Blog

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    AIFF and BCCI: বাজিমাত বাংলার! ভারতীয় ফুটবল ও ক্রিকেটের মসনদে দুই বাঙালির দাপট

    ঈষিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে, ইন্ডিয়া উইল থিংক টুমরো’। গোপাল কৃষ্ণ গোকলের সেই বহু চর্চিত উক্তি আজ ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে ভীষণভাবে প্রযোজ্য। বহু বছর পর দেশের দুই জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠনের শীর্ষপদে দুই বঙ্গসন্তান। ২০১৯ সালে বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। কয়েকদিন আগেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) । তাঁর কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। যদিও তার কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি, যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে সহ-সভাপতি অন্য কেউ হতেন। আসলে কল্যাণ চৌবেকেই দিল্লির ফুটবল হাউসের মসনদে চেয়েছেন অধিকাংশ রাজ্য। তাই সভাপতি পদে তিনি ৩৩-১ ব্যবধানে বাইচুংকে হারিয়েছেন কল্যাণ।

    অতীতেও বিসিসিআই কিংবা এআইএফএফের সভাপতি পদে একই সময়ে পাওয়া গিয়েছে বাংলার দুই প্রতিনিধিকে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বনাথ দত্ত হয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। সেই সময় ফেডারেশনের শীর্ষপদ অলঙ্কৃত করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। তিনি ১৯৮৮-২০০৮, একটানা দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই সময় কালেই সিএবি থেকে বিসিসিআই সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়াও। একটানা না হলেও, ডালমিয়া কিন্তু ধাপে ধাপে বেশ কয়েকবার বোর্ড সভাপতি এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে আর্থিক জোয়ার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল ‘জগু’দার। একাধিক বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ক্রিকেটকে বানিজ্যিকরণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলেও ভারতীয় ফুটবল নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল।

    ২০০৯ সালে প্রফুল্ল প্যাটেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই অর্থে ভারতীয় ফুটবল আর এগোয়নি। বরং কিছু সাগরেদদের নিয়ে ভারতীয় ফুটবলের মসনদ দখলে রেখেছিলেন তিনি। আর তার বিরুদ্ধই বার বার সোচ্চার হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (Narendra Modi)। ভারতীয় ফুটবলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা (FIFA)। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। এক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঠিক খেলা ছাড়ার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এসেছেন। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েছেন। কিন্তু কখনওই তিনি রাজনীতি ও ফুটবলকে এক করে ফেলার চেষ্টা করেননি।

    কল্যাণ ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের কথায়, ‘ও চাইলে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বলে ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে আগেই প্রফুল্ল প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। আইনি পথে লড়েছে। জয়ও পেয়েছে। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানানো উচিত আমাদের। তাঁরা চাইলে, প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ফেডারেশনের সভাপতি করতে পারতেন। কিন্তু সেটা করেননি। বরং ফুটবলের প্রশাসনে কল্যাণের মতো প্রাক্তন ফুটবলারকেই তারা সমর্থন করেছেন। না হলে তো আমরা কোনও বঙ্গসন্তানকে এই পদে দেখতে পেতাম না।’

    অনেকে বলে বিজেপি বাংলা বিরোধী, কিন্তু সে কথাও মানতে নারাজ ক্রীড়ামহল। অধিকাংশের মতে, বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয় শাহ তো সচিব না হয়ে বোর্ড সভাপতি হতেই পারতেন, কিন্তু হননি। বাংলা তথা দেশের আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই সেদিন সমর্থন করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর, অমিত শাহরা। অনেকেই দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে গৈরীকরণের অভিযোগ করছেন। ভুল কিছুই নয়। কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা সব সময়ই ক্ষমতার বলে সব ক্ষেত্রেই নিজেদের লোককে বসানোর চেষ্টা করে। তবে, মোদি-শাহ জমানায় বিসিসিআই কিংবা ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে কিন্তু কংগ্রসের পথে হাঁটেনি বেজিপি। দল নয় বরং খেলাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফুটবল ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলার বা ক্রিকেটারের হাতে। 

  • Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    Indian Spy Kuldeep Yadav: দেশ কোনও সাহায্য করেনি, ৩২ বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে ফিরে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ বছর পরে নিজের বাড়ি চাঁদখেড়ায় প্রিয়জনদের কাছে ফিরলেন ভারতীয় গুপ্তচর (Indian Spy) কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু সময়। পুরো সময়টাই কেটেছে পাকিস্তানি জেলে (Pakistan Jail)। ২৭ বছরের ঝকঝকে যে তরুণ বাড়ি থেকে একদিন বেরিয়েছিল সে আজ ফিরে এল ৫৯ বছরের প্রৌঢ় হয়ে। পাঞ্জাবীর নীচের জীর্ণ শরীরই বলে দেয় এই কয়েক বছরের গল্প। হৃদরোগ, টিবি, যক্ষ্মার মতো মারণ রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। যে দেশের জন্যে এত কিছু সেই দেশই খোঁজ নেয়নি এত বছরে। দেশের কোনও প্রতিনিধি একটি বারের জন্যে দেখাও করতে যায়নি। এমনটাই দাবি কুলদীপ যাদবের।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?

    তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কখনও দেখা করতে আসেনি। আমি যখন গুপ্তচর হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর। যে দেশের জন্যে সারাটা জীবন উৎসর্গ করে দিলাম, সেই দেশ আমাকে আমার যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিল না। কিছুই পাইনি আমি।” 

    ১৯৯১ সালের ১৫ মার্চ কুলদীপকে পাকিস্তানে চর হিসেবে পাঠায় ভারত সরকার। ১৯৯৪ সালের ২২ জুন ওকারা জেলা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সাজা শেষে ২২ অগাস্ট বাড়ি ফিরেছেন তিনি। নিজের লোকেদের কাছে। আপাতত একটাই দাবি, অর্থনৈতিক সুরক্ষা। কুলদীপ বলেন, “আমি এখন আমার ভাই দিলিপ এবং বোন রেখার ওপর নির্ভরশীল। আমার সম্বর্ধনা, অবসরকালীন ভাতা প্রাপ্য। ঠিক যেমনটা সেনা কর্মীরা পেয়ে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বদলার ম্যাচ পাকিস্তানের! জিতে ফাইনালে যাওয়াই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার

    তিনি আরও বলেন, “সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্যে এই মুহূর্তে আমার একটি বাড়ি এবং কিছুটা আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।”

    কুলদীপের ভাই-বোন স্মৃতিচারণ করে বলেন, “কুলদীপ ১৯৯১ সালে একদিন হঠাৎ হারিয়ে যান। বাবা অনেক খোঁজার চেষ্টা করেন। তাঁর সন্ধানে অল্লাশি অভিযান করার আবেদন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন। কোনও লাভ হয়নি।”

    কুলদীপ বলেন, “তিন বছরের কোর্ট মার্শালের পরে আমাকে যখন জেলে স্থান্তরিত করা হয়, তখন বাড়িতে চিঠি লিখেছিলাম। সেই প্রথম বাড়ির লোক জানতে পেরেছিল, আমি বেঁচে আছি।”

    দিলিপ বলেন, “আমরা একই সঙ্গে খুশিও ছিলাম, আবার দুঃখিতও ছিলাম। আমরা জানতে পারি কুলদীপ বেঁচে আছে, তবে পাকিস্তানের জেলে।”

    কুলদীপ আরও বলেন, “আমি কখনও আমার মিশনের বিষয়ে আমার পরিবারকে বলিনি। দেশ সেবার উন্মাদনা ছিল আমার মধ্যে। এই জন্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতাম আমি। এমন সময় দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাই আমি। লুফে নিই সেই প্রস্তাব। কিন্তু শেষটা ভালো হল না। 

    পাকিস্তান সম্পর্কে বলতে গিয়ে কুলদীপ বলেন, “পাকিস্তানিরা অনেকেই ভারতীয়দের মতো। আমার অনেকের সঙ্গেই জেলে ভালো সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    Noida Twin Tower: নয়ডায় ট্যুইন টাওয়ারের সেই জমিতে ফের বহুতল সুপারটেকের? আদালতে যাবেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ভাঙা হয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার (Noida) সেই ট্যুইন টাওয়ার (Twin Tower)। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি যেখানে এক সময় ট্যুইন টাওয়ার গড়ে উঠেছিল, সেখানে এবার কী হবে?  বেআইনিভাবে জোড়া ওই টাওয়ার বানিয়েছিল সুপারটেক (Supertech) নামে এক সংস্থা। এই সংস্থা চায়, ওই জায়গায় ফের নতুন করে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে। তবে এমারেল্ড কোর্টস (যে চত্বরে জোড়া টাওয়ার ছিল) রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (Emerald Court’s Residents’ Association) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সুপারটেক যদি ফের ওই জায়গায় হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলতে চায়, তাহলে তারা আবারও দ্বারস্থ হবে আদালতের। এমারেল্ড কোর্টস রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উদয়ভান সিংহ টিওটিয়া (Uday Bhan Singh Teotia) বলেন, নির্মাতা সংস্থা এমন কিছু করে কিনা, তা আমরা লক্ষ্য রাখছি। যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমরা আদালতে যাব।

    নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে সুপারটেক তৈরি করেছিল জোড়া টাওয়ার। নাম দেওয়া হয়েছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সিয়ানে (Ceyane)। অ্যাপেক্সে ছিল ৩২টি ফ্লোর, আর সিয়ানে ছিল ২৯টি। দেশের উচ্চতম বহুতল এই জোড়া টাওয়ার। দুটি টাওয়ারে ছিল ৯১৫টি ফ্ল্যাট, ২১টি দোকান এবং দুটি বেসমেন্ট। জোড়া এই বহুতল দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু ছিল। জোড়া ওই টাওয়ার বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সপ্তাহখানেক আগে ভেঙে ফেলা হয় ওই জোড়া টাওয়ার।

    আরও পড়ুন : মাত্র ৯ সেকেন্ডেই ধূলিসাৎ নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার!

    জানা গিয়েছে, জোড়া টাওয়ারের ওই জমিতে কী করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই জমিতে মন্দির গড়ার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উদয়ভান বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা ওখানে একটি পার্ক বানাব। আরও কিছু প্রস্তাব এসেছে। কেউ কেউ মন্দির নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, ওই জমিতে কী করা যায়। যদিও সুপারটেক চেয়ারম্যান আরকে অরোরা জানান, ওই জমিতে হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তুলব। প্রয়োজনে স্থানীয়দের অনুমতি নেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • FATF at Pakistan: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?  

    FATF at Pakistan: পাকিস্তানে এফএটিএফের প্রতিনিধি দল, ধূসর তালিকা থেকে বের হবে কি শরিফের দেশ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) কি পারবে ফিনান্সিয়াল অ্যাকসন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)-এর ধূসর তালিকা (Grey List) থেকে বের হতে? এতদিন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল। ২৯ অগাস্ট পাকিস্তান পৌঁছেছে এফএটিএফ-এর এক প্রতিনিধি দল। তামাম বিশ্বে আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদের ওপর নজরদারি চালায় এই সংস্থা। পাকিস্তানে এসে যাচাই করে দেখেছে ইসালামাবাদের (Islamabad) পদক্ষেপ। শর্ত পূরণ করলেই ওই সংস্থার ধূসর তালিকা থেকে বের হতে পারবে শাহবাজ শরিফের দেশ। জানা গিয়েছে, এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। তাঁরাই স্থির করবেন পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ!

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের গা থেকে খসেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছে ধূসর তালিকায়। 

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। পনের জনের যে প্রতিনিধি দলটি পাকিস্তান এসেছিল, তারা সে দেশে ছিল ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এটা পাকিস্তানের আইওয়াশের একটি প্রচেষ্টা। কারণ পাকিস্তান এখনও ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন :’মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    প্রসঙ্গত, এফএটিএফ জুনের ১৭ তারিখে জানিয়েছিল, পাকিস্তানকে এখনও ধূসর তালিকায়ই থাকতে হবে। অন সাইট ভেরিফিকেশনের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ‘শাপমুক্তি’ ঘটবে কবে। বার্লিনে এফএটিএফের প্লেনারির সময়ই এই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষমেশ শাহবাজ শরিফের দেশে এল এফএটিএফের প্রতিনিধি দল। আদৌ পাকিস্তান ধূসর তালিকা থেকে বাদ পড়ে কিনা, এখন সেটাই দেখার!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weight Loss Tips: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    Weight Loss Tips: ওজন কমাতে চান? ভুল করেও এই ৫টি কাজ কখনই করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর রোগা-পাতলা চর্বিহীন শরীর কে না চায়! কিন্তু বর্তমান যুগের ওজন বেড়ে যাওয়া এক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আবার এখন তো চিকিৎসকরাও সুস্থ থাকার জন্য রোগা হতে বলেন। কিন্তু রোগা হওয়ার চক্করে অনেকেই ভুল পদ্ধতিতে ডায়েট করে থাকেন। অনেকে রোগা হতে এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠে যে তারা না খেয়ে, উপোস করে বা খাওয়ার স্কিপ করে স্লিম আর ফিট হতে চায়। আর এখানেই আপনারা করে বসেন সবচেয়ে বড় ভুল। এ ভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের শরীরের চূড়ান্ত ক্ষতি করে ফেলেন। ফলে অনেক সময় ওজন কমার বদলে বাড়তে শুরু করে। আপনার বয়স যদি ৩০ বছরের বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক,  ওজন কমাতে যে ৫টি কাজ কখনোই করবেন না।

    ওজন কমানো শুধুমাত্র লক্ষ্য করা উচিত নয়

    ওজন কমানো মানেই শুধু কিলো কমানো নয়। অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনেই ডায়েট চার্ট তৈরি করেন যার ফলে হিতে বিপরীত হয়। এমনকি খাবার না খেয়ে অনেকেই জল খেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে শরীরে জলের জন্যও বেড়ে যায় শরীরের ফোলা ভাব।

    প্রয়োজন মত ক্যালোরি না খাওয়া

    ওজন কমানো মানে না খেয়ে থাকা নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে এরপর শরীরচর্চা করে ক্যালোরি কমানো উচিত। কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    ব্যায়াম না করা

    ব্যায়াম সবসময় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পেশীর পাশাপাশি চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা ভাল। এটি আপনাকে আপনার বিপাক এবং হজমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

    কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া

    ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কম চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কখনোই রোগা হওয়া সম্ভব নয়। তারা কখনই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে না, বিশেষ করে যখন আপনার বয়স যদি ৩০-এর ওপরে থাকে। সবধরণের খাবারই খাওয়া উচিত কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবার না খাওয়া

    আপনার প্রতিদিনের খাবারে পুষ্টি পাওয়ার জন্য সমস্ত রকম খাবারের ভারসাম্য থাকা উচিত। পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া কখনই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে না। প্রোটিন ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে, আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করে, পেশী ভর রক্ষা করে এবং এমনকি বিপাকীয় হার বাড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NEET Answer Key: নীট-ইউজির ‘অ্যান্সার কি’ প্রকাশ এনটিএ-র, দেখবেন কী করে?

    NEET Answer Key: নীট-ইউজির ‘অ্যান্সার কি’ প্রকাশ এনটিএ-র, দেখবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: NEET UG-র ‘অ্যান্সার কি’ (Answer Key) প্রকাশ করল এনটিএ (NTA)। পরীক্ষার্থীরা নীটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট neet.nta.nic.in -তে গিয়ে নিজেদের ‘অ্যানসার কি’দেখতে পারবেন। কারও ‘অ্যান্সার কি’ চ্যালেঞ্জ করার থাকলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত করা যাবে। প্রতিটির জন্য ২০০ টাকা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত   

    কীভাবে নীট ইউজির আন্সার কি দেখবেন?

    ১) নীটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট neet.nta.nic.in-তে যান। 

    ২) হোমপেজে ‘Latest News’-এ গিয়ে ‘Answer Key, Scanned Image of OMR Answer Sheet and Recorded Response Challenge’- এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। 

    ৩) একটি নতুন পেজ খুলে যাবে। সেখানে ‘Answer Key, Scanned Image of OMR Answer Sheet and Recorded Response Challenge’-তে গিয়ে ‘Answer Key, Scanned Image of OMR Answer Sheet and Recorded Response Challenge’- এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

    আরও পড়ুন: গেট ২০২৩- এর বিজ্ঞপ্তি জারি আইআইটি কানপুরের  
     
    ৪) সেখানে একটি ডায়লগ বক্স খুলবে। তাতে লেখা থাকবে, ‘neet.nta.nic.in says, You are being redirected to an external website. Please note that NATIONAL ELIGIBILITY CUM ENTRANCE TEST cannot be held responsible for external websites content & privacy policies.’। সেখানে ‘Ok’- তে ক্লিক  করুন।

    ৫) একটি নতুন পেজ খুলুন। সেখানে দুটি লগইন অপশন পাবেন। ‘Through Application Number and Password’ বা ‘Through Application Number and Date of Birth’- এই দুটির একটিতে ক্লিক করুন।    

    ৬) ‘Through Application Number and Password’-তে ক্লিক করলে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি পিন দিতে হবে। তারপর লগইন করতে হবে। ‘Through Application Number and Date of Birth’-তে ক্লিক অ্যাপ্লিকেশন নম্বর, জন্মতারিখ এবং সিকিউরিটি পিন দিয়ে লগইন করতে হবে।

    ৭) তারপর স্ক্রিনে আপনার ‘অ্যানসার কি’ দেখতে পাবেন। ডাউনলোড করে ভবিষ্যতের জন্যে প্রিন্ট আউট রেখে দিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    LPG Cylinder Price: মাসের শুরুতেই দারুণ খবর! রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৯১ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবারে সাধারণ মানুষ একটু হলেও স্বস্তি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েই চলেছে আর এরই মধ্যে এখ খুশির খবর পাওয়া গেল। মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ লা সেপ্টেম্বর একধাক্কায় অনেকটাই কমল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। দেশের ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৯১ টাকা ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাজার পার করল রান্নার গ্যাস

    এরফলে এবার থেকে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম (১৯ কেজি এলপিজি) ২,০৯৫.৫ টাকা থেকে কমে ১৯৯৫.৫০ টাকা হয়েছে। দিল্লিতে দাম ১৯৭৬ টাকা থেকে কমে ১৮৮৫ টাকা হয়েছে। মুম্বইয়ে ১৯ কেজির রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ১৯৩৬ থেকে কমে ১৮৪৪ টাকা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ২০৪৫ টাকা যা আগে ছিল ২১৪১ টাকা। আজ, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই দাম কার্যকর হয়েছে। 

    তবে বাড়ির কাজে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দামে (LPG Cylinder Price) কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৪.২ কেজির বাড়ির রান্নার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই রয়েছে। ৬ জুলাই থেকে এই দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। দিল্লিতে বাড়ির জন্য যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় তার দাম ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, মুম্বইতে ১০৫২ টাকা ও চেন্নাইয়ে ১০৬৮ টাকা।

    আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, দুধের দাম বাড়াল আমুল এবং মাদার ডেয়ারি

    এর আগে দফায় দফায় রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হোটেল, রেঁস্তোরায় খাবারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবারে পুজোর আগেই কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল সাধারণ মানুষের। আশাও করা হচ্ছে যে এবারে হয়তো হোটেল, রেঁস্তোরার খাবারের দামও কিছুটা হলেও কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Canada: কানাডায় ছুরি হামলা, মৃত ১০, আহত কমপক্ষে ১৫

    Canada: কানাডায় ছুরি হামলা, মৃত ১০, আহত কমপক্ষে ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) সাস্কাচেওয়ানে (Saskatchewan) আচমকা ছুরি হামলায় (Stabbings) প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। অভিযুক্তরা এখনও অধরা। রবিবার সাস্কাচেওয়ানের জেমস স্মিথ ক্রি নেশনের বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে আততায়ীরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ড্যামিয়েন স্যান্ডারসন (৩১) এবং মাইলস স্যান্ডারসন (৩০) এই দুজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দুজনেরই  চুলের রং কালো এবং বাদামী চোখ। দুই অভিযুক্তই একটি কালো রঙের নিসান গাড়িতে করে এসেছিল। রবিবার স্থানীয় সময় ৮টা ২০ মিনিটে প্রথম জায়গায় হামলা চলে। পুরো এলাকায় পুলিশি সতর্কতা বাড়িয়েছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: কানাডায় ১০ লক্ষ শূন্যপদ, যাবেন নাকি?

    রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) সাস্কাচেওয়ানের সহকারী কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর (Rhonda Blackmore) জানিয়েছেন, ওই দুই সন্দেহভাজন কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বাকিরা তাদের পথে চলে আসায় হামলার শিকার হন। তিনি আরও বলেন, “হামলার উদ্দেশ্য এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি ভয়ঙ্কর। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।”  

    পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজনদের শেষ সাস্কাচেওয়ানের রাজধানী রেজিনাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরে আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

    আরসিএমপি ট্যুইট করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। ট্যুইটে লেখা হয়, “রেজিনা এলাকায় সতর্ক থাকুন। নিরাপদ স্থান থেকে বের হবেন না। সন্দেহভাজনদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। অপরিচিত কাউকে গাড়িতে লিফট দেবেন না। সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে কোনও খোঁজ পেলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান।” 

    আরও পড়ুন: ফের ভাঙা হল গান্ধীজির মূর্তি, তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের 

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) ট্যুইটে লেখেন, “সাস্কাচেওয়ানে আজকের হামলা ভয়াবহ এবং হৃদয়বিদারক। যারা তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন বা যারা এই হামলায় আহত হয়েছেন তাদের কথা ভাবছি। আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কবার্তা অনুসরণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।”  

     


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    Cyrus Mistry death: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত গতিবেগ এবং সিট বেল্ট না পরার জন্যই প্রাণ গেল ভারতের প্রখ্যাত শিল্পপতি টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। গুজরাটের উড়ওয়াড়া থেকে মুম্বই ফেরার পথে পালঘরের চারোটি চেকপোস্ট পেরিয়ে পরের ২০ কিলোমিটার মাত্র ন’মিনিটে অতিক্রম করেছিল সাইরাসদের গাড়ি। টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন পারিবারিক বন্ধু দুই পন্ডোলে ভাই, দারায়ুস এবং জাহাঙ্গির এবং দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা ৷ মার্সিডিজ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা। তাঁর ভুলও দুর্ঘটনার পিছনে দায়ী, এমনই ধারণা পুলিশের।

    প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। আর তাই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে চলছিল গাড়িটি। গাড়ির পিছনের সিটে বসে ছিলেন সাইরাস এবং দারায়ুসের ভাই জাহাঙ্গির ৷  তাঁরা কেউই সিট বেল্ট পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। দু’জনেই প্রাণ হারিয়েছেন দুর্ঘটনায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় মাথায় চোট লাগে সাইরাসের।

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    উড়ওয়াড়া এলাকায় পার্সি সম্প্রদায়ের প্রধান অগ্নিমন্দিরে দারায়ুস ও জাহাঙ্গিরের বাবা দীনশ’-এর শেষকৃত্যের প্রার্থনায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷  গত সপ্তাহে প্রয়াত হন তিনি ৷ কয়েক বছর ধরে এই অগ্নিমন্দিরের সংস্কার করে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করেছিল মিস্ত্রি পরিবার। মুম্বই ফেরার পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তথা দারায়ুসের স্ত্রী অনাহিতা পন্ডোলে ৷ তাঁর পাশের আসনে ছিলেন দারায়ুস ৷ দু’জনেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷

     বণিক মহলে পন্ডোলে পরিবারও গুরুত্বপূর্ণ ৷ ৬০ বছর বয়সি দারায়ুস হলেন মুম্বইয়ের জেএম ফিনান্সিয়াল প্রাইভেট ইক্যুইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷ টাটা গোষ্ঠীর ডিরেক্টর পদেও ছিলেন তিনি ৷ টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাসের অপসারণের পর দারায়ুসও পদত্যাগ করেন ৷ এই পন্ডোলে পরিবারই ছিল ঠান্ডা পানীয় ‘ডিউকস’-এর কর্ণধার ৷ ২০ বছর আগে সংস্থার সত্ত্ব তারা বিক্রি করে দেয় পেপসি-র কাছে ৷ পন্ডোলে পরিবারের বধূ অনাহিতাও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ৷ ৫৫ বছর বয়সি এই নামী চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন বেআইনি হোর্ডিং অপসারণ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ৷ ‘জীয়ো পার্সি’ প্রকল্পেরও মুখ অনাহিতা ৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share