Blog

  • T20 World Cup: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জিতে গ্রুপ শীর্ষে ভারত, সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড 

    T20 World Cup: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জিতে গ্রুপ শীর্ষে ভারত, সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেল ভারত। গ্রুপে শীর্ষস্থান দখলে রেখে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। বৃহস্পতিবার ১০ তারিখ ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
    ২ বল বাকি থাকতেই চার উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার সেমিফাইনাল সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচের ফলাফল সকলেরই জানা ছিল। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার জয় চেয়েছিল। শ্রীলঙ্কা জিতলে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারত অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজক দল প্রথম থেকেই টুর্নামেন্টে পিছিয়ে ছিল। এদিকে এর আগেরকার ফাইনালে হেরে যাওয়া কিউইরা সবার আগে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মতো পাচটি ম্যাচে সাত পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের নিরিখে পিছিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া।
    শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচটি সহজে জয় হয়নি জশ বাটলারদের। শেষ দু-ওভারে লড়াই জমে ওঠে। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ৪ উইকেট। তবে ক্রিজে তখনও বহুযুদ্ধের নায়ক বেন স্টোকস। স্নায়ুর চাপ সামলানোর মঞ্চে বেন স্টোকস বরাবরই ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেন। এ দিনও ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হল তাঁর সৌজন্যেই। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন ক্রিস ওকস। ২ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয়। 
    অপরদিকে আজ জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে সহজেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) বিরুদ্ধে সে কারণেই ভারতকে নিয়ে যেন একটু চিন্তার জায়গা ছিল। কেননা এমন ম্যাচেই আত্মতুষ্টির উপর ভর করে। সেমিফাইনালের আগে যা অস্বস্তির হতে পারত। ভারত অবশ্য জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দাপট রেখেই ৭১ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল। গ্রুপ ২-এর পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে উঠল ভারত। 
    সেমিফাইনালে উঠলেও রোহিতদের এক নতুন চিন্তা ভাবাচ্ছে।

     

    ম্যাচের শেষে ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত বলেছেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। আমাদের দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা ওখানে আগেও একটা ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু তার পরেও নিশ্চিন্ত হলে হবে না। ইংল্যান্ড খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। আশা করছি ওদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই হবে।
    তিনি আরও জানান, ভারতীয় লাইন-লেংথের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, অ্যাডিলেডে দুই পাশের বাউন্ডারি একটু ছোট। সামনে, পিছনে লম্বা। সে দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। মাঠের সুবিধা নিতে হবে আমাদের।

     



    প্রসঙ্গত, জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বলে অপরাজিত ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন সূর্যযাদব। তিনি ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। তার প্রশংসায় রোহিত বলেছে, তাঁর প্রশংসা করে রোহিত বলেছেন, সূর্য যে ভাবে খেলছে তা এক কথায় অসাধারণ। খেলতে নেমে শুরু থেকেই একই রকম ছন্দে খেলা খুব কঠিন। ওর জন্য অন্য ক্রিকেটারদের চাপ অনেকটা কমে যায়। সূর্য যখন ব্যাট করে তখন ডাগআউটও খুব নিশ্চিন্ত থাকে। আমরা চাই পরের ম্যাচগুলোতেও সূর্য একই ভাবে ব্যাট করুক। দিন দিন সূর্য আরও ভাল খেলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Twitter: কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে  H1B ভিসাধারীদের

    Twitter: কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থা ট্যুইটার। প্রায় ৫০% কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই অপসারণের চিঠি পেয়ে গিয়েছেন অনেক কর্মী। বাকিরাও ‘এই চিঠি এল, এই চিঠি এল’ এই ভয়ে মরে যাচ্ছেন। কিন্তু সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন H1B ভিসাধারীরা। কারণ তাঁদের চাকরি গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। কারণ চাকরি চলে যাওয়ার পর এই ভিসাধারীদের ৬০ দিনের সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে চাকরি না পেলে সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন তাঁরা। 

    ট্যুইটারের ৭,৫০০ কর্মীর মধ্যে ৮%- ই H1B ভিসা নিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ ৬২৫-৬৭০ জন কর্মী। তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শিকতা আছে এমন বিদেশি নাগরিকরা H1B ভিসা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই দেশে থাকতে পারেন এবং চাকরি করতে পারেন। এই ভিসা মূলত যে কোম্পানিতে সেই ব্যক্তি চাকরি করছেন, সেই কোম্পানিই স্পনসর করে থাকে। মজার বিষয় হল, বহু বছর আগে ইলন মাস্কও একদিন এই ভিসা নিয়ে মার্কিন মুলুকে চাকরি করতে এসেছিলেন।

    এখনও যদিও জানা যায়নি যে, কতজন বিদেশি নাগরিককে চাকরি থেকে অপসারণ করা হবে। এই বিশেষ ভিসায় চাকরি যাওয়ার পর সেই দেশে থাকার বাড়তি ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে কোনও একটা চাকরি পেতে হবে, যাতে তিনি আবার সেই ভিসার স্পনসরশিপ পান, বা ৬০ দিন পরে সেই দেশ ছেড়ে দিতে হবে। 

    সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনেছেন ইলন মাস্ক (Elon Mask)। ট্যুইটার নিজের দায়িত্বে আসার পর থেকেই একের পর এক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেসলা কর্ণধার। এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি। কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে চলছে হিসেব নিকেষ। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক প্রায় ৩,৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছেন। সেই সঙ্গে ট্যুইটারের কর্মীদের যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পলিসি চলছিল, তাও এবার শেষ হতে চলেছে।  ট্য়ুইটারে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের এবার অফিসে এসে কাজ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুর্নীতির সেই ট্র্যাডিশন, অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান
     
    শুধু তাই নয়। সংস্থার অর্থনীতির হাল ফেরাতে এবার কর্মীদের বেতন কমানোর রাস্তাতেও হাঁটতে পারেন ট্যুইটারের নয়া মালিক। বিশেষ করে সেলস, প্রোডাক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, লিগাল, ট্রাস্ট এবং সেফটি, এই দফতরগুলি থেকে একাধিক কর্মীর বেতন কমানো হচ্ছে বলে খবর। সেখানকার বোর্ড অফ ডিরেক্টরটেও খুব শীগগির পরিবর্তন আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • JP Nadda: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    JP Nadda: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কুর্সিতে ফের বিজেপি (BJP) এলে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য থাকবে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণও। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শনিবার দলের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতিই দিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

    হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। সতেরোর বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টি আসন পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস (Congress) পেয়েছিল ২১টি আসন। একটি আসন পেয়েছিল সিপিএম (CPM)। অন্যরা পেয়েছিল ২টি আসন। এবার ভোট হবে ১২ নভেম্বর। বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস। নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন নাড্ডা (JP Nadda)। এর মধ্যে ছিল ৮ লক্ষ চাকরি, উচ্চ শিক্ষার পাঠ নিতে যাওয়া মেয়েদের স্কুটার দেওয়া এবং রাজ্যে পাঁচটি নয়া মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনও।

    এদিন বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করেন নাড্ডা (JP Nadda)। এই ইস্তেহারের পোশাকি নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। এই ‘সঙ্কল্প পত্র’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে নাড্ডা বলেন, রাজ্যের ক্ষমতায় ফের বিজেপি এলে চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। এজন্য গড়া হবে কমিটিও। রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তির কত পরিমাণ অংশ অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানতে বিজেপি সরকার সমীক্ষা করবে বলেও আশ্বাস দেন নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: ‘পদ্ম চিহ্নে ছাপ দেওয়া মানেই মোদিকে ভোট দেওয়া’, হিমাচল প্রদেশের জনসভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মহিলা ভোটারদের কথা মাথায় রেখে নাড্ডা (JP Nadda) এদিন আলাদা একটি ইস্তেহার প্রকাশ করেন। তাতেই ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা। বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠরত মেয়েদের সাইকেল দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন নাড্ডা। এদিনই প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের (Congress) নির্বাচনী ইস্তেহারও। তাকে কটাক্ষ করে নাড্ডার (JP Nadda) সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ওই ইস্তেহারের না আছে কোনও দিশা, না আছে ভার। জানা গিয়েছে, এই ইস্তেহারের খসড়া তৈরির আগে একটি কমিটি গড়েছিল বিজেপি। ওই কমিটির সদস্যরা কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তার পরেই তৈরি হয় খসড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: ‘পদ্ম চিহ্নে ছাপ দেওয়া মানেই মোদিকে ভোট দেওয়া’, হিমাচল প্রদেশের জনসভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘পদ্ম চিহ্নে ছাপ দেওয়া মানেই মোদিকে ভোট দেওয়া’, হিমাচল প্রদেশের জনসভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বারংবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষায়, এটা হল ডাবল ইঞ্জিন সরকার। শনিবার হিমাচল প্রদেশের এক জনসভায় ফের একবার ডাবল ইঞ্জিন সরকারের হয়ে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। তারই সঙ্গে বললেন, পদ্মফুল চিহ্নে ছাপ দিলে তা আশীর্বাদ হয়ে পড়বে মোদির ঝুলিতে। তিনি বলেন, প্রার্থী কে, তা দেখার দরকার নেই। পদ্মফুল চিহ্নে ছাপ দেওয়া মানে মোদিকে ভোট দেওয়া।

    ৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টি পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস (Congress) পেয়েছিল ২১টি আসন। একটি আসন পেয়েছিল সিপিএম (CPM)। অন্যরা পেয়েছিল ২টি আসন। এবার ভোট হবে ১২ নভেম্বর। সেই উপলক্ষেই এদিন জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মোদি (PM Modi)। এ রাজ্যের সঙ্গে তাঁর যে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই বলেন, জানতে চান কে বিজেপি প্রার্থী? আপনার কাউকে মনে রাখার দরকার নেই। শুধু মনে রাখুন, পদ্ম। হাতের পদ্ম দেখিয়ে মোদি বলেন, আমি পদ্ম নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যদি ভোট দিতে গিয়ে পদ্মফুল চিহ্ন দেখেন, বুঝবেন এটাই বিজেপি। এটাই মোদি, যিনি আপনাদের কাছে এসেছেন। তিনি বলেন, পদ্ম চিহ্নে ভোট দেওয়া মানেই তা আশীর্বাদ হয়ে চলে আসবে আমার ঝুলিতে।

    আরও পড়ুন: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    মোদি (PM Modi) বলেন, দিল্লিতে মোদি সরকার রয়েছে। এখানেও মোদির হাত শক্ত করতে হবে। এ রাজ্যে ফের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বিজেপির সরকার। এদিনের জনসভায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে একহাত নেন মোদি। বলেন, এর আগে দেশে কংগ্রেসের সরকার ছিল। তারা দেশে স্থিতাবস্থা চায়নি। নিজেদের স্বার্থেই ছোট ছোট রাজ্যেও তারা কখনওই স্থায়ী সরকার চায়নি। মোদি বলেন, এই স্বার্থপরের দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে। সমাজ ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে। চক্রান্ত করেছে দেশের ঐক্য ভাঙার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস মানেই অস্থায়িত্ব, কংগ্রেস মানেই দুর্নীতি, কংগ্রেস মানেই স্বার্থপরতা এবং কংগ্রেস মানেই স্বজনপোষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shweta Bachchan: ৩,০০০ টাকা মাস মাইনের স্কুলের চাকরিও করেছেন, জানালেন অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা

    Shweta Bachchan: ৩,০০০ টাকা মাস মাইনের স্কুলের চাকরিও করেছেন, জানালেন অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বাবা-মা অমিতাভ বচ্চন- জয়া বচ্চন। কিন্তু স্বাবলম্বী না হওয়ার দুঃখ আজও বয়ে বেড়ান তিনি। তিনি শ্বেতা বচ্চন নন্দা। শিল্পপতি নিখিল নন্দার স্ত্রী। নিখিল নন্দা করিনা-রনবীরের তুতো ভাই। প্রাচুর্যের এই চূড়ায় থেকেও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকার বিষয়ে বরাবর অকপট তিনি। সম্প্রতি আরও একবার মেয়ে নভ্যা নভেলির পডকাস্ট শোতে সেই কথা স্বীকার করে নিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কবে ভারতে আসবে ট্যুইটার ব্লু? প্রশ্নের জবাবে কী বললেন ইলন মাস্ক?  

    শ্বেতা জানান, তখন সবে বিয়ে হয়েছে তাঁর। মুম্বই ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে সংসার পেতেছেন। কিন্তু নিজের খরচ চালানোরও সামর্থ্য ছিল না তাঁর। আবার স্বামী নিখিল নন্দার কাছে হাত পাততেও পারতেন না। তাই সেই সময় শ্বেতা দিল্লির একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। মাসে ৩ হাজার টাকার বেতনের ওই চাকরিতেই সেই সময় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্বেতা।

    তাঁর স্বাবলম্বী না হওয়ার দোষ পুরোপুরিই মা জয়া বচ্চনকে দিয়েছেন শ্বেতা। তাঁর কথায়, বাব-মা-ই তাঁর সন্তানদের স্বাবলম্বী হওয়া শেখায়। কিন্তু জয়া তা হতে দেন নি। শ্বেতা জানান, তিনি স্কুল কলেজের সময় ভাই অভিষেকের কাছ থেকে টাকাও ধার নিতেন। পাশাপাশি এও বলেন, টাকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলা।

    আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুশকা গুনাথিলাকা 

    তবে শ্বেতা এ-ও জানান যে, তাঁর বাড়ির টাকার সব দায়িত্ব এখন তাঁর মেয়ে নব্যার। তাঁর মেয়েই সবটা গুছিয়ে রাখেন। শ্বেতার মেয়ে নব্যা এবং ছেলে অগস্ত্য। অনেকেই আশা করেছিলেন, অভিনয়ে পা রাখবেন নব্যা নভেলি। কিন্তু এখনই তাঁর কোনও চিন্তাভাবনা নেই অভিনয়ে আসার। অন্য দিকে খুব তাড়াতাড়ি বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে অগস্ত্যের।

    মেয়ে নব্যা নন্দার (Navya Nanda) চ্যাট শো-তে একসঙ্গে এসেছিলেন জয়া এবং শ্বেতা। অর্থাৎ এক মঞ্চে বচ্চন পরিবারের তিন প্রজন্ম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরে এলো বীরভূমের সিউড়িতে (Birbhum Siuri)। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে (Tmc inner clash) খুন হল এক জন। আগুন লাগানো হল একাধিক বাড়িতে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যখন খোদ সিউড়িতে হাজির, তখনই কাল মাঝরাত থেকে এই কাণ্ড চলল সেখানে । বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে খুন হতে হল কাজল শেখের বিরোধী গোষ্ঠীর একজনকে। তার নাম ফাইজুল সেখ। এর পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল কাজল শেখের বাড়ি চত্বরে। পুলিশের সামনেই চলল লাগাতার বোমাবাজি। 

    বীরভূমে বালি খাদানের দখল নিয়ে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল বহু পুরনো। ইদানিং তা চরম আকার নিয়েছিল কাজল সেখ ও আতাউর সেখ গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মেটানোর চেষ্টা চললেও, এবার তা চরম আকার নিল। আতাউরের অভিযোগ, কাজলের লোকজন তার দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল। খুনের হুমকিও দিয়েছিল। গতকাল রাতে বাঁশজোড় এলাকায় তারা ফাইজুল সেখকে ভোজালির কোপ মারে। দেহের বিভিন্ন অংশে ভোজালির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে ফাইজুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    হাসপাতাল চত্বরে হাজির মৃতের ঘনিষ্ঠদের স্পষ্টই বলতে শোনা যায়, ‘কেন পার্টি করছিস!মুখ খুললে একজনের পর এবার অনেককে খুন হতে হবে।’ এই স্বগতোক্তিই বুঝিয়ে দেয়, বীরভূম তৃণমূলের প্রকৃত চেহারা। অনেকদিন ধরেই বালি খাদান দখল নিয়ে শাসক দলের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে। আর এই কাজিয়াকে ঘিরে প্রায়শই সেখানে চলে বোমাবাজি। খুনের ঘটনাও ঘটে আকছার। বহুদিন ধরেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে কাজল সেখের। গতকাল সেই কাজল সেখের সঙ্গেই এক ছবিতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে।

    অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বীরভূমে যখন ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় সেখানে ছুটে যান ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রতকে সেখানে তিনি বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। কয়লা পাচার, গরু পাচারে অভিযুক্ত হয়ে যখন নিজের এলাকাতেই নিন্দিত অনুব্রত, তখন তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে একটা শ্রেণীকে চাঙ্গা করতে চান রাজ্যের মন্ত্রী। কথা বলেন কাজল সেখের সঙ্গেও। আর তারপরই এই খুনের ঘটনা। খুন, আগুন, বোমাবাজি। বীরভূমে তৃণমূল আছে একই মেজাজে। আর তার ফলে কখনও জ্বলছে বগটুই, কখনও বাঁশজো়ড়।

  • Twitter Blue: কবে ভারতে আসবে ট্যুইটার ব্লু? প্রশ্নের জবাবে কী বললেন ইলন মাস্ক?

    Twitter Blue: কবে ভারতে আসবে ট্যুইটার ব্লু? প্রশ্নের জবাবে কী বললেন ইলন মাস্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবে ট্যুইটার ব্লু (Twitter Blue) আসবে ভারতে? এমনই এক প্রশ্ন সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইটের নয়া মালিককে করেছিলেন এক ভারতীয়। উত্তর দিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। পাল্টা ট্যুইটে লেখেন, এক মাসের কম সময়েই ভারতে চলে আসবে ট্যুইটারের এই বিশেষ ভার্সান।   

    কিছু কিছু জায়গায় ট্যুইটারের ৮ মার্কিন ডলারের এই বিশেষ ফিচার এসেছে। এই ফিচার মূলত আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্যে। নতুন ভেরিফিকেশন সিস্টেমের ট্যুইটার ব্লু্র সুবিধা আপাতত ইউএস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে- এর আইফোন ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন।

     

    আইফোনের ট্যুইটার অ্যাপের বিষয়ে একটি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ট্যুইটার ব্লুতে আরও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে। এখন সাবস্ক্রাইব করলে প্রতিমাসে ৭.৯৯ মার্কিন ডলারেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।  

    ট্যুইটার আরও জানায়, ট্যুইটার ব্লু ব্যবহারকারীদের হ্যান্ডেলে তারকাদের মতোই ব্লু টিক থাকবে। নতুন ফিচারগুলি সম্পর্কেও জানিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপনের পরিমাণ অর্ধেক করা হবে, আরও দীর্ঘ ভিডিও পোস্ট করা যাবে, কন্টেন্ট- এর প্রায়োরিটি র‍্যাঙ্কিং করা হবে। এতে স্প্যাম, বটের পরিমাণ কমে আসবে। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় গেমসে অংশ নিচ্ছেন না নীরজ! সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ, চোটমুক্ত থাকাই লক্ষ্য

    সম্প্রতি ব্লু টিকের জন্যে ট্যুইটার মাসিক চার্জ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এতে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেট পাড়া। অনেকেরই বক্তব্য, সাংবাদিক, লেখকরা প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট শেয়ার করেন ট্যুইটারে। তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অনৈতিক। অনেকে আবার ইলন মাস্কের এই নতুন সিদ্ধান্তের প্রশংসাও করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমের ফলে, অনেক নতুন ফিচারের সুবিধাও উপভোগ করা যাবে। 

    ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ট্যুইটার ব্লু- র মাসিক ভাড়া দেশের চাহিদা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • China Spy Ship: ভারত মহাসাগরে ফের চিনা গুপ্তচর জাহাজ, কারণ জানেন?  

    China Spy Ship: ভারত মহাসাগরে ফের চিনা গুপ্তচর জাহাজ, কারণ জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও গুপ্তচর (China Spy Ship) জাহাজ পাঠাল শি জিন পিংয়ের দেশ। বর্তমানে ভারত মহাসাগরে রয়েছে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত (India)। ভারতীয় নৌবাহিনী এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। নজর রাখছে জাহাজটির ওপরও।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগরে চিন যে গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship) মোতায়েন করেছে, সেটি ভারতের জলসীমার অনেক দূরে। তবুও নিরাপত্তার খাতিরে ড্রাগনের দেশের ওই গুপ্তচর জাহাজটির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। মানববিহীন এরিয়াল ভেহিক্যাল দিয়েই চালানো হচ্ছে নজরদারি।

    অগাস্ট মাসেই একটি চিনা গুপ্তচর (China Spy Ship) জাহাজ নোঙর করেছিল শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে। এরই কিছু দিন আগে চিনের ওই জাহাজটি রওনা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। জাহাজটি যাতে হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য শি জিন পিংয়ের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি।

    জানা গিয়েছে, ওই গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship) চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হাম্বানটোটায়। কয়েকদিন পরে শ্রীলঙ্কার বন্দর ছাড়ে জাহাজটি।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    সূত্রের খবর, বর্তমানে বালি উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে চিনের এই নয়া গুপ্তচর জাহাজটি (China Spy Ship)। এটি এমন এক সময় ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছে, যখন ভারত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নোটিশ জারি করেছে। প্রসঙ্গত, ভারত ১০-১১ নভেম্বরের মধ্যে ওড়িশা উপকূলে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে নিক্ষেপ করতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ২২০০ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার উত্তর প্রদেশের আব্বাস আনসারি (Abbas Ansari)। তিনি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। মউ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) ছেলে। শনিবার আব্বাসকে গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সংস্থার আধিকারিকরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার করা হয়েছে মুখতারের ছেলেকে।

    ইডির আধিকারিকরা জানান, বছর তিরিশের আব্বাসকে গ্রেফতার করার আগে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ফেডারেল এজেন্সির অফিসে জেরা করা হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতার করা হয় মউয়ের বিধায়ককে। তাঁরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর বাবা (Mukhtar Ansari) এবং পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাসকে। জানা গিয়েছে, মুখতার আনসারির সাতটি স্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। যার মূল্য ১.৪৮ কোটি টাকা।

    মুখতার আনসারি (Mukhtar Ansari) বর্তমানে উত্তর প্রদেশেরই বান্দা জেলে বন্দি। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন। গতবছর এই মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কেবল তাঁকেই জেরা নয়, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর দাদা এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আফজল আনসারির দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। গাজিপুর, মোহম্মদাবাদ, মউ এবং লখনউতেও হানা দিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। মুখতারের (Mukhtar Ansari) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে। এছাড়াও দুটি অভিযোগ দায়ের হয় বিকাশ কনসট্রাকশান নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই কোম্পানিটি চালান মুখতারের স্ত্রী, দুই শ্যালক এবং অন্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) বিচার চলছে সাতটি মামলায়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও। অগাস্ট মাসেই গাজিপুর জেলা প্রশাসন তাঁর দুটি জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে রোজগারের টাকায় কেনা হয়েছিল ওই দুটি জমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • 100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ (100 Days Work) প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে চাপ। বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করছেন, বিকল্প কাজ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা যে নিছকই ফাঁকা আওয়াজ মাত্র, সরকারি নির্দেশেই তা স্পষ্ট।

    সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দফতরের তরফে জবকার্ড (Job Card) হোল্ডারদের যে কাজ দেওয়া হচ্ছে, তা সন্তোষজনক নয়। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সার্কুলারের নীচেই কী কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে।

    প্রথম করণীয় কর্তব্য হিসেবে বলা হয়েছে, যে সব অদক্ষ শ্রমিকের জবকার্ড রয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেবল তাঁদেরই নিযুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয় কর্তব্য হল, যাঁরা কোনওভাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন, অথচ জবকার্ড নেই, জেলা প্রশাসনের উচিত তাঁদের তা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া। মুখ্য সচিবের জারি করা ওই নির্দেশিকায় হইচই রাজ্যজুড়ে। 

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। গরিব মানুষ যাতে উপকৃত হন, সেজন্য একাধিক প্রকল্পও চালু করেছে মোদি সরকার। অভিযোগ, সেই সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানো হচ্ছিল। একশো দিনের কাজেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। শেয়ালকে কুমির ছানা দেখানোর মতো একই কাজকে বিভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। সেই ‘চুরি’র পর্দা ফাঁস হয়ে যেতেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। 

    পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দিতে দিল্লি যে নারাজ, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকর্তা ধরমবীর ঝা রাজ্যের পঞ্চয়েত সচিব পি উল্গানাথনকে চিঠি দিয়ে এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যে গ্রামান্নোয়ন প্রকল্পে খরচের অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যে সব প্রশ্ন তুলেছিল তা কার্যকর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে দিল্লি যে সন্তুষ্ট নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে এই চিঠিতে।

    প্রায় ২ কোটি টাকা ভুয়ো খরচ হয়েছে বলে কেন্দ্রকে পাঠানো অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। পরের চিঠিতে কেন্দ্রীয় অধিকর্তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে মাটি ফেলার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সব কাজে খরচ হওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই কাজে যে সব সরকারি কর্মচারি বা পঞ্চায়েত কর্মী টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রের মতে, চালু রাস্তার ওপর মাটি ফেলার নাম করে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এঁরা সবই অদক্ষ শ্রমিক। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, ১৬টি সরকারি দফতর থেকে জবকার্ড হোল্ডার এই অদক্ষ শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু, গত মে মাস থেকে এই দফতরগুলি মাত্র ২৮ লক্ষ ৪৪ হাজার জবকার্ড হোল্ডারকে গড়ে ১৮ দিন কাজ দিতে পেরেছে। ফলে, কাজ না থাকায় জব কার্ড হোল্ডারদের একটা বড় অংশ কাজ পাচ্ছেন না। তাই এখন জবকার্ড বিলিতে কাটছাঁট করতে চাইছে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    স্বাভাবিকভাবেই নবান্নের এখন জোড়া চিন্তা। এক, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পাওয়া এবং দুই, গ্রামবাংলার কর্মহীন মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দেওয়া। আপাতত তারই পন্থা হাতড়াচ্ছে নবান্ন। সেই কারণেই সরকারি সার্কুলার বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share