Blog

  • Pitru Paksha 2022: আজ সূচনা হচ্ছে পিতৃপক্ষের, কীভাবে করবেন তর্পণ, জেনে নিন

    Pitru Paksha 2022: আজ সূচনা হচ্ছে পিতৃপক্ষের, কীভাবে করবেন তর্পণ, জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার শুক্লপক্ষ থেকে পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha 2022) সূচনা হয়। এই বছর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে (Pitru Paksha Starts on 10th September)। শেষ হবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে। এবছর ২৫ সেপ্টেম্বর অবসান হচ্ছে পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha Ends on 25th September)। এই তিথিকে অনেকে সর্বপিতৃ অমাবস্যাও বলে থাকেন। এদিনই পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবী পক্ষের সূচনা হয়। এই সন্ধিক্ষণকেই আমরা ‘মহালয়া’ বলি। অতএব চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বপিতৃ অমাবস্যা বা মহালয়া। এর পরদিনই প্রতিপদা। সেই দিনই দুর্গা পুজোর সূচনার ঘোষণা হয়। 

    মনে করা হয়, পূর্বপুরুষরা পিতৃপক্ষের সময়ে মর্ত্যে নেমে এসে তাঁদের বংশধরদের থেকে জল গ্রহণ করেন। এই বিশেষ সময়কালে বেশ কয়েকটি নিয়মও পালন করা হয় শাস্ত্র মতে। পিতৃপক্ষের অবসান যেদিন হয়, সেদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে অনেকেই তর্পণ করে থাকেন। জেনে নিন পিতৃপক্ষের মাহাত্ম্য ও তর্পণ সম্পর্কে।

    আরও পড়ুন: অনন্ত চতুর্দশী কবে জানেন? কেন পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? কী এর মাহাত্ম্য?

    শাস্ত্র অনুযায়ী পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ হয় না। বলা হয় এই সময় কোনও আনন্দের বা শুভ কাজ করলে অসন্তুষ্ট হয় পিতৃপুরুষরা। তাই এই সময় বিয়ে, গৃহ প্রবেশের মতো শুভ কাজ করা হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়, যে জাতকদের পিতৃ দোষ থাকে, তাঁরা পূর্ব পুরুষদের শান্ত করার উপায় করলে সেই দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

    পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের পিণ্ডদান করা হয়। পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে এই সময় কোনও খাবার উৎসর্গ করলে তা পরে কাক, গরু কুকুরকে খাইয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত। পিতৃপক্ষে অনেকে ব্রাহ্মণ ভোজন এবং পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে দান করে পুণ্য সঞ্চয় করে থাকেন।শাস্ত্রে বলা হয়, পিতৃপক্ষের সময় শ্রাদ্ধ না-করলে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি হয় না। এই সময় পিতৃপুরুষের উদ্দেশে দেওয়া বাসনপত্র যেন লোহার না হয়, এতে গৃহস্থের অমঙ্গল হয়। কাঁসা বা পিতলের পাত্রে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে খাবার দিন। এই সময় আপনার বাড়ির দরজায় কোনও ভিক্ষুক এলে তাঁকে অবশ্যই ভিক্ষে দিন। এই সময় দানে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তর্পণে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হলে পরিজনদের আশীর্বাদ দেন।  

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী, জানুন এই বিশেষ দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্য
      
    পিতৃপক্ষের প্রধান কিছু তারিখ

    ১০ সেপ্টেম্বর- পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ, ভাদ্রপদ, শুক্ল পূর্ণিমা

    ১১ সেপ্টেম্বর- প্রতিপদা শ্রাদ্ধ, আশ্বিন, কৃষ্ণ প্রতিপদা

    ১২ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দ্বিতীয়া

    ১৩ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ তৃতীয়া

    ১৪ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ চতুর্থী

    ১৫ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ পঞ্চমী

    ১৬ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ ষষ্ঠী

    ১৭ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ সপ্তমী

    ১৮ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ অষ্টমী

    ১৯ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ নবমী

    ২০ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দশমী

    ২১ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ একাদশী

    ২২ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ দ্বাদশী

    ২৩ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ ত্রয়োদশী

    ২৪ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ চতুর্দশী

    ২৫ সেপ্টেম্বর- আশ্বিন, কৃষ্ণ অমাবস্যা, সর্বপিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া

    তর্পণের নিয়ম

    অনেকে পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। আবার অনেকে যে তিথিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে শ্রাদ্ধ করান। পিতৃপক্ষে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল-জল দিয়ে তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত। ব্রাহ্মণ ভোজনের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের বাড়িতে ডেকে ভোজন করাতে পারেন ও সাধ্যমতো দান করতে পারেন। পিতৃপক্ষের দিনে ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়। এ সময় তেল লাগানো যাবে না বা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া যাবে না।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Neeraj Chopra: প্রথম ভারতীয়! ডায়মন্ড লিগ জিতে ইতিহাস নীরজ চোপড়ার

    Neeraj Chopra: প্রথম ভারতীয়! ডায়মন্ড লিগ জিতে ইতিহাস নীরজ চোপড়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়া যেন তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অলিম্পিকে (Olympic) সোনা জয়ের পর তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে ছিল আশঙ্কাও। কিন্তু নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) বুঝিয়ে দিলেন অলিম্পিকের আসরে প্রাপ্য সাফল্য পড়ে পাওয়া নয়। গত ১৩ মাসে চোট সমস্যা সত্ত্বেও নীরজ রুপো জিতেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। এবার তাঁর মুকুটে যোগ হল ডায়মন্ড লিগ (Diamond League)।

    বৃহস্পতিবার জুরিখে যখন তেরঙ্গা পতাকা উড়ল, তখন ভারতের প্রায় মধ্যরাত। তবে নীরজের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম থ্রো বাতিল হয়। তবে হাল ছাড়েননি দ্বিতীয় প্রয়াসেই ৮৮.৪৪ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে বাকি প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে দেন ২৪ বছর বয়সি ভারতীয় অ্যাথলিট। যা তাঁর কেরিয়ারের চতুর্থ সেরা থ্রো। তবে নীরজের লক্ষ্য ছিল ৯০ মিটার জ্যাভলিন ছোঁড়া। তিনি চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। বাকি চারটি প্রয়াসে নীরজ ছোড়েন যথাক্রমে ৮৮, ৮৬.১১, ৮৭, ৮৩.৬০। পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও খেতাব জয়ে তা বাধা হয়নি। কারণ, অলিম্পিকে রুপো জয়ী চেক প্রজাতন্ত্রর ইয়াকুবু ভাদলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ৮৬.৯৪ মিটার বর্শা ছুঁড়ে। তিনি এই লক্ষ্যে পৌঁছন চতুর্থ প্রয়াসে। তৃতীয় হয়েছেন জার্মানির ওয়েবার (৮৩.৭৩ মিটার)।

    আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ২টি ওয়ার্ম আপ খেলবে ভারত, কবে কার বিরুদ্ধে ম্যাচ?

    হরিয়ানার পানিপতের খান্দ্রা গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু নীরজের। গত বছর ৭ অগাস্ট টোকিও অলিম্পিকে তিনি সোনা জিতে গর্বিত করেছিলেন দেশবাসীকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া হয়েছিল। তবে ডায়মন্ড লিগে প্রথম থেকেই টার্গেট ফিক্সড করে ফেলেছিলেন নীরজ। স্টকলহম ও লুজানে ডায়মন্ড লিগে সোনা জেতার সুবাদে পেয়ে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড লিগ ফাইনালের টিকিট। তবে লড়াইটা তাঁর কাছে সহজ ছিল না। কারণ, তিনি যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন চতুর্থ হয়ে। চেক প্রজাতন্ত্রের ইয়াকুবুই ছিলেন নীরজের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। কারণ, এই ইয়াকুবু চলতি মরশুমে ৯০ মিটার বর্শা ছুঁড়ে চমকে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে। সেই কারণেই তাঁকে জুরিখেও ফেভারিট ধরা হচিছল। কিন্ত বাজিমাত করলেন নীরজই। পেলেন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা। পরের বছর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিটও পাকা করে ফেললেন নীরজ। উল্কার গতিতে তাঁর উত্থান দেখে অনেকেই বলছেন, ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dr. Bhupen Hazarika: ভূপেন হাজারিকার ৯৬তম জন্মদিন, ডুডল তৈরি করে শিল্পীকে শ্রদ্ধা গুগলের

    Dr. Bhupen Hazarika: ভূপেন হাজারিকার ৯৬তম জন্মদিন, ডুডল তৈরি করে শিল্পীকে শ্রদ্ধা গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার (Bhupen Hazarika) ৯৬ তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাল গুগল (Google), তাদের ডুডলের (Doodle) মাধ্যমে। এটিই প্রথম নয়, এর আগেও গুগলকে দেখা গিয়েছে জনপ্রিয়, স্মরণীয় ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে এমন ডুডল করে থাকে। তিনি একাধারে গায়ক, কবি, সংগীতশিল্পী, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও যোগ ছিলেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আসাম বিধানসভার বিধায়কও ছিলেন তিনি। ‘সুধাকণ্ঠ’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি।

    ২০১১ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন ভূপেন হাজারিকা। তবে তিনি যেন এখনও তাঁর সংগীতের মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে আছেন। এই কিংবদন্তি শিল্পীর প্রতি গুগলের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ভূপেন হাজারিকার অনুরাগীরাও খুশী হয়েছেন। প্রায় ছয় দশক ধরে তিনি কাজ করেছেন প্রায় কয়েকশ ছবিতে। গুগলের এই বিশেষ সম্মান জানানোর পদ্ধতি প্রায় সবারই জানা। তাই আজও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। এই ডুডলে দেখা যায়, হারমোনিয়াম নিয়ে বসে রয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। এই ডুডলটি তৈরি করেছেন মুম্বইয়ের অতিথিশিল্পী রুতুজা মালি (Rutuja Mali )।

    আরও পড়ুন: ‘ওয়েদার উম্যান অফ ইন্ডিয়া’- কে ১০৪তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাল গুগল ডুডল

    ১৯২৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর আসামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর ব্রহ্মপুত্রের তীরে সেখানকার সংস্কৃতি আর লোকগানকে আঁকড়ে ধরেই তাঁর বড় হওয়া। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর প্রথম গান রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর তিনি ১৯৪২ সালে কলাবিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং ১৯৪৬ সালে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপরই তিনি পাড়ি দেন নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে। সেখানে পাঁচ বছর থেকে ১৯৫২ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশনে পিএইচডি করে দেশে ফিরে আসেন।

    পড়াশোনার শেষ করে গুয়াহাটিতে অল ইন্ডিয়া রেডিওর হয়ে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। তিনি একাধিক বাংলা গান হিন্দিতে অনুবাদ করেও গেয়েছেন। এরপর তিনি অসংখ্য গান তৈরি করেছেন। তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি মানুষের গল্প তুলে ধরতেন। তাঁদের সুখ-দুঃখের গল্প, ঐক্য এবং সাহস, রোম্যান্স এবং একাকীত্ব এবং দ্বন্দ্ব ও সংকল্পের গল্প তিনি তাঁর গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

    ‘রুদালি’, ‘মিল গয়ি মনজিল মুঝে’, ‘দরমিয়াঁ’, ‘গজগামিনি’, ‘দামন’, ‘কিউঁ’-এর মতো গানের মাধ্যমে মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন তিনি। একাধিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, পদ্মশ্রী (১৯৭৭), দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২), পদ্ম ভূষণ (২০০১)-এর মতো পুরস্কার। এছাড়াও তাঁকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ (২০১১) এবং ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন (২০১৯) দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

  • Assam:  মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

    Assam: মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেঙে ফেলা মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার (Al-Qaeda) এক একটা অফিস। অভিমত  অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সরকারের তরফে দুই থেকে তিনটি মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এরপর সাধারণ মানুষ মাদ্রাসা ভেঙে দেয়। এমনকি মুসলিম জনগণরাই এই কাজে এগিয়ে এসেছে। তারা বলেছে তারা এমন মাদ্রাসা চায় না যেখানে আল কায়দা তার কাজ চালায়। আল কায়দা মাদ্রাসার এসল উদ্দেশ্য নষ্ট করে।”

    গত কয়েকমাসে অসমে (Assam) একধিক আলকায়দার জঙ্গি ধরা পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তাঁর রাজ্য আল কায়দার ঘাঁটি হয়ে উঠছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে রাজ্যে ধ্বংস করা হয়েছে চারটি মাদ্রাসা। এগুলি বাস্তবে ‘আল-কায়েদার অফিস’ছিল বলে দাবি হিমন্তের। তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলিকে ধ্বংস করা কখনওই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে সেখানে যাতে জেহাদি কার্যকলাপ না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি। তবে, আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে তথ্য পাই যে মাদ্রাসার আড়ালে কোনও ভারতবিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সেগুলিকে ভেঙে ফেলা হবে।”

    আরও পড়ুন: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    অসম পুলিশ দাবি করেছে যে সাধারণ মানুষ ‘জিহাদি’ কার্যকলাপের জন্য মাদ্রাসা প্রাঙ্গণকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পরেই গোয়ালপাড়া জেলায় একটি মাদ্রাসা এবং এর সংলগ্ন একটি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গোয়ালপাড়া জেলার পাখিউড়া চর এলাকায় থাকা একটি মাদ্রাসা ভেঙে দেন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ওই মাদ্রাসাটি ব্যবহার করেছিল দুই বাংলাদেশি নাগরিক। আমিনুল ইসলাম এবং জাহাঙ্গীর আলম নামে ওই দু’জন আল কায়েদার সহযোগী সংগঠনের সদস্য। ২০২০-২২ সালের মধ্যে ওই দু’জন মাদ্রাসায় পড়াত বলেও জানা গিয়েছে। আমিনুল ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    ED-CBI Arrest: দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: ‘দুয়ারে’ কখনও ইডি (ED) আবার কখনও সিবিআই (CBI)। এ যেন এরাজ্যে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ব্যবসায়ী হোক বা রাজনৈতিক নেতা, সিবিআই আর ইডির আতস কাচের নীচে থাকার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অসুস্থতা।

    সিবিআই কিংবা ইডির কাছে হাজিরা দিতে হলে অধিকাংশ সময়েই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অনেক সময়েই তাঁরা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘোরেন। ভর্তি করানোর জন্য কাতর হয়ে ওঠেন। এমনকি অর্শ্ব অস্ত্রোপচারের জন্যও মরিয়া হয়ে যান। অনেক সময়েই তাঁদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য তদন্তের গতি শ্লথ হয়। তদন্ত চলাকালীন, যাঁরা গ্রেফতার হন, নিত্যদিন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন সিবিআই, ইডি আধিকারিকেরা।

    কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই ভোগান্তি কমবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রয়োজন ভালো ঘুম। রাতের পর্যাপ্ত ঘুম কমিয়ে দিতে পারে শারীরিক অসুস্থতা। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতার হৃদরোগ দেখা দেয়। বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করেন। রাজ্যের এক প্রভাবশালী প্রাক্তন মন্ত্রী হৃদরোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুতর হৃদরোগ নয়, ‘অ্যাংজ়াইটি অ্যাটাক’ হয়। আর তার জেরেই বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা যায়। কোনও বিষয় নিয়ে ভয়, মাত্রারিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেই এই সমস্যা হয়। আর অনেক সময়েই দুশ্চিন্তার জেরে ঘুম ঠিক মতো হয় না। দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, দেহে একাধিক সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: আভাস ছিল কি, আগেই মলয় ঘটক রাজভবন থেকে কাগজপত্র সরিয়ে ছিলেন কেন?

    চিকিৎসক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনযাপন খুব ব্যস্ত হয়। একটু অন্যরকম হয়। কিন্তু সময় মতো ঘুমনো জরুরি। যদি তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমোন, তাহলে কিন্তু হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা কমানো যেতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে হাইপারটেনশনের প্রবণতা বাড়ছে।” চিকিৎসক শারোদ্বৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের শরীর ও মন দুটো সুস্থ রাখা বেশ মুশকিল। কারণ, এত অসুস্থ পরিবেশে কি নিজেকে সুস্থ রাখা যায়! তবে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য একটাই পরামর্শ, কী খাচ্ছেন, একটু ভেবে খান! বেশি খেলে কিন্তু হজম করা মুশকিল।”

    অতিরিক্ত মানসিক চাপ শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের ডাক পেলে তাই নিজেকে একটু সৃজনশীল কাজের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের মতো সমস্যার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনার মতো সৃজনশীল কাজের জন্য প্রতিদিন সময় বরাদ্দ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও সুস্থ থাকে। চিকিৎসক সন্দীপন মিত্র বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে পারেন, তার উদাহরণ তো আমরা দেখছি। সকলের শেখা উচিত। সারাদিনের ব্যস্ততার পরে একটু ছবি আঁকা বা গান লেখার মতো কাজ করলে মানসিক চাপ কমে। তাতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে। তখন যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজেকে তৈরী রাখা যায়।”

    তবে, ইডি, সিবিআইয়ের সামনে সুস্থ শরীরে উপস্থিত থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা স্থুলতার সমস্যায় ভোগেন। তাদের এই সমস্যার কারণ, খাদ্যাভ্যাস। তাঁদের মতে, অনিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা হয়। আর স্থুলতা ডেকে আনে হৃদরোগ থেকে ক্যানসার, একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যা।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    সূত্রের খবর, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মটন কারি খাওয়ার আবদার করেছিলেন। ডায়বেটিসের জন্য ভাত না দেওয়ায় তিনি খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। চিকেন স্ট্যু তার মুখে রোচে না। জেল হেফাজতে বিকেল হলেই পার্থবাবু বেগুনি আর আলুর চপ চান। এদিকে সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মটন কারী আর ভাত পেয়ে খুব খুশি। এই ধরণের খাদ্যাভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কলকাতার এক পুষ্টিবিদ বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনুব্রত মণ্ডল যে স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন, তা তাঁদের দেখলেই বোঝা যায়। অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ভাজা খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। নিয়মিত শারীরিক কসরত করা উচিত।” তবে, এই পরামর্শ শুধু পার্থ বা অনুব্রতর জন্য নয়। ওই পুষ্টিবিদ বলেন, “জেলে থাকাকালীন কিন্তু পরিমিত আহার ও শারীরিক কসরত করা উচিত। যদি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে না হয়, তাহলে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। তবেই শরীর সু্স্থ থাকবে। সব রকম ধকল নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা যাবে।”

  • Rajnath Singh: মঙ্গোলিয়ায় সাদা ঘোড়া উপহার পেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, নাম রাখলেন ‘তেজস’

    Rajnath Singh: মঙ্গোলিয়ায় সাদা ঘোড়া উপহার পেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, নাম রাখলেন ‘তেজস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোড়া ছুটিয়েই পৃথিবীর একটা বড় অংশে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন মোঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খান। সেই মঙ্গোলিয়ায় (Mongolia) গিয়েই একটি  রাজকীয় ‘সাদা ঘোড়া’ উপহার পেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গোলিয়া গেলেন। সাদা ঘোড়া উপহার হিসেবে পেয়ে খুশি রাজনাথ। নাম রাখলেন তেজস। ওই ঘোড়ার ছবি-সহ ট্যুইট করে একথা জানান রাজনাথ।

    পাঁচদিনের জন্য মঙ্গোলিয়া ও জাপান সফরে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই দুই দেশের সঙ্গেই চিনের সম্পর্ক একেবারে ভাল নয়। ভারতের সঙ্গেও চিনের বৈরিতা স্পষ্ট। সীমান্তে সমস্যা অব্যাহত। এই আবহে রাজনাথের মঙ্গোলিয়া সফর তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে  মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট এইচ ই ইউ খুরেলসুখের (H.E.U. Khurelsukh) থেকে সাদা ঘোড়া উপহার পাওয়ার ছবি পোস্ট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে ওই রাজকীয় ঘোড়াটিকে আদর করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনাথ লেখেন, “মঙ্গোলিয়ায় বিশেষ বন্ধুর থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছি। এই অসাধারণ সৌন্দর্যের নাম দিয়েছি তেজস। ধন্যবাদ রাষ্ট্রপতি খুরেলসুখ। ধন্যবাদ মঙ্গোলিয়া।” 

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ফাইটার জেট হল তেজস। যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক। তেজস কিনতে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। মঙ্গোলিয়াও হয়তো তেজস কিনতে আগ্রহী!তাই তাদের দেওয়া সাদা ঘোড়ার নাম তেজস!যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা স্পষ্ট করেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিন মঙ্গোলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজনাথ। কথা বলেন সেখানকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও। বৈঠক নিয়ে ট্যুইট বার্তায় রাজনাথ জানান, ‘আমরা কৌশলগত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gold Price India, Sept 7: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    Gold Price India, Sept 7: পুজোর আগে কমল সোনার দাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে সাজতে পারেন সোনার গয়নায় (Gold)। দেশে দাম পড়ল (Gold Price) সোনার। বুধবার ২২ ক্যারট সোনার ১০ গ্রামে ৫০০ টাকা দাম কমেছে। মুম্বইয়ে এদিন  ১০ গ্রাম ২২ ক্যারট সোনার দাম এদিন ছিল ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি ১০ গ্রামে দাম ৫০০ টাকা কম ছিল। চেন্নাইয়ে দাম ছিল ৪৬ হাজার ৯৫০ টাকা। দিল্লিতে ছিল ৪৬ হাজার ৫৫০টাকা। ২৪ ক্যারট সোনার দাম ১০ গ্রাম প্রতি কমেছে ৫৪০ টাকা। এদিন ২৪ ক্যারট সোনার দাম ছিল ৫০ হাজার ৬২০টাকা। তবে দাম কম হলেও সোনা কিনতে গেলে এর উপরে আপনাকে দিতে হবে জিএসটি। তাই দোকানে গয়না কেনার সময় দাম একটু বাড়লে অবাক হবেন না।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কলকাতায় রেকর্ড দাম বেড়েছিল সোনার। ২২ ক্যারট, ২৪ ক্যারট এবং ২২ ক্যারট হলমার্কযুক্ত সোনার দামে বদল এসেছিল। রেকর্ড ৫২ হাজার টাকা ছাপিয়ে ৫৪ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল দর। কিন্তু, বর্তমানে সেই দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ওঠাপড়া আছে।

    আরও পড়ুন: খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ১৫টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্র, কেন জানেন? 

    এদিন দেশের বাজারে সোনার দাম কম হওয়ার পেছনে বিশেষজ্ঞদের নানা মত রয়েছে। তাঁদের মতে সোনার দাম কম হওয়ার পেছনে মার্কিন ডলারের সঙ্গে টাকার ফারাক হয়েছে। সোনাকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চাহিদার থেকে জোগান বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই কমে হলুদ ধাতুর দাম। দেশীয় অর্থনীতির উন্নতি ঘটায় বিনিয়োগকারীরা উচ্ছ্বসিত এবং তারা আবারও তাদের অর্থ ইক্যুইটির মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ করছে যা অনেক বেশি লাভজনক। ফলে এটা বলা যেতেই পারে যে বিনিয়োগকারীরা সোনা এবং সরকারি বন্ডে তাদের বিনিয়োগ কম করছে এবং বিনিয়োগের জন্য অন্যান্য বিকল্পগুলিকে বেছে নিচ্ছে। তাই সোনা কেনার জন্য বাজারে হাহাকার পড়ছে না। হলুদ ধাতুর জোগান ঠিক থাকছে। তাই মধ্যবিত্তের নাগালে আসছে সোনার দাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asia Cup 2022: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত দল, দাবি রোহিতের! এশিয়া কাপে কার্যত বিদায় ভারতের

    Asia Cup 2022: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত দল, দাবি রোহিতের! এশিয়া কাপে কার্যত বিদায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ পর্বে ভাল শুরু করেও সুপার ফোরে ব্যাক-টু ব্যাক হারে এশিয়া কাপ থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত ভারতের। তবু দল সম্পর্কে আশাবাদী ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবরেই অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়া বিশ্বযুদ্ধে এই দল নিয়ে ভারত কী পারবে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে? অধিনায়ক রোহিত জানালেন তিনি উদ্বিগ্ন নন।  রোহিত বলেন,”দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নই আমরা। ওটা একটা অন্য সিরিজ। লড়াইটা শুরু হবে শূন্য থেকে।” তাঁর কথায়, “গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অনেক ম্যাচ জিতেছি। আমরা এখন ৯০ ভাগ সেট হওয়া দল। হয়তো কিছু পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এই দলটা খুবই উন্নত।” 

    দলের উপর ভরসা থাকলেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোক্ষম সময়ে রান করতে না পারাকেই দুষলেন ভারত অধিনায়ক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারের পর রোহিত শর্মা বলেছেন,”আসলে আমরা ব্যাট হাতে ইনিংস ঠিক জায়গায় শেষ করতে পারিনি। দুটো ইনিংসেই আমাদের ১০-১২ রান কম ছিল।” ভারতের স্কোরবোর্ডে আরও রান দরকার ছিল বলে মনে করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপরাও। 

    ভারতের পরাজয়ে হতাশ ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। ট্যুইটবার্তায় প্রসাদ জানান, এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দলের অনেকগুলো দুর্বল জায়গা রয়েছে। তা ঠিক করা প্রয়োজন। নতুবা সামনে সমস্যায় পড়তে হবে।

    এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মার ৭২ এবং সূর্যকুমারের ৩৪ রানে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে। রান পেলেন না কোহলি (virat kohli)। মিডল অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দ্বীপরাষ্ট্র। এদিনও শেষের দিকে অতিরিক্ত রান দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। মিস ফিল্ডিং, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়াইড বল, নানা ছোট ছোট ভুলে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে গেল। শেষ ওভারে পঞ্চম বলে রান আউট মিস করলেন পন্থ। 

    আরও পড়ুন: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    এশিয়া কাপ থেকে ভারতের বিদায় কার্যত নিশ্চিতই হয়ে গেছে! এখন ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা তাদের নিজেদের হাতে নেই। বাকি ম্যাচের ফলাফলের ওপর তাকিয়ে থাকতে হবে। পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের কাছে হারে, আর শ্রীলঙ্কা যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতে তবেই সম্ভাবনা থাকবে ভারতের ফাইনালে খেলার। এজন্য অবশ্য ভারতকে জিততে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (NASA) দুই মহাকাশযান ভয়েজার ১ (Voyager 1) ও ভয়েজার ২ (Voyager 2) পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল মহাকাশে। কিছুদিন আগেই ভয়েজার ২ মহাকাশে ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে, এরপর ভয়েজার ১, ৫ সেপ্টেম্বর ৪৫ বছর পূর্ণ করল। ১৯৭৭ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল এই দুটি মহাকাশযান।

    এই দুটি মহাকাশযানের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্ব অপরিসীম। মানবসভ্যতার পাঠানো প্রথম দুই মহাকাশযান ভয়েজার-১ এবং ভয়েজার-২, রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTGs) দ্বারা চালিত, যা প্লুটোনিয়ামের প্রাকৃতিক ক্ষয় দ্বারা উৎপাদিত তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এই দুটি যানই মহাকাশে ঘণ্টায় ৩০ হাজার মাইলেরও বেশি গতিবেগে এগিয়ে চলছে।

    আরও পড়ুন: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    ভয়েজার-১ যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আর তার ‘যমজ’ ভয়েজার-২ যাত্রা শুরু করেছিল তার ১৬ দিন আগে, ১৯৭৭-এর ২০ অগাস্ট। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে টাইটান IIIE-সেন্টার রকেটে ( Titan IIIE-Centaur rocket) চাপিয়ে এই দুটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভয়েজার ২ পৃথিবী থেকে ২৩.৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ও ভয়েজার ২ প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। উভয়েরই ওজন প্রায় ৮০০ কেজি এবং এতে ১১টি যন্ত্র রয়েছে যার সাহায্যে মহাকাশের বিভিন্ন জিনিসের ছবি তোলা এবং বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    তবে এক দশক আগে, ২০১২ সালের ১ অগাস্ট ভয়েজার ১ সূর্যের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ও প্রবেশ করেছে ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’-এ অর্থাৎ আন্তর্নক্ষত্রমণ্ডলের এলাকায়। দু’টি নক্ষত্রের মাঝের অঞ্চলকেই ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’ (Intersteller Space) বলা হয়। এর আগে আর কোনও মহাকাশযানই সূর্যের হেলিওস্ফিয়ার ছেড়ে ইন্টারস্টেলার স্পেসে যেতে পারেনি।

    এছাড়াও এটি বৃহস্পতির চারপাশে একটি পাতলা বলয় আবিষ্কার করেছে এবং এর দুটি নতুন জোভিয়ান চাঁদ- থিবে এবং মেটিস- এবং শনির চারপাশে পাঁচটি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছে। ভয়েজার ১-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনির চাঁদ টাইটানের বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পৃথিবী ছাড়াও অন্য পৃথিবীতে তরল থাকতে পারে এবং নাইট্রোজেন, মিথেন এবং আরও জটিল হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতিতে প্রিবায়োটিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে ভয়েজারের মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    Healthy Habits: ১০০ বছর বা তারও বেশি বাঁচতে চান? আজ থেকেই শুরু করুন এই ৫ টি কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর ও সুস্থভাবে বাঁচতে বিশ্বের প্রায় সব মানুষই চান। অনেকে তো আবার ১০০ বছর পর্যন্তও বেঁচে থাকতেন চান। কিন্তু কতজনই বা বাঁচেন। খুব বেশি হলে ৯০, এর বেশি বয়সেও মানুষ বেঁচে আছেন এমনটা খুব কমই দেখা যায়। তবে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে ২০২১ সালে সারা বিশ্ব থেকে ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়সী ৫০০,০০০ এরও বেশি লোক ছিল।

    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশ করে যে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯৭,০০০ শতবর্ষী বাস করে,  সুতরাং এখানেই বেশি শতবর্ষী মানুষ বাস করে। এরপরে জাপানের স্থান। এখানে ৭৯০০০ শতবর্ষী বাস করেন। ১১৯ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন জাপানের এক বসবাসকারী। যার নাম ছিল কেন তানাকা। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিলে তানাকার মৃত্যুর পর, লুসিল র‌্যান্ডন নামে এক সন্ন্যাসী যিনি সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি ১১৮ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। ফলে তাঁর নাম যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    সুতরাং বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকা যায়। তবে মেনে চলতে হবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

    1. দীর্ঘ জীবন যাপনের চাবিকাঠি হল সুস্থ জীবনযাপন করা। অবশ্যই, একটি ফিট, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ডায়েট এবং ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সিস্টার আন্দ্রে থেকে কিছু অনুপ্রেরণা নিতে বলা হয়েছে। কারণ তিনি প্রতিদিন এক গ্লাস রেড ওয়াইন ও চকোলেট খেতেন। তাই মনে করা হয়েছে, তাঁর দীর্ঘায়ুর পেছনে চকোলেট ওরেড ওয়াইনের অবদান থাকতে পারে।
    2. একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ব্যক্তিরা খুব হাঁটা-চলা করা যায় এমন এলাকায় বসবাস করেন তাদের বয়স ১০০-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং সামাজিক এবং পরিবেশগত কারণগুলিও দীর্ঘায়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।
    3. জীবনে সবসময় পজিটিভ বা ইতিবাচক থাকতে হয়, দীর্ঘ জীবনের পেছেনে এই পজিটিভিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    4. বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার জন্য চিনাবাদামের গুরুত্ব অনেক। কারণ একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চিনাবাদাম খেয়ে থাকেন, তাঁদের তাড়াতাড়ি মৃত্যুর সম্ভবনা কমে যায়।
    5. দীর্ঘায়ুর জন্য সবসময় ফিট থাকতে হবে। আর ফিট থাকার জন্য কোনও না কোনও অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকা উচিত। বিভিন্ন খেলা টেনিস, ফুটবল, সুইমিং, দৌড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাক্টিভ থাকা যায় ও বেশিদিন পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
LinkedIn
Share