Blog

  • Covid-19: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    Covid-19: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চলেছে, এমনটাই জানানো হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফে। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ নিয়ে একটি সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু (WHO)’। দেশের দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে ফের পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। গতকালই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি, আর আজ সেটি ১৫ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। 

    হু-এর তরফ জানানো হয়েছে, শীত আসছে। আর আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবহাওয়ায় বিশাল পরিবর্তন ঘটবে। আর সেই সঙ্গে ফের বাড়বে করোনা ভাইরাসের দাপট। কারণ, আবহাওয়া যত ঠান্ডা হবে, তত মানুষ বেশি করে বাড়ির ভিতরে সময় কাটাবে। আর তাতেই সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে হু।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের

    হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১৫,০০০ মানুষ কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন। মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেছেন, “আমরা সপ্তাহে ১৫,০০০ মৃত্যু নিয়ে বাঁচতে পারি না। ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলির অসম বন্টন নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। যখন আমাদের কাছে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জীবন বাঁচানোর সমস্ত সরঞ্জাম আছে, তখন এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আজ সবাই সম্পূর্ণরূপে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ফলে কেউই অসহায় নয়। টিকা না নেওয়া থাকলে টিকা, বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা বলেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনে চলতে বলেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট (Omicron Variant)। গত মাসে সারা বিশ্ব থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে বিএ.৫ (BA.5) সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। টেস্টিং এবং সিকোয়েন্সিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বেই বেশি পরিমাণে কমে যাওয়ার ফলেই ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বছরের শুরুতে যে পরিমাণে সিকোয়েন্স প্রক্রিয়া করা হত, বর্তমানে তা ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই এই ভাইরাস এবং মহামারি নিয়ে ক্লান্ত। তবে ভাইরাসটি আমাদের নিয়ে ক্লান্ত নয়।” তাই করোনার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে হু।

     

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Dolo 650: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা 

    Dolo 650: চিকিৎসকদের হাজার কোটির উপহার ওষুধ সংস্থার ! শীর্ষ আদালতে জানাল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বর হোক কিংবা ব্যথা আমরা সাধারণত প্যারাসিটামলেই ভরসা রাখি। তবে কোভিড মহামারীর সময়ে যে সব ওষুধগুলি সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তার মধ্যে ডোলো (Dolo 650) ব্র্যান্ডের প্যারাসিটামল ছিল অন্যতম। তবে এই জনপ্রিয়তা এমনি এমনিই হয়ে যায়নি। এর পিছনে রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ‘পিআর স্ট্র্যাটেজি’। ওষুধ সংস্থার তরফ থেকে চিকিৎসকদের দেওয়া হয়েছিল হাজার কোটি টাকার উপহার। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমনটাই জানিয়েছে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংস্থা।       

    ডোলো ৬৫০ লেখার জন্য চিকিৎসদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার তারই সমর্থনে তথ্য পেশ করল ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ বলেছেন ডোলো কোম্পানি তাদের ৬৫০ মিলিগ্রাম ফর্মুলেশন বাজারে চালুর জন্য ১০০০ কোটি টাকারও বেশি সুবিধা চিকিৎসকদের দিয়েছে। এব্যাপারে ওই আইনজীবী সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেসের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    বৃহস্পতিবার (১৮ অগস্ট) এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে। বেঞ্চ এই সমস্যাকে অত্যন্ত ‘গুরুতর বিষয়’ বলে উল্লেখ করে এই বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

    ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া দেশে বিক্রি হওয়া ওষুধের ফর্মুলেশন এবং দাম নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছে। সেখানে ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে উদ্বেগের কথা।

    ডাক্তারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থআগুলি কীভাবে প্রভাবিত করে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে ‘ফেডারেশন অব মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছে ডোলো-৬৫০ (Dolo-650) নামে এক জ্বরের ট্যাবলেটের কথা। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা যাতে জ্বরের জন্য এই ওষুধটিই লেখেন, তা নিশ্চিত করতে ডোলো-৬৫০’র নির্মাতারা ডাক্তারদের বিনামূল্যে বিভিন্ন উপহার দেওয়ার পিছনে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে! বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়ার সময় বলেন, “এটা শুনতে একেবারেই ভাল লাগছে না। এমনকি আমার যখন কোভিড হয়েছিল তখন আমাকেও একই ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন! কিসের ইঙ্গিত উপত্যকায়

    ফেডারেশনের পক্ষে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ। তিনি বলেন, “ডোলো সংস্থা ওষুধটির প্রচারের জন্য ডাক্তারদের বিনামূল্যের সুযোগ-সুবিধা দিতে ১০০০ কোটির বেশি বিনিয়োগ করেছে।” তিনি আরও জানান, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি, ৯টি রাজ্য জুড়ে থাকা বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেডের ৩৬টি প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগ করেছে। নির্মাতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ করেছে সিবিডিটি। তাদের দাবি, ডোলো ৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।

    আবেদনকারী পক্ষ আরও দাবি করেছে, এই ধরনের অনৈতিক কাজের ফলে গ্রাহকরা অত্যাধিক ওষুধ ব্যবহার করার শিকার হন। শুধু তাই নয়, এর ফলে রোগীর স্বাস্থ্যও বিপন্ন হতে পারে। এ ধরনের দুর্নীতি উচ্চমূল্যের বা অযৌক্তিক ওষুধকেও বাজারে ঠেলে দেয়। আবেদনপত্রে আরও বলা হয়েছে, নিয়মের শিথিলতার কারণে, কোভিড মহামারি চলাকালীন ফার্মা সংস্থাগুলি এই ধরনের অনৈতিক কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। শীর্ষ আদালতের কাছে ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং অনুশীলনের বিষয়ে একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে। যারা পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রদান করবে এবং এর জন্য ‘ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং ইউনিফর্ম কোড’ কার্যকর করা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।  

  • Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) পাথর বোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে মাঝেমাঝেই। ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। এই ইস্যুতে এবার রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবৈধ ভাবে টাকা তোলা বন্ধ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরবর্তী শুনানিতে ইডি সহ সবপক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর। 

    বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বীরভূমের এক বাসিন্দা। মামলাকারীর দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিউবিক মিটারে ১৩০ টাকা করে রাজস্ব আদায় করবে সরকার। এই টাকা গ্রিপ চালানের মাধ্যমে খাদানের লিজ হোল্ডারের কাছ থেকে আদায় করার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ, এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নলহাটি-মুরারই-সহ বীরভূমের একাধিক খাদান এলাকায় বেআইনিভাবে সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বেআইনিভাবে সরকারের নাম ভাঙিয়ে কোনওরকম তোলাবাজি করা চলবে না। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত।

    প্রসঙ্গত, বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্নীতির অভিযোগে এখন হাজতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর থেকেই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। কখনও অবৈধ বালি খাদান বন্ধ হচ্ছে, আবার কখনও পাথরের ক্র্যাশার, খাদান বন্ধ করার নিদান আসছে। এ সময়ই সামনে এল ভুয়ো বিল ছাপিয়ে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলা তোলার অভিযোগ।

     

  • Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বর্তমানে রাশিয়ায় (Russia) আছেন। বুধবার তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    আরও পড়ুন: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    আলোচনায় কী উঠে আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ? দুই দেশের মধ্যে ভারতই কী হয়ে উঠবে শান্তির দূত? গোটা বিশ্বের এখন একটাই প্রশ্ন।    

    ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর ডোভাল এবং পাত্রুশেভের (Patrushev) মধ্যে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক। আফগানিস্তানসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ডোভালের সফর বা বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি রিডআউটে বলা হয়েছে যে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি পাত্রুশেভ এবং ডোভালের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

     

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    রাশিয়ার তরফে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রগতিশীল উন্নয়নের উপরও জোর দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, একই সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দুই দিনের বৈঠকের একদিন আগে এই বৈঠক করলেন অজিত ডোভাল।

    এখন অবধি শুধু পাত্রুশেভের সঙ্গেই কথা হয়েছে ডোভালের। আগামীতে পুতিন বা অন্য কোনও নেতার সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্ভবনা রয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপ, ইউএসের মতো দেশগুলি রাশিয়াকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে রাজী করানোর বিষয়ে নয়া দিল্লির মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে চাপ দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ডোভালের এই আকস্মিক সফর শান্তির বার্তা বয়ে আনবে। কিন্তু আদতে কী হবে তা সময়ই বলবে। 

    কিছুদিন আগেই জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারও কিছু জেতার নেই। সবটাই হারাবে। একমাত্র উপায় শান্তি প্রতিষ্ঠা।” মোদির এই বক্তব্যের পরেই  ডোভালের এই সফরে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। 
     

  • Anupam Kher: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    Anupam Kher: ‘লজ্জাজনক ঘটনা’, কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার (Kashmiri Pandit Killing) তীব্র নিন্দা করলেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা অনুপম খের (Anupam Kher)। মঙ্গলবার ফের উপত্যকা ভিজেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতের রক্তে। দুই কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে জঙ্গিরা। সেই গুলিতে মৃত্যু হয় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। একই পরিবারের সদস্য আর এক পণ্ডিত আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা

    অনুপম খের এ বিষয়ে বলেন, “ভারতের পক্ষে যারাই সওয়াল করছে তাদেরই খুন করছে জঙ্গিরা। এটা লজ্জাজনক যে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা এখনও অব্যহত। নিজেদের লোকেদেরও খুন করছে ওরা। ৩০ বছর ধরে চলে আসছে এই ঘটনা। এই ঘটনার যত নিন্দা করা হবে সেটাই কম। আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে।”

     

    মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। ওই হামলাতেই জখম তাঁর ভাই। এই নিয়ে কম সময়ের বিরতিতে পর পর দুবার হামলা চালানো হল কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ওপর। কিছুদিন আগেই ওই একই সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।  

    মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাটি ঘটে সোপিয়ানের চিতপোরা এলাকায়। একটি আপেল বাগানে জঙ্গিরা ওই দুই পণ্ডিতের ওপর গুলি চালায়। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁদের মধ্যে এক জন। গুরুতরভাবে আহত অন্যজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইকে গুলি করল জঙ্গিরা, মৃত এক

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতের নাম সুনীল কুমার। কাছের ছোটিগাম গ্রামের বাসিন্দা সুনীল এবং তাঁর ভাই পিন্টু। সুনীল কুমারের শরীরের দুটি গুলি লাগে। জঙ্গি হামলায় আহত হন তাঁর ভাই পিন্টুও। হামলার পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলার দায় শিকার করেছে জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (KFF)। মূলত এটি লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন। এদের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে। 

    কিছুদিন আগেই মুক্তি পায় অনুপম খের অভিনীত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। সিনেমাটিতে ১৯৯০ সালে কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটে-মাটি ছাড়তে হয় তার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর যথেচ্ছ বিতর্কের মুখে পড়তে হয় সিনেমাটিকে। 

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Anupam Kher (@anupampkher)

  • 30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলের সেরা দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘রোজা’ (Roja)। চলতি বছরেই এই ছবি ৩০ বছর পূর্ণ করল। ১৯৯২ সালের ১৫ অগাস্ট ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি একটি রোমান্টিক থ্রিলার এবং এতে অরবিন্দ স্বামী এবং মধু প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সে বছর স্বাধীনতা দিবসে এটি মুক্তি পেয়েছিল। মণি রত্নম পরিচালিত ‘রোজা’ ছবিটি দর্শকদের মনে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে দেখে নিন বলিউডের ৫টি দেশাত্মবোধক ছবি

    এই সিনেমায় দেখানো প্রতিটি গল্প এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই তো সিনেমা মুক্তির এত বছর কেটে গেলেও এর রেশ এখনও বর্তমান। ছবির গল্প, সিনেমাটোগ্রাফি, অরবিন্দ স্বামী ও মধুর অভিনয়ের পাশাপাশি কাশ্মীরের প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পরিচালক খুব সুন্দরভাবে কাশ্মীরের রূপকে তাঁর ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই ছবির গানগুলোও সুপারহিট। সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমান এই ছবির জন্য গানগুলোতে সুর দিয়েছিলেন। এইসব ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে মণি রত্নম যেভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সাধারণ গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ। আর এই সিনেমা বিশেষ করে দেশপ্রেমকে ফোকাস করেই তৈরি করা হয়েছিল, তাই আজও দর্শকের কাছে এই সিনেমা অতুলনীয়।

    ‘রোজা’ ছিল প্রথম তামিল সিনেমা, যার মধ্যে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে দেখানো হয়েছিল। আর এই ছবি থেকে অনুপ্রানিত হয়েই ‘বোম্বে’ এবং ‘দিল সে’ -এর মত  রাজনৈতিক সিনেমা তৈরি করা হয়। ছবিটি সমগ্র ভারতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল। ছবিটি শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে নয়, উত্তর ভারতেও ব্যাপকভাবে হিট হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের দিন অবশ্যই দেখুন এই সিনেমাগুলি

    সিনেমাটি একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। সেরা পরিচালক হিসেবে মণি রত্নম পাঁচটি রাজ্য থেকে পুরস্কার পেয়েছেন।  সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমানও পুরস্কার পেয়েছেন। ‘চিন্না চিন্না আসাই’- গানের জন্য শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে মিনমিনি ও অভিনেত্রী মধু এই ছবির জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। সেই বছর এই সিনেমাকে সেরা সিনেমা হিসেবেও পুরস্কৃত করা হয়।  

     

  • Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডিকে (RJD) নিয়ে গড়েছেন মহাজোট। নীতিশের নেতৃত্বে শপথও নিয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। তার পরেই নীতীশকে তোপ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদির (Sushil Kumar Modi)। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নীতীশের লক্ষ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেন সুশীল মোদি। তিনি বলেন, নীতীশকুমার দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করছিলেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেও সেরকম কোনও সুযোগ মেলেনি তাঁর। কারণ বিজেপিতে উঁচু দরের অনেক নেতা রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ অন্যরা রয়েছেন। আঠারো বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলানোর পরে তিনি চাইছিলেন একটি ঝাঁপ দিতে। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারের লক্ষ্য, লালন সিংয়ের লোভ এবং লালু যাদবের ক্ষমতায় ফিরতে বেপরোয়া হওয়া এই তিন কারণের জেরে বিহারের এই পট পরিবর্তন।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতীশকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসানোর একটা ভাবনা জেডিইউয়ের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের কানে। তবে বিজেপি সেটা গ্রহণ করেনি। কিছু বিষয় ছিল। তার পরেও তাঁর লাগাম পরানো যায়নি তাঁর লক্ষ্যে। সুশীল মোদি বলেন, নীতীশের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১১৫টি আসন। ২০১৫তে কমে তা দাঁড়ায় ৭১এ। আর ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁর দল পায় মাত্রই ৪৩টি আসন। যেটা বেড়ে এখন ৪৫ হয়েছে। তিনি বলেন, নীতীশ যে ক্রমেই তেজস্বী যাদব শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন, তা আমরা জানতাম। কিন্তু আমরা ভাবতে পারিনি তিনি তাঁর পুরানো শত্রু লালুর দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন। ১৯৯৪ সালে নিজে দল গড়বেন বলে লালুকে প্রত্যাখান করেছিলেন নীতীশ। সেই থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার। বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে আমরা নরেন্দ্র মোদির নামেই ভোট চাইব। তিনি বলেন, বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে কী হবে তা বলতে পারব না। তবে ’২৪ সালে মানুষ মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন। সুশীল মোদি বলেন, বিহারে বিজেপির বুথ স্তর পর্যন্ত শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আমরা সব শ্রেণিকে নিয়ে কাজ করছি। বিহারে নরেন্দ্র মোদি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির প্রতীক। তাই বলতেই পারি, মণ্ডলও (মণ্ডল কমিশন) আমাদের সঙ্গে রয়েছে, রয়েছে কমন্ডলুও (হিন্দু ভোট ব্যাংক)।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

  • Jasprit Bumrah: বিশ্বকাপে অনিশ্চিত বুমরা! ভারতীয় তারকা পেসারের চোট নিয়ে গুঞ্জন

    Jasprit Bumrah: বিশ্বকাপে অনিশ্চিত বুমরা! ভারতীয় তারকা পেসারের চোট নিয়ে গুঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠের চোটে কাবু ভারতের তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরা। বাদ পড়েছেন এশিয়া কাপ থেকেও। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে পাওয়া যাবে কি না তাঁর নিশ্চয়তা নেই। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে বুমরা এখন রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। সেখানে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) চোট সারাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক ও ফিজিওদের সামনেই চলছে অনুশীলন। বুমরার চোট নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। 

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে শেষ খেলেছিলেন বুমরা। তার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ে সফর থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। মধ্যে আমেরিকায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেও যান ভারতীয় পেসার। দেশে ফিরেই বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন তিনি। দেশের মাটিতে সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বুমরা। কিন্তু এক বোর্ড আধিকারিকের কথায়, বুমরার চোট নিয়ে শঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। তিনি জানান , বুমরার পিঠে চোট রয়েছে। সেই কারণেই এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি তাঁকে। এই পিঠের চোটের কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে খেলতে পারেননি বুমরা। তাঁর এই চোট পুরনো। সারতে সময় লাগবে।

    আরও পড়ুন: সামি বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ শ্রীকান্ত! বিশ্বকাপের দলে সামি ফিরলে অবাক হবেন না মোরে

    এর আগে ২০১৯ সালে চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে যান বুমরা। তারপর থেকেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে। আশা করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন বুমরা। কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওই আধিকারিকের কথায়, “বুমরা আমাদের সেরা বোলার। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওকে সম্পূর্ণ সুস্থ দেখতে চাই।”  তবে, একান্ত বুমরাকে না পাওয়া গেলে বিশ্বকাপে ভারতের পেস আক্রমণকে ভরসা করতে হবে ভুবনেশ্বর কুমার এবং অর্শদীপ সিংহের উপর।

  • Amit Malviya: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    Amit Malviya: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল (TMC) নেতাদের এই মর্মে সতর্ক করলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিপদে পড়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফোন করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, দলনেত্রী সেই ফোন ধরেননি। তা নিয়েও তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

    এসএসসি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত জেলেই দিন কাটছে তাঁর। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁকে জেরা করে ওই পাচার চক্রের খোঁজ পেতে চেয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বার দশেক তলব করা হলেও, অনুব্রত নিজাম প্যালেসে গিয়ে সাকুল্যে হাজিরা দিয়েছেন একবার। নানা অছিলায় অনুব্রত বাববার এড়িয়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের নাগাল। শেষমেশ বীরভূমের বাড়ির ঠাকুরঘর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত তাঁরও ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    পার্থ ও অনুব্রত, দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের এই জোড়া ‘হেভিওয়েট’ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর জোড়াফুল শিবিরের বাকি নেতাদের সতর্ক করে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা।

    এদিন ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ ও অনুব্রতর ফোন তোলেননি। ঠিক তখন, যখন তাঁকে খুব প্রয়োজন ছিল তাঁদের। পরিস্থিতি আঁচ করেই তিনি ঝেড়ে ফেলেছেন তাঁদের। মালব্য বলেন, এটা তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর একটা বার্তা যে লুঠ, খুন এবং ধর্ষণে যাঁরা তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন, সময় এলে তাঁদেরও পরিত্যাগ করতে পিছপা হবেন না তিনি।

    অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় গেরুয়া শিবির যে উল্লিসিত, এদিন তা গোপন করেননি বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাহুবলী অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে বাংলা জুড়ে উৎসব পালিত হয়েছে। লোকজন ঢাক বাজিয়েছেন। বিলি করেছেন গুড়বাতাসা। তাঁর অভিযোগ, এই মমতাই প্রকাশ্যে অনুব্রতকে সিবিআই এড়াতে বলেছিলেন। তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন নিজের গাড়িতেও।  

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

LinkedIn
Share