Blog

  • Jet Airways: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    Jet Airways: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেট এয়ারওয়েজের (Jet Airways) ৬০ শতাংশ কর্মীকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। বাকি কর্মচারীদের একাংশের শতাংশের বেতন ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে ওই বিমান সংস্থা। মূলত উচ্চ পদস্থদের বেতন কমানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে জানিয়েছে উড়ান সংস্থাটি। জেট এয়ারওয়েজ কিনেছে দুই সংস্থার মিলিত সমবায় কার্লক জালান। কোম্পানি ট্রাইব্যুনালের কিছু  নিয়মকানুন এখনও বকেয়া রয়েছে তাদের।  সেগুলি পূরণ করতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে তাদের। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজে ২৩০ জন কর্মী রয়েছেন। নিম্ন স্তরে প্রায় ১০০ জন কেবিন ক্রু এবং জুনিয়র ম্যানেজার রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে সিনিয়র লেভেলের প্রায় ৬০ জন কর্মীকে বিনা বেতনে ২ মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।  

    কী জানিয়েছে বিমান সংস্থা? 

    কার্লক জালান একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “একই কাজের জন্য যে সময় ভাবা হয়েছিল, তার থেকে বেশি সময় লাগছে। সেই কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন সেই কারণেই বেতন কাঠামো কিছুটা আঁটোসাঁটো করা হবে। দুই তৃতীয়াংশ কর্মীদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। বাকি এক তৃতীয়াংশ কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হবে।” সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, মোট কর্মীদের ১০ শতাংশকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। 

    জেট এয়ারওয়েজ ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে। বর্তমানে কর্মীদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পিএফ ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে। এদিকে নতুন মালিক কার্লক জালান জানিয়েছে যে এই বকেয়া মেটানোর মতো টাকা তাদের কাছে নেই। 

    গত মে মাসেই বিমান নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ জেট এয়ারওয়েজের উড়ান সংক্রান্ত শংসাপত্র ফের বৈধ করেছিল। দেনায় ডুবে ২০১৯ সালেই উড়ান বন্ধ করে এই বিমান সংস্থা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর দ্বারা জারি করা পিটিশন জুনেই জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে গৃহীত হয়। তারপর থেকেই জেট এয়ারওয়েজকে আকাশ পথে ফেরানোর পরিকল্পনা শুরু হয়। দেনা শোধ করে ফের উড়ান স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সে পরিকল্পনা যে এখন বিশ বাঁও জলে তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Dhankhar at FIFA World Cup: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    Dhankhar at FIFA World Cup: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের মহাযুদ্ধ। আর ফিফা বিশ্বকাপের সেই মহাযুদ্ধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Dhankhar at FIFA World Cup)। ২০ নভেম্বর ও ২১ নভেম্বর কাতারে থাকবেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রবিবার কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন জগদীপ ধনখড়। ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। স্টেট অব কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে মরুদেশে যাচ্ছেন ধনখড়। ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি তাঁর সফরকালে কাতারে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন।  

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ভারত ও কাতারের বাণিজ্য, শক্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। গত আর্থিক বছরে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। কাতার ভারতের শক্তি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করে ও উপসাগরীয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় অংশগ্রহণ করে। ভারত এবং কাতার আগামী বছর পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করবে।”  

    উপরাষ্ট্রপতির উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ কেন? 

    প্রসঙ্গত, ভারত ও কাতার উভয় দেশের মধ্যেই একাধিক বাণিজ্যিক চ্যুক্তি রয়েছে। বাণিজ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি শক্তি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাবর একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে এই দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও যথেষ্ট ভালো। কাতার ভারতের জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে কাতারে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়াও কাতারে প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার ভারতীয় বাস করেন। এমতাবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাৎপর্যপূর্ণ  বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাজধানী দোহা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল বায়েত স্টেডিয়ামে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শক। ভারতীয় সময় সাড়ে  ৭টা থেকে শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামবে আয়োজক কাতার ও ইকুয়েডর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ড বিটিএস এবং আমেরিকার ব্ল্যাক আয়েড পিস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Satyendar Jain: কয়েদিকে আরামের মালিশ! জেলে সত্যেন্দ্র জৈনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

    Satyendar Jain: কয়েদিকে আরামের মালিশ! জেলে সত্যেন্দ্র জৈনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্রে জৈন (Satyendar Jain)। দিন কাটছে হাজতে। এই কথাটা শুনেই যদি আপনার সিনেমায় দেখা বন্দিদের দুরাবস্থার করুণ ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তাহলে আপনি ভুল ভাবছে। জেলের মধ্যেও মন্ত্রীর জীবন কাটছে রাজার হালে। হাজতেই পাঁচতারা হোটেলের পরিষেবা পাচ্ছেন দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর জন্যে রয়েছে গোটা শরীর মালিশের বিশেষ ব্যবস্থা। অন্তত দিল্লির তিহার জেলের ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ সে গল্পই শোনাচ্ছে। 

    আর্থিক তছরুপের দায়ে ৩০ মে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন সত্যেন্দ্র জৈন। তারপর থেকেই তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। ১৩ সেপ্টেম্বরের তিহার জেলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মন্ত্রী একটি বছানায় আরামে শুয়ে রয়েছেন এবং তাঁর পায়ে মালিশ করছেন এক ব্যক্তি।  

     

    বিজেপির নিশানায় আম আদমি পার্টি

    বিষয়টিতে কেজরিওয়াল সরকারকে এক হাত নিয়েছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। বিজেপি নেতা সেহজাদ পুনাওয়ালা ট্যুইটে লেখেন, “কারাগারে ভিভিআইপি আচরণ! তিহার জেলে থাকাকালীন শরীর মালিশ? যে পাঁচ মাস জামিন পায়নি, সেই বন্দিকে এমন সুবিধা! এটি আম আদমি পার্টির আসল চেহারা দর্শায়।”   

     

    এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং ভিভিআইপি সংস্কৃতির অবসানের জন্য দল তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এখানে একজন দুর্নীতিবাজ সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।”

    নিজেরদের সাফাইয়ে কী বলল আপ?

    এদিকে নিজেদের সাফাই দিয়ে আম আদমি পার্টি (AAP) দাবি করে, যে সত্যেন্দ্র জৈনের চিকিৎসার কারণে এই মালিশ দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা বিজেপি এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বলে, “এভাবে কারও অসুস্থতা নিয়ে তামাসা করা ঠিক নয়।” বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তিহার জেলের সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরপরেও আম আদমি পার্টি নিজেদের দাবিতে অনড়। এখনও একই সুরে তাঁরা বলে চলেছেন যে, সত্যেন্দ্র জৈনকে কোনও ভিআইপি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না জেলে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

  • Weather Update: আগামী সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট?

    Weather Update: আগামী সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে! কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নলেনগুড়, পিঠেপুলির সময় চলে এল। কনকনে ঠান্ডা আসছে বাংলায়। এমনটাই জানান দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) । ২২ নভেম্বর থেকে গোটা বাংলায় ফের একবার পারদ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    কী বলছে আবহাওয়া রিপোর্ট

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই বঙ্গে জাঁকিয়ে শীক পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে গোটা বাংলায় ফের হু হু করে পারদ পতনের পূর্বাভাস রয়েছে এরাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই।  সপ্তাহ শেষের দিকে তাপমাত্রার কিছুটা বেড়েছে শহর ও শহরতলিতে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। যদিও দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার। হালকা শীতের আমেজ বজায় রয়েছে শহরে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে, কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?

     শীত আসছে বাংলায় 

    তবে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গে কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে। কোথাও কোথাও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা এবং শিশির পড়বে। মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। আবহাওয়া অফিস সুত্রে খবর (Weather Update), পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম থাকবে। ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে পশ্চিমের জেলা গুলির তাপ মাত্রা।  সকালের দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮.৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি এখন তা কমে ২৯ ডিগ্রি হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ থেকে কমে ৮৯ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হবে। 

     দেশের অন্যান্য রাজ্যের আবহাওয়া কেমন থাকবে

    অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। তুষারপাত হবে কাশ্মীর উপত্যকা, লাদাখ সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের অঞ্চলগুলিতে রয়েছে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। আন্দামানেও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবথেকে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ু ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে। সমুদ্র তীরবর্তী রাজ্যগুলির মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

  • Army Jawan: চলন্ত রাজধানী থেকে ধাক্কা টিটিই-র, দু-পা খোয়ালেন সেনা জওয়ান!

    Army Jawan: চলন্ত রাজধানী থেকে ধাক্কা টিটিই-র, দু-পা খোয়ালেন সেনা জওয়ান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিটিই-র ধাক্কায় চলন্ত রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে পড়ে গিয়ে দুই পা কাটা পড়ল সেনা জওয়ানের (Army Jawan) । বর্তমানে তিনি সামরিক হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ২৯ বছর বয়সি জওয়ানের নাম সোনু কুমার সিং। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের বরেলি স্টেশনের কাছে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বরেলি ছেড়ে ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস (২০৫০৩) দিল্লি অভিমুখে যাচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বাসিন্দা জওয়ান (Army Jawan) সোনুর পোস্টিং দিল্লিতে। কর্মস্থলে যোগ দিতেই তিনি যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ট্রেন যখন স্টেশন থেকে চলতে শুরু করেছিল, সেই সময় চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন সোনু। টিটিই দরজা বন্ধ করে দিলে সোনু প্ল্যাটফর্ম ও লাইনের মাঝে পড়ে যান।

    আরও পড়ুন: ভিসা পেতে ভারতীয়দের লাগবে না পিসিসি, বড় ঘোষণা সৌদি আরবের

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান…

    এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী স্টেশনের একজন চা বিক্রেতা দেশ রাজ বলেন, ‘‘আমি সকালে চা বিক্রি করছিলাম। তখন দেখলাম একজন ব্যক্তি বি-৬ কামরায় ওঠার চেষ্টা করছেন। তখন টিটি জোরপূর্বক দরজাটি ঠেলে দেন। এর ফলে ওই ব্যক্তি প্ল্যাটফর্ম এবং চলন্ত ট্রেনের মাঝামাঝি পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে, চালক ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে বাইরে বের করা হয়। পরে আমরা জানতে পারি তিনি সেনা জওয়ান (Army Jawan)।’’ 

    অভিযোগ দায়ের

    বরেলি স্টেশনের জিআরপি ইনচার্জ অজিত প্রতাপ সিং বলেছেন, ‘‘এদিন দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে টিটিই কুপান বোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে যে তিনি একজন জওয়ানকে (Army Jawan) ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। বর্তমানে ওই জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’ কর্মরত এই টিটিই-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন সুবেদার হারিন্দর কুমার সিং। জানা গেছে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩২৬ এবং ৩০৭ ধারায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা কয়েকজন রেলকর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। জিআরপি গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। অভিযুক্ত টিটিই এখনও পর্যন্ত পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং (Akhlesh Singh) আসতে পারবেন না বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অথচ তার আগের দিনই বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় তাঁকে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। শেষমেশ অখিলেশের পরিবর্তে সিটের মাথায় বসানো হল ডিআইজি (CBI DIG) অশ্বিন সাংভিকে (Ashwin Sangvi)। তিনি চণ্ডীগড় অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের প্রধান। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে দায়িত্ব নিতে হবে অশ্বিন সাংভিকে। শুধু তাই নয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত প্রধানের পদ থেকে সরতেও পারবেন না তিনি।

    অখিলেশ সিং…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গঠিত সিটের মাথায়ও তাঁকেই বসাতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতকে জানায়, পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে এও জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি (CBI DIG) পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। সেই মতো সিবিআই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এদিন জানায়, ডিআইজি সুধাংশু খারে, কলকাতা সিবিআই স্পেশাল ব্রাঞ্চ হেড, ডিআইজি মাইকেল রাজ, ঝাড়খণ্ড এবং ডিআইজি অশ্বিন সাংভি, চণ্ডীগড়ের নাম। তার মধ্যে থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেছে নেনে অশ্বিনকে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Short-Term Course Benefits: স্বল্পমেয়াদী কোর্সের এত চাহিদা কেন? এগুলো করার সুবিধা কী কী?

    Short-Term Course Benefits: স্বল্পমেয়াদী কোর্সের এত চাহিদা কেন? এগুলো করার সুবিধা কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথাগত ডিগ্রি থেকেও পেশাগত দক্ষতা আজকের দিনে খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। যে কোনও সংস্থা বা শিল্প, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধির এই কোর্সগুলোই সার্টিফিকেট বা কিছু ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা কোর্স নামে পরিচিত। এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর (Short-Term Course Benefits) সুবিধা হল, এই কোর্সগুলো অনলাইনে করা যায়। 

    করোনা অতিমারির পরে, সারা বিশ্বব্যাপী অনলাইন কাজকর্মের উপর নির্ভরতা বেড়েছে। ইন্টারনেটের যুগে ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রামেই এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা (Short-Term Course Benefits) নেওয়া যায়। এগুলি হয়তো রেগুলার মোডে বা অফলাইনে ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রাম বা শহরে সম্ভব নয়। কিন্তু, অনলাইন মোড হওয়ায় মফস্বল বা প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ারাও তাই আজকে পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ, ওয়েব ডিজাইন, ডেটা সায়েন্সের বিভিন্ন কোর্সগুলো ঘরে বসে করতে পারছে।

    একজন পড়ুয়া বা পেশাদারের কাছে স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলোর এত চাহিদা কেন? (Short-Term Course Benefits) আমরা এবার জানব।

    ১) ফ্লেক্সিবিলিটি

    এই স্বল্প মেয়াদের অনলাইন কোর্সগুলোর (Short-Term Course Benefits) সুবিধা হল এগুলো ফ্লেক্সিবল হয়। নির্দিষ্ট সময়সীমার বাঁধন থাকে না। স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলোর আরও একটি সুবিধা হল, এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার অত বেশি বিধি-নিষেধ থাকে না। যে কোনও বয়সের মানুষই করতে পারেন। স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলো ছাত্ররা নিজেদের ছন্দেই শিখতে পারে। নিজেদের মনের মতো পরিবেশেই শেখা যায়। স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা, ডিগ্রির থেকেও এখানে বড় বিষয় হল দক্ষতা বৃদ্ধি। একেকজন ছাত্রের যে যেদিকে আগ্রহ থাকে সেই সমস্ত দিকগুলোতেই শিখতে পারে ছাত্ররা, এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে।

    ২) অল্প খরচ  

    এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা হল (Short-Term Course Benefits) খুব কম খরচেই এগুলো করা যায়। যেকোনও প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে গেলে যা খরচ হয়, অনলাইন স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো অবিশ্বাস্যভাবে তার থেকে অনেক কম খরচে করা যায়‌। সরকারি কলেজ ছাড়া যে কোনও প্রফেশনাল কোর্স, কোনও ডিগ্রি কলেজ থেকে করতে গেলে কেমন খরচ হয় সে তো আমরা সকলেই জানি।

    ৩) কোর্স মনিটরিং

    ছাত্ররা নিজেরাই এই স্বল্পমেয়াদী কোর্স ( Short-Term Course Benefits) মনিটরিং করতে পারবে। এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলোতে পড়ুয়ারা যেহেতু নিজেদের কোর্স নিজেরাই মনিটরিং করে তাই নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলোও তারা নিজেরাই সংশোধন করতে পারে।

    ৪) ব্যবহারিক জ্ঞানে জোর

    ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রতি বেশি ফোকাস দেওয়া হয় এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলোতে (Short-Term Course Benefits)। এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো করার সুবিধা এখানে থিওরির থেকে বেশি প্রাকটিক্যাল এর উপর জোর দেওয়া হয়। যা পড়ুয়াদের  দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এখন যেকোনও কাজে দক্ষতাটাই দেখা হয়। এই স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলো করার সুবিধা হল, এগুলো করার পরে আলাদাভাবে আর কোনও ট্রেনিং নিতে হয় না। কারণ এই কোর্সগুলো তৈরি হয় ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই।

    ৫) আধুনিক যুগ অনুযায়ী দক্ষতা

    NEW-AGE SKILLS বা আধুনিক যুগ অনুযায়ী দক্ষতার পাঠ পাওয়া যায়, এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোতে (Short-Term Course Benefits)। ‘Future of Jobs Report 2018′ এর উপর সমীক্ষা করেছিল World Economic Forum. সেখানে দেখা যায় এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো New age skill-এর পাঠ দেয়। যাতে সহজেই পড়ুয়ারা চাকরি পেতে পারে এবং পেশাদার হয়ে উঠতে পারে।

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি শিক্ষক (Teacher)। ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাই তাঁর ব্রত। অথচ তিনি শিক্ষা দিতেন হিন্দুদের (Hindu) ধ্বংস করতে! পড়ুয়াদের শেখাতেন, যারা হিন্দুদের ধ্বংস করতে পারবে, তারা আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। অন্ততঃ আসামের এক মাদ্রাসার (Assam Madrasa) এক পড়ুয়ার অভিযোগ এমনই। শুধু তাই নয়, ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক জিহাদির শিক্ষাও দিতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে।

    আসামের কাছাড় জেলায় রয়েছে স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা। এই মাদ্রাসারই (Assam Madrasa) দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে সোনাই টাউন থেকে। ওই মাদ্রাসার বছর চোদ্দর এক পড়ুয়ার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দায়ের হয় এফআইআর। তার ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করে সোনাই থানার পুলিশ। সোনাই থানার পুলিশ আধিকারিক জোসেফ কেইভম বলেন, যে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁরা হলেন, বছর একান্নর আবদুর হুসেন লস্কর এবং বছর আঠাশের দিলওয়ার হুসেন মজুমদার।

    ছাত্রের অভিযোগ…

    সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসাম মাদ্রাসার (Assam Madrasa) ওই ছাত্র বলে, ওই দুই শিক্ষক প্রায়ই আমাদের বলতেন, যদি হিন্দুদের ধ্বংস করতে পার, তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। রাত্রি ১১টার স্পেশাল ক্লাসে যারা উপস্থিত থাকবে না, তাদের হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মাদ্রাসার ওই পড়ুয়া বলে, শারীরিক সমস্যার জন্য স্পেশাল ক্লাসে যেতে পারব না বলায় তাঁরা আমাকেও হত্যার হুমকি দেন। সে বলে, তাঁরা আমার রুমে ঢুকে ওষুধপত্র পুড়িয়ে দেন। নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। আমাকে একটি ঘরে বন্দিও করে রাখেন। পরে মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে বাড়ি নিয়ে যান তার বাবা।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানার তরফে ফকরুল ইসলাম লস্কর বলেন, ছেলেটি অপরাধমূলক নানা কাজকর্ম করত। শিক্ষকরা তাকে সৎপথে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা ছড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, এটা একজন শিক্ষক করতেই পারেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেফতার করে জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ৫ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় ইডি। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, অনুব্রতকে আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ‘অ্যারেস্ট মেমো’-তে সই করেননি গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, দিল্লির ইডি আদালত থেকে কোর্টে হাজির করানোর ওয়ারেন্ট জারি করেই অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

    অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি কেষ্ট

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) যেহেতু সই করেননি, তাই তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ না করে, ইডির আধিকারিকরা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লি যাচ্ছেন। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর যা জানা গিয়েছে, তা হল, আজ সকালের মধ্যে ইডির আধিকারিকরা আদালতে পৌঁছে রিপোর্ট জমা দেবেন এবং তার ভিত্তিতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হবে। আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষই যাতে অনুব্রতকে দিল্লি পৌঁছে দেন, সেই আবেদন করবেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর জন্য জারি করা হতে পারে “প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট।” তিনি গতকাল সই করে দিলেই এত কিছু করতে হত না ইডির আধিকারিকদের। তাঁরা সরাসরি দিল্লিতে জেরা করার জন্য নিয়ে যেতে পারতেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    গতকালের জেরার মুখে কী বললেন অনুব্রত?

    গরু পাচার মামলায় টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ইডি-র কাছে দাবি করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। আর তিনি এসবের সব দায়ভার চাপিয়ে দিলেন তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির উপর। গতকাল একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও টাকার হিসেব নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে গিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। জমি সংক্রান্ত নথি নিয়েও জেরা করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর উত্তরে তিনি বললেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। সব জানেন মণীশ কোঠারি। তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি এর দায়ও মণীশ কোঠারিরি ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।

    ইতিমধ্যেই মণীশের আয় ব্যয়ের ওপর নজর রেখেছেন তদন্তকারীরা। হিসাবরক্ষকের কোম্পানির নথি তলব করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে মণীশকে। তদন্তকারীর সংস্থার দাবি, কোম্পানির ব্যালান্সশিট সার্টিফায়েড নয়। নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লি পৌঁছে যান মনীশের সহকর্মী। এবার অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই বয়ান মণীশের ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

LinkedIn
Share