Blog

  • Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    Enforcement Directorate: ইয়েস ব্যাঙ্ক- ডিএইচএফএল দুর্নীতি কাণ্ডে ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েস ব্যাঙ্ক ডিএইচএফএল (Yes Bank- DHFL Scam) দুর্নীতি মামলায় ৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এর মধ্যে রয়েছে সঞ্জয় ছাবড়িয়ার ২৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং অবিনাশ ভোসলের ১৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি। 

    অর্থ তছরুপ অ্যাক্ট, ২০০২ -এর অধীনে এই দুইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি। ইডির ধারণা এই সম্পত্তির পরিমাণ যাবে ১,৮২৭ কোটি টাকা অবধি। 

    আরও পড়ুন: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির আগে রেখে এসেছিলেন কে? ‘ষড়যন্ত্র’?

    সঞ্জয় ছাবড়িয়ার যে সম্পত্তিগুলি রয়েছে, সেগুলি মূলত জমি বা ফ্ল্যাট। মুম্বইয়ের স্যান্টাক্রুজে ১১৬.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। এতে সঞ্জয়ের কোম্পানির ২৫% ইক্যুইটি শেয়ার রয়েছে। মুম্বইয়ে ৩ কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দিল্লি বিমান বন্দরের কাছে একটি ১৩.৬৭ কোটি টাকার একটি হোটেল রয়েছে। মোট ৩.১০ কোটি টাকা মূল্যের তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে তাঁর। 

    অবিনাশ ভোসলের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ১০২.৮ কোটি টাকা মূল্যের মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। পুনেতে একটি ১৪.৬৫ কোটি টাকা এবং একটি ২৯.২৪ কোটি টাকার জমি। এছাড়াও নাগপুরে ১৫.৫২ কোটি টাকার এবং ১.৪৫ কোটি টাকার দুটি জমি। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ইতিমধ্যেই ইডি ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর এবং ডিএইচএফএলের কপিল ওয়াধাওয়ান এবং ধীরাজ ওয়াধাওয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এদের তিনজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছিল এফআইআর। অভিযোগ ছিল, ইয়েস ব্যাঙ্কের রানা কাপুর অন্যায়ভাবে 
    ডিএইচএফএলকে অর্থ সাহায্য করেছেন এবং ওই কোম্পানি থেকে বিপুল সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। 

    ইডির দাবি রানা কাপুর ও বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে মিলে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যেমন ডিএইচএফএল আবাসন ক্ষেত্রে টাকা লগ্নি করত। ভারতে আবাসন শিল্পের সংকটের সঙ্গে এই কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ডিএইচএফএল ৩৭০০ কোটি টাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। এরাই আবার রানা কাপুরের এক কন্যার পরিচালিত সংস্থাকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। কাপুর কন্যা মাত্র ৪০ কোটি টাকার একটি জমি জামানত রেখে এই টাকা পায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের বক্তব্য অনুযায়ী জামানত রাখা ওই সম্পত্তিটার মধ্যেও জালিয়াতি আছে। কারণ সেখানে কাগজের হেরফের করে কৃষিজমিকে রেসিডেন্সিয়াল প্লট হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার এই ডিএইচএফএল ও ইয়েস ব্যাঙ্কের যৌথ দায়িত্বে ছিল উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেখানে ২২৬৭ কোটি টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক লাটে ওঠার কিছুদিন আগে রানা কাপুরের স্ত্রী বিন্দু কাপুর ৩৭৮ কোটি টাকা দিয়ে গৌতম থাপারের (অজন্তা রিয়েলিটি লিমিটেড) এর কাছ থেকে একটি বাড়ি কেনেন। এই বাড়িটি আবার ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছে মর্টগেজ রাখা ছিল। থাপারের কাছ থেকে ৩৭৪ কোটি টাকা পাওয়ার পরে ইয়েস ব্যাঙ্ক সম্পত্তিটিকে মুক্ত করে। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করেছে এই সম্পত্তি দেখিয়ে থাপার গ্রুপ দু’দফায়  ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ১২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। 

    ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে রানা কাপুর ৭৮টি শেল কোম্পানির মালিক এবং রানা কাপুরের তিন কন্যা ৪২টি কোম্পানির ডিরেক্টর যার অনেকগুলিই কোম্পানি আইনে রেজিস্ট্রি করা নয়। তার ৪২,০০০ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণের মধ্যে ২০,০০০ কোটি টাকা স্বয়ং রানা কাপুর নিজের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছিলেন। 

  • Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    Partha Chatterjee: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Teachers Recruitment Scam) মামলায় আজ, বুধবার ইডি হেফাজতের (ED custody) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। এই প্রেক্ষিতে আজই এই দুজনকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে পার্থ-অর্পিতার ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, এদিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরা পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’জনকেই ফের জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) ফের হেফাজতে নেওয়ার ভাবনা ইডি-র।

    এদিন আদালতে তদন্তকারীদের তরফে সওয়ালে বলা হতে পারে, পার্থ এবং অর্পিতার নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির (Benami Properties) হদিশ তাঁরা পেয়েছেন৷ আরও সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি৷ এ ছাড়াও তাঁদের বিলাসবহুল চারটি গাড়ির খোঁজও এখনও মেলেনি৷ ফলে পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিযোগ, পার্থ ও অর্পিতা দু’জনেই তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট নথি থাকা সত্ত্বেও জেরায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এই বিষয়টিও এদিন আদালতে পেশ করতে পারে ইডি। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ইডির (ED) সন্দেহ, এই গোটা কাণ্ডে আরও একাধিক প্রভাবশালী জড়িয়ে থাকতে পারেন। সঙ্গে রয়েছে হাওয়ালা-যোগও। সেই কারণে ওই দু’জনকে ফের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর জন্য পার্থ ও অর্পিতাকে আবার হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন করতে পারে ইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারী দল তাদের সওয়ালে এও জানাতে পারেন, কীভাবে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ-অর্পিতা। এছাড়া, পার্থর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলতে পারে ইডি। বলা হতে পারে, বের হলেই, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন তিনি এবং অর্পিতা। 

    টালিগঞ্জ (Tollygunj) ও বেলঘরিয়া (Belghoria)— অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে প্রায় ৬ কোটি মূল্যের সোনা। এছাড়া, ইডি এখনও রাজ্যজুড়ে পার্থ ও অর্পিতার নামে বেনামে থাকা বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে ফ্ল্যাট ও বাড়ি, তেমনই রয়েছে ফার্মহাউস, কোম্পানি ও জমির দলিল। এই প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৬টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। এরমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট যেমন ছিল, তেমনই ছিল অর্পিতার একাধিক নেল-আর্ট পার্লার।

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    গতকালের অভিযান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, এই গোটা দুর্নীতির যাবতীয় হিসেব-নিকেষ রয়েছে ওই ডায়েরিগুলোতে। কার হাতে সেই ডায়েরি লেখা, তা নিশ্চিত করার জন্য হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টের (Hand writing expert) সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, এই পরিস্থিতিতে পার্থ-অর্পিতা জামিন পেলে, তদন্ত বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছে ইডি। যে কারেণে, এই দুজন এখনই যাতে জামিন না পান, তার জন্য জোরালো সওয়াল করতে পারে ইডি। 

    এদিকে, গতকালের জুতোকাণ্ডের পর এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshall court) চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আদালতে আগে থেকেই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অন্তত ৮৬ জন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান।

  • Andhra’s Christian High School: হিন্দু রীতি মানতে বাধা! অন্ধ্রপ্রদেশে খ্রিস্টান স্কুলে নয়া বিতর্ক

    Andhra’s Christian High School: হিন্দু রীতি মানতে বাধা! অন্ধ্রপ্রদেশে খ্রিস্টান স্কুলে নয়া বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু রীতি অনুযায়ী তিলক বা টিপ পরে স্কুলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাঁধলো বিতর্ক। কেন্দ্রস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) একটি স্কুল। সম্প্রতি  কুর্নুলের (Kurnool) মাউন্ট কার্মেল হাইস্কুলের (Mount Karmel High School) এই ঘটনা সামনে আসায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। 

    প্রসঙ্গত হিন্দু ধর্মে মাঙ্গলিক তিলক পরার রীতি রয়েছে। অনেকে ঈশ্বরের আর্শীর্বাদ হিসেবে টিপও পরেন। অভিযোগ, স্কুলে হিন্দু ছাত্ররা তিলক পরে এলে তাদের তা মুছে ফেলতে বলা হয়। শিক্ষকদের কাছে বকুনিও শুনতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এই নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা সম্প্রতি অভিযোগও দায়ের করে। অভিযোগ, ধর্মীয় আচারণ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এই যুক্তিতে ৩৬ জন ছাত্র স্কুল ছাড়তে চায়। কিন্তু তাদের টিসি দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে ভর্তির সময়ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি অভিভাবকদের। স্কুলে জোর করে বাইবেল পড়ানো হয় বলেও অভিযোগ তোলেন অনেক।

    উল্লেখ্য, রাখি উৎসকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেই বিতর্ক বাধে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের একটি স্কুলে। পড়ুয়াদের হাতে রাখি খেই সেগুলিকে জোরপূর্বক খুলতে বাধ্য করেন শিক্ষকরা। এমনকি, পরবর্তীতে সেগুলি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই অভিভাবকদের পাশাপাশি এলাকার বহু হিন্দু সংগঠনও বিক্ষোভে সামিল হয়। উত্তেজনা ছড়াতেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ফাদার সন্তোষ লোবো জানান, “অভিযোগ সামনে আসার পরই আমরা সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করি। এই কাজটি যারা ঘটিয়েছে, তারা সকলেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করা গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Independence day at Raj Bhavan: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

    Independence day at Raj Bhavan: স্থায়ী রাজ্যপাল নেই, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের অ্যাট-হোম কি বাতিল?

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(jagdeep dhankhar) হয়ে গিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। রাজ্যভবনের স্থায়ী মালিকানা নেই কারও হাতে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এবার রাজভবনে ১৫ অগস্ট কি আনুষ্ঠানিক চা-চক্র বা অ্যাট হোম(AT HOME)-র আসর বসবে না? নাকি অমৃত মহোৎসব পালনের আগেই রাজ্যে চলে আসতে পারেন নতুন রাজ্যপাল। এই দুই সম্ভাবনার মাঝেই রাজভবন সরকারি আমন্ত্রণ পত্র ছাপতে পারছে না।কারণ, রাজ্যপাল ছাড়া কখনও অ্যাট হোমের অনুষ্ঠান হতে পারে না। তিনিই সেই চা-চক্রের আসরের মূল হোতা। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কলকাতা রাজভবনে চা-চক্র বসবে কি না, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

    রাজভবনের এক কর্তার কথায়, আমরা এখনও আমন্ত্রণ পত্র ছাপাতে পারিনি। কাউকে সরকারিভাবে জানাতেও পারছি না। যদি নতুন রাজ্যপাল আসেন তা হলে তিনিই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হবেন। মনিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন সেদিন ইম্ফল ছেড়ে কলকাতা আসতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ফলে জটিলতা বেড়েই চলেছে।

    সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ডাকা আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন দিল্লি গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তিনিই প্রধানমন্ত্রীর সামনে পেশ করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রোতা ছিলেন মাত্র। দিল্লি থেকে গণেশন (Ganeshan) মনিপুর ফিরে গিয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার কলকাতা ফিরতে পারেন। তারপরই ঠিক হবে আদৌ ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসে অ্যাট হোম অনুষ্ঠান হবে কি না।

    কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    রাজভবন সূত্রের দাবি, গণেশন মনিপুরের রাজ্যপাল। এখানে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে রয়েছেন।ফলে ইম্ফলের রাজভবনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান এবং চা-চক্রে তাঁকে হাজির হতেই হবে। আবার রাজ্যপাল ছাড়া এই অনুষ্ঠান হয় না। ফলে তিনি কলকাতায় থাকবেন কি করে?

    গত দুবছর কোভিডের কারণে অবশ্য এই অনুষ্ঠান হয়নি। গণেশন সকালে মনিপুরের অনুষ্ঠান করে বিকালে কলকাতায় এসে চা-চক্রে যোগ দিতে পারেন। আবার করোনার প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে সেই কারণে অনুষ্ঠান বাতিলও হতে পারে।

    বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    সর্বোপরি ১৫ অগস্টের মধ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়ে গেলে সব সমস্যার সমাধানই হয়ে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। প্রশাসনিক মহলে দিল্লি পুলিশের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্তানার নাম নিয়েও কানাঘুঁষো চলছে। তবে জগদীপ ধনখড়ের ফেলে আসা পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবেন, এমন কারও খোঁজ চলছে।স্বাধীনতা দিবসের আগে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ তাই একপ্রকার অসম্ভব। ফলে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজভবনের চা-চক্র এখন অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে। 

  • Jaishankar On Russian Oil: দেশবাসীর সুবিধাই আগে! জানুন রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে কী মত বিদেশমন্ত্রীর

    Jaishankar On Russian Oil: দেশবাসীর সুবিধাই আগে! জানুন রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে কী মত বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া (Russia)-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে পুতিনের দেশ থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল (Crude Oil) কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) নিষেধাজ্ঞা (Sanction) সত্ত্বেও কেন ভারতের এই পদক্ষেপ, তার ব্যাখ্যা দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর (External Affairs Minister S Jaishankar)। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, রক্ষণাত্মক নয়, দেশের মানুষের স্বার্থে যাবতীয় যে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহন করতে রাজি নয়াদিল্লি। তাই কোনও রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সম্ভাবনা নেই। তাঁর কথায়, জ্বালানির উচ্চ দাম কমানোর জন্য় সব দেশই চেষ্টা করবে। ভারতও সেই কাজই করছে।

    ভারত-থাইল্যান্ড যুগ্ম কমিশনের (India-Thailand Joint Commission) নবম বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাঙ্কক সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার সেখানে অনাবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের (Indo-US Relations) বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। রাশিয়া (Russia) থেকে সস্তায় তেল কেনার বিষয়টি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে জয়শংকর (S Jaishankar) বলেন, “একবার সততার সঙ্গে কোনও বিষয় বলা হলে সেটা শেষপর্যন্ত প্রতিষ্ঠা পায়। প্রথমে সবাই হয় তো প্রশংসা করবে না। কিন্তু তার জন্য চালাকির আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: কোচিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে প্রাণ পেল হুগলি ডক! কী হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন এই ডকইয়ার্ডে?

    বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের জনগণ উচ্চ জ্বালানির দাম সইতে পারবে না। তাই সেই কষ্ট লাঘব করতে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি জানিয়েছেন, ভারত প্রথম থেকেই নিজের জায়গা ও ক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ছিল। তিনি এদিন আরও বলেন, “এ দেশে মাথা পিছু আয় ২ হাজার ডলার। এখানে অনেক মানুষেরই উচ্চ হারে জ্বালানি কেনার ক্ষমতা নেই। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা যে আমি তাঁদের জন্য শ্রেষ্ঠ জিনিসটাই করব।” তবে ভারতের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) সঙ্গে সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “ভারতের সমস্যার বিষয়টি বোঝে আমেরিকা। তাই ভারতকে নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের।” 

  • Partha Chatterjee: স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম, ঠিক কী হয়েছে পার্থর?

    Partha Chatterjee: স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম, ঠিক কী হয়েছে পার্থর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) দেখতে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছল এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) মেডিক্যাল টিম। দলে ছিলেন কার্ডিওলজি, মেডিসিন-সহ বিভিন্ন বিভাগের ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এছাড়াও টিমে রয়েছেন ৬ মেডিক্যাল স্টাফ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শেখানো হয় বিশেষ ব্যায়াম।

    এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, আদালতে ইডি দাবি করে, হেফাজত এড়াতে অসুস্থতার নাটক করছেন পার্থ। ইডি (ED) আরও জানায়, হাসপাতালে তাদের সঙ্গে ডনের মতো আচরণ করছেন পার্থ। 

    আরও পড়ুন: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

    এরপর আদালতের নির্দেশে পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS Bhubaneswar) হাসপাতালে। ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা হয়নি। ওনার শ্বাস–প্রশ্বাসে সামান্য সমস্যা রয়েছে। আর কিডনিতে ক্রনিক কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরের ওজনও বেশি। এমনকী তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। তারপর জেলেই কাটছিল পার্থের দিন। হঠাৎই তাঁকে জেলের হাসপাতালে রাখা হয়।

    সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, জেল হাসপাতালে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। বিষয়টি আইনজীবীকেও জানান পার্থ। জেল সুপারকে দেওয়া রিপোর্টে জেলের চিকিৎসক দাবি করেন, পার্থর যে সমস্যা রয়েছে, তাঁর চিকিৎসা জেলের চিকিৎসককে দিয়ে সম্ভব নয়। সেই রিপোর্ট কারা দফতর ঘুরে যায় নবান্নে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। তাঁর নির্দেশেই এদিন পার্থকে দেখতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় ৮ জনের চিকিৎসক দল। 

    আরও পড়ুন: ‘টাকা মাটি মাটি টাকা’! সেলে পার্থর হাতে কথামৃত! ফিরবে চৈতন্য?

    প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। সেখানে তিনি কী করছেন কী খাচ্ছেন, সেই খবর সূত্র মারফৎ সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে। তেমনভাবেই জানা গিয়েছিল, চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সম্প্রতি তিনি তেলেভাজা খাচ্ছিলেন। জেলের ক্যান্টিন থেকে দেদার চপ-বেগুনি খান। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব খেয়েই কি অসুস্থ হয়েছেন পার্থ? জেলের আরেক সূত্রের মতে, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার খবরেও নাকি বেশ মুষড়ে পড়েন পার্থ। তাহলে তাঁর এই সমস্যা কি মানসিক?

    জেল সূত্রে এও জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে পা ও পিঠের ব্যথা বেশ ভোগাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তা থেকে সুরাহা কীভাবে মিলবে, সেটা বোঝাতে এদিন তাঁকে বিশেষ ব্যায়াম দেখান চিকিৎসকরা। পাশাপাশি শোওয়ার ধরন বদলানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে, যাতে কমে পিঠের ব্যথা। 

  • Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    Har Ghar Tiranga: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) অভিযানের শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানটি শুরু করেছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ‘মন কী বাত’ এই কর্মসূচির উল্লেখ করেন। সেখানেই দেশবাসীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন মোদি। 

    আরও পড়ুন: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী  

    ২ অগাস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২ অগাস্ট পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াজির জন্মদিন। তিনিই আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেছিলেন। তাঁর প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই।” 

     

    কী ভাবে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে রেজিস্ট্রেশন করবেন?  

    ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে যারা অংশ নিতে চান, তাঁরা নিজেদের মতো করে এই কর্মসূচীতে শামিল হতে পারেন। harghartiranga.com-এ আপনার ছবি আপলোড করতে পারেন। যাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট পাবেন। এই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য উল্লিখিত সাইটেই যেতে হবে।

    আরও পড়ুন: তিন দিন ধরে ২০ কোটি বাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা ! কেন্দ্রের নয়া প্রচার ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ 

    কী ভাবে এই অভিযানে রেজিস্ট্রেশন করবেন?    

    প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে – https://harghartiranga.com/  আপনার প্রোফাইল পিকচার সেট করুন। নিজের নাম, মোবাইল নম্বর কিংবা গুগল অ্যাকাউন্টের তথ্য দিন। লোকেশনের অ্যাকসেস দেবেন এই সাইটটিকে। আপনার লোকেশনে একটি ফ্ল্যাগ পিন করুন। ব্যাস এর পরই আপনি আপনার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। সেটিকে ডাউনলোড করে নিন।  

     

  • Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    Usha Thakur: অবৈধ মাদ্রাসাগুলিতে তদন্তের প্রয়োজন, দাবি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ মাদ্রাসাগুলি (Illegally-Run Madrassas) মানুষ পাচারের জন্যে ব্যবহার করা হতে পারে, ওগুলোর তদন্ত হওয়া উচিৎ। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং আধ্যাত্মবাদের মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর (Usha Thakur)। এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই কথা বলেন তিনি। 

    তিনি বলেন, “সম্প্রতি এক সমাজসেবী সংস্থা ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছে। তাদের দাবি এক অবৈধ মাদ্রাসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ৩০-৪০ জন শিশুকে রাখা হয়েছে। তাদের জন্যে পর্যাপ্ত খাবারও নেই সেখানে। আমার ভয় মানুষ পাচারের কোনও চক্রও হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর 

    তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও মাদ্রাসা, মাদ্রাসা বোর্ড এবং জেলা শিক্ষা দফতরের অনুমোদনপ্রাপ্ত না হয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই তদন্ত চালানো উচিৎ।” 

    এর আগেও মাদ্রাসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ঊষা ঠাকুর। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তিনি মন্তব্য করেন, সব জঙ্গি মাদ্রাসাতেই তৈরি হয়। এই মন্তব্যের পর বিস্তর সমালোচনার শিকার হতে হয় মন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুন: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রীর কথায়, “সব সন্ত্রাসবাদীরা মাদ্রাসা থেকেই তৈরি হয় আর জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসের কারখানা গড়ে তোলে। তাই দেশের উন্নতি করতে চাইলে স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে মাদ্রাসাগুলিকে। সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীরা এই মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করে বড় হয়ে ওঠে।”

    ঊষা ঠাকুর আরও বলেন, “আপনি যদি এ দেশের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন, সব কট্টরপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীই এই মাদ্রাসার ছাত্র।” মাদ্রাসাগুলি শিশুদের জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দিতে পারে না বলেও মত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর। 

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াল ‘রোমিও’, কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই হেলিকপ্টারের, জানেন কী? 

    ঊষা ঠাকুরের এই মন্তব্যের পর বেশ জলঘোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ প্রদর্শনও করে মুসলিম সংগঠনগুলি। সেই বিতর্ক থিতিয়ে যেতেই ফের আবার বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী। 

     

  • Taiwan China Conflict:  এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    Taiwan China Conflict:  এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) ও তাইওয়ানকে (Taiwan) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ! এতদিন তাইওয়ানকে ছ দিক থেকে ঘিরে সেনা মহড়া চালিয়েছে চিন। সোমবার ফের একপ্রস্ত মহড়া শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের দেশ। এবার আস্তিন গুটিয়ে পাল্টা পথে নামল তাইওয়ানও। সম্ভাব্য চিনা আক্রমণ রুখতে সেনা মহড়া শুরু করে দিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। পিংটুঙে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে তাইওয়ান সেনার মহড়া (Military Drill )। মহড়া যে শুরু হয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন তাইওয়ান সেনার অষ্টম কোরের মুখপাত্র লাউ ওয়েই জিয়ে।

    গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল আসে এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানেও। যদিও ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। শেষমেশ তিনি পা রাখেন দ্বীপরাষ্ট্রে। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই শি জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও বদল হয়নি। এর পরেই তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া চালায় চিন।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    এদিকে, রবিবার চিনা মহড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, চিনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড ঘোষণা করেছে, রণতরী ও ডুবোজাহাজ নিয়ে তাদের মহড়া চলবে আরও কয়েকদিন। তাদের দাবি, সাবমেরিন হানা প্রতিরোধ করতে এবং সমুদ্র সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই চলছে মহড়া। প্রসঙ্গত, স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে চিন। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। আমেরিকা তাইওয়ানকে স্বীকৃতি না দিলেও, এই অঞ্চলের স্বাতন্ত্র্য ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে থাকে। তার জেরেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার বিবাদ। জানা গিয়েছে, সামরিক অভিযানে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে চিনা ফৌজ। তাইওয়ান প্রণালীর ওপর দিয়ে চক্কর কাটছে চিনের বোমারু বিমান। সমুদ্রে চলছে চিনের সাবমেরিন মহড়া। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে চিন যে কোনও কঠোর ভূমিকা নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছে চিন সরকারের মুখপাত্র।

    তাইওয়ান সেনা সূত্রে খবর, তাইপেই মহড়া শুরু করেছে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এজন্য মোতায়েন করা হয়েছে কয়েকশো জওয়ান ও ৪০টি হাউইৎজার কামান। তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, তাইওয়ান আক্রমণ করতেই মহড়া শুরু করেছে চিন। তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালী সহ গোটা দ্বীপরাষ্ট্রে স্থিতবস্থা বদলে দেওয়াই চিনের প্রকৃত উদ্দেশ্য।

    আরও পড়ুন :ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

     

  • Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি বিরোধী সম্মিলিত জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। তার পরেই বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছেন আলভা। নাম না করে তৃণমূল (TMC) সহ ‘ষড়যন্ত্রী’ বিরোধীদের আক্রমণ শানান তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় জয়ী হয়েছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোটে। ওই ভোটে পরাস্ত হয়েছেন আলভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এই ভোটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে। যার জেরে শক্তি খুইয়েছেন আলভা। স্ফীতকায় হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরে থেকেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী শিবিরে থেকেও যাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন আলভা। বলেন, কিছু বিরোধী শক্তি বিরোধী অবস্থানে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করছে। যা ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ধারণাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭২৫টি। তার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৫টি ভোট। বৈধ ভোটের ৫২৮টি পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। যার অর্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারেও হয়েছে ক্রশ ভোটিং।এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর ভাবী উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলভা। তার পরেই তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। ট্যুইটবার্তায় আলভা লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধনখড়কে ধন্যবাদ। এর পরেই বিরোধী সমস্ত নেতা এবং দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। অন্য একটি ট্যুইটে আলভা লেখেন, এই নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এক সঙ্গে কাজ করা, অতীতকে পিছনে ফেলা এবং একে অপরের বিশ্বাসের একটা জায়গা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিরোধী দল সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করতেই ব্যস্ত। তাঁর মতে, বিরোধীদের এই প্রয়াস বিরোধী জোটের ভাবনাকে চালিত করছে বিপথে। এই সব বিরোধী দল ও তাদের নেতারা অজান্তেই লোকসান করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সব শেষে আলভা লিখেছেন, এই নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র মজবুত ও সংসদের গরিমা বজায় রাখার লড়াই জারি থাকবে।

    আরও পড়ুন :একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড়

     

LinkedIn
Share