Blog

  • Election Commission of India: আইন সংশোধনের আর্জি! নির্বাচনে কালো টাকার রমরমা রুখতে সুপারিশ কমিশনের

    Election Commission of India: আইন সংশোধনের আর্জি! নির্বাচনে কালো টাকার রমরমা রুখতে সুপারিশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলের তহবিলে মোটা অঙ্কের অনুদান দিতে গেলে এবার থেকে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়মাবলী। নির্বাচনের সময় কালো টাকার রমরমা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India। এই মর্মে কমিশনের তরফে সরকারের কাছে একটি সুপারিশ পত্রও পাঠানো হয়েছে। 

    সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে, বলা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে দলীয় তহবিলের জন্য ২০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান নেওয়া যাবে না। বর্তমানে সেই সীমা রয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও বলা হয়েছে, নগদ অনুদানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির পাওয়া পুরো অনুদানের সর্বাধিক ২০ শতাংশ অথবা ২০ কোটির কম হতে হবে। এর জন্য একটি সীমারেখা নির্ধারিত করার কথা বলেছে কমিশন।

    আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?

    প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কারা দলের তহবিলে অনুদান দিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের নাম জানাতে বাধ্য। কিন্তু এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল কোনও ব্যক্তি যদি ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতেন, তাঁর ক্ষেত্রে। কিন্তু এখন কমিশন সেই ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনতে চাইছে।  কোনও ব্যক্তি যদি ২ হাজার টাকার বেশি অনুদান দেন, এবার থেকে তাঁর নাম বা সংস্থার নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    এই নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুকে (Law Minister Kiren Rijiju) একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে পারে সরকার। তাই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।  কোথায় কোথায় সংশোধন করা যেতে পারে, সেই সব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে সুপারিশপত্রে। নির্বাচনের সময় কালো টাকার প্রভাব কমাতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • WhatsApp: এবার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ভুল মেসেজ ‘এডিট’ করা যাবে! শীঘ্রই আসছে নয়া ফিচার

    WhatsApp: এবার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ভুল মেসেজ ‘এডিট’ করা যাবে! শীঘ্রই আসছে নয়া ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের মধ্যে একটি হল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। শুধু ভারতেই ৪০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে ও তাঁদের সুবিধার্থে নিয়মিত নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এই মেসেজিং অ্যাপে ফের যুক্ত হতে চলেছে নতুন এক ফিচার। তবে এবারে হোয়াটসঅ্যাপ বহু প্রতীক্ষিত এবং অত্যন্ত জরুরি একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসছে। সেটি হল এবার থেকে মেসেজ পাঠানোর পরেও আপনি এটি এডিট করতে পারবেন। অর্থাৎ ‘এডিট মেসেজ’ (Edit Message) নামে ফিচারটি খুব শীঘ্রই হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত করা হবে।

    অনেক সময় মেসেজ টাইপের সময় ভুল হয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে উপায় বলতে একটিই, মেসেজ ডিলিট করে ফেলা। কিন্তু এবারে মেসেজ ডিলিট না করেও সেই ভুল শুধরে, মেসেজ ঠিক করার সুযোগ এনে দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি WABetaInfo ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে এই খবর জানানো হয়েছে। এখানে জানানো হয়েছে যে, ‘সেন্ট মেসেজ’ ‘এডিট’ করার অপশন খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মত এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও পাবেন পোল বৈশিষ্ট্যের সুবিধা

    জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের এই জরুরি বৈশিষ্ট্যটি আপাতত ডেভেলপমেন্টের পর্যায়ে রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিটা 2.22.20.12 আপডেটে ফিচারটি সর্বপ্রথম দেখা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ এডিট মেসেজ ফিচারটি ভবিষ্যতের আপডেটে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যাবে। আর অফিসিয়াল রোলআউটের আগে তা সর্বপ্রথম বিটা পরীক্ষকদের জন্য উপলব্ধ করা হবে। তারা পরীক্ষা করার পর এই ফিচারে যদি কোনও ভুল নজরে আসে, তারপর তা ঠিক করার পরেই অফিসিয়াল রোলআউট করবে হোয়াটসঅ্যাপ।

    আরও জানা গিয়েছে, কোনও মেসেজ একবার এডিট করা হলে পাশে ‘Edited’ চিহ্ন দেখাতে পারে। যদিও আগে কী মেসেজ পাঠানো হয়েছিল তা দেখা যাবে কিনা, তা সম্পর্কে জানানো যায়নি। এও মনে করা হয়েছে, মেসেজ পাঠানোর পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তা এডিট করা যাবে। যদিও এই বিষয়ে মেসেজিং অ্যাপের তরফ থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। 

  • India vs Pakistan: ১৪ বছর পর ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ! ইসিবি-র প্রস্তাবে কী জানাল বিসিসিআই?

    India vs Pakistan: ১৪ বছর পর ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ! ইসিবি-র প্রস্তাবে কী জানাল বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের টেস্ট সিরিজ খেলা হবে! সম্প্রতি ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে এই দুই দেশের মধ্যে খেলা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    ১৪ বছর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ টেস্ট সিরিজ খেলা হয়েছিল। ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ শেষবার খেলা হয়েছিল ২০০৮ সালে। যেই সিরিজটি ভারত জিতেছিল। ২০১৩ সালের পর থেকে কোনও ফরম্যাটেই এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়নি। এরপর থেকেই প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের কারণে, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তেই অটল আছে ভারত। কিন্তু এরই মধ্যে ভারত বনাম পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড বোর্ড থেকে প্রস্তাব দেওয়া হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সামনে এবার শুধুই ক্রিকেটের ঈশ্বর! সচিনকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে পারবেন বিরাট?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ডেপুটি চেয়ারম্যান মার্টিন ডার্লো পাকিস্তানে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজার সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। গত বছর পাকিস্তান সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছিল ইসিবি। এবার ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে পিসিবির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে চাইছে ইসিবি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে খেলতে চায় কিন্তু এই মুহূর্তে প্রস্তাব মেনে নিতে পারবে না। অন্যদিকে মনে করা হয়েছে, ভারতকে এর জন্য রাজি করানো কঠিন। বিসিসিআই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়নি। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার বিষয়টি নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে তাতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বহুদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলবে ভারত।

    অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের টি২০ দলের অধিনায়ক মঈন আলি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যদি চালু হয় তা দুই দেশের পক্ষেই দারুণ ব্যাপার হবে। ফলে এই দুই দেশ টেস্টে মুখোমুখি হলে ক্রিকেটপ্রেমীরাও তাতে খুশি হবে।

  • Congress President Poll: মনোনয়ন তুললেন থারুর-বনসল! কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে কারা?

    Congress President Poll: মনোনয়ন তুললেন থারুর-বনসল! কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য মঙ্গলবার মনোনয়ন তুললেন শশী থারুর (Sashi Tharoor)। শশী যে মনোনয়ন তুলবেন তা জানাই ছিল। কিন্তু এদিন রাজনৈতিক মহলকে খানিকটা অবাক করে মনোনয়ন তুললেন বর্ষীয়ান নেতা পবন বনসল। মঙ্গলবার কংগ্রেসের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা মধুসূদন মিস্ত্রি (Madhusudan Mistri) জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট দু’জন কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়ন তুলেছেন। একজন শশী থারুর, অপরজন পবন বনসল। অশোক গেহলট মনোনয়ন তুলবেন কিনা, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই দাবি করেছেন মধুসূদন।

    আরও পড়ুন: দল নয় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বই পছন্দ গেহলটের! ক্ষুব্ধ হাইকমান্ড, কংগ্রেস সভাপতি পদে কে?

    সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতির (Cong Poll) দৌড়ে রয়েছেন মুকুল ওয়াসনিক, মল্লিকার্জুন খাড়গে, দিগ্বিজয় সিং, কেসি বেনুগোপালও। এক সময় মনে করা হয়েছিল, কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হতে চলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু তিনি ও তাঁর অনুগতদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে বেজায় চটে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এখন কার্যত কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সম্প্রতি, তাঁর অনুগত ৯২ জন বিধায়ক দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণার পরেই, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র মাঝে পার্টিকে বিব্রত করেছে রাজস্থানের পরিস্থিতি। অনুগত বিধায়কদের মাধ্যমে ‘বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র’ করার জন্য অশোক গেহলটের উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্ব। গান্ধী পরিবারের অনুগত হলেও, গেহলটের রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে অস্বীকার করার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, অশোক গেহলটের জায়গায় এই পদের জন্যে নামতে পারেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দিগ্বিজয় সিং।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    তবে এই পরিস্থিতিতে বনসল মনোনয়ন তোলায় হতচকিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। চণ্ডীগড়ে রাজনীতি করা বনসল গান্ধী (Gandhi Family) পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। তাই তাঁর মনোনয়ন তোলার পিছনে গান্ধী পরিবারের হাত রয়েছে, বলে অনুমান। কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি মঙ্গলবার সোনিয়া গান্ধীর কাছে ‘ডেলিগেটদে’র একটি তালিকাও জমা দিয়েছেন। এই ডেলিগেটরাই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ দেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির    

    প্রাথমিক টেট মামলায় সময়ের আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন চেয়্যারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে, প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।  

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করায় অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, তা জানতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যকে কেন ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, কী ভাবে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা আদালতে ওঠার পরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মানিককে। তদন্তের স্বার্থে বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।   

    এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ১ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতি এ দিন মন্তব্য করেন, “সিবিআই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে এটা শুধু আদালতই চায় না, নাগরিক সমাজও তাদের ওপরে ভরসা রাখবে বলে আশা করি।” 

    ইডি (Enforcement Directorate) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। গত বুধবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিকবাবুকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জেরা চলে। তবে মানিক ভট্টাচার্যের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। আর আজ মানিকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PFI TMC link: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    PFI TMC link: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে পিএফআইয়ের (PFI) বিভিন্ন ঘাঁটিতে এনআইএ-র তল্লাশি অভিযানের পর ফের বাংলা নিয়ে চক্ষু ছানাবড়া তদন্তকারীদের। এনআইএ (NIA) সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অন্তত এক ডজন নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে পিএফআই-এসডিপিআই (PFI-SDPI) নেতৃত্বের।

    তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৯-এর সিএএ (CAA) বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যক্ষভাবে পিআইআইয়ের মদত নিয়েছিল। পরবর্তীকালেও তৃণমূলের মুসলিম নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআইয়ের যোগ স্পষ্ট হয়েছে। গত বছর মুর্শিদাবাদে পিএফআইয়ের প্রশিক্ষণে স্থানীয় এক বিধায়ক প্রধান অতিথির পদও গ্রহণ করেছিলেন। মূলত সংগঠনের ক্যাডার নিয়োগ এবং আর্থিক সহায়তার কাজ তৃণমূল নেতারা নিজের নিজের এলাকায় করে চলেছেন বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন। পিএফআই বাংলায় যে ১৭টি শাখা খুলে সংগঠন বাড়াচ্ছিল, সেই সব এলাকায় সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেতাদের মদত ছিল।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    এনআইএ-র একাংশের দাবি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে হঠাৎ করেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং কৃষ্ণপুর রেল স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ হয়। বেশ কয়েকটি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই আন্দোলন থেমে গিয়েছিল। তাতে পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট ছিল বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস নেপথ্যে থেকে পিএফআইকে ব্যবহার করে ওই আন্দোলন সংগঠিত করিয়েছিল, যে সময় তা হাতের বাইরে যেতে শুরু করে, তখন আসরে নেমে সিএএ বিরোধী আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে রামমন্দির (Ram Mandir) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় নিয়ে দীর্ঘদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) কোনও বিবৃতি দেননি। ফলে পিএফআই একক শক্তিতে মুর্শিদাবাদে এক-দুটি মৌন মিছিল ছাড়া কিছুই করে উঠতে পারেনি। যদিও তারা হিংসাত্মক আন্দোলনে নামতে চেয়েছিল।

    আরও পড়ুন: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেন, আহমেদ হাসান ইমরান, নিয়ামত শেখ, আমিরুল ইসলাম, রবিউল আলমের মতো তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পিএফআই নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে। একইভাবে পিএফআই নেতৃত্ব নানা সহায়তা চেয়ে সওকত মোল্লা, ইদ্রিশ আলি, নাদিমুল হক, নুরুল ইসলামের দ্বারস্থ হয়েছে। ফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি পিএফআই দফতর থেকে এই সব তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-দস্তাবেজও মিলেছে।

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জনপ্রতিনিধি বা শাসক দলের নেতাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের সংগঠনই পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু পিএফআইয়ের দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা আদৌ যুক্ত হয়েছিলেন কিনা, তা তদন্ত সাপেক্ষ। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শাসক দলের কোনও হিন্দু নেতার সঙ্গে যোগাযোগ না পাওয়া গেলেও কেন বাছাই করা তৃণমূলের মুসলিম নেতাদের সঙ্গেই পিএফআই নেতৃত্ব বার বার ফোনে কথা বলেছেন, দেখা করেছেন তা গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে। সে সব এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে এনআইএ-র একটি সূত্র জানাচ্ছে।

  • Facebook user: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন? আপনার জন্য আসছে বিশেষ সুবিধা

    Facebook user: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন? আপনার জন্য আসছে বিশেষ সুবিধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক ব্যবহারকারীদের (Facebook User) জন্য সুখবর! মার্ক জুকারবার্গের (Marc Zuckerberg) কোম্পানি নিয়ে এল নতুন ফিচার। এখন থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম (Instragram) ব্যবহারকারীরা সহজেই এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে স্যুইচ (Switch) করতে পারবেন। নয়া এই ফিচারের ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী আরও সহজেই এই দুটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মত এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও পাবেন পোল বৈশিষ্ট্যের সুবিধা 

    মেটা কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটে (Website) পোস্ট করে জানিয়েছে, এখন থেকে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম যে কোনও একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একই সঙ্গে দুটো অ্যাপ চালাতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মত এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও পাবেন পোল বৈশিষ্ট্যের সুবিধা

    তারা আরও জানিয়েছে, বর্তমান যুগে মানুষ বিশ্বের সঙ্গে সংযোগস্থাপনের (Connect) জন্য একাধিক অ্যাপের অ্যাকাউন্ট (Account) ব্যবহার করে। তাই ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে এই অ্যাপ্লিকেশনটিকে আরও সহজ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও! এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?

    মেটা (Meta) নিশ্চিত করেছে, যে এই পরিবর্তনের ফলে অচেনা ডিভাইসে (Device) কেউ প্রোফাইল অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। ব্যবহারকারীদের ডেটা (Data) আরও সুরক্ষিত থাকবে নতুন এই ব্যবস্থায়।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ফাইল খোঁজা হবে আরও সহজ! শেয়ার করার সময় লেখা যাবে ‘ক্যাপশন’
    প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও প্রায় ১১৬ কোটি। চিনের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক (Tiktok) ব্যান করার পর থেকেই ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে তরতরিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে চারটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতদিন শুধু অভিযোগ ছিল যে, নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘হার্ড ডিস্কে থাকা উত্তরপত্র ও এসএসসির সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে নম্বর মিলছে না। হার্ডডিস্কে দেখা গিয়েছে কেউ ‘০’ বা ‘১’ নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু এসএসসি সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ‘৫০’ কিংবা ‘৫৭’। গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে’।

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    সিবিআই দাবি করেছে, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শকড!’ ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমি স্পিচলেস!’

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সিবিআই-এর কথা শোনার পর বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরা খুব ভালো মতন জানেন। তাঁদের অনুরোধ করব, চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। যাঁরা পদত্যাগ করবেন না তাঁরা কোনও দিন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের আলাদা সার্ভার ডেটা তৈরি করবে সিবিআই বা অন্য কেউ।” বিচারপতি আরও বলেন,”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই। আমি এসএসসি ল-ইনচার্জ থাকার সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি জানতাম তিনি জেন্টলম্যান। এখন সিবিআই তদন্তে যখন সামনে আসছে তাঁর সময়কালে  এতো অনিয়ম। বেআইনি চাকরি হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনও বড় প্রভাবশালী অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছেন। সেই প্রভাবশালীদের নাম জানাক সুবীরেশ ভট্টাচার্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    Puja Health Tips: পুজোর ছুটিতে ডাক্তার, কীভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র কয়েক দিন। সপ্তাহান্তেই শুরু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব — দুর্গা পুজো (Durga Puja 2022)। তবে উৎসবের মরশুমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে সুস্থ রাখা। সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসকদের ছুটি নেওয়ার হিড়িক। তাই অধিকাংশ হাসপাতালেই চিকিৎসক ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষত সপ্তমী থেকে দশমী অধিকাংশ হাসপাতালের বেশ কিছু বিভাগ চিকিৎসক শূন্য থাকে। তাই বড় বিপদ ঘটলে বাড়তি ভোগান্তির আশঙ্কা থেকেই যায়। পুজোর সময় তাই বড় বিপদ এড়াতে বাড়তি সচেতনতা জরুরি।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা আগাম সর্তক হোন। নিয়মিত ওষুধগুলো কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। বিশেষত যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা নিয়ম করে ওষুধ খাবেন। কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা নিয়ম মাফিক ওষুধের পাশাপাশি জল খাওয়ার ক্ষেত্রে ও বাড়তি নজর দেবেন। 

    পুজোর সময় ডায়ালিসিস সেন্টারগুলোতে কর্মীদের ছুটির জন্য পরিষেবা অনিয়মিত যায়। তাই কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্কতা দরকার। ডায়বেটিস আক্রান্তদের শারীরিক সুস্থতার দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। ইনসুলিন নিলে, তা কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। তাহলেই বাড়তি বিপদ হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান? জানুন কী কী খাবেন

    তবে, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের বড় বিপদ এড়াতে খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি দেওয়া দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে গোলমাল হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। অনেক সময়েই দেখা যায়, পুজোর সময় অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই খাবারে রাশ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার বা অতিরিক্ত প্রোটিন অনেক সময়েই বিপদ ডেকে আনে। পুজোর সময় কমবেশি সকলেই বাইরের খাবার খান। কিন্তু পরপর অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বিপদ বাড়াতে পারে। তাই পুজোর সময় বাইরের খাবার বিশেষত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে। বার্গার, হট ডগ থেকে বিরিয়ানি, যে কোনও তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
     
    তবে, ক্রনিক রোগের পাশপাশি রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। পুজোর মরশুমে মশাবাহিত এই রোগের দাপট যেন কয়েক গুণ বেড়েছে। তাই জ্বর নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ডেঙ্গি হলে সাধারণ দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই জ্বর হলে দেরি করা চলবে না। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ প্রথম থেকেই রোগ নির্ণয় না করলে বিপদ বাড়তে পারে। উৎসবের মরশুমে ভোগান্তি আরও বেশি হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    তাই জ্বর এলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করা গেলে অন্তত টেলি যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা জানাতে হবে। পাশাপাশি, এলাকার ব্লাড ব্যাংকের যোগাযোগ নম্বর রাখতে হবে। যাতে প্লেটলেটের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করা যায়। তবে, ডেঙ্গি ছাড়াও এই সময়ে নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বর হয়। তাই বেশি পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকা জরুরি। 

    তবে, অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রোগী পরিষেবায় অসুবিধা হবে না। জরুরি পরিষেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য সবরকম পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিশেষ ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে, সচেতনতা অবলম্বন করলে উৎসবের দিনে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    Bengal Child Marriage: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের (TMC Government) ভোট অস্ত্র। শহর থেকে গ্রাম এই সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ঢেকে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সভা মঞ্চে সাফল্যের তালিকা তুলে ধরলেই সেই প্রকল্পের কথা সব্বার প্রথমে বলেন। কিন্তু তারপরেও যেন বাস্তবে বড় ধাক্কা খেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) স্বপ্নের প্রকল্প।

    রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে। প্রশ্ন উঠছে কন্যাশ্রী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে আটকে? বাস্তবের ছবি কি আলাদা? ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) ২০১৯-২০ সালের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গে নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) বেড়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা ২০১৫-১৬-র তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের এনএফএইচএস রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪৮.১ শতাংশ গ্রামীণ মেয়ের নাবালিকা বিয়ে হয়। শহরে সেই সংখ্যা ২৬.২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান কন্যাশ্রীর (Kanyashree) সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন একাংশ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কন্যাশ্রী প্রকল্প শুরু করে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। ১৮ বছর পর্যন্ত মেয়েরা পড়াশোনা করবে এবং নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাবে, এই দুইয়ের বাস্তবায়ন কন্যাশ্রীর উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তবে কন্যাশ্রী আদৌও কার্যকরী হচ্ছে কি? সেই প্রশ্ন জোরালো করছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান।

    প্রশাসনের অন্দরের একাংশ জানাচ্ছেন, কন্যাশ্রী নিয়ে প্রচার যতখানি হচ্ছে, সুফল ভোগ কত মেয়ে করছে, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অনেকেই কন্যাশ্রীর টাকা ঠিক মতো পাচ্ছে না। শুধু টাকা নয়, সরকারের তদারকিরও অভাব থাকছে। মেয়েদের বিয়ে রুখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। কিন্তু অনেক জায়গায় অভিযোগ উঠছে, নাবালিকা বিয়েতে স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলরদের ও ইতিবাচক ভূমিকা থাকছে। ফলে, হোর্ডিংয়ের মতো বাস্তবে কন্যাশ্রী জ্বলজ্বল করছে না। 

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনেক এলাকায় কন্যাশ্রীর টাকার একাংশ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা কাউন্সিলরকে দিতে হয়। কন্যাশ্রীর টাকার ‘ভাগ’ না পেলে প্রয়োজনীয় নথিতে সই করতে চান না সংশ্লিষ্ট মহল। তার উপরে কে কন্যাশ্রী পাবে, সে নিয়েও চলে নানান রাজনৈতিক জটিলতা। এলাকার শাসক দলের নেতার সুনজরে না থাকলে অনেকেই ফর্ম পূরণ করেও কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে, যাদের এই প্রকল্পের প্রয়োজন, তাঁরা অনেকেই আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!

    যদিও কন্যাশ্রীর জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী যে সফল, তা শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে। নাবালিকা বিয়ের মতো সমস্যা একদিনে মিটবে না। প্রশাসন এ নিয়ে তৎপর। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই ঘটনা আরও বেশি হচ্ছে।”
     
    তবে, খামতি যে থাকছে সে কথা স্বীকার করছে রাজ্য শিশুর অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়, নাবালিকা বিয়ে একটা সামাজিক সমস্যা। একে পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে আরও সক্রিয় হতে হবে। সব মহলকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি মেয়েদের সতর্ক ও করতে হবে। বাড়ির লোক জোর করলেও যাতে মেয়েরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়, অভিযোগ করে, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেটা হচ্ছেও। অনেক জায়গায় মেয়েদের সাহসের জোরেই নাবালিকা বিয়ে আটকানো যাচ্ছে।

LinkedIn
Share