Blog

  • Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে রয়েছেন তিন বাঙালি পর্বতারোহী। উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিংয়ের (NIM ) তরফে জানানো হয়েছে,মঙ্গলবার নবমীর সকালে উত্তরকাশীতে দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ পর্বত শৃঙ্গে তুষারধসে আটকে পড়েছিল ৪১ সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।  বাকিরা আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। ৩ বাঙালি পর্বতারোহীর নাম হল সৌরভ বিশ্বাস,অমিত কুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।

    এনআইএম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিষ্ট বলেন,  তুষারধসের খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ১০টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে উত্তরাখণ্ডের তুষার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই আইটিবিপি জওয়ানরা রয়েছেন। রাতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তল্লাশি চালাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উদ্ধারকাজের খোঁজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পুস্কর সিং ধামিকে ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনাকে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার চিতা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বায়ুসেনার কপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে দেরাদুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমী’ মানেই দুর্গা পুজোর শেষ। বন্ধুদের সাথে রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, রাত পর্যন্ত মন্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌।  অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশীরভাগ দুর্গাপুজো শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে , যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনী উল্লেখযোগ্য। রানী রাসমণীর জামাতা মথুরবাবু একসময় আবেগপ্রবন হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবীমা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন যে, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    দশমী ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভা পুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনী আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতা কূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণের গল্প আমাদের সকলেরই জানা। এরপর  ৫১টি অংশে সতীর মৃত দেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য তিনি বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবত কন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই আজ পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এছাড়াও আজকের তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয় প্রাপ্ত করেছিলেনবলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলা দের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: দেশবাসীকে ‘দশেরা’ ও ‘বিজয়া দশমী’র শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মহাদশমী (MahaDashami)। মায়ের বিদায়বেলা। এই দিনটি উত্তর ভারতে দশেরা (Dussehra) নামে পরিচিত। আর তাই দশেরার প্রাক্কালেই ভারতের জনসাধারণকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর বার্তায় তিনি বলেন, “বিজয়াদশমীর শুভ তিথি উপলক্ষ্যে আমি সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।”

    এদিন অধর্মের প্রতীক রাবণকে বধ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন রাম। আবার এই তিথিতেই অশুভ শক্তিরূপী মহিষাসুরের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করে শুভ শক্তিকে জাগ্রত করেন দেবী দুর্গা। এ কারণে দশমী তিথিটি বিজয়া দশমী নামেও পরিচিত। ফলে আজ দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তাতেও মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের কথা উঠে এসেছে।

    আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রিয়ার তিন বিজ্ঞানী

    তিনি তাঁর বার্তায় বলেন, মন্দের ওপর ভালোর, অসত্যের ওপর সত্যের, অনৈতিকতার ওপর নৈতিকতার জয়ের প্রতীক হিসেবে সারা ভারতে বিজয়াদশমী পালিত হয়। উত্তর ভারতে এটি ‘দশেরা’ হিসাবে পালিত হয় এবং রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয় ‘রাবণ দহন’-এর মাধ্যমে দেখানো হয়। শ্রী রামজির আদর্শ, আচার-আচরণ এবং গুণের বার্তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। পূর্ব ভারতে, এই দিনে ‘দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন’ অনুষ্ঠান উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। এইভাবে এই উৎসব ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

    তিনি আরও বলেন, “আমি কামনা করি এই উৎসব আমাদেরকে নৈতিকতা, সত্য ও কল্যাণের শাশ্বত জীবন মূল্যবোধকে ধারণ করতে এবং শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত করুক।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলি আসবে সংরক্ষণের আওতায়! কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে। জম্মু-কাশ্মীর সফরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাজৌরির সভায় তিনি বলেন, “বিচারপতি শর্মা কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। ওই রিপোর্টে গুজ্জর, বাকারওয়াল-সহ পার্বত্য জন-জাতিগুলিকে সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ মেনে ওই জন-জাতিগুলিকে দ্রুতই সংরক্ষণের আওতায় আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে অমিত শাহ! জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক কর্মসূচী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    নবরাত্রির নবম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এই সফরের নানা কর্মসূচীর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন সকালে প্রথম কাটরার বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান তিনি। এদিন মন্দিরে প্রার্থনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। করেন মাতার আরতিও। তাঁর সফর ঘিরে কাটরা ও রাজৌরিি বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত উপত্যকা, কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ অমিত শাহের

    রাজৌরির সভায়  জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। “সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল না করলে উপত্যকার জনজাতিদের কি আদৌ সংরক্ষণের আওতায় আনা যেত?” রাজৌরির সভায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে কবে থেকে এই সংরক্ষণ দেওয়া হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ওই সময় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বিলোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। মঙ্গলবারের রাজৌরির সভায় বারবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত। তিনি বলেন, “যাঁরা বলতেন ৩৭০ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বইবে, তাঁরাই এখন মোদি-মোদি চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। সংবিধানের এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার ফলে সংখ্যালঘু, দলিত ও পার্বত্য এলাকার জনজাতি ভুক্ত মানুষরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    Durga Puja: মহানবমীর মাহাত্ম্য! জানুন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নবরাত্রির শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে , মাতা সিদ্ধিদাত্রী  দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরী হয়নি, চারিদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারী মূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদিদেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির ব্রহ্মা, বিষ্ণু ,
    এবং মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেব কে দায়িত্ব দেন। এরপরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে  মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী  তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণু কে সৃষ্টি ও জগৎ রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেব কে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের আরো বিশ্বাস , দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী,লক্ষী, এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সাথে শক্তি হিসেবে আছেন , এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী , দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি  বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহ কে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায় ।

    গরিমা : এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি ,মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর কে প্রদান করেছিলেন,মহানবমীর দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

    অন্য একটি পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, শিব মাতা অম্বিকার সাধনা করেছিলেন এবং মাতা তখন সিদ্ধিদাত্রী হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব কে বরপ্রদান করেছিলেন। সর্ব সিদ্ধির অধীশ্বর হওয়ার বর, দেবাদিদেব মহাদেব পেয়েছিলেন, মাতা অম্বিকার কাছ থেকে । তাই ভগবান শিবকে সিদ্ধিনাথ বা সিদ্ধেশ্বর বলা হয়।

    অষ্টমীর সন্ধিপূজার সময়ই  দুর্গা মাতা মহিষাসুরকে  বধ করেছিলেন বলে অনেক পন্ডিতের মত রয়েছে।  আবার সন্ধিপুজোর সময়ই দেবী দুর্গার অন্য রূপ চামুন্ডা মাতা চন্ড ও মুন্ড কে বধ করেছিলেন বলে অনেক ভক্তের ধারণা রয়েছে।  অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পন্ডিত দের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই  বলি, হোম, কুমারী পূজা এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্য তে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায় । ভক্তদের বিশ্বাস ,মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌।

  • Durga Puja 2022: মহাসপ্তমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা কালরাত্রির অসুর বধের পৌরাণিক কথা

    Durga Puja 2022: মহাসপ্তমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা কালরাত্রির অসুর বধের পৌরাণিক কথা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি (Devi Kalratri)। বাংলাতে প্রচলিত দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর (Maha Saptami) দেবী তিনি। মাতা কালরাত্রি ভীষণ দর্শনা। এলোকেশী। তাঁর চারটি হাত। ওপরের ডান হাতে আশীর্বাদ, নীচের ডান হাতে অভয় মুদ্রা। বাঁ দিকে ওপরের হাতে খড়গ এবং নীচের বাম হাতে রয়েছে লোহার কাঁটা। দেবী ত্রিনয়নী এবং তাঁর চোখগুলি গোলাকার। দেবীর গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। এই দেবীর বাহন গাধা এবং তাঁর নিশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ংকর অগ্নিশিখা নির্গত হয় বলে কথিত আছে। দেবী কালরাত্রি সম্পর্কে অজস্র পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে, তিনি চন্ড মুন্ড নামের দুই অসুর কে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর অপর নাম তাই “চামুণ্ডা”। দেবী মাহাত্ম্য তে উল্লেখ রয়েছে – শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দানব ছিল। তারা প্রজাপতি ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করলেন । খুশি হয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মা বর দিতে আবির্ভূত হলেন । দুই দানব বর চাইলো যে , কোন পুরুষ যেনো তাদের বধ করতে না পারে । ব্রহ্মা তাদের কাঙ্ক্ষিত বর প্রদান করলেন। দুই অসুর চরম অত্যাচার শুরু করলো দেবতাদের উপর। এই দুজনের সাথে যোগ দিল চন্ড মুন্ড নামের আরও দুই অসুর। তাঁদের সাথে এলো রক্তবীজ। যার প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়লে দ্বিতীয় রক্তবীজ তৈরী হবে। এমনটাই বরদান ছিল তার উপর প্রজাপতি ব্রহ্মার । এইসমস্ত অসুরদের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। অসুরদের উপর ব্রহ্মার বরদান সম্পর্কেও দেবতারা অবগত ছিলেন। মুনি ঋষি দের যজ্ঞ পন্ড করা, ঋষি কন্যাদের নানা ভাবে লাঞ্ছিত করা এসব কাজ তো চলছিলই। অসুরদের এমন আক্রমণে দেবতারা অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলো। নিজেদের স্বর্গরাজ্য থেকে তারা বিতাড়িত হলো। দেবতারা হিমালয়ের কোলে শুরু করলেন দেবীর স্তব। দেবী মাহাত্ম্য তে এই স্তব সম্পূর্ণ ভাবে উল্লেখ রয়েছে‌ । কিছুটা অংশ সংযোজিত করা  হলো , কমবেশি এই স্তব সকলেই আমরা জানি।

    যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমাযেতি শব্দিতা 
    নমস্তস্যৈ
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীযতে
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা 
    নমস্তস্যৈনমস্তস্যৈ  নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা .
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ 

    পুরাণে কথিত রয়েছে –  এমন সময় সেখান দিয়ে শিব জায়া দেবী পার্বতী গঙ্গা স্নানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন । দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন – “ হে দেব বৃন্দ , আপনারা এখানে কার স্তব করছেন ? ”

    সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে একই রকম দেখতে আর এক জন দেবী বেরিয়ে এলেন । আবির্ভূত হয়ে নব দেবী জানালেন – “ দেবতারা আমার স্তব করছেন ।” এই দেবীই আদ্যাশক্তি জগত মাতা অম্বিকা মহামায়া । তিনি দেবী পার্বতীর কোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছেন বলে তার এক নাম কৌষিকী । কথিত আছে এর পর নাকি দেবী পার্বতী কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান ।যাঁকে আমরা কালরাত্রি বলি। ইনি মাতা কালিকা নামেও পরিচিত। পুরাণে আরো  উল্লেখিত আছে, দেবী একদিন হিমালয়ে সিংহ পৃষ্ঠে বসে মধু পান করছিলেন,  এমন সময় চণ্ড আর মুণ্ড নামক দুই দানব দেবীকে দেখতে পেলেন । চন্ড মুন্ড একথা গিয়ে শুম্ভ নিশুম্ভ কে জানাল । শুম্ভ , নিশুম্ভ সেই দেবীর রুপ বর্ণনা শুনে দেবীকে লাভ করার জন্য আকুল হল । সুগ্রীব নামক এক অসুর  দেবীর কাছে গেল শুম্ভ নিশুম্ভের দূত হিসেবে। সুগ্রীব হিমালয়ে সেই পর্বত চূড়ায় গিয়ে দেবীকে শুম্ভ নিশুম্ভের পরাক্রম , ঐশ্বর্য এর কথা বলে বিবাহের প্রস্তাব দিল । দেবী একথা শুনে হেসে বললেন – “ আমার প্রতিজ্ঞাটি শোন – যিনি আমাকে যুদ্ধে জয় করবেন , তিনিই আমার স্বামী হবেন”। এরপর শুম্ভ নিশুম্ভের সেনাপতি ধুম্রলোচন ষাট হাজার সেনা নিয়ে গেলেন দেবীকে পরাজিত করতে। দেবীর তেজে ধুম্রলোচন ভস্মীভূত হলো। দেবীর সিংহ বাহিনী অসুর সেনাকে ধ্বংস করে দিল।শুম্ভ নিশুম্ভ এরপর  চণ্ড ও মুন্ড কে পাঠালো । চন্ড ও মুণ্ড বহু সেনা , অশ্ব , রথ , হাতি নিয়ে যুদ্ধে এলো‌ তারা হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকা কে দেখতে পেল । দেবী চন্ডিকা তাদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন । ক্রোধে তাঁর মুখ মণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হল ।তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন । সেই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি । অতি ভীষনা, ভয়ঙ্করী , কোটর গতা , আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ংকরা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন । কত গুলি অসুরকে দেবী তার চরণ ভারে পিষে বধ করলেন । কোন কোন অসুর দেবীর খড়গের আঘাতে মারা গেল । যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুর দের ধ্বংস করে ফেললেন । এরপর দেবী তার খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চন্ডের দিকে ধেয়ে গেল । দেবী চন্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন । চন্ড অসুর বধ হল। চন্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুন্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলো । দেবী তার রক্তাক্ত খড়গ দিয়ে আর এক কোপে মুন্ড এর শিরোচ্ছেদ করলেন । এভাবে মুণ্ড বধ হল। চন্ড মুন্ড বধ হতে দেখেই  দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। দেবী মাহাত্ম্য অনুযায়ী, চন্ড আর মুণ্ড এর ছিন্ন মস্তক নিয়ে দেবী, মহামায়ার কাছে এসে বিকট  হেসে বললেন – “ এই যুদ্ধরূপ যজ্ঞে আমি আপনাকে চন্ড ও মুন্ড নামে দুই মহাপশুর মস্তক উপহার দিলাম । এখন আপনি নিজেই শুম্ভ ও নিশুম্ভ কে বধ করবেন ।”দেবী অম্বিকা তখন বললেন – “ হে দেবী , যেহেতু তুমি চন্ড ও মুণ্ডের বধ করে মাথা দুটি আমার নিকট নিয়ে এসেছো , সেজন্য আজ থেকে তুমি জগতে ‘চামুন্ডা’ নামে বিখ্যাত হবে ।” পন্ডিত মহলের মতে মাতা কালরাত্রির অপর নাম তাই “চামুণ্ডা”।

    মাতা কালরাত্রি শুভফলের দেবী বলেও অনেকে মনে করেন। তাই মাতার  আরেক নাম হলো “শুভঙ্করী”। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার নৈবেদ্য তে গুড় নিবেদন করলে তিনি প্রসন্না হন বলে ভক্তদের ধারণা‌।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Saptahik Rashifal: চাকরির যোগ কোন জাতক-জাতিকাদের? সাপ্তাহিক রাশিফল ২-৮ অক্টোবর

    Saptahik Rashifal: চাকরির যোগ কোন জাতক-জাতিকাদের? সাপ্তাহিক রাশিফল ২-৮ অক্টোবর

    আজ, ২ অক্টোবর। আজ মহাসপ্তমী। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এবার মা আসছেন হাতির পিঠে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শুভ সংযোগ ঘটছে। যা অনেক রাশির উপর ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী ৭ দিন অর্থাৎ, দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ার্ধে অনেক রাশির জাতকরা ভীষণভাবে লাভবান হবেন। কোন কোন রাশির জাতকরা কোনভাবে লাভবান হবেন, তা দেখে নিন—

    সাপ্তাহিক রাশিফল মেষ রাশি: সপ্তাহের শুরুটা খুব ভালো যাবে। যারা নতুন চাকরি খুঁজছেন, তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। সপ্তাহের শুরুর দিনগুলিতে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা ব্যবসা করেন, এই সময় তাদের টাকা আটকে যেতে পারে। তবে সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে স্বস্তি মিলবে। অর্থ এবং কর্মজীবনের অবস্থান ঠিক থাকবে। বিনোদন ও আনন্দের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এই সময়ে আপনি আপনার সন্তানের দিক থেকে ভাল খবর পেতে পারেন। কোর্ট-কাছারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে আসতে পারে। কর্মস্থানে সমস্যা কেটে যেতে পারে। বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য লাভে বাধা। বাড়িতে অতিথি সমাগমে আনন্দ। অন্য কারও জন্য চারিত্রিক অবনতি। হঠাৎ বিষয়-সম্পত্তির প্রাপ্তিযোগ। অবিবাহিতদের জীবন ভালই কাটবে। বিবাহিতদের জীবনও দারুণ কাটবে। সপ্তাহের শুরুর দিনগুলি ক্যারিয়ারের দিক দিয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে। অফিসে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই সময়ে অফিসে আপনার গোপন শত্রুরা আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে। এই সপ্তাহে চোট আঘাত এবং স্বাস্থ্যের উপর ফোকাস করুন। সপ্তাহের শেষে বেড়াতে যেতে পারেন। সোমবার এই সপ্তাহের সেরা দিন হবে। 

    সাপ্তাহিক রাশিফল বৃষ রাশি: সপ্তাহের শুরুতে পরিবারের কারুর সঙ্গে আপনার বিবাদ হতে পারে। চাকরিজীবীরা অফিসে খুব সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়ীদেরও এই সপ্তাহটি তেমন ভাল কাটবে না। এই সময়ে কোনও লেনদেন করার সময় খুব সতর্ক থাকুন, অন্যথায় আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সপ্তাহের শুরুতে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এক সঙ্গে অনেক কিছু পরিচালনা করা চাপের হবে। তাই কাজ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কাজের অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হবে। কর্মজীবনের সমস্যাও এই সপ্তাহে মিটে যাবে। সপ্তাহের শেষে পারিবারিক বিবাদ এড়িয়ে চলুন। বুধবার আপনার জন্য এই সপ্তাহের সেরা দিন হবে। কর্মজীবনের সমস্যাও এই সপ্তাহে মিটে যাবে। সপ্তাহের শেষে পারিবারিক বিবাদ এড়িয়ে চলুন। বুধবার আপনার জন্য এই সপ্তাহের সেরা দিন হবে। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। ভুল কোনও সিদ্ধান্ত আপনার ভাল কাজ নষ্ট করতে পারে। সংসারে প্রচুর ব্যয় হতে পারে। অকারণে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে। মামলায় জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা। স্নায়বিক অসুখে ভোগান্তির যোগ।সপ্তাহটি ভাল-মন্দ মিশিয়ে চলবে। প্রেমের বাধা কেটে গিয়ে সুখের সময় আসতে চলেছে। হঠাৎ কোনও দ্রব্য প্রাপ্তির যোগ আছে।

    সাপ্তাহিক রাশিফল মিথুন রাশি: এই সপ্তাহটি খুব ভাল কাটতে চলেছে। আপনার পরিকল্পনা করা সমস্ত কাজ সময়মতো সম্পন্ন হবে। অর্থ এবং কর্মজীবনের পরিস্থিতি ঠিক থাকবে। সপ্তাহের সূচনা হবে কোনও শুভ কাজের মাধ্যমে। বিবাহিত জীবনে সুখ, শান্তি থাকবে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি খুঁজছেন, তাঁরা এই সপ্তাহে ভালো সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের ভালো লাভ হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন, তাঁদের ইচ্ছা এই সপ্তাহে পূরণ হতে পারে। পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদও এই সময়ে পারস্পরিক সম্মতিতে মিটে যেতে পারে। যারা বিদেশে কেরিয়ার গড়ার চেষ্টায় আছেন, তারাও এই সপ্তাহে ভাল সুযোগ পেতে পারেন। স্বাস্থ্য এবং সন্তানের সমস্যা আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে বন্ধুর সাহায্যে সমস্যার সমাধান হবে। আমাশয় জাতীয় রোগে কষ্ট পেতে পারেন। এই সপ্তাহে শুক্রবার আপনার জন্য সেরা দিন হবে। যথাসম্ভব ঈশ্বর চিন্তায় কিছুটা সময় দিন। 

    সাপ্তাহিক রাশিফল কর্কট রাশি: সিঙ্গল জাতক-জাতিকাদের এই সময় বিয়ে ঠিক হতে পারে। এই সপ্তাহের শুরুটা কেরিয়ারের দিক দিয়ে একেবারেই ভালো কাটবে না। চাকরিজীবীরা তাঁদের সিনিয়রদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে পারেন। যাঁরা নতুন চাকরি খুঁজছেন, তাঁরা ভালো ফল পাবেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে। ব্যবসায়ীদের এই সময়টি খুব ভালো কাটবে। ব্যবসায় মনোবল থাকলে বাধা কাটবে। আপনি তীর্থযাত্রায় যেতে পারেন। যাঁরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরা এই সপ্তাহে ভালো খবর পেতে পারেন। সপ্তাহের শুরুতে কর্মজীবনে দারুণ সাফল্য পেতে পারেন। অর্থ ও মনের বাধা দূর হবে। কিন্তু তারপরও স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন। প্রেম ও দাম্পত্যের ক্ষেত্রে গতি থাকবে। এই সপ্তাহে বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হতে পারে। সোমবার এই সপ্তাহে আপনার জন্য একটি ভালো দিন হবে। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। বন্ধুর কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। কাউকে পরামর্শ না দেওয়াই ভাল হবে। প্রেমের ব্যাপারে কোনও খারাপ খবর আসতে পারে। ধর্ম নিয়ে আলোচনায় আজ আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    সাপ্তাহিক রাশিফল সিংহ রাশি: সপ্তাহের শুরুটা ভালো যাবে। কর্মজীবন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হবে। টাকা আসবে, কিন্তু খরচও বাড়বে। এই সময়ে আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বেড়ে যাবে। পরিবারে শুভ কাজের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকুন। এই সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দিনটি আপনার জন্য ভালো যাবে। মনে প্রচুর ক্লেশ বা অশান্তি থাকবে। ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ। সংসারে সুখ ফিরবে। যানবাহন চলাচল খুব সাবধানে করতে হবে, বিপদের আশঙ্কা আছে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান। সকাল থেকে অর্শ নিয়ে কষ্ট পেতে পারেন। চুরি-ডাকাতির জন্য অর্থক্ষতি হতে পারে। জলপথে ভ্রমণ না করাই ভাল হবে। সপ্তাহের শুরুতে ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য ভাল থাকবে না। ব্যবসায়ীরা ধৈর্য্য ধরে ব্যবসায় মনোনিবেশ করুন। যাঁরা প্রেমের সম্পর্কে আছেন তাঁরা বিয়ের ব্যাপারে ভাবতে পারেন। অবিবাহিতরা জীবন সাথী খুঁজে পাবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য এই সময় নেতিবাচক প্রভাব থাকবে।

    সাপ্তাহিক রাশিফল কন্যা রাশি: এই সপ্তাহ কর্মক্ষেত্রে খুব ব্যস্ততা থাকবে। শুরুতে ব্যবসায়ীদের ভালো লাভ হতে পারে। অতীতে করা বিনিয়োগ থেকে ভালো লাভ হতে পারে। চাকরিজীবীদের সমস্ত কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে এবং তাঁরা সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। বিদেশে কর্মরতদের এই সময়টি খুব ভাল কাটবে। এই সপ্তাহে সন্তান দিক দিয়ে কোনও ভালো খবর আসবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। সপ্তাহের শুরুতে আটকে থাকা কাজ শেষ হবে। অর্থ পরিস্থিতি ঠিক থাকবে, তবে কাজ বাড়বে। সম্পত্তি সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে আপনি উপহার এবং সম্মানের সুবিধা পাবেন। সপ্তাহের শেষে পরিবারের কোনও সদস্যের ব্যবহারে কষ্ট হতে পারে। মঙ্গলবার আপনার জন্য এই সপ্তাহের দিনটি ভালো যাবে। অপরের জন্য কোনও কাজ করে আনন্দ পাবেন। আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিজের পর্যাপ্ত আয়ের সঙ্গে বাড়তি উপায়ের সম্ভাবনা আছে। রাগ বা জেদ বৃদ্ধি পাওয়ায় রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা। মানসিক অবসাদ আসতে পারে। 

    সাপ্তাহিক রাশিফল তুলা রাশি: দাম্পত্য জীবন সুখে, শান্তিতে কাটবে। ব্যবসায়ীদের এই সপ্তাহে তাড়াহুড়ো করে কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রেও খুব সতর্ক থাকতে হবে। এই সপ্তাহে আপনি এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করবেন, যার সাহায্যে আপনার অনেক উপকার হবে। সপ্তাহের শুরুতে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। দৌড়াদৌড়ি আর পরিশ্রম করতে হবে অনেক। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা হতে পারে। সামগ্রিকভাবে কর্মজীবন এবং অর্থের অবস্থা ভালো থাকবে। এ সময় সন্তানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। মা-বাবার সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। এই সপ্তাহে আপনার বড়দের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। বৃহস্পতিবার আপনার জন্য বিশেষভাবে অনুকূল দিন হবে। মাত্রা ছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ঋণ ফেরত পাবেন, কিন্তু তার জন্য বেগ পেতে হবে। রাজনীতিবিদদের জন্য খুব অনুকূল সময়। কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় লাভ হতে পারে। অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা না দেওয়াই ভাল।

    সাপ্তাহিক রাশিফল বৃশ্চিক রাশি: সপ্তাহের শুরুতে কোনও সুখবর আসতে পারে। পরিবারে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হতে পারে। বিবাহিত জীবনে সুখ, শান্তি থাকবে। চাকরিজীবীরা এই সপ্তাহে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। অফিসের সিনিয়র এবং সহকর্মীরা আপনার কাজের প্রশংসা করবে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন, তাঁরা এই সপ্তাহে ভাল সুযোগ পেতে পারেন। যাঁরা জমি-বাড়ি বা গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন, এই সপ্তাহে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাঁরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরাও এই সপ্তাহে সাফল্য পেতে পারেন। কর্মজীবনে সাফল্য সপ্তাহের শুরুতে দৃশ্যমান। চাকরি বা ব্যবসার আটকে থাকা কাজ শেষ হবে। পারিবারিক সহযোগিতা ও অর্থের অবস্থা ভালো থাকবে। এই সপ্তাহে সম্পত্তির কাজে ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। প্রেমের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই সপ্তাহে শুক্রবার আপনার জন্য অনুকূল হবে। অর্থভাগ্য ভাল হলেও পরিশ্রম থাকবে প্রচুর। প্রেমের ক্ষেত্রে সফল হবেন। কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি। পড়াশোনার জন্য খুব ভাল সুযোগ আসতে পারে। 

    সাপ্তাহিক রাশিফল ধনু রাশি: আপনার উপর কাজের চাপ থাকবে, যে কারণে কেবল মানসিক নয়, শারীরিক ক্লান্তিও থাকবে। শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী কর্ম করুন, অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাঁরা নতুন চাকরি খুঁজছেন, তাঁদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। অফিসে আপনার গোপন শত্রুরা আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে পারে, তাই খুব সতর্ক থাকুন। সপ্তাহের শুরুটা আপনার জন্য খুব ভালো হবে। আটকে থাকা কাজ শেষ হবে, ভালো তথ্য পাওয়া যাবে। অর্থের অবস্থান ভালো থাকবে, কর্মজীবনে সম্মান বাড়বে। এই সময়ে স্বাস্থ্য এবং চোট আঘাতের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহের শেষে কোনও ভালো খবর পেতে পারেন। এই সপ্তাহে বুধবার আপনার জন্য বিশেষভাবে অনুকূল হবে। সন্তানদের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় বা কর্মক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখুন এবং খুব বুঝে কথা বলুন। আপনার ব্যবহার একটু খারাপ হতে পারে। জীবনের মূল্যবান কোনও সিদ্ধান্ত আজ নিতে হতে পারে। সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।

    সাপ্তাহিক রাশিফল মকর রাশি: মকর রাশির জাতকদের এই সপ্তাহটি খুব ভাল কাটবে। সপ্তাহের শুরুতে আপনার বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে পারে। বিয়েতে পরিবারের অনুমোদন পেতে পারেন। বিবাহিতদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে। স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। এই সময়ে জমি-বাড়ি, গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত ইচ্ছাও পূরণ হতে পারে। পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মিটে যাবে। এই সময়ে আপনি এমন একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন, যা থেকে ভবিষ্যতে বড় লাভ হবে। চাকরিজীবীদের সপ্তাহটি ভালই কাটবে। সপ্তাহের শুরু থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কর্মজীবন ও পারিবারিক সমস্যার সমাধান হবে। সব মিলিয়ে আর্থিক অবস্থা ভালো থাকবে। এ সময় বিয়ে ঠিক হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সপ্তাহের শেষে আঘাত পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্ক থাকুন। এই সপ্তাহে শনিবার আপনার জন্য বিশেষভাবে অনুকূল হবে। চাকরিতে বদলি হওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। সংক্রমণ-জনিত দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। আজ সারাদিন ব্যবসায় উদ্বেগ দেখা যাবে। ব্যয় বেশি হওয়ায় বাড়িতে কলহ বাধতে পারে। বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে না পারায় দুঃখবোধ। অতিরিক্ত পরিশ্রমে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্ধুর ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    সাপ্তাহিক রাশিফল কুম্ভ রাশি: স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। গাড়ি চালানোর সময় খুব সতর্ক থাকুন। ব্যবসায়ীদের এই সময়টি খুব একটা ভালো কাটবে না। আর্থিক লেনদেন করার সময় খুব সতর্ক থাকুন, অন্যথায় আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বাধা আসবে। শুরুতে স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা কিছুটা অস্থির থাকতে পারে। পরিবারের সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে। শিক্ষা প্রতিযোগিতা ও চাকরির কাজে ব্যস্ততা থাকবেন। সপ্তাহের শেষে উপহার সম্মান লাভ হতে পারে। এই সপ্তাহে রবিবার আপনার জন্য বিশেষভাবে অনুকূল হবে। পরিশ্রম করেও তার ফলস্বরূপ কিছু পাবেন না। বাচ্চার দুরন্তপনায় অস্থির হতে হবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র ভাল নয়। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি। সকাল থেকে শরীরে একটু কষ্ট বাড়তে পারে। নতুন গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে। দুপুরের পরে বাড়ির কোনও ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল।

    সাপ্তাহিক রাশিফল মীন রাশি: বাড়ির পরিবেশের উন্নত হবে। এই সপ্তাহে স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি বা গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন, তাঁদের এই সপ্তাহটি ভাল কাটবে। যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরা সাফল্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের এই সপ্তাহটি ভাল কাটবে। যাঁরা পার্টনারশিপে ব্যবসা করছেন, তাঁদের ভাল লাভ হবে। সপ্তাহের শুরুতে কর্মজীবনে পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। স্থান পরিবর্তন বা সম্পত্তি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। আর্থিক অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হবে। যাঁরা বিবাহের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য খুব শুভ সময় আসছে। পদার্থবিদ্যা নিয়ে লেখাপড়া করছেন যাঁরা, তাঁরা সফল হবেন। লিভারের সমস্যায় ভোগান্তি। সংসারে অশান্তি মিটে যাবে। চাকরির পদোন্নতিতে বিদেশযাত্রার যোগ দেখা যাচ্ছে। শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে কিছু উপহার পেতে পারেন। শরীরের কোথাও চোট লাগতে পারে।

  • SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের একাধিক ব্যাংকও নিজেদের ঋণদানের সুদের হার বাড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও (State Bank Of India) ঋণে সুদ বাড়িয়েছে। এছাড়া আরও অনেক ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার রেপোরেটে ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।  

    আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?

    এসবিআই (SBI) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক ল্যান্ডিং রেট ইবিএলআর (EBLR) এবং রেপোরেট এর সঙ্গে সম্পর্কিত আরএলএলআর (RLLR) ৫০ বেসিস পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে। এই বৃদ্ধির পরে ইবিএলআর ৮.৫৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে এবং আরএলএলআর ৮.১৫ শতাংশতে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে নতুন রেট লাগু হয়েছে। 

    ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (BOI) আরবিএলআর বাড়িয়ে ৮.৭৫ শতাংশ করেছে। আইসিআইসিআই  ব্যাংকও (ICICI) নিজেদের ইবিএলএলআর বাড়িয়েছে। তা বাড়িয়ে ৯.৬০ শতাংশ করে দিয়েছে। ঋণে সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক কিস্তির রেটও বাড়বে। যারা ইবিএলআর এবং আরএলএলআর এর উপর লোন নিয়েছিলেন তাদেরকে দিতে হবে এই বাড়তি টাকা। এইচডিএফসি (HDFC) হোম লোনের সুদের হারের ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন রেট ১ অক্টোবর থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হোম-লোনে ইএমআইও বাড়তে পারে। ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলে প্রায় ৩ হাজার টাকা বার্ষিক খরচ বাড়তে পারে।  
     
    মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক এ বছর মে মাস থেকে শুরু করে চারবার রেপোরেট বৃদ্ধি করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার, চতুর্থবার রিপোর্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। আরবিআই এই বৃদ্ধির পরে রেপো রেট ৫.৯০ শতাংশতে পৌছে গিয়েছে। এই দরেই আরবিআই ব্যাংকগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Umar Ahmed Ilyasi: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

    Umar Ahmed Ilyasi: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন অখিল ভারত ইমাম সংগঠন প্রধান উমর আহমেদ ইলিয়াসী (Umar Ahmed Ilyasi)। আর এরপর থেকেন খুনের হুমকি আসছে তাঁর কাছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন খোদ ইমাম প্রধান। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। 

    কিছুদিন আগেই দিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে একটি মসজিদে উমর আহমেদ ইলিয়াসীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এরপর একটি মাদ্রাসাতেও যান তিনি। এই সাক্ষাতের পরেই মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলে সম্মোধন করেন  ইলিয়াসী। 

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের? 

    ইলিয়াসী বলেন, “মোহন ভাগবত যে সকল কাজ করে চলেছেন, তা প্রশংসনীয়। আমাদের সমাজে তাঁর কাজ ভালো বার্তা দেবে। প্রত্যেকের ভগবানের প্রতি উপাসনা আলাদা। তবে আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় ধর্ম হলো মানবতার। দেশ সবার আগে।”   

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই? 

    অভিযোগ গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড থেকে একটি হুমকি ফোন আসে ইলিয়াসীর কাছে। সেই ফোনে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলার কারণেই এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইলিয়াসী।

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের ওপর পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১১

    তিনি বলেন, “ইংল্যান্ড থেকে একটি হুমকি ফোন আসে, যেখানে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পরবর্তীতে প্রাণের হুমকি দেওয়া হয়। আসলে কিছু মানুষ দেশের শান্তি পছন্দ করে না। সেই জন্য এই সব করা হচ্ছে। তবে এহেন হুমকির কাছে আমি কখনোই মাথা নত করব না। আমি আমার বক্তব্যে অনড়।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UP Durga Puja pandal: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    UP Durga Puja pandal: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির একটি দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনাস্থলেই তিন শিশু সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে অন্তত প্রায় ৬৭ জন ব্যাক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির বিশেষ ‘চমক’! দলের দুর্গাপুজো করবেন এক মহিলা ‘অব্রাহ্মণ’ পুরোহিত 

    পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সম্ভবত সপ্তমী উপলক্ষে পূজা প্যান্ডেলে আরতি করার সময় রাত ন’টার দিকে প্যান্ডেলে আগুন লেগে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে সেই সময় পূজা প্যান্ডেলের ভিতরে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ জন ছিল।প্যান্ডেলে ভেতরে ডিজিটাল ভাবে পূজা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান চলছিল সেটি দেখতেই প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে, ভাদোহির জেলা শাসক গৌরাঙ্গ রাঠি জানান আউরাই পুলিশ স্টেশনের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নারথুয়া গ্রামের একটি পূজো প্যান্ডেলে আগুন লেগেছিল।প্রতিটি আহত ব্যাক্তিদের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন প্যান্ডেলে ভিতরে বেশীরভাগ বাচ্চা ও মহিলাদেরই সমাগম ছিল।

    আরও পড়ুন: জানেন মহাষ্টমীর দিন “সন্ধিক্ষণের পুজো” কেন হয় ?

    তিনি আরও জানিয়েছেন প্যান্ডেলের ভিতরে হ্যালেজেন লাইট অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার ফলে শর্টসার্কিট হয়ে ইলেকট্রিক তারে আগুন  লাগে। সেই আগুন দ্রুত প্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ এই অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    জেলা পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share