Blog

  • Sharad Pawar IT Notice:  আয়কর দফতর ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে, নোটিশ পেয়ে বললেন পাওয়ার

    Sharad Pawar IT Notice:  আয়কর দফতর ‘প্রেমপত্র’ পাঠিয়েছে, নোটিশ পেয়ে বললেন পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর দফতর (Income Tax Department) তাঁকে প্রেমপত্র (Love Letter) পাঠিয়েছে। আয়কর দফতরের নোটিশ পেয়ে এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন এনসিপি (NCP) নেতা শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। পরেই আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ আসে পাওয়ারের কাছে। এর পরেই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান ট্যুইট করেন জানান, যে আয়কর বিভাগ নোটিশ পাঠিয়েছে তাঁকে। আয়কর বিভাগের এই নোটিশকেই প্রেমপত্র বলে উল্লেখ করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    আরও পড়ুন : দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    ট্যুইটবার্তায় পাওয়ার বলেন, আমি প্রেমপত্র পেয়েছি। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০২০ সালে নির্বাচনের হলফনামা সংক্রান্ত নথি নিয়েই আয়কর বিভাগের লাভ লেটার পাঠানো হয়েছে। এদিন কেন্দ্রকেও একহাত নিয়েছেন পাওয়ার। এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, তদন্তকারী সংস্থা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। এই বিভাগে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে। এটা পরিকল্পনা মাফিকই করা হচ্ছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নেই, জানালেন পাওয়ার, নীতীশ

    কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছিল শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সম্প্রতি কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ছেড়ে দিতে উদ্ধবকে বলেন শিবসেনা নেতা তথা উদ্ধব মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডে। তাতে রাজি হননি উদ্ধব। তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই নেতার। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে উড়ে যান। সরকার বাঁচাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেন উদ্ধব স্বয়ং। তার পরেও নেভেনি বিদ্রোহের আগুন। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। তার আগেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেড়ে উদ্ধব চলে যান পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিন্ডে। তার পরে পরেই এনসিপি সুপ্রিমোকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর।

     

  • GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    GST: প্যাকেট-বন্দি চাল, আটাতেও জিএসটি, দাম বাড়ছে কোন কোন পণ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দই, পনির, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হল ৫ শতাংশ জিএসটি (GST)। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাংকগুলি যে ফি নেয়, তাতেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। জিএসটি পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্ব মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে চলছে দুদিন ব্যাপী বৈঠক। সেখানে এদিন ১২ শতাংশ করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কমের ঘরভাড়া, মানচিত্র ও চার্টকেও। এতদিন এগুলিতে কর দিতে হত না। তবে মোড়ক, লেবেল এবং ব্যান্ড নাম ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলিতে অবশ্য এখনও বহাল রয়েছে ছাড়। এছাড়াও কর ফাঁকি রোধেও একাধিক ভাবনা রয়েছে জিএসটি পরিষদের। 

    আরও পড়ুন : শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের

    পরিষদ এদিন কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এলইডি লাইট, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। সোলার ওয়াটার হিটার এবং ফিনিশড লেদারে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি প্রযোজ্য হবে। ই-ওয়েস্টের ক্ষেত্রে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।

    জিএসটি চালুর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাজ্যগুলিকে কথা দিয়েছিল, তা আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে তাদের পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে তারা। এ মাসেই ফুরোচ্ছে সেই মেয়াদ। রাজ্যগুলির দাবি, জিএসটি আদায়ে এখনও ঘাটতি হচ্ছে তাদের। তাই বাড়ানো হোক ক্ষতিপূরণের মেয়াদ। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, এর মেয়াদ বাড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি গোষ্ঠীকে কর কাঠামো সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীই মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক সুপারিশ করে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার আলোচনা হবে ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা এবং অনলাইন গেমের ওপর ২৮ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব নিয়েও।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছত্তীশগড়ের মতো বিজেপি বিরোধী রাজ্যের দাবি, এটা বাড়িয়ে কেন্দ্র তাদের দিক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

     

  • Rashid Latif: এশিয়া কাপে ভারত-পাক দ্বৈরথে পাকিস্তানকেই এগিয়ে রাখছেন লতিফ

    Rashid Latif: এশিয়া কাপে ভারত-পাক দ্বৈরথে পাকিস্তানকেই এগিয়ে রাখছেন লতিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের থেকে বেশি শক্তিশালী দল পাকিস্তান (Pakistan)। তারাই জিতবে এশিয়া কাপের (Asia Cup) ট্রফি। বহু প্রতীক্ষিত ভারত-পাক দ্বৈরথের আগে এমনই মন্তব্য করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ (Rashid Latif)। এই মুহূর্তে ক্রিকেট মাঠে একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় না এই দুই প্রতিবেশী দেশের। রাজনৈতিক চাপানউতোরের কারণে এখন শুধু বহুদেশীয় টুর্নামেন্টগুলিই খেলে এই দুই দেশ। তাই ২৭ অগাস্টের ভারত-পাক দ্বৈরথের দিকে তাকিয়ে আছে দুই দেশ তথা গোটা বিশ্ব। তার আগে নিজের দেশের দলকে নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী লতিফ।   

    পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলেও ভারতকে খাটো করে দেখছেন না কিংবদন্তি ক্রিকেটার। রশিদ বলেন, “নিঃসন্দেহে অন্যান্য দলগুলোও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। তবে ২০২২ এশিয়া কাপের মূল প্রতিযোগিতা হবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আমি আশাবাদী পাকিস্তান আসন্ন এশিয়া কাপ জিতবে।”

    আরও পড়ুন: এবার করোনা আক্রান্ত কোহলিও, ফের সংশয়ে ভারত-ইংল্যান্ড পঞ্চম টেস্ট?

    লতিফ আরও বলেন, “গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয় পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। পাকিস্তান দলে আছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, বাবর আজম এবং রিজওয়ানের মতো বেশ কিছু দুর্দান্ত খেলোয়াড়, আইসিসি যাদের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ৫০ ওভারে ৪৯৮ রান! একদিনের ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড ইংল্যান্ডের     

    তবে এবার ভেতর ভেতর বদলার আগুনে ফুঁসছে ভারতও। শেষ হার ভোলেনি ভারত। ক্রিকেট সমালোচকরা অনেকেই পাকিস্তানের থেকে ভারতকে এগিয়ে রাখছেন। 

    কিন্তু একদম উল্টো সুরেই কথা বলছেন লতিফ। পূর্ব অভিজ্ঞতাই তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এখন পর্যন্ত বেশি ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। 

    তবে বিশ্ব আসরের হিসাব বলছে অন্য কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিশ্বমঞ্চে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।   

    গত ২৪ অক্টোবর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানদের কল্যাণে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। রশিদের বিশ্বাস, সে ম্যাচের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে আসন্ন এশিয়া কাপে দারুণ কিছু করবে পাকিস্তান।   

    চার বছর পর এবার এশিয়া কাপ হবে শ্রীলঙ্কায়। শেষবার ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সর্বোচ্চ ৭ বার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। তবে এবার টুর্নামেন্ট হবে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ২২ গজে ঠিক কতটা আক্রমনাত্মক হতে পারে পাকিস্তান সে বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে ভারতের। তবে ‘বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী’ ছাড়তে এক্কেবারে রাজি নয় ‘মেন ইন ব্লু’। তাই এবার লড়াই  সেয়ানে সেয়ানে। 

     

  • Eknath shinde: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    Eknath shinde: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় দিন গুজরান করতেন অটো চালিয়ে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারা থেকে আসা সেই মানুষটিই জড়িয়ে পড়েন  রাজনীতিতে। রাজনীতিতে হাতেখড়ি ছাত্রাবস্থায় (Student Politics)। পরে যোগ দেন শ্রমিক ইউনিয়নে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde)। আপাতত মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটপরির্বতনের চাবিকাঠি তাঁর হাতেই।

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিন্ডে। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসামের একটি হোটেলে। প্রশ্ন হল, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। পরে শ্রমিক ইউনিয়ন করতে গিয়েই শিন্ডে নজরে পড়ে যান রাজনৈতিক নেতাদের। ১৯৯৭ সালে শিবসেনার টিকিটে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে লড়াই করে বিপুল ভোটে জয়ী হন শিন্ডে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০০১ সালে কর্পোরেশনের সেনা নেতা হন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় থানের। এই সময়ই নিজেকে থানের একছত্র অধিপতি করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার পা রাখেন বিধানসভায়।এর পরের তিন বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল জনাদেশ নিয়ে বিধানসভায় ফেরেন তিনি। ২০০৪ সালের পর থেকেই শিবসেনার একটা বিরাট অংশ ভরসা করতে শুরু করেন শিন্ডের ওপর। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছাড়েন বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। এর পরেই দলে দাপট আরও বেড়ে যায় শিন্ডের। তাঁর এই তুঙ্গ জনপ্রিয়তা চোখ টানে কংগ্রেসেরও। তাঁকে দলে টানার যাবতীয় চেষ্টা করেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরেও শিন্ডে ছাড়েননি শিবসেনা-সঙ্গ। গত বিধানসভা নির্বাচনেও মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন শিন্ডে। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি হন পূর্ত মন্ত্রী। তার পর থেকেই বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    বছর আটান্নর শিন্ডে এখনও বালাসাহেবের লাইনই অনুসরণ করেন। এই বালাসাহেবের কাছাকাছি থাকবেন বলেই তিনি চলে এসেছিলেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি ঠানেতে। বর্তমানে তাঁর হাতেই মহারাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রেোহ ঘোষণা করা শিন্ডে বলেন, বালাসাহেবই আমার আদর্শ। বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিত। তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে কখনওই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না আমি।

    এ কীসের ইঙ্গিত দিলেন শিন্ডে?

     

  • Rath Yatra 2022: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    Rath Yatra 2022: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত ভাষায় রথ মানে গাড়ি এবং যাত্রা মানে মিছিল। ক্ষণিকের জন্য জগন্নাথদেবকে রথের উপর দর্শন করাকে বহু পুণ্য কর্মের ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি এতই পবিত্র যে, কেউ যদি এই দিনে রথ স্পর্শ করে অথবা এমনকি রথের দড়ি স্পর্শ করে, তাহলে বহু পুণ্য কর্মের ফল লাভ করতে পারেন।

    জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় আজও আমরা দেখে থাকি, প্রতিবছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সেখানকার রাজা। রাজত্ব না থাকলেও বংশ পরম্পরাক্রমে পুরীর রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী যিনি রাজা উপাধিপ্রাপ্ত হন, তিনি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর পরপর তিনটি রথের সামনে এসে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথের সম্মুখভাগ ঝাঁট দেওয়ার পরই পুরীর রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজো! জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    পুরীর রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে, বড় ভাই বলরাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় জিনিস হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলভদ্রের রথ। তারপর সুভদ্রা এবং শেষে জগন্নাথ।

    পুরীর এই রথ তিনটির আলাদা আলাদা নাম। জগন্নাথ দেবের রথ — নন্দী ঘোষ, বলরামের রথ — তালধ্বজ ও সুভদ্রার রথ — দর্পদলন নামে পরিচিত। প্রতি বছর উল্টোরথের পর রথ তিনটি ভেঙে ফেললেও রথের পার্শ্বদেবদেবীর মূর্তি, সারথি ও ঘোড়াগুলিকে সযত্নে তুলে রাখা হয়। 

    এবারে রথ তিনটির একটু পরিচয় দেওয়া যাক :

    আরও পড়ুন: যোগিনী একাদশী কবে জেনে নিন, ব্রত পালনের নিয়মবিধি জানেন তো?

    নন্দীঘোষ (জগন্নাথ): কথিত আছে, এই রথটি দেবরাজ ইন্দ্র শ্রীজগন্নাথদেবকে প্রদান করেছিলেন। এই রথ নির্মাণে ছোট বড় ৮৩২টি কাঠের টুকরো লাগে। উচ্চতা ৪৪’২” বা ১৩.৫ মিটার ও দৈর্ঘ্য প্রস্থ ৩৪’৬” x ৩৪’৬”। আগে ১৮টি চাকা থাকলেও, বর্তমানে ১৬টি থাকে। রথের ধ্বজার নাম ত্রৈলোক্যমোহিনী ও রশির নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। দ্বারপাল ব্রহ্মা ও ইন্দ্র। রথে উপস্থিত নয় জন পার্শ্ব দেবগণ হলেন — বরাহ, গোবর্ধন, কৃষ্ণ/গোপীকৃষ্ণ, নৃসিংহ, রাম, নারায়ণ, ত্রিবিক্রম, হনুমান ও রুদ্র। এঁদের সঙ্গে রয়েছেন ধ্যানমগ্ন ঋষিরা — নারদ, দেবল, ব্যাসদেব, শুক, পরাশর, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র ও মরীচি। লাল ও হলুদ কাপড়ে মোড়া এই রথে কালো রঙের চারটি ঘোড়া হল— শঙ্খ, বলাহক, শ্বেত ও হরিদাক্ষ। রথের সারথি দ্বারুজ ও রক্ষক গরুড়। রথের কলসের নাম হিরন্ময়। রথের দ্বারপাল জয়, বিজয়। রথের রজ্জুর নাম শঙ্খচূড়। রথের নেত্রের নাম তৈলক্ষ মোহিনী। রথের অধীশ্বর প্রভু জগন্নাথ।

    তালধ্বজ (বলভদ্র/বলরাম): ৭৬৩টি ছোট বড় কাঠের টুকরো দিয়ে নির্মিত এই রথ। এই রথের উচ্চতা ১৩.২ মিটার। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ৩৩’ x ৩৩’। আগে ১৬টি থাকলেও এখন চাকার সংখ্যা ১৪টি। ধ্বজার নাম উন্মনী এবং রশির নাম বাসুকী নাগ। ন’জন পার্শ্বদেবতা হলেন — গণেশ, কার্তিক, সর্বমঙ্গলা, প্রলম্ব, হলায়ুধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটেশ্বর, মহেশ্বর ও শেষদেব। দ্বারপাল রুদ্র ও সাত্যকি। সারথি মাতলি এবং রক্ষক বাসুদেব। রথের শ্বেতবর্ণের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোর, শ্রম (স্বর্ণনাভ) ও দীর্ঘ (দীর্ঘশর্মা)। সুদর্শন চক্রের পাশে দুটি পাখির (কাকাতুয়া) নাম স্বধা ও বিশ্বাস। রথটি সবুজ ও লাল কাপড়ে মোড়া। রথের ধ্বজার/পতাকার নাম উন্মনী। 

    দর্পদলন (সুভদ্রা): ৫৯৩টি টুকরো কাঠ দিয়ে তৈরি এই রথের উচ্চতা ৪২’৩” বা ১২.৯ মিটার এবং দৈর্ঘ্য – প্রস্থ ৩১’৬” x ৩১’৬”। চাকার সংখ্যা ১২। ধ্বজার নাম নাদম্বিক এবং রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগ। ধ্বজার পাশের পাখি দুটির নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটি লাল ও কালো কাপড়ে ঢাকা। ন’জন পার্শ্বদেবী হলেন — চণ্ডী, চামুণ্ডা, মঙ্গলা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শুলিদুর্গা, শ্যামাকালী, বিমলা ও বরাহি। দ্বারপালিকা — ভূদেবী ও শ্রীদেবী। সারথি অর্জুন আর রক্ষক জয়দুর্গা। লাল রঙের ঘোড়া চারটির নাম রচিকা, মোচিকা‚ জিতা ও অপরাজিতা। 

     

  • Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    Droupadi Murmu: দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Nadda) নিজেই স্বীকার করেছেন ২০ জনের মধ্যে থেকে সর্বসম্মতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। প্রশ্ন হল, কেন দ্রৌপদী নামেই শিলমোহর দিল বিজেপি?

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রৌপদী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তবে শুধু এই কারণেই তাঁকে বেছে নেয়নি পদ্ম শিবির। নেপথ্যে রয়েছে মোদি সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। ২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তার পরের বছর হবে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। এই পাঁচ রাজ্যের একটা বিরাট সংখ্যক ভোটার আদিবাসী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ৪৭টি। আরও অন্তত ৬২টি আসনের ফল নির্ভর করে আদিবাসী ভোটের ওপর। সেই আদিবাসী ভোটের সিংহভাগ যাতে গেরুয়া ঝুলিতে পড়ে, তাই বেছে নেওয়া হল দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এই পরীক্ষা করে দেখেছে পদ্ম শিবির। ২০১৭ সালে বেছে নেওয়া হয় দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দকে। কে আর নারায়ণণের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কোবিন্দ। যার সুফল ঘরে তুলেছিল বিজেপি, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। সেবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    নাড্ডা ২০টি নামের কথা বললেও, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিল মূলত তিনটি নাম। এই তিনজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এঁরা হলেন, উপজাতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকে এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। এই চারজনের মধ্যে আবার এগিয়েছিলেন অনসূয়া এবং দ্রৌপদী। এঁরা দুজনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আবার দুজনেই মহিলা। অনসূয়া বর্তমানে ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল পদে আসীন। সম্ভবত সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে দ্রৌপদীকে। তিনি জিতলে আরও একবার তৈরি হবে ইতিহাস। দেশের প্রথম নাগরিকের মর্যাদা পাবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা।

     

  • Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনের অফিসে পা রাখলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন। এক সাধারণ কর্মীর মতোই দলের সব নির্দেশ পালন করবেন। কাজ করবেন বাংলার মানুষের জন্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন রাজ্য বিজেপির তারকা-প্রচারক। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর বঙ্গ-রাজনীতির ময়দানে তাঁকে আর সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। সোমবার ফের বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ দিলেন ‘ডিস্কো-কিং’। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মিঠুন চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘দল আমাকে যে কাজ দিয়েছে, তা করে যাব আমি। আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।’’

    সোমবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছন মিঠুন। যদিও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। পরে সন্ধ্যা নাগাদ মিঠুন পৌঁছে যান বিজেপির দফতরে। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কী নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মিঠুন। তিনি বলেন, “সব ঠিক সময় মতো জানতে পারবেন।” শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। সেই কাজ তিনি করবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বৈঠকে সুকান্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল সিন্‌হা, রুদ্রনীল ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারা। “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমি কলকাতায় এসেছি। তবে বাংলায়  আমার ‘বস’ (BOSS) সুকান্ত মজুমদার। ওঁর নির্দেশে বাংলার মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে সামিল হব।” কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশে বসিয়ে একথা বলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

    আরও পড়ুন: “বাংলার হারানো গৌরব ফেরাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ”, রাজ্য সফরে এসে নাড্ডা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ৫৫ দিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ফলাফলে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় বিজেপির। যদিও এতে মোটেই তিনি হতাশ নন তা জানিয়ে মিঠুনের যুক্তি, পরাজয় হলেও বাংলায় বিজেপির উত্থানে তিনি খুশি। পরিসংখ্যান দিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “তিন থেকে আমরা সাতাত্তর হয়েছি। ৫৫ লক্ষ থেকে বেড়ে দু কোটি আঠাশ লক্ষ  মানুষ গত বিধানসভায় আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি গতবারের থেকেও এবার বেশি সময় দেব। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে বিজেপি।”

    গত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। তার পর থেকে ভোটের সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রোড শো থেকে শুরু করে বহু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই আবার বাংলায় পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার চালানোর যে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব, সেই সব কর্মসূচিতে কাজে লাগানো হতে পারে মিঠুনকে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

    রাজ্য বিজেপি-তে মিঠুন কী ভূমিকা পালন করতে চলেছেন জানতে চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মিঠুনদা হেভিওয়েট প্রচারক, ইংরেজিতে যাকে স্টার ক্যাম্পেইনার বলি আমরা। স্বাভাবিক ভাবেই সেই অস্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধে সবসময় তো পরমাণু বোমা ব্যবহার করা হয় না! আগে ছোটখাটো হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়। যখন পরমাণু বোমার প্রয়োজন হবে, আমরা চার্জ করব।”

  • Amaravati Murder: অমরাবতী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Amaravati Murder: অমরাবতী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরাবতী কাণ্ডে অভিযুক্ত ৭ জনকে এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ -এর অধীনে পৃথক মামলা দায়ের করেছে। 

    অমরাবতী পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ ছিল। তাই তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। 

    নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করায় ২১ জুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।  

    অমরাবতীর পুলিশ কমিশনার আরতি সিংহ জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জুন। উমেশ  কোলহে নামে এক কেমিস্ট খুন হন অমরাবতীতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নূপুর শর্মার সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করার ফলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তর নাম ইরফান খান (৩২)। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইরফান একটি এনজিও চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়ালালের মতোই গলার নলি কেটে খুন করা হয় ৫৪ বছরের কেমিস্ট  উমেশ কোলহেকে (The chemist, Umesh Prahladrao Kolhe)। তদন্তকারীদের অনুমান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যের সমর্থনে তিনি কিছু পোস্ট করার কারণেই রোষের শিকার হয়েছেন তিনি। উমেশ কোলহের ছেলে সংকেত কোহলের অভিযোগের পর অমরাবতী সিটি কোতোয়ালি থানা তদন্ত শুরু করে। সন্দেহের ভিত্তিতে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে এনআইএ-র হাতে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে।  

    কোলহের ছেলে সংকেতের অভিযোগের পর অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানা  প্রাথমিক তদন্তে মুদ্দসির আহমেদ (২২) এবং শাহরুখ পাঠান (২৫) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও চারজনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়, যার মধ্যে  তিনজন – আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২) এবং আতিব রশিদ (২২)কে ২৫ জুন গ্রেফতার করা হয়। শামীম আহমেদ ফিরোজ আহমেদ নামে এক যুবক পলাতক। 

    আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ

    ২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। তখন উমেশ কোলহে তাঁর ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সংকেত এবং তার স্ত্রী বৈষ্ণবী অন্য একটি স্কুটারে যাচ্ছিলেন৷ সংকেত পুলিশকে বলেছেন, “আমরা প্রভাত চক দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং আমাদের স্কুটার তখন মহিলা কলেজ নিউ হাই স্কুলের গেটের সামনে ছিল৷ বাবার স্কুটারের সামনে হঠাৎ মোটরসাইকেলে দু’জন লোক এসে হাজির হয়। তারা আমার বাবার বাইক থামায় এবং তাদের একজন তার ঘাড়ের বাঁ দিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমার বাবা পড়ে যায়। তখন প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল। আমি আমার স্কুটার থামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। এরপর একজন এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনজনকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।”

     

  • Tarun Majumdar: ‘চাওয়া-পাওয়া’ থেকে ‘ভালোবাসার বাড়ি’! শেষ হল এক যুগ

    Tarun Majumdar: ‘চাওয়া-পাওয়া’ থেকে ‘ভালোবাসার বাড়ি’! শেষ হল এক যুগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলা সিনেমা জগতে নক্ষত্র পতন। শেষ হল এক স্বর্ণ যুগের। কিংবদন্তী পরিচালক তরুণ মজুমদার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ৯১ বছর বয়সে হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar) তাঁর প্রয়াণে শিল্পী মহলে শোকের ছায়া পড়ে গিয়েছে। গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তরুণ মজুমদার। এছাড়াও বর্ষীয়ান পরিচালকের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগও ছিল। একাধিক জটিলতা নিয়েই SSKM-এ ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।

    তরুণ মজুমদারের জন্মস্থান আধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত বগুড়া। সালটা ছিল ৮ জানুয়ারি, ১৯৩১ সাল। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। পড়াশোনা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে। রসায়নের স্নাতকের ছাত্র হয়েও পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সিনেমা তৈরিকে। তিনি গত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র পরিচালনা করে আসছেন। তিনি তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মূলত বাঙালি সমাজ এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর জীবনে মোট চারটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও সাতবার সম্মানিত হয়েছিলেন বিএফজিএ সম্মানে ও পাঁচটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও রয়েছে তাঁর। ১৯৯০ সালে আনন্দলোক সম্মানেও সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি এবং এই বছরেই ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।

    আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার

    তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চাওয়া-পাওয়া’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৯ সালে। এই ছবির নায়ক-নায়িকা ছিলেন উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন। তবে এই ছবিটির পরিচালনায় আসলে ছিল ‘যাত্রিক’ নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই ‘যাত্রিক’-এর সঙ্গেই ছবির পরিচালনা করেছেন তিনি। ‘পলাতক’ ছবিটির পরেই এই গোষ্ঠী ভেঙে যায় ও এরপর থেকে আলাদা ভাবে ছবি পরিচালনা করতে শুরু করেছিলেন। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। এই ছবির জন্যই ১৯৬২ সালে জাতীয় সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ‘নিমন্ত্রণ’, ‘গণদেবতা’ এবং ‘অরণ্য আমার’ ছবিগুলির জন্যই তিনি জাতীয় পুরস্কার পান৷

    তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন সিনেমা হল- ‘বালিকা বধূ’,  ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘গণদেবতা’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘পথভোলা’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘আলো’ ইত্যাদি। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে তরুণ মজুমদার সকলের নজরে আসেন ‘পলাতক’ (১৯৬৩), ‘নিমন্ত্রণ’ (১৯৭১), ‘সংসার সীমান্তে’ (১৯৭৫), ‘গণদেবতা’ (১৯৭৮) এইসব ছবির মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালের পর থেকেই আর কোনও সিনেমা বানাননি তিনি। কিন্তু ২০০৩ সালে তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘আলো’। যা ফের বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘ভালোবাসার বাড়ি’  ছিল তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। আর এই সিনেমা করেই তিনি তাঁর ‘ভালোবাসার বাড়ি’ ছেঁড়ে পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে।

     

  • Health Tips: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো

    Health Tips: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়, তাই ৪০ বছর বয়সের আগে এবং বয়সের সময় পুরুষদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলেন ৪০ বছর বয়সের পরে ছেলেদের বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। ফলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি, বিশেষ করে পেটের চর্বি ও নান রকমের রোগ দেখা যায়।

    ৪০ বছরের বেশি বয়সের লোকেদের জন্য বিশেষ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে রোজ খান এই ৫টি শাক, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    ফাইবার যুক্ত খাবার: আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কারণ ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  এছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কালো বিনস, ডাল, ওটস, শাক, বাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

    কম সোডিয়াম পরিমাণ যুক্ত খাবার: কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলে শরীরে পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কম সোডিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে কলা, পালং শাক ইত্যাদি খাওয়া উচিত।

    ডায়েটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: আপনার ডায়েটে জলপাই, বাদাম, অ্যাভোকাডোর মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলোতে ভালো পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। ৪০ বছর বয়সের পর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়তে পারে। এই সমস্যা এড়াতে আপনাকে ভালো ফ্যাট যুক্ত খাবার ডায়েটে রাখা উচিত এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: রোগ প্রতিরোধের  ক্ষমতা বাড়াতে গোলমরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, আদা খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    ভেষজ খাবার ও মশলা: খাদ্যতালিকায় ভেষজ জাতীয় খাবার অর্থাৎ তুলসী, অশ্বগন্ধা, গুলঞ্চ রাখা উচিত ও মশলার মধ্যে হলুদ, কালো জিরা, গোলমরিচ, দারচিনি রাখা উচিত।

    এছাড়াও যেসব খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে এমন খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও যেসব খাবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তেমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

LinkedIn
Share