Blog

  • Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা সপ্তম ডার্বি ম্যাচ (Derby match) হারলেন ইস্টবেঙ্গল দল। ২-০ গোলে জিতল মোহনবাগান (Mohun Bagan), এ বারও ভাগ্য ফিরল না ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। এবারের ডার্বি যে একতরফা হবে না তা নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন। কিন্তু  তা সত্ত্বেও অনেক বিশেষজ্ঞ এবছরের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ভুল ছিল না, প্রমাণ করে দিল সবুজমেরুণ ফুটবলাররা।
    দু’মাস আগেও অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের ডার্বি ম্যাচে (Derby match) কিছুতেই ভাগ্য বদল হচ্ছে না লাল হলুদের।
    প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের হার দেখে অনেক সমর্থকই শাপশাপান্ত করছিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে। কেন তিনি রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসকে ছেড়ে দিলেন? গোল করবেন কে? শনিবারের পর থেকে মনে হয় না সেই আওয়াজ আর উঠবে। ফেরান্দো বার বার বলেছেন, তাঁর দলে গোল করার লোক অনেক।
    আজকের ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল মোহনবাগানের (East Bengal Vs MohunBagan)। প্রথম ১৫ মিনিট আক্রমণে ঝড় তুলেছিলেন হুগো বুমোসরা। ৫ মিনিটে প্রথম গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। বাঁদিক থেকে ঢুকে মাপা মাইনাস করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।ওভারল্যাপে উঠে আসা শুভাশিসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর রক্ষণাত্মক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে আক্রমণে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। ১৫ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত লালহলুদ। বাঁদিক থেকে মহেশ সিং বাঁদিক থেকে মাপা সেন্টার করেন। শরীর বাঁকিয়ে দুরন্ত হেড করেন সেমবই হাওকিপ। বল গোলে ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ২৩ মিনিটে জর্ডনকে নিজেদের বক্সের মধ্যে ফেলে দেন এটিকে মোহনবাগানের আশিস রাই। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন জর্ডন। রেফারি শ্রীকৃষ্ণ কর্ণপাত করেননি।
    ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোস বক্সের মধ্যে তিনজনকে ড্রিবল করেও গোলে রাখতে পারেননি। ৪২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ক্লেইটন সিলভাকে ফেলে দেন প্রীতম কোটাল। ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেতে পারত। রেফারি আবার এড়িয়ে যান। ৪৫ মিনিটে হুগো বুমোস একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের হাতে চলে যায়। গোলের জন্য জুয়ান ফেরান্দোর অন্যতম ভরসা ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথমার্ধে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন সবুজমেরুণের এই স্ট্রাইকার। তাঁকে বল ধরার সুযোগ দিচ্ছিলেন না জর্ডন ডোহার্টি। ফলে সবুজমেরুণের গোলও আসেনি।

    [tw]


    [/tw]

    দ্বিতীয়ার্ধে পুরো অন্য ছবি। শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোসের নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। এরই মাঝে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের ভুলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৫৬ মিনিটে অবশেষে সেই কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা এগিয়ে যান হুগো বুমোস। কিরিয়াকু বাধা দিতে এগিয়ে যাননি। ফলে বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়ে শট নেন হুগো বুমো। বল কমলজিতের সামনে ড্রপ খেয়ে হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়।

    এগিয়ে গিয়ে মনোবল বেড়ে যায় এটিকে মোহবাগান ফুটবলারদের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় (East Bengal Vs MohunBagan)। ৬৫ মিনিটে পেত্রাতোসের সঙ্গে ওয়াল খেলে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন হুগো বুমোস। একজন লালহলুদ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে মনবীরের কাছে যায়। তাঁর শট আর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের দিকে অ্যালেক্স লিমা, এলিয়ান্দ্রোকে নামিয়েও কাজের কাজ হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটাই সান্তনা ম্যাচের ইনজুরি সময়ে তুহিন দাসের একটা শট পোস্টে লাগা। যা এটিকে মোহনবাগানে গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।

    এ দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ (East Bengal Vs MohunBagan) শুরু হয় সন্ধে ৭.৫০ মিনিটে। ২০ মিনিট পিছিয়ে যায় ম্যাচ। হায়দরাবাদ বনাম গোয়া ম্যাচে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ার কারণে ম্যাচটি বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। এই ম্যাচে দেরিতে শেষ হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডার্বিও শুরু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। সম্প্রচারের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • T20 World Cup: ভারতকে সমর্থন পাকিস্তানের! টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেই সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত রোহিতদের

    T20 World Cup: ভারতকে সমর্থন পাকিস্তানের! টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেই সেমিফাইনাল কার্যত নিশ্চিত রোহিতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে রোহিত বাহিনীর মনোবল তুঙ্গে। দু’নম্বর গ্রুপে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে সেমি ফাইনালে ওঠার পথ আরও সহজ হয়ে যাবে মেইন ইন ব্লুর। তবে এই ম্যাচের দিকে শুধু ভারতীয় সমর্থকরা নন, তাকিয়ে রয়েছেন পাক সমর্থকরাও। আসলে চলতি বিশ্বকাপে বাবর আজমদের ভাগ্য এখন অনেকটাই ঝুলছে বিরাট কোহলিদের হাতে। দু নম্বর গ্রুপ থেকে শেষ চারে ওঠার আশা জাগিয়ে রাখতে হলে বাকি ম্যাচগুলি পাকিস্তানকে শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলের দিকে। পরিস্থিতি যা তাতে ভারতই হয়তো গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করবে। কারণ বিরাট কোহলি সূর্য কুমার যাদবরা দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দল হিসেবে এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইটা হবে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পাকিস্তানের। প্রোটিয়া বাহিনী দুই ম্যাচ খেলে পেয়েছে ৩ পয়েন্ট। রবিবার তারা জিতলে শীর্ষে উঠে আসবে। যা একেবারেই চাইছেন না পাক সমর্থকরা। তারা প্রার্থনা করছেন কোহলিদের জয় চেয়ে। ক্রিকেট দেবতার নিষ্ঠুর পরিহাস এক সপ্তাহ আগে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানের স্বপ্ন দেখেছিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যই তৈরি সূর্য কুমার! জানেন কী বললেন রবি স্যার

    পার্থের অপ্টাসের পিচে অতিরিক্ত বাউন্স রয়েছে। উইকেট বেশ শক্ত। তাই গতির পাশাপাশি অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নেবেন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। কাগিস ও রাবাডা, অ্যানরিক নর্থেজের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলাতে বেশ ভালোমতোই বেগ পেতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। রোহিত শর্মা ফর্মে ফিরলেও ওপেনিং জুটিতে তাঁর পার্টনার লোকেশ রাহুল কিন্তু এখনও বড় রানের মুখ দেখেননি। তাই অনেকে বলছেন তাঁকে বসিয়ে এবার খেলানো উচিত রিষভ পন্থকে। যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাঠোর বলেন, দুটো ম্যাচ দিয়ে একজন ক্রিকেটারের ফর্ম বিচার করা ঠিক হবে না। টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলের পাশেই আছে। লোকেশ ভালোই ব্যাট করছে। বড় রান পাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর রিষভ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সঠিক সময়ে ও সুযোগ পাবে।’

    পার্থের পিচে চিন মিউজিক শোনাতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। যদি তা নিয়ে বেশি চিন্তিত নন বিক্রম রাঠোর। তিনি বলেছেন, “পরিকল্পনা করেই আমরা বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম পার্থে। উইকেট নিয়ে যথেষ্ট স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে আমাদের ছেলেদের। তাই এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ITBP Recruitment: ১৮৬  জন কনস্টেবল নেবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বেতন কত জানেন?

    ITBP Recruitment: ১৮৬ জন কনস্টেবল নেবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, বেতন কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনস্টেবল (মোটর মেকানিক) পদে ১৮৬ জন নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP Recruitment)। আবেদনের শেষ তারিখ ২৭-১১-২০২২, দু ধরনের কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। একটি ‘হেড কনস্টেবল’ অপরটি ‘কনস্টেবল’ ।

    ১) হেড কনস্টেবল (মোটর মেকানিক): মোট শূন্য পদ ৫৮ টি (জেনারেল ২৬ ,ওবিসি ১৪, তফশিলি জাতি আর তফশিলি উপজাতি ৪। মূল বেতন ₹ ২৫,৫০০- ₹ ৮১,১০০

    উচ্চ মাধ্যমিক পাশরা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করে থাকলে এই পদে আবেদন করতে পারেন অথবা উচ্চ মাধ্যমিক পাশরা আইটিআই বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে মোটর মেকানিক ট্রেডের সার্টিফিকেট কোর্স পাশ করে থাকলেও আবেদন করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে ৩ বছরের হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসা করাতে এসে প্রণয়, মানসিক হাসপাতালেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ২ রোগী 

    ২) কনস্টেবল (মোটর মেকানিক): শূন্য পদ ১২৮ টি (জেনারেল ৫৪ ,ওবিসি ৩৩, তফশিলি জাতি, ১৮ তফশিলি উপজাতি ১০)
    মূল বেতন ₹ ২১,৭০০ – ₹৬৯,১০০ 

    যারা মাধ্যমিক পাশ করেছেন তারা আইটিআই বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা মোটর মেকানিক ট্রেডের সার্টিফিকেট কোর্স পাশ হলে আবেদন করতে পারেন। আবার মাধ্যমিক পাশরা কোন সংস্থায় মোটর মেকানিক সংক্রান্ত কাজে অন্তত ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেও আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য প্রথমে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হবে‌। সাড়ে ৭ মিনিটে ১.৬ কিমি দৌড়‌, ৩ বার সুযোগে ১১ ফুট লং জাম্প, ৩ সুযোগে সাড়ে তিন ফুট হাই জাম্প। সফল হলে লিখিত পরীক্ষা ও ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।  www.recruitment.itbpolice.nic.in এই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। পরীক্ষার ফি ১০০টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    Weather Update: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বইছে উত্তুরে হাওয়া। হিমেল পরশে হেমন্তের শুরু বুঝতে পারছে শহরবাসী। কালীপুজোর পরই আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটেছে। রাতের তাপমাত্রা চার ডিগ্রি কমেছে কলকাতায়। সকাল সন্ধ্যায় জেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি দিনভর শীতের আমেজ থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলাতে। অক্টোবরের শেষেই কলকাতায় পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। 

    আরও পড়ুন: ৫০% হয়ে গিয়েছে মন্দির নির্মাণের কাজ, পরের বছর জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দির

    শুক্রবার শহরে তাপমাত্রা ছিল ১৯  দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। শনিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। সূর্যের তেজ তেমন অনুভব করবেন না শহরবাসী।  এর আগে ২০১২-র অক্টোবরে কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমেছিল পারদ। বহু বছর আগে ২৮ অক্টোবর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৮ সালে ২৭ অক্টোবর কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। অক্টোবর মাসে কলকাতায় পারদ পতনের সর্বকালীন রেকর্ড ১৯৫৪ সালের ৩১ অক্টোবর। সে বছর পারদ নেমেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ১০ বছরে এদিনের পারদ পতন ছিল রেকর্ড। 

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে শুরু হবে হালকা শীতের আমেজ। ক্রমশ বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কমবে দখিনা বাতাসের প্রভাব। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমবে। রাতের দিকে কুয়াশা পড়বে। ভোরবেলাও থাকবে কুয়াশার দাপট।  কালীপুজোর পর থেকেই দিনভর শীতের আমেজ না থাকলেও সন্ধে পড়তেই ফিরছে শিরশিরে ঠান্ডা। ভোরের দিকে তাপমাত্রার পারদ নামছে (Weather Update)। বলা যা, এবারের মতো বর্ষা বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে। এখনই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার জোগানই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী (UN Terror Meet) কমিটির বৈঠক। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর টাকার জোগানকে দমন করা। কারণ এই মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।” 

    রাষ্ট্রসংঘে ‘স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা’ শীর্ষক বৈঠকে এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।  

    পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ২৬/১১ হামলা শুধু মুম্বাইয়ের উপর ছিল না। ছিল বিশ্ববাসীর উপর। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সময় এসেছে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার।” 

    এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি।”

    জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    পাঁচটি পয়েন্টে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 

    ১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

    ২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

    ৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ৪. অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করতে হবে।  

    ৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সূত্র অর্থ সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির মোকাবিলায় আমাদের কাছে উন্নত সমাধান থাকা প্রয়োজন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পার্থ মামলার শুনানি। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও হাজিরা এড়িয়ে যান। ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেন নি বিচারক। বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছে,দুর্নীতির মূিলি. হোতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইতেই পারেন। 

    আরও পড়ুন: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    শুক্রবার সকাল থেকেই শুনানি নিয়ে এই শুরু হয় জটিলতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল। 

    পার্থর আইনজীবী সেলিম আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানানোর আছে, তাই দ্রুত শুনানি করতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আজ শুনানির ঠিক আগে, শেষ মুহূর্তে বিচারক জানতে পারেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পার্থর ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে জেল থেকে ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। প্রথম দিকে প্রাক্তনমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কয়েকবার। পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা ভেবে সশরীরে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর থেকেই ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেন পার্থ। তবে সিবিআই-এর মামলায় আগে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     
  • PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    PM Modi: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পক্ষে নকশালরা (Naxals) যে বড় বিপদ, তা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশবাসীকে এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র নকশাল ও কলমধারী নকশাল দুই ধরনের নকশালদেরই পরাজিত করতে হবে বলেও জানান মোদি।

    হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবির। এদিন ভার্চুয়ালি ওই শিবিরে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়াতে কাজ করেছে সব সরকারই। যৌথ বাহিনী ব্যবহার করে এই কাজ করতে হবে। আমাদের সব ধরনের নকশালদের শেষ করতে হবে। সে অস্ত্রধারী হোক কিংবা কলমধারী সব ধরনের নকশাল নির্মূল করতে হবে। এর আগে একাধিকবার শহুরে নকশালদের একহাত নিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)। শহুরে নকশালরা যে দেশের বিপদ, তারা যে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, সেকথা গুজরাটের সভায় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বলেন অস্ত্রধারী ও কলমধারী নকশালদের কথা। 

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    ভুয়ো খবরও যে দেশের বিপদ বাড়াচ্ছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, একটা ছোট্ট ভুয়ো খবর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে মানুষের উচিত খবরটির সত্যাসত্য যাচাই করা। তিনি বলেন, যাঁরা আইন মেনে চলেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নঞর্থক শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কোনও খবর বিশ্বাস করার আগে, তা যাচাই করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে এখন আরও বেশি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অপরাধের থেকে দশ কদম এগিয়ে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অপরাধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছে। তাই আমাদের নতুন যুগের টেকনোলজি বুঝতে হবে। আমরা ফাইভ-জি-র যুগে প্রবেশ করেছি। তাই আামাদের প্রয়োজন আরও বেশি সতর্ক হওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    BJP: জম্মু-কাশ্মীরে ভুল করেছিলেন নেহরু, সংশোধন করেছেন মোদি, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভুল করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সেই ভুল সংশোধন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) রদও করেছেন মোদি। এই ভুলের জন্য কংগ্রেসের (Congress) ক্ষমা চাওয়া উচিত, দাবি বিজেপির (BJP)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি ভুল করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল এই অঞ্চলের রাজা হরি সিংয়ের ভারত অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করাও। তিনি বলেন, এর মূল্য চোকাতে হয়েছে ভারতকে। জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান।  

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে এনিয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজা হরি সিং। যদিও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে স্বার্থ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তাঁর ও তাঁর বন্ধুদের। এর পরেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে ভাটিয়া বলেন, যদি সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত, তাহলে ভারতের কোনও অংশই পাকিস্তান দখল করতে পারত না। এই ইস্যুতে তখন থেকেই কংগ্রেস মিথ্যে বলে আসছে। গোপন করতে চাইছে সত্য। তিনি বলেন, ঘরোয়া বিষয়টিকে নেহরু তখন নিয়ে গেলেন রাষ্ট্রসংঘে। পার্টি করলেন পাকিস্তানকে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    বিজেপির (BJP) এই মুখপাত্র বলেন, কংগ্রেস কৌশলে গণভোটের ধারণাটি ভাসিয়ে দিয়েছিল। যদিও স্বাধীনতা আইনে এর কোনও সংস্থান ছিল না। ওই সময় একশোরও বেশি রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর যা এখন একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, সেখানে জারি করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। যার জন্য দেশকে চড়া মূল্য চোকাতে হয়েছে। ভাটিয়া বলেন, তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল নেহরুকে বলেছিলেন, অন্যান্য দেশীয় রাজ্যের মতো জম্মু-কাশ্মীরও যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হত, তাহলে সম্ভবত এখানে কোনও জেহাদি সন্ত্রাসবাদী থাকত না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই ভুলগুলিই সংশোধন করেছেন মোদি। এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এই পদ্ম নেতা বলেন, এই সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত কংগ্রেসের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর! বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুজনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কথা হয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়েও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করায় ওই পদে বসেন ঋষি। তামাম ভারত যেদিন দীপাবলি উৎসবে মাতোয়ারা, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষির নাম ঘোষণা করে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। এর পর বৃহস্পতিবার মোদি ফোন করেন ঋষিকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঋষিকে শুভেচ্ছা জানানোর পর ‘কাজের কথায়’ চলে যান মোদি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু দেশের একটা সিদ্ধান্তে আসা যে প্রয়োজন, তাও ঋষিকে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীপাবলির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করেছিল ভারত। কিন্তু গত প্রায় দু মাস ধরে ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের জেরে স্বাক্ষরিত হয়নি সেই চুক্তি।

    আরও পড়ুন: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে ট্যুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট- বার্তায় তিনি লেখেন, আজ ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব খুশি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দু দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন, তা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি।

    পাল্টা ট্যুইট করেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর নয়া ভূমিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদিকে। ট্যুইট বার্তায় সুনক লিখেছেন, ভারত এবং ব্রিটেন অনেক কিছুই শেয়ার করে। আমি উত্তেজিত এই ভেবে যে দুটি মহান গণতন্ত্র সব কিছু পেতে পারে যদি আমরা নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে পারি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    Bombay High Court: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কোনও বিবাহিত মহিলাকে (Married Woman) যদি গৃহস্থালির কাজ (Household Work) বলা মানে, তিনি কাজের লোক (Maid) হয়ে গেলেন না। এটি কোনওভাবে নিষ্ঠুরতাও (Cruelty) নয়।’ এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট। একটি মামলায় আজ এই পর্যবেক্ষণ করেছে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ (Aurangabad Bench)। আদালত জানিয়েছে, যে বিয়ের আগে মহিলাকে উল্লেখ করে দিতে হবে যে তিনি ঘরের কাজ করতে না চাইলে করবেন না।   

    বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং রাজেশ পাতিলের বেঞ্চ বলে, “যদি একজন বিবাহিত মহিলাকে পরিবারের প্রয়োজনে গৃহস্থালির কাজ করতে বলা হয়, তবে তিনি দাসী হয়ে গেলেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি তাঁর নিজের সংসারের কাজ করার ইচ্ছা না থাকে। তাহলে বিয়ের আগেই মহিলার বলা দেওয়া উচিত যে তিনি ঘরের কাজ করতে পারবেন না। যাতে বর বিয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পান। বা বিষয়টির অন্য কোনও সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।”

    ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ  অধীনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই পর্যবেক্ষণ জানায়। এক মহিলা স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় কোনও মহিলাকে নিষ্ঠুরতার শিকার করেন, তবে তাঁদের তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস ও জরিমানা হবে। ৪৯৮ ধারা ছাড়াও ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা করেছেন।

    আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার ভাগ্যনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পর এক মাস তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করতে শুরু করে। মহিলার আরও দাবি, বিয়ের এক মাস পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং স্বামী গাড়ি কেনার জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবি করতে শুরু করেন। তাঁর বাবা সেই টাকা অসামর্থ হলে, এরপর স্বামী তাঁকে মারধর করেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।    

    অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার আদালতকে জানিয়েছে যে, মহিলা আগেও বিবাহিত ছিলেন। তাঁর প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি, ঘটনায় কোনও সত্যতা নেই। তাই তাঁর প্রথম স্বামীকেও  আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share