Blog

  • Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    Ram Temple: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবছর আগে আজকের দিনেই রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ৯ই নভেম্বর ২০১৯ সালে সুপ্রিম রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের। ইতিমধ্যে রামমন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে , এই মেগা মন্দির প্রজেক্টের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। ১৪ই জানুয়ারি ২০২৪ এই মন্দির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।  প্রসঙ্গত , ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিতর্কিত ধাঁচা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস ছিল, ওই স্থান ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান এবং জোরপূর্বক তা দখল করে ওখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

    ১৫২৭ সালে ওই মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল , কিন্তু বিবাদ সব থেকে প্রকট আকার ধারণ করে স্বাধীনতার ঠিক দুই বছর পরে, ১৯৪৯ সালে যখন বিতর্কিত ধাঁচা থেকে পাওয়া যায় রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন জওহরলাল নেহেরু। তিনি তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে ওই রামলালার মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দেন।  দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ ছিল যে “ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে”। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত ওখানে রিসিভার বসিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় রামলালার মূর্তি পূজা চলতে থাকে ওখানে। মন্দিরের পূজারীকেও নিয়োগ করে আদালত। দেশে রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন তখন থেকেই বিস্তৃত হতে থাকে।

    রাম মন্দির আন্দোলন

    ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিতর্কিত এলাকার তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন্দ্রে তখন রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে সরকার চলছে। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। তখন থেকেই শুরু হলো আইনি লড়াই। এতদিন যে মামলার পর্যবেক্ষণ করছিল জেলা আদালত ,সেই মামলা এবার পৌঁছলো লখনউ হাইকোর্টে। এর মধ্যে আবার , নির্বাচনে লাভ হতে পারে, এই সমীকরণকে মাথায় রেখে ,রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ,বিতর্কিত এলাকার খুব কাছেই রাম মন্দিরের শিলান্যাস করিয়ে দেন রাজীব গান্ধী। ১৯৮৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন তিনি। এই সময় সর্বোচ্চ গতি ধারণ করল রাম মন্দির (Ram Temple) আন্দোলন।   এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটলো বিতর্কিত ধাঁচার ধ্বংসকাণ্ড।

    আরও পড়ুন: ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লোগো, থিম এবং ওয়েবসাইটের প্রকাশ! জানেন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুরু হল মামলা। ২০০৩ সালে কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইণ্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর  তারা যে রিপোর্ট জমা দিল তাতে বলা হল ‘বিতর্কিত স্থানে একটি পরিকাঠামো রয়েছে। যার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে অতি প্রাচীনকালের হিন্দু মন্দিরের।’  মুসলিমরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয়। যার একটি ভাগ দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। একটি অংশ পায় নির্মোহী আখড়া। বাকি অংশ দেওয়া হয় রামলালাকে। যদিও এই রায়ে তিন বিচারপতি সহমত পোষণ করেননি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ৯ বছর পরে, ৯ নভেম্বর ২০১৯। রাম জন্মভূমি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগৈ। অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তার মালিকানা দেওয়া হয় ‘রামলালা’কে। বলা হয় , “কোটি কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রয়েছে যে ওই স্থান রামলালার”। আদালত এই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছে। অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মুলসিমদের মসজিদ নির্মাণের জন্য। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন এস এ বোড়বে, চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজির। এই মন্দির ও মসজিদ বানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

     

  • Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    Malbazar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ‘অস্থায়ী’ চাকরি ফিরিয়ে দিলেন মালবাজারে নিহতের ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীর রাতে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মাল নদীতে (Malbazar)। সেদিন মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল সুস্মিতা পোদ্দার নামে এক তরুণীর। আর সেই তরুণীর ভাইকে চাকরি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারে সেই চাকরিই ফিরিয়ে দিলেন সুস্মিতার ভাই সুদীপ। তবে কেন? অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে হোমগার্ডের চাকরি অর্থাৎ অস্থায়ী চাকরি দিয়েছেন। আর তার ফলেই সুদীপ সেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    মাল নদীতে হড়পা বান

    দশমীর রাতে আচমকাই হড়পা বান আসে মাল নদীতে (Malbazar)। প্রবল স্রোতে ভেসে যান বহু মানুষ। দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান শিশু-সহ ৮ জন। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রত্যেক পরিবারের এক জনকে স্থায়ী চাকরির প্রস্তাবও দেন তিনি। পরের দিন, ১৮ অক্টোবর মাল আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন চাকরিতে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক চাকরি প্রত্যাখান করলেন।

    আরও পড়ুন: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    স্থায়ী চাকরির আবেদন

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুদীপ যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী চাকরির আর্জি জানিয়েছিলেন (Malbazar)। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর দেখি চাকরিটা স্থায়ী নয়। তাই এই চাকরিতে যোগ দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সুদীপের এক দাদা সঞ্জয় পোদ্দার জানান, যেদিন তাঁর ভাইয়ের হাতে এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট আসে, তাঁরা বুঝতেই পারেননি, এটি কী চাকরি। পরে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, এটা অস্থায়ী হোমগার্ডের চাকরি। তাই এই চাকরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুদীপ।

    রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠলে বিজেপির নেতারা রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। মালবাজার (Malbazar) টাউনের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, ‘‘সরকারের দেওয়া এই চাকরিতে নো ওয়ার্ক নো পে। অস্থায়ী চাকরি দিয়ে আদতে মানসিক চাপ দেওয়া হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একটা আইওয়াশ।’’

  • IIT New Courses: জয়েন্ট ছাড়াও আইআইটিতে করানো হচ্ছে বেশ কিছু নতুন কোর্স, জেনে নিন খুঁটিনাটি তথ্য

    IIT New Courses: জয়েন্ট ছাড়াও আইআইটিতে করানো হচ্ছে বেশ কিছু নতুন কোর্স, জেনে নিন খুঁটিনাটি তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটিতে পড়ার স্বপ্ন কার না থাকে! আইআইটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ মানেই তো ছাত্র জীবনের পরম মোক্ষপ্রাপ্তি। দেশের ২৩ টি আইআইটি তে বর্তমানে প্রযুক্তির বিভিন্ন কোর্স তো করানোই হয়, সাথে সাথেই বিভিন্ন সার্টিফিকেট, ডিগ্রি, ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে (IIT New Courses)। কোন আইআইটি কী কী কোর্স নিয়ে এল, আমরা একনজরে দেখে নেব।

    আইআইটি পাটনা

    জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভাল স্কোর নেই তো কি হয়েছে! প্রয়োজন নেই। আইআইটি পাটনা নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ নতুন কোর্স (IIT New Courses)। আগ্রহী পড়ুয়ারা সরাসরি ভর্তির আবেদন করতে পারেন এই কোর্স গুলিতে। স্নাতক স্তরের নতুন এই কোর্স গুলি হল –

    ১)কম্পিউটার সায়েন্স ও ডেটা অ্যানালিটিক্সে বিএসসি অনার্স

    ২)আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটিতে বিএসসি অনার্স

    ৩)গণিত ও কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি অনার্স

    ৪)অ্যাকাউন্টিং ও ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্টে স্নাতক কোর্স

    ৫)বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক কোর্স

    আইআইটি মাদ্রাজ

    প্রোগ্রামিং ও ডেটা সায়েন্সে বিএসসি কোর্স করতে চাইলে আবেদন করতে পারেন আইআইটি মাদ্রাজে (IIT New Courses)। প্রোগ্রামিংয়ে পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোই হলো এই কোর্সের লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দ মতো এই কোর্সের ফাউন্ডেশনাল সার্টিফিকেট, একটি বা দুটি ডিপ্লোমা, বিএসসি বা বিএস ডিগ্রি নিতে পারবে। আইআইটি থেকে কোর্স মানেই তো নিজেকে একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ। পাইথন ও জাভা প্রোগ্রামিং, ডিবিএমএস তো শেখানো হবেই, তার সাথে এই কোর্সে থাকবে মেশিন লার্নিং টেকনিক, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা এবং পাওয়ার বিআই বা ট্যাবলোর মতো টুলের ব্যবহারও। পড়াশোনার বিষয় গুলি অনলাইনেই পাওয়া যাবে। তবে পরীক্ষা হবে অফলাইনে। দেশের ১৩০টি কেন্দ্রে, এমনকি দেশের বাইরেও থাকবে পরীক্ষাকেন্দ্র।

    দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করলেই, এই কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন (IIT New Courses)। এই কোর্সের পাশাপাশি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি কোর্স করতে পারবেন অথবা চাকুরিজীবি হলেও কোনও বিধিনিষেধ নেই, এই কোর্সের ক্ষেত্রে। মোট চার সপ্তাহের বিষয়সূচী তৈরি করেছেন আইআইটি মাদ্রাজে অধ্যাপকরা।

    আইআইটি মান্ডি

    বৈদ্যুতিন পরিবহনে এম টেক করানো হবে আইআইটি মান্ডি থেকে (IIT New Courses)। প্রতিষ্ঠানের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্কুল অফ কম্পিউটিং অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর যৌথ উদ্যোগে এই দুবছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু  হয়েছে। এই কোর্সের জন্য গেট স্কোর থাকতে হবে। কোর্সের জন্য আবেদনকারীর ৬০% নম্বর সহ কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কোন কোন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার স্নাতকরা এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন একবার দেখে নিন।

    ইলেকট্রিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং

    মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

    প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল

    ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড 

    কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    আইআইটি দিল্লি

    ইলেকট্রিক মোবিলিটি- বিষয়ে এমটেক  চালু করেছে দিল্লি আইআইটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রাইবোলজি (IIT New Courses)। বৈদ্যুতিন যানবাহন, ড্রাইভট্রেন, চার্জার, চার্জিং পরিকাঠামো, ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্বয়ংচালিত যান ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হবে এই কোর্সে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রি থাকলে এই কোর্সে আবেদন করা যাবে-

    ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    মেকানিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং

    অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

    প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইন্ডাসট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং

    ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

    আইআইটি দিল্লিতে অন্যরকম বেশ কত গুলো কোর্স চালু হয়েছে। সেগুলো আমরা দেখে নেব।

    ব্যাচেলর অফ ডিজাইন- আইআইটি দিল্লির ডিজাইন বিভাগ থেকে চার বছরের এই কোর্সটি চালু হয়েছে (IIT New Courses)। ইউসিইইডি স্কোরের মাধ্যমে এতে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। প্রোডাক্ট ডিজাইন, ইন্টারঅ্যাকশন ডিজাইন, কমিউনিকেশন ডিজাইনের মতো বিষয় গুলি এই কোর্সের অন্তর্গত।

    এম টেক ইন মেশিন ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স-  এই কোর্সের পড়ুয়ারা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহারিক দিকগুলোর সঙ্গে হাতেকলমে পরিচিত হতে পারবেন। এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলেও প্রয়োজন চারবছরের স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।

    এমএস ইন ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন- এই নতুন কোর্সের মূল বিষয় হল ভারত এবং তার সমান সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দেশগুলোর সড়ক পরিবহণ ও ট্রাফিক নিরাপত্তা(IIT New Courses)।

    এম টেক ইন বায়ো মলিকিউলার অ্যান্ড বায়োপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং- এই কোর্সে (IIT New Courses) ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিই, বিটেক, এমএসসি বা সমতুল ডিগ্রি থাকতে হবে। পূর্ণ সময়ের জন্য এই কোর্সের মেয়াদ দুবছর এবং আংশিক সময়ের জন্য ৩ বছর।

  • Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের হোস্টেল পাওয়ার নিয়ম বাড়ির দূরত্ব অনুযায়ী। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা না দিলে হোস্টেলের ঘর পাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে জুটছে শারীরিক হেনস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital)। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি হতেই হোস্টেলের জন্য আবেদন জমা পড়ে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, সেই আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিক করে,কার হোস্টেলের আবেদন মঞ্জুর হবে। 

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের (Sagar Dutta Hospital) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তাদের জানানো হয়, ছাত্র নেতাদের ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তবেই তাদের আবেদন মঞ্জুর হবে। ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ ও ডিনের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও এর কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রতিবাদ করলে শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা  যে হোস্টেলে থাকেন,তাঁদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাঁদেরকে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ভুক্তভোগী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরাও পাশে থাকছেন না। তাই ডিনকে বারবার সমস্ত ঘটনা জানালেও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। এরকম হেনস্থা চললে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে কোর্স শেষ করব জানি না। প্রতি রাতে হোস্টেলের ঘরে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ” 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    হাসপাতাল প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়েই পরোক্ষে কাজ করে এ অভিযোগ ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতাল প্রশাসন এখন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলে। আর তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অধ্যক্ষের ঘরেই শাসকের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে নীরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই চলছে অবাধে। কোথাও প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে। কমিটি মিটিং করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। ” যদিও এই তদন্ত কমিটির উপর আস্থা নেই ভুক্তভোগীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুম চলছে। এরকম তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটিতেও অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন না। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেরা ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রত্যেক মুহূর্তে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। 

  • Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    Dengue Treatment at Home: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আবার হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেঙ্গ-২’ ও ‘ডেঙ্গ-৩’। আর এই দুই ভ্যারিয়েন্টই সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। নতুন এই প্রজাতির ডেঙ্গিতে জ্বর কমে যাওয়ার পরে হঠাৎ করেই প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আর এই উপসর্গ অনেক রোগীর শরীরেই দেখা গিয়েছে। ফলে এই নতুন প্রজাতির জোড়া হানায় রাজ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গি।

    সাধারণত, ডেঙ্গি হলে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে থাকে। তাই প্লেটলেট দ্রুত বাড়ানোর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখা দরকার। চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে পারেন। তবে তার জন্য আপনাকে কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। সেগুলি হল-

    পেঁপে পাতা

    পেঁপে পাতায় প্যাপাইন ও সাইমোপ্যাপাইন এনজাইম পাওয়া যায়, যা হজম ঠিক করে এবং গ্যাস-বদহজম প্রতিরোধ করে। চিকিৎসকদের মতে, ৩০ মিলি পেঁপের রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়।

    বেদানা

    বহু শতাব্দী ধরে রক্ত বৃদ্ধিতে বেদানা ব্যবহার হয়ে আসছে। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর পাশাপাশি প্লেটলেট বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্টের জোড়া হানা! এর উপসর্গ কী কী?

    ডাবের জল

    ডেঙ্গি জ্বরে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝড়ে যার ফলে শরীরে জলশূন্যতার সৃষ্টি হয়। তাই ডাবের জল পান করা খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরে শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে, যার ফলে শরীর থেকে অনেক ধরনের টক্সিন বেরিয়ে যায়।

    হলুদ

    অ্যান্টিসেপটিক এবং মেটাবলিজম বুস্টার হওয়ায় দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

    শাক-সবজি

    এই সময় বেশি করে শাক-সবজি খাওয়া উচিত। যেগুলো খেলে রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ে সেগুলো হল শালগম, অঙ্কুরিত শস্য, ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি।

    লেবু জাতীয় ফল

    ভিটামিন সি প্লেটলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই লেবু, কমলালেবু, মুসম্বি, বাতাবি লেবু খেলে প্লেটলেট বাড়ে।

    চর্বিওয়ালা মাছ

    চর্বিওয়ালা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এই ভিটামিন লোহিত রক্ত ​​কণিকা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্লেটলেটের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।

  • T20 World Cup: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের জন্য বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    T20 World Cup: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের জন্য বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের (England) মুখোমুখি হচ্ছে ভারত (India)। গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। তবে লড়াই যেহেতু ফাইনালে ওঠার তাই কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটা ভালোই জানেন রোহিত শর্মারা। খেলাটি হবে অ্যাডিলেডে। যেখানে গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে বেগ পেতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রোহিত শর্মারা সতর্ক এবং সতীর্থদের জন্য সহানুভূতিশীল। সোমবার তারই ছবি ধরা পরল ভারতীয় শিবিরে। বিরাট কোহলিরা বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন মহম্মদ শামিদের জন্য। পরপর ম্যাচ খেলার ফলে পেশারদের অনেক বেশি পরিশ্রম হয়েছে। তাই সেমিফাইনালের আগে দলের চার পেশারকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য কোহলিদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    আইসিসির (ICC) নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক দল বিমানের বিজনেস ক্লাসের চারটি করে টিকিট পায়। সাধারণত কোচ রাহুল দ্রাবিড়, ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, ভাইস ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল এবং আইকন ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কোহলির এই সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বিজনেস ক্লাসের টিকিট ইস্যু হয়েছিল তাদের নামে। কিন্তু তারা কেউই সেই সুবিধা ভোগ করলেন না। উল্টে যা করলেন তা নজিরবিহীন। বিজনেস ক্লাসের চারটি টিকিট তুলে দেওয়া হয় চার পেশার শামি, অর্শ্বদীপ সিং, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। যাতে তাঁরা মেলবোর্ন থেকে অ্যাডিলেড যাওয়ার পথে বিমানে একটু ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতে পারেন। ছোট্ট একটি ঘটনা হলেও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলে সংহতি এবং সহানুভূতিশীলতার যে ছবি ধরা পড়েছে তা তারিফ যোগ্য। এর ইতিবাচক প্রভাব মাঠে পড়বে বলেই আশা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল! সেমিফাইনালে লড়াই হবে সমানে সমানে, অভিমত রোহিতের

    আসলে ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। আর সেটাই ছিল শেষ। তারপর একাধিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছে, ভারতের পারফরম্যান্স সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এবার রোহিত শর্মাদের ঘিরে অনেকেই আশাবাদী। তার একটা বড় কারণ দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি, সূর্য কুমার যাদব। রানে ফিরেছেন লোকেশ রাহুল। বোলিং বিভাগও দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতকে আরও দুটি বাধা টপকাতে হবে। তাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ রোহিত বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biswajyoti Banerjee) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বোলপুরের কাউন্সিলর। এর আগে বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ডেকেও জেরাও করেছে তাঁকে। এ বার ইডির নজরেও বিশ্বজ্যোতি।  

    ২০১১ সালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এখন সেই বিশ্ব জ্যোতিই ৪৬ লক্ষ টাকার মালিক। কী করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, সবটাই হয়েছে সায়গল হোসেনের নির্দেশ মতো। এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে নেমেছে ইডি। 

    গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে তিহার জেলে রয়েছেন সায়গল। এই মামলাতে অনুব্রত কন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে জেরা করেছে ইডি। টানা তিন দিন জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সুকন্যার বয়ানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    এক কালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি ওরফে মুন। এখন তিনি বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ বার তাঁকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার সেই সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্বজ্যোতির কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন, বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) হতে চলেছে আজ। আজকের চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আবার তিন বছর পর দেখা যাবে, যা ১৪ মার্চ, ২০২৫। আজ চাঁদ একেবারে লালচে বর্ণ ধারণ করবে। কয়েক বছর অন্তর এই দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ মেলে বিশ্ববাসীর। সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে এবং পৃথিবীর ছায়া যখন চন্দ্রের ওপর পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হলেও বিশ্ববাসী আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন। 

    ব্লাড মুন কী?

    আজকের চাঁদের রং লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ব্লাড মুন বলা হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পূর্ণগ্রাসের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশ ‘আম্ব্রা’ নামক জায়গায় প্রবেশ করে। এরপর চাঁদ যখন আম্ব্রার মধ্যে থাকে, তখন এটি একটি লালচে রং-এ পরিণত হয়ে যায়। এই ঘটনার কারণে চন্দ্রগ্রহণকে কখনও কখনও ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    কিন্তু জানেন কি চাঁদ কেন রক্তাভ বর্ণ ধারণ করে?

    সাধারণত পৃথিবীর ছায়া আম্ব্রা চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে। নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রগ্রহণের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদে তখন একমাত্র সূর্যের আলো পৌঁছয় যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। আর বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়ে রক্তিম হয়ে যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধুলো বা মেঘ থাকবে, চাঁদকে দেখতে তত বেশি লাল হবে। ফলে যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়। 

    প্রসঙ্গত, আজ গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। কলকাতায় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। কলকাতায় চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ।

  • Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ভারতবর্ষের মন্দির নগরী বলা হয়ে থাকে ‘বারাণসী’ কে। নবদ্বীপ ঘুরলে মনে হতেই পারে এ যেন বারাণসীর আরেকটি নতুন সংস্করণ। প্রাচীন বাংলার বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র ছিল নবদ্বীপ। প্রাচীন এই নগরীকে  বলা হতো ‘বাংলার অক্সফোর্ড’। বহুগুণী এবং পন্ডিত মানুষদের পান্ডিত্যে সমৃদ্ধ এই জনপদে জন্ম নিয়েছিলেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বাংলার সেন রাজাদের এই রাজধানী আক্রমণ করেন ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী। লুন্ঠন, হত্যা ধর্মান্তরকরণের পরেও অক্ষত ছিল ঐতিহ্যবাহী এই নগরীর সাংস্কৃতিক পরিবেশ। হিন্দু ধর্মের শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈবদের পীঠস্থান বলুন বা তীর্থস্থান বলুন, সেটা নবদ্বীপ। পুণ্যতোয়া গঙ্গা নদীর স্রোতের ধ্বনি, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের রীতি দেখলে মনে হতেই পারে যেন ঋক বৈদিক যুগের কোনও নগরীতে আপনি উপস্থিত হয়েছেন।

    নবদ্বীপের  ‘রাস’ অতি জনপ্রিয়। রাস পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে গোটা নবদ্বীপ শহর সেজে ওঠে আলোর মালায়। চোখে পড়ে মণ্ডপের কারুকার্য। নবদ্বীপের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে অগণিত মানুষের সমাবেশ ঘটে। রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও অনেক মানুষ রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে প্রথম রাসযাত্রার সূচনা করেন। বলা হয়ে থাকে ‘রস’ থেকে ‘রাস’ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ আনন্দ বা দিব্য অনুভূতি। গোপিনীরা শ্রী কৃষ্ণের সাথে এই আনন্দ ভাগ করে নিতেন। পৌরাণিক এই ঘটনার স্মরণেই রাস যাত্রার উদ্ভব বলে বিশ্বাস রয়েছে। মূলত বৈষ্ণবীয় ভাবধারার এই রাস যাত্রা নবদ্বীপে আজ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মৃত্যুর পর রাসযাত্রার ওপরে বৈষ্ণবীয় ভাবধারার প্রভাব ক্ষীণ হতে থাকে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে ‘শাক্ত’ ভাবধারা। তাই নবদ্বীপে বর্তমান যে রাসযাত্রা সেটার উপর শাক্ত ভাবধারার প্রভাব সব থেকে বেশি। মদ ,মাংস ,আড়ম্বর এগুলি হলো বীরাচার বা শাক্ত ভাবধারার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নবদ্বীপের রাসযাত্রায় এগুলো বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    জনশ্রুতি আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নবদ্বীপে শাক্ত রাসের প্রবর্তন করেন। একাধারে এই রাজার নামের সাথে বাংলায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস যেমন সম্পর্কিত, একইভাবে রাসযাত্রার ইতিহাসও সম্পর্কিত। শক্তি, বীরাচার এবং রাজসিক গুণের আচরণ রাজা করবেন, একথাই তো স্বাভাবিক। মনে করা হয়, বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাব রাসযাত্রার উপর থেকে ক্ষীণ হতে শুরু করে যখন থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এখানে শাক্ত রাসের সূচনা করেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্র পোড়ামাতলায় ভবতারণ শিব ও ভবতারিণী শক্তিমূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, রাসযাত্রায় তিনি নবদ্বীপের পণ্ডিতকে প্রচুর দানধ্যান করতেন। রাসযাত্রার প্রথমদিকে নবদ্বীপে শুধুই পটপুজো হতো। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নাটোর থেকে মৃৎশিল্পী নিয়ে আসেন। তারপর থেকেই রাসযাত্রায় মূর্তিপূজা হতে থাকে।

    গোবিন্দদাসের পদাবলীতে উল্লেখিত বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে কৃষ্ণ যখন রাসলীলায় মগ্ন, স্বর্গের দেবদেবীরা তখন তা দেখতে বৃন্দাবনে এসেছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস, রাসলীলা দেখার জন্য দেবদেবীরা এসেছিলেন নবদ্বীপেও। চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থানে রাস উপলক্ষে সাড়ে তিনশো দেবদেবীর পুজো হয়। পোড়ামাতলায় মহিষমর্দিনী মাতার পুজো হয়। রাসে কেবলমাত্র এই প্রতিমার পুজোই তিনদিন ব্যাপী দুর্গামন্ত্রে হয়। শতবর্ষ প্রাচীন ওলাদেবীতলার মুক্তকেশীর ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে ইলিশমাছ সহযোগে। খড়েরগোলার বিন্ধ্যবাসিনী অষ্টভুজার আরাধনা বৈষ্ণব মতে হয়ে থাকে। নবদ্বীপের রাসে শাক্তমূর্তি বেশী দেখা যায়। দেবী কালিকা কত বিচিত্র নামে পূজিতা হন এই রাসযাত্রায়—বামকালী, নৃত্যকালী, উড়ন্তকালী, মুক্তকেশীকালী, মহানিশাকালী, তোতাপুরীকালী ইত্যাদি। সাধক রামপ্রসাদের কালী ভাবনার পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যায় ‘শবশিবার’ রূপকল্পনায়। এখানে ভূমিতে পরে আছে শব তার উপরে শায়িত আছেন শিব এবং সর্বোপরি দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠান। দেবীর পাদস্পর্শে শব রূপান্তরিত হয়েছে শিবে। বড় বড় প্রতিমাগুলি নবদ্বীপ শহর পরিক্রমণ করে। রাসযাত্রার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এটি। বিশালাকার গৌরাঙ্গি মাতার শোভাযাত্রা দেখতে গোটা নবদ্বীপ শহরে ভিড় উপচে পড়ে। রাসযাত্রার এই কয়েকটা দিনে হিন্দু ধর্মের প্রধান দেব-দেবীদের একসাথে পুজো নবদ্বীপ শহরেই দেখা যায়।

  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption Case) সিবিআই-এর (CBI) কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিকমতো কাজ করছেন না, এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁদের বদলে নতুন দলও গঠন করা হতে পারে বলেও জানান বিচারপতি। আজ সোমবার আড়াইটায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি হওয়ার কথা। সিবিআই এদিন তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিচারপতির কাছে। মনে করা হচ্ছে এই রিপোর্টে উঠে আসতে পারে একাধিক হেভি ওয়েটের নাম। আর এই শুনানির আগেই এমন মন্তব্য করলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

    যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও সিবিআই- এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ভরা এজলাসে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েওছেন আধিকারিকদের। এর আগেই একদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আসল অপরাধী কে তা সবাই জানেন, কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তিনি গ্রেফতার হবেন কিনা, তা জানা নেই।” বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি।  এর মাঝেই গত শুক্রবার হাইকোর্টের একটি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করেন, “প্রাথমিকে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ কি এর পিছনে আছেন? তদন্তের অভিমুখ কি অন্য কারও দিকে যাচ্ছে?” 

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আজও এই মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের একটা বড় সুযোগ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, যাঁরা বেনিয়মে চাকরি পেয়েছিলেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসিতে চিঠি পাঠাবেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়বেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। যদিও জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
LinkedIn
Share