Blog

  • Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    Kalyan Chaubey: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে। ৩৩-১ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারালেন বাইচুং ভুটিয়াকে। দুই প্রাক্তন ফুটবলারের লড়াই যে একপেশে হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ, রাজ্য ফুটবল সংস্থার অধিকাংশ প্রতিনিধি আগেভাগেই কল্যাণ চৌবেকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও পিছিয়ে আসেননি বাইচুং। বরং তিনি ভেবেছিলেন, আইকন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মাঠের মতোই ফুটবল রাজনীতিতে বড় চমক দেবেন। কিন্তু সেটা হল না।

    মজার ব্যাপার হল, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও বাইচুংকে ভোট দেননি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। সমর্থন করেছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থা।  সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন এন এ হ্যারিস। ২৯-৫ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাস্ত করেছেন মানবেন্দ্র সিংকে। আর কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অজয় কিপা। তিনি ৩২-১ ভোটে কোসারাজু গোপালাকৃষ্ণাকে হারিয়েছেন।

    এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার সভাপতি পদে বসতে চলেছেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর আবার এআইএফএফ-এর শীর্ষপদে এক বাঙালিকে দেখা যেতে চলেছে। কল্যাণ চৌবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গত শতাব্দীর শেষের দশকে ভারতীয় ফুটবলে খ্যাতনামা ছিলেন কল্যাণ চৌবে। ১৯৯৫-এ টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসে শুরু করেন পেশাদার পর্যায়ে ফুটবল খেলা। গোলকিপার হিসাবে ধীরে ধীরে খ্যাতি পেতে শুরু করেন। ১৯৯৭-৯৮ এবং ২০০১-০২ সালে ‘ভারতের সেরা গোলকিপারের’ পুরস্কার পান।

    আরও পড়ুন: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা

    ফুটবল ছাড়ার পর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন কল্যাণ। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে হেরেছিলেন। এআইএফএফ-এর নির্বাচনে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে, যে রাজ্যের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কল্যাণ নিজেও বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। ফলে রাজনৈতিক ভাবে সমস্ত সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    INS Vikrant: এক ভাসমান দুর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। শুক্রবার, এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে এই বিশালকায় যুদ্ধজাহাজ উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

    নৌসেনায় আইএনএস বিক্রান্তের যুক্ত হওয়া অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Indigenous Aircraft Carrier)। এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা (Atmanirbhar Bharat) ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র ভারতে তৈরি হওয়া প্রথম বিমানবাহী রণতরী নয়। এটা এখনও পর্যন্ত ভারতে তৈরি হওয়া সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জটিল রণতরী। আইএনএস বিক্রান্ত নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। ৪৩ হাজার টনের এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

    আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে উড়বে নৌসেনার মিগ-২৯কে (MiG-29K) যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে থাকবে রুশ নির্মিত কামোভ-৩১ (Kamov-31) আর্লি ওয়ার্নিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকর্সকি নির্মিত এমএইচ-৬০আর (MH-60R) মাল্টি রোল হেলিকপ্টার। এছাড়াও, থাকবে দেশে তৈরি হ্যাল নির্মিত অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (HAL ALH)। পরবর্তীকালে, এই জাহাজের স্কি-জাম্প (Ski Jump) বা STOBAR ডেক থেকে উড়তে দেখা যেতে পারে ফরাসি রাফাল-এম (Rafale-M) অথবা মার্কিন এফ/এ-১৮ ই/এফ সুপার হর্নেট (F/A-18 E/F Super Hornet) যুদ্ধবিমানের একটিকে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমানকে বহন করতে পারে এই বিক্রান্ত। তার মধ্যে ১৭টি নীচের হ্যাঙ্গারে থাকবে ও বাকি ১৯টি ফ্লাইট ডেকে থাকবে।

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    আইএনএস বিক্রান্তের চালিকা শক্তি জোগায় চারটি এলএম-২৫০০ গ্যাস টার্বাইন। এই টার্বাইন থেকে ৯০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে। জাহাজের সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি)। স্বাভাবিক গতি ১৮ নট। এই গতিতে প্রায় একটানা ৭,৫০০ নটিক্যাল মাইল চলতে সক্ষম এই জাহাজ। জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক নৌসেনা কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজে যা পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, তা দিয়ে অর্ধেক কোচি শহরের আলো জ্বালিয়ে রাখা যায়। জাহাজে ব্যবহৃত মোট তারের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার। জাহাজ নির্মাণে মোট ২১ হাজার ৫০০ টন দেশে তৈরি বিশেষ ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এই পরিমাণ ইস্পাত তিনটে আইফেল টাওয়ারের সমান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Asia Cup 2022: রোহিতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজের, যোগ্য জবাব দিলেন নেটিজেনরা

    Asia Cup 2022: রোহিতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজের, যোগ্য জবাব দিলেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) পর পর দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। সুপার ফোরেও (Super Four) জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে দারুণ ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। তাঁরা এখনও একটিও টি-টোয়েন্টি সিরিজ (T-20 Series) হারেননি। আবার আজকেই অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ফের মুখোমুখি হবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান (INDvsPAK)।

    কিন্তু এই অবস্থায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মহম্মদ হাফিজ (Mohammad Hafeez) তাঁর খেল দেখাতে শুরু করেছেন। তিনি ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন। আর তাঁর মন্তব্যের জেরে তাঁকে নেটিজেনদের কাছেও অনেক কটাক্ষের শিকার হয়। শুধুমাত্র তাই নয়, হাফিজ তাঁর এই মন্তব্যের কারণে সবার কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠেছেন।

    মহম্মদ হাফিজ ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “ম্যাচ জেতার পর রোহিত শর্মার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেছেন? জেতার পরও তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেছেন? এশিয়া কাপে হংকং-এর বিরুদ্ধে খেলতে ও টস করতে যাওয়ার সময় রোহিতকে ভীত ও বিভ্রান্ত লাগছিল। আগের রোহিত শর্মাকে আমি আর দেখতে পাচ্ছি না। রোহিত শর্মার পক্ষে বেশিদিন ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।“

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    হাফিজ আরও বলেন, ”আমার মনে হয় তাঁর অধিনায়কত্বের কারণে তাঁর ওপর অনেক চাপ বেড়েছে। তাই ওনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমি রোহিতকে সবসময় ক্রিকেটটা উপভোগ করতে দেখেছি। কিন্তু এখন অনেকটা চাপে থাকে বলে মনে হয়।“

    হাফিজের এমন মন্তব্যের পরেই নেটিজেনরাও তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। একের পর এক কমেন্ট আসে তাঁর এই মন্তব্যের পর। আর হাফিজকে অনেক নেটিজেনরাই ভালো করে বুঝিয়ে দেন যে, কেন রোহিতকে চিন্তিত দেখাচ্ছিল ও কেন হংকং কে হারানোর পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া তেমন ছিল। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, ‘কেন রোহিতকে হংকং-এর বিরুদ্ধে খুশি লাগছিল না কারণ হংকং- কে হারানো পাকিস্তানের জন্য অসম্ভব হতে পারে কিন্তু ভারতের জন্য নয়।‘

    অন্য একজন বলেন, ‘শেষ ২/৩ ওভারে ভারত যেভাবে খুব বেশি বাউন্ডারি দিয়েছে তাতে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। আপনি এটিকে নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।‘

    আরেকজন বলেছেন, ‘আপনি তার গতি এবং অভিপ্রায় সম্পর্কে কথা বলছেন? গত বিশ্বকাপ থেকে তার স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর বেশি। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ না দেখে স্ট্রাইক রেট দেখুন।‘

    আরও নেটিজেনরা কমেন্ট করে বলেছেন…

  • TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    TMC Corruption: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার আরেক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেক উদ্ধার হল বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা। ফিরে এল ইডি হানায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার স্মৃতি। এই ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। 

    ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের আরেক কীর্তিমান। শুক্রবার, হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল (TMC) নেতা রাজু সাহানির (Raju Sahani) নিউটাউনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকেই প্রায় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এরপরই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    কে এই রাজু সাহানি? হালিশহরের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ সাহানি। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু’বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। রাজু হলেন সেই লক্ষ্মণ সাহানির ছেলে। কয়েকবছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন লক্ষ্মণ। সেইসঙ্গে দলবদল করেন ছেলেও। স্রেফ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নন, তিনি এখন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানও। সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পুরসভার আসছিলেন না রাজু। কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে কার্যত গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। 

    কেন সিবিআই রেডারে চলে আসেন রাজু? সিবিআই সূত্রে খবর, সনমার্গ কো অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। রাজু সাহানি দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াচ লিস্টে ছিল। অভিযোগ, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বর্ধমান সনমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা ‘প্রটেকশন মানি’ হিসাবে নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝে মাঝেই তার কাছে পৌঁছে যেত মোটা টাকার বাণ্ডিল।

    আরও পড়ুন: প্রকল্প ছিল কেন্দ্রের, রূপ দিয়েছিলেন তপতী গুহ-ঠাকুরতা, দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতির নেপথ্যে এঁরাই?

    কী মিলেছে তল্লাশি থেকে? শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেই রাজুকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে নিয়ে আসা হয় হালিশহরে। সেখানকার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি ও একটি দেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এমনকী তাইল্যাণ্ডের ব্যাংক একাউন্টের হদিশও মিলেছে। দাবি, সেই ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
     
    সাম্প্রতিককালে, শাসক দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। পার্থ ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ থেকে শুরু করে প্রচুর নামী-বেনামী সম্পত্তির হদিশ উঠে এসেছে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) হাতে। পার্থ, অনুব্রত ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা এখন শ্রীঘরে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে মামলা। তার মধ্যেই শাসক দলের আরেক মূর্তিমানের আবির্ভাব ঘটায় রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। শনিবার রাজুকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Asia Cup 2022: ৫ দিনে তিনটে ম্যাচ রোহিতদের! সুপার ফোরে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    Asia Cup 2022: ৫ দিনে তিনটে ম্যাচ রোহিতদের! সুপার ফোরে কবে কার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। এশিয়া কাপ ২০২২ (Asia Cup 2022) শুক্রবার হংকংকে হারিয়ে পাকিস্তান উঠতেই সুপার ফোরের ক্রীড়াসূচি মেনে রবিবারই ফের হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জয় শাহ (Jay Shah) জানেন, এশিয়ান ক্রিকেটের ইউএসপি হল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তাই জমজমাট রবিবারের পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি। শুধু বাইশ গজে নিজেদের ঠিকঠাক মেলে ধরতে পারলেই ফের পরের বরিবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে লড়াই হতে পারে বাবর-রোহিতদের। 

    শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে সুপার ফোরের খেলা। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে শারজায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে শ্রীলঙ্কা। রবিবার মহারণে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ৪ সেপ্টেম্বরের পর ৬ সেপ্টেম্বর মহম্মদ নবির আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারত। ৮ সেপ্টেম্বর খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ৭ সেপ্টেম্বর শারজায় শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। ৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের শেষ খেলায় মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান।

    আরও পড়ুন: রবিবার ফের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশকে হারিয়ে ‘নাগিন ডান্স’ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের!

    চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম দেখাতে টিম ইন্ডিয়ার কাছে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তবে এবার লড়াইয়ের আগে রোহিত শর্মাদের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন পাক ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৫৭ বলে ৭৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। এদিন তিনি জানান, টুর্নামেন্টে একটা হারে দমে যায়নি পাকিস্তান। তিনি বলেন, যে কোনও লড়াইয়ের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। সতর্কতার সুরে পাক ওপেনার বলেন, “ভারত-পাক ম্যাচে একটা আলাদা চাপ থাকেই। গোটা বিশ্ব এই লড়াই দেখার অপেক্ষায় থাকে। পাকিস্তানও আত্মবিশ্বাসী। যে কোনও প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হতে আমরা তৈরি।”

    ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেও পেসার শাহিন আফ্রিদির না খেলাটা বড় ক্ষতির মনে করেন রিজওয়ান। হাত ঘুরিয়ে নাসিম নজর কাড়লেও আফ্রিদির শূণ্যস্থান পূরণ করা কঠিন, বলেই অভিমত পাক ওপেনারের। তবে, যাই হোক রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ওয়াঘার ওপারের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AIFF meeting in Kolkata: প্রধানমন্ত্রী মোদির আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি, জানালেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে

    AIFF meeting in Kolkata: প্রধানমন্ত্রী মোদির আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি, জানালেন এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) আগ্রহ এবং উৎসাহ দেখে খুশি ফিফা (FIFA) প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। ফোন করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে (Kalyan Chaube) এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এআইএফএফ-এর নয়া সভাপতি হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কল্যাণকেও। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “তিনি আমাকে ফোন করে দোহা, জুরিখ অথবা প্যারিসে দেখা করতে বলেছেন। আমি জানিয়েছি দেখা করার আগে এআইএফএফ (AIFF) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করতে চায়। আমরা কী করে ভারতীয় ফুটবলকে আর্থিক ও বাকি দিক থেকে এগিয়ে নিতে পারি তা দেখব। আগে সমস্যা বুঝব, তারপর আপনার সঙ্গে দেখা করব।” কল্যাণের মতে, “ফুটবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ দেখে খুশি ফিফা সভাপতি।”    

    আকাশকুসুম স্বপ্নে ভাসতে চান না নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। আগামী আট বছরে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে ভারত এই অলীক স্বপ্ন ফেরিও করতে চান না। বাস্তবের মাটিতে পা দিয়ে, ধীরে চলো নীতিতে ভারতীয় ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চান নয়া সভাপতি। ফিফার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়াকে ৩৩-১ ভোটে হারিয়ে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কল্যাণ।

    আরও পড়ুন: এই প্রথম, কোনও ফুটবলারের হাতে ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব! বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

    নতুন সভাপতি স্পষ্ট জানালেন,”অবাস্তব প্রতিশ্রুতি’ দেব না। আমরা আপনাদের স্বপ্ন বিক্রি করব না। আমরা বলব না যে আমরা এতগুলো অ্যাকাডেমি গড়েছি এবং আট বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলব। আমার জীবনে আমি একশোর বেশি অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে গিয়েছি এবং সেই সমস্ত অ্যাকাডেমিতে বলা হয়, বাচ্চারা আট বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলবে। কিন্তু বাস্তবে এইভাবে  হয় না। আমরা কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না তবে বলতে পারি, বর্তমান অবস্থা থেকে ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কতটা এগোব তা দেখা যাবে। কিন্তু আমরা মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতে চাই না।” 

    ফুটবলের শহর কলকাতাতেই হবে ভারতীয় ফুটবলের নতুন কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক, জানান কল্যাণ। আগামী বুধবারের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী একটি পরিকল্পনা সামনে রাখতে চান তিনি। আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর নবনির্বাচিত কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক হবে কলকাতায়। কল্যাণ জানিয়েছেন, সভাপতি হলেও নিজে একা নন, সবাইকে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে বিশিষ্ট ফুটবলারদের  মতামত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তিনি বাইচুংকেও এক্সিকিউটিভ কমিটিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, “বাইচুং ভুটিয়া ভারতীয় ফুটবলে যা দিয়েছেন, তা খুব কম মানুষই দিয়েছেন। আমরা ওকে স্বাগত জানাই।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Firing: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    Delhi Firing: দুমকার পর দিল্লি, সম্পর্ক ছেদ করায় কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকায় (Dumka) জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বছর ষোলোর এক কিশোরীকে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের গুলিবিদ্ধ ষোড়শী। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ড নয়, দিল্লি (Delhi)।  

    প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুমকায় অঙ্কিতা সিং নামে এক নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে শাহরুখ হুসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বছর তেইশের শাহরুখ গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির হাসপাতালে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।

    এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিল্লির বছর ষোলোর ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জনৈক আমানত আলির। মিরাট থেকে এসে সে সঙ্গমবিহার এলাকায় ছিল। মাস ছয়েক আগে ওই কিশোরী বছর উনিশের আমানতের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে। পুলিশের দাবি, তার পরেই ওই কিশোরীকে খুনের ছক কষে ওই তরুণ। লক্ষ্য পূরণে সে পবন ও ববি নামে স্কুলছুট দুই যুবককে জোগাড় করে। পরে একজনকে সে ওই কিশোরীর বাড়িতে পাঠায়। জানালার কাচ ভেঙে সে ওই কিশোরীকে ভয়ও দেখায় বলে অভিযোগ। ২৫ অগাস্ট দুপুরে ওই কিশোরীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে একা পেয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, দুটো দেশীর পিস্তল এবং তিনটি কার্তুজ এবং বুলেটের খোল উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিন তরুণ তাড়া করছে ওই কিশোরীকে। কিন্তু কিশোরীর পালানোর কোনও উপায় ছিল না। কারণ তার আগেই তার কাঁধে লেগেছে গুলি। আতঙ্কিত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাত্রা হাসপাতালে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খালি গুলির খোল। পুলিশের দাবি, ঘটনার মূল চক্রী এই আমানত। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরতে মুজফফর নগর যায় পুলিশ। যদিও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়। সঙ্গমবিহার থেকে ধরা হয় ববি ও পবনকে। ত্রিলোকপুরী থেকে গ্রেফতার করা হয় আমানতকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর দিনে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দু রীতি মেনে পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। আরতি করেছিলেন। মেনে নিতে পারেনি ‘রক্ষণশীল’ ব্রিটেন। যে দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা। তাই আশা জাগিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদে জিততে পারলেন না ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রথম থেকে জোরদার লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না ঋষি। কনজারভেটিভ দলের নেতারা ভরসা রাখলেন ব্রিটিশ নেত্রী লিজ ট্রাসের উপর।

    কনজারভেটিভ পার্টির (Tori) তরফে ভোটের ফল ঘোষণা করে জানানো হয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন লিজ। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি। চূড়ান্ত রাউন্ডে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির পরাজয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর ‘বর্ণ-পরিচয়ের’ কথাও। এখনও পর্যন্ত কোনও অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হননি। যে দেড় লক্ষাধিক কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে, তাতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার নগণ্য। তিন শতাংশেরও কম।

    আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঋষির হারের পিছনে স্ত্রী অক্ষতার ভূমিকাও রয়েছে। একদিকে বিপুল সম্পত্তি, তো অন্যদিকে আয়কর ফাঁকি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের জেরে তদন্তের আওতায় চলে আসেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতা। পেশার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা নাগরিকদের বিশেষ কর দিতে হয়। সুনকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে সেই করের আওতার বাইরে চলে আসেন। বলা হয়ে থাকে, অক্ষতার সম্পত্তি নাকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। একদা ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারকারী ব্রিটেনবাসী এ সত্য মেনে নিতে পারে না। কোনও ভারতীয় তাঁদের থেকে বড় হতে পারেন হয়ত বা এই কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল রক্ষণশীল দলের সদস্যদের। তাই প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও মাইলস্টোন ছোঁয়া হল না ঋষির।

    তা ছাড়া একদা জনসন অনুগামী ঋষি যে ভাবে পরবর্তী কালে প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ভোটে তারও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ টোরি সদস্যদের বড় অংশই জনসন অনুগামী। তাঁদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন লিজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চারদিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় হবে, সংযোগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ। হাসিনার এই সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এছাড়া হাসিনা দিল্লি থাকার সময় তাঁর সঙ্গে ফোনালাপ সারবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    এছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টিও উঠে আসবে। সূত্র মতে, শেখ হাসিনা ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে খাদ্যসামগ্রী, নানা পণ্য পাঠানোর অনুমতি চাইতে পারেন। এই সফরেই শেখ হাসিনার আজমের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই হবে হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।   

    ভারত এবং বাংলাদেশ বহুক্ষেত্রে একই রকম। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জলবায়ু দুই দেশেই অনেকটা এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে বড় ভূমিকা ছিল ভারতের। কিন্তু এই দুই দেশের সম্পর্কের ওঠানামাও চোখে পড়েছে বহুবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেষ বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন অনেকটাই উন্নত হয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট, সন্ত্রাসবাদ এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই মূলত হাসিনার এই সফর। 

    আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    ৫৪টি নদী একই সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলে। এই নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা উল্লেখযোগ্য। জলবন্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। আশা করা হচ্ছে, হাসিনার এই সফরে খানিকটা হলেও সেই সমস্যার সমাধান হবে। সম্প্রতি দুই দেশ জল ভাগাভাগি করতে সাতটি নদী চিহ্নিত করেছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) দেউলিয়া করেছে। ডুবিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিকেও। এবার চিনের শ্যেনদৃষ্টি পড়ছে ইরাকের (Iraq) দিকে। প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ ইরাক। এবার সেই দেশের তৈলক্ষেত্রের দখল নিতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।

    ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে সে দেশের অর্থনীতির। একই অবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনীতির হালও করুণ। এ সবের জন্য এই দুই দেশের রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুষছে চিনকে। কেবল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নয়, ছোট অর্থনীতির দেশগুলির দিকেই নজর রয়েছে চিনের। যেনতেন প্রকারে সে দেশের অর্থনীতির মধ্যে একবার ঢুকতে পারলেই কেল্লাফতে। সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে সেই দেশকে।

    বছর কয়েক আগে ওয়েস্ট এশিয়ান কানট্রি থেকে বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরাক থেকেও সেনা সরিয়ে নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইরাকে থাবা বসাতে চাইছে শি জিন পিংয়ের দেশ। ইরাকে তেলের ওপর চিনের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিন ছোট অর্থনীতির দেশগুলিকে কবজা করেছে, এবার সেই একই পদ্ধতিতে লাল ফৌজের দেশ হস্তগত করতে চাইছে ইরাকের তৈলক্ষেত্রগুলি। প্রায় দু দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। সাদ্দাম হুসেন জমানার হাত থেকে ইরাকিদের মুক্তি দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। সাদ্দাম জমানার পতনের পর আমেরিকা সরে যেতেই একটু একটু করে ইরাকের তৈলক্ষেত্র কবজা করার চেষ্টা করছে চিন।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ইরাকের তৈলক্ষেত্র হস্তগত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি ড্রাগনের দেশ। তবে এখনও অবধি প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে শি জিন পিংয়ের দেশের সেই চেষ্টা। বাধ সেধেছেন ইরাকের তৈলমন্ত্রী স্বয়ং। রাশিয়ার লুকোইল এবং ইউএস ওয়েল জায়েন্ট এক্সন মোবিল চিনের কোনও সংস্থাকে তার শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দেন ইরাকের তৈল মন্ত্রী। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা, ইরান এবং তুরস্কও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share