Blog

  • India-Srilanka: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    India-Srilanka: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশ দেশ শ্রীলঙ্কার (Srilanka) বিপদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত (India)। কিন্তু এবারে শ্রীলঙ্কার জন্য ভারতকে বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ চিনের একটি সামরিক জাহাজ সম্প্রতি রওনা দিয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের উদ্দেশ্যে। আর এই জাহাজকে নিয়েই শুরু হয়েছিল জল্পনা। ফলে এই জাহাজ প্রবেশের সময় পিছিয়ে দিল শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার রনিল বিক্রমসিংহে। আগামী সপ্তাহেই হাম্বানটোটা বন্দরে প্রবেশের কথা ছিল এই চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর। অনুমান করা হয়েছে, ভারতের ওপর নজর রাখার জন্যই এই জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কার বন্দরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার ভারতের কথা ভেবেই এই জাহাজ প্রবেশে কিছুসময়ের জন্য নিষেধ করেছেন।

    জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়েছে যে পরবর্তী আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত এই জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রক এই চিনা জাহাজ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল। অর্থাৎ গোটাবায়া দেশ ছাড়ার আগেই তিনি এই অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এর ফলে যে ভারতের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় প্রশ্ন উঠবে তা জেনেও শ্রীলঙ্কা এতে রাজি হয়েছিল। এতে ভারতের নৌবাহিনীর ওপরেও বিপদ আসতে পারে জেনেও তারা এই চিনের কথা মেনে নিয়েছিল। এর ফলেই পরে ভারত শ্রীলঙ্কার এই পদক্ষেপের বিরোধিা করে ও পরে কলম্বো চিনকে জাহাজের প্রবেশের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া মুখপাত্র কর্নেল নলিন হেরাথ (Colonel Nalin Herath) জানিয়েছেন, চীন শ্রীলঙ্কাকে জানিয়েছে যে তারা ভারত মহাসাগরে নজরদারি ও নৌচলাচলের জন্য জাহাজটি পাঠাচ্ছে। এর ফলেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনের যুদ্ধজাহাজ আসা নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে। আর ভারত মহাসাগরে ঢুকে শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি এলেই চিনা জাহাজ ভারতীয় নৌসেনাদের ওপর নজরদারি চালাতে পারবে বলেই ভারত এই অবস্থায় চিন্তায় রয়েছেন।

    এর আগেও ২০১৪ সালে দু’টি চিনা ডুবোজাহাজের হাম্বানটোটা বন্দরে প্রবেশ করায় আপত্তি করা হয়েছিল নয়াদিল্লির তরফে। সেই সময়ও ভারতীয় নৌ-সেনা সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এবারে আবারও জাহাজ প্রবেশের কথা উঠলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলম্বো। আর ভারত যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপদে পাশে ছিল তেমনি এবার ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়েই শ্রীলঙ্কার এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

  • Maharashtra Cabinet: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী? 

    Maharashtra Cabinet: সম্প্রসারিত হল শিন্ডে মন্ত্রিসভা, কে কে হলেন মন্ত্রী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন চল্লিশ দিন আগে। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এই দুজনই চালাচ্ছিলেন সরকার। শেষমেশ মঙ্গলবার সম্প্রসারিত হল একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) মন্ত্রিসভার। এদিন ১৮ জন মন্ত্রীকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে শিন্ডের মন্ত্রিসভায়। সব মিলিয়ে মন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ২০। এদিন রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি (BS Koshyari )।

    মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি সঙ্গ ধরতে চেয়েছিলেন শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে শিন্ডের। তার পরেই শুরু হয় একপ্রস্ত নাটক। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান শিন্ডে। চেষ্টা করেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না বুঝে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শিন্ডে। ‘কিং মেকার’ বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হন উপমুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে গত চল্লিশ দিন ধরে সরকার চালাচ্ছিলেন তাঁরাই। এদিন রাজভবনে শপথ নেন নয়া মন্ত্রীরা। এদিন যাঁরা শিন্ডে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন, তাঁরা হলেন বিজেপির চন্দ্রকান্ত পাতিল, গিরিশ মহাজন, সুরেশ খাড়ে, রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল, অতুল সাভে, মঙ্গলপ্রভাত লোধা, রবীন্দ্র চৌহান, সুধীর মুঙ্গানতিওয়ার ও বিজয় কুমার গাভিট।

    আরও পড়ুন :শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    এঁদের মধ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মন্ত্রিসভায় ছিলেন একমাত্র চন্দ্রকান্ত পাতিল। আর শিবসেনার তরফে যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, দাদা ভুসে, শম্ভুরাজে দেশাই, সন্দীপন ভুমরে, উদয় সামন্ত, তানাজি সাওয়ন্ত, দীপক কেসারকর, আবদুল সাত্তার, গুলবো পাতিল এবং সঞ্জয় রাঠৌর। এঁদের মধ্যে উদয় সামন্ত, গুলবো পাতিল, দাদা ভুসে, সন্দীপন ভুমরে, শম্ভুরাজে দেশাই উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এদিন নতুন মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রিসভায় যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁদের সাফল্য কামনা করি। এই টিমের প্রশাসনিক দক্ষতা রয়েছে, রয়েছে সুশাসন দেওয়ার ইচ্ছাও। রাজ্যবাসীর সেবা করার জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই।

  • SSC  Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    SSC Scam: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি খতিয়ে দেখার অনুমতি মামলাকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে (SSC recruitment) নয়া ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ২০১৪ সাল থেকে এসএসসি-র মাধ্যমে যে ৪২ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল রাজ্য সরকার তার একটি মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর করা মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। এই মর্মে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি অর্ডার প্রকাশ করা হয়। যেখানে আবেদনকারীর আর্জি মেনে নিয়ে আদালত জানিয়েছে, যে ৪২ হাজার ৮০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে সেই নথি প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার। প্রকাশিত সেই নথি পরীক্ষা করতে পারবে মামলাকারী। এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    মামলার ভারে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এসএসসি। আলাদা বোর্ড হলেও একেবারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment) থেকে দুর্নীতির অভিযোগের শুরু। এরপর উচ্চপ্রাথমিক, নবম-দশম ছাড়াও গ্রুপ সি এবং গ্রু ডি নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কারচুপি। মেধাতালিকায় প্রথমের দিকে নাম থাকলেও তাঁকে নিয়োগ না করে সুযোগ পেয়েছেন অনেক পিছনে থাকা চাকরি প্রার্থী। এই সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুন: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    সিবিআই (CBI) তদন্ত এবং নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। এছাড়াও সিদ্দিক গাজি নামে এক অঙ্ক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) পরীক্ষায় অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার মেধাতালিকা প্রকাশের নথি সামনে এলে তার থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন আবেদনকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এর ফলে রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলে যাবে বলে মনে করেন এই বিজেপি নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    India export: গম, আটার পর এবার ময়দা, সুজি রফতানিতেও জারি নিষেধাজ্ঞা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গম (Wheat) ও আটা (atta) রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল আগেই। এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল ময়দা, সুজি এবং ভূষিযুক্ত আটার রফতানিতেও। সোমবার এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। আদেশ কার্যকর হবে ১৪ অগাস্ট থেকে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির আগে থেকে যদি কোনও জাহাজে পণ্য তোলা শুরু হয় কিংবা কোনও চালান শুল্কবিভাগের কাছে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে রফতানি করতে দেওয়া হবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত (India)। গম রফতানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি। এখন ভারত থেকে যে গম ও আটা রফতানি করা হয়, তা করা হয় এই কমিটির সুপারিশেই। ১৪ অগাস্ট থেকে দীর্ঘায়িত হবে এই তালিকায়ই। গম ও আটার পাশাপাশি এতে জুড়বে সুজি, ময়দা ও ভূষিযুক্ত আটাও। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আন্তঃমন্ত্রক কমিটি অনুমোদন দিলেই হবে না, তাদের অনুমোদনের পর আবার দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতা থেকে রফতানি পরিদর্শন পরিষদের দেওয়া গুণমানের শংসাপত্রও লাগবে।

    আরও পড়ুন : এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে এবার শস্যের উৎপাদন হয়েছে কম। তাই দেশের বাজারে গম ও আটার দাম পৌঁছেছিল রেকর্ড উচ্চতায়। তার জেরে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। মাস দুয়েক পরে ওই একই কারণে আটার রফতানিতেও পরানো হয় লাগাম। গম ও আটা এই দুই পণ্যই রফতানির আগে ব্যবসায়ীদের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদেশি রফতানি নীতির আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই ব্যবসায়ীরা জানান, কেবল আটা নয়, গমজাত সব পণ্যের রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ নয়া নিয়ম কেবল আটা নাকি গমজাত সকল পণ্যের ওপরই প্রয়োজ্য, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা ছিল না। নয়া নির্দেশিকায় সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মুখর হয় ভারতের সমালোচনায়। সেই সময় অবশ্য ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল চিন (China)।

    আরও পড়ুন : গম, চিনির পর এবার চাল রফতানিও নিয়ন্ত্রিত করবে কেন্দ্র?

     

  • Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ আচমকাই উধাও! বর্তমানে এই সৌধগুলির কোনও খোঁজ নেই বলে জানাচ্ছে খোদ কেন্দ্র সরকার। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (Union Culture Minister G Kishan Reddy)। ওই সৌধগুলির কাঠামো ও সৌধ সংলগ্ন এলাকা- কোনও কিছুরই খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দেশে সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন তথ্য দিতে গিয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: মন্দির থেকে নিলামঘরে! ৫০ বছর আগে চুরি যাওয়া দেবীমূর্তির খোঁজ মিলল নিউইয়র্কে

    তিনি এদিন জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯টি রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত সৌধগুলির সংলগ্ন জায়গা থেকে মোট ২১০ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯১ টি চুরি হওয়া বস্তুও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিগত আট বছরে ৮৪৭৮টি গ্রামে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সার্ভে করে ২৯১৪টি গ্রাম থেকে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও এএসআই নিয়মিত ভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভে করে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের সন্ধান চালায়। ASI দ্বারা সুরক্ষিত ভারতে মোট ৩৬৯৩টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৩টি উত্তর প্রদেশেই রয়েছে। এইসবের তথ্য দিতে গিয়েই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দেশে নিখোঁজ স্মৃতিস্তম্ভের সংখ্যা ২৪টি।

    আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    তিনি আরও জানান, ৮৪৭৮টি গ্রামের মধ্যে পাজ্ঞাবে ও কর্ণাটকে সবচেয়ে বেশি সন্ধান চালানো হয়েছে এবং যথাক্রমে ১৩০ ও ৮৬০টি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ থেকেও ১৪৪টি মন্দির সহ ৭৪৩টি স্মৃতিসৌধের সংরক্ষণের কাজ করছে এএসআই। দেশে মোট টিকিটযুক্ত এবং টিকিটবিহীন স্মৃতিসৌধের সংখ্যা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৫৮-এর অধীনে প্রাচীন স্মৃতিসৌধ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও ধ্বংসাবশেষ (এএমএএসআর) আইন অনুসারে,  মোট ৩৬৯৩ টি স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যেগুলোকে জাতীয় গুরুত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১৪৩টি জায়গায় প্রবেশের জন্য টাকা নেওয়া হয়। সুতরাং স্মৃতিসৌধগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও নেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি। হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ সন্ধানের প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে তা জানিয়েছেনে তিনি।

     

  • Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

    আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

    স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা ‘সিস্টেম’ চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার ‘শেষ কথা’।

    স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

  • Amarnath Yatra: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা, চন্দনওয়াড়ির পথে পবিত্র ছড়ি

    Amarnath Yatra: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা, চন্দনওয়াড়ির পথে পবিত্র ছড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2022)। গত চারদিন কোনও তীর্থযাত্রী অমরনাথ দর্শনে যাননি। এই নিয়ে পর পর চারদিন তীর্থযাত্রী শূন্য অমরনাথ। ৪৩ দিনের অমরনাথ যাত্রা এবার দুদিন আগে ৪১ দিনের মাথাতেই শেষ হয়েছে। ফলে, শুরু হয়েছে প্রথামাফিক ছড়ি যাত্রা। এবার মহন্ত দীপেন্দ্র গিরি মহারাজ তাঁর আরও কয়েকজন সাধু-সন্তদের নিয়ে ছড়ি যাত্রা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বেস ক্যাম্প থেকে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে বুধবার পহেলগাঁও থেকে চন্দনওয়ারি অবধি যাত্রা করেছেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    চন্দনওয়াড়িতে এক রাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার খুব ভোরে শেষনাগের পথে যাত্রা করবেন তাঁরা। শেষনাগে এক রাত কাটিয়ে যাবেন পঞ্চতরণীতে। সেটাই এই যাত্রার শেষ ক্যাম্প। এরপর সেখান থেকেই ১১ অগাস্ট প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট তুষার লিঙ্গের দর্শন করবেন তাঁরা। কাশ্মীরের অনন্তনাগে ৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই লিঙ্গ। সেখানে সারা দিন পুজা অর্চনার পর এই সাধুর দল ফিরে আসবেন পঞ্চতরণীতে।  

    ৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা । অমরনাথ গুহা একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যেটি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম পবিত্র শৈব তীর্থ  (Lord Shiva) হিসেবে পরিচিত। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। সাধারণত জুন-জুলাই মাস থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই- অগাস্ট মাসে শ্রাবণী  পূর্ণিমার সময় ছড়ি যাত্রায়। পৌরাণিক মতে, পার্বতীকে গোপনে সৃষ্টি রহস্য বোঝাতে নির্জনে পাহাড়ে গুহা নির্মাণ করেন মহাদেব। করোনা অতিমারির (COVID 19 Pandemic) জেরে গত ২ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল এই পবিত্র যাত্রা। গ্রীষ্মকাল হলেও অমরনাথের তাপমাত্রা কিন্তু বেশ শীতল। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে খুব কম সময়ের জন্য খোলা হয়। তারপর বরফের আচ্ছাদনেই মোড়া থাকে এই শিবলিঙ্গ। ঠান্ডা আবহাওয়া ও উচ্চতার কারণে তীর্থযাত্রাটি সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: আতঙ্কের অবসান, ফের অমরনাথের পথে তীর্থযাত্রীরা

    সাধুদের দল ৭ অগাস্ট পহেলগাঁও পৌছেছে। এই সাধুদের সম্বর্ধনা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলগাঁও- এর শিব মন্দিরে দুই রাত কাটান এই সাধুরা। সেখানে মহন্ত জীর দর্শন করেন সাধারণ মানুষ। মহন্ত দীপেন্দ্র জী বলেন, “অমরনাথ যাত্রা শুধু হিন্দুদের জন্যে নয়। এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক।” তিনি এও জানান এই যাত্রা তিনি ৩০ বছর ধরে করে আসছেন। 

    অমরনাথে হড়পা বানে মৃতদের জন্যে শোকপ্রকাশও করেন তিনি। বলেন, এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, “অমরনাথ যাত্রার ক্ষেত্রে নতুন অফিসারদের দায়িত্বে না রেখে পুরোনো অফিসারদেরই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাঁদের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।”

  • Priyanka-Rahul: ফের কোভিডে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আলওয়ার সফরও বাতিল অসুস্থ রাহুলের

    Priyanka-Rahul: ফের কোভিডে আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আলওয়ার সফরও বাতিল অসুস্থ রাহুলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস (Congress) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা (Priyanka Gandhi Vadra)। বুধবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে ট্যুইট করে তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। এর আগে গত ৩ জুন সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দু’‌জনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ট্যুইট করে লিখেছেন, “আজ আরও একবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। আমি বাড়িতে আইসোলেশনে আছি এবং কোভিড নিয়ম পুরোপুরিভাবে মেনে চলছি।“

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নন, রাহুল গান্ধীরও শরীর খারাপ বলে জানানো হয়েছে। এই কারণে তিনি তাঁর রাজস্থানের আলওয়ার সফরও বাতিল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার আলওয়ারে কংগ্রেস নেতৃত্বের সংকল্প শিবিরে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর।

    এছাড়াও আর কংগ্রেস নেতারা যেমন- যোগাযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এবং সাংসদ অভিষেক মানু সিংভি সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীও এই বছরের জুনের শুরুতে কোভিড আক্রান্ত হন। আবার রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খারগেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ট্যুইট করে জানান যে, “আমি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছি। যারা সম্প্রতি আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।“

    আরও পড়ুন: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    [tw]


    [/tw]  

  • Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    Synthetic Embryos: অবিশ্বাস্য! শুক্রাণু ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ বানিয়ে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রাণু, ডিম্বানু ছাড়াই গবেষণাগারে তৈরি হল ভ্রূণ! এটি বিশ্বের প্রথম সিন্থেটিক ভ্রূণ। অবাক হচ্ছেন যে কীভাবে শুক্রাণু ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা গেল? কিন্তু এমনই তথ্য উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (Weizmann Institute Of Science) বিজ্ঞানীরা এই সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করে এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রাণু কম, জেনে নিন কেন কমে, বাড়াবেনই বা কীভাবে?

    তবে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন যে কী এই সিন্থেটিক ভ্রূণ? বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভ্রূণের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর কোনওরকম নিষিক্তকরণ করানো হয়না। অর্থাৎ ফার্টিলাইজেশন ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করা হলে তাকে সিন্থেটিক ভ্রূণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে কীভাবে এই ভ্রূণ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা? বিজ্ঞানীদের থেকে জানা গিয়েছে যে, ইঁদুর থেকে স্টেম সেল ব্যবহার করে ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, যার একটি অন্ত্র, একটি মস্তিষ্কের মতো গঠন এবং একটি স্পন্দিত হৃদয় ছিল। বিজ্ঞানীদের দলটি প্রাকৃতিক ভ্রূণের মত এই কৃত্রিম ভ্রূণেও চারপাশে প্লাসেন্টা বা কুসুম-থলির মতো কোষ দেখতে পেয়েছিলেন। তবে এই ভ্রূণটি সাড়ে ৮ দিন পর্যন্ত বিকশিত হয়েছিল ও এই কয়েকদিনে একটি স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড, রক্তের স্টেম সেল সঞ্চালন, একটি মস্তিষ্ক, একটি নিউরাল টিউব এবং একটি অন্ত্রের ট্র্যাক্ট গঠিত হয়ে গিয়েছিল।

    গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্টেম সেল ভ্রূণের মতো কোষ গঠন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে প্রায় ০.৫ শতাংশ স্টেম সেল মিলিত হয়ে ছোট বলের আকার ধারণ করে। আর ওই বল থেকেই ট্যিসু বা কলা উৎপন্ন এবং অঙ্গের বিকাশ ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অভ্যন্তরীণ গঠন এবং কোষের জেনেটিক প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক ইঁদুরের ভ্রুণের সঙ্গে তুলনা করলে কৃত্রিম এই ভ্রূণের ৯৫ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৯৮ মিলিয়ন বছর পুরনো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল সাহারায়

    বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, এর পরবর্তীতে তাঁরা আরও এই বিষয়ে গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। কীভাবে এই স্টেম সেলগুলি কাজ করে, বা কীভাবে একটা স্টেম সেল বুঝতে পারে যে তাকে কী করতে হবে। এগুলোকে নিয়ে পরবর্তীতে কোন কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করবেন তাঁরা।

     

  • Commonwealth Games: বয়স বাধা নয়! টেবিল টেনিসে সোনা শরথের, কমনওয়েলথে পদক তালিকায় ৪-এ ভারত

    Commonwealth Games: বয়স বাধা নয়! টেবিল টেনিসে সোনা শরথের, কমনওয়েলথে পদক তালিকায় ৪-এ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষবার কমনওয়েলথের আসর থেকে ভারত ৬৬টি পদক এনেছিল। এ বার সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। যদিও শ্যুটিং বাদ পড়েছে। ২০২২ কমনওয়েলথে ভারত মোট ২২টি সোনা, ১৬টি রুপো এবং ২৩টি ব্রোঞ্জ পেয়েছে। পদক তালিকায় এবার চার নম্বরে শেষ করল ভারত। শেষদিনে ভারতের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখান ব্যাডমিন্টন তারকারা। মহিলাদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা জিতেছেন পিভি সিন্ধু। এরপর পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা পান লক্ষ্য সেন। শেষবেলায় পুরুষদের ব্যাডমিন্টন ডাবলসে সোনা জিতেছেন ভারতের সাত্ত্বিক সাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি জুটি। সোমবার ফাইনালে তাঁরা ইংল্যান্ডের সিন ভেন্ডি এবং বেন লেনকে পরাজিত করেন।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্যের লক্ষ্যভেদ! কমনওয়েলথে পুরুষদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা ভারতের

    অন্যদিকে টেবিল টেনিসেও সোনা ফলান ৪০ বছরের ‘তরুণ’ অচিন্ত্য শরথ কমল। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের টেবিল টেনিস সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন ভারতের এই কিংবদন্তি তারকা। সোমবার ফাইনালে তিনি লিয়াম পিচফোর্ডকে ১১-১৩, ১১-৭, ১১-২, ১১-৬, ১১-৮ ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।  প্রথম থেকেই হোম ফেভারিট পিচফোর্ডকে চাপে রাখেন শরথ কমল। তবে যোগ্য টক্কর দেন ইংরেজ। ১৩-১১ পয়েন্টে জিতেও যান প্রথম গেম। কিন্তু তারপর থেকে খেলার রাশ ধরে নেন ভারতীয় লেজেন্ড। দ্বিতীয় গেম জেতেন ১১-৭ পয়েন্টে। তৃতীয় গেমে কার্যত তিনি ইংরেজ প্লেয়ারকে দাঁড়াতেই দেননি। জেতেন ১১-২ পয়েন্টে। শরথের টপ স্পিন, ব্যাক হ্যান্ড প্রভৃতি অস্ত্রের কোনও উত্তর ছিল না পিচফোর্ডের কাছে। চতুর্থ গেমেও একই চিত্রনাট্য। তবে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন পিচফোর্ড। ১১-৬ পয়েন্টে সেই গেমটি জেতেন ভারতীয় তারকা। ১৬ বছর আগে মেলবোর্নে সিঙ্গলসে শেষ সোনা জিতেছিলেন শরথ কমল। এ বার ফের জিতলেন। শুধু সিঙ্গলস নয় সব মিলিয়ে বার্মিংহামে তিনটি সোনা পেলেন ভারতীয় টিটি-র কিংবদন্তি তারকা। মেনস টিম ইভেন্ট, মিক্সড ডাবলস ও সিঙ্গলসে সোনা পেলেন শরথ।

    আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ! কমনওয়েলথে ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সোনা জয় সিন্ধুর

    তবে শেষদিনে লজ্জার সামনে ভারতীয় হকি দল। এদিন ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত (Ind vs Aus)। কিন্তু অজিদের সামনে কেমন যেন হারিয়ে যায় ভারতের ছেলেরা। হকিতে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। ৭-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে সোনা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতকে। গতবারের সোনাজয়ী অস্ট্রেলিয়ার মুহূর্মুহূ আক্রমণের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ভারতের রক্ষণ। ১৯৯৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) হকি অন্তর্ভুক্ত হয়। তারপর থেকে প্রত্যেকবারই সোনা জিতেছেন অজিরা।

LinkedIn
Share