Blog

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে যেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, সেই এলাকাকে সংরক্ষণের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিন একটি অন্তর্বর্তী রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে যে প্রস্তাবিত শিবলিঙ্গ রয়েছে, তা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ গত ১৭ মের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও এদিন সুপ্রিম কোর্ট বারাণসী জেলা আদালতে হিন্দুপক্ষকে জ্ঞানবাপী মসজিত নিয়ে আবেদন করার অনুমতিও দিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি পিএস নরসিংহ-র বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত ১৭ মে- র রায়ই বহাল থাকবে। চলতি বছরের ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, জ্ঞানব্যাপী মসজিদে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, সেটি রক্ষা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ওই রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে এও বলা হয়েছিল, মসজিদে মুসলিমদের অধিকারও রক্ষা করতে হবে।  

    কেন আলোচনায় জ্ঞানবাপী? 

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) রয়েছে শৃঙ্গার গৌরী। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজোর অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীদের আরও দাবি, মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এর পরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। মসজিদের ভিতরে তদন্ত করে তারা। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। এর পরেই ভিডিওর একটি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতির কিছু একটা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, সেটি পুরানো ফোয়ারার অংশ। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বারাণসী আদালতের মতে, কার্বন ডেটিং হলে শিবলিঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তৎপর সিবিআই। সোমবার এসএসসি গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি – তে চাকরি পেয়েছেন এরকম বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে তলব করা হল নিজাম প্যালেসে। এছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কয়েকজনকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে করা হয়েছে তলব। 

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র থাকলে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এছাড়া, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই মুর্শিদাবাদের ১৫ জন স্কুল পরিদর্শককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদেরকেও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সঙ্গে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কী প্রশ্ন করে সিবিআই?

    কীভাবে চাকরি পেল এই প্রার্থীরা? চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, ডেট অফ জয়েনিং, কবে পরীক্ষা হয়, কবে চাকরি পান সব কিছু খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি এসএসসিতে চাকরি প্রার্থী গ্রুপ সি- এর প্রার্থীদের নিজাম প্যালেসে তলব করে আজ তাই জিজ্ঞেস করে সিবিআই। এই প্রার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয় গত শনিবার। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে। কবে পরীক্ষা ইন্টারভিউ হয় তারপর কেন এখনও চাকরি হয়নি। এসব প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি যাঁরা চাকরি পেয়েছেন ও যাঁরা পাননি, দু ধরণের ব্যক্তিদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।        

    এছাড়া এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫টি কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, অফলাইন ভর্তিতে কী কী নির্দেশ মানা হয়েছে, কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে, সব জানতে চাওয়া হবে। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলি সম্পর্কে বহু তথ্য হাতে এসেছে ইডি গোয়েন্দাদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

        

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

    কী অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। তাঁর দাবি,’কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিও-র এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি রয়েছে।’ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে, অভিযোগ বিরোধী নেতার। ২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জবকার্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ হাইকোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    বহু দিনের অভিযোগ

    বাংলায়(Bengal) ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ভুরি ভুরি, এমন অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তাঁদের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদি সরকার(Modi Government)। সেই প্রতিনিধিদল নানা জায়গায় ঘুরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গরমিল খুঁজে পান। সেই সম্পর্কে তাঁরা রিপোর্টও পাঠান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেখান থেকে আবার চিঠি আসে নবান্নে(Nabanna)। যেখানে যেখানে গরমিল হয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, এমনটাই ছিল কেন্দ্রের চিঠিতে। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    FIFA World Cup: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফুটবল বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) জ্বর কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে। শহরের বিভিন্ন রাজপথে সেই ছবি স্পষ্ট।। বাঙালির ফুটবল প্রেম নতুন নয়। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, ঘটি-বাঙালির সারা বছরের লড়াই ভুলে আপাতত কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা মজেছেন মেসি- নেইমারদের নিয়ে। কেউ চাইছেন ব্রাজিল ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জিতুক। কেউ আবার বাজি ধরছেন মেসিদের হয়ে। রোনাল্ডোর পর্তুগাল কতদূর এগোবে তা নিয়েও চায়ের দোকানে চর্চা যেন রোজ নামচা।

    বিশ্বকাপ যেন বাড়তি উন্মাদনা

    দীর্ঘ বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) কারা জিতবে তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপাতত রাত জেগে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবে কলকাতা। শহরের আর্জেন্টিনা সমর্থকরা পাড়ার মোড়ে মোড়ে মেসির বড় বড় কাটাউট লাগিয়েছেন। পিছিয়ে নেই ব্রাজিলের সমর্থকরাও। গলি যেখানে রাজপথে মিশেছে সেই পর্যন্ত শুধুই হলুদ সবুজ পতাকায় মোড়া। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে যেন বিশ্বকাপ বাড়তি উন্মাদনা যোগ করেছে। আসলে এই এক মাসের জন্য চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। কলকাতায় আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের এক সদস্য বললেন, “এবার মেসির হাতেই কাপ উঠবে। আর্জেন্টিনা দলটা দুর্দান্ত। শক্তিশালী ডিফেন্স, অভিজ্ঞ গোলকিপারের পাশাপাশি আপ ফ্রন্টে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, মেসির মতো তারকা থাকায় অনেক দলই দাঁড়াতে পারবে না। গত কয়েকবার আমরা হতাশ হয়েছি। আশা করছি মেসি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। আস্ত একটা ফ্যান পার্ক তৈরি করে ফেলেছি আমরা। একেবারে বিশ্বকাপের আমেজ পাওয়া যাবে এখানে বসে খেলা দেখলে।”

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    রীতি ভেঙে ফুটবল-যুদ্ধ

    এবারের বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) কিছুটা রীতি ভেঙেই হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। যা মূলত জুন জুলাই হয়ে থাকে কিন্তু কাতারের গরম থেকে বাঁচতে টুর্নামেন্টের সময় বদল করতে বাধ্য হয়েছে ফিফা। বৈভব ও বৃত্তের দিক থেকে এবারের বিশ্বকাপ অনেক এগিয়ে রয়েছে ঠিকই তবে প্রাণের স্পন্দন একটু কম। রয়েছে বিতর্ক। সবকিছুকেই সঙ্গী করে রবিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের ঢাকে কাঠি পড়েছে। প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয়েছিল আয়োজক দেশ কাতার। কিন্তু লাতিন আমেরিকার দেশটির কাছে ২-০ গোলে কাতার পরাজিত হয়েছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচে আয়োজক দেশের পরাজয়ের ঘটনা নজির বিহীন। মঙ্গলবার নামছে অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনা। আপাতত সব ভুলে মেসি ম্যাজিকের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে কলকাতাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Road Accident: বিহারে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত আট শিশুসহ অন্তত ১২

    Road Accident: বিহারে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত আট শিশুসহ অন্তত ১২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা (Road Accident) ঘটল বিহারের বৈশালীতে। জমায়েতের মধ্যেই পূর্ণ গতিতে ঢুকে পড়ল বেসামাল ট্রাক। জানা গিয়েছে ট্রাকের চাকার তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। এদের মধ্যে ৮ জনই শিশু। মৃতদের পরিবার এবং আহতদের জন্যে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় একটি পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান চলছিল সেখানে। সেই জমায়েতের মধ্যেই দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক ঢুকে পড়ে।

    আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    সঙ্গে সঙ্গেই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন পৌঁছয়। অ্যাম্বুলেন্সে শিশুদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্তব্ধ হয় যান চলাচল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।    

    বিহারের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করে ঘোষণা করা হয়েছে, “বিহারের বৈশালীতে দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।”    

     

     

    পুণে হাইওয়েতে দুর্ঘটনা 

    একই দিনে আরও এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল পুনে বেঙ্গালুরু হাইওয়ে। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ৪৮টি গাড়ি একসঙ্গে দুমড়ে মুছরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত বন্ধ রয়েছে পুনে বেঙ্গালুরু হাইওয়ে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ন‍‍`টা নাগাদ পুনে বেঙ্গালুরু হাইওয়েতে ব্রেকফেল করে একটি ট্যাংকার। এরপরে সেই ট্যাঙ্কারটি একের পর এক গাড়িকে ধাক্কা মারতে থাকে। এদিকে ট্যাংকার উল্টে যাওয়ায় রাস্তায় তেল গড়িয়ে পড়ে এবং রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে একের পর এক গাড়ি।     

    এই ঘটনায় হাইওয়েতে দ্রুত গতিতে আসা যানবাহন গুলি একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ধাক্কা মারতে থাকে। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সাতার থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে বিশাল যানজট হয়। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত ব্যবস্থা।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

  • Mangaluru: কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মধ্যে রয়েছে যোগসূত্র? মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে পুলিশ

    Mangaluru: কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মধ্যে রয়েছে যোগসূত্র? মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) অটো বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। উঠে আসছে একাধিক তথ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে কোয়েম্বাতুর ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশরা অনুমান করেছেন যে, এই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। সূত্রের খবর, রবিবার মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ও একাধিক তথ্য উঠে আসে।

    কী কী তথ্য উঠে এসেছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার ওই ঘটনায় (Mangaluru) মূল অভিযুক্তের মাইসুরের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এলাকায় বোমা স্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের মতে, শরীক গত একমাস ধরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল। বাড়ির মালিককে সে ভাড়া নেওয়ার সময় জানিয়েছিল, সে মোবাইল রিপেয়ার ট্রেনিং-এর জন্য শহরে থাকছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শরীক একটি আধার কার্ড ব্যবহার করছিল যেটি তার নয়। এরপর কার্ডের মালিকের সন্ধানও পাওয়া গেছে। তিনি কর্ণাটকের হুব্বলি জেলার বাসিন্দা প্রেমরাজ হুতাগি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর আধার কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছিল ও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।

    উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনার পর কর্ণাটক (Karnataka) পুলিশের ডিজি নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দেন, এই বিস্ফোরণ কোনও দুর্ঘটনা নয়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটানো হয়েছে এই বিস্ফোরণ। আর এর পিছনে রয়েছে নাশকতার ছক। সেদিন বিস্ফোরণের পর একটি ব্যাগের ভিতরে ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা প্রেশার কুকার উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তর থেকে এখনও কোনও বয়ান নেওয়া যায়নি। এছাড়াও অটোচালক ও এক যাত্রীও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!

    কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরুর ঘটনার যোগসূত্র

    রাজ্যের পুলিশ প্রধান প্রবীন সুদ বলেছেন, “আমরা সাম্প্রতিক কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের সঙ্গে তার যোগসূত্র উড়িয়ে দিচ্ছি না।” এর আগে খবরে উঠে এসেছিল যে, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর কোয়েম্বাতুরের বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফলে এই মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরীকের সঙ্গে মুবিনের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ফলে এতেও যে জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে, তাও সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, মহম্মদ শরীক সেপ্টেম্বরে কোয়েম্বাতুরের সিঙ্গানাল্লুর পাড়ায় গিয়েছিল ও সেখানে এক শিক্ষকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাঁর নামে সিম কার্ড নিয়েছিল। এই ২৮ বছর বয়সী শিক্ষক নীলগিরি জেলার থুমানাট্টির বাসিন্দা, যাঁকে ইতিমধ্যে কর্ণাটক পু্লিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে যে, এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে না যে, কোয়েম্বাতুরে গাড়ি বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগেই শরীক সেখানে গিয়েছিল। তাই পুলিশ জানিয়েছে, শরীক ও মুবিনের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা ও তারা আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mangaluru)।

  • Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরবিন্দর সিং রিন্ডা নিহত। এ+ ক্যাটাগরির জঙ্গি ছিল রিন্ডা (Harwinder Singh Rinda)। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩৫ খুন ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল সে।

    পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল এই জঙ্গি। সেখান থেকেই ওই দেশের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে নাশকতা চালাত রিন্ডা। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসার সদস্য ছিল। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, রিন্ডা লাহোরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। 

    কী কী অভিযোগ রয়েছে জঙ্গির বিরুদ্ধে?  

    চলতি বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই হামলার মূল চক্রী রিন্ডা, বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই মাসেই হরিয়ানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পিছনেও ছিল রিন্ডার হাত। নওনশরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অফিসেও হাত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় রিন্ডা। গোয়েন্দা সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল ৩৫ বছরের এই জঙ্গির নাম। শুধু পঞ্জাব নয়, রিন্ডার নামে মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে  একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুলির অংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়        

    পঞ্জাবের তরণতারণে জন্ম রিন্ডার। পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রে থাকা শুরু করে। কিন্তু তরণতারণেই অপরাধ জীবনের সূত্রপাত। সেখানে ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত শত্রুতায় একজনকে খুন করে সে। তরণতারণের সরপঞ্চ হত্যায়ও নাম জড়ায় রিন্ডার। শুধু খুন বা নাশকতা নয়, সীমান্তে মাদক প্রচারেও জড়িত ছিল সে। এরপর, রিন্ডা পঞ্জাবের তরন তারান জেলার সরহালি গ্রাম থেকে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় পাড়ি দিয়েছিল। তারপরই কোনও এক সুযোগে সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও বহু অপরাধকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিল সে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি মামলায় সে পলাতক আসামী হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Shraddha Walker Murder: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    Shraddha Walker Murder: শ্রদ্ধার খুলি উদ্ধার, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walker Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। এবার মেহুরুলির জঙ্গল থেকে শ্রদ্ধার আরও কিছু কাটা দেহাংশ উদ্ধার করল পুলিশ। পাওয়া গেল খুলির অংশও। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। 

    কে চালাবে সংসারের খরচ এই নিয়েই বচসা শুরু হয়েছিল ১৮ মে। তারপরই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি আড়াই বছর ধরে লিভ-ইনে থাকা সঙ্গীর হাতে খুন হয় শ্রদ্ধা। পুলিশের জেরায় এমনই জানিয়েছে আফতাব। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের সবরকম প্রয়াস চালায় সে। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রাখে। তারপর রাতের অন্ধকারে তা ফেলে আসে জঙ্গলে। এখনও সব টুকরো খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাকি দেহাংশের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। 

    আফতাবের (Aftab Amin Poonawala) দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাটে একাধিক রক্তের দাগ মিলেছে। রান্নাঘর-সহ ফ্ল্যাটের একাধিক জায়গায় মিলেছে রক্তের দাগ। আফতাবের ওই ফ্ল্যাটের জলের বিল বকেয়া রয়েছে। ওই মাসে ৩০০টাকা জলের বিল আসায়, পুলিশের অনুমান রক্তের দাগ ধোয়ার জন্য প্রচুর জল খরচ করেছে আফতাব। শ্রদ্ধাকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার পর সেখনাকার শাওয়ার ছেড়ে দেয় আফতাব। তারপর দেহ টুকরো করতে থাকে। শাওয়ারের তলায় পুরো কাজটি করে সে। যাতে রক্ত শাওয়ারের জলে ভেসে বাইরে চলে যেতে পারে খুব সহজে, তাই এই পদ্ধতি। 

    প্রেম থেকে খুনের আখ্যান

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walker Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walker Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walker Murder)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Fifa World Cup: বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি কত জানেন?

    Fifa World Cup: বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে ফুটবল জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব। এখন চর্চায় কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। এবার আয়োজক দেশ কাতার। এর আগেরবার বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়ায়, ২০১৮ সালে। এবার বিশ্বকাপে (Fifa World Cup) খেলছে ৩২টি দল। খেলা হবে ৬৪টি ম্যাচ। এই ৩২টি দেশের দলের মধ্যে থেকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে একটি মাত্র দেশকে। কাতারে যে ফুটবল মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, তা ভারত থেকে লাইভ দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত সাড়ে ৮টায়, রাত সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। 

    বিশ্বকাপের প্রাইজমানি কত জানেন?

    ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পেয়েছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। ফাইনালে পরাজিত ক্রোয়েশিয়া পায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। কাতার, আরবের এই দেশটিতে টাকা-পয়সার যে কোনও কমতি নেই তা সর্বজন বিদিত। এবার পুরস্কার মূল্য আগেরবারের থেকেও অনেকটাই বেশি। ফিফার তরফে এবার পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে মোট ৪৪ কোটি ডলার (৩৫৭৩ কোটি ভারতীয় টাকা)। ২০১৮ সালের তুলনায় যা প্রায় ৪ কোটি ডলার বেশি। ২০১৪ বিশ্বকাপে পুরস্কার অর্থ ছিল ৩৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে যোগ দেওয়া প্রতিটি দেশই কিছু না কিছু অর্থ পাবে।

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    যে দলগুলি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাবে, তাদের পুরস্কার মূল্য মাথা পিছু ৯০ লক্ষ ডলার (৭৪ কোটি টাকা)। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল বা শেষ ষোলোয় পৌঁছনো দলগুলি পাবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার (১০৬ কোটি টাকা)। শেষ আটে উঠলে পাওয়া যাবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার (১৩৮ কোটি টাকা)। চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পাবে ২৫ মিলিয়ন ডলার (২০৪ কোটি টাকা)। তৃতীয় স্থানে পৌঁছনো দল পাবে ২ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার (২২০ কোটি টাকা)। ফাইনালে যে দল হারবে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল পাবে ৩০ মিলিয়ন ডলার (২৪৫ কোটি টাকা)। প্রথম স্থানে থাকা বিশ্বকাপজয়ী দল পাবে ৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪৪  কোটি টাকা)।   

    বিশ্বকাপের টেলিকাস্টিংয়ের ব্রডকাস্ট রাইটস কিনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভায়াকম ১৮ মিডিয়া। খেলা সম্প্রচারিত হবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। এই চ্যানেলটি এসডি এবং এইচডি লাইভ ব্রডকাস্ট দেখাবে। ধারা বিবরণী শোনা যাবে ইংরেজি এবং হিন্দিতে। যাঁরা ফোন কিংবা ল্যাপটপে ফিফা ওয়ার্ড কাপের ম্যাচগুলি দেখতে চান, তাঁরা লাইভ ম্যাচ দেখতে পাবেন রিলায়েন্স জিও সিনেমা অ্যাপে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share