Blog

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) দেখতে এমনিতেই নিত্য ভিড় হয়। তার ওপর উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। স্বাভাবিকভাবেই এক যাত্রায় পৃথক ফল যাতে না হয়, তাই কুম্ভে অমৃতস্নান করে পুণ্যার্থীরা চলে যাচ্ছেন অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনে। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যায় ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভিড় সামাল দিতেই মন্দিরের দর্শন (পুজো)-এর সময়সূচি পরিবর্তন করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এখন থেকে মন্দির খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। এর আগে রামলালার এই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলত সকাল ৭টায়।

    বদলাল আরতির সূচিও (Ram Mandir)

    যেহেতু দর্শনের সময়সীমা এক ঘণ্টা বেড়েছে, তাই বদলে গিয়েছে আরতির সূচিও। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগে মঙ্গল আরতি হত ভোর সাড়ে ৪টায়। এখন থেকে সেটাই হবে ভোর ৪টায়। এর পর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে মন্দিরের দ্বার। সকাল ৬টায় হবে শৃঙ্গার আরতি (Ram Mandir)। সেই সময় থেকেই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন। মন্দির ট্রাস্ট আরও জানিয়েছে, রামলালাকে রাজভোগ নিবেদন করা হবে দুপুর ১২টায়। তখনও ভক্তরা দর্শনের সুযোগ পাবেন। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে ১৫ মিনিটের জন্য। তারপর ফের খোলা হবে। দিনের শেষ আরতি যা শয়ন আরতি নামে পরিচিত তা হবে ১০টায়। আগে হত রাত্রি সাড়ে ৯টায়। এই শয়ন আরতির পরেই দেবতার বিশ্রামের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। খুলবে ফের পরের দিন ভোরে, মঙ্গল আরতির সময়।

    রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। সেদিনই হয় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। তার পর থেকেই ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এই অযোধ্যা থেকেই মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে মেলা। সেই মেলা দেখতে এসেই রামলালার দর্শন সেরে যাচ্ছেন ভক্তকুল। পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছ’মাসে উত্তরপ্রদেশে এসেছেন ৩২.৯৮ কোটি পর্যটক। এঁর সিংহভাগই ঘুরে গিয়েছেন অযোধ্যা ও বারাণসী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, জানুয়ারির ২৬ তারিখ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত (Ayodhya) মাত্র নদিনে এক কোটিরও বেশি ভক্ত অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন (Ram Mandir)।

  • BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়াল সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ছত্তিশগড়ের বিজেপি (BJP) সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য

    প্রসঙ্গত, রবিবারই বস্তারের জঙ্গলে প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের একটি বাহিনী অভিযানে যায়। দলটিতে ছিলেন ৬০০ জন কমান্ডো। সেই অভিযানেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হন। শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ানও। রবিবারের মাওবাদী দমনের ওই অভিযানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেন। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

    ১৩ মাসে হত ৩৫৮ মাওবাদী

    ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,১৭৭ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৮৫ মাওবাদী। এটাকেই মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিনিয়ত অভিযানের গতি বাড়ছে। আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে মাওবাদ বিরোধী অভিযান। মাওবাদীদের নিকেশ করতে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসতেই শুরু জোরালো অভিযান

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। ঠিক এই কারণেই গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।

  • Kalpit Veerwal: ২০১৭ সালের জয়েন্টে পেয়েছিলেন ৩৬০/৩৬০, এখন কী করেন রাজস্থানের কল্পিত?

    Kalpit Veerwal: ২০১৭ সালের জয়েন্টে পেয়েছিলেন ৩৬০/৩৬০, এখন কী করেন রাজস্থানের কল্পিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে জয়েন্ট এন্ট্রাস (JEE Main) মেইন পরীক্ষায় ৩৬০ এর মধ্যে ৩৬০ নম্বরই পেয়েছিলেন রাজস্থানের কল্পিত বীরওয়াল (Kalpit Veerwal)। এমন সাফল্যে তিনি নাম তুলেছিলেন লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে। এদেশের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কাছে যা স্বপ্ন থাকে তা সত্যি করে দেখিয়েছিলেন কল্পিত। কোনও উচ্চবিত্ত পরিবারে অবশ্য কল্পিতের জন্ম হয়নি। কল্পিতের বাবা পুষ্কর লাল উদয়পুরের এক সরকারি হাসপাতালের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর মা পুষ্পা বিরওয়াল একজন স্কুল শিক্ষিকা।

    কোটায় কোচিং নেননি কল্পিত (Kalpit Veerwal)

    রাজস্থানে দলে দলে পড়ুয়ারা ছুটে যায় কোটাতে। সেখানকার কোচিংয়ে মেলে আইআইটির সাফল্য। কিন্তু এ সমস্ত কিছু থেকেই দূরে ছিলেন কল্পিত। নিজের কঠিন অধ্যাবস্যার মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছিলেন এত বড় সাফল্য। জানা গিয়েছে, দিনে ১৬ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতেন না কল্পিত। তবে ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা করতেন। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘আমি দিনের ১৬ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম না এবং যেভাবে কোটাতে কোচিং দেওয়া হত, আমি সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইআইটি তে সাফল্য পাইনি। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে আমি পড়াশোনা করেছিলাম। এটাই আমাকে সাফল্য এনে দেয়। জয়েন্টের পরেই আমি আইআইটি বোম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্সে যোগ দিই।’’ কল্পিত বলেন, ‘‘যত নম্বর আমি পেয়েছি, তার অর্ধেকও পড়িনি। পড়ার ফাঁকে ক্রিকেট, বিনোদন সবটাই চালিয়ে গিয়েছি সমানভাবে।’’ প্রসঙ্গত, কোটায় নয়, নিজের শহর উদয়পুরেই কল্পিত থাকতে পছন্দ করতেন।

    বিশ্বের তরুণ পেশাদারদের মধ্যে অন্যতম

    জানা যায় কল্পিত পড়ুয়াদের জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন কোচিংয়েরও ব্যবস্থা করে এবং নাম দেয় AcadBoost. একইসঙ্গে ২০২১ সালে LinkedIn-এর তরফ থেকে তাঁকে সম্মানও জানানো হয়। বিশ্বের কুড়ি জন অসাধারণ তরুণ (Kalpit Veerwal) পেশাদারের মধ্যে তিনি স্থান পান। জয়েন্টে মেইন পরীক্ষায় ৩৬০ এর মধ্যে ৩৬০ নম্বর পাওয়া কল্পিত বর্তমানে একজন উদ্যোক্তা, একজন মোটিভেশনাল স্পিকার এবং ভারতজুড়ে পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা।

  • PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi In France: মোদিকে আলিঙ্গন ম্যাক্রঁ-র, প্যারিসে ট্রাম্পের ডেপুটির সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বন্ধুর উষ্ণ আলিঙ্গন। প্যারিসে (PM Modi In France) এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হওয়া সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার ফ্রান্স গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Macron)। তাঁকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। সেই সাক্ষাতের কথা জানিয়ে মোদি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘প্যারিসে বন্ধু তথা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে দেখা করে খুশি হয়েছি।’’ পাশাপাশি মোদি লিখেছেন, ‘প্যারিসে অভ্যর্থনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে!’ ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা যেভাবে ভালবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের প্রবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ’!

    মোদি-ম্যাক্রঁ সাক্ষাত

    ম্যাক্রঁর আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন মোদি (PM Modi In France) । আজ, মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সম্মেলনটি হবে ফ্রান্সে। ২০২৩ সালে এই সম্মেলন শুরু হয় ব্রিটেনে। ২০২৪ সালে এই আসর বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ বার আয়োজিত হচ্ছে ফ্রান্সে। সেই সম্মেলনেই থাকবেন মোদি। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল এআই প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এআই সম্মেলন ছাড়াও ফ্রান্স সফরে বেশ কয়েকটি উচ্চস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন মোদি। এ ছাড়াও ম্যাক্রঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার কথা আছে তাঁর। ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত অংশীদারি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। বুধবার মোদি এবং ম্যাক্রঁ— দু’জনে মার্সেইতে মাজারগুয়েস যুদ্ধের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করবেন। যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মোদি (Modi meets Macron)।

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ

    ফ্রান্সের মাটিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মোদি (PM Modi In France) । সোমবার, প্যারিসে বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের ফাঁকে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জেডি ভান্সের সঙ্গে করমর্দন করছেন মোদি। মার্কিন নির্বাচনে রিপালিকানদের জয়ের জন্যে ভান্সকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকেই ১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লি দখল করেছে বিজেপি। ৭০ আসনের এই বিধানসভায় বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টিতে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিজয় হওয়ার পর বিজেপির অন্দরে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল কার মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ (Delhi Chief Minister)? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে পদ্ম পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। তার পরেই ফ্রান্স উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাঘুষোয়, শোনা যাচ্ছে তিনি দেশে ফিরলে, তবেই জানা যাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সিতে কে বসবেন।

    মসনদে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কেউ (Delhi Chief Minister)

    তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরে শোনা যাচ্ছে পদ্মময় দিল্লির মসনদে বসানো হতে পারে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে। এর মধ্যে রয়েছেন উত্তম নগর থেকে জয়ী পবন শর্মা। পবন প্রাক্তন সংঘ প্রচারক। দিল্লি রাজ্য সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও তিনি। পবন ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন আরও একজন। তিনি আদর্শ নগর কেন্দ্র থেকে জয়ী রাজকুমার ভাটিয়া। এবিভিপির সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। রোহিণী থেকে জয়ী জিতেন্দ্র মহাজন পাঞ্জাবি এবং বৈশ্য উভয় সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি। তবে তিনি সংঘ পরিবারের বাইরের। তাই তাঁর কপালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা কম।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে কারা

    বিজেপি (Delhi Chief Minister) যদি আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে দিল্লির কুর্সিতে বসায়, তাহলে দৌড়ে এগিয়ে পবন এবং রাজকুমার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলেই জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফিরবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার পরেই চূড়ান্ত হতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম। বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “আরএসএস বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবে। যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা বিজেপিকে দেওয়া সমর্থন অন্যতম।” বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বিজেপির দিল্লি বিজয় যাদের জন্য সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে মূলত রয়েছেন ব্রাহ্মণ, জাঠ এবং পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের ভোটার। তাই এই তিন সম্প্রদায়ের থেকেই কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপ-মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লি বিধানসভার স্পিকার এবং মন্ত্রিসভার সাতজন মন্ত্রীর নামও চূড়ান্ত করা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে (Delhi Chief Minister)।

  • Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সমুদ্রে ডুবে রয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) যাওয়ার পথ! জানা গিয়েছে, গাড়ির লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৩০০ কিলোমিটার। এই প্রবল যানজটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে রাস্তার ওপরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন ভক্তরা। হেঁটেই মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপক যানজটকে নেটিজেনরা বিশ্বের বৃহত্তম যানজট বলে অভিহিতও করেছেন। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার মারফত জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ হয়ে যে রাস্তা মহাকুম্ভ মেলার দিকে যাচ্ছে, সেই রাস্তায়ই ২০০-৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন। অন্যদিকে রবিবারই পুলিশ বিভিন্ন জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, এর ফলে বহু মানুষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

    কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা (Mahakumbh 2025)

    প্রত্যক্ষদর্শীরা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেন, রেওয়া জেলার চকঘাটে কাটনি থেকে মধ্যপ্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। এই সময়ই সামনে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও। ভিড়ের ভিডিও পোস্ট করে এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “জবলপুরের আগে ১৫ কিলোমিটার যানজট। প্রয়াগরাজ এখনও ৪০০ কিলোমিটার দূরে। মহাকুম্ভে আসার আগে দয়া করে যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে আসুন!” সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে এক্স-এ একজন পোস্ট করে লিখেছেন, “কুম্ভে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্র্যাফিক জ্যামে (১৫-২০ কিমি) আটকে গিয়েছি। প্রয়াগরাজ সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ।”

    যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ (Mahakumbh 2025)

    অনেকেই দাবি করছেন, যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। অর্থাৎ ৩০০ কিলোমিটারের যানজট (Mahakumbh 2025) পেরিয়ে তবেই পৌঁছানো যাচ্ছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। পুলিশকর্মীদেরই দাবি, ২০০-৩০০ কিলোমিটার যানজট (Traffic Jam) রয়েছে। আবার কারও দাবি, কোনও কোনও গাড়িকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে। মাত্র ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবু ভিড়ের কমতি নেই। লাখে লাখে ভক্ত হেঁটেই চলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে। অমৃতস্নান করার জন্য ছুটে আসছেন দেশ-বিদেশ থেকে অগুনতি ভক্ত। সেই কারণে তৈরি হয়েছে মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যাম, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

  • BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। এবার বিজেপির (BJP ) পাখির চোখ বাংলা। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্গে ধস নামিয়েছে গেরুয়া পার্টি। এবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে দুরমুশ করতে চাইছে পদ্ম পার্টি (Bangla Chalo)। ২৭ বছর পরে দিল্লিতে ফের সরকার গড়েছে বিজেপি। তার পর থেকেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা! (BJP)

    পদ্ম পার্টির বদ্ধমূল ধারণা, আপের দুর্গে যখন ধস নামানো গিয়েছে, তখন তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা বসানো অসম্ভব নয়। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে ফুটেছে পদ্ম। বিজেপি সূত্রে খবর, তার পরেই তারা চাইছে পূর্ব ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে তেরঙ্গা শিবিরে ধস নামানো। দিল্লির মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত বাংলায় প্রবেশ করাও বিজেপির পক্ষে একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আশা করেছিল। তবে, সেবার ফল ভালো হয়নি। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বিজেপি মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদের চেষ্টা!

    ২০১৯ সালে, বিজেপি কেন্দ্রে আরও বড় ব্যবধানে ক্ষমতায় ফিরে আসে। ততক্ষণে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতেও যথেষ্ট শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেছিল। ২০১৪ সালের আগে এই এলাকায় বিজেপির প্রায় কোনও প্রভাবই ছিল না। দুবছর পর বিজেপি ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদ করার চেষ্টা করেছিল, যদিও কোনও লাভ হয়নি।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জিতেছে ২১৫টি আসনে। এই নির্বাচনে বিজেপির ভোট ও আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও তা তাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ আসনের তুলনায় অনেক কম। তবে, দিল্লিতে জয়ী হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা এখন মনে করছেন যে বাংলা আর “মিশন ইম্পসিবল” নয় (BJP)।

    ৮ ফেব্রুয়ারি, দিল্লিতে বিজেপির জয় উদযাপনের সময়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, “জাতীয় রাজধানীর পর এবার বাংলা বিজেপিকে ভোট দেবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে (Bangla Chalo)।” তিনি বলেন, “দিল্লি কি জিত হামারি হ্যায় … ২০২৬ মে বাংলা কি বারি হ্যায় …” (দিল্লির বিজয় আমাদের … ২০২৬ সালে বাংলার পালা)” (BJP)।

  • Israeli Hostages: বেঁধে রাখা হত শিকলে, ইজরায়েলে ফিরে হামাসের অত্যাচারের বর্ণনা তিন নাগরিকের

    Israeli Hostages: বেঁধে রাখা হত শিকলে, ইজরায়েলে ফিরে হামাসের অত্যাচারের বর্ণনা তিন নাগরিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি হামাসের (Hamas) হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইজরায়েলের তিন নাগরিক। এঁরা হলেন- এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। দেশে ফিরে তাঁরা হামাসের অত্যাচারের করুণ কাহিনী বর্ণনা করেছেন। ১৬ মাস পরে মুক্ত হওয়া তিন বন্দির কথায়, তারা (হামাস) আমাদের সঙ্গে জানোয়ারদের মতো আচরণ করত। ৩৪ বছর বয়সি বন্দি ওর লেভি, এলি শারাবি (৫৪) এবং ওহাদ বেন আমি (৫৬) সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত। তাঁদের উপর চলত অমানবিক শারীরিক অত্যাচার। ৪৯১ দিন তাঁরা বন্দি ছিলেন। প্রতিদিনই তাঁদের এই অত্যাচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হত। একমাত্র তাঁদের ভালো করে খাবার দেওয়া হয়েছিল হস্তান্তর করার আগেই। ইজরায়েলের চ্যানেলে এই নিয়ে খবরও হয়েছে যে ওই তিনজনকে দীর্ঘদিন না খাইয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ওই তিনজনকেই ইজরায়েলের রাজধানী (Israeli Hostages) তেল আভিভের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল, ওই দিন ইজরায়েলি নাগরিককে (Israeli Hostages) ঘিরে ধরে রেখেছে মাস্ক পরা হামাস জঙ্গিরা (Hamas)। তাদের প্রত্যেকেরই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ওই তিন নাগরিককে দুর্বল, ফ্যাকাশে এবং রোগা দেখাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস যুদ্ধের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করে ইজরায়েল (Israeli Hostages)।

    হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

    সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় মুক্ত হওয়া এক বন্দির আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেই ফেললেন, একেবারে কঙ্কালের মতো অবস্থা হয়েছে। কি ভয়ঙ্কর লাগছে! এরপরই বিবৃতি আসে ইজরায়েলের (Israeli Hostages) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যাঁদের মুক্ত করা হল তাঁদের চেহারা দেখে অত্যন্ত মর্মান্তিক লাগছে। আমরা হামাসকে (Hamas) নির্মূল করবই। বাকি সব বন্দিদের আমরা ফিরিয়ে আনব।”

  • Omar Abdullah: শাহি দরবারে ওমর, আলোচনা ভূস্বর্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে

    Omar Abdullah: শাহি দরবারে ওমর, আলোচনা ভূস্বর্গের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ (Omar Abdullah) দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সূত্রের খবর তাঁদের মধ্যে ত্রিশ মিনিট ধরে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা করেছেন ওমর আব্দুল্লাহ। ওই বৈঠকে ওমর শাহকে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়েও অবগত করেন। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সম্প্রতি হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। সে নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অবগত করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।

    বৈঠকের পরে কী বললেন ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah)

    জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকের পরে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ট্যুইট বার্তা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বৈঠকের পরে ওমর (Omar Abdullah) নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি জম্মু-কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলাম এবং প্রত্যেকটি ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে অবগত করেছি। এই ঘটনাগুলি স্বচ্ছ তদন্ত হবে বলেই আমি আশা করি।’’

    সম্প্রতি মোদির প্রশংসা ওমরের মুখে

    কাশ্মীরে ‘জেড–মোড়’ তথা ‘সোনমার্গ টানেল’ মোদি উদ্বোধন করেন সম্প্রতি। এরপরেই তাঁর উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তব্য রাখেন ওমর। তিনি বলেন, ‘‘তৃতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন শ্রীনগরে এলেন, তখন থেকেই লোকে তাঁর কথা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীরের মানুষের দিল এবং দিল্লির দূরত্ব মুছে ফেলতে তিনি বদ্ধপরিকর। আপনি আশ্বাস দিয়েছিলেন— চার মাসের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে, আপনি কথা রেখেছেন। লোকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমার মন বলছে, আপনি খুব শিগ্‌গির আপনার তৃতীয় প্রতিশ্রুতিও রাখবেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা নিশ্চয়ই ফেরাবেন আপনি।’’ মোদির সামনে মুখ্যমন্ত্রী ওমরের (Omar Abdullah) এই মন্তব্য শুনে হাততালিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে জনতা। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর সফর নিয়ে প্রশংসা করেন ওমর। এনিয়ে এক্স মাধ্যমে পোস্টও করেন।

  • Aligarh Muslim University: চিকেনের পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি! আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়

    Aligarh Muslim University: চিকেনের পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি! আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিতর্কের ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেনের বদলে দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হবে গরুর মাংসের বিরিয়ানি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) স্যার শাহ সুলেমান হলে এমন নোটিশ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। তবে কেন এমন নোটিশ তা নিয়েই তদন্তের দাবি তুলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

    নোটিশে কী ছিল

    কলেজ কর্তৃপক্ষ (AMU Beef Biryani Row) অনুমোদিত নোটিশে পরিস্কার লেখা রয়েছে, “রবিবারের মধ্যাহ্নভোজের মেনু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং চাহিদা মতো মুরগির বিরিয়ানির বদলে গরুর মাংসের বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে।” এমন নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। হিন্দু ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ

    এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University) কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তাঁরা। টাইপিংয়ের ভুল বলেও জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘পুরো বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি নোটিশটির বৈধতা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুই সিনিয়র ছাত্রকেই দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, “আমাদের নামে ভুয়ো নোটিশ জারি করার জন্য দুই সিনিয়র ছাত্রকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।”

    সমালোচনা বিজেপির

    এই ঘটনাটির তীব্র সমালোনা করেছেন, বিজেপি নেতা এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) প্রাক্তনী নিশীথ শর্মা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দেয় যে, কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ করতে উৎসাহিত করছে।’ তাঁর কথায়, এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা লজ্জাজনক। স্যার শাহ সুলেমান হলে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে বলে একটি নোটিশ প্রচার করা হয়। নোটিশটি প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং এটি সিনিয়র ফুড কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, প্রশাসন মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে এবং শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ ধামাচাপা দিচ্ছে।

LinkedIn
Share