Blog

  • Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    Delhi Pollution: রাজধানীতে বায়ু দূষণ চরমে, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল্লি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একদিকে পারদ পতন অন্যদিকে ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণ। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লির বাতাসের অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাতাসের গুণগত মান ৫০০-কেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হয়েছে ৫৫১। আর রাজধানীর এই অবস্থার ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে নির্মাণ কাজ ও ভাঙার কাজ (Construction And Demolition Activities) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে।

    দিল্লিতে বাতাসের মান ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। প্রায় কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের মান ৪০০-৫০০ রেঞ্জ বা ‘গুরুতর’ বিভাগে ছিল। জানুয়ারি থেকে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ হওয়ায় দিল্লির কিছু এলাকায় সূচক সাড়ে পাঁচশো-এর গন্ডিও ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, নভেম্বর মাস থেকে বাতাসের পরিবর্তন এবং অন্যান্য আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে শহরের বাতাসের মান আরও খারাপ হবে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ১ নভেম্বর থেকে বাতাসের গতি কমবে এবং এর দিক পরিবর্তন হবে। এর ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে।”

    দিল্লিতে যেসব জায়গায় বাতাসের পরিমাণ ভয়াবহ সেসব স্থানগুলোকে হটস্পট ধরা হয়েছে। সেসব জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে নরেলা, আনন্দ বিহার, মুন্ডকা, দ্বারকা, পাঞ্জাবি বাগ, আরকে পুরম, রোহিনী, বাওয়ানা, ওখলা, জাহাঙ্গীরপুরি, উজিরপুর এবং মায়াপুরী। আর এসব জায়গায় গত রবিবার কমপক্ষে ২২টি দমকল টেন্ডার পাঠানো হয়েছে কারণ দিল্লি ফায়ার সার্ভিস এই হটস্পটগুলোতে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও এদিন গোপাল রাই জানিয়েছেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও সেগুলো নিরীক্ষণের জন্য ৫৮৬টি দল গঠন করা হয়েছে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন হাসপাতাল, রেলওয়ে, বিমানবন্দর এবং এই জাতীয় অন্যান্য পাবলিক কার্যক্রমে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধুলো কমাতে শহরজুড়ে জল ছেটানোর জন্য ৫২১টি মেশিন ও ২৩৩টি অ্যান্টি-স্মোগ গান-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, বাতাসের গুণগত মান ০ থেকে ৫০-য়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করলে সেটি ভালো। ৫১ থেকে ১০০-য়ের মধ্যে থাকলে, সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা মধ্যম। আর ২০১ থেকে ৩০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা খুব খারাপ। আর ৪০১ থেকে ৫০০-য়ের মধ্যে থাকলে সেটা ভয়াবহ। ফলে দিল্লির পরিস্থিতি আক্ষরিক অর্থেই ভয়াবহ।

  • JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি (J J Irani)। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নেন তিনি। কী ভাবে পৌঁছলেন এই সাফল্যের শীর্ষে? পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনের কিছু বিশেষ অংশ জেনে নিন।  

    ১৯৩৬ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ জামশেদ জে ইরানি। সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে নাগপুরের সায়েন্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন ডঃ ইরানি। ১৯৫৮ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে এমএসসি করেন। এরপর জে এন টাটা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন।    

    ১৯৬৩ মেটালারজিতে পিএইচডি করেন জে জে ইরানি। সে বছরই কর্মজীবনে পা রাখেন। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু করেন কর্মজীবন। ছ বছর পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। 

    ১৯৬৮ থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে পথচলা শুরু। ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে। এখন যা টাটা স্টিল নামে পরিচিত।  তারপর ধীরে ধীরে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হওয়া শুরু হয় ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি হয়ে ওঠেন ‘ভারতের স্টিল ম্যান’। 

    আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত   

    এরপর শুধুই সাফল্যের সিঁড়ি চড়া। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডঃ ইরানিকে। পৌঁছে যান সফলতার শীর্ষে। ১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদে চলে যান। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।  

    ১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ সম্মান পান।   

    সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘স্টিল ম্যান’। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করেন এক সময়ের সতির্থ রাজীব সোনিও। নেটমাধ্যমে রাজীব লেখেন, “আমরা এক কিংবদন্তিকে হারালাম। একটি যুগের অবসান ঘটল।”
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?   

    Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাটে (Gujarat)। সেখানে বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তার আগেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Elections) ৩৫টির মধ্যে ১৭টি আসনে জয় পেল পদ্ম শিবির। তবে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি, বিজয়পুরা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই মিউনিসিপ্যালিটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশজুড়ে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। তার সুফলও ঘরে তুলছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করছে গেরুয়া পার্টি। কেবল কর্নাটকের বিজয়পুর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন নয়, ওই রাজ্যেরই কোল্লেগাল সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনেও সাতটি আসনের মধ্যে ছটিতে বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। রাজ্যে দলের এই ফলে যারপরনাই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই অপ্রত্যাশিত ফলের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিজয়পুরার বিধায়ক বিজেপির বাসনাগৌড়া পাটিল ইয়াটনাল এবং দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিজয়পুরা উত্তরে কংগ্রেস (Congress) জয়ী হয়েছে মাত্র ১০টি আসনে। এআইএমআইএম জিতেছে দুটি আসন। আর জনতা দল সেকুলার জিতেছে মাত্রই একটি আসনে। পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিজয়পুরা ও কোল্লেগালের ভোট হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ফল প্রকাশ হয় ৩১ তারিখ, সোমবার।

    প্রসঙ্গত, বিজয়পুরায় ভোট হল ছ বছর পরে। সিটি মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এই প্রথম হল নির্বাচন। বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিকে, কোল্লেগালে যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেন কিছু দিন আগেই। তার জেরেই হয়েছে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনের পর ৩১ আসনের কোল্লেগালের রাজনৈতিক ছবিটা দাঁড়াল এইরকম। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩, কংগ্রেসের ১১ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির ২। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ওরেভা নামে একটি সংস্থা ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতুটি সংস্কার করে। অভিযোগ, কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়। ২৬ অক্টোবর মোরবির সেতু ( machu dam bridge collapse) চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটে। সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার উপরতলার কর্মীরা নিখোঁজ। যদিও দোষী কোনও ব্যাক্তিকেই ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার। গত মার্চে সেতুর সংস্কারের দায়িত্ব নেয় ওরেভা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ওরেভা সংস্থা সংস্কার এবং মেরামতের জন্য সেতুটি আট থেকে ১২ মাস বন্ধ রাখতে বাধ্য। কিন্তু চুক্তি ভেঙেই সেই সেতু খুলে দেয় তারা।  সিএফএল বাল্ব তৈরির জন্যই সারা দেশে বিখ্যাত ওরেভা। বাল্ব ছাড়াও সংস্থাটি তৈরি করে ঘড়ি, ইলেকট্রিক বাইক। মাচ্ছু নদীর উপর ভেঙে পড়া সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়া তারা অন্য কোনও সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এমন কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি। কী করে তারা এই সেতু সংস্কারের বরাত পেল তা জানতে তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মোরবি পুরসভার প্রধান আধিকারিক দাবি করেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। যেখানে সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১২৫ জন। সেখানে রবিবার সেই সেতুতে ১২ থেকে ১৭ টাকার টিকিট কেটে উঠেছিলেন প্রায় ৫০০ জন। এখনও পর্যন্ত সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৪১ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাচ্ছু নদীর জল-কাদায় প্রায় ১০০ দেহ আটকে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar Camp)। তার আগেই এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক প্রেস বিবৃতিতে এই প্রকল্পের বিভিন্ন খামতি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুয়ারে সরকার নামকরণ হল প্রহসন মাত্র। সরকার দুয়ারে আসছে না, মানুষকে ক্যাম্পের বাইরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। প্রোলভন দেখিয়ে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলা হচ্ছে।” তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি থেকেই এই সুবিধা প্রদান করা যেত। তাহলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হত না। শুভেন্দু রাজ্য সরকারের দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের দফতরগুলি দুর্নীতির আখড়া বলেই সেখান থেকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    দুয়ারে সরকার শিবিরে যেসব প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়, সেই প্রকল্পগুলির নাম আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করে তার খুঁত তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন ২৫ বছর বয়সী মহিলারা। তারপর বহু মহিলার বয়স ২৫ পেরিয়েছে। কিন্তু, এখনও নাম নথিভুক্তকরণের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারিই রয়ে গিয়েছে কেন?” এর উত্তর নিজেই দিয়ে বলেন, “কোষাগারের অর্থে টান পড়েছে, তাই এই অবস্থা।”

    এছাড়াও তিনি প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেন, “মৎসজীবী ক্রেডিট কার্ডও আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিষান ক্রেডিট কার্ডের নামকরণ। ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের জন্য কোনও কৃষক বা মৎসজীবী আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকই অনুমোদনের জন্য সঠিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, রাজ্য সরকার নিজের কতৃত্ব বজায় রাখার জন্য ক্ষমতার বহির্ভুতভাবে হস্তক্ষেপ করছে। ফলে, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ঋণের জন্য নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ও ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের সংখ্যায় বিপুল ফারাক ধরা পড়েছে। আসলে রাজ্য সরকার প্রেরিত ঋণের আবেদনের আলাদা করে কোনও গুরুত্ব নেই।” 

    তিনি আরও দাবি করেন, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড প্রদানের রাজ্য সরকারের উদ্যোগও কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার মমতা প্রশাসনের সুপরিকল্পিত চাল। এছাড়া, এগ্রি ইনফ্রা ফান্ড স্কিম, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ক্রেডিট লিঙ্কেজ, বিদ্যুতের নয়া সংযোজক ও বিল পরিশোধের আবেদনেও বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে নন্দিগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেউলিয়া, ইতিমধ্যে সবাই জানেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনে হয়েছিল দুয়ারে সরকারের নামে সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজ্য সরকার এই সমস্ত কর্মসূচিগুলো করছে। পরে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভোটও দিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজনা যখন বাজতে চলেছে আবার পশ্চিমবঙ্গে একটি ধাপ্পাবাজি হতে চলেছে। চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, যে যে স্কিমগুলি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা দুটো বাদ দিয়ে সবকটি স্কিম কেন্দ্রীয় সরকারের। নাম বদল করে দেখানো হবে। যাতে আবার ‘তোলামূলের’ চোররা পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স রিনিউ করতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের জন্ম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই চাঁদের জন্ম (Birth of Moon) নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে প্রচলিত যে তত্ত্বটি রয়েছে তা হল, চাঁদের জন্ম হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। পৃথিবীর সঙ্গে ‘থিয়া’ নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরেই চাঁদের সৃষ্টি হয়। থিয়ার আকার প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান ছিল। পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার তীব্র সংঘর্ষ হয়। গবেষকদের মতে, তীব্র সংঘর্ষে পৃথিবী এবং থিয়া থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল কিছু পদার্থ এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। আর সেই পদার্থ পরবর্তীতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নামে পরিচিতি পায়।  

    নাসার এই নিয়ে অন্য একটি দাবি রয়েছে। তাদের দাবি, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। সেই দাবিতে বলা হয়, পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে তার উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এমনও মনে করেন, চাঁদ তৈরি হয়েছিল পৃথিবীরই অংশ দিয়ে। আর চাঁদ তৈরির পরেই তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর!  

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চাঁদ। এত দূরে থেকেও পৃথিবীর অনেক কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করে উপগ্রহটি। চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে এর আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই উপগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য অনেকাংশেই রহস্যে মোড়া।

    আরও পড়ুন: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, “আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।” নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগৎ সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lunar Eclipse: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে?

    Lunar Eclipse: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির পরের দিন  ছিল সূর্যগ্রহণ। এটাই ছিল এই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। সামনের মাসে আসতে হতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ (Chandra Grahan 2022)। আগামী ৮ নভেম্বর অর্থাৎ কার্তিক মাসে পূর্ণিমার দিনই দেখা যাবে বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। 

    বিকেল সাড়ে ৫টার পর শুরু হবে গ্রহণ (Lunar Eclipse 2022), চলবে সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত (Chandra Grahan 2022 In India Date And Time)। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে গ্রহণ। ৮ নভেম্বরই রয়েছে দেব দীপাবলি। এমন পরিস্থিতিতে অনেক জ্যোতিষী চন্দ্রগ্রহণের একদিন আগে দেব দীপাবলি উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। 

    সময়

    চন্দ্রগ্রহণের তারিখ- ৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার
    চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে – সন্ধ্যা ৫:৩২ মিনিটে
    চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে- সন্ধ্যা ৬:১৮ মিনিটে
    সূতক সময় শুরু হবে – সকাল ৯:২১ মিনিটে
    সূতক শেষ হবে – সন্ধ্যা ৬.১৮ মিনিটে

    ভারতে কোথায় দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ?

    চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে কলকাতা, শিলিগুড়ি, পাটনা, রাঁচি, গুয়াহাটি ইত্যাদি জায়গা থেকে দেখা যাবে।  

    ভারত ছাড়া আর কোথায় দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? 

    দেব দীপাবলির দিন চন্দ্রগ্রহণ উত্তর ও পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ অংশে দৃশ্যমান হবে।

    চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে জেনে নিন এই বিষয়গুলি

    হিন্দু ধর্ম অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণের সূতক সময় গ্রহণের ৯ ঘন্টা আগে শুরু হয়।  

    ২০২২ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে। যা ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৮ নভেম্বর দুপুর ১.৩২ থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭.২৭ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

    এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।  
     
    সূতক সময়কে অশুভ বলে মনে করা হয়। সূতক কালের সূচনার পর কোনও শুভ কাজ করা হয় না।
     
    চন্দ্রগ্রহণের সময় বাড়ি থেকে বেরোনো অশুভ বলে মনে করা হয়।
     
    চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘুমানো বা ধারালো বস্তু ব্যবহার করা উচিৎ নয়। 
       
    চন্দ্রগ্রহণের সময় স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গ্রহণের দিন গঙ্গায় স্নান করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।

    আরও পড়ুন: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    কী করে দেখবেন গ্রহণ?

    খালি চোখে দেখা যাবে গ্রহণ। ভালো ভাবে দেখতে দূরবীন ব্যবহার করতে পারেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) সংক্রান্ত যা যা খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, তার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে চলেছে নবান্ন। এই মর্মে জেলাস্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের তরফে।  

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাকে মাথায় রেখে জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর তাই, এবারের দুয়ার সরকার শিবিরকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক শিবির। সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে দুয়ারে সরকার সংক্রান্ত একটি আন্তঃবিভাগীয় নির্দেশিকা। প্রশাসনের কোন পর্যায়ে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে— দুয়ারে সরকার শিবির সংক্রান্ত বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশত হওয়া যাবতীয় খবর ‘ট্র্যাক’ করতে হবে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম চালু করতে হবে। 

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিডিয়া কভারেজের ওপর নজরদারি করতে হবে। কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, তা খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য জেলা স্তরে জেলাশাসক এবং রাজ্যস্তরে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কাছে যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া রয়েছে যে, জেলাস্তরে কার হাতে থাকবে গোটা নিয়ন্ত্রণ। ঠিক একইভাবে, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও একজন শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন, যিনি জেলাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    প্রশাসনিক এই নির্দেশ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে স্বভাবতই শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র জল্পনা। বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যবাসীর চোখে সরকারের ভাবমূর্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা শাসক শিবির থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা সকলেই টের পেয়েছেন। এখন শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই, সংবাদমাধ্যমের ওপর নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্য হল- যাতে কোথাও কোনও নেতিবাচক খবর ছাপা বা প্রকাশ পাচ্ছে, তা নজরে রাখা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Virat Kohli: গোপনীয়তা কোথায়? হোটেলের ঘরের ভিডিও ভাইরাল, ক্ষুব্ধ বিরাট! ক্ষমা চাইল হোটেল কর্তৃপক্ষ

    Virat Kohli: গোপনীয়তা কোথায়? হোটেলের ঘরের ভিডিও ভাইরাল, ক্ষুব্ধ বিরাট! ক্ষমা চাইল হোটেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেলের ঘরেই গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না, তাহলে কোথায় হবে? প্রশ্ন তুললেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিরাটের (Virat Kohli) হোটেলের ঘরের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। পার্থের  ক্রাউন রিসোর্ট (Crown Resorts) হোটেলে ছিল ভারতীয় দল। সেই হোটেলেই কোহলির অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘরে ঢুকে কয়েকজন একটি ভিডিও তোলে। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন কোহলির হোটেলের ঘরে ঢুকে ভিডিও করছেন। ভারতীয় ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সামগ্রীর ভিডিও তুলছেন তাঁরা। তাঁর জুতো, জামা-কাপড়, বিছানা থেকে শুরু করে শৌচগারেরও ভিডিও করা হয়েছে। সেই সময়ই দেখা যায়, কোট-প্যান্ট পরা তিন জন রয়েছেন কোহলির হোটেলের ঘরে। দেখে মনে হচ্ছে, হোটেলেরই কর্মী তাঁরা।

    এই ভিডিও প্রকাশ করে কোহলি লিখেছেন, “আমি বুঝি যে, ফ্যানরা তাদের ফেভারিট প্লেয়ারদের দেখলে রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি সবসময় প্রশংসা করেছি। কিন্তু এই ভিডিও সাংঘাতিক। আমার প্রাইভেসি নিয়ে আমি ভীত। যদি আমি নিজের হোটেল রুমেই কোনও ব্যক্তিগত পরিসর না পাই, তাহলে সেটা আমি কোথায় প্রত্যাশা করতে পারি?” এই ঘটনায় তিনি যে চরম বিরক্ত, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কোহলি। তিনি লিখেছেন, “এই ধরনের ভালবাসা আমি চাই না। এ ভাবে কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকা ঠিক নয়। দয়া করে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। তাঁদের বিনোদনের পণ্য করে তুলবেন না।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারও। তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা খুব বিরক্তিকর ঘটনা। মেনে নেওয়া যায় না।’’ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরাট পত্নী অনুষ্কা শর্মা। তিনি লিখেছেন, ‘ অনেকে মনে করেন সেলেবদের এ ধরনের ঘটনা সহ্য করতে হবে। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত জগতে ঢোকা অপরাধ। আপনার শোওয়ার ঘরে ঢুকলে কেমন লাগবে?’ প্রশ্ন করেন অনুষ্কা। তাঁর কথায়, ‘অতীতে আমিও এ রকম কিছু ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু এর থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না। কোহলিকে অপমান করা হয়েছে। ওর ব্যক্তিজীবনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।’

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Virat Kohli (@virat.kohli)

    এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ক্রাউন রিসোর্ট।  চিঠিতে তারা লিখেছে, ‘চূড়ান্ত হতাশাজনক! আমাদের হোটেলে অতিথিদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সর্বাধিকার পায়। আমরা এই ঘটনায় অত্যন্ত হতাশ। আমরা আমাদের অতিথির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। এরকম আচরণ কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না।’ হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ক্রাউন তদন্ত চালাবে। হোটেল কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘যাতে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর না হয়,তা আমরা দেখব। আমরা ভারতীয় ক্রিকেট দল ও আইসিসি-র কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’

  • Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধার্মিক কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল অসম পুলিশ (Assam Police)। এই রাজ্যের পুলিশের তরফ থেকে জেলার সমস্ত পুলিশকে বলা হয়েছে কোনোরকমের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিরা যোগ দিলে তাঁদের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। আর এমন কোনও অনুষ্ঠানে বিদেশিদের উপস্থিতি দেখলেই বিশেষ সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অসম পুলিসের তরফে। কিছু বিদেশিদের ভিসার নিয়ম উলঙ্গন করার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে অসম পুলিশ, সূত্রের খবর।

    সম্প্রতি ১০ জন বিদেশির মধ্যে ৩ জন সুইডিশ এবং ৭ জন জার্মান কে ভিসার নিয়ম উলঙ্ঘন করার জন্য এবং বিদেশি আইন অমান্য করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অসমের বিশেষ ডিজিপি জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মোপদেশ দেওয়ার অভিযোগে ৭ জার্মান নাগরিককে আটক করেছে। মাথাপিছু তাদের ৫০০ ইউএসডি (USD) জরিমানাও করা হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফলে এমন ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকায় বিদেশিদের ওপর বিশেষ নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম পুলিশ (Assam Police)।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার অসমের ডিব্রুগড়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ডিব্রুগড় জেলার নামরুপ পুলিশ স্টেশন এলাকায় প্রার্থনা ও শান্তিসভার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। ফলে ডিব্রুগড় জেলা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট (ডিব্রুগড়) বিটুল চেতিয়া জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তাঁরা অসমে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের  জরিমানা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে তাঁদের এই দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

LinkedIn
Share