Blog

  • T20 WORLD CUP: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    T20 WORLD CUP: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ! ভারত-পাকিস্তান মহারণ তো দূর খেলাটা যে সেমি ফাইনাল তাই বোঝা গেল না। আলেক্স হেলস, জস বাটলার, দুজনেই শেষ করে দিলেন ভারতের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। হেভিওয়েট সেমিফাইনালের (T20 World Cup) আগেই শোয়েব আখতার বলে দিয়েছিলেন যে দল রান চেজ করবে, তাঁদের হাতেই জয়ের চাবিকাঠি। সেই ভবিষ্যৎবাণীই যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। তবে এরকম লজ্জার হার বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউ। হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং বিক্রমে ভর করে অ্যাডিলেডের স্লো পিচে ভারত ১৬৮ তুলেছিল কোনওরকমে। স্কোরবোর্ডে এই রান  যে যথেষ্ট নয় তা বোঝাই গিয়েছিল। কিন্তু ১০ উইকেটে হার যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ১৬৯ তুলল কোনও উইকেট না হারিয়েই। চার ওভার বাকি থাকতে। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে ফাইনালে উঠল ব্রিটিশরা।

    নক আউট খরা

    নক আউট অভিশাপ কাটল না ভারতের। বারবার মরণ বাঁচন ম্যাচে গিয়ে পরাজিত হতে হচ্ছে রোহিত বাহিনীকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। বিশ্বকাপের সুপার ১২ পর্যায়ে দুরন্ত খেলার পরেও কেন নক আউট থেকেই বিদায় নিতে হল রোহিতদের। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ট্রফি জয় অধরাই থেকে গেল ভারতের। শেষ ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তারপর থেকে আর কোনও আইসিসি ট্রফি নেই বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম পাওয়ার হাউসের। 

    আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    ভারতের ব্যাটিং

    ভারতীয় ব্য়াটিং লাইন আপের টপ অর্ডার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ। লোকেশ রাহুল শেষ দুই ম্যাচে রান করেছেন। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ। সেমিফাইনালেও ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুটা ভাল করলেও বড় রান এল না তাঁর ব্যাটে। টুর্নামেন্টে একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রান পেয়েছিলেন তিনি। ইনিংসের শুরু ভাল না হলে মিডল অর্ডারে চাপ বাড়তে বাধ্য। বড় ম্যাচের চাপ নিতে না পেরে ফিরে গেলেন সূর্যক কুমারও। বিরাট কোহলি অ্যাডিলেডে প্রথম বার আউট হলেন। তার আগে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন বিরাট। ১৫ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০০। এখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৮-৬ সম্ভব হল হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য। মাত্র ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস হার্দিকের।

    ভারতের বোলিং

    অ্যাডিলেডের স্কোয়ার বাউন্ডারি ছোট। বোর্ডে রানও কম। তবু একবার লড়াইয়ের চেষ্টা করা যেত। কিন্তু শুরু থেকেই যেন হেরে গেলেন বোলাররা। ভুবির প্রথম ওভারেই এল ১৩ রান। পুরো টুর্নামেন্টে অক্ষর ব্যর্থ। তবু পাওয়ার প্লে-তে অক্ষর প্যাটেলকে বোলিং করিয়ে গেলেন রোহিত। জস বাটলার-অ্যালেক্স হেলস ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লে-তে ৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। সেখানেই ম্যাচ হেরে যায় ভারত। বাকিটা শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। 

    সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ১৬৮-৬, ২০ ওভার (হার্দিক পান্ডিয়া ৬৩, বিরাট কোহলি ৫০)। ইংল্যান্ড ১৭০-০, ১৬ ওভার (অ্যালেক্স হেলস ৮৬*, জস বাটলার ৮০*)। ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।

     

     

  • Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    Tiger 3: ‘টাইগার ৩’-তে ফের একসঙ্গে ‘করণ-অর্জুন’! কবে শ্যুটিং শুরু করবেন বাদশা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় পর্দায় ফের একসঙ্গে দেখা যাবে করণ-অর্জুনকে! অর্থাৎ একই ছবিতে বলিউডের কিং খানভাইজানকে দেখা যাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনিতেই শাহরুখ-সলমনের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে বলিপাড়ায় চর্চার শেষ নেই। তার মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই শাহরুখ-সলমনপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। বড় পর্দায় হেভিওয়েট দুই খানকে একসঙ্গে দেখতে মুখিয়ে আছেন ভক্তরা।

    প্রায় অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, তাঁদের একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যাবে কোনও এক ছবিতে। আর সেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁদের অনুরাগীরাও। আর এবারে সেই আশাই সত্যি হল বলে! তবে কোন ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাবে, এই নিয়েও কৌতুহলের শেষ ছিল না। এরপরেই জানা গেল, দুজনেই দুজনের ছবিতে ক্যামিও রোলে দর্শকদের নজর কাড়তে চলেছেন। অর্থাৎ সলমন খানকে ক্যামিও রোলে শাহরুখের ছবি ‘পাঠান’-এ দেখা যাবে ও শাহরুখকে ভাইজানের ‘টাইগার ৩’-তে দেখা যাবে। আরও জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’-এ জাসুস টাইগার চরিত্রে দেখা যাবে সলমন খানকে। আবার ‘টাইগার ৩’-তে পাঠানের চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।

    আরও পড়ুন: অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তন বলিউড বাদশার, মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর টিজার

    ‘টাইগার ৩’-এর শ্যুটিং কবে শুরু করবেন শাহরুখ ?

    সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ‘পাঠান’ ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই ‘টাইগার ৩’ -এর শ্যুটিং শুরু করবেন কিং খান। একদিকে অ্যাটলি কুমারের ছবি জওয়ান, অন্যদিকে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ডাঙ্কি, দুটি ছবির শ্যুটিংয়েই দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন শাহরুখ। অন্যদিকে চলছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি পাঠান-এর প্রোমোশন। ফলে বাদশার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই ‘টাইগার ৩’তে নিজের ক্যামিও রোলের শ্যুটিং সেরে ফেলবেন শাহরুখ। অন্যদিকে বহুদিন আগেই ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং সেরে ফেলেছেন সলমন।

    কবে মুক্তি পাবে ‘পাঠান’ ও ‘টাইগার ৩’ ?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শাহরুখের ‘পাঠান’ ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে। এতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দীপিকা পাডুকোন ও জন আব্রাহাম। সদ্য মুক্তি পেয়েছে পাঠানের টিজারও। ছবি নিয়ে বেড়েছে দর্শকের প্রত্যাশা। অন্যদিকে ‘টাইগার ৩’ ২০২৩-এর দিওয়ালিতে রিলিজ হবে। সলমন খান ছাড়াও ‘টাইগার ৩’-তে মুখ্য চরিত্রে থাকছেন ক্যাটরিনা কইফ এবং ইমরান হাশমি। প্রথমে ঠিক ছিল, ঈদেই এই ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু শাহরুখের জন্য অপেক্ষা করেই এই ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বেশ ভালো অ্যাকশন সিন রয়েছে বাদশার। যা শ্যুট করতে সময় লাগবে খানিকটা। তবে খুব শীঘ্রই বাদশা শ্যুটিং শুরু করতে চলেছেন। তাই এবার শুধু পর্দায় এক সঙ্গে শাহরুখ-সলমনকে দেখার অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Exam: ‘আইন না মানলে বন্ধ টেট’, পর্ষদকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার টেট পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। আইন মেনে পরীক্ষা না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে পরীক্ষা, সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কবে টেট পরীক্ষা?

    টেট কেলেঙ্কারির জেরে বিব্রত রাজ্য সরকার (State Govt.)। শেষমেশ শিক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা (TET Exam) নেওয়ার কথা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি ছিল টেট সংক্রান্ত একটি মামলার। ২০১৭ সালে টেটের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও, ২০১৪র ফল বের করেনি পর্ষদ। তা নিয়েই মামলা হয়। চলছিল শুনানিও। কেবল এটিই নয়, টেট নিয়ে বুধবার একাধিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    এদিন টেট নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না, তাহলে পরীক্ষা (TET Exam) বন্ধ করে দেব। নভেম্বর মাসের তিন তারিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ বলে গণ্য করতে হবে। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এর জেরে পর্ষদ কর্তৃক ঘোষিত লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থী ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে মেধা তালিকাও। আপাতত তারই প্রতীক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    Dengue New Variant: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে এবারে আরও উদ্বেগজনক তথ্য নাইসেডের (National Institute of Cholera and Enteric Diseases/NICED) রিপোর্টে উঠে এসেছে। রাজ্যে ডেঙ্গির দুরকম ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে (Dengue New Variant)। যা সাধারণ ডেঙ্গির থেকে বেশি বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। নাইসেডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুটি প্রজাতি, ‘ডেঙ্গি-২’ বা ‘ডেঙ্গ-২’ (DENG-2) এবং ‘ডেঙ্গি ৩’-এর (DENG-3) সেরো টাইপ।

    নাইসেড সূত্রে খবর, প্রত্যেক মাসে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ৪০০টি করে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেই নমুনা বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে, অক্টোবরে ৬০ শতাংশ রক্তের নমুনাতে ডেঙ্গি ৩-এর সেরো টাইপ পাওয়া গিয়েছে। আর ডেঙ্গি-২-এর সেরো টাইপ ধরা পড়েছে ৪০ শতাংশ। আবার গত সেপ্টেম্বর মাসে, যে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে, তাতে ডেঙ্গি-৩-এর সেরো টাইপ দেখা গিয়েছে ৩৭ শতাংশ। পাশাপাশি ডেঙ্গি ২-এর সেরো টাইপ ছিল ২৭ শতাংশ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গির দুই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে (Dengue New Variant)। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি টাইপ ৩-এর তুলনায় ডেঙ্গি টাইপ ২ মানুষের দেহের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    আর এই প্রজাতির ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গও (Dengue New Variant) সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় আলাদা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই দুই ডেঙ্গির ভ্যারিয়েন্টে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যা। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। এরপর রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। ফলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

    সাধারণ ডেঙ্গি ও ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?

    সাধারণ ডেঙ্গি হলে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে, পেশি, হাঁটুতে ব্যথা, দুর্বল বোধ করা ও খিদে কমে যাওয়া, মাথাঘোরা, গলা ব্যথা, শরীরে র‌্যাশ বেরোনো ইত্যাদির মত উপসর্গ দেখা যায়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডি-২ বা ডেঙ্গ-২-এর ক্ষেত্রে নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত, বমির সঙ্গে রক্তপাত, গায়ে গাঢ় নীল বা কালো দাগ-এমন উপসর্গ দেখা যায়।

  • Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jorasanko: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো (Jorasanko) ক্যাম্পাসে (Rabindra Bharati University) হেরিটেজ তকমা পাওয়া ভবনে নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ভবনের একাংশ ভেঙে নির্মাণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। আদালতের নির্দেশ, হেরিটেজ ভাঙার যাবে না। ভবনে নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও কাজ হলে রাজ্যকে জবাবদিহি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। বিষয়টিতে নজরদারির জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।   

    অভিযোগ উঠেছিল, কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত হেরিটেজ ভবন ভেঙে তৃণমূল শিক্ষাকর্মী সংগঠনের অফিস তৈরি করা হচ্ছিল। আর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    গত ৩ নভেম্বর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর অভিযোগ, ইতিমধ্যেই এই হেরিটেজ ভবনের দুটি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, ঐতিহাসিক সেই ঘর তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠন শিক্ষা বন্ধু সমিতির অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেখানে কবিগুরুর ছবি সরিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি টাঙানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

    ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ তকমা পেয়েছে জোড়াসাঁকোর কবিগুরুর বাড়ি। মামলাকারী স্বদেশ মজুমদারের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর জানান, রবীন্দ্রনাথের একটিও ছবি নেই সেই ঘরে। অথচ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছবি রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ও রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে রাজ্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিজেদের বক্তব্য আদালতকে জানাবে।

    সোমবার,  প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন আর ভাঙা যাবে না। এই নির্দেশের পরেও যদি কাজ চলে, জবাবদিহি করতে  হবে রাজ্য সরকারকেই। কার নির্দেশে হেরিটেজ ভবন ভাঙা হচ্ছিল ? কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না? এই রিপোর্ট ২১ নভেম্বর দিতে হবে রাজ্য সরকার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এবারে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল ভারতেও। কারণ একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে সরিয়ে ফেলেছে ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। কর্মী ছাঁটাই-এর প্রভাব ভারতে পড়ায় পুরো দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বিখ্যাত সংস্থা ব্লুমবার্গের (Bloomberg) তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ট্যুইটারে প্রায় ২০০ কর্মী ভারতে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে (Twitter Layoffs)। এই ছাঁটাইয়ের পরে, ভারতে মাত্র কিছু কর্মচারীই অবশিষ্ট রয়েছে। ভারতে ট্যুইটার যে কর্মচারীদের বরখাস্ত করেছে তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রোডাক্ট ও বাকিরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ছিলেন। এছাড়াও মার্কেটিং, পাবলিক পলিসি ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন টিম থেকেও অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। এদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতও ছিলেন। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর এবারে ভারতে কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হল।

    কোম্পানি কেনার আগে থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, ইলন ট্যুইটারে কর্মরত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই করবে (Twitter Layoffs)। আর এটাই এখন সত্যি হল। ক্ষমতা পেতেই বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন ট্যুইটারের নতুন মালিক। এমনকি যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের ইমেলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হয়। আবার কিছু কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার ইমেলও পাঠানো হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভুলবশত কিছু কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ফলে এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে হিসেব করেই বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন প্রক্রিয়াকে বেছে নিয়েছে তারা।

  • Brazil 2022 World Cup Team: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    Brazil 2022 World Cup Team: কাতার বিশ্বকাপে নেই ফিলিপে কুটিনহো! ব্রাজিলের ২৬ জনের দল ঘোষিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হলো। চোটের কারণে কাতার বিশ্বকাপে নেই ব্রাজিলের ফিলিপে কুটিনহো। সোমবার ব্রাজিলের কোচ তিতে ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেন। যা নিয়ে ফুটবল মহলের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেতে আক্রমণ ভাগকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ। নজন ফরওয়ার্ড রেখে দল সাজিয়েছেন তিনি। যা থেকে স্পষ্ট মরুভূমির দেশ কাতারে আক্রমণের ঢেউ তুলবেন নেইমাররা।

    আরও পড়ুন: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি ফির্মিনহর। বড় চমক ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ড্যানি আলভেসের অন্তর্ভুক্তি। এত বয়সে অতীতে আর কোনও ফুটবলার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ খেলেননি। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার নজির ছিল ৩৭ বছরে বিশ্বকাপ খেলা দলমা সেন্টজের। তাঁকে পিছনে ফেললেন ড্যানি আলভেজ। আসলে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ওপর জোর দিয়েছেন কোচ তিতে। কারণ তিনি জানেন বিশ্বকাপ জিততে গেলে শুধু গোল করলেই চলবে না রক্ষণকেও মজবুত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তাই আলভেজের পাশাপাশি আর এক বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভার ওপরও ভরসা রেখেছেন তিনি। সিলভার এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ হতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ ২৪ শে নভেম্বর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচে নেইমাররা খেলবেন সুইজারল্যান্ড এর বিপক্ষে খেলাটি হবে ২৮শে নভেম্বর। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ ২ ডিসেম্বর। তিতের ছেলেদের লড়তে হবে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে।

    ব্রাজিল দল—

    গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার, এদেরসন সান্তানা, ওয়েভারটন পেরেরা।

    ডিফেন্ডার: দানি আলভেজ, দানিলো, আলেক্স সান্দ্রো, আলেক্স তেলেস, ব্রেমের, এদের মিলিতাও, মার্কুইনোস, থিয়াগো সিলভা।

    মিডফিল্ডার: ব্রুনো গুইমারেস, কাসেমিরো, এভার্টন রিবেইরো, ফাবিয়ানহো, ফ্রেড, লুকাস পাকেতা।

    ফরোয়ার্ড: নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র, রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, পেদ্রো, রাফিনহা, রদ্রিগো, অ্যান্টনি ডস স্যান্টোস ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অবসর নিলেন দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI of India) ইউইউ ললিত (UU Lalit)। আগামিকাল অফিস ছেড়ে দেবেন তিনি। এদিন ললিতের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী ভাষণ দেন ললিত। জানান, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার দিন যে শপথ নিয়েছিলেন, তার অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন।

    চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ললিত। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। এদিন তাই বিদায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে খানিকটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন ললিত। বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রোজকার বিষয়গুলির দ্রুত শুনানি ও নিয়ম মাফিক করার। আমার ধারণা, আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি করেছি। ক্লিয়ার করেছি আরও ১৩ হাজার মামলা, যেগুলিতে ডিফেক্ট ছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI of India)  জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্টে কাটিয়েছেন ৩৭ বছর। আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেছিলেন ২৯ বছর। শেষ আট বছর সুপ্রিম কোর্টের জাজ ছিলেন। এদিন তিনি প্রবীণ আইনজীবী প্রয়াত সোলি সোরাবজিকেও ধন্যবাদ জানান। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তিনি তাঁর অধীনে কাজ করেছিলেন, তাই। ললিত বলেন, আমি এই আদালতে প্রায় ৩৭ বছর কাটিয়েছি। এই আদালত থেকে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি মুম্বইয়ে আইন প্র্যাকটিস করছিলাম। এখানে এসেছিলাম তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের সামনে একটি মামলা উপস্থাপন করতে। ললিত বলেন, আমার যাত্রা এই আদালত থেকে শুরু হয়ে আজ এই আদালতেই শেষ হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ললিতের পরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপনার কার্যকালে বিচারবিভাগে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। এবং আমি আপনাকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বহু বছর ধরে চিনি। একটি বিষয়ে মাত্র একবারই তাঁর বিরোধিতা করেছিলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    Himachal Pradesh Polls: ভোটের মুখে রামধাক্কা, কুপোকাত কংগ্রেস! হিমাচলে ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্মে’ ২৬ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম রাউন্ডেই কুপোকাত কংগ্রেস (Congress)! অ্যাডভান্টেজ বিজেপি (BJP)। ভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়লেন ২৬ জন নেতা। ঘটনায় হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Polls) আগে বেজায় বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। এক সঙ্গে বিপক্ষের ২৬ জন নেতাকে পেয়ে যারপরনাই খুশি পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই মুষড়ে পড়েছে কংগ্রেস।

    হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন (Himachal Pradesh Polls) হবে নভেম্বরের ১২ তারিখে। ৬৮ আসনের ওই বিধানসভার রশি রয়েছে বিজেপির হাতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারও ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। এমতাবস্থায় নিজেদের শিবিরে এই ভাঙনে বিব্রত কংগ্রেস। সোমবার যে ২৬ জন কংগ্রেস নেতা হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ধরমপাল ঠাকুর খাণ্দও।

    এদিনের দলবদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং বিজেপির রাজ্য নির্বাচনের ইনচার্জ সুধান সিং। উপস্থিত ছিলেন সিমলার বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সুদও। ধরমপাল ছাড়াও এদিন যাঁরা বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, প্রাক্তন সম্পাদক আকাশ সাইনি, প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজন ঠাকুর, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমিত মেহতা, মেহের সিং কানওয়ার, যুব কংগ্রেসের রাহুল নেগি, জয় মা শক্তি সোশ্যাল সংস্থান সভাপতি যোগিন্দর ঠাকুর, নরেশ ভার্মা, ছাম্বায়ানা ওয়ার্ড সদস্য যোগেন্দ্র সিং, ট্যাক্সি ইউনিয়ন সদস্য রাকেশ চৌহান, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের সিমলা প্রেসিডেন্ট ধর্মেন্দ্র কুমার, বীরেন্দ্র শর্মা, রাহুল রাওয়াত, সোনু শর্মা, অরুণ কুমার, শিবম কুমার এবং গোপাল ঠাকুর।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    এঁরা ছাড়াও এদিন পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন চমন লাল, জেলা কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক দেবেন্দ্র সিং, মহেন্দ্র সিং, যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মুনিশ মান্দলা, বালকৃষ্ণণ ববি, সুনীল শর্মা, সুরেন্দ্র ঠাকুর, সন্দীপ সামতা এবং রবি। হিমাচল প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর তাঁদের স্বাগত জানান। বলেন, দলের ঐতিহাসিক জয়ের লক্ষ্যে এবার জোট বেঁধে কাজ করা যাক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    Medical College: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: হাসপাতালের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরকারি ওয়েবসাইট, সর্বত্র নয়া রেকর্ডের বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। আর নিজেদের দেওয়া বিজ্ঞাপনেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। রাজ্যের চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, এই নয়া রেকর্ড বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার রুগ্ন হাল ছাড়া আর কিছুই নয়। জেলা সফরে গেলেই নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার, হুগলি, কিংবা মেদিনীপুর, যেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান, একটা নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। আপাতত রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতেই বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আর মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালের নয়া রেকর্ড, সেই সমস্ত জেলা হাসপাতালের অস্তিত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে একদিনে আউটডোরে রোগী হয়েছিল ১৭ হাজার। স্বাধীনতার পরে এ এক রেকর্ড। এমনি দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ভবনও এই দাবির স্বীকৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রোগী পরিষেবায় নয়া নজির গড়েছে এসএসকেএম (SSKM)। কিন্তু, এসএসকেএমের এই রেকর্ড আসলে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভগ্ন দশাকেই সামনে নিয়ে এলো বলে মনে করছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি মেডিক্যাল কলেজ, আসলে তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল। অত্যন্ত জটিল রোগ ছাড়া এই হাসপাতালে রোগী আসার প্রয়োজন হওয়া উচিত নয়। এটাই আদর্শ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু এ রাজ্যের পরিস্থিতি উল্টো।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    কেন এমন বলছেন? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগী তাঁর সমস্যা নিয়ে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবেন। যা গ্রামে গ্রামে থাকা উচিত। তারপরে সদর হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল। সেখানেও রোগ নিরাময় না হলে, জেলার মেডিক্যাল কলেজে রোগীকে পাঠানো হবে। যদি রোগ অত্যন্ত জটিল হয়, তখন সেই রোগীকে এসএসকেএমের মতো হাসপাতালে রেফার করা হবে। যেমন, স্নায়ুর অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচার কিংবা হৃদরোগ, কিডনি প্রতিস্থাপন বা লিভারের জটিল অস্ত্রোপচারের মতো সমস্যার সমাধান ছাড়া এই ধরনের হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যখন রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, তখন জ্বর, হাঁপানি, স্ত্রীরোগের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে বা মফস্বল থেকে সাধারণ মানুষকে কেন কলকাতার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে? এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তাহলে কি জেলার মেডিক্যাল কলেজে বা জেলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না?

    এসএসকেএম হাসপাতালের কর্মরত ইন্টার্নদের একাংশ জানাচ্ছেন, আউটডোরে যে রোগীরা দেখান, তাদের তিন বার লাইন দিতে হয়। সাধারণত ভোর তিনটে থেকে লাইন হয়। প্রথমে আউটডোরের টিকিট কাটার লাইন, তারপরে চিকিৎসককে দেখানোর আলাদা লাইন। তারপরে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে আরেকটি লাইন। অর্থাৎ, পরিষেবা পাওয়ার জন্য কার্যত রোগীর হয়রানির শেষ থাকে না। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন, এত রোগীকে একদিনে দেখতে হলে চিকিৎসকেরাও কতখানি মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারেন, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

    হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক বলেন, “হিসাব করে দেখেছি ১৩ সেকেন্ডের বেশি সময় একজন রোগীকে দিতে পারছি না। তার সব কথা শোনার সময় হচ্ছে না। এতে রেকর্ড হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু রোগী পরিষেবার মান তলানিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার হাসপাতালে ঠিকমতো পরিকাঠামো থাকলে এই ভিড় কখনওই হবে না। রোগী পরিষেবাও ভালো হবে। ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছিলেন, দীর্ঘদিন অভিযোগ, সেখানে পরিকাঠামো নেই। পরিকাঠামোর অভাবে একাধিক বিভাগ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে, জেলা থেকে মানুষ বাধ্য হয়ে কলকাতার হাসপাতালে যান। এমনকি আরামবাগ, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুরে সম্প্রতি যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছেন, সেখানেও কোনও পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। রেডিওথেরাপি বিভাগের এক অধ্যাপক-চিকিৎসক জানান, গত ১২ বছর তিনি কলেজে পড়াতে পারেননি। কারণ, তাঁকে যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে, সেখানে রেডিও থেরাপির ক্লাস নেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এদিকে ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে দীর্ঘ লাইন থাকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। অনেকে চিকিৎসার সুযোগও পান না।

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম পরিকল্পনা নেই। বিজ্ঞাপনের জৌলুসে হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির খবর। তাই জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন হলেও সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন সামান্য অসুখেও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং গড়ে উঠছে। কিন্তু রোগী পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।

LinkedIn
Share