Blog

  • Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ (Two Finger Test) – এ না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিটিকে ‘অবৈজ্ঞানিক এবং অপমানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধর্ষিতার পরীক্ষা হলে তা ‘অশোভন আচরণ’ বলে ধরা হবে। বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। তবে এখনও নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় করা হয় এই পরীক্ষা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।           

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলে, “ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর ফলে  নির্যাতিতারা ফের  বিভীষিকার শিকার হন। দুই আঙুলের পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। আগে মনে করা হত যে, যৌন সম্পর্কে সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।”

    আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত 

    সুপ্রিম কোর্ট বলে, “একজন মহিলা যৌন সম্পর্কে কতটা সক্রিয় তার ওপর তাঁর ধর্ষণের সাক্ষ্য নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলা যৌন সক্রিয় হলে  তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।” আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের ওপর টু ফিঙ্গার টেস্ট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে।  

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে, ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা মানে তাঁর গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করা। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেয় আদালত। সেই সময় বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার বেঞ্চ বলেছিল, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ – এর রিপোর্টে ধর্ষণ বিষয়ক কিছুই প্রমাণ হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Railway Recruitment: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত

    Railway Recruitment: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা কেন্দ্র সরকারের চাকরির জন্যে অপেক্ষা করছেন তাদের জন্যে সুখবর। কর্মী নিয়োগ করছে রেল। রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট সেল (RRC), সেন্ট্রাল রেলওয়ে (CR) স্টেনোগ্রাফার, সিনিয়র কমন ক্লার্ক কাম টিকিট ক্লার্ক, গুডস গার্ড, স্টেশন মাস্টার, জুনিয়র অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ একাধিক পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। rrccr.com -এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

    আরআরবি রেলওয়ে নিয়োগ ২০২২-র বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পদে মোট ৫৯৬টি পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। ২৮ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর৷ এই রেলওয়ে নিয়োগ  আরপিএফ/আরপিএসএফ কর্মীদের জন্যে নয়।   
     
    শূন্যপদ 

    স্টেনোগ্রাফার- ৮টি পদ
    সিনিয়র কমল ক্লার্ক কাম টিকিট ক্লার্ক- ১৫৪টি পদ
    গুডস গার্ড-৪৬টি পদ
    স্টেশন মাস্টার-৭৫টি পদ
    জুনিয়র অ্যাকাউন্টস সহকারী-১৫০টি পদ
    জুনিয়র কমল ক্লার্ক কাম টিকেট ক্লার্ক-১২৬পদ
    অ্যাকাউন্টস ক্লার্ক-৩৭টি পদ
    মোট শূন্যপদের সংখ্যা-৫৯৬টি 

    যোগ্যতা 

    কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি যারা স্নাতক ডিগ্রি পাস করেছেন তাঁরাও আবেদন করতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের 

    বয়স সীমা

    অসংরক্ষিত প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৪২ বছর। ওবিসি প্রার্থীদের জন্য বয়স সীমা ৪৫ বছর এবং এসসি/ এসটি প্রার্থীদের জন্য বয়স সীমা ৪৭ বছর (১ জানুয়ারি, ২০২৩ অনুযায়ী)

    আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু 
     
    নির্বাচন প্রক্রিয়া

    আবেদনকারীদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় অবজেকটিভ প্রশ্ন থাকবে। মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে। তারপরে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফাই করা হবে। তারপর মেডিক্যাল টেস্টের জন্য ডাকা হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেও চলতে পারে তৃণমূলের কাটমানি, সিন্ডিকেট-রাজ! আশঙ্কা খোদ রাজ্য প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল পরিচালিত ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সেই রাজ্যেরই ক্ষমতাসীন সরকার (TMC Government)। আবাক মনে হলেও, এটা বাস্তব। এমনই নিদর্শন দেখা গিয়েছে নবান্ন (Nabanna) থেকে প্রকাশিত ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) বিজ্ঞপ্তিতে। 

    শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Polls)। তাকে মাথায় রেখেই ফের কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। নতুন উদ্যমে পুনরায় শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্যে দুয়ারে সরকার। বলা বাহুল্য, এবারের ফোকাস গ্রাম-বাংলা। আর সেই নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। তাতে, কী কী করতে হবে, কী কী করণীয়, তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই নির্দেশিকার একটি অংশ নিয়েই যাবতীয় জল্পনা শুরু হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হল— রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা যে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট-রাজ ও কাটমানি তোলায় যে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। সেই নিয়ে একটি সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    নির্দেশিকার একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে যদি কোনও (শাসক দলের) টাউট পরিষেবার নাম করে টাকা দাবি (তোলা) করে, তাহলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সর্বস্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত করবেন যাতে শিবিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় থাকে। পাশাপাশি, নির্দেশিকায় এ-ও বলা হয়েছে, যে কোনওমতে গুচ্ছাকারে জমা করা আবেদনপত্র (Bulk Application) গ্রহণ করা হবে না।

    বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি যে দলের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে, তা বুঝে গিয়েছেন শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই নির্দেশিকা থেকেই তা পরিষ্কার। সাম্প্রতিককালে, এই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জেলে বন্দি। নিত্যদিন এক-একটি নতুন দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হচ্ছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে, নিজেদের মুখ রক্ষা করার একটি শেষ মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনার ফলে সোমবার গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হল। বর্তমানে, গুজরাটরাজস্থানের তিন দিনের সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই দুর্ঘটনার কারণে তাঁর সফরসূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ সোমবার আমদাবাদে মোদির রোড শো হওয়ার কথা ছিল। তা বাতিল করা হয়েছে। বিজেপির মিডিয়া সেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তা-ও স্থগিত করা হয়েছে। একমাত্র ২৯০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প উদ্বোধন করার অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে একটি পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। গুজরাটি নববর্ষের দিন সেটি খুলে দেওয়া হয়। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমভাবে সাহায্য করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মোরবি গিয়ে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মোদি। গতকালই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃসময়ে সরকার সব রকম ভাবে শোকাহত পরিবারের পাশে আছে। গুজরাট সরকার গতকাল থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন্দ্রও রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন একতা নগরে আছি কিন্তু আমার মন পড়ে রয়েছে মোরবির আক্রান্তদের সঙ্গে। আমার জীবনে খুব কমই এমন ব্যথা অনুভব করেছি আমি। একদিকে বেদনায় ডুবে থাকা হৃদয়, অন্যদিকে কর্তব্যের পথ।’ 

  • Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet election) সামনে আসতেই আর এক দফা ছাড়ের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার বিদ্যুৎ বিলে (electricity bill)। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তাঁরা বিলের ওপর পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় (waiver) পাবেন। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ যদি এককালীন মিটিয়ে দেন, তাহলে বকেয়া জরিমানা আর দিতে হবে না। পয়লা নভেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার (duare sarkar) প্রকল্প চালু হচ্ছে, সেখানেই মিলবে এই সুবিধা। তবে পশ্চিমবঙ্গ যখন দিন দিন ঋণের ভারে জর্জরিত, তখন কীভাবে এই দানছত্র খুলে বসা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) এর অধীনে ২ কোটি ১৯ লক্ষ গ্রাহক আছে। গ্রামীণ এলাকায় অনেক গ্রাহকই সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল মেটান না। কৃষির জন্য যাঁরা বিদ্যুৎ নেন, তাঁদেরও একটা অংশ এই বিল মেটাননি। এর জন্য আইন মেনেই তাদের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। তা আদায়েরও কোনও চেষ্টা করা হয়নি। ফলে 
    ঋণের বোঝা চাপছে বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে। এই বোঝাই আরও বাড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনমোহিনী পথে হাঁটার চেষ্টায় সরকার। 

    গৃহস্থের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও এই ছাড় মিলবে। শ্যালো টিউব ওয়েল, ডিপ টিউবওয়েল,সেচের জন্য নদী থেকে যারা বিদ্যুৎ খরচ করে জল তুলেছে, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের অর্ধেক তাদের মকুব করা হবে। বাকি ৫০ শতাংশ যদি এককালীন জমা দেয়, তাহলে আর জরিমানা লাগবে না। ব্যক্তিগত ক্ষেত্র ছাড়া  কৃষক কমিটিরাও এই সুযোগ পাবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই এর জন্য ফর্ম মিলবে। ফর্ম ফিল আপের পর তড়িঘড়ি সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জনপ্রিয়তা কুড়োতে এই দান খয়রাতি কেন! কিছুদিন আগেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই লোকসানের দায় চাপবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উপর। এমনিতেই সংস্থাকে সময়ে টাকা মেটাতে পারে না রাজ্য। কেন্দ্রের হিসেবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার পাওনা মেটাতে গড়ে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের। ফলে তাদের ওপর বোঝা বাড়বে। সবমিলিয়ে বিপদ ডেকে আনবে গোটা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। যার বিপর্যয়ে ভুগতে হবে রাজ্যের বহু কোটি মানুষকে।  

     

     

  • Bank Hike FD Rates: চারটি ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের উপর সুদ বাড়ল, বিনিয়োগ মুনাফা কোন কোন ব্যাঙ্কে?

    Bank Hike FD Rates: চারটি ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের উপর সুদ বাড়ল, বিনিয়োগ মুনাফা কোন কোন ব্যাঙ্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা করাই অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছে দেশের চারটি ব্যাঙ্ক। আপনি যদি অর্থ সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে এর থেকে আর ভালো সময় নেই। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিনিয়োগ ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে বেশি রিটার্ন পাওয়া গেলেও সেগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হন। তাই সুরক্ষিত বিনিয়োগের জন্য অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিট করে থাকেন। 
    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) দ্বারা টানা রেপো রেট বৃদ্ধির পরে, কম বেশী প্রতিটি ব্যাংকই ২০২২ সালের মে মাস থেকে ফিক্সড ডিপোজিট (FDs) এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার বাড়িয়েছে।
    বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড়ো ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও তার পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সহ  আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার বাড়িয়েছে।
    তবে এই ব্যাংকগুলির থেকেও ছোট ব্যাংক (Small Financed Bank) গুলি তাদের গ্রাহকদের জন্য লাভজনক হারে সুদের হার বাড়িয়েছে।
    বর্তমানে আইডিএফসি(IDFC) ব্যাংক, আরবিএল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, কানাড়া ব্যাংক(Canara Bank) গ্রাহকদের ৭% এরও বেশী সুদের হার বাড়িয়েছে।

    আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক (IDFC First Bank)

    আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ধিত সুদের হার ঘোষণা করেছে। সেই সুদের হার হল নিম্নরূপ—
    ৭৫০ দিনের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটের জন্য, ব্যাঙ্ক সাধারণ গ্রাহকদের ৭.২৫% এবং বয়স্ক নাগরিকদের ৭.৭৫%।

    আরবিএল ব্যাংক (RBL Bank)

    RBL ব্যাঙ্ক সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ১ বছর ৩ মাসে  ফিক্সড ডিপোজিটেত উপর ৭% হারে সুদ অফার করে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৭.৫০% হারে।

    ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া(Union Bank of India)

    ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হল একটি সরকারী ব্যাঙ্ক। ১৭ অক্টোবর থেকে ২ কোটির নিচে থাকা স্থায়ী আমানতের উপর (FD) সুদের হার বাড়িয়েছে।  সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ব্যাঙ্কটি ৭ দিন থেকে 10 বছর মেয়াদী স্থায়ী আমানতের উপর ৩% থেকে ৭% পর্যন্ত সুদের হার বাড়িয়েছে।

    কানারা ব্যাংক(Canara Bank)

    কানারা ব্যাংকটিও হল সরকারী ব্যাংক। কানারা ব্যাঙ্ক ৬৬৬ দিনে মেয়াদের জন্য একটি বিশেষ ফিক্সড ডিপোজিট প্ল্যান চালু করেছে।  এই পরিকল্পনা অনুসারে, ব্যাংক তার সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ৭% হারে সুদের হার অফার করছে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার হবে ৭.৫%।
    কানারা ব্যাঙ্ক বর্তমানে ৭ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সাধারণ জনগণের জন্য ৩.২৫% থেকে ৭.০০% এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৩.২৫% থেকে ৭.৫০% হারে সুদ প্রদান করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Barack Obama: ভরা প্রচার সভায় হেনস্থা ওবামাকে, কেন জানেন?

    Barack Obama: ভরা প্রচার সভায় হেনস্থা ওবামাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অদূরেই মধ্যবর্তী নির্বাচন। শনিবার মিচিগানে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (Barack Obama)। তিনি প্রচার করছিলেন ডেমোক্রেটিক গভর্নর গ্রেটছেন হুইটমারের হয়ে। ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ছিলেন, তখনও হুইটমার ডেমক্রেটিক পার্টিতে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন। এহেন জনপ্রিয় দলীয় এক প্রার্থীর হয়েই ভোট চাইতে বেরিয়েছিলেন ওবামা। সেখানে তোলেন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosis) স্বামীর ওপর হামলার প্রসঙ্গ। অভিযোগ, ওই সময় আচমকাই হেনস্থা করা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ( Former US President)।

    জানা গিয়েছে, যিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে (Barack Obama) হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি একজন পুরুষ। বক্তৃতার মাঝে ন্যান্সির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। পরে একবার থামেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই সময় আচমকাই চিৎকার করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, হেনস্থাও করা হয় ওবামাকে। তবে ওই ব্যক্তি ঠিক কী বলছিলেন, তা অবশ্য বোঝা যায়নি। ওবামা বলেন, আমি ঠিক এটাই বলছিলাম। যিনি তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন, তাঁর উদ্দেশে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একটি পদ্ধতি পেয়েছি, যেটা আমরা আমাদের গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠাও করেছি। ঠিক এখনই, আমি বলছি, পরে কোনও এক সময় আপনার বলার সুযোগ আসবে। কোনও কাজের জায়গায় আপনি এভাবে কাউকে হেনস্থা করতে পারেন না।

    ছ বছর আগে হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন ওবামা (Barack Obama)। এতদিন পরেও তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। তার প্রমাণ এদিনের সমাবেশ। এদিন ওবামাকে এক ঝলক দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়েছিল। কেবল আম জনতা নয়, ডেমোক্রেটদের মধ্যেও ওবামা ভীষণ জনপ্রিয়। এদিন তিনি প্রচার সমাবেশে হাজির হতেই উদ্বেল হয়ে পড়ে জনতা। এই তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কারণেই ওবামার (Barack Obama) ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোট প্রচারের। কেবল মিচিগান নয়, আরও চারটি রাজ্যে দলের তরফে নির্বাচন পরিচালনা করবেন তিনিই। জানা গিয়েছে, মিচিগানের সভা সেরে ওবামা (Barack Obama) প্রচারে যোগ দেবেন জর্জিয়ায়। মঙ্গলবার যাবেন নাভেদার পার্পেল স্টেটে। নভেম্বরের পাঁচ তারিখে তিনি যাবেন পেনসিলভানিয়ায়।

     

     

  • Prince Harry-Meghan Markle: রাজপরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করবেন না প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল! কী এমন হল?

    Prince Harry-Meghan Markle: রাজপরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করবেন না প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল! কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজকীয় পরিবার প্রথম ক্রিসমাস উদযাপন করবেন। কিন্তু এই উদযাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। এমনকি পিতা রাজা তৃতীয় চালর্সের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করতে পারে। এমনটাই সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে। তবে কেন থাকবেন না ক্রিসমাসের সময়ে, এই নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই প্রিন্স হ্যারির লেখা বই ‘স্পেয়ার’  প্রকাশিত হতে চলেছে। আর তার ব্যস্ততার মাঝেই তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানা গিয়েছে। তাঁর লেখা ‘স্পেয়ার’ বইটি একটি আত্মজীবনী। ইতিমধ্যেই বইটিকে শকওয়েবে পাঠানো হয়েছে ও ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি এটি প্রকাশিত হতে চলেছে। ফলে তাঁর এই আত্মজীবনীতে কী কী লিখেছেন তা নিয়ে আগ্রহ প্রায় পুরো বিশ্ববাসীর।

    হ্যারি রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রয়াত প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়নার ছোট ছেলে। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাতি তিনি বেঁচে থাকতেই রাজ উপাধি বর্জন করেছেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে,  মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর রাজপরিবারের সঙ্গে হ্যারির যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল, সে বিষয়গুলো আত্মকথাতে উঠে আসবে। ২৫ বছর আগে তাঁর মা ডায়ানার মৃত্যুতে রাজপুত্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সে বিষয়েও লেখা হবে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ডায়নার মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে কীভাবে বেড়ে উঠেছে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। সেসব কথাই লিখেছেন হ্যারি। এই আত্মকথাতেই উঠে আসবে কেন হ্যারি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে আমেরিকা চলে যান।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে বইটি বাজারে আনতে চলেছে খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা ‘পেঙ্গুইন র‍্যানডম হাউস’। পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে যে স্মৃতিকথা সম্পর্কে একটি বিবৃতিতে, পেঙ্গুইন র‍্যানডম হাউস বলেছে যে ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটিতে হ্যারিকে নিজের জীবনের কথা সততার সঙ্গে বলতে দেখা যাবে। এছাড়াও হ্যারি ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি এই বইটি একজন রাজপুত্র হয়ে নন, এক মানুষ হিসেবে লিখেছেন।

    এছাড়াও জানা গিয়েছে, ‘স্পেয়ার’ ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রকাশিত হবে। আরও ১৫টি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

  • Liz Truss: পুতিনের নির্দেশেই হ্যাক করা হয়েছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ফোন!

    Liz Truss: পুতিনের নির্দেশেই হ্যাক করা হয়েছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ফোন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের (Liz Truss) ব্যক্তিগত ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) হয়ে কাজ করে এমন সন্দেহভাজন সংস্থাই এ কাজ করেছে। ট্রাস যখন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী তখনই হ্যাক করা হয় তাঁর ব্যক্তিগত ফোন। শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের নামকরা সংবাদপত্র ডেইলি মেইল।

    ব্রিটেনের ওই নামী সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন গুপ্তচররা ট্রাসের (Liz Truss) ঘনিষ্ঠ বন্ধু কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের সঙ্গে কথোপকথন ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে ট্রাসের আলোচনার গোপন বিবরণের খোঁজ পেতেই ট্রাসের ফোন হ্যাক করেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাসের কথোপকথনও এজেন্টদের হাতে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। হ্যাকাররা বছরখানেক ধরে ট্রাসের ফোন থেকে ডেটা ডাউনলোড করেছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের শক্তপোক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা, তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তার পরামর্শ এবং কীভাবে সাইবার হুমকির মোকাবিলা করতে হবে তার পরামর্শ দেওয়াও।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ট্রাস (Liz Truss)। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন ট্রাস। তবে বেশিদিন ওই পদে ছিলেন না তিনি। মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন ট্রাসও। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ফের এগিয়ে আসেন ঋষি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান বরিস এবং লিজ। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষিকে বেছে নেয় তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি। রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি। পরে শপথ নেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indonesia Visa: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর থাকার সুযোগ

    Indonesia Visa: এক কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলেই ইন্দোনেশিয়ায় দশ বছর থাকার সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংকে  ১ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তাহলেই ইন্দোনেশিয়ার ‘সেকেন্ড হোম’ ভিসা (Second Home Visa) পেয়ে যেতে পারেন আপনি। তবে এই পরিমাণ টাকা না থাকলে আবেদন করেও কোনও লাভ নেই। থাকলে আবেদন করতেই পারেন।

    ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) চাইছে চাকুরীজীবী হোন বা অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা আর্থিক দিক থেকে ক্ষমতাশালী কেউ যাতে সেই দেশকে নিজের দ্বিতীয় আস্তানা ভাবতে পারেন। ইন্দোনেশিয়া তাঁদের ১০ বছরের ভিসা দিতে প্রস্তুত। ৫ থেকে ১০ বছরের ভিসা দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।    

    আসলে ইন্দোনেশিয়া ধনীদেরই চাইছে। ধনীরা সে দেশে এসে থাকুন এবং অর্থব্যয় করুন এটাই চাইছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ ইন্দোনেশিয়া।      

    বিদেশি মুদ্রা দেশের অর্থনীতিকে যাতে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে সেই চেষ্টাতেই রয়েছে। আর আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু করা হচ্ছে বালিকে। এবার দেশে দীর্ঘদিন থাকার ভিসার ব্যবস্থা করে সেই পথ আরও প্রশস্থ করতে চাইছে তারা।ইন্দোনেশিয়াকে তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি করে তোলার জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানাচ্ছে তারা। তবে শর্ত একটাই পকেটে যথেষ্ট পয়সা থাকতে হবে। যা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিকে আখেরে সমৃদ্ধ করবে। 

    কিছুদিন আগে এই ঘোষণা হলেও, এখনও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বড়দিনের সময় এই প্রক্রিয়া চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ছবির মতো এইরকম একটি দেশে থাকতে পারা অনেকের জন্যেই সুবর্ন সুযোগ। 

    ইদানীং অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরতে যান। গত দু’বছরের অতিমারি পরিস্থিতি সামলে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সব দেশের পর্যটনকেন্দ্র। পরিবারের সঙ্গে ঘোরা তো বটেই, মধুচন্দ্রিমাতেও অনেকের পছন্দ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ।

    আরও পড়ুন: ফের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে

    ইমিগ্রেশন দফতরের কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিদেশি নাগরিকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” 

    নভেম্বর মাস থেকেই পর্যটক আসতে শুরু করে বালিতে। এ ছাড়া ওই মাসেই বালিতে আয়োজিত হতে চলেছে ‘জি-২০ সামিট’। পাশাপাশি ‘গারুদা ইন্দোনেশিয়া’ বিমান সংস্থাটিও তাদের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করবে ওই সময়ে। আশা করাই যায়, ইন্দোনেশিয়ার দুরন্ত এই ভিসার প্রলোভন, অনেকের জন্যেই বড় সুযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share