Blog

  • Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-ই সন্তানের একমাত্র স্বাভাবিক অভিভাবক (Natural Guardian)। তাই সন্তানের পদবি (Surname) কী হবে তা ঠিক করার অধিকার মায়ের আছে। এমনই যুগান্তকারী রায় দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায়ে উঠে আসে কোনও মহিলার দ্বিতীয় বিবাহের প্রসঙ্গ। বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় জানায়, “একজন মহিলা দ্বিতীয় বিবাহের পরে যদি তাঁর প্রথম বিবাহের সন্তানকে দ্বিতীয় স্বামীর পদবি দিতে চান, তাহলে তা তিনি করতেই পারেন। পদবি শুধু মাত্র কোন বংশের ইঙ্গিত নয়, এর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি শিশুদের অনুভূতির সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে।”

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন? 

    শীর্ষ আদালত এও জানায়, “দ্বিতীয় স্বামীর নাম সন্তানের সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করার উচ্চ আদালতের রায় নিষ্ঠুর। এতে শিশু মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।” 

    উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সালের অন্ধপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়। যেখানে বাবার পদবি যেন শিশু ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে মামলা করেছিল এক মহিলার প্রথম স্বামীর পরিবার। ওই মহিলার প্রথম স্বামী ২০০৬ সালে মারা যান। তখন তাঁর সন্তানের বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ২০০৭ সালে। কিন্তু ওই শিশুটির জৈবিক পিতার পরিবারের তরফ থেকে আদালতে আবেদন করা হয় যেন শিশুটি তার জৈবিক পিতার পদবি ব্যবহার করে। আদালত রায় দেয়, “ওই শিশুটির পিতার নামের জায়গায় তার জৈবিক পিতার নাম লিখতে হবে।  আর তা না করলে ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সৎ পিতা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত   

    তখন শিশুটির মা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের শিশুটির সৎ বাবা শিশুটিকে দত্তক নেন। এবার এই বিষয়ে রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট  জানায়, “একজন সৎ বাবা হিসেবে ওই মহিলার স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার হাইকোর্টের এই রায় নিষ্ঠুর। এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু মা সন্তানের স্বাভাবিক অভিভাবক। তাই এক্ষেত্রে তিনিই ঠিক করবেন তাঁর সন্তান কোন পদবি নেবেন।”   

  • Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে একই সময় পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতে পাঠানো হল তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। 

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া প্রায় নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা। এরপরই, এই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে পার্থ ও অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। ইডি-র মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, বেআইনি নিয়োগের এই দুর্নীতি-চক্রে বহু প্রভাবশালীই জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।

    ফলে, তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে পার্থর আবেদন খারিজ করেন বিচারক। মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। শুনানির সময় আদালতের লক-আপেই ছিলেন অর্পিতা। রায় বেরনোর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইডি লক-আপে রাখা হয় অর্পিতাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS Bhubaneswar) যাওয়া পার্থকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। এদিনই, ভুবনেশ্বর এইমসে যাওয়া পার্থকে ‘ফিট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর যা সমস্যা রয়েছে তা ক্রনিক। যে ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই কারণ, ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়। 

    হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পার্থকে আজই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় বিশেষ আদালতের রায় বের হতে দেরি হওয়ায়, রাতে ভুবনেশ্বরেই থাকতে হয় পার্থকে। মঙ্গলবার, ভোরের বিমানে করে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থ-র বিমান। 

  • MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা (Navy)। এবার সমুদ্রে চিন ও পাকিস্তানকে (China and Pakistan) টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেল নৌসেনা। প্রতিরক্ষা ক্ষত্রে আরও একধাপ এগিয়ে  সাবমেরিন ধ্বংসকারী MH-60R হেলিকপ্টার এসে গেল ভারতে। দুটি এমএইচ ৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) থেকে ভারতে এল। ভারতের নৌসেনায় যে ২৪ টি হেলিকপ্টার সংযোজনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই হেলিকপ্টারগুলি তার মধ্যে অন্যতম। এই চপারগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সি সেভেন্টিন হেভিলিফ্ট এয়ারক্রাফ্ট থেকে উড়ে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিক্রান্ত হাতে পেল নৌসেনা! জানুন কবে থেকে কাজ করবে এই রণতরী

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে ২৪ টি লকহিড মার্টিন (Lockheed Martin-Sikorsky) এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতীয় নৌসেনায় অ্যান্টি সাবমেরিন ও অ্যান্টি সারফেস যুদ্ধে (anti-submarine/anti-surface warfare) এই বিশেষ চপার কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে। সমুদ্রের যত গভীরেই শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ঘাপটি মেরে থাকুক না কেন, সেগুলিকে খুঁজে বার করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলি। এই নয়া হেলিকপ্টারগুলি ব্যাবহার করে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রথম তিনটি এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টার নৌসেনার কর্মীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপর ৩ টি হেলিকপ্টার কোচিতে এসে পৌঁছনোর কথা। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুটি হেলকপ্টার ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। এরপর পরবর্তী হেলিকপ্টার ২২ অগাস্ট ভারতে আসার কথা। জানা গিয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৪ টি হেলিকপ্টারের মধ্যে আরও যে বাকি  হেলিকপ্টারগুলি রয়েছে সেগুলি ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে এসে পৌঁছবে। 

  • Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণখেলাপি নীরব মোদির (Nirav Modi) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, গয়না ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন ২০২২-এ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হংকং (Hong Kong) থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্তমানে লন্ডনের জেলে রয়েছেন নীরব মোদি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নীরবের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হংকংয়ে নীরব মোদির বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকে টাকা ও গয়না গচ্ছিত ছিল নীরব মোদির। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচ নম্বর ধারা মেনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। সব মিলিয়ে আড়াইশো কোটি টাকার জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে বিদেশে নীরব মোদির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, নীরব মোদি ও তাঁর সহযোগীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের রায় মেনেই প্রায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    নীরব মোদি পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। বছর কয়েক আগে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ দেয় ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো জামিনদারকে কাজে লাগিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন এই হিরে ব্যবসায়ী।

     

  • INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    INS Vikrant: ২ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হলেও, আইএনএস বিক্রান্ত পুরো ‘অপারেশনাল’ হতে আরও এক বছর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। ঠিক সাতদিন পর, অর্থাৎ, ২ সেপ্টেম্বর আগামী শুক্রবার, ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) তথা সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার, কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে (Cochin Shipyard Limited) (এখানেই নির্মিত হয়েছে বিক্রান্ত) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে তৈরি প্রথম বিমাণবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তকে (INS Vikrant) অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar) থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্টজন। ওইদিন নৌসেনায় ‘কমিশন্ড’ (Commissioning of INS Vikrant) বা অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী । প্রাথমিকভাবে নাম রয়েছে ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার (Indigeneous Aircraft Carrier) বা “আইএসি ১”। অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর নাম হবে “আইএনএস বিক্রান্ত”। 

    তবে অন্তর্ভুক্ত হলেও, এখনই ‘অপারেশনাল’ হচ্ছে না আইএনএস বিক্রান্ত। সেটা হতে হতে আগামী বছরের মাঝামাঝি। নৌসেনার উপ-প্রধান ভাইস-অ্যাডমিরাল এসএন ঘোরমাদে জানান, বিক্রান্তের ফ্লাইট ট্রায়াল নভেম্বরে শুরু হবে। অর্থাৎ, তখন থেকে বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়ান ও অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করবে যুদ্ধবিমানগুলি। এরসঙ্গে জাহাজের বিভিন্ন সামরাস্ত্র ও প্রযুক্তি যুক্ত করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। ফলে, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ ‘এয়ার উইং’ গঠন সহ যুদ্ধজাহাজটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বিক্রান্তের ডেকে নামবে কে? চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, দৌড়ে এগিয়ে…

    ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (IOR) ভারতের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজ করবে আইএনএস বিক্রান্ত বলে জানান নৌ-উপপ্রধান। তিনি বলেন, এটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (Indian Ocean Region) শান্তি, স্থিতাবস্থা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চিনের সরাসরি নাম না করে ঘোরমাদে জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে এই রণতরীর গুরুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আইএনএস বিক্রান্ত-এর ওপর ১২টি মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে, নৌসেনা যে ২৬টি বিদেশি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই বিমানগুলি চলে আসলে, মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় নতুন বিমানগুলিকে মোতায়েন করা হবে। এই জাহাজের ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ (F/A-18E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। এর জন্য সরাসরি সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে একটি বিমানকে বাছাই করা হবে।

    আরও পড়ুন: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    তবে, নৌসেনার উপ-প্রধান জানিয়েছেন, বর্তমানে নৌসেনার নিজস্ব একটি দেশীয় যুদ্ধবিমান নিয়ে গবেষণা করছে ডিআরডিও এবং এডিএ। আগামী ৭-৮ বছরের মধ্যে ওই যুদ্ধবিমান যাকে এখন বলে হচ্ছে ‘টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার’ বা ‘টিইডিবিএফ’ নির্মাণ হয়ে গেলে, সেগুলি পাকাপাকিভাবে থাকবে এই রণতরীর ওপর। ঘোরমাদে জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। এর মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে থাকবে মিগ-২৯কে এবং পরে যোগ দেওয়া দেশী/বিদেশি। বাকিগুলি হবে রোটারি এয়ারক্র্যাফট বা হেলিকপ্টার। এই তালিকায় রয়েছে— রুশ কামোভ-৩১ আর্লি ওয়ার্নিং চপার, মার্কিন লকহিড-মার্টিন নির্মিত এমএইচ-৬০আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার এবং থাকবে দেশে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার।

  • UK Visa: যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিরিখে চিনকে টপকে প্রথম ভারত, জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন

    UK Visa: যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিরিখে চিনকে টপকে প্রথম ভারত, জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার অভিবাসনের পরিসখ্যান (Immigration Statistics) প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ হাই কমিশন (British High Commission)। সেখানে দেখা গিয়েছে চলতি বছরে ১,১৮,০০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে ভিসা দিয়েছে যুক্তরাজ্য (UK)। আগের বছরের তুলনায় যা ৮৯% বেশি। 

    আরও পড়ুন: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    চিনকেও টপকে এবার যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভিসা (Student Visa) পেল ভারতীয় পড়ুয়ারাই। এমনটাই জানা গিয়েছে ব্রিটিশ হাই কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে।

     

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সবসময় ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য যত ভিসা  দিয়েছে তাদের মধ্যে ২৮%- ই ভারতীয়। 

    ২৫৮,০০০ ভারতীয়কে এই বছর জুন মাস অবধি ভিজিটর ভিসা (Visitor Visa) দেওয়া হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৬৩০% বেশি। আগের বছর কোভিডের কারণে ভিসা দেওয়ায় কড়াকড়ি করেছিল ব্রিটেন।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি  

    এমনকি ওয়ার্ক ভিসার (Work Visa) ক্ষেত্রেও সবার ওপরে রয়েছে ভারত। এই বছর ইউকে সরকারের পক্ষ থেকে যতগুলি ওয়ার্কার ভিসায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪৬%- ই ভারতীয়। 

    ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস (Alex Ellis) এই বিষয়ে বলেন, “আবার প্রথম স্থানাধিকারী ভারত। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ২০২২ সালে ভারতীয়রাই যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সবথেকে বেশি স্টাডি, ভিজিটর এবং ওয়ার্ক ভিসা পেয়েছেন। এতে আমাদের দুই দেশের মানুষ আরও কাছাকাছি আসবেন।”

    ভারতীয়দের আরও বেশি ভিসার জন্যে আবেদন করার পরামর্শও দিয়েছেন এলিস। তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর ভিসার অনুরোধ পাচ্ছি। আপনারা আরও বেশি করে ভিসার জন্যে আবেদন করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।” 

    এই মাসের শুরুতেই যুক্তরাজ্যের এই প্রতিনিধি ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের প্লেনের টিকিট না কাটার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর ভিসার অনুরোধ পাচ্ছি। আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব আমরা করব। ভিসা সময়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    Uddhav vs Shinde: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপ, বহিষ্কার, একত্রীকরণ এবং আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কে — নানা সাংবিধানিক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই মামলাই এদিন পাঠানো হল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।   
    আসল শিবসেনার রাশ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিবাদ গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত অবধি। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁরাই আসল শিবসেনা। আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দাবি তাঁরাই আসল।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে আগ্রহী ছিলেন শিন্ডে। সেকথা তিনি জানিয়েওছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। তবে তাতে রাজি হননি উদ্ধব। এর পরেই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। পরে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে তাঁদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য  অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে হাত মেলানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন একনাথ। পরে নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।  

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?
    প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন শিন্ডে শিবিরের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের আসল শিবসেনা ঘোষণা না করে। প্রতীকও যেন না দেওয়া হয়।  বৃহত্তর বেঞ্চে বিষয়টি পাঠানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উল্লেখ করেন, ডিসকোয়ালিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতা কী হবে, তা আগে স্থির করতে হবে। সেই কারণেই মামলাটি পাঠানো হয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী নেই অর্পিতার আলমারিতে? হালকা থেকে ভারি সবরকম গয়নাই মিলবে সেখানে। এ যেন কোনও ছোটখাটো গয়নার দোকান! চোকার থেকে সীতাহার। মান্তাসা থেকে বাজুবন্ধ সবই রয়েছে। আছে সোনার কাঁকন থেকে কানের ঝোলা দুল। চাইলে মিলবে সোনার ঘড়ি, আংটি, পেনও।

    বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অভিযানে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার (Belgharia) রথতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় পাঁচ কেজি সোনা। যার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।  ইডি সূত্রে খবর,উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সোনার বাট। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি সোনার আংটি। এ ছাড়াও অর্পিতার বাড়ি থেকে সোনার মোটা হার,রকমারি সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের বাজেয়াপ্ত করা সোনার মধ্যে রয়েছে দু’টি সোনার ঘড়িও। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে, ছ’টি মোটা মোটা সোনার কাঁকন (বালা)। যার প্রত্যেকটির ওজন ৫০০ গ্রাম। মিলেছে কানের ঝোলা দুল। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট কানের দুল, কাঁকন এবং একটি সোনার পেন। এর আগে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫৪ লাখ টাকার সোনার গয়না।

    আরও পড়ুন: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    বুধবার বেলা ১২টার কিছু ক্ষণ আগে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাটে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। এর পর ১৯ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে টাকা ও গয়না উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুপুর থেক টাকা গোনা শুরু হলেও তা শেষ হতে হতে ভোর হয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকেও ২১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ এবং বহুমূল্যের গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকেরা। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তাঁকে স্বাগত জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তেরঙ্গা শাড়ি পরে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথ গ্রহণের পর প্রথা মেনে তাঁকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

    দ্রৌপদী দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। শপথ নেওয়ার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন তিনি। বলেন, সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। একটি প্রগতিশীল দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আমি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এদিকে, রবিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু হয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের উপরবেদা গ্রামে। সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্রৌপদীর প্রায় ৬০ জন নিকট আত্মীয়।

    আরও পড়ুন : নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন দ্রৌপদী।

     

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

LinkedIn
Share