Blog

  • Prime Minister Birthday: নিজের জন্মদিন মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী, ছাড়া হবে ৫টি চিতা

    Prime Minister Birthday: নিজের জন্মদিন মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী, ছাড়া হবে ৫টি চিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) এবছর নিজের জন্মদিন (Birth Day) পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। গত বার পালন করেছিলেন ‘সেবা ও সমর্পণ অভিযান’। জন্মদিন উপলক্ষে আফ্রিকা থেকে আনা পাঁচটি চিতা (Cheetah) ছাড়া হবে সেই জঙ্গলে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান।  

    শিবরাজ মঙ্গলবার বলেন, “নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোক থেকে পাঁচটি চিতা রাজস্থানের জয়পুরে আনা হচ্ছে। সড়কপথে চিতাগুলিকে পালপুরে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর সেগুলিকে জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ওই কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।” 

    আরও পড়ুন: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধাপে ধাপে মোট ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এদের মধ্যে তিনভাগের এক ভাগ কমবয়সী চিতা। যাতে তাদের থেকে ভারতে চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি ঘটে, সে জন্যই তাদের আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বন ও পরিবেশ মন্ত্রক নিযুক্ত বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি নামিবিয়া গিয়ে প্রথম পর্বের চিতা বাছাইয়ের কাজ সেরে এসেছেন। ইতিমধ্যে মৌ সাক্ষরও হয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরাসরি জঙ্গলে না ছেড়ে, প্রথমে  তারের বেড়ায় ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে ছাড়া হবে পাঁচটি চিতাকে। যাতে প্রাণীগুলি নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কিছু সময় পায় তারজন্যেই এই ব্যবস্থা।    

    ১৯৪৭ সালে সরগুজার রামানুজ প্রসাদ সিংহদেওর গুলিতে ভারতের শেষ তিনটি চিতা মারা পড়েছিল। তার পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালে ভারত সরকারের তরফ থেকে চিতা বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, অবলুপ্ত হওয়া চিতা দেশে ফেরাতেই এই উদ্যোগ।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে দিল্লির রাজপথের নাম! কী নাম রাখা হচ্ছে, জানেন?

    এদিকে বিজেপির তরফ থেকে নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন ১৬ দিন ধরে উদযাপন করার কথা জানিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে চিঠি দিয়েছেন সলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। ১৬ দিন ধরে পালন করা হবে এই অনুষ্ঠান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেবা পক্ষ’।  সেবা পক্ষ নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনের দিন থেকে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবর অবধি পালন করা হবে।

    এছাড়াও ‘মোদি @২০ সপ্নে হুয়ে সাকার’ বইটির প্রচারেরও  পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। এছাড়াও রক্তদান শিবির এবং বিনামুল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজনও করা হবে। এছাড়া এই উপলক্ষে সারা দেশে টিবি রোধে ক্যাম্পেনও চালানো হবে। এছাড়া বৃক্ষ রোপন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানও এই কর্মসূচীর অংশ হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Liz Truss: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ? 

    Liz Truss: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের (United Kingdom) প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। ভারতীয়দের (India) মন ভেঙে দিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ব্রিটেনের মসনদে বসেছেন তিনি। নতুন প্রধানমন্ত্রী কী পরিবর্তন নিয়ে আসছেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। একইভাবে তাকিয়ে ভারতও। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ কেমন রাখবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী এখন সে দিকেই তাকিয়ে দেশ। এর বরিস জনসনের সঙ্গে বরাবরই ভারতের ভাল সমীকরণ সামনে এসেছে। নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেমন হয় এখন তাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: হেরে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। তখন তিনি ছিলেন বরিস সরকারের বিদেশসচিব। সেই সময় ট্রাস দীপাবলির আগেই ভারতের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ওই সফরে, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা খাতে সহায়তার জন্য ভারত যাতে রাশিয়ার পরিবর্তে যুক্তরাজ্য বেছে নেয়, তার জন্য ভারতকে বিশেষ অনুরোধও করেছিলেন তিনি। এপ্রিলে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ব্রিটেনে ৩০ লক্ষ প্যাকেট প্যারাসিটামল রফতানির অনুমোদন দেওয়ার জন্য তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এর আগে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ভারত সফর করেছিলেন লিজ ট্রাস। সেই সময়, তিনি ভারতকে ব্রিটেনের ‘সবচেয়ে বড় বন্ধু’ বলেও অভিহিত করেছিলেন। 

    এবার এটাই দেখার পালা যে, আগে দেওয়া কথা রাখতে পারছেন কি না নতুন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলির আগেই কি সম্পন্ন হবে বাণিজ্য চ্যুক্তি? এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছে ভারত। এছাড়াও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলদিমির জেলেন্সকিকে সমস্ত ভাবে সমর্থন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেন থেকে নজর সরে ব্রিটেনের নজর ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আসে কি না সে দিকেও তাকিয়ে আছে ভারত।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

    সোমবার বরিস জনসন সরকারের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস, ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থসচিব ঋষি সুনাককে পরাজিত করে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচনে লিজ পেয়েছেন ৮১,৩২৬ ভোট, অন্যদিকে প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০,৩৯৯ ভোট। অল্প ভোটের ব্যবধানে জিতেই, মার্গারেট থ্যাচার এবং থেরেসা মে-র পর তৃতীয় মহিলা হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। 

    লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, “আশা করছি ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    Indians use antibiotics: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি বা পেটের গণ্ডগোল চাই চটজলদি নিরাময়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাচ্চার স্কুলে পরীক্ষা তাই তার শরীর খারপ হলে বেশিদিন স্কুলে ছুটি হয়ে যাবে। নিজের শরীর খারাপ হলে অফিসে ছুটি নিতে হবে। তাই দ্রুত নিরাময়ের হাতিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক। ছোটখাটো সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময় নেই। নিজের জানা একটি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করলেই চট করে রোগ সেরে যাবে। এই ধারণা নিয়ে চলেন বশিরভাগ ভারতীয়ই। 

    আরও পড়ুন: অগাস্টের বেতন হয়নি পাঞ্জাবে, বাংলারও কি একই হাঁড়ির হাল?

    সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি সমীক্ষার ফল বলছে, নিজেদের ইচ্ছেমতো সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন ভারতীয়রাই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিডের আগে এবং কোভিড চলাকালীন ভারতীদের মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে বেশির ভাগই কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত নয়। গবেষকরা ভারতের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজনে নিয়মকানুনের সংস্কারমূলক আইন আনা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ কাম্য নয়। উপযুক্ত  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। ল্যানসেটের সমীক্ষা মতে, ভারতীয়দর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ খাওয়ার চল সবচেয়ে বেশি। আর তার পরেই সেফিক্সাইম ২০০ নামক ওষুধটির উপর নির্ভর করে ভারতীয়রা। কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেলে শরীরে তৈরি হয়, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর)। আগামী দিনে তা বিপদ ডেকে আনে। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আর ওই অ্যান্টিবায়োটিক কাজে লাগে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: জামিনের আবেদন খারিজ সিবিআই আদালতে, ফের জেলেই ফিরতে হল অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। ফের জেলের ছোট্ট কুঠুরিতেই ফিরতে হল তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার ফের আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে তোলা হয় গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত অনুব্রতকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাওয়া হয় জামিন। জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২১ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে তোলা হবে আদালতে। তৃণমূল নেতার জামিনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই করা যাবে না।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এদিন জানতে চান, বাংলাদেশে গরু পাচারে কীভাবে জড়িত অনুব্রত? তখনই সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, হাট থেকে গরু যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। সেখানে শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে বাধা দেওয়া হত তাদের। শুল্ক আধিকারিকদের রীতিমতো হুমকি দিতেন অনুব্রত এসবের প্রমাণ স্বরূপ সিবিআই সিডির কথা উল্লেখ করে। যদিও বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হত, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে নেই বলেই দাবি করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে সিবিআইয়ের দাবি, এনামূলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রতর।

    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    এদিকে, এদিন অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও আদালাত জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুলের সঙ্গে তৃণমূল নেতার যে টাকার লেনদেন হয়েছে, সে তথ্যও রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন মধ্যস্থতার কাজ করতেন। অনুব্রতর হয়ে টাকা তুলতেন তিনিই। সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, এর প্রমাণ রয়েছে সিডিতেই। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অনুব্রত, তাঁর মেয়ে এবং প্রয়াত স্ত্রীর নামেও মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    High-Protein Foods: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার বয়স যতই হোক না কেন, আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছেন কিনা, সেই দিকে নজর রাখা বিশেষ জরুরী। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন কোষ, পেশী তৈরি করতে, আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শক্তি জোগাতে, বিপাকক্রিয়া সঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে বয়স ৫০-এর বেশী হলে কী কী প্রোটিন জাতীয় কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত, তা নিয়ে পুষ্টিবিদরা কিছু খাবারের উল্লেখ করেছেন সেগুলো হল-

    দুগ্ধজাত খাবার

    যাদের দুগ্ধজাত খাবারে কোনও অ্যালার্জি নেই, তাদের জন্য এই ধরণের খাবার খুবই উপকারী। কারণ দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, এছাড়াও এতে ক্যালশিয়াম রয়েছে। ফলে শরীরে উপকারী প্রোটিন সরবরাহ করে পেশি তৈরিতে সাহায্য করার পাশাপাশি হাড় মজবুত করতেও সহায়তা করে।

    কুইনোয়া

    এটি একটি গোটা শস্য, যা তৈরি করতে খুব সহজ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কুইনোয়াতে উপস্থিত প্রোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে, বার্ধক্যজনিত রোগ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে থাকে।

    আরও পড়ুন: রোজ ভিটামিন সি গ্রহণ করছেন? সাবধান! অতিরিক্ত ভিটামিন সি ডেকে আনতে পারে বিপদ

    ডিম

    পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ডিমে ৬-৭ গ্রাম প্রোটিনের সঙ্গে, আয়রন, ভিটামিন বি-12 এবং ডি আছে। ফলে ডিম মস্তিষ্ক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    মটরশুটি ও লেগুম

    এই খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি ২০ টি অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের পক্ষে উপকারী। এই জাতীয় খাবারগুলো ফাইবারেও সমৃদ্ধ। ফলে এই খাবারগুলো অনেক পেট ভরা থাকে, ফলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে না, ফলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে, কোলেস্টেরল কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো উপকারী. বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা ঠিকমতো দেশের হিজাব আইন (Hijab Law) মানছেন কি না, তার ওপর নজরদারি চালাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে ইরান (Iran) সরকার। যে সকল মহিলা এই আইন অমান্য করছেন, বিশেষ ধরনের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ (facial recognition) সফ্টওয়্যার দিয়ে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেহরান। 

    বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলাদের পোশাকের ওপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ইরান প্রশাসন। ইরানের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপরোধ’ সংক্রান্ত দফতরর সচিব মহম্মদ সালেহ হাশমি গোলপায়েগানি জানান, প্রকাশ্যে মহিলারা ঠিকঠাক পোশাক পরছেন কিনা তার ওপর নজর রাখতেই এই বিশেষ নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান প্রশাসন। এরপরই, এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেদেশের মহিলারা। কখনও রাস্তায় তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরা। একদিকে, প্রকাশ্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মহিলারা। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হিজাব খুলে ছবি তুলে #nohijabday বলে জোর প্রচার চলেছে। সেখানে তাঁরা হিজাব খুলে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদীদের আটক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরান সরকার। নেদারল্যান্ডের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আজাদেহ আকবরী জানান, ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এই ফেস রিকগনিশন পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে সরকার এই পদ্ধতিটিকে ভিন্ন রূপে ব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইরানের একটি সমাজসেবী সংগঠন হরানা দাবি করেছে, ইরানে হিজাব না পরায় ২৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাসের সহযাত্রীর কাছে তিরস্কৃত হতে হয়েছিল। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে মারধর করেছিল।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইরানিয়ান স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক অ্যানাবেলে স্রেবার্নি বলেছেন, ইরান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু সরকার নারী অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিষয়গুলিতে জোর দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Baguiati Students Murder: ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    Baguiati Students Murder: ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে বাগুইহাটি জোড়া খুনের (Baguiati double murder case) মুল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী (Satyandra Chaudhuri)। শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনে করে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়াই ছিল সত্যেন্দ্রর লক্ষ্য। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল হাওড়া স্টেশনে সাদা পোশাকে জাল পাতে। কেউ ফুড প্লাজার সামনে তো কেউ নিউ কমপ্লেক্সের ফুটপাথে বসে। চায়ের দোকান, ফলের দোকান, কাগজের স্টল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সিআইডির অফিসারেরা। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতেই সতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। অভিযুক্ততে জেরার জন্য বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন…’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

    বাগুইহাটির দুই ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্করের হত্যা ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় স্থানীয়দের। তা দেখে বেজায় চটেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বাগুইহাটি থানার ওসি’কে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। তারপর তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি’র হাতে। নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। 

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্রকে ধরতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তদন্তকারীদের। কারণ, অভিযুক্ত বার বার মোবাইলের সিম কার্ড পরিবর্তন করছিল। ফলে তার নাগাল পেতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা খবর পান, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে অন্য রাজে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সত্যেন্দ্র। সেই মতো গোয়েন্দারা সাদা পোশাকে হাওড়া স্টেশনে নজরদারি শুরু করে। অভিযুক্ত স্টেশনে পা রাখতেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। স্টেশনেই ট্রেনের টিকিট কাটছিল সত্যেন্দ্র। হয়তো আগামী কয়েকদিন গা-ঢাকা দিতে হবে অনুমান করেই টিকিট কাটার আগে অনলাইনে টাকার একটি লেনদেন করে সত্যেন্দ্র। ওই অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরেই সত্যেন্দ্রর খোঁজ পেয়ে যায় বিধাননগর পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    উল্লেখ্য, বাগুইহাটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণিতে পড়ত অতনু ও অভিষেক। গত ২২ অগাস্ট দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়। দু’দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবারের লোকজন। দায়ের হয় অভিযোগ। অতনুর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ, বেশ কয়েকটা উড়ো ফোন পেয়েছেন তিনি। এক কোটি টাকা মুক্তপণও দাবি করা হয়। এর মধ্যেই দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অবশেষে জোড়া খুনের ঘটনায় ১৮ দিন পর মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    BJP Nabanna Abhijan: দুর্নীতি নয়, বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতেই সক্রিয় মমতার পুলিশ! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) ঠেকাতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসক দল (TMC Government)। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি (West Bengal Corruption) এবং তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি (TMC Minister Leaders Corruption) এক এক করে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকায়দায় মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 

    এই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম থেকেই তা বানচাল করার উদ্দেশে, পুলিশ এই গণতান্ত্রিক অভিযানের অনুমতি দেয়নি। উল্টে, দিকে দিকে থেকে নবান্নর দিকে আসা বিরোধী নেতা-কর্মীদের কোথাও আটক করা হয়েছে, তো কোথাও টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের যাবতীয় মেশানারিকে ব্যবহার করে যেনতেন প্রকারে গেরুয়া-ঝড় রুখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা…লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে মিছিল আসবে সাঁতরাগাছি থেকে। তার আগে সকালেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। শুধু বসানো নয়, একেবারে গার্ড রেল ঝালাই করে রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ২টি জল কামান। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাওড়া ময়দান থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল আসার কথা। সেখানে জিটি রোডের ওপর তৈরি করা হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুঁড়িয়ে দিতে তৎপর মমতার পুলিশ (West Bengal Police)। সাঁতরাগাছিতে ইস্পাতের ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি কতটা ভীত ও উদ্বিগ্ন। 

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) ক্ষুদিরাম মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তমলুক (Tamluk) টোল প্লাজার সামনেও বিজেপির মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। নবান্ন অভিযান আটকাতে কাঁথি স্টেশনে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। পুলিশি বাধা টপকেই কাঁথি স্টেশন থেকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবারও সারাদিন বৃষ্টি চলবে, নেমেছে তাপমাত্রার পারদ, বুধে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস

    রানিগঞ্জ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় উর্দিধারীদের। কয়েকজন জোর করে স্টেশনে ঢুকে পড়লে ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুলটির বরাকর স্টেশনেও বিজেপি কর্মীদের দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আবার, নবান্ন অভিযানে যাওয়ার আগে বোলপুর (Bolpur) স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। স্টেশন চত্বর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করায় বোলপুর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। 

    বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রতিহত করতে শাসক শিবির যে কোনও কসুর রাখছে না, তা স্পষ্ট। বিরোধীদের কটাক্ষ, দুর্নীতি নয়, এরাজ্যের পুলিশ সদা-সক্রিয় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে। তাই তো বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে হাজারে-হাজারে পুলিশ মোতায়েন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    Taragiri: জলে ভাসল নৌসেনার স্টেলথ ফ্রিগেট ‘আইএনএস তারাগিরি’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে আধুনিক অস্ত্র, মিসাইল, হেলিকপ্টার, ট্যাঙ্ক ও বড় বড় যুদ্ধ জাহাজ। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় নৌবাহিনী হাতে পেয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় স্টিলথ ফ্রিগেট ‘তারাগিরি’ (Stealth frigate Taragiri) যোগ হল নৌবাহিনীতে। তারাগিরি তৈরিতে ৭৫ শতাংশ দেশীয় উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। যা মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে তৈরি। রবিবার রণতরীটি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করল। 

    আরও পড়ুন: জলে ভাসল দেশের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত

    গাড়োয়ালে অবস্থিত হিমালয়ের একটি পর্বতশ্রেণীর নামানুসারে তারাগিরি রণতরীর নামকরণ করা হয়েছে। জাহাজটির ডিজাইন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ইন হাউশ ব্যুরো অফ নেভাল। তারাগিরির ওজন ৩৫১০ টন। লম্বা ১৪৯ মিটার এবং চওড়া ১৭.৮ মিটার। জাহাজটির দুটি গ্যাস টারবাইন ও দুটি প্রধান ডিজেল ইঞ্জনের সমন্বয়ে চালিত হবে। তারাগিরির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৫২ কিমি। এতে ৩৫ জন অফিসারসহ মোট ১৫০জনকে মোতায়েন করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে যাত্রা শুরু হতে পারে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, কেমন হবে এই ট্রেনে যাত্রা?

    জাহাজটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, সেন্সর, অ্যাডভান্স অ্যাকশন ইনফরমেশন সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, বিশ্বমানের মডুলার প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে। এটি সারফেস টু সারফেস সুপারসনিক মিসাইল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। বিমান হামলা প্রতিরোধের জন্য এতে ৩২ বারাক ৮ ইআর এবং ভারতের গোপন অস্ত্র ভিএলএসআরএসএএম (VLSRSAM) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা রয়েছে। তারাগিরিতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করা যাবে। সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের জন্য দুটি ট্রিপল টর্পেডো টিউব রয়েছে এই রণতরীতে। এখান থেকে দুটি হেলিকপ্টার নামা ওঠাও করতে পারবে। দুটি একে ৬৩০ এম সি আই ডব্লু এস বন্দুকের পাশাপাশি একটি ৭৬ এমএম ওটিও মেলারা নেভাল গান লাগানো থাকবে এই যুদ্ধজাহাজে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    India-US: মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে শায়েস্তা করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাতে না পেরে পাতে মারাই লক্ষ্য তাঁর। সেই অনুযায়ী জাপান, ভারত সহ এশিয়ার ১৩টি দেশকে নিয়ে আমেরিকা তৈরি করেছিল ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক। যেখানে সমমনোভাবান্ন দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার পাশাপাশি বানিজ্য প্রসারই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু ভারত সরকার আপাতত এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায় না। লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক প্রকল্প বড় ধাক্কা খেল।

    আরও পড়ুন: উপাসনা স্থল আইন সংক্রান্ত আবেদন পত্র পাঠানো হতে পারে সাংবিধানিক বেঞ্চে, মত সুপ্রিম কোর্টের

    কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের পিছিয়ে আসার কারণ কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। একদিকে আর্থিকভাবে চিনকে দুর্বল করার পাশাপাশি নিজেদের বানিজ্য প্রসারের চেষ্টায় রয়েছে বাইডেন সরকার। এক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থা ধ্বংস হতে পারে। তার জেরে নতুন সমস্যা উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সঙ্গে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপকে আরও শক্তশালী করে তোলা। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়াই ভারত সরকারের মূল লক্ষ্য। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিলে সেই প্রয়াস বাধা পাবে। তাই ভারত এই প্রকল্প থেকে আপাতত সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    তবে এখনই হাল ছাড়ার পাত্র নন আমেরিকা। মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন তাই জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে অংশ নিচ্ছে না ঠিকই, তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। ভারতের বনিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা খুশি। এবছরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রতিনিধি আবারও মিলিত হবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমরা এই বিষয়ে ফের বিস্তারিত আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও আইপিইএফ প্রকল্পে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও আমেরিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share