Blog

  • Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    Ramayana Quiz: “সকলের পড়া উচিত”, রামায়ণ কুইজ় প্রতিযোগিতা জিতল দুই মুসলিম ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হিন্দুদের কাছে রামায়ণ-মহাভারত শুধুই মহাকাব্য নয়। এগুলো ধর্মগ্রন্থের সমান। চেতনাকে ঠিক পথে চালনা করার এক পথ প্রদর্শক। প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই পাওয়া যায় এই দুই গ্রন্থ। এই দুই মহাকাব্য হিন্দুরা পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষদেরও আকর্ষণ করার শক্তি রয়েছে রামায়ণ-মহাভারতের, সেটা জানতেন কি?

    সম্প্রতি এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হল দেশ। ‘রামায়ণ কুইজ়’ (Ramayana Quiz) – এ প্রথম স্থান অধিকার করলেন দুই মুসলিম যুবক (Muslim Students)। কী বিশ্বাস হচ্ছে না! এমনটাই ঘটেছে ‘ডিসি বুক্স’ (DC Books) নামের এক প্রকাশনী সংস্থার আয়োজিত কুইজ় প্রতিযোগিতায়। মহম্মদ জাবির পিকে (Mohammed Jabir P K) এবং মহম্মদ বাসিত এম (Mohammed Basith M), মালাপ্পুরমের দুই মুসলিম ছাত্র অনলাইন রামায়ণ কুইজে় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। তাঁরা দুজনেই কেকেএইচএম ইসলামিক অ্যান্ড আর্টস কলেজ, ভ্যালেনচেরিতে ওয়াফি কোর্স করছেন। প্রতিযোগিতাটিতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    আরও পড়ুন: সিএসআইআরে ডিজি পদে প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী, জানুন পরিচয় 

    আপনি যদি মহম্মদ বসিত এম- কে রামায়ণ থেকে তাঁর প্রিয় শ্লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তিনি অবিলম্বে ‘অযোধ্যাকাণ্ড’-এর শ্লোক আবৃত্তি করে শোনাবেন। যেখানে ক্রোধে ফেটে পড়ছেন লক্ষণ। আর ভাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন দাদা রাম। বোঝাচ্ছেন রাজত্ব, রাজপাট কতটা অপ্রাসঙ্গিক এবং অসাড় বিষয়। 

    শুধু যে শ্লোক উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করেন তা নয়, প্রতিটা শ্লোকের মানেও বোঝাবেন মিষ্টি স্বভাবের বাসিত। বিশেষত ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’ পাঠ করেন বাসিত। রামায়ণের মালায়ালি ভাষায় অনুবাদের নাম ‘আধ্যাত্ম রামায়ণ’। অনুবাদ করেছেন থুনচাথু রামানুজন এজুথাচান। এই কুইজ় প্রতিযোগিতায় পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন এই দুই মুসলিম যুবক, মহম্মদ জাবির পিকে এবং মহম্মদ বাসিত এম।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, উড়ান শুরু আকাসা এয়ারের 

    এই দুই যুবকের দাবি, তাঁরা ছোটবেলা থেকেই এই মহাকাব্যের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু মূলত ওয়াফি কোর্সে যোগদানের পর রামায়ণ এবং হিন্দুধর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে পড়তে এবং জানতে শুরু করেন। জাবির বলেন, “প্রত্যেকেরই উচিত রামায়ণ ও মহাভারত এই মহাকাব্যগুলি পড়া। কারণ মহাকাব্যগুলি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অংশ। আমি বিশ্বাস করি যে এই গ্রন্থগুলো শেখা এবং বোঝা আমাদের দায়িত্ব।”  

    বাসিত এ বিষয়ে বলেন, “মহাকাব্য পড়লে অন্য ধর্ম, তার মানুষদের সম্পর্কে আরও ভালো করে জানা যায়। কোনও ধর্মই ঘৃণার শিক্ষা দেয় না। শুধু শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচার করে। এই কুইজে় জয় আমাকে আরও গভীরভাবে মহাকাব্য সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করেছে।” জাবির বলেন, “রামকেও তাঁর পিতা দশরথকে দেওয়া কথা রাখতে রাজ্য ত্যাগ করতে হয়েছিল। আমরা যাঁরা এই সময়ে বাস করছি, যখন ক্ষমতা দখলের অবিরাম যুদ্ধ চলছে, সেখানে রামায়ণ মহাকাব্যের রামের মতো চরিত্র থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।   

    ভারতের ৯৭টি মুসলিম কলেজ ক্যাম্পাসে ওয়াফি পড়ানো হয়। আট বছর দীর্ঘ এই কোর্স। মূলত প্রধান ধর্মগুলি সম্পর্কে পড়ানো হয় এই কোর্সে।

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Commonwealth Games: লক্ষ্যের লক্ষ্যভেদ! কমনওয়েলথে পুরুষদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা ভারতের

    Commonwealth Games: লক্ষ্যের লক্ষ্যভেদ! কমনওয়েলথে পুরুষদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম গেমে হেরে গিয়েও সোনালি প্রত্যাবর্তন লক্ষ্যের (Lakshya Sen)। কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games) ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে ১৯-২১, ২১-৯, ২১-১৬ গেমে বিপক্ষ মালয়েশিয়ার জে ইয়ংকে হারিয়ে সোনা জিতলেন লক্ষ্য সেন। প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও স্নায়ুর জোরে পরের দু’টি গেমে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যপূরণ করলেন লক্ষ্য। এরই সঙ্গে কমনওয়েলথ গেমসে ২০টি সোনা হয়ে গেল ভারতের। বার্মিংহামের এনইসি অ্যারেনায় ফাইনালে বিশ্বমানের ব্যাডমিন্টন দেখতে পেলেন দর্শকরা।

    এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অল ইংল্যান্ডে পদক জিতেছেন লক্ষ্য। এ বার কমনওয়েলথেও পদক পেয়ে গেলেন। প্রথম প্রয়াসেই সোনা! তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দলগত ইভেন্টে খুব একটা ভাল না খেললেও, সিঙ্গলসে শুরু থেকেই ভাল খেলছিলেন লক্ষ্য। ফাইনালেও একই রকম ছন্দে দেখা গেল উত্তরাখণ্ডের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়কে। 

    আরও পড়ুন: অধরা স্বপ্নপূরণ! কমনওয়েলথে সিঙ্গলসে সোনা জয় সিন্ধুর

    ২০ বছর বয়সী লক্ষ্য সেন উত্তরাখণ্ডের আলমোরার বাসিন্দা। এদিন ইংয়য়ের বিরুদ্ধে প্রথম গেমে হেরে যান লক্ষ্য। ভারতের খেলোয়াড়ের কৌশল নিয়ে তখন সন্দিহান অনেকেই। এর পর দ্বিতীয় গেম থেকে তিনি ফিরে আসেন ফর্মে। তৃতীয় গেমে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য সেন কামব্যাক করেন। কমনওয়েলথ গেমসের শেষদিনে ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলস থেকে পরপর দুটো সোনার পদক এল। লক্ষ্যের আগে মহিলাদের সিঙ্গলসে কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার পিভি সিন্ধু সোনা  জেতেন। এরপর লক্ষ্য  সোনা জেতায় নিউ জিল্যান্ডকে টপকে পদক তালিকায় চার  নম্বরে থাকা নিশ্চিত করল ভারত।

     

  • Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডি (ED) হেফাজত শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut)। সোমবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) এই রাজনৈতিক নেতাকে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। রবিবার দিনভর তল্লাশির পর সোমবার গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার পত্র চাউল দু্র্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু তথ্যও চলে এসেছে। যা থেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে সঞ্জয়ের যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সঞ্জয়কে ফের তোলা হয় বিশেষ আদালতে। সেখানে শিবসেনা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান ইডি আধিকারিকরা। তার পরেই সোমবার পর্যন্ত সঞ্জয়কে ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউতকেও তলব করল ইডি। অভিযোগ, শিবসেনা সাংসদের স্ত্রী বর্ষা প্রবীণ রাউতের স্ত্রী মাধুরীর কাছ থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পরে ফের মাধুরির অ্যাকাউন্টে তিনি জমা দিয়েছিলেন ৫৫ লক্ষ টাকা। বাকি টাকায় বর্ষা মুম্বইয়ের দাদরে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্ষার নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের কাছে কিহিম সৈকতে বর্ষা রাউতের নামে ৮টি জমি কেনা হয়েছে। শুধু বর্ষার নামেই জমি নেই, সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ সুজিত পাটকরের স্ত্রী স্বপ্না পাটকরের নামে জমি কেনা হয়েছে সেখানে। বর্ষাকে জেরা করে এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব পেতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণেই  তাঁকে তলব করতে চলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি  

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যে খামে টাকাটি রাখা ছিল, তার ওপরে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নাম লেখা ছিল। সঞ্জয়ের দাবি, আদিত্য ঠাকরের অযোধ্যা সফরের জন্য রাখা হয়েছিল টাকাটি।

     

     

  • SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    SSC Scam: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee and Arpita Mukherjee) আরও দুই দিনের ইডি হেফাজত। SSC দুর্নীতির মামলায় (SSC Scam) এখনও সব তথ্য হাতে আসেনি। তাই দু’জনকেই ফের একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। তবে চারদিন নয় আরও ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ৫অগাস্ট পর্যন্ত সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে। জানা গিয়েছে, এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। তবে ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও এই হেফাজতের বিরোধিতা করেন।

    এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশের আগে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি (ED)। এদিন সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ পার্থ-অর্পিতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে দু’জনকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের উদ্দেশে রওনা হন ইডির আধিকারিকরা। হাসপাতালে থেকে বের হওয়ার সময় চুপ রইলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। মুখের কাছে দু’হাত জড়ো করে রেখে, চোখ বন্ধ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বরং হুইল চেয়ারে বসে থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। তাঁর শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছিল যে, তিনি যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    উল্টো দিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) মাস্ক নামিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে মুখ খুলতে দেননি। বুধবারও হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। এর আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কখনও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি। কখনও আবার বলেছেন, “নেত্রীর সিদ্ধান্ত ঠিক”, তবে দল থেকে সাসপেন্ড প্রসঙ্গে হেঁয়ালি বজায় রেখে জানান, সময় এলে বোঝা যাবে। 

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    সময় এলে সবকিছু বলব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার তাঁকে আরেক দফা নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। নগর আদালতের ইডি স্পেশাল কোর্টে এই আর্জি করেন তদন্তকারীরা। অফিসারদের দাবি, থিতু হওয়ার জন্য সময় চাইছেন পার্থ। ২৪ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অর্পিতা ইডির বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সূত্র ধরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সাফল্যও পেয়েছে ইডি। 

     

     

  • ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    ED-CBI Joint Raid Birbhum: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) পর এবার নজরে বীরভূম (Birbhum)। এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তের মাঝেই এবার কয়লাকাণ্ড (Coal smuggling) ও গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle smuggling) তদন্তেও ময়দানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে একা নয়, একেবারে সিবিআই-কে (CBI) সঙ্গে নিয়ে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী ও এক নেতার বাড়িতে সাতসকালে অভিযান চালাল যৌথ দল।

    বুধবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে সকালে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৬টি গাড়ির কনভয়। বেলা এগারোটার কিছু পরে বোলপুর (Bolpur) পৌঁছয় ইডি-সিবিআই নিয়ে গঠিত যৌথ তদন্তকারী দল। বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) রতন কুটির গেস্ট হাউজে ওঠেন আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। গন্তব্য, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং এক নেতার বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে একটি দল যায় নানুরের বাসাপাড়া ও আরেকটি দল যায় সিউড়ির (Siuri) দিকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের আদালতে পেশ পার্থ-অর্পিতাকে, পুনরায় হেফাজতে চাইবে ইডি?

    নানুরের (Nanur) বাসাপাড়ায় বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের (TMC leader Kerim Khan) বাড়িতে যান অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ গরুপাচার কাণ্ডে তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এছাড়া কেরিম খানের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তৃণমূল (TMC) নেতা তথা নানুরের আটকুলা গ্রামে চালের আড়তের মালিক মুক্তার শেখের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। 

    অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের (Stone trader Tulu Mondal) বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় সিবিআই অফিসারেরা।  এরা দু’জনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, টুলু মণ্ডল কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তাই তাঁর বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতেই ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চলছে।

    ইতিমধ্যে কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। ইলামবাজার-সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে উঠে এসেছে টুলু ও কেরিমের নাম। অভিযোগ, সায়গলের ব্যবসা নাকি টুলু দেখতেন। অন্য দিকে, এঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম। এই সব সূত্র ধরেই ইডি ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    অন্যদিকে, এসএসসি কাণ্ডে বীরভূমে পার্থ-অর্পিতার (Partha-Arpita) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে এদিন অভিযানে নামে ইডি-র (ED) আরেকটি দল। এদিন সকালে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়ি ‘অপা’-য় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রথমেই ওই বাড়িতে প্রবেশ করার পরই বাড়ির কেয়ারটেকারের থেকে বাড়ির দলিল পান ইডি আধিকারিকরা। রীতিমতো গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙার ‘অপা’ (Apa) কার্যত এখন দর্শনীয় স্থান। সামনে বিশাল লন, বিভিন্ন গাছপালায় সুসজ্জিত একটি বাড়ি। বাড়িটি শিক্ষক দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে এসেছে বোলপুরের জমির দলিল। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতার সুসেন বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘অপা’ বাড়িটি কিনেছিলেন পার্থ-অর্পিতা। বাড়িটির দলিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে৷

  • National Flag DP: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি-র সঠিক মাপ জানেন তো?

    National Flag DP: ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি-র সঠিক মাপ জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচার অথবা ডিপি বদলের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ফেসবুক ও টুইটারে প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার (Indian National Flag) ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি বদলে দেশের জনতাকেও প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি । ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (76th Independence Day) উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের কাছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি করা পালন করার ডাক দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবিতে জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়ার জন্য সকল দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মোদি।      

    [tw]


    [/tw]

    ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, “আজকের ২ অগস্ট দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছি, তখন আমরা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় পতাকাকে উদযাপন করব। সেই কারণে সব সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার ডিপি বদলেছি এবং আপনাদেরও ছবি বদলানোর অনুরোধ করছি।” জাতীয় পতাকার নকশা প্রণয়নকারী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে মোদি লেখেন, “জন্মবার্ষিকীতে পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়াকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। জাতীয় পতাকা প্রদান করার জন্য আমাদের দেশ সারাজীবন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা গর্বিত এবং তাঁর থেকে উদ্দীপনা নিয়ে আমরা দেশের উন্নতিতে কাজ করব।”   
     
    [tw]


    [/tw]

    এবার জেনে নিন কীভাবে জাতীয় পতাকায় বদলাবেন আপনার প্রোফাইল পিকচার? 

    ফেসবুক

    প্রথমে প্রোফাইল পিকচারে ট্যাপ করুন। তারপর ‘Add Frame’ করুন। 

    তারপর ‘Flags’ অপশনে গিয়ে , তালিকায় ‘India’ – তে ক্লিক করুন।

    তাহলেই ভারতের পতাকা আপনার প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সেভ হয়ে যাবে। 

    ইনস্টাগ্রাম

    প্রোফাই আইকনে যান।

    সেখানে গিয়ে চেঞ্জ প্রোফাইল ফটোতে গিয়ে আগে থেকে ডাউনলোড করা তেরঙ্গার ছবি সিলেক্ট করুন।

    তাহলেই জাতীয় পতাকা চলে আসবে প্রোফাইলে।

    হোয়াটসঅ্যাপ 

    প্রোফাই ছবিতে যান।

    সেখানে গিয়ে চেঞ্জ প্রোফাইল ফটোতে গিয়ে আগে থেকে ডাউনলোড করা তেরঙ্গার ছবি সিলেক্ট করুন।

    তাহলেই জাতীয় পতাকা চলে আসবে প্রোফাইলে।

    ট্যুইটার

    একই ভাবে বদলাতে পারবেন ট্যুইটারের প্রোফাইল পিকচার। 

    কিন্তু ছবি সেভ করলেই হবে না। খেয়াল রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন দেশের জাতীয় পতাকার অবমানতা না হয়। কারণ ছবির মাপ ঠিক না হলে যেকোনও জায়গা থেকে কেটে যেতে পারে ছবি। তাই কোন সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কত মাপের ডিপি দেওয়া যায় সেটা জেনে ছবি পছন্দ করুন। 

    জেনে নিন কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্যে কোন মাপের ছবি লাগবে? 

    ফেসবুক: ১৭০/১৭০  পিক্সেল 
    ট্যুইটার: ৪০০/৪০০ পিক্সেল 
    ইনস্টাগ্রাম: ১৮০/১৮০ পিক্সেল 
    হোয়াটসঅ্যাপ: ৫০০/৫০০ পিক্সেল 

     

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    TMC on ‘Chor’ slogan: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতাদের। আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের শাসক দলের। জনতার রোষে এতটাই জর্জরিত তৃণমূল যে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘তৃণমূলে সবাই চোর নয়’ – এই বিবৃতি দিতে হচ্ছে প্রথম সারির নেতাদের। আর এই সবে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় যে মোটেই খুশি নয় তাঁরা সে কথাও জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    হাসপাতাল থেকে হাসতাপাল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের দেখলেই এখন ভেসে আসছে একটাই আওয়াজ। কেউ মুখ লুকিয়ে কোনও রকমে পালাচ্ছেন। কেউ আবার বুকে হাত দিয়ে সবকিছু শুনছেন। উপায় নেই। অনেকে বলছেন, পাপের ফল। যে যাই বলুক, একের পর এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর এখন আর কেউ ভয় পাচ্ছে না শাসককে। তাই কেলেঙ্কারির নায়কদের দেখলেই রব উঠছে, চোর চোর চোর। এসএসসি কেলেঙ্কারি থেকে গরু, কয়লা পাচার। দুর্নীতির পাহাড়ে বসে কিছুদিন আগেও ক্ষমতার আস্ফালন করতে দেখা গিয়েছিল এই নেতাদের। এখন সবকিছু সামনে আসতেই লজ্জায় মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা। অনুব্রত থেকে পার্থ জনতার ‘চোর’ বদনাম থেকে রেহাই পাননি কেউ। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে জুতোও চুড়ে মারেন এক মহিলা।  কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন আরও অনেকে। সকলেই ভয় পাচ্ছেন, তাঁকেও না শুনতে হয় এই চোর অপবাদ। চায়ের ঠেক থেকে বিধানসভা সব জায়গায় একটাই আলোচনা, ‘তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি’। আর এতেই বেজায় বিপদে পড়েছে তৃণমূল। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচার কাণ্ডে আজ সিবিআই আদালতে সাত ইসিএল কর্তা

    তাই ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘চোর’ না হওয়ার সাফাই দিতে হচ্ছে।  তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমসহ (Firhad Hakim) অন্যান্য নেতারা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে। একটা মামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? অনেকে রোজগারের টাকায়, ব্যবসা করেছি? অদ্ভুত লাগে, অর্ধ সত্য প্রকাশিত হচ্ছে।”  

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ” আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। সেই সব নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।” 

    তাহলে কি এবার ভয় পেতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা! এবার কার ডাক পড়বে ইডি দফতরে তার ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছেন! তার তাতেই কি আগাম সাফাই? যাতে এরপর তাঁদের দিকেও না আসে চোর স্লোগান। এমনটাই কিন্তু বলছে রাজনৈতিক মহল।  

  • UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত

    UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেটের দ্বিতীয় পর্ব, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেট (UGC-NET) পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্ব। সোমবার (৮ অগস্ট) পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অগাস্টে নেটের দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বদলে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এর আগে ১২ থেকে ১৪ অগস্টের মধ্যে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।”  

    আরও পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কুয়েট পিজি, জানাল ইউজিসি
     
    এদিন ইউজিসির চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার (UGC Chairman M Jagdesh Kumar) ট্যুইটে লেখেন, “ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) গত ২০২২ সালের ৯, ১১ এবং ১২ জুলাই, সারা দেশের ২২৫টি শহরের ৩১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩৩টি বিষয়ের একত্রিতভাবে ইউজিসি-নেট প্রথম পর্বের পরীক্ষা নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা আগে ২০২২ সালের ১২, ১৩ এবং ১৪ অগাস্টে হওয়ার কথা ছিল। তবে, এখন ইউজিসি-নেট ডিসেম্বর ২০২১ এবং জুন ২০২২-এর একত্রিত চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা ২০২২ সালের ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬৪টি বিষয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা।”   

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্নাতক স্তরে ভর্তির শেষ তারিখ চূড়ান্ত না করার আর্জি ইউজিসির

    কী ভাবে ডাউনলোড করবেন অ্যাডমিট কার্ড? 

    • ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি পরিচালিত এই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে প্রথমে ইউজিসি নেটের সরকারি ওয়েবসাইট, ugcnet.nta.nic.in -এ যান। 
    • হোম পেজের নিচের দিকে ‘ক্যান্ডিডেটস অ্যাক্টিভিটিস’ বলে একটি বিভাগ রয়েছে, তার মধ্যে থাকা ইউজিসি নেট অ্যাডমিট কার্ড লেখা লিঙ্কে ক্লিক করুন। 
    • এরপর রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে লগইন করুন। তাহলেই ইউসিজি নেট ২০২২-এর অ্যাডমিট কার্ড স্ক্রিনে চলে আসবে।
    • সেটি ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্যে প্রিন্টআউট নিয়ে রাখুন।   

     

     

     

LinkedIn
Share