Blog

  • Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    Asia Cup 2022: ‘বিরাট’ ব্যাটে ভরসা! শততম ম্যাচে শতরানের আশায় নয়া হাতিয়ার কোহলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভাগ্য বদলানোর আশায় ব্যাটটাই পাল্টে ফেললেন বিরাট। এশিয়া কাপে রানমেশিনের নয়া হাতিয়ার গোল্ড উইজার্ড ব্যাট।আগামী রবিবার দুবাইয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মুখোমুখি ভারত। এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপে (2022 Asia Cup) অভিযান শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বিরাটের কেরিয়ারে এটি শততম আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ। শততম ম্যাচে শতরানের আশাতেই ব্যাট বদল বিরাটের (Virat Kohli)।

    বিশেষভাবে তৈরি এই ব্যাটের দাম কমপক্ষে ২২ হাজার টাকা। বিরাট যে ব্যাট বর্তমানে ব্যবহার করেন তার থেকে সামান্য ভারী নতুন ব্যাটটি। ওজন ১.১৫ কিলোগ্রাম। এখনকার ব্যাটের ওজন ১.১ কিলোগ্রাম। শেষ মুহূর্তে শটের গতিপথ পরিবর্তনে সাহায্য করে হালকা ওজনের ব্যাট। কবজি ঘুরিয়ে শট খেলা প্রতিভাধর ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন কোহলি। ব্যাটের ওজনের সামান্য তারতম্য বিপক্ষের বোলারদের ডেলিভারি দূরে আছড়ে ফেলতে সাহায্য করতে পারে বিরাটকে।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Saurav Yaduvanshi (@sports.launchpad)

     

    সচিন তেন্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, দু’জনেই প্রায় ১.৩৫ কেজি ওজনের ভারী ব্যাট ব্যবহার করতেন।  ভারী ব্যাট ব্যবহারের জন্য জিমে গিয়ে পেশি শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন বিরাট। কোহলি এখন এমআরএফের ব্যাট ব্যবহার করেন। তবে এবার তাঁর ব্যাটে লেখা থাকবে এমআরএফ গোল্ড উইজার্ড। এতদিন অবধি বিরাট খেলছিলেন এমআরএফ জিনিয়াস ব্যাট নিয়ে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী পাঁচ ব্যাটসম্যান

    ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)  সঙ্গে দুবাইয়ে (Dubai) অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে নেটে দুর্দান্ত ফর্মে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নেটে রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তিনি নির্বিচারে ব্যাট হাতে ঠেঙিয়ে যাচ্ছেন।

    এশিয়া কাপেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন কোহলি। গত জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।  বিগত কয়েকবছর ধরেই বিরাটের ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনও শতরান করতে পারেননি কিং কোহলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত (India)। এই মুহূর্তে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এহেন আবহে ভারতের এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতেই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর ভোটাভুটিতে এতদিন অংশ নেয়নি নয়াদিল্লি। এবার নিল। এবং ভোট দিল রাশিয়ার বিপক্ষেই। আমেরিকা সহ পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। তবে নয়াদিল্লি এর থেকে ছিল যোজন দূরে। ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ‘বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এতদিন। নয়াদিল্লি এও জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে যা করণীয়, তাই করবে সাউথব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচ। এই পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্য ১০। এই সদস্য দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এই মুহূর্তে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে যার মেয়াদ।

    ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতার আবহে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ২৪ অগাস্ট বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর ভ্যাসিলা এ নেবেনজিয়া (Vassily A. Nebenzia) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিডিও টেলিকনফারেন্সে এই বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে অনুরোধ করেন। এই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। বিপক্ষে একটি। অর্থাৎ রাশিয়া ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Raju Srivastava: সুস্থতার পথে রাজু শ্রীবাস্তব! ১৫ দিনের লড়াই শেষে অবশেষে জ্ঞান ফিরল কমেডিয়ানের

    Raju Srivastava: সুস্থতার পথে রাজু শ্রীবাস্তব! ১৫ দিনের লড়াই শেষে অবশেষে জ্ঞান ফিরল কমেডিয়ানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জ্ঞান ফিরল জনপ্রিয় অভিনেতা তথা কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava)। গত ১০ অগাস্ট থেকে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি ছিলেন তিনি। ১৫ দিন পর আজ তাঁর জ্ঞান ফিরল। সেখানকার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন শিল্পী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাজুর শরীর ধীরে ধীরে ভাল হচ্ছে, সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন তিনি। স্বস্তিতে তাঁর অনুরাগীরা।

    আজ রাজু শ্রীবাস্তবের সহকারী গর্বিত নারাঙ (Garvit Narang) জানিয়েছেন, পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে রাজুর। আজ তাঁর ১৫ দিন পর জ্ঞান ফিরেছে। তিনি বর্তমানে এইমসের ডাক্তারদের নজরে আছেন। আবার, কিছুদিন আগেই ৩ মিনিটের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তবের ভাই দীপু শ্রীবাস্তব। সেখানে তিনি রাজুর শারীরিক অবস্থার খবর দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে গুজব ছড়ানোর বিষয়েও বলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, যাঁরা ছড়িয়েছিলেন তাদেরকেও কটাক্ষ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজু এখন স্থিতিশীল’, ব্রেন ডেথের গুজব ওড়ালেন রাজু শ্রীবাস্তবের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, গত ১০ অগাস্ট জিম করতে গিয়েই হার্ট অ্যাটাক হয় অভিনেতার। শরীরচর্চা করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেডমিলের উপরেই পড়ে যান তিনি। তারপরই তড়িঘড়ি করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মাঝখানে তাঁর ব্রেন ডেথের মত গুজবও শোনা গিয়েছিল। তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটায় ভীষণ বিরক্ত ছিলেন তিনি। পরে তিনি ব্রেন ডেথের ঘটনাকেও গুজব বলেছিলেন।

    তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী ছিলেন ও বলেছিলেন যে রাজু অবশ্যই ফিরে আসবেন ও সবাইকে হাসাবেন। তিনি আরও বলেছিলেন “আমার স্বামী একজন যোদ্ধা, আমি নিশ্চিত, উনি এই যুদ্ধ শেষে ফিরে আসবেই।“ এবং তাঁর বিশ্বাসই রাজুকে যেন আবার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই হিমালয় পর্বতে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (US) ও ভারত (India)। এতে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তাকে আমল দিতে নারাজ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিনের সমালোচনা করে বলা হয়,   ভারত স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত কোনও কাজ করে না। সেনা প্রশিক্ষণের স্বার্থে এই মহড়া জরুরি।  

    আগামী ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মহড়া চালাবে আমেরিকা ও ভারতের সেনা। উত্তরাখণ্ডের আউলিতে অনুষ্ঠিত এই মহড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন।  হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় আউলিতে মহড়া চালাবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। তাতেই বাধা দিয়েছিল বেজিং। চিনের দাবি, সীমান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না তারা। যদিও ভারতের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মহড়া চলবে। এটা সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা নয় একটা আনুষ্ঠানিক মহড়া, বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (arindam bagchi)। তিনি বলেন, “এই মহড়াকে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কোনও চুক্তিকেই আঘাত করবে না। ভারত শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। দিল্লি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।”

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    আউলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারত ও চিনকে বিভক্ত করেছে। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।  

    চিন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি দুপক্ষকেই সংযত হতে বললেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য নজর রাখার কথা বললেন দুই দেশকেই। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে। এমনকি ২১ টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিন তাইওয়ান যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    Anubrata Mondal: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2022)। ধুমধামের সঙ্গে এই বিশেষ দিন পালিত হচ্ছে। এর জন্য সেজে উঠেছে বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple)। অতীতে, প্রতিবছর এই কৌশিকী অমাবস্যা ঘটা করে পালন করে এসেছেন মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আর কালীপুজোর আয়োজনে কোনও খামতি থাকত না। জাঁকজমক করে এই উৎসব পালন হত তাঁর বাড়িতে। শোনা যায়, কালীপুজোয় প্রতিমাকে প্রায় ২৫০-৩০০ ভরি সোনার গয়নায় সাজিয়ে পুজো করতেন অনুব্রত। আবার কখনও, সোজা তারাপীঠ মন্দিরে হাজির হয়ে যেতেন বীরভূমের একসময়ের ‘বেতাজ বাদশা’।

    কিন্তু, এবছর যেন সব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। গরুপাচার মামলায় এখন শ্রীঘরে রয়েছেন কেষ্ট। বর্তমানে, কেষ্টর ঠিকানা আসানসোল জেল (Asansol Jail)। সেখানেই ১৪ দিনের হাজতবাস কাটাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায়, কার্যত বাধ্য হয়ে জেলের মধ্যেই পুজো সারলেন কেষ্ট। সূত্রের খবর, এদিন, জেলেই পুজো দিলেন অনুব্রত। সংশোধনাগারে মায়ের কোনও বিগ্রহ নেই। তবে মা কালীর একটা ছবি আছে। সকাল সকাল স্নান সেরে আসানসোল সংশোধনাগারের হনুমান মন্দিরে মা তারার ছবিতে লাল জবা, ধুপ ও নকুলদানা দিয়ে পুজো দিলেন অনুব্রত। তাঁর প্রসাদও অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে বিতরণ করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিকে, সূত্রের আরও খবর, আসানসোল সংশোধনাগারে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেই  দু’টি ঘরের মধ্যে একটিতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই ঘর লাগোয়া পৃথক কমোডযুক্ত শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে তাঁর জন্য। তবে সংশোধনাগারে কেষ্টকে কোনও  বিশেষ আতিথেয়তা দেওয়া হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর হচ্ছে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা৷ গত স্বাস্থ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তাঁর ওজন কমেছে৷ জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ৩ কেজি ওজন কমে গিয়েছে৷ ১১২ কেজি থেকে কমে এখন তাঁর ওজন দাঁড়িয়েছে ১০৯ কেজি৷ অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করে আপাতত জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে৷

    আরও পড়ুন: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। ২০ মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই সময়সীমার আড়াই মাসের মাথায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Govt.)।

    ডিএ (DA) নিয়ে টালবাহানার এই আবহে দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2022) দেড়মাস আগে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এহেন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। 

    গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার করে টাকা। এবার অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল অনুদান বাবদ যে টাকা দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে, তার পরিমাণ ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সরকারের এহেন ‘অনুদান’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কেন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত? যেখানে বহু মানুষ এখনও খাবার, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই খয়রাতি? কোন বৃহত্তর স্বার্থে লাগবে এই অনুদান?

    আরও পড়ুন : কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩১ শতাংশ। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, এই গরু চুরির টাকায় পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই চুরির টাকায় কতজন মানুষ পুজো করবে বা দেখতে আসবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Elections)। সেই কারণে দরাজ হস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে দলের হেভিওয়েট দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার জেরে মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের (TMC Government)। সেদিক থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতেই অনুদানের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Apple-1 computer: এবারে নিলামে বিক্রি হল অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটার ‘অ্যাপেল -১’, এর দাম জানেন?

    Apple-1 computer: এবারে নিলামে বিক্রি হল অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটার ‘অ্যাপেল -১’, এর দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেই নিলামে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে আইফোনের (Apple IPhone) ফার্স্ট জেনারেশন ২০০৭-এর। এরপর বিক্রি করা হল ১৯৭০ সালের অ্যাপেল ১ কম্পিউটার। এই কম্পিউটাররের প্রোটোটাইপ অ্যাপেলের সিইও স্টিভ জোবস (Steve Jobs) নিজে ব্যবহার করতেন। তবে জানেন কী, এর এটি কত টাকায় নিলাম করা হল। এটি বিক্রি করা হয়েছে ৭ লাখ ডলারে অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৭০ টাকায়। জানা গিয়েছে, এক কালেক্টর এই নিলামে অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটারটি কিনেছেন।

    আরআর অকশন (RR Auction) একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, এই কম্পিউটারটি ১৯৭৬ সালে স্টিভ জোবস পল টেরেল নামক ব্যক্তিকে দেখিয়েছিলেন। বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার স্টোরগুলির মালিকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পল টেরেল (Paul Terrell)। পল টেরেলের ক্যালিফোর্নিয়াতে The Byte Shop নামে কম্পিউটার স্টোর ছিল। অকশনের সময় কম্পিউটারের প্রোটোটাইপটি আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য ১৯৭৬ সালে পল টেরেলের পোলারয়েডে তোলা ছবির সঙ্গে মিলিয়েও দেখা হয়। এরপর অ্যাপেল-১ বিশেষজ্ঞ কোরে কোহেন (Corey Cohen) এই ছবি থেকে যাচাই করেছে এবং এই কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

    আরও পড়ুন: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    এই কম্পিউটারে MOS 6502-এর সিপিইউ আছে। এতে ৮কেবি (8KB) র‌্যাম, ক্যাসেট সিস্টেমের মত বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এতে পড়া ও লেখাও যেত। এই অ্যাপেল-১ কম্পিউটারটি ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। এটির আসল মূল্য ছিল ৬৬৬ ডলার যা বর্তমানে ৩ হাজার ৪৬০ ডলারের সমান। আরও জানা গিয়েছে, এই অ্যাপেল-১ কম্পিউটারের ২০০টি ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬২ ইউনিট এখনও রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আরআর অকশন হাউসের নিলামে শুধুমাত্র অ্যাপেলের প্রথম কম্পিউটারই বিক্রি করা হয়নি। অ্যাপেল আইফোনের (Apple IPhone) ফার্স্ট জেনারেশন ২০০৭-এর একটি সিলড প্যাকও ৩৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ। এর পাশাপাশি এই নিলামে একটি অ্যাপেল ওয়ান সার্কিট বোর্ডও ৬৭৭,১৯৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। একটি অব্যবহৃত প্রথম জেনারেশনের ৫ জিবির অ্যাপল আইপডও  ২৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    Kerala Judge: ‘উত্তেজক পোশাক!’ যৌন হয়রানি মামলায় বিতর্কিত মন্তব্য করায় বদলি কেরলের বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগকারীর পোশাকের দিকে আঙুল তুলে দুটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তিকে নিষ্কৃতি দেন কেরলের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার (S Krishnakumar)। ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ওই বিচারকের বদলির (Transfer) নির্দেশ জারি হল। কেরল (Kerala) হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পি কৃষ্ণ কুমার কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারকের বদলির নোটিস জারি করেছেন। 

    আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাত্য কেরলের মহিলা ফুটবল দল! প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    সম্প্রতি কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের ওই বিচারক (District Judge in north Kerala’s Kozhikode)‘যৌন উত্তেজক পোশাক’ পরাকে যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) অপরাধ বলে এক মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন। আর তাতেই বদলি করা হল ওই বিচারককে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ওই বিচারক ছাড়াও বদলির নোটিস পেয়েছেন জেলা স্তরের তিন বিচার বিভাগীয় আধিকারিকও।

    কিছুদিন আগেই দুটি পৃথক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে লেখক তথা সমাজকর্মী চন্দ্রনের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাতেই ওই লেখকের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালত। এই ঘটনাতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    ওই লেখকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে প্রথম অভিযোগ করেন এক দলিত মহিলা লেখক। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। গত ১৭ জুলাই সেই মামলার আগাম জামিন পেয়েছেন ওই লেখক। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন,  “অভিযুক্ত আগে থেকেই জানতেন, ওই মহিলা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই কথা জানার পরেও তিনি মহিলাকে স্পর্শ করবেন, এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির      

    পৃথক একটি মামলায় ওই মালায়ালি লেখকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়েছেন এক ৩০ বছর বয়সী লেখিকা। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কোঝিকোড়ের সমুদ্র সৈকতে চন্দ্রন একটি লেখক-শিল্প শিবির আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই যৌন নিপীড়েনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গত জুলাই মাসে মামলা দায়ের করেন ওই লেখিকা।

    গত ১২ অগস্ট সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোঝিকোড়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার বলেন, “যে কোনও মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরে থাকলে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা গৃহীত হবে না।” বিচারক আরও বলেন, “অভিযুক্ত জামিনের আবেদনে যে ছবি পেশ করেছে, তাতে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। অভিযোগকারী নিজেই এমন পোশাক পরেছে, তা যৌন উত্তেজক।” এরপরেই অভিযোগ নস্যাৎ করে ওই মালয়ালি লেখককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার। জেলা ও দায়রা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    Rajnath Singh: আত্মনির্ভর ভারত! বিদেশ থেকে আমদানি নয়, আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী তৈরি হবে দেশেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিনই শোনা গিয়েছিল অত্যাধুনিক দেশীয় কামানের গর্জন। এবার আত্মনির্ভর ভারত তৈরিতে আর একটি পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minstry) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) দেশে আরও নতুন যুদ্ধ সামগ্রী তৈরির তালিকা প্রকাশ করলেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার তালিকা প্রকাশ করা হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই তালিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে রফতানি নয় আরও ৭৮০টি যুদ্ধসামগ্রী দেশেই তৈরি হবে। কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র। 

    গত ১৫ অগাস্ট প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশেই নয়া যুদ্ধ সমাগ্রী তৈরির উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তাঁর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India)’প্রকল্প প্রসারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সমস্ত অস্ত্রের স্বদেশীকরণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করে আসছে ভারত সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক নীতিও।’

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর সময়েই আসতে চলেছে জিও ৫জি! আগামী বছরেই সারা দেশে, জানুন কী বললেন মুকেশ আম্বানি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত তিনটি তালিকায় মোট ২,৫০০ যুদ্ধ সামগ্রী দেশে তৈরি হওয়ার কথা। শীঘ্রই দেশের পদাতিক সেনায় যান্ত্রিক সরঞ্জামের সংযুক্তিকরণ ঘটবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনাকে ভবিষ্যতমুখী বানাতেই এই পদক্ষেপ করা হবে। যানবাহন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাত্রিকালীন যুদ্ধের গিয়ার থেকে শুরু করে অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থায় এই নয়া সংযুক্তিকরণ ঘটবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেনাকে আধুনিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। গোয়েন্দাগিরি থেকে নজরদারির ক্ষেত্রে এই আধুনিকীকরণ খুব কার্যকরী হবে বলে আশা সেনার। দ্রুত গতিতেই এই নয়া যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাজিয়ে ফেলা হবে সেনাকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে,স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি একাধিক অস্ত্র আসছে সেনা বাহিনীতে। এর মধ্যে ল্যান্ড মাইন্স, পার্সোনাল ওয়েপেন্স এবং ইনফেন্ট্রী কমব্যাট যানও রয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ৭৬৩৯০ কোটি টাকার দেশীয় সেনা উপকরণ কেনার জন্য সম্মতি দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share