণা। কৃষ্ণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। ভারতীয় জ্যোতিষ অনুসারে আদিয়া মানে ভগবানের সম্পদ।

    উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ইশার সঙ্গে বিয়ে হয় আনন্দের। তারপর থেকে দুজনেই ছিলেন নিজের নিজের ক্ষেত্রে ব্যস্ত। আনন্দের ঘরনী হয়েও ইশা আম্বানি পরিবারের ব্যবসা সামলেছেন। এর আগে এক রাজকীয় আয়োজনে ইশার সঙ্গে হীরে ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান আনন্দের বিয়ে হয় মুম্বইতে। আম্বানি পরিবারের বাসস্থান আন্টালিয়ায় বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ের আগের অনুষ্ঠান হয়েছিল রাজস্থানে। সেখানে বহু দেশ বিদেশের নামী ব্যক্তিত্বের সমাহার হয়েছিল। এরপর বিয়ের আসরেও দেশের নামী রাজনীতিবিদ থেকে ফিল্মতারকা সকলেরই নিমনন্ত্রণ ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    প্রসঙ্গত, মুকেশ আম্বানির কন্যা ইশা, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ। রিলায়েন্সের ব্যবসায়িক নানান দিকে পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর ওপর। রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্স-এর বিশেষ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ইশা। অন্যদিকে, পিরামলগ্রুপের ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সামলান আনন্দ পিরামল। আর তাঁদেরই ঘর আলো করে এল যমজ সন্তান।   

    মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) জামাই আনন্দ পীরামল অর্থনীতিতে স্নাতক। এছাড়া আম্বানির বিজনেস অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। রিয়েল এস্টেট সংস্থা পীরামল রিয়েলটির মালিক আনন্দ। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রদানের জন্যে পীরামল স্বাস্থ্য হেলথ কেয়ার (piramal health care) প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার রোগীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

  • Amit Shah: পদ্মাপারে হিন্দু নির্যাতন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন শাহ 

    Amit Shah: পদ্মাপারে হিন্দু নির্যাতন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন শাহ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে ‘No Money for Terror’ (NMFT) সম্মেলন। এখানেই উঠে এল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindu) সমাজের  উপর হামলার কথা। বক্তা অমিত শাহ (Amit Shah)। সম্মেলন চলাকালীন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) আসাদুজ্জামান খানের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখানেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন এবং মন্দিরে মন্দিরে হামলার কথা তুলে ধরেন মোদি সরকারের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কার্যত দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সে দেশে। 

     বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন 

    ছোট-বড় হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ভারত সহ একাধিক দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠনকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। নির্যাতিত হিন্দুদের ভারতে পালিয়ে আসার ঘটনাও ঘটছে। গত বছর দুর্গা পুজোর সময় বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দিরে মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের উপর হামলা ভারত সরকার যে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না,  এদিন অমিত শাহের (Amit Shah) পদক্ষেপই তার প্রমাণ। 

     No Money for Terror এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আসলে কী? 

    ‘No Money for Terror’  সম্মেলন প্রথম শুরু হয় ২০১৮ সালে। উদ্যোক্তা ছিল ফ্রান্স। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যে হল সন্ত্রাস দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিকে একত্রিত করা। এ বছর এই সম্মেলন দিল্লিতে শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। মোট ৭৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং ১৫টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবছর এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। সম্মেলনে মোট প্রতিনিধি ৪৫০ জন। এমন আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলনে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের উপর হামলার কথা তুলে ধরে অমিত শাহ (Amit Shah) বোঝাতে চাইলেন যে এই ধরনের হামলাও বিশ্বব্যাপী যে  আতঙ্কবাদ চলছে তারই অংশ, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। এছাড়াও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সীমান্ত সমস্যা, গরুপাচার সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক এই  সম্মেলনে অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন ,” বিশ্বের মানুষের কাছে সন্ত্রাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর কিন্তু তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হল সন্ত্রাসে আর্থিক ফান্ডিং”।

LinkedIn
Share