Blog

  • Amit Malviya: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    Amit Malviya: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল (TMC) নেতাদের এই মর্মে সতর্ক করলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিপদে পড়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফোন করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, দলনেত্রী সেই ফোন ধরেননি। তা নিয়েও তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

    এসএসসি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত জেলেই দিন কাটছে তাঁর। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁকে জেরা করে ওই পাচার চক্রের খোঁজ পেতে চেয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বার দশেক তলব করা হলেও, অনুব্রত নিজাম প্যালেসে গিয়ে সাকুল্যে হাজিরা দিয়েছেন একবার। নানা অছিলায় অনুব্রত বাববার এড়িয়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের নাগাল। শেষমেশ বীরভূমের বাড়ির ঠাকুরঘর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত তাঁরও ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রতর মতো দুষ্কৃতীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন মমতা, তোপ অমিত মালব্যর

    পার্থ ও অনুব্রত, দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের এই জোড়া ‘হেভিওয়েট’ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর জোড়াফুল শিবিরের বাকি নেতাদের সতর্ক করে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা।

    এদিন ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ ও অনুব্রতর ফোন তোলেননি। ঠিক তখন, যখন তাঁকে খুব প্রয়োজন ছিল তাঁদের। পরিস্থিতি আঁচ করেই তিনি ঝেড়ে ফেলেছেন তাঁদের। মালব্য বলেন, এটা তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর একটা বার্তা যে লুঠ, খুন এবং ধর্ষণে যাঁরা তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন, সময় এলে তাঁদেরও পরিত্যাগ করতে পিছপা হবেন না তিনি।

    অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় গেরুয়া শিবির যে উল্লিসিত, এদিন তা গোপন করেননি বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাহুবলী অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে বাংলা জুড়ে উৎসব পালিত হয়েছে। লোকজন ঢাক বাজিয়েছেন। বিলি করেছেন গুড়বাতাসা। তাঁর অভিযোগ, এই মমতাই প্রকাশ্যে অনুব্রতকে সিবিআই এড়াতে বলেছিলেন। তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন নিজের গাড়িতেও।  

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

  • Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির,  খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    Setting Guru Daitapati: কয়লা-গরু পাচারে সন্ধান ‘সেটিং গুরু’ দয়িতাপতির, খোঁজ নিচ্ছে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা-গরু পাচার (Cattle-Coal smuggling scam) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকরভাবে নাম জড়াচ্ছে পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) এক দয়িতাপতির (Daitapati)। তিনি নাকি তৃণমূলী মহলে ‘সেটিং গুরু’ (TMC Setting Guru) নামে পরিচিত। অতীতে সিবিআই-ইডি-আয়করের (ED-CBI-Income Tax) নোটিস এলেই তৃণমূলের (TMC) অনেক নেতাই এই সেটিং গুরুর কাছে হাজির হতেন। তিনি নাকি তাঁর ভক্তকূলের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় কাজ করেন এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। বলাই বাহুল্য কিঞ্চিত দক্ষিণার মাধ্যমে।

    কিন্তু সেই সেটিং গুরুর যাবতীয় কারবার নাকি এখন আর কাজ করছে না। তৃণমূলের অন্দরের চর্চা, সম্প্রতি যে কজন বড় মাথা সিবিআই, ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরাও সেটিং গুরু দয়িতাপতির শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এবার অগ্রিম দক্ষিণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃণমূলের লোকজন এখন সেই সেটিং গুরুর চ্যালা চামুণ্ডাদের খুঁজতে শুরু করেছেন। এমনই একজন বিপদ বুঝে পূরী পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সাত মাসে তিন বার দুবাই যাত্রা অভিষেকের, ফিসফিসানি দলের অন্দরেই

    কে এই সেটিং গুরু?

    তৃণমূলের অন্দরের খবর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দয়িতাপতির ওড়িশার চেয়েও কলকাতায় ভক্ত সংখ্যা বেশি। তিনি কলকাতায় এলে ডেরা বাঁধেন গড়িয়াহাটের কাছে। সেখানেই তৃণমূলের হেভিওয়েটরা তাঁর কাছে ভিড় করেন। কারণ, কালীঘাট চত্বরে বছরে দু-তিনবার মহাযজ্ঞ করে থাকেন তিনি। ফলে সর্বোচ্চস্তরে এক ফোনেই নানা কাজ করিয়ে দেওয়া নাকি তাঁর বাঁ হাতের খেলা। তৃণমূলের বহু নেতাকে টিকিট দেওয়া, কাউন্সিলারকে চেয়ারম্যান বানানো, বিধায়ককে মন্ত্রী বানানোর হাতযশ তাঁর রয়েছে। সেই সূত্রেই সেটিং গুরুর কাছে ভিড়ও হয়।

    এবারও ইডি-সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়া ভারী নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। দক্ষিণ শহরতলির কোনও এক কাঞ্জিলালের কাছে দক্ষিণাও পৌঁছে দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি সিবিআই-ইডি ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে বলেও সেটিং গুরু দাবি করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এবার ইডি-সিবিআই বেশি সক্রিয়। অন্যান্যবার সিবিআই জেরার জন্য ডেকে গ্রেফতার করত। এবার রীতিমতো বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে ভারী নেতাদের গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও কিছু নেতা ও পুলিশ কর্তা সেই তালিকায় আছে বলে শোনা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    কিন্তু সেটিং গুরুর কাছে দক্ষিণা পৌঁছে যাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা না কমায় তৃণমূল নেতারা কাঞ্জিলালের সন্ধান শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি রাজ্য ছেড়ে শ্রীক্ষেত্রের উদ্দেশে পালিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আফসোসের শেষ নেই। এই খবর সিবিআই-ইডির কাছেও পৌঁছেছে। ফলে সেটিং গুরুর কারবার নিয়ে নজরদারিও শুরু করেছে তারা।   

  • Janmasthami 2022: জন্মাষ্টমী তিথি ঠিক কখন পড়ছে? পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    Janmasthami 2022: জন্মাষ্টমী তিথি ঠিক কখন পড়ছে? পুজোতে এই উপকরণগুলো অবশ্যই রাখবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই জন্মাষ্টমী (Janmasthami 2022)। এই দিনটিকে কৃষ্ণের (Lord Krishna) জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছরের মতো ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র আবির্ভাব তিথি। এই দিনে পুজো, উপোস, কীর্তন ইত্যাদি করা হয়। দেশ জুড়ে শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন মন্দিরে মহাসমারোহে পালিত হয় জন্মাষ্টমী তিথি৷ গৃহস্থ বাড়িতে পূজিত হন ভগবান কৃষ্ণ৷ এ বারও সেই উৎসবের তিথি দোরগোড়ায়৷ আর কয়েক দিনের প্রতীক্ষা৷ তার পরই পালিত হবে জন্মাষ্টমীর পবিত্র মুহূর্ত৷

    জন্মাষ্টমী তিথি (Janmasthami 2022 Date Time)-

    অষ্টমী তারিখ শুরু – ১৮ অগাস্ট রাত ৯ টা বেজে ২৩ মিনিট
    অষ্টমী তারিখ শেষ – ১৯ অগাস্ট রাত ১০ টা বেজে ৫৯ মিনিট

    জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের পুজোর জন্য শুভ তিথি ১৮ অগস্ট রাত ১২.০৩ মিনিটে শুরু হবে। এই তিথি রাতের ১২.৪৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। সেই সময়ের মধ্যে জন্মাষ্টমীর পুজো করার সময়কাল রয়েছে। ফলে এই সময়কে ধরে রেখে করতে হবে পুজো।

    জন্মাষ্টমী পুজোর উপকরণ— 

    ধূপকাঠি, কর্পূর, জাফরান, চন্দন, সিঁদুর, সুপারি, পান, পদ্ম, তুলসীর মালা, ধনে, যজ্ঞবেত ৫, কুমকুম, ধান, আবির, কাঁচা হলুদ, গোপালের গয়না, সপ্তমৃত্তিকা, সপ্তধন, কুশ ও দূর্বা, শুকনো ফল, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, মিছরি, তুলসী ডাল, খাঁটি ঘি, দই, দুধ, মৌসুমি ফল, নৈবেদ্য বা মিষ্টান্ন, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, সুগন্ধি, সিংহাসন, ঝুলা। 

    এই পুজোতে লাগে— আমপল্লব, পঞ্চামৃত, কলা পাতা, ওষুধ, শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি, গণেশের ছবি, অম্বিকার ছবি, ভগবানের পোশাক, গণেশকে নিবেদনের পোশাক, অম্বিকাকে নিবেদনের পোশাক, সাদা কাপড়, লাল কাপড়, পঞ্চ রত্ন, প্রদীপ, পান, নারকেল, চাল, গম, গোলাপ ও লাল পদ্মফুল, দূর্বা, অর্ঘ্য পাত্র, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপর্কের বাটি। 

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় ময়ূরের পালক ও বাঁশির মাহাত্ম্য

    ময়ুর পালক

    ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে ময়ূরের পালক দেওয়া ভগবান কৃষ্ণের আরাধনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান কৃষ্ণ বাঁশির মতো ময়ূরের পালক অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই তিনি এটিকে মুকুট হিসাবে ব্যবহার করতেন। জন্মাষ্টমীর পুজো সফল করতে ময়ূরের পালক ও একটি মুকুট অর্পণ করুন গোপালকে। ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূরে সরিয়ে সমৃদ্ধি পেতে চাইলে বাড়িতে রাখুন ময়ূরের পালক। জন্মাষ্টমীর পুজোতেও ময়ূরের পালক রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরে সুখ শান্তি আসে।

    বাঁশি

    ময়ূরের পালকের মতো বাঁশি ছাড়াও পুজো করা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাঁশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি যদি চান যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হোক, তা হলে আপনাকে অবশ্যই গোপালকে জন্মবার্ষিকীতে বাঁশি নিবেদন করতে হবে। বলা হয়, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে বাঁশি রাখলে খুবই উপকার হয়। এতে ঘরে ধন-সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে সুখ ও শান্তি। ফলে পুজোর বেদীতে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি রেখে দিতে পারেন।

    শঙ্খ ও তুলসীর তাৎপর্য

    শঙ্খ

    জন্মাষ্টমীর পুজোতে শঙ্খ ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সনাতন ঐতিহ্যে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জন্মাষ্টমীর উৎসবে গোপালকে স্নান করাতে এবং পুজোর সময় শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় সঙ্গে রাখুন একটি শঙ্খ।

    তুলসী

    জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী পাতা অবশ্যই নিবেদন করতে হয় গোপালকে। কারণ তুলসী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর পুজোয় তুলসী নিবেদন করলে শীঘ্রই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্খিত বরদান করেন।

    জন্মাষ্টমীর বিশেষ ভোগ- 

    ৫৬ ভোগ 

    জন্মাষ্টমীর ভোগের মধ্যে ৫৬ ভোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫৬ রকমের নৈবেদ্যর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ টি মিষ্টি এবং ২০ ধরণের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।  

    তবে, যদি বাড়িতে ৫৬ ভোগ করা সম্ভব না হয়, তাহলে লুচি, ছোলার ডাল এবং সুজি প্রস্তুত করুন। গোপাল পুজোয় ঘরে ঘরে তৈরি হয় তালের বড়া ও তালের ক্ষীর, মালপোয়া, মোহনভোগ, নারকেল নাড়ু, মাখন, ক্ষীর, মিষ্টি, পায়েস, বাসন্তী পোলাও। এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই দুধ-দই, কাঁচা মাখন বা ননীর ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ গোপাল দুধ-দই এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। পঞ্চামৃত তৈরি করুন এবং সব ধরনের ফল রাখুন।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। 

    এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের জলাভিষেক করে তাকে দোলনায় রাখুন। এরপর আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়।

    এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পুজো করুন। সেই সময় নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালের আরতি করুন।

  • Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার (Gujarat Govt)। গোধরা পরবর্তী হিংসায় বিলকিসকে গণধর্ষণে (Gang Rape) দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। বিলকিসের পরিবারের সাতজনকে খুনের দায়েও দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। সোমবার স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় তারা। সাজা মকুব নীতিতে (Remission Policy) মুক্তি দেওয়া হয়েছে ওই ১১জনকে।  

    ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড়ের একটি গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। গ্রামেরই বাসিন্দা বিলকিস এবং তাঁর মা বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। পরিবারের ১৪ জন সদস্য সহ মোট ১৭ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০৮ সালের ২১ জুলাই মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ওই ঘটনায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেওয়া হয় তাদেরই।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    কেন ছেড়ে দেওয়া হল অভিযুক্তদের? অভিযুক্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিল। এদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করে মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালত অভিযুক্তদের সাজা মকুবের জন্য গুজরাট সরকারকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় বলে জানান গোধরা জেলার কালেক্টর সুজল মায়াত্র। ওই কমিটিই অভিযুক্তদের সাজা মকুবের সুপারিশ করে গুজরাট সরকারের কাছে। তার পরেই মুক্তি দেওয়া হয় তাদের। অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী সামসাদ পাঠান। তাঁর প্রশ্ন, বিলকিসের মামলার থেকে কম জঘণ্য অপরাধ করেছে এমন অসংখ্য অভিযুক্ত কেন কারাগারে বন্দি?

    এদিকে, গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের রশিও বিজেপির হাতে। অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি বন্দিদের মুক্তি দেবে। তবে ধর্ষক, মানব পাচারকারী এবং মাদক পাচার চক্রীদের মুক্তি দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, এই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রয়েছে অমিত শাহের হাতে।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

  • Indian Football: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ? 

    Indian Football: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসনে পাঠাল ফিফা, কী হবে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুলবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (All India Football Federation) নির্বাসিত করল ফিফা (FIFA)। অনিশ্চিত হয়ে পড়ল অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অংশগ্রহণ। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ’ – এর কারণেই এই নির্বাসন বলে জানিয়েছে ফিফা। অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ভারতকে নির্বাসিত করেছে তারা। ফিফা একটি বিবৃতি  দিয়ে জানিয়েছে, “এখন এআইএফএফ-এর ক্ষমতায় রয়েছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দায়িত্ব নেবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।” 

    আরও পড়ুন: এগিয়ে এল বিশ্বকাপের দিন! জেনে নিন কবে থেকে শুরু ফুটবলের মহাযুদ্ধ

    আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার মধ্যে এই নির্বাসনের সুরাহা না হলে ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বিশ্বকাপ। ফিফা বিবৃতিতে আরও বলেছে, “নির্বাসনের অর্থ হল, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ফিফা চিন্তা-ভাবনা করছে।”

    যদিও এখনই মনোবল হারানোর কোনও কারণ নেই। ভারতের ক্রিড়া মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে ফিফা। এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব বলেও নিশ্চিত করেছে তারা। 

    আরও পড়ুন: কাতারে নতুন বিয়ার পলিসি! না কি ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ

    নির্বাসন তোলার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দিয়েছে ফিফা। এক, কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে। দুই, সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (AIFF) হাতে নির্বাচনের মাধ্যমে পুরো দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। এই মাসের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেটা হলেই ভারতীয় ফুটবল ফের খেলতে পারবে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আয়োজনও করতে পারবে। এবং মোহনবাগান খেলতে পারবে এফসি কাপে। অর্থাৎ ভারতীয় ফুটবলের ভাগ্য ফেরাতে নির্বাচনই একমাত্র পথ। 

    ফিফার দেওয়া এই নির্বাসন না উঠলে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে ভারতীয় ফুটবল। প্রথমত ভারত কোনও বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারবে না। এছাড়াও ভারতের কোনও দল কোনও আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোনও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না কোনও ভারতীয় ফুটবল ক্লাব। 

    পুরুষদের দলের পরের মাসে সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামে খেলার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্বাসনের জেরে এখন তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুনীল ছেত্রীদের ভবিষ্যৎ।  

     

  • Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA) মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার (State Govt.)। মঙ্গলবার সেই মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডরের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ২৯ তারিখে হবে শুনানি।

    গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া সমস্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে। অনেকেই ভেবেছিলেন, রায় পুনর্বিবেচনা আর্জি জানাতে পারে রাজ্য সরকার। কর্মীদের একাংশের সেই ভাবনাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার অনলাইনে রিভিউ পিটিশন জমা দেওযার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও এ ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়নি মামলাকারীদের। রিভিউ পিটিশনের আবেদন গ্রহণ হলেই সেই নোটিশ যাবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩২ শতাংশ ডিএ মেটানোর দাবি জানিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষমেশ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ১১ তারিখে সেই রায় পুনর্বিবেচনের আর্জি জানানো হয়। এদিন তা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া মেটানোর জন্য তিন মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান নেই। তাই এ ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল রাজ্য। কিস্তিতে কিংবা পিএফের সঙ্গে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।  

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

  • Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় মুক্তি পেল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) এগারো জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা জেলের বাইরে বের হল গত ১৫ বছর ধরে জেলে থাকা বন্দিরা৷ গোধরা পরবর্তী হিংসায় (Gujarat Riots 2002) বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। ২০০৮ সালে তাদের সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।। কিন্তু গুজরাট সরকারের শাস্তি মকুবের নিয়ম (remission policy) অনুযায়ী, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার আবেদন করে দোষীদের একজন। এবং তারই ভিত্তিতে ওই ১১ জন দোষীকে গতকাল মুক্তি দেওয়া হল।

    সূত্রের খবর, দোষীদের মধ্যে এক জন সুপ্রিম কোর্টের কাছে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কোর্টের নির্দেশ মতো গঠন করা হয় একটি কমিটি৷ তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাট সরকারের ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই গুজরাট সরকারের তরফে রবিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বললেন রাষ্ট্রপতি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফ্রেবুয়ারি, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। এরপর ৩ মার্চ বারিয়া নামক গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেসময় গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর বাকি সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুনও করা হয়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছয়জন। এই ঘটনার পরেও দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর এই ঘটনায় ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপর ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিলকিস। ফলে মামলাটি আমদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআই আদালত ২০০৮ সালে ওই ১১ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ডের দেয়। গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি জমায়েত ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য সাত জনকে। আর শুনানি চলাকালীনই মৃত্যু হয় এক জনের। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষতিপূরণবাবদ বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা, চাকরি এবং বাড়ি দিতে হবে বলে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 

  • Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে (Partition Horrors Remembrance Day) কংগ্রেসকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপির (BJP) তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে আক্রমণ শানানো হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে (Jawaharlal Nehru)।

    সাত মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে প্রচার করছে পদ্ম শিবির। আর্কাইভের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিওয় পাকিস্তান (Pakistan) গঠনের জন্য মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের কাছে নেহরু নতি স্বীকার করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। দেশভাগের সময়কার বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিও ট্যুইট করে বিজেপির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, যাদের ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সভ্যতা, মূল্যবোধ, তীর্থস্থান সম্পর্কে কোনও জ্ঞানই ছিল না, তারা মাত্র তিন সপ্তাহে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক সঙ্গে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেশভাগের রেখা টেনেছিল। এই বিভাজনকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? বাংলা এবং পাঞ্জাব ভাগের প্রসঙ্গও রয়েছে বিজেপির তৈরি করা এই ভিডিওয়।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    গত বছরই দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির দাবি, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জেরে ভারতীয়দের যে সমস্যা, দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা মনে করাতেই এই উদ্যোগ। দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকেই নিশানা বিজেপির। এদিন সকালে এনিয়ে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

    পাল্ট জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় বলেন, এই দিনটি স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করা। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন, প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগের কথা ভুললে চলবে না। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি আজকে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন? তাঁর কটাক্ষ, আধুনিক কালের সাভারকার এবং জিন্নারা ফের বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল সহ যাঁরা দেশকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উত্তরাধিকারকে কংগ্রেস এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরাজিত হবে বিদ্বেষের রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

     

  • Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে স্কুলের পাঠ্যসূচি সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী। একথা জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তবে কেন এমন দাবি করলেন তিনি, এই নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।

    জানা গিয়েছে, খুব কম বয়স থেকেই শিশুরা যাতে দেশের সেনা জওয়ান, তাঁদের বীরত্ব, আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের “বীর গাথা” (Veer Gatha) প্রজেক্টে বক্তব্য রাখার সময়েই এই বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দেশের প্রতি সন্তানদের যাতে খুব কম বয়সেই দায়িত্ববোধ এসে যায় সেই দিকে ভেবেই শিক্ষা মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই আলোচনা করছে। শিশুদের পাঠ্যক্রমে ভারতের সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও গত ৭৫ বছরে ভারতের বীর গাথার কাহিনি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীর গাঁথা প্রজেক্টটি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (‘Azadi Ka Amrit Mahotsav’)-এর একটি অংশ হিসাবে চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল দেশের সেনা বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা ও তাদের অনুপ্রাণিত করা। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল ‘বীর গাথা প্রতিযোগিতা’-র। যেখানে দেশের মোট ৪,৭৮৮ টি স্কুল থেকে প্রায় ৮.০৪ লক্ষ পড়ুয়া উৎসাহিত ছিল তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, ছবি আঁকা এবং মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। এদের মধ্যে ২৫ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে ও তাদের “সুপার ২৫” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে সকল পড়ুয়া এই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে তাদের “সুপার সেনা”-র তকমা দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে শিক্ষামন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সেনাদের সম্মানে এই প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে ‘সেনা সুপার ২৫’ করা উচিত। এই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘বীরগাথা’ প্রতিযোগিতার ২৫ জনকে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করেন।

     

  • Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমতাবস্থায় রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না দেশের শীর্ষ ব্যাংকের সামনে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেপো রেট বাড়িছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই রেপো রেট বাড়ায় নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক (Bank)।  

    আমরা জানি, ভারতের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভরসা করেন ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ওপর। এর প্রধান কারণ হল, এতে বাজারের হাল যাই হোক না কেন, সুদ মেলে ডিপোজিটের সময় ব্যাংক যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই হারে। তাছাড়া টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাও সোজা। গত দু তিন বছরে একাধিকবার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই সময় সীমার মধ্যেই ছিল করোনা অতিমারি পরিস্থিতি। তার পরেও ফিক্সড কিংবা টার্ম ডিপোজিটে অগ্রহ বাড়েনি আমজনতার।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আমজনতাকে ব্যাংকমুখী করতে নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রা এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েস ব্যাংক ১০ অগাস্ট থেকে টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকে ৭ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২ কোটি টাকার কম জমা রাখলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ হারে। তিন বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ।

    এর চেয়েও বেশি সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইয়েস ব্যাংক। ৭ থেকে ১৪ দিনের মেয়াদি আমানতে তারা দিচ্ছে ৩.২৫ শতাংশ সুদ। তিন বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে আর একটি বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক। এই সুদ মিলবে দু কোটি কিংবা তার বেশি টাকা জমা রাখা হলে। সেক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৩.২৫ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। সুদের হার বাড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকও। দু কোটি টাকার কম জমা রাখা হলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। জমা টাকার পরিমাণ দু কোটি টাকার বেশি হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ হারে।

     

LinkedIn
Share