Blog

  • Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার বিপাকে পড়ল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানোর আগে এক কথায় সিআইডিকে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল আদালত। সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয় 

    সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

    এসএসসির ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। 

    তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে।  

    যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন।”  

  • Ranbir-Alia: গর্ভবতী আলিয়ার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেন রণবীর, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

    Ranbir-Alia: গর্ভবতী আলিয়ার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেন রণবীর, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে হঠাৎ নেটিজেনরা বেশ বিরক্ত হয়ে আছেন রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) ওপর। যে রণবীরের জন্য লক্ষ লক্ষ অনুরাগী, তাঁর ওপর কেন রেগে আছেন নেটিজেনরা, এই নিয়ে বিশাল শোরগেোল পড়ে গিয়েছে। কেন নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে অনেকের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে রণবীর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী আলিয়াকে নিয়ে কিছু বিরক্তিকর কমেন্ট করেছেন তাও আবার অন-এয়ার। তবে অনেকে এই খবর বিশ্বাস করতেই পারছে না।

    আসলে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আলিয়া ভাটের (Alia Bhatt) ওজন বৃদ্ধি নিয়ে ‘অবিবেচক’ মন্তব্য করার জন্য রণবীর কাপুরকে নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। আলিয়া জুন মাসে রণবীরের সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁদের অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় গর্ভবতী হওয়াতেও তাঁকে শুনতে হয়েছিল কটুক্তি। আর এবার রণবীরের মন্তব্যকে ঘিরে আবার সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন আলিয়া! নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন সুখবর..

    বড়পর্দায় এই প্রথমবারের জন্য তাঁরা একসঙ্গে আসতে চলেছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে। আর এই সিনেমা প্রচারের সময় রণবীর আলিয়ার গর্ভবতী পেটের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন এবং তাঁর ওজন বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সেই সঙ্গে আলিয়াকে বডি-শেমিং করায় একে ‘অরুচিকর’ বলে উল্লেখ করেন নেটিজেনরা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রণবীর-আলিয়া সিনেমার প্রচারের জন্য আলোচনা করছিলেন, তখনই রণবীর জানান, তাঁরা ছবির জন্য ব্যাপক প্রচার করছেন না। কিন্তু আলিয়া এতে বলেন, ছবির ব্যাপক প্রচার করা করবে, এটিই তাঁদের এখন মেন ফোকাস, সিনেমা কে সর্বত্র প্রসারিত করা। আর তখনই রণবীর আলিয়ার পেটের দিকে ইশারা করে বলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি অন্য একজনও প্রসারিত হচ্ছে।“  এরপর এই বক্তব্যে আলিয়া হতবাক হলে রণবীর হেসে বলে এটি ‘জোক’ ছিল।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/ChZZficlv3q/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আর এরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নেটিজেনরা নানা কথা কমেন্টে লিখেছেন। কেউ বলেছেন “এটি খুবই দুঃখজনক।” অন্য একজন বলেছেন, “এটি মোটেও মজার ছিল না।” একজন অনুরাগী এটিকে ‘জঘন্য রসিকতা’ বলেছেন, অন্য একজন বলেছেন, “আলিয়ার আরও ভালো  কিছু প্রাপ্য ছিল।” একজন ফ্যান আরও লিখেছেন, “একজন গর্ভবতী মহিলাকে এমন বলাটা জঘন্য রসিকতা ছিল।” একজন  বলেছিলেন, “এটি অস্বস্তিকর।”

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলিয়া এবং রণবীর ১৪ এপ্রিল, ২০২২-এ মুম্বইতে বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা সম্প্রতি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির গান ‘ডান্স কা ভূত’-এর একটি টিজার প্রকাশ করেছেন। বহু প্রতীক্ষিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে৷ এতে অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুন এবং মৌনি রায়, প্রমুখরাও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন।

  • Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ শহর। সেই প্রেক্ষিতেই একথা বলেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তাদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। ডিসেম্বরই তাদের ডেডলাইন।

    কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে একাধিক হোর্ডিং। যার কোনওটায় লেখা, ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’। কোনওটায় আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন’। কোনও কোনওটায় আবার লেখা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়’। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই হোর্ডিং টাঙানোর কথা অস্বীকার করেছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কয়লা থেকে গরু কোনও কিছু থেকে তোলাবাজি বাদ রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে যখন একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তখন তা থেকে দলকে বাঁচাতেই নয়া তৃণমূলের কৌশল নিয়েছে ‘তোলামূল’ পার্টি। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি যেভাবে তদন্তের গতি বড়িয়েছে, তাতে তৃণমূল দলটাই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে মুছে যাবে।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    এদিন দিঘায় সৈকত নগরে দিঘা তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। এর আগে ১২ অগাস্ট নন্দীগ্রামে হর ঘর তিরঙ্গা বাইক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশি বাধায় ওই কর্মসূচি আর পালন করা যায়নি। ওই ঘটনায়ও শুভেন্দু দুষছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা জন সমাবেশ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্দেশ দেয় শুভেন্দু অধিকারিকে কোনও প্রচার করতে না দিতে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

     

  • Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর (Earth) দিকে এগিয়ে আসছে, এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। আর বিগত কয়েক মাসে প্রতিনিয়তই এই ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে মহাকাশে। এবারও আবার একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ৯২ ফুট চওড়া গ্রহাণুটি অনেকটা বিমানের আকারের তিনগুণ বড়। এই গ্রহাণুটির নাম ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ (2020 QW3)।

    অগাস্টের প্রায় কয়েকটি দিন মহাকাশ গবেষকরা চিন্তায় ছিলেন। কারণ বিগত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু অত্যন্ত কাছ দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করছে। এই গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, যা মহাকাশ গবেষকদের মতে ‘উদ্বেগজনক’ ছিল। কারণ এগুলো পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলেই অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবারের গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে না, পাশ দিয়ে চলে যাবে। ফলে এতে পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    নাসার (NASA) মতে ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ গ্রহাণুটি ২২ আগাস্ট, সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘেঁষে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬৪৮০০ কিমি এবং ২২ অগাস্ট সকালের দিকে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ৩৩ লক্ষ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসবে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি আগের গ্রহাণুগুলো থেকে আলাদা। কারণ এটি অ্যাপোলো গ্রুপের গ্রহাণু নয়, এগুলো আমোর গ্রুপের। সুতরাং এই গ্রহাণুটি সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। নাসা তরফে জানানো হয়েছে, যদিও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়,কারণ এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এটি পৃথিবীর খুব পাশ দিয়ে উড়ে যাবে, তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃথিবীকে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নাসা এক মিশনের ওপর কাজ করছে। এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (Double Asteroid Redirection Test – DART)। এতে নাসার পাঠানো মহাকাশযান গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাবে। যাতে সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করানো। প্রায় ২৩ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে। তবে নাসার এই মিশন সফল হয় কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    SC on Freebies: খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনামূল্যে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির (Freebies) তুলনায় ভোটাররা (Voters) মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করতেই বেশি পছন্দ করেন। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কাজের মাধ্যমেই ভোটাররা রোজগার করতে পছন্দ করেন। বুধবার একথাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    ক্ষমতায় আসতে প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির (Election Freebies) বন্যা বইয়ে দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : খয়রাতির রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ওই বেঞ্চ জানায়, নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি মনে করি না ভোটাররা নিখরচায় নানা পরিষেবা পেতে চান। সুযোগ পেলে তাঁরা সম্মানজনকভাবে রোজগার করতেই চাইবেন। যেমন একশো দিনের কাজ। এই প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় সম্পদও সৃষ্টি হবে। তাই আমি বিশ্বাস করি না যে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কোনও ফল দেয়। এর পরেই তিনি বলেন, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটে হেরে গিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দল, এমন উদাহরণও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    আদালত জানায়, তাদের প্রাথমিক বিবেচ্য বিষয় হল, জনগণের টাকা ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে কিনা। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে যা খরচ করা হয়, তা আদতে জনগণেরই টাকা। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দিনের শেষে নিখরচায় কোনও আহার জুটবে না। এদিন আরও একবার প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে নিখরচায় পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।

  • FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা শেয়ার বাজারের ওঠা-নামায় অভ্যস্ত নই। তাই টাকা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটেই ভরসা রাখি। লাভের অঙ্ক কম ঠিকই, তেমন ঝুঁকিও নেই। 

    আরও পড়ুন: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?

    যদি ফিক্সড ডিপোজিট করতে চান বা ইতিমধ্যেই করে থাকেন, তাহলে এই খবরটা জানতেই হবে আপনাকে। ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) সংক্রান্ত নিয়মে বদল এনেছে আরবিআই (RBI)। নতুন নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখতে হবে আপনাকে। রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর একাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এফডি-তে সুদের হার বাড়িয়েছে। তাই অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকছেন। তাই এফডি করার আগে জেনে নিন আরবিআই-র নয়া নিয়ম। 

    আরও পড়ুন: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    কী বদল হল নিয়মে? 

    মেয়াদপূর্তির পরে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে না নিলে কম সুদ পাবেন। সেক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট যে হারে সুদ দেয় ব্যাংক, সেটাই হবে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ। বর্তমানে ব্যাংকগুলি সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদের এফডিতে ৫%-র বেশি সুদ দেয়। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ।

    ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচিওয়র হওয়ার পর অনেকেই ব্যাংকে যেতে দেরি করেন। তখন ফিক্সড ডিপোজিটের হারেই সুদ পেতেন। এবার তা হবে না। আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এফডি ম্যাচিওরিটির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের মধ্যে যেটা কম হবে সেই হারে পাবেন গ্রাহকরা। এই নতুন নিয়মগুলি সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ক্ষুদ্র আর্থিকব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, স্থানীয় আঞ্চলিক ব্যাংকগুলির আমানতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

    ধরুন আপনি ৫ বছরের একটি এফডি করিয়েছেন। যা ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই টাকা তুলছেন না। এফডির সুদ সেই ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের থেকে কম হয়, তাহলে আপনি এফডির সুদ পেতে থাকবেন। এফডি-র সুদ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের চেয়ে বেশি হলে মেয়াদপূর্তির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ মিলবে। অর্থাৎ, যেটা কম, সেই হারে সুদ মিলবে।

    আগে এফডি ম্যাচিওর হওয়ার পর টাকা না তুললে ব্যাংক এফডি-র সময়সীমা বাড়িয়ে দিত। সেই অনুযায়ী সুদও মিলত। কিন্তু এখন তা হবে না। মেয়াদপূর্তির পর টাকা তোলা না হলে এফডির সুদ পাওয়া যাবে না। মেয়াদপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে তাই টাকা তুলে নেওয়া বা নতুন করে এফডি করা দরকার। 

     

  • Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    Vikram Sarabhai: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথিতযশা বিজ্ঞানী (Scientist) তথা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) বলেছিলেন, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi of Indian Science)। যাঁর সম্পর্কে তিনি একথা বলেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, ডাঃ বিক্রম সারাভাই (Vikaram Sarabhai)। ভারতীয় বিজ্ঞানের পথিকৃত। ১২ অগাস্ট হয়ে গেল তাঁর ১০৩ জন্মবার্ষিকী।

    ১৯১৯ সালের ১২ অগাস্ট গুজরাটের (Gujrat) আহমেদাবাদে এক শিল্পপতির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। গুজরাটের কলেজে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। পরে চলে যান কেমব্রিজে। ১৯৪০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সারাভাই ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটেশ রমণের অধীনে আইআইএসসিতে মহাজাগতিক রশ্মি নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৪৫ সালে ফের চলে যান কেমব্রিজে। সেখানে কসমিক রে ইনভেস্টিগেশন ইন ট্রপিক্যাল শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দেন সারাভাই। এরপর ফের দেশে ফেরেন এই প্রবাদপ্রতীম বিজ্ঞানী। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন। তাঁর যখন ২৮ বছর বয়স, তখনই গুজরাটে তিনি গড়ে তোলেন উন্নতমানের ফিজিক্স-ল্যাব। ১৯৬২ সালে আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব ভূমিকা নেন সারাভাই।

    আরও পড়ুন : ভাল আছেন রুশদি, এবার হুমকি দেওয়া হল হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    ছয়ের দশকের গোড়ায় ভারতে শুরু হয় মহাকাশ গবেষণা। ওই সময়ই আমেরিকার স্যাটেলাইট সিনকম-৩ এর সাহায্যে টোকিও অলিম্পিকের লাইভ ট্রান্সমিশন হয়। ইসরোর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি দেখেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। রাশিয়া প্রথম কৃত্রিম আর্থ স্যাটেলাইট স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণের পরেই সারাভাই ভারতে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো স্থাপনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। বস্তুত তিনিই ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার কোনও আগ্রহ নেই। দেশের নানা সামাজিক সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। দেশের প্রযুক্তি ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যও প্রয়োজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই বিশ্বশ্রুত বিজ্ঞানী।

    আরও পড়ুন :গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

     

  • GST on House Rent: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম 

    GST on House Rent: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নিয়মে সম্প্রতি কিছু বদল এনেছে কেন্দ্র সরকার। এখন থেকে বাড়ি ভাড়াতেও দিতে হবে জিএসটি (GST)। ঘাবড়ে গেলেন? আগেই ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই। সবাইকে এই নিয়মের আওতায় ফেলা হয়নি। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই বাড়ির ভাড়ার ওপর জিএসটি লাগু হবে। 

    গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিলের সদ্য হওয়া বৈঠকে জিএসটি সংক্রান্ত অনেক নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে বাড়ি ভাড়া (House Rent) সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়মও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বাড়ির ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভাড়াটের জিএসটির রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে তাঁকে ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে। 

    এ ক্ষেত্রে ভাড়াটে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট-এর অধীনে জিএসটি বাবদ দেওয়া টাকা দাবি করলে, ফেরতও পেয়ে যাবেন। ১৮ জুলাই থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নতুন নিয়ম। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    কী পরিবর্তন এল নতুন নিয়মে? 

    • নয়া নিয়ম অনুযায়ী, আপনি যদি চাকরি করেন এবং ভাড়া বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ভাড়ার উপর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। 
    • নতুন নিয়মে, যদি কোনও জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ব্যক্তি, তাঁর ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি জিএসটি রেজিস্ট্রেশন আছে এমন কোনও ব্যক্তিকে ভাড়া দেন, তবে এই ভাড়ার উপর জিএসটি প্রযোজ্য হবে।
    • এক্ষেত্রে রিভার্স চার্জ মেকানিজমের অধীনে ভাড়াটেকে ভাড়ার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। তবে ভাড়াটের জিএসটি রেজিস্ট্রেশন না থাকলে এই কর প্রযোজ্য হবে না।
    • অন্যদিকে, যদি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি তার আবাসিক সম্পত্তি কর্মচারীর বাসভবন, গেস্ট হাউস বা অফিস ব্যবহারের জন্য দেয়, তবে যে কর্মচারী বা সংস্থাটি সেই আবাসিক সম্পত্তি ভাড়ায় নিচ্ছেন তাকে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। 
    • যদি কোনও সংস্থা তার কর্মচারীর জন্য একটি আবাসিক ফ্ল্যাট নিয়ে থাকে এবং বাড়িওয়ালার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে, তাহলেও সংস্থাকে ভাড়ার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।  
    • যদি বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে উভয়েরই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন না থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ভাড়ার উপর জিএসটির নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। 
  • Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ স্লোগান। কিন্তু সেই খেলার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা হয়ত ভাবতেই পারেননি কেষ্ট। তাই কী এখন চুপ করে গিয়েছেন তিনি। শুধুই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি তো বুঝতেই পারেননি, যে বীরভূমে নিজের একছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছিলেন সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করবে সিবিআই। তাঁর গড় থেকেই আটক হবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধকল সামলে রাত ২.৪৫ মিনিটে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা যাত্রার পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ক্লান্ত কেষ্ট।

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে নিজাম প্যালেসে ঢুকে ‘ফ্রেশ’ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ১৫ তলায় অফিসারদের একটি ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। ঘরে একটি ক্যাম্প খাটে গদি পেতে শুতে দেওয়া হয়। ঘুম ভাঙে সকাল নটার পর। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খান অনুব্রত। একদা সকলকে গুড়-বাতাসা খাওয়ানো বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এখন দিন শুরু হচ্ছে চা-বিস্কুট দিয়ে। বীরভূমকে বিরোধী-শূন্য করতে গিয়ে আজ তিনি নিজেই সিবিআই হেফাজতে। তিনি তো দূরের কথা তাঁর অনুগামীরাও এই দিন দেখতে হবে ভাবেননি।

    বৃহস্পতিবার গরু-পাচার কাণ্ডে বীরভূমে অনুব্রতের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে আসার পর কিছু হাল্কা খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। সময় মেনে ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    শুক্রবার সকাল থেকেই জেরা শুরু করা হয়েছে অনুব্রতকে। অভিযোগ, বীরভূমকে পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করেছেন অনুব্রত। সিবিআই জানতে চায়, কীভাবে গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বিনিময়ে কত টাকা নিয়েছেন? সিবিআই অনুব্রতর কাছে জানতে চাইতে পারে, ইলামবাজারের গরুহাটের কথা। শেখ লতিফের কথা উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার পাওয়া গিয়েছে এই শেখ লতিফ ও এনামুল হকের ফোন নম্বর। শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সায়গল হোসেনের যোগাযোগ কেমন, সেই বিষয়ে কতটা জানতেন অনুব্রত, তাই নিয়ে আজ অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই। এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতেন কি না, কেন গরু পাচারের টাকা তাঁর নাম করে আসত এই সমস্ত বিষয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত মণ্ডল কি তদন্তে সহযোগিতা করবেন?

    আরও পড়ুন: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যে হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    অন্যদিকে, জেরার সময় অনুব্রতর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে । দুপুরে বা বিকেলের পরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হতে পারে হাসপাতালে । পাঠানো হয়েছে কোর্টের নির্দেশনামার প্রতিলিপি। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর সঙ্গে ৩০ মিনিটের জন্য দেখা করতে দেওয়া হবে।

  • Raju Srivastava Health Update: কেমন আছেন রাজু শ্রীবাস্তব? চিকিৎসায় কি সাড়া দিচ্ছেন?

    Raju Srivastava Health Update: কেমন আছেন রাজু শ্রীবাস্তব? চিকিৎসায় কি সাড়া দিচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এখনও দিল্লির এইমস হাসপাতালের ভেন্টিলেটরে রয়েছেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান ও অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। তবে এখন তিনি আগের থেকে আনেকটাই ভালো আছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। হাত-পা নাড়াতে পারছেন। তাঁর ম্যানেজার নয়ন সোনি এমনটাই এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, গত ১০ অগাস্ট জিম করতে গিয়েই হার্ট অ্যাটাক হয় অভিনেতার। জিমে গিয়েই ঘটে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। শরীরচর্চা করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ট্রেডমিলের উপরেই পড়ে যান তিনি। তারপরই তড়িঘড়ি করে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তির দ্বিতীয় দিন থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তাঁর। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। অনুরাগীদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এরপর এক সপ্তাহ পরে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তবকে

    গতকাল তাঁর ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাজু শ্রীবাস্তব তাঁর হাত-পা নাড়াতে পারছেন। তবে তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। এখনও আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন অভিনেতা। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন তিনি। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থায় উন্নতি দেখা গিয়েছে। তবে তাঁকে এখনও কয়েকদিন আইসিইউ-তেই রাখা হবে। তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর জ্ঞান ফিরতে এখনও এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

    তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই গুজব শোনা যাচ্ছে। তাই গত সপ্তাহেই তাঁর পরিবার থেকে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল যে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কেউ জানো কোনওরকমের গুজব না ছড়ায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাই অযথা গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা তাঁদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  

    আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

LinkedIn
Share