Blog

  • Netaji: নেতাজির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তুলল ২৫০টি ড্রোন

    Netaji: নেতাজির জীবন কাহিনী ফুটিয়ে তুলল ২৫০টি ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আকাশে ২৫০ টি ড্রোনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হল ভারতের বীর, স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী। শুক্রবার, সেন্ট্রাল ভিস্তার স্কাইলাইনে সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই একদল প্রযুক্তিবিদ ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের কাজে। ইন্ডিয়া গেটের কাছে একত্রিত ২৫০টি ড্রোনকে একটি পাওয়ার গ্রিডে সংযোগ করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের সফল চেষ্টার পর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শুরু হয় বহু প্রতিক্ষীত ড্রোন শো।

    প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ভারতে ড্রোন শো-য়ের মাধ্যমে দেখানো হয় নেতাজির ছোট থেকে বড় হওয়া, স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর যোগদান, সুভাষ থেকে নেতাজি হয়ে ওঠার নানান কাহিনী। সবশেষ দেখান হয়, কালো গ্র্যানাইট পাথরে তৈরি নেতাজির ২৮ ফুট উচ্চতার মূর্তি। নেতাজির স্মৃতিতে এই মূর্তি নির্মান করে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এই মূর্তি উন্মোচন করেন।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    শুক্রবারের অনুষ্ঠান দেখতে সমবেত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ২৫০টি ড্রোন বিভিন্ন সময়ে আকাশে উড়ে আটটি আলাদ গঠন তৈরি করে মানুষের মনোরঞ্জন করে। একই সঙ্গে স্মরণ করা হয় দেশের বীর যোদ্ধাকে। সবচেয়ে বড় নেতাকে। যাঁকে নেতাজি নাম দিয়েছিল ভারতবাসী। দশ মিনিট ধরে ড্রোন শোটি চলে।

    এই ড্রোন শো যাঁরা পরিচালনা করেন,  সেই একই দল বছরের শুরুর দিকে বিজয় চকের উপরে বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে ১০০০ ড্রোন শো পরিচালনা করেছিল। অভিনব এই শো ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। কেউ কেউ আবার লনে শুয়ে পড়ে উপর দিকে তাকিয়ে শুধুই অনুভব করছিলেন নেতাজির লড়াই। অনেকে ফোনে রেকর্ড করছিলেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ আইন (PMLA) লাগু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তার পরেই এই আইনে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা চার্জশিট পেশ করেছে ৯৯২টি অভিযোগে।

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির চেয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে (FEMA) ইডি এ পর্যন্ত ৮ হাজার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। যে সকল অভিযুক্তের সম্পত্তি এজেন্সি অ্যাটাচ করেছে ইডি, সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ২৩ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। কেবল আর্থিক তছরুপ নয়, ইডি তদন্ত করছে যাঁরা ফেমা (FEMA) এবং ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স অ্যাক্টেও অভিযুক্ত তাঁদের। 

    যদিও আর্থিক তছরুপ কেলেঙ্কারিতে প্রচুর পরিমাণ মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বেও ১৭ বছরের পুরানো একটি আইনে এ পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এসব করতে গিয়ে নানা সময়ে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ইডিকে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইডি আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করেছে নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ মামলা।  সরকারি তরফের অভিযোগ অথবা চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করেছে ইডি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।  ইডি ১ হাজার ৭০০ অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার ইস্যু করেছে। এক লক্ষ কোটির বেশি সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 

    আরও পড়ুন : দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    কুখ্যাত তিনটি আর্থিক কেলেঙ্কারিরও তদন্ত করছে ইডি। এই তিনটি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হলেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। এই তিনজনের ১৯ হাজার কোটিও বেশি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। এর মধ্যে ইডি বিক্রিও করেছে প্রচুর সম্পত্তি। উদ্ধার করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের কনসর্টিয়াম ইডি যে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, তা বিক্রি করে পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NEET UG Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে নিট ইউজির ফল, প্রথম স্থানে রাজস্থানের তানিষ্কা

    NEET UG Result 2022: প্রকাশিত হয়েছে নিট ইউজির ফল, প্রথম স্থানে রাজস্থানের তানিষ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে নিট ইউজি ২০২২- এর (NEET UG Result 2022) ফল। প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রাজস্থানের তানিষ্কা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির ভাতসা আশিস বাত্রা। পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭১৫ পেয়েছেন তানিষ্কা (Tanishka)। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন

    তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কর্নাটকের হৃষিকেশ নাগভূষণ গাঙ্গুলে। কর্নাটকের রুচা পাওয়াশে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন এবং তেলেঙ্গানার ইরাবেলি সিদ্ধার্থ রাও রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। প্রথম দশে স্থান পেয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের হাজিক পারভেজ লোন। পশ্চিমবাংলার সায়ন্তনী চট্টোপাধ্যায় রাজ্যে প্রথম হলেও সর্বভারতীস্তরে তিনি একাদশ স্থান দখল করেছেন। এছাড়া রাজ্যের অনুষ্কা মণ্ডল চতুর্দশ স্থানে রয়েছেন।   

    তবে তানিষ্কা দেশে প্রথম হলেও মোট ৬জন ওই একই নম্বর পেয়েছেন। সিদ্ধার্থ রাও- এর প্রাপ্ত নম্বর ৭১১। তবে, পশ্চিমবঙ্গের সায়ন্তনী চট্টোপাধ্যায় ও অনুষ্কা দুজনেই ৭১০ নম্বর পেয়েছেন। সায়ন্তনী সর্বভারতীয় স্তরে মেয়েদের মধ্যে চতুর্থ হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আজই প্রকাশিত হবে নিট-ইউজি- র ফল, দেখবেন কী করে? 

    এবছর ১৮,৭২,৩২৯জন ছাত্রছাত্রী নিট পরীক্ষার জন্যে ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। যার মধ্যে ৯,৯৩,০৬৯ জন পাশ করেছেন। চলতি বছরের ১৭ জুলাই দেশজুড়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করে এনটিএ। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা ভারতের ৪৯৭টি শহরে এবং বিদেশের ১৪টি শহরে ৩,৫৭০টি কেন্দ্র জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

    এবার নিটে পরীক্ষায় সব থেকে বেশি সাফল্য পেয়েছেন ইউপির পড়ুয়ারা। সফল প্রার্থীদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ইউপি থেকে।এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের নম্বর। অন্যদিকে, রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় হয়েছেন ইউপির ইশান আগরওয়াল।এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ২২৯১১৫ জন প্রার্থী ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। ১,১৭,৩১৬ জন পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক করেছেন। যা রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। 

    এই বছর থেকে, টাই-ব্রেকিং হিসাব সরিয়ে নিয়েছে এনটিএ। তার মানে, দুই ছাত্রের মধ্যে টাই হলে, জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তার সমাধান করা হয়েছে। এরপরে রসায়নে বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার পাবে এবং এরপরে থাকবে কম ভুল উত্তর লেখা প্রার্থী।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে দেওয়া হল হাইকোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল এই মামলার শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হল । আগামিকাল দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

    গত ২০ মে আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। গত ১২ অগাস্ট, শুক্রবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (Review Petition) জানায় সরকার। আজ সেই শুনানি ছিল। তবে পিটিশনের কপি সকল মামলাকারীদের দেওয়া হয়নি বলে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। পদ্ধতিগত ত্রুটি শুধরে মামলাকারীদের পিটিশনের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তাই বুধবার নয়, এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

    শুনানির দিন পিছিয়ে গেলেও আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আদালতের মন্তব্য, রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম। ফলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ হাইকোর্ট মে মাসে দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সকলেরই।

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    এরমধ্যেই মঙ্গলবার দুর্গাপুজো অনুদান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। যদিও রাজ্যের এই দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে দুর্গা পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এই প্রেক্ষিতে ডিএ মামলায় আদালতের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানির পর রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার শুনানি হবে। 

    প্রায় কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকারের টাকা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২০ মে তে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। ফলে এত মাস অপেক্ষার পর আগামীকালের শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা সেঁটেছে ভারতের (India) গায়ে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছে জিডিপি (GDP)-র হারও। এমতাবস্থায় ফের একবার আশার কথা শোনাল মুডি’জ (Moodys)। বিশ্ব অর্থনীতির তুল্যমূল্য বিচার করে এই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা। তারাই জানাল, ভারতের অর্থনীতি টালমাটাল নয়, বরং স্থিতিশীল। অর্থনীতি বৃদ্ধির হারও ক্রমবর্ধমান। 

    করোনা পরিস্থিতিতে হাঁড়ির হাল হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতির। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল করোনা পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভারতও। তবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি যে ক্রমবর্ধমান তা ধরা পড়েছে জিডিপির হারে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপির হার ১৩.৫। ভারতের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যেই ভারত হয়ে বিশ্বের তৃতীয বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। জার্মানি এবং জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। 

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    স্টেটনব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছে আশার খবর। সেখানেও জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থনীতির হাল শক্ত। এবার একই কথা জানাল মুডি’জও। বিশ্ব অর্থনীতির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে নানান সমীক্ষা করে এই সংস্থা। সেই সংস্থারই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির উচ্চ বৃদ্ধিরক সম্ভাবনার কথা। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও যথেষ্ট পোক্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের জোগানও রয়েছে। তাই এখানকার অর্থনীতি ঝুঁকিবিহীন। 

    মুডি’জ-এর বিচারে ভারতের রেটিং ‘বিএএ৩’। মুডি’জ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদের জোগান ভাল থাকায় ভারতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকির। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারত যে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে, রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাও। প্রসঙ্গত, মুডি ভবিষ্যবাণী করেছিল, ভারতে রিয়েল জিডিপি ’২৩ অর্থবর্ষে ৭.৬ শতাংশ থেকে পরের আর্থিক বর্ষে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছবে।

  • Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বিজেপির (BJP) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাঁকে অবশ্যই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। মুম্বইয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে শাহ সাফ জানিয়ে দেন, রাজনীতিতে আমরা সব কিছু সহ্য করতে পারি, তবে বিশ্বাসঘাতকতা নয়।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন শিসবেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রাক্তন সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের প্রস্তাব খারিজ করে দেন উদ্ধব। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসাম উড়ে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। হন মুখ্যমন্ত্রী।

    সূত্রের খবর, শিবসেনা ভেঙে যাওয়া এবং তৎপরবর্তী ঘটনার জন্য উদ্ধবকেই দায়ী করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লোভের কারণেই দলের একটা বড় অংশ তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) বিরুদ্ধে চলে যায়। তার জেরেই পতন হয় ঠাকরের নেতৃত্বে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের। নয়া সরকার গড়েন শিন্ডে। এদিন শাহ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে কেবল বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেননি, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতি এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    শাহের মতে, ক্ষমতার লোভের কারণেই তাঁর দল সংকুচিত হয়েছে, বিজেপির জন্য নয়। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ আমি আবারও বলতে চাই, আমরা উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কোনও প্রতিশ্রুতি কখনও দিইনি। আমরা খোলাখুলি রাজনীতি করি, বন্ধ ঘরের মধ্যে নয়। এর পরেই শাহ ঘোষণা করেন, রাজনীতিতে যাঁরা প্রতারণা করেন, তাঁরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন। মহারাষ্ট্র পুরসভা নির্বাচনে ১৫০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশের ধনীতম পুরসভা হল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। সেখানেই নির্বাচন। শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে বিজেপি এবং আসল শিবসেনা জোট বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে লড়ে ১৫০ আসনে জয়ী হবে। মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন জনতা। উদ্ধব ঠাকরের দলের সঙ্গে তাঁরা নেই। কারণ তিনি নীতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kangana vs Mahesh: ‘মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম, তবে লুকিয়ে রাখেন কেন?’ প্রশ্ন করলেন কঙ্গনা

    Kangana vs Mahesh: ‘মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম, তবে লুকিয়ে রাখেন কেন?’ প্রশ্ন করলেন কঙ্গনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও খবরের শিরোনামে কঙ্গনা-মহেশ (Kangana – Mahesh)। ফের নতুন বিতর্কে জড়ালেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাউত (Kangana ranaut)। এবারে কঙ্গনার নিশানায় বিখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)। তিনি দাবি করলেন, মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম (Aslam), তাই তিনি প্রশ্ন করেছেন কেন  তিনি এই নাম বদল করেছেন এবং কেন তিনি এই নাম সবার থেকে গোপন রেখেছেন? কঙ্গনা তাঁর ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে মহেশ ভাটের একটি পুরনো ভিডিও শেয়ার করে এই প্রশ্ন করেন।

    এরপরেই তাঁর এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু নামের কথাই নয়, তিনি তাঁর ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, “মহেশজি খুব কাব্যিকভাবে হিংসার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন।“ ভিডিও-এর আরেকটি অংশ শেয়ার করে তিনি বলেন, “আমায় বলা হয়েছিল, মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম। দ্বিতীয় স্ত্রী সোনি রাজদানকে বিয়ে করার জন্য তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। নামটা সুন্দর, তবে লুকিয়ে রাখেন কেন?” তিনি  আরও একটি মন্তব্য করে বলেন, “নিজের আসল নাম ব্যবহার করা উচিত। আর উনি যখন ধর্ম পরিবর্তন করেছেন, তখন আর নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের হয়ে কথা না বলাই উচিত।”

    আরও পড়ুন: ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর নতুন রেকর্ড! অগ্রিম বুকিং-এ ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ২০০০ টি টিকিট বিক্রি!

    এইবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি মহেশ ভাটকে অনেক বিষয়ে আক্রমণ করেছেন। উল্লেখ্য ২০২০ সালে কঙ্গনা মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, মহেশ ভাটের মেয়ে পূজা ভাটের ছবি ‘ধোঁকা’-তে একটি বিশেষ দৃশ্যে কঙ্গনা অভিনয় করতে রাজি না হওয়ায় কঙ্গনার মুখে নাকি জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন মহেশ। এছাড়াও চলতি বছরের প্রথমের দিকে মহেশ কন্যা আলিয়াকেও নিশানা করেছিলেন কঙ্গনা। আলিয়াকে কটাক্ষ করে ‘পাপা কী পরি’ বলেন ও মহেশকে ‘মুভি মাফিয়া’ বলেন।

    উল্লেখ্য়, মহেশ ভাটের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমেই কঙ্গনা বলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁর সঙ্গে মহেশের সঙ্গে সম্পর্ক আর আগের মত নেই। তাই বার বার কঙ্গনার নিশানায় আসতে হয়েছে মহেশ ভাটকে। এবার আবারও তাঁর নাম ও ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।

  • SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) ধৃত ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teachers Recruitment Scam) প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। তাই শুধুমাত্র জেলবন্দি পার্থ নয়, প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিও খুঁজে বের করতে তৎপর তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই এবার একাধিক জমির খোঁজ পেয়ছে, যা পার্থ ঘনিষ্ঠ মোনালিসা দাসের (Monalisa Das) দাদা, মানস দাসের বলে উঠে এসেছে। জানা যায়, শনিবার রানাঘাট-২ ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। সেখানে বিভিন্ন নথি ঘেঁটে রানাঘাট ২ ব্লকের পাঁচটি জায়গা— বৈদ্যপুর-১, বৈদ্যপুর-২, আনুলিয়া, পায়রাডাঙা ও শ্যামনগরে মানস দাসের নামে বেশ কয়েকটি জমির খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই সূত্রে আরও জানা যায়, পায়রাডাঙার জমির মালিক দু’জন। মানস দাস ও তাঁর সহকারী মনোজ ঘোষ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যে এইসব জমিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও বিনিয়োগ আছে কি না। আর এই তথ্য খুঁজে বের করতেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এজন্য রানাঘাটে রেজিস্ট্রি অফিসেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি সেখান থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি-দলিল। রেজিস্ট্রি অফিসের পাশাপাশি রানাঘাট এডিএসআর অফিসেও তদন্তকারীরা হানা দেন। আর সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বেশ কিছু নথি। আর এই সব নথিতেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। কারণ নথিতে মানস দাসের পরিচয়ে একজন সমাজসেবী বলে উল্লেখ করা আছে। ফলে একজন সমাজসেবী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর পেছনের রহস্য বের করতে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    অন্যদিকে এই মানস দাস ও মনোজ ঘোষের নামেও একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। বৈদ্যপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মানস ও তাঁর সহকারী মনোজ নিজেদের পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচয় দিয়ে প্রচুর জমি ‘জবরদখল’ করেছেন। মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার কারণে তাঁরা ভয়ে অভিযোগও জানাতে পারেননি। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, কেউ সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও এইক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।

    যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এইসব শুনে তিনি সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Modi on Netaji: ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    Modi on Netaji: ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু স্বাধীন ভারতে সেইভাবে মর্যাদা পেলেন না নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose)। তাঁর আদর্শে চললে আজ ভারত হয়ত বা ‘জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ লাভ করত। দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে ২৮ ফুট লম্বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি উদ্বোধন করে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    এদিন নেতাজির মূর্তি উদ্বোধনের পর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন মোদি। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সরকার নেতাজিকে সম্মান দেয়নি। মোদি বলেন, ‘‘আজ, ইন্ডিয়া গেটে জাতীয় নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই সুবিশাল মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল। এটি শক্তিশালী ভারতের প্রতীক। আগে এখানে ব্রিটিশ শাসকদের তৈরি বিভিন্ন মূর্তি ছিল।’’ এরপরই আক্ষেপের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি স্বাধীনতার পর ভারত সুভাষবাবুর প্রদর্শিত পথে চলত, তাহলে দেশ আজ কোথায় পৌঁছে যেত। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে, স্বাধীনতার পরই আমরা আমাদের এই মহান নেতাকে ভুলে গেলাম! তাঁর দেখানো পথ, এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত চিহ্নকেও উপেক্ষা করা হল।’’

    লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের কথা স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘‘নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই অভিজ্ঞতার অংশীদার। আমি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমি ভাগ্যবান নেতাজির এই মূর্তি উন্মোচন করতে পেরেছি।’’

    আরও পড়ুন: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

    ২৮০ মেট্রিক টনের ওই মূর্তি একটি গ্রানাইট শিলাকেই কেটে তৈরি করা হয়েছে। যে শ্রমিকরা ওই মূর্তি তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন তাদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান মোদি। ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানান।

    এদিন মোদি রাজপথ অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ নামকরণ করেন। এই নাম পরিবর্তনও যে ভারতের আত্মনির্ভরতার অঙ্গ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pet Attack: ডেলিভারি বয় থেকে ১১ বছরের শিশু, পোষ্যের হাতে আক্রমণের একাধিক ঘটনা, দায়ী কে? 

    Pet Attack: ডেলিভারি বয় থেকে ১১ বছরের শিশু, পোষ্যের হাতে আক্রমণের একাধিক ঘটনা, দায়ী কে? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে বাড়ছে একের পর এক গৃহপালিত কুকুরের (Pet Dog) হাতে আক্রান্ত (Pet Dog Attacks Zomato Delivery Boy) হওয়ার ঘটনা। গাজিয়াবাদ, নয়ডার পর এবার মুম্বই। এবার আক্রান্ত জোম্যাটো ডেলিভারি বয় (Zomato Delivery Boy)। লিফটের মধ্যে একটি জার্মান শেফার্ড আক্রমণ করে তাঁকে। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় লিফটের সেই ভিডিও। লিফটে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে ঢুকছিলেন এক ব্যক্তি। সেইসময় লিফট থেকে বেরোচ্ছিলেন জোম্যাটোর সেই ডেলিভারি বয়। আর তখনই আক্রমণ করে সেই কুকুর। ছিড়ে নেয় ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গ। ভিডিও- তে দেখা যায় প্যান্ট ভেসে যাচ্ছে রক্তে। ব্যাথায় ছটফট করছেন ওই ব্যক্তি। ভিডিওটি দেখে বিচলিত হয়েছে গোটা দেশ।  

     

    কিন্তু একই ঘটনা এই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই গাজিয়াবাদে এক এগারো বছরের শিশু পার্কে খেলার সময় পিটবুলের হাতে আক্রান্ত (Pet Dog Attacks 11YO) হয়। বাচ্চার ক্ষতবিক্ষত মুখে ২০০টি সেলাই পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হঠাতই কুকুরটি ছুটে এসে বাচ্চাটির মুখ খুবলে নেয়। এরপরেই ওই বাচ্চার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন। কুকুরের মালিকদের এই বেপরোয়া আচরণের বিরুদ্ধ অনেকেই আওয়াজ তোলেন।

    আরও পড়ুন: শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে লিফটে এক বালককে উরুতে কামড়ে দেয় এক কুকুর। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ছেলেটি। কিন্তু কুকুরের মালকিন তখনও নির্বিকার। শুধু তাই নয়, লিফটের দরজা খুলে যাওয়ার পর ছেলেটিকে কোনরকম সাহায্য না করেই পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সেই মহিলা। আক্রান্ত বালকের বাবা স্থানীয় থানায় মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও এক ঘটনা ঘটে নয়ডার সেক্টর ৭৫-এ। সেখানেও লিফটে দুজন ছিলেন। একজনের সাথে ছিল পোষ্য জার্মান শেফার্ড কুকুর। লিফটে কুকুরটি শান্তই ছিল, কিন্তু যখনই অপর ব্যক্তি নামতে যান তখনই তাঁর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরটি। আদেও ওই ব্যক্তিকে কুকুরে কামড়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানা যায়নি।  

     

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    যখন দেশ জুড়ে নানা জায়গায় ঘটছে, স্বাভাবিক ভাবেই নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন করছেন, লিফটের মধ্যে কুকুরকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হচ্ছে? অনেকের বক্তব্য, কুকুরের মালিকরা তাদের পোষ্যকে ঠিক করে পালন করছে না বলেই এরকম ঘটনা বার বার ঘটছে! গাফিলতি কুকুরদের না, তাদের মালিকদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share